ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব ৭

ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব ৭
সাইয়্যারা খান

ঘুম ভাঙতেই আদ্রিয়ান অনুভব করলো পায়ের আর পেটের দিকে ভার হয়ে আছে। মাথা উঁচু করতেই নিজের অজান্তে ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠলো। মিশি বাবার পেটের উপর ঘুমিয়ে আছে আর রোদ আদ্রিয়ানের পায়ের উপর মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। দুই মা-মায়ের ঘুমের অবস্থা বেহাল। আদ্রিয়ান আস্তে করে টেনে মিশিকে বালিশে শুয়িয়ে দিলো। রোদকেও ধরে এনে পাশে শুয়িয়ে দিলো। একটু পরই মিশি হাই তুলে চোখ খুললো পাশে বাবাকে দেখে একটু নিচু হয়ে বাবার বুকে ডুকে পড়লো। আদ্রিয়ান হেসে ওকে চুমু খেয়ে বললো,

— আমার মায়ের কি ঘুম শেষ?
মিশি ঘুম জড়ানো কন্ঠে বললো,
— হু।
আদ্রিয়ান ওকে কোলে নিয়ে ওয়াসরুমে ডুকিয়ে ফ্রেশ করিয়ে দিলো। রুমে এনে মুখ মুছিয়ে দিলো। এখন বাজে সকাল ৯ টা। আদ্রিয়ান আস্তে করে রোদকে ডাকতে লাগলো কিন্তু রোদের কোন হেলদুল নেই। মিশিও মায়ের কাছে গিয়ে বাবার সাথে ঘেঁষে বসে একনাগাড়ে “মাম্মা” “মাম্মা” ডাকতে লাগলো কিন্তু তাতে রোদ শুধু একটু নড়েচড়ে ঘুমিয়ে গেল। আদ্রিয়ান এবার রোদের গালে আলত করে চাপড় দিয়ে ডাক দিতেই টেনে টুনে চোখ খুললো রোদ। বিরক্ত হওয়া কন্ঠে জিনিস করলো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

— কি হয়েছে?
— উঠো এবার সোনা।
রোদ আদ্রিয়ানের পাশে মিশিকে দেখে টেনে নিজের কাছে নিয়ে বললো,
— ঘুমাও মা সকাল হয় নি। তোমার বাবাইয়ের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।
মিশি মায়ের বুক থেকে বাবার দিকে অসহায় মুখ করে তাকিয়ে রইলো কারণ তার তো এখন মোটেও ঘুম আসছে না। আদ্রিয়ান রোদকে টেনে ধরে উঠালো। রোদ মুখ কুচকে তাকালো যা আদ্রিয়ান সম্পূর্ণভাবে ইগনোর করে বললো,
— ফ্রেশ হয়ে আসো। গো।

রোদ উঠে মিনমিন করতে করতে ওয়াসরুমে ডুকে পড়লো। আদ্রিয়ান বেড গুছিয়ে নিলো। রোদ বের হতেই দেখলো ফোন বাজছে। রাদ কল করেছে। রিসিভ করতেই রাদ বললো,
— রোদ বোন আমার কোন চিন্তা করবি না। আল্লাহ যা করে তা ভালোর জন্যই করে।
ও পাশ থেকে রুদ্র আর মা-বাবার গলার আওয়াজও শুনতে পেল রোদ। অবুঝ গলায় প্রশ্ন করলো,
— কিসের চিন্তা ভাইয়া?
— আজ না মেডিক্যালের রেজাল্ট দিবে।
মুহূর্তেই যেন মাথা ঘুরে গেল রোদের। আজ না রেজাল্ট? রোদকে চুপ থাকতে দেখে রাদ কিছু একটা বুঝলো। ঠান্ডা স্বরে বললো,

