মন তুমি ছুঁয়ে দেখো না পর্ব ১৮

মন তুমি ছুঁয়ে দেখো না পর্ব ১৮
সাদিয়া জাহান উম্মি

নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ভেসে বেড়াচ্ছে।হলদেটে সূর্যটা তার প্রখর তেজে যেন ঝল’সে দিচ্ছে সব।গরমের মাঝে একটু সস্তি দেওয়ার জন্যে বোধহয় এই নির্মল বাতাস বয়ে চলেছে।মন প্রাণ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো।ঘাসের উপর বসে দু হাটু ভাজ করে তাতে মাথা এলিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে অথৈ।অনুভব করছে সে প্রকৃতির স্নিগ্ধতা।রুদ্রিকের জন্যে এই জায়গাটা চিনতে পেরেছে ও।

রুদ্রিক ওকে এখানের ঠিকানা না দিলে ও এই সুন্দর পরিবেশটা উপভোগ করতে পারত নাহ।মনে মনে রুদ্রিককে অসংখ্য ধন্যবাদ জানালো।ভাবনায় রুদ্রিক আসতেই চোখ মেলে তাকালো অথৈ।বাম হাতটা চোখের সামনে এনে হাত ঘড়িটায় সময় দেখে নিলো।ক্লাস শেষ করে এখানে এসে রুদ্রিকের জন্যে অথৈ বসে বসে অপেক্ষা করছে।প্রায় পনেরো মিনিট হয়ে আসল।লোকটার কোনো খবর নেই।কোথায় গিয়েছে সে?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

এইভাবে অথৈকে অপেক্ষা করার মতো তিক্ত অনুভূতির মাঝে ফেলে দিয়ে কি মজা পাচ্ছে লোকটা?অপেক্ষা জিনিসটা অথৈ একদম পছন্দ করে না।কারন বরাবরের মতোই অথৈয়ের ধৈর্য খুব কম।কিন্তু আজ যে ও পনেরো মিনিট অপেক্ষা করতে পেরেছে সেটা দেখে ও নিজেই অবাক।একমাত্র রুদ্রিকের কারনেই এই অসাধ্য সাধণ করতে সক্ষম হয়েছে ও।কিন্তু এখন যে আর ভালো লাগছে না অপেক্ষা করতে।

অন্য সময় হলে অথৈ রেগেমেগে চলে যেত।কিন্তু আজ যাচ্ছে না।কারন রুদ্রিক তো ওকে প্রমিস করেছে লোকটা আসবে।অথৈ আবারও অপেক্ষা শেষ হওয়ার প্রহর গুনতে লাগল।মনমরা হয়ে ছোটো ছোটো ইট আর মাটির কণা উঠিয়ে নদীর স্বচ্ছ পানিতে ঢিল ছুড়তে লাগল।একটা সময় আনমনা হয়ে গেল অথৈ।কিয়ৎক্ষণ এইভাবে অতিবাহিত হতেই হঠাৎ নিজের অতি নিকটে কারো উপস্থিতি অনুভব করল অথৈ।

নাকে সেই চেনা পুরুষালি পারফিউমের ঘ্রাণ এসে লাগছে।যেটা সেই মানুষটার অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে।তবে মনে ক্ষুদ্র অভিমান জন্মেছে অথৈয়ের। এইভাবে আধাঘন্টা অপেক্ষা করানোর কোনো মানে আছে?একটা টেক্সট ও তো করতে পারত ওকে।অভিমানি অথৈ রুদ্রিকের উপস্থিতি বুঝেও ফিরেও তাকালো না ওর দিকে।তার দৃষ্টি সোজা অটল নদীর ঢেউয়ের দিকে।এদিকে অর্ধাঙ্গিনীর অভিমান বুঝতে পেরে মুচঁকি হাসল রুদ্রিক।বড্ড দেরি করে ফেলেছে আজ ও।মেয়েটা হয়তো অনেকক্ষণ যাবত ওর জন্যে অপেক্ষা করছিল।তাই তো অভিমান করে মুখ ফুলিয়ে রেখেছে।রুদ্রিক নরম কণ্ঠে সুধাল,
‘ মাই বাটারফ্লাই আর ইউ এ্যাংরি উইথ মি?’

