ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব ৯

ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব ৯
সাইয়্যারা খান

দরজায় কাঁধে ব্যাগ নিয়ে আছে মিশান। মিশি দৌড়ে গিয়ে ভাইয়ের পা জড়িয়ে ধরলো। মিশান হেসে কোলে তুলে নিলো বোনকে। মিশি ওভাবেই গলা জড়িয়ে ধরে রাখলো। আদ্রিয়ান প্রথমে রোদের পানি মুছে দিয়ে উঠে দাঁড়ালো ততক্ষণে বাকিরা মিশানকে ঘিরে ফেললো। আদ্রিয়ানের মা তো বড় নাতীকে ধরে কাঁদলেন এক দফা।

জীবনে প্রথম দাদী হওয়ার স্বাদ পেয়েছিলেন মিশান থেকে। আরিয়ানের সাথে হাগ করে আলিফকেও আদর করে দিলো মিশান। সাবা আর জারবার সাথে কথা বলে মিশিকে নামিয়ে সামনে এলো। আদ্রিয়ান দাঁড়িয়ে আছে। মিশান এক দৌড়ে বাবার বুকে ঝাঁপিয়ে পরলো এতে করে দুই পা পিছিয়ে গেল আদ্রিয়ান। নিজেকে সামলে ছেলেকে বুকে চেপে নিলো। শান্তি শান্তি লাগছে এখন আদ্রিয়ানের। এক মাস পর এলো মিশান। বেশ কিছু সময় পর মিশান মাথা তুলে ডাকলো,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

— বাবা।
ব্যাস সমস্ত কিছু যেন আবেগের চোটে বেরিয়ে আসতে চাইছে আদ্রিয়ানের চোখ দিয়ে। এই “বাবা” ডাকটা হৃদপিণ্ডটাকে কাঁপিয়ে ছাড়ে। বুকের ভেতরে প্রশান্তি নিয়ে আসে। আদ্রিয়ান ছেলের কপালের বড় চুল গুলো হাত দিয়ে সরিয়ে চুমু খেয়ে বললো,
— বলো বাবা।
— মিস ইউ।
— আই মিসড ইউ ঠু বাবা।

রোদ প্রথমে না বুঝলেও পরে ঠিকই বুঝলো যে এটা মিশান। রোদের মনে হচ্ছে মিশান পুরো রুদ্রর বয়সী। উচ্চতা ও এক মনে হচ্ছে। মিশান এবার দাদার কাছে গেল। আদ্রিয়ান মা তো নাতীকে ধরে বসিয়ে দিলেন টেবিলে। মিশান মিশিকে কোলে নিয়ে একটু হেসে বললো,
— দীদা হাতটা তো ধুয়ে দিবা নাকি?
রোদ আনমনেই খালি একটা কাচের বোল আর এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিয়ে বললো,
— এখানেই ধুয়ে ফেলো।

হঠাৎ অচেনা আওয়াজ শুনে মাথা ঘুরিয়ে তাকালো মিশান। রোদকে দেখেই ও কি বলে সম্মোধন করবে বুঝে উঠতে পারলো না। এমনি সময় দেখলে নিশ্চিত মিশান আপু বলে সম্মোধন করতো। কিন্তু এখন? রোদকে দেখতে সিনিয়র আপু বাদে কিছুই মনে হচ্ছে না। তবুও নিজেকে সামলে হাত বাড়িতে গ্লাস নিয়ে ছোট করে ধন্যবাদ দিয়ে হাত ধুয়ে নিলো। রোদ তখন আর কথা বাড়ালো না। আদ্রিয়ান ছেলের পাশে বসে আছে। আদ্রিয়ানের মা এটা ওটা সব এগিয়ে দিচ্ছে নাতীকে। রোদের ড্রেস যেহেতু ভিজে গিয়েছে তাই ও উঠে চলে গেল রুমে। মিশান আড় চোখে একবার তাকিয়ে খাওয়াতে মন দিলো। এতক্ষণ একটু হলেও আনকমফরটেবল লাগছিলো। মিশানের খাওয়া হতেই আদ্রিয়ান ওকে রুমে পাঠিয়ে দিলো রেস্ট নিতে।

মিশিকে কোলে তুলে রুমে গেল আদ্রিয়ান। রোদ ফোনে কথা বলছিলো। আদ্রিয়ানকে দেখে একটু কথা বলে রেখে দিলো। এগিয়ে এসে আদ্রিয়ান বললো,
— কেমন দেখলা?
— কি দেখব?
— আমার ছেলেকে।
— মাশাআল্লাহ সুন্দর। মিশির সাথে চেহারার অনেক মিল তাই না?
— হুম। আজ না ওয়েটিং এর রেজাল্ট?
— হুম।