— যা হবার হবে। প্রয়োজনে সেকেন্ড টাইম দিবি। কোন ব্যাপার না। তাছাড়াও ভার্সিটি এক্সাম ও আছে। বুঝেছিস?
— হু।
— আচ্ছা রাখি।
— হু।
বলে কল কাটলো রোদ। সাথে সাথেই আদ্রিয়ানের ফোন বেজে উঠলো। রাদই কল করেছে। রিসিভ করতেই রাদ বললো,

— রোদকে আজ নিয়ে আসি নাহয়। জানেন ই তো সব।
আদ্রিয়ান আড় চোখে একবার রোদকে দেখলো যে কি না গোলগাল ফুলা গাল দুটো আরেকটু ফুলিয়ে রেখেছে। কেঁদে দিবে দিবে ভাব। ব্যালকনিতে চলে গেল আদ্রিয়ান। রাদকে উদ্দেশ্য করে বললো,
— আমার কাছে থাক। আমি সামলে নিব রাদ। ওখানে হয়তো আরো ভেঙে পরবে যদি রেজাল্ট ভালো না হয়। ভরসা রাখ।

— ভরসা আছে বলেই রোদ আজ আপনার কাছে আদ্রিয়ান। কিছু হলে জানিয়েন।
— হুম। আল্লাহ হাফেজ।
ফোন কাটলো আদ্রিয়ান। ভেতরে যেতেই রোদের ভোতা মুখটা নজরে এলো। আদ্রিয়ান ওর সামনে বসে নিজের লম্বা লম্বা আঙুলগুলো রোদের তুলতুলে নরম আঙুলের ফাঁকে ডুকিয়ে শক্ত করে ধরলো। রোদ একটু তাকালো। আদ্রিয়ান একহাত দিয়ে রোদের কানের পরিহিত রিংটা ঘুরাতে ঘুরাতে বললো,

— বেশি টেনশন হচ্ছে?
— হু।
— প্রয়োজনে আমি তোমাকে প্রাইভেট মেডিক্যালে পড়াব রোদ। কোন টেনশন নেই। তুমি তো জানো, “নিশ্চিই আল্লাহ উত্তর পরিকল্পনাকারী”।
— হুম।
আদ্রিয়ান এবার মিশিকে কোলে তুলে নিলো। রোদ একটা ওভার সাইজ টিশার্ট পরা। আদ্রিয়ান শুধু একটা ওরণা ওর মাথায় দিয়ে বললো,
— চল।

খেতে বসেও সবাই রোদকে সাহস দিলো। টেনশন করতে নিষেধ করলো। কিন্তু হায় টেনশন বুঝি আটকানো যায় এটা তো জোঁকের মতো জেঁকে ধরে আছে। রীতিমতো এখন টেনশনে রোদের পেট মোচড় দিয়ে উঠলো। মাথা ঘুরাতে লাগলো। আদ্রিয়ান ওর মুখে তবুও জোর করে নিজের খাওয়া ব্রেড ঠুকিয়ে দিল। রোদ মিশিকে খায়িয়ে রুমে ঘাপটি মেরে বসে রইলো। আদ্রিয়ান ঢুকতেই রোদ একপলক তাকিয়ে ওয়াসরুমে ডুকে বমি করে দিলো। আদ্রিয়ান ওকে তারাতাড়ি ধরে মুখে পানি দিয়ে ধুয়িয়ে কোলে করে বেডে বসিয়ে দিলো। রোদ একটু একটু কান্না করে যাচ্ছে। আদ্রিয়ান ওর মুখ মুছিয়ে দুই গালে হাত বুলিয়ে বললো,