রুদ্রিকের মুখে নিজের জন্যে আখ্যায়িত করা এক একটা নতুন নতুন আদুরে ডাকগুলো অথৈয়ের বুকে তীব্রভাবে ঝড় তুলে দেয়।এতো ভালো কেন লাগে?এইযে ‘ মাই বাটারফ্লাই ‘ বলে ডাকল।এই ডাকে কি অথৈ অভিমান ধরে পারে? লোকটার কণ্ঠে এতো মাদকতা যে অথৈ সেই কণ্ঠের নেশায় পরে যায়।কিন্তু অথৈ সহজে গলে যেতে চায় নাহ।একটু,অল্প একটু নাহয় অভিমান করে থাকল।সে দেখতে চায় লোকটা কিভাবে তার অভিমান ভাঙায়।

অভিমানের পাহাড় ধ্ব’সে পরেছে তো সেই কখনই।তবুও অথৈ মিথ্যে রাগ দেখিয়ে রুদ্রিকের দিকে পিঠ দিয়ে ঘুরে গেল।অথৈয়ের এমন বাচ্চামো দেখে হেসে ফেলল রুদ্রিক।হাটু গেড়ে ঘাসের উপর বসে অথৈয়ের কানের কাছে মুখটা এগিয়ে নিয়ে গেল।এদিকে নিজের অধিক সন্নিকটে রুদ্রিকের উপস্থিতি বুঝতে পেরে গলা শুকিয়ে আসল অথৈয়ের।রুদ্রিক আরেকটু কাছে আসল।মুখ নামিয়ে আনল অথৈয়ের কানের কাছে।রুদ্রিকের তপ্ত নিশ্বাসের ছোঁয়া অথৈয়ের ঘাড়ে এসে লাগতেই তীব্র শিহরণ বয়ে যায় ওর সারা শরীরে,প্রতিটি রন্দ্রে রন্দ্রে।অথৈয়ের ছোট্টো দেহখানি মৃদ্যুভাবে কেঁপে কেঁপে উঠছে।রুদ্রিক অথৈয়ের কানে কানে ফিসফিস করে বলে,

‘ অভিমানির অভিমান ভাঙাতে এখন এই অপরাধি কি করতে পারে বলুন?মহারানি যা হুকুম করবেন।তা আমার শীরোধার্য।’
রুদ্রিকের এহেন কণ্ঠে বলা প্রতিটি বাক্যে অথৈয়ের দেহ,মন চনমনিয়ে উঠল।দ্রুত সরে গেল সে।আর কিছুক্ষণ এভাবে থাকলে যে তার মৃ’ত্যু নিশ্চিত।নিশ্বাস আটকে মা’রা যাবে সে।অথৈ উঠে দাঁড়াল।বুকে হাত দিয়ে জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিল।উফ,বুকের বা-পাশটায় যে কি জোড়ে জোড়ে ধুকপুক করছে।রুদ্রিক অথৈকে সরে যেতে দেখে নিজেও উঠে দাঁড়াল।বড় বড় পা ফেলে একেবারে সম্মুখে এসে দাঁড়াল অথৈয়ের।আকস্মিক রুদ্রিক অথৈয়ের এতো সামনে আসায় ভড়কালো অথৈ।মনে মনে পালানোর পায়তারা খুজতে লাগল। রুদ্রিক বোধহয় বুঝল অথৈয়ের মনোভাব।ঠোঁটের কোণ প্রসারিত করে হাসল ও।বলল,

‘ পালাতে চাচ্ছ বুঝি আমার থেকে?’
চোখ বড়ো বড়ো করে তাকাল অথৈ।এই লোক বুঝল কিভাবে? ও কি মনে মনে কথা বললেও কি অনেক জোড়ে বলে?যে লোকটা শুনে ফেলল? অথৈ আমতা আমতা করে বলে,

‘ পালাবো কেন আমি আশ্চর্য?’
‘ সেটা তো তুমি ভালো জানো।’
‘ আমি কিছু জানি না!’
‘ তাই বুঝি?’
‘ হ্যাঁ!’
‘ তা আমাকে জানো তো?’
‘ হ্যাঁ! না.. মানে?’ অথৈ থতমত খেয়ে গেল রুদ্রিকের এমন প্রশ্নে।তাই জবাব দেওয়ার সময় এইভাবে আটকে গেল।রুদ্রিক ভরাট স্বরে বলল,

‘তুমি তো বললে তুমি কিছু জানো না।তাই আমি জিজ্ঞেস করলাম।আমাকে জানো তো?’
চোখ পিট পিট করে তাকালো অথৈ।এই লোকটা কি তার মজা নিচ্ছে? ভ্রু-কুচকে অথৈ বলে,
‘ আপনি কি আমার সাথে মজা নিচ্ছেন?আপনাকে জানবো না কেন? আজব লোক আর তার আজব প্রশ্ন।’
‘ তো বলো আমি কে?’ রুদ্রিকের সোজাসাপ্টা প্রশ্ন।
অথৈ ঘাবড়ালো না।বিচলিতও হলো না একটুও।রুদ্রিকের চোখে চোখ রেখে দৃঢ় কণ্ঠে বলল,
‘ আমার স্বামী আপনি।’

এই একটা বাক্যে রুদ্রিকের দুনিয়া রঙিন হয়ে উঠল।মেয়েটা কি অকপটে বলে ফেলল কথাটা।কোনো প্রকার জড়তা নেই কণ্ঠে।এদিকে তার বলা এই একটা বাক্যে যে রুদ্রিকের হৃদয়ে তোলপাড় হচ্ছে।ইচ্ছে করছে মেয়েটা বুকের মধ্যে ঝাপ্টে ধরতে।ওর শক্তপোক্ত,প্রসস্ত বুকটার মাঝে মেয়েটার ওই ছোট্টো, নরম দেহটা নিয়ে একদম বুকের সাথে পি’ষে ফেলতে।অথৈকে যদি রুদ্রিক গিয়ে জড়িয়ে ধরে তাহলে কি মেয়েটা রাগ করবে?কথা বলা বন্ধ করে দিবে?মনের এই তীব্র বাসনা কোনোমতেই দমাতে পারছে না রুদ্রিক।আচমকা দু ধাপ এগিয়ে গেল অথৈয়ের দিকে।অথৈ এইবার পিছালো না।স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে চেয়ে রইল রুদ্রিকের দিকে।রুদ্রিক অস্থির গলায় বলল,

‘ অথৈ তুমি কি রাগ করবে?আমি যদি তোমায় জড়িয়ে ধরি?বিশ্বাস করো।নিজের এই ইচ্ছেটাকে দমিয়ে রাখতে পারছি না।আ’ম ফিলিং সো হ্যেল্পল্যাস অথৈ।তোমাকে বুকে নেওয়ার জন্যে আমি অস্থির হয়ে আছি।তুমি কি বুঝতে পারছ?’
অথৈ জমে গেল যেন রুদ্রিকের এহেন কথায়।কি সুন্দর করে তার কাছে আবদার করে বসল লোকটা।লোকটা এমন কেন?এইভাবে অনুমতি চাইলেই কি সে অনুমতি দিতে পারে?লজ্জা করে না ওর?কণ্ঠে কথাগুলো যে দলা পাকিয়ে জড়িয়ে আসে।বলতে পারে না ও কিছু।অথৈয়ের কোনো ভাবভঙী না দেখে।রুদ্রিক মুখটা কালো হয়ে গেল।হৃদয়ে মাঝে এসে উপস্থিত হলো মন খারাপের দল।রুদ্রিক উলটো দিকে ঘুরে গিয়ে বলে,

‘ ইট্স ওকে অথৈ। নিজেকে জোড় করতে হবে না।আমি বুঝে নিয়েছি।আমিই একটু বেশি এক্সপেক্ট করছিলাম।’
রুদ্রিক পা বাড়াতে নিলে পিছন থেকে শার্টে টান অনুভব করল রুদ্রিক।থেমে যায় কদম।সোজা হয়ে অথৈয়ের মুখোমুখি হলো ও।অথৈ করুন চাহনী ছুড়ে দিলো ওর দিকে।যার মানে এটাই দাঁড়ায় যে, ‘ আপনি এতো বেশি বুঝেন কেন?আমার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখুন।আমার মন কি বলছে।’

রুদ্রিক ওই চোখের দিকে ধ্যানমগ্ন হয়ে চেয়ে রইল।যা বোঝার বুঝে ফেলল।হাসি ফুঁটে উঠল ওর ঠোঁটে। সেই হাসিতে অথৈ নিজেকে হারিয়ে ফেলল।কি সুন্দর লোকটার হাসি।কেউ কিভাবে এতো সুন্দর করে হাসে?এইযে লোকটার হাসিতে যে অথৈয়ের বুকে ব্য’থা করছে।সুখময় মিষ্টি ব্য’থা।সেই ব্য’থা অথৈ আজীবন বয়ে বেড়াতে সর্বদা প্রস্তুত।
রুদ্রিক দু কদম পিছনে নিয়ে নিল।হাত দুটো দুদিকে প্রসারিত করে নিলো।অথৈয়ের হৃদয়ের এলোমেলো অনুভূতিদের নাড়িয়ে দিয়ে অত্যন্ত আকুলতা মিশ্রিত কণ্ঠে বলে উঠল,

‘ বুকে আসো অথৈ।’
অথৈ কাঁধের ব্যাগটা ফেলে দিয়ে প্রায় একপ্রকার দৌড়ে গিয়ে রুদ্রিকের প্রসস্ত বুকে নিজের ছোট্টো শরীরটা নিয়ে আছঁড়ে পরল।বুকের মাঝে অথৈয়ের নরম দেহটাকে দুহাতে শক্ত করে আঁকড়ে ধরল।পারলে এক্ষুণি এই মেয়েটাকে নিজের বুকের ভীতর ঢুকিয়ে ফেলে।রুদ্রিক ভেবে পায় না।কি এমন আছে এই মেয়েটার মাঝে? যার কাছে আসলেই রুদ্রিক তার গম্ভীর্যতা ধরে রাখতে পারে নাহ?তার চারপাশ রঙিন হয়ে যায়।নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হয়।

ঠোঁট থেকে যেন হাসিরা সরতেই চায়না।নিজের শক্ত সত্তাটাকে এই মেয়েটার সামনে ধরে রাখতেই পারে না।আর সবার সামনে যে গম্ভীর,রাগি,একরোখা,জেদি হলেও।এই মেয়েটার কাছে সে দূর্বল।রাগ যেন আসেই না মেয়েটা কাছে থাকলে।ওর আকুলতা,ব্যাকুলতা এই মেয়েটার সামনেই সে অনায়াসে ব্যক্ত করে ফেলে।ভালোবাসায় বুঝি মানুষকে এতোটাই পরিবর্তন করে দিতে পারে?অথৈকে নিজের সাথে আরেকটু ভালোভাবে জড়িয়ে নিলো রুদ্রিক।ছাড়তে চায়না সে অথৈকে।ঠিক এইভাবে সারাজীবন নিজের বুকের মাঝে আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়।

এদিকে রুদ্রিকের বক্ষে লেপ্টে থাকা অথৈ থরথর করে কাঁপছে।দুহাতে খামছে ধরে আছে রুদ্রিকের পিঠ।এই প্রথম সে আর রুদ্রিক এতোটা কাছাকাছি।একে-অপরের মাঝে দুজন হারিয়ে ফেলেছে নিজেদের।রুদ্রিকে দেহের সংস্পর্শে যেন অথৈ বিড়াল ছানার ন্যায় আদূরে ভঙিতে গুটিয়ে গিয়েছে।রুদ্রিকের বক্ষে আরও ভালোভাবে মুখ গুজে দিল অথৈ। পৃথিবীর চির শান্তি স্থান যেন এটাই তার কাছে। সুখ সুখ অনুভূতি হচ্ছে ওর মাঝে।

অথৈ নিজের এক একটা ব্যবহারে নিজেই ক্ষণেক্ষণে অবাক হয়।ও তো এতো নরম স্বভাবের মেয়ে নাহ।তাহলে কেন এই মানুষটার সামনে আসলেই এভাবে নরম হয়ে যায়।আদুরে,আহ্লাদী হয়ে যেতে মন চায়।মনে হয় এই মানুষটার কাছে সে বিনাদ্বিধায় নিজের আহ্লাদগুলো ব্যক্ত করতে পারবে।আদূরে বাচ্চাদের মতো এটা সেটা বায়না কর‍তে পারবে।তবে কি সেই মাত্র এই দুইদিনের একান্ত সাক্ষাতের মুহূর্তগুলোতেই প্রেমে পরে গেল লোকটার?

আচ্ছা প্রেমে পরা কি এতোই সহজ?কাউকে মাত্র দুদিনের মধ্যে নিজের মনের বিশাল জায়গাটায় বসানো এতোই সহজ?কি জানি।কিছু আপাততো জানে না অথৈ। সে এই মুহূর্তে জানতেও চায়না।শুধু উপভোগ করতে চায় এই সময়টুক।আর প্রেমে পরলে পরেছে সে।তাতে কি হয়েছে?নিজের স্বামীর প্রেমেই পরেছে।আর ভাবল না অথৈ।লেপ্টে রইল রুদ্রিকের মাঝে।সময়টুকু এখানেই থেমে যাক না।ভালোই তো লাগছে।ক্ষতি কি এতে?উহু, কোনো ক্ষতি নেই।

মন তুমি ছুঁয়ে দেখো না পর্ব ১৭

ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।কেমন হয়েছে জানাবেন।
যেহেতু গল্পের মেইন নায়ক নায়িকা রুদ্রিক আর অথৈ। তাই তাদেরকে আর সবার থেকে একটু বেশি প্রাধন্য দেওয়া হবে।আর হ্যা গল্প যেহেতু আমি লিখছি।সবগুলো চরিত্র যেহেতু আমি সৃষ্টি করেছি।তাহলে অবশ্যই আমি সবাইকেই প্রাধন্য দিব।কারন সবাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই বলছি ধৈর্য হারাবেন না।সবাইকে নিয়েই আমি লিখব।শুরু যেহেতু করেছি।শেষও আমিই করব।

মন তুমি ছুঁয়ে দেখো না পর্ব ১৯