বলেই চুপ করে গেল রোদ। কি বলবে বুঝে উঠতে পারলো না। একটু আগেই রাদ সহ বাকিরা অনেক সাহস দিলো তবুও রোদ নিজেকে অনেক কষ্টে সামলে রেখেছে। আদ্রিয়ান রোদের এক হাত ধরে সাহস দিলো। রেজাল্ট পাবলিশ হবে ১১ টার দিকে। রোদের মুখ জুরে বিন্দু বিন্দু ঘাম যা হচ্ছে টেনশনের ফলে। মিশি রোদের আঙুল নাড়িয়ে ডাকলো,
— মাম্মা?
রোদ এতক্ষণ খেয়াল ই করে নি মিশি ছিলো আদ্রিয়ানের কোলে। একটু হেসে রোদ ওকে কোলে তুলে বললো,
— বলো মা কি হয়েছে?

মিশি কিছু না বলে টুপ করে একটা চুমু খেল মায়ের গালে। রোদের হাসিটা চওড়া হলো। মিশিকে নিয়ে ব্যালকনিতে চলে গেল। ১১টা বাজতেই আদ্রিয়ান দুরুদুরু বুকে রেজাল্ট শিট চেক করলো। এবার যদি না আসে না জানি রোদ কেমন রিএক্ট করে বসে কিন্তু রেজাল্ট পেতেই আদ্রিয়ান জোরে ডাক দিলো রোদকে। ব্যালকনিতে বসে মিশির সাথে খেলতে খেলতে ভুলেই গিয়েছিল রেজাল্টের কথা। আদ্রিয়ানের ডাকে বুক ধক করে উঠলো। মিশিকে নিয়ে তারাতাড়ি রুমে ডুকে বললো,

— কি হয়েছে? বলুন তারাতাড়ি।
— কাছে আসো।
— না না আপনি বলুন। আমার বুক ধুকপুক ধুকপুক করছে প্লিজ।
আদ্রিয়ান কিছু বলার আগেই রোদ আবার ঝটপট ল্যাপটপের দিকে তাকালো। তাকিয়েই ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কেঁদে উঠলো। হঠাৎ করে মা’য়ের কান্নায় মিশিও রোদকে ধরে কেঁদে উঠলো। আদ্রিয়ান বেচারা কাকে ধরবে এটা না ভেবে বদলের মতো দাঁড়িয়ে রইলো। রোদ মে’য়ের কান্না দেখে নিজে কাঁদতে কাঁদতে আবার মিশিকে কোলে তুলে নিলো। মিশি ও মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে গলা ফাটিয়ে কেঁদে উঠলো এবার। রোদ ও মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলো। আদ্রিয়ান এবার ভ্যাবলার মতো করে এগিয়ে এসে মিশিকে কোলে নিতে চাইলেই রোদ সরে গিয়ে বেডে বসলো। কান্না থামিয়ে রোদ একটু নাক টেনে বললো,

— ওকে নিচ্ছেন কেন?
— কাঁদছে তো।
— আমি দেখছি না?
বলেই রোদ মিশিকে আদর করতে করতে বললো,
— আর কাঁদে না মা।
মিশি একটু মুখ তুলে মাকে দেখলো পরপরই চোখ মুখ লাল করে তাকিয়ে রইলো। রোদ এবার মিশিকে বুকে চেপে ধরে উঠে দাঁড়িয়ে ঘুরে জোরে “ইয়া হু” বলে চিৎকার করে উঠলো। মিশি যাতে পরে না যায় তাই মাকে আকড়ে ধরে রাখলো। রোদ এবার থামলো। ততক্ষণে ওর চিৎকারে সাবা পাশের রুম থেকে এসে বললো,

— কি হয়েছে?
আদ্রিয়ান গা এলিয়ে বসে পরলো কাউচে। ইশারায় রোদকে দেখাতেই সাবা এগিয়ে এসে বললো,
— এই ওর না রেজাল্ট আজ? ও আল্লাহ! হয়ে গেছে?
রোদ সাবার দিকে তাকিয়ে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো। সাবা হেসে আদর করে দিয়ে সবাই কে জানাতে গেল। মিশিকে নামিয়ে এবার রোদ কাকে ধরবে, কাকে ধরবে ভাবতেই এক ঝাপ দিলো আদ্রিয়ানের বুকে। চমকে গেল আদ্রিয়ান। একটু হেসে নিজেও জড়িয়ে ধরে চুমু খেল রোদের চুলে। খুশিতে আত্মহারা রোদ মুখ উজ্জ্বল করে তাকিয়ে বললো,
— বাসায় যাব।
আদ্রিয়ানের ঠোঁটের হাসিটা যেন নিমিষেই গায়াব হয়ে গেল।