— এমন করছো কেন সোনা? সব ঠিক হবে। ভরসা রাখ।
রোদ এবার আদ্রিয়ানের হাত জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠলো। এস এস সি তে এ প্লাস থাকলেও ঐ ঘটনার পর রোদের পড়াশোনায় ক্ষতি হয়েছিলো ফলস্বরূপ এইচ এস সি তে এসেছিলো ৪.৮৫। রোদের টেনশন হচ্ছে এখন আদও ও চান্স পাবে কি না। সাদা এপ্রোন যে ওর স্বপ্ন যেটার বাঁধা স্বরুপ আছে দুটো জিনিস এক এই রেজাল্ট আর দুই ব্লাড ফোবিয়া।
আদ্রিয়ান রোদের মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করলো। আসস্ত করলো আজ সে অফিস যাবে না রোদের কাছেই থাকবে। অথচ আদ্রিয়ান নিজেই টেনশনে ঘামছে যে মেয়ে রেজাল্টের আগেই এই অবস্থা সে রেজাল্টের পর কি করবে?

কাউচে বসে এক নাগাড়ে নখ কাটছে রোদ দাঁত দিয়ে। আদ্রিয়ান বারকয়েক হাত নামিয়ে দিয়েছে মুখ থেকে। রোদের তবুও তেমন পাত্তা নেই। ও টেনশনে নখ কেটে নিজেকে স্বাভাবিক রাখছে যেটা এই বাবাই মার্কা আদ্রিয়ান বুঝছে না। আদ্রিয়ান এবার দিলো এক ধমক। ধমক খেয়ে চুপ করে হাত নামিয়ে রাখলো রোদ। তবুও থেমে নেই পা দিয়ে ফ্লোর খুরতে লাগলো। ১১ টা বেজে গিয়েছে।

তখনই আদ্রিয়ান ল্যাপটপে রোদের রোল নম্বর টাইপ করলো। রোদ আদ্রিয়ানের ঘাড়ের পেছন থেকে দৃষ্টি দিয়ে রেখেছে ল্যাপটপে। রেজাল্ট শিট আসতেই আদ্রিয়ান দেখলো রোদের হয় নি ঢাকা মেডিক্যালে কিন্তু ওয়েটিং লিস্টে নাম আছে। আদ্রিয়ান ঘুরার আগেই ধাম করেই পরে গেল রোদ। ভয় পেয়ে গেল আদ্রিয়ান। তারাতাড়ি ওকে ধরে চেপে ধরলো বুকে। মিশি রুমে ডুকে মা’কে এভাবে দেখে ভয়ে কেঁদে উঠলো। ওর কান্নার আওয়াজে সাবা,জারবা আর আদ্রিয়ানের মা ও ছুটে এলো। এদিকে আদ্রিয়ান অস্থির হয়ে গেল। এতটা যে রোদ কনসার্ন তা বুঝতে পারে নি আদ্রিয়ান। রোদকে বেডে শুয়িয়ে অস্থির হয়ে ডাকতে লাগলো,

— রোদ? রোদ উঠো। এই রোদ তাকাও না সোনাপাখি।
জারবা কোলে তুলে নিলো মিশিকে। সাবা পানি এনে ছিটিয়ে দিলো রোদের চেহারায়। এদিকে রাদ কল করতে করতে অস্থির। রেজাল্ট দেখেছে ও। না জানি বোনটার কিছু হলো নাকি? কল রিসিভ না হওয়াতে বাসার সবাই যেন আরো বেশি টেনশনে পরে গেল কারণ এখন আদ্রিয়ানের বাসার কেউ ই কল ধরছে না। রীতিমতো ঘাম ছুটে গেল রোদের বাড়ীর সবার।

এদিকে রোদ অনেকক্ষণ পরে চোখ খুললো। সামনে তাকাতেই নজরে এলো চিন্তিত আদ্রিয়ানের মুখ যে আপাতত রোদের একহাত নিজের শক্ত হাতের মুঠোয় নিয়ে রেখেছে। রোদ তাকাতেই জারবা ” ছোট ভাবী ” বলে ডেকে উঠলো। সবাই এবার তাকালো ওর দিকে। আদ্রিয়ান রোদের গালে হাত বুলিয়ে শান্ত কন্ঠে বললো,
— ঠিক আছো?
— হু।

রোদের অবস্থা বুঝে বাকিরা আস্তে আস্তে বের হয়ে গেল। মিশি মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে বাবার কোলে বসে। ওর ফুঁপানোর শব্দ শুনে রোদ হাত বাড়িয়ে বলে উঠলো,
— আমার বাচ্চা কাঁদে কেন?
আদ্রিয়ান মিশির মাথায় চুমু খেয়ে বললো,
— ভয় পেয়েছে।
মিশিকে রোদ ডাকতেই মিশি আস্তে করে মায়ের বুকে মুখ গুজে দিলো। রোদ নিজের সাথে জড়িয়ে ধরলো। এমন সময় ফোন বাজতেই আদ্রিয়ান রিসিভ করলো ওমনিই রোদের বাবার চিন্তিত কন্ঠ কানে এলো। আদ্রিয়ান শতকরে বুঝালেও শেষ মেষ রোদের সাথে কথা বলে শান্ত হলো তারা।

রোদ ঐ যে মুখ গুমরে রেখেছে এখনও ঠিক হয় নি। আসলে ও নিজের মধ্যে চেপে রাখতে চাইছে। বারবার মনে হচ্ছে এইচ এস সি র মার্ক ফুল থাকলে তো এমন হতো না। এটা ভাবতেই আবার অতীতের কথা মনে পরে যাচ্ছে। মাথা চেপে ধরলো রোদ। এনজাইটির প্রবলেমটা আবারও শুরু হয়ে গেল। অতিরিক্ত চিন্তায় ঘাম ছুটে গেল ওর। গলা শুকিয়ে গেল। হাত-পা কাঁপতে লাগলো। এদিক ওদিক তাকাতেই দেখলো কেউ নেই। তখনই যেন ভয় বেড়ে গেল। জোরে কেঁদে ডেকে উঠলো “ভাইয়া” “আম্মু” “আম্মু”। আদ্রিয়ান রোদের খাবার নিয়ে রুমে আসছিলো ওর চিৎকার শুনে দৌড়ে রুমে ডুকলো। হাতের খাবার পাশে রেখে তারাতাড়ি লাইট অন করে বললো,

— রোদ? এই যে তাকাও। দেখ। কিছু হয় নি।
রোদ এক কোণায় গুটিয়ে ছিলো। আদ্রিয়ানকে দেখতেই দৌড়ে বিছানা থেকে নেমে জড়িয়ে ধরলো। আদ্রিয়ান খেয়াল করলো রোদের কাঁপুনি। এনজাইটির রুগীরা কিছুটা এমনই। হঠাৎ করেই এরা ভাবতে শুরু করে আবার হঠাৎ করেই যেন স্বাভাবিক হয়ে উঠে। আদ্রিয়ান রোদকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখলো। মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,
— আমি আছি। সব ঠিক আছে। কোন চিন্তা নেই সোনা। দেখ এই যে।
রোদ আদ্রিয়ানের বুকে মুখ চেপে শক্ত করে ধরে রাখলো। আদ্রিয়ান সময় দিলো শান্ত হতে। ওভাবেই রোদকে উঁচু করে বেডে বসলো। প্রায় আধ ঘন্টা পর শান্ত হলো রোদ। আদ্রিয়ান আস্তে করে ডাকলো,

— রোদ?
— হুম।
— সব ঠিক?
— হুম।
— খাবে?
— হুম।
— আচ্ছা।
বলে রোদকে বুক থেকে তুললো। নিজের হাতে খায়িয়ে দিলো। রোদ খেতে খেতে বললো,
— মিশি?
— খায়িয়েছি।
— কোথায়?
— ঘুম জারবার রুমে।

আদ্রিয়ান ওকে খায়িয়ে পানি খাওয়ালো। রোদ বিছানায় পা ঝুলিয়ে বসে আছে। আদ্রিয়ান আসতেই হঠাৎ করে আদ্রিয়ানের কোমড় জড়িয়ে ধরে পেটে মুখ গুজে কেঁদে উঠলো। মুহূর্তেই যেন আদ্রিয়ানের সমস্ত শরীর কেঁপে উঠলো। বহু কষ্টে রোদের মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করতে চাইলো কিন্তু থামলো না রোদ। একাধারে কেঁদেই যাচ্ছে। আদ্রিয়ানও ওকে জড়িয়ে নিলো। মন চাইলো একটু আদর করে দিতে। ফুলা ফুাল গালে একটু ঠোঁট ছুয়ে দিলে কি ক্ষতি হয়ে যাবে? দিবে দিবে করেও দিলো না। কি না ভাবে আবার রোদ?
কি হতো মেয়েটার স্বপ্ন পূরণ হলে? রোদের মুখটা তুলে উঁচু করলো আদ্রিয়ান। ফর্সা চেহারাটা লাল হয়ে আছে। আদ্রিয়ান ওর চোখ মুখ হাত দিয়ে মুছে দিয়ে বললো,

— কাঁদে না পাখি। বলেছিনা প্রাইভেটে পড়াব।
— ডিএমসি ছাড়া পড়ব না।
হিচকি তুলতে তুলতে বললো রোদ। আদ্রিয়ান জানে বয়সটাই আবেগের। স্বপ্ন তো স্বপ্নই। তাই রোদের দু গালে হাত দিয়ে বললো,
— ওয়েটিং এ তো আছ। আল্লাহর উপর ভরসা রাখ। ভালো কিছু হবে ইনশাআল্লাহ।
–ইনশাআল্লাহ।
আদ্রিয়ান তেল আর চিরুনি নিয়ে রোদের কাছে আসতেই রোদ দুই লাফে সরে গিয়ে বললো,

— আমি তেল দিব না এখন।
— কারণ?
— মাথা কুটকুট করে তেল দিলে।
— মাথা আবার কীভাবে কুটকুট করে রোদ? কিসব ভাষা বল?
বলে আদ্রিয়ান জোর করে রোদকে ধরে বসালো কাউচে। রোদ দিবে না তো নাই। আদ্রিয়ান ওর চুল খুলে দিয়ে বললো,
— মিশিকে তো তেল দিয়ে দাও। তাহলে নিজে দাও না কেন?
— আমার ভালো লাগে না তেল দিতে আগে তো আম্মু আর চাচি জোর করে দিয়ে দিত।
— এখন থেকে এই দায়িত্ব আমার।

বলে সুন্দর করে তেল লাগিয়ে মাথা আঁচড়ে বেনী করে দিলো লম্বা চুলে। সাইড থেকে টিস্যু নিয়ে রোদের কপালের তেল মুছে হাত ধুয়ে এসে বললো,
— আস ঘুমাবে।
— এখন ঘুম আসছে না।
আদ্রিয়ান জোর করে রোদকে ধরে নিজের বুকে শুয়িয়ে দিলো। এই প্রথম জাগ্রত রোদকে বুকে নিয়ে যেন হৃদপিণ্ডটা লাফাতে লাগলো। রোদ মাথা তুলে বললো,

— আপনার বুক এমন ধুকপুক ধুকপুক করছে কেন?
— তুমি বুঝবে না।
— বুঝান।
–সব যদি বুঝানো যেত তাহলে তো হতোই কাজ। ঘুমাও।
— আসছে না তো।
— চোখ বন্ধ করো।
— হচ্ছে না তো।
— দুষ্ট হয়ে যাচ্ছো।
— কই?
— অনেক হ’য়েছে।

ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব ৬ (২)

রোদ মুখ ভোতা করে ধুম করে বুকে শুয়ে পরলো। আদ্রিয়ান “উফ” করে শব্দ করে বললো,
— পাঁজরের হাড্ডি গুড্ডি ভেঙে গেল বোধহয়।
রোদ চুপ করে আদ্রিয়ানের বুকের শব্দ শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে গেল।

ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব ৮