মম চিত্তে পর্ব ১৬

মম চিত্তে পর্ব ১৬
সাহেদা আক্তার

একঘন্টা সাজানো শেষে ওকে সুন্দর করে বিছানায় বসালো। দরজায় খুলতে রিতু, অনিমা আর নীলিমা হুমড়ি খেয়ে পড়ল। আদ্রিতা বলল, কিরে, এভাবে ঢুকছিস কেন? রিতু গোমড়া মুখে বলল, ঢুকবো না? আমার ভাইয়ের বউয়ের সাজ আমাকেই দেখতে দিচ্ছে না। অনিমা নীলিমা দুইজনে ওর সাথে একমত হয়ে মমর সামনে এসে বসল। একে অপরের দিকে তাকিয়ে একসাথে বলল, ফাটাফাটি৷ ওদের কথা শুনে মম মুখ নিচু করে বসে রইল লজ্জায়।

মমর শ্বাশুড়ি আর চাচি শ্বাশুড়িরা রুমে এসে বসলেন একটু পর। ওকে দেখে অনেক প্রসংসা করলেন। বিকাল হয়ে আসছে। বিয়ে শেষে খাওয়া দাওয়া করে রওনা দিতে হবে। তাই সবার অনুমতি নিয়ে কিছুক্ষণ পর বিয়ে পড়াতে কাজি রুমে প্রবেশ করল। কাজি ওর সামনে বসতেই অজান্তে কেঁপে উঠল মম। কাজি বিয়ে পড়াছেন আর মম হাত দিয়ে শাড়ি খাঁমচে ধরে আছে। বুক ফেটে কান্না আসছে। চোখের সামনে কেবল রায়হান সাহেবের ছবি ভাসছে। একমাস যেতে না যেতে আবার অন্যের কাছে চলে যেতে হচ্ছে। কিছুতেই ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না। কাজি কয়েকবার কবুল বলতে বলল কিন্তু ওর কোনো কিছু যেন কানে যাচ্ছে না। বৃষ্টি পাশে থেকে হালকা একটা ধাক্কা দিল। তাতে ভাবনা থেকে ফিরে এসে দেখলো সবাই ওর কবুল বলার অপেক্ষায়। না বলা পর্যন্ত সবাই কেবল ওকে জোর করতে থাকবে। বহুকষ্টে তিনবার শব্দটা উচ্চারণ করতেই চারপাশের সবাই স্বজোরে আলহামদুলিল্লাহ পড়ল। সাথে সাথে চোখ পানিতে ভরে উঠল ওর। ভেতরটা চিৎকার করে বলছে আমি যেতে চাই না। কিন্তু যাওয়াটা যে অনিবার্য। আবার নতুন করে কারো মায়ায় বাঁধা পড়তে যাচ্ছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

কাজি ওকে সই করার জন্য কাবিন এগিয়ে দিল। ও চোখের পানিতে কিছু দেখছে না। চোখ বন্ধ করতেই টুপ টুপ করে কয়েক ফোঁটা পানি কাবিনে পড়ে ভিজে গেল খানিকটা। চোখ পরিষ্কার হতেই স্বাক্ষর করে দিল। রিয়ানের বোনেরা ওর কাছে বসে গল্প করতে লাগল কিন্তু পরিবারকে ছেড়ে যাওয়ার কষ্ট ওর মনকে ভারি করে তুলল।
কাজি সবাইকে নিয়ে চলে গেল বসার রুমে। সেখানে রিয়ান বসে আছে ওর ভাই আর চাচাদের নিয়ে। কবুল বলা শেষে সই করতে গিয়ে রিয়ান দেখল কাবিনটা ভেজা। কয়েক মুহুর্ত ভেজা অংশের দিকে তাকিয়ে সই করে নিল। বাইরের রুম থেকে আলহামদুলিল্লাহ শব্দটা কানে আসতেই মম কান্নায় ভেঙে পড়ল।

পাশে বসে থাকা বর্ষাকে জড়িয়ে ধরল। দুই চোখের পানি নদীর স্রোতের মতো বেয়ে বেয়ে বর্ষার শাড়ি ভিজিয়ে দিল৷ বিয়ে যতবারই হোক না কেন কাছের মানুষ ছেড়ে যাওয়ার কষ্ট এতটুকু কমে না। বৃষ্টি এসে ধমকের সুরে বলল, দিচ্ছিস তো কেঁদে কেঁটে সাজটা নষ্ট করে? কত কষ্ট করে সাজালাম। আয় তো আমার কাছে। বৃষ্টি জড়িয়ে ধরতেই আরেক দফা কান্না। এবার আর কেউ কিছু বলল না বরং বৃষ্টিও কাঁদতে শুরু করল। আদ্রিতা এসে বলল, ওকে বসার রুমে নিয়ে যেতে বলেছে। একটু পরই বেরিয়ে যাবো। বৃষ্টি শুনে সরে এসে মুখটা সুন্দর করে মুছে দিল। সাজটা ঠিক করে ওকে বসার রুমে নিয়ে গেল।

রিয়ানের পাশে বসিয়ে দিল ওকে। রিয়ান এক দুবার ওর দিকে তাকালেও মম তাকালো না। মুর্তির মতো সামনের টি-টেবিলটার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। বিয়ের কাজ শেষ। সবাই নিজেদের মধ্যে গল্প করছে আর খাওয়া দাওয়া করছে। মম রিয়ানের পাশে বসে পোলাও নাড়ছে হাত দিয়ে। খাওয়ার কোনো আগ্রহ নেই। রিয়ান কিছুক্ষণ ওর দিকে তাকিয়ে থেকে মুরগী দিয়ে এক লোকমা পোলাও ওর মুখের সামনে তুলে ধরল। মম একটু অপ্রস্তুত হয়ে বলল, কি করছেন?

– দেখছো না খাইয়ে দিচ্ছি।
– সবাই দেখছে।
– দেখুক। খাইয়ে না দিলে মনে হয় মুখে একটা দানাও ঢুকবে না। তখন থেকে দেখছি তো তোমাকে।
আপনি থেকে কত সহজে রিয়ান তুমিতে চলে এল! মম ভাবতে ভাবতে রিয়ানের দিকে তাকিয়ে রইল। রিয়ান ব্যাপারটা খেয়াল করে ওর কানের কাছে ফিসফিস করে বলল, আমাকে কি আজকে অনেক হ্যান্ডসাম লাগছে যে এভাবে তাকিয়ে আছো? শুনে মম সাথে সাথে দুচোখ নামিয়ে ফেলল। রিয়ান আবার বলল, আরে আমি কি এভাবে খাবারটা ধরে রাখবো? হাত ব্যাথা করবে না? মম প