বাসায় সবাই অনেক খুশি। দুপুরে খেতে বসে সবাই রোদকে কংগ্রেস জানালো। রোদ নিজেও খুশি হয়ে মিশিকে খাওয়াতে মনোযোগ দিলো। মিশান একটু অবাক হয়ে তাকালো। রোদ কতটা যত্ন করে খাওয়াচ্ছে মিশিকে। মিশানের মনে পরলো নিজের মায়ের কথা। সে ও এমন করে খাওয়াতো। আজ কত বছর হয়ে গেল মা’য়ের হাতে খাওয়া হয় না মিশানের তবুও আফসোস নেই বাবা তো প্রায় খায়িয়ে দেয় কিন্তু মিশান ই ওতসব বায়না করে না। বাবা কতটা ব্যাস্ত তারমধ্য মিশিটা ছোট এরমধ্যে মিশানের তো এসব আবদার মানায় না। মিশির থাকবে তো এই আদর? ছোট মিশি তো কখনো মায়ের হাতে খায় নি। কতটা তৃপ্তি নিয়ে খাচ্ছে ও। চোখ নামিয়ে নিলো মিশান।
মিশির খাওয়া হতেই আদ্রিয়ান রোদের প্লেটে খাবার তুলে দিলো। রোদ খেতে খেতে আবারও বললো,

— কখন যাব বাসায়?
আদ্রিয়ান গম্ভীর কণ্ঠে বললো,
— খাওয়ার সময় কথা নেই।
রোদ আবার খেতে মন দিলো। খাওয়া শেষ হতেই মিশিকে কোলে তুলে নিলো। রুমে ডুকে ঘুম পাড়িয়ে দিলো। বাসায় কথা হ’য়েছে সবার সাথে। তবুও মন মানছে না রোদের। দেখা করতে মন চাইছে। রাদ আর রুদ্র আসত কিন্তু রুদ্রর সাথে কথা বলার সময় জানতে পারলো রোদের আব্বু নাকি নিষেধ করেছেন রাদ আর রুদ্রকে এত বেশি বেশি বোনের শশুর বাড়ী না যেতে।

দৃষ্টি কটু দেখায় যে দুই দিন হয় নি বিয়ের এর মধ্যেই মেয়ের বাড়ীর লোকজন দুইবার এসে গিয়েছে। রুদ্র না হয় ছোট ততটা বুঝে না তাই বলে রাদ আর ইশান কিভাবে রাজি হয়? এ নিয়ে রোদের আব্বু আর বড় চাচি বকেছে ওদের। আপাতত ঐ বাড়ী থেকে যে কেউ আসবে না এটা সিউর রোদ। ভিডিও কলে কথা বলেও মন মানছে না। মানবে কীভাবে নিজের জীবনে কখনো তাদের ছাড়া একদিন থাকে নি রোদ। প্রতিটা সাফল্য হোক বা ব্যার্থতা এই পরিবার ই তো ছিলো রোদের সব। আজ নিজের সাফল্যতায় পরিবারকে পাশে না পেয়ে কি রোদ আর থাকতে পারে? উহু একটু পারে না।
মিশিকে বুকে নিয়ে বালিশে মুখ গুজে শুয়ে রইলো রোদ। চোখ দিয়ে টুপটাপ করে কয়েক ফোটা পানি পরলো।
আদ্রিয়ান মিশানের রুমে নক করলো। ভেতর থেকেই কে জিজ্ঞেস করতে আদ্রিয়ান বললো,

— আমি।
তারাতাড়ি দরজা খুলে দিয়ে মিশান বললো,
— তোমাকে কতবার বলেছি বাবা নক করতে না।
বলেই বেডে বসলো। আদ্রিয়ানও ডুকে বেডে হেলান দিয়ে বসে বললো,
— বললেই হলো নাকি? ছেলে আমার বড় হয়েছে প্রাইভেসি বলেও তো কিছু আছে।
মিশান একটু রাগ করে বললো,
— তুমি আবার শুরু করলে বাবা? আমি কতবার বলবো কেউ নেই।
আদ্রিয়ান হাসতে হাসতে বললো,

— এই বয়সে হয়ই। লুকিয়ে লাভ নেই। আমাকে একবার শুধু হিন্ট দিবা সোজা তুলে নিয়ে আসব।
মিশান এবার অবাক হওয়া কন্ঠে বললো,
— আর ইউ সিরিয়াস বাবা? শশুড় হয়ে ছেলের বউ তুলে নিয়ে আসবা?
— এর মানে আমার ছেলের বউ আছে?
মিশান এইবার নিজেই ফিক করে হেসে উঠলো। আদ্রিয়ানও হেসে দিলো। প্রতিবারই আদ্রিয়ান মিশানকে এসব বলে রাগায়। মিশানও সে কি রাগ করত আগে কিন্তু এখন রাগে না। বাবা-ছেলের সম্পর্কটা বন্ধুত্বের থেকে কম না। আদ্রিয়ান এবার কিছুটা সিরিয়াস হয়ে বললো,

— মা’য়ের সাথে দেখা করো না কেন?
— আমার মা নেই বাবা আর তুমি ই তো বলেছো যাতে অপরিচিত কারো সাথে কথা না বলি।
সোজা হয়ে উত্তর দিলো মিশান। তা দেখে আদ্রিয়ান একটু মুচকি হাসি দিয়ে বললো,
— সে অপরিচিত নয় মিশান। সি ইজ ইউর মাদার।
— নো সি ইজ নট বাবা। শুধু তুমি আমার বাবা আর এটা আমার পরিবার। আর কেউ নেই আমার।
— মাইশা ভাবছে আমি তোমাকে না করেছি ওর সাথে কথা বলতে।
— উহু উনি ভাবছে মিশির মাম্মা আসাতে আমাকে তুমি অবহেলা করবে তাই ঐ দিন বিয়ে বাড়ীতে যেয়ে ঐসব মেলো ড্রামা করেছিলো যেখানে উনি জানতো আমার কোন সমস্যা ছিলো না তোমার বিয়েতে। সে কোন দিনও তোমার ভালো চায় নি বাবা। তার হয়ে আমাকে কিছু বলবে না আর।
আদ্রিয়ান চিন্তিত মুখ করে বললো,

— তোমাকে এসব কে বলেছে? ও আচ্ছা আই থিংক আমি জানি। ঐ পাগল জারবা?
মিশান থতমত খেয়ে বললো,
— না না বাবা পুত্তি কিছু বলে নি।
— ও ছাড়া আর কে আছে গুপ্তচর কে বাসায়?
মিশান একটু বোকা বোকা হাসি দিলো। আদ্রিয়ান ওর মাথায় হাত দিয়ে চুলগুলো এলোমেলো করে দিয়ে বললো,
— এসব ভেবো না। রোদকে কেমন লাগলো?
— মাত্র তো দেখলাম। কিন্তু ছোট ছোট লাগলো। মিশিকে অনেক ভালোবাসে বুঝলা। আর অনেক সুন্দর ও। তোমার সাথে পারফেক্ট একদম কিন্তু একটু ভীতু টাইপের।
“ভীতু” শুনেই হেসে উঠলো আদ্রিয়ান। ছেলের নাক টেনে বললো,

— এক দেখায় এতটা অভজার্ভ করে ফেলেছো?ভীতু কীভাবে বুঝলা?
— মিশি তো আমাকে দেখে খুশিতে চিৎকার করেছিলো তাতেই নিজের উপর পানি ফেলে দিয়েছিলো।
বলেই একটু হাসলো। আদ্রিয়ান ও একটু হেসে বললো,
— তুমি আসবে দেখে অনেক একসাইটেট ছিলো। আমাকে বারবার জিজ্ঞেস করছিলো, “মিশান কি খাবে? কি পছন্দ করে? কীভাবে কি করবে?” এসব।
মিশান একটু অবাক হয়ে বললো,

— আমার জন্য জিজ্ঞেস করছিলো? আমাকে নিয়ে তোমাদের মধ্যে ঝামেলা হয় নি?
— একটু ও না। ও খুশি হয়ে বলেছিলো, “ভালোই হলো একসাথে দুই বাচ্চার মা হয়ে গেলাম।” তুমি ওর সাথে কথা বললেই বুঝতে পারবে।
মিশানের মনে ভালো লাগা কাজ করলো। ও তো আরো মনে করেছিলো হয় তো রোদ ওকে নিয়ে ঝামেলা করেছিলো। আদ্রিয়ান ছেলেকে রেস্ট নিতে বলে চলে গেল।
রুমে আসতেই দেখলো রোদ মিশিকে বুকে নিয়ে বালিশে মুখ গুজে আছে। আদ্রিয়ান দরজা লাগিয়ে ভেতরে ডুকে পাশে শুয়ে রোদের ঘাড়ের চুলগুলো সরিয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে ডাকলো,

ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব ৮

— রোদ?
কোন উত্তর দিলো না রোদ। আদ্রিয়ান আবারও ডাক দিতেই রোদ সরে গিয়ে শুয়ে রইলো। আদ্রিয়ান বুঝলো বউয়ের রাগ। কিন্তু কি ই বা করার? এই মেয়ে একটু পর পরই রেগে যায় আবার একটু পর পরই কেঁদে দেয় আবার একটু পর পরই অল্পতে খুশি হয়ে আত্নহারা হয়ে যায়। না জানি কি আছে সামনে।

ভালোবাসার ভিন্ন রং পর্ব ৯ (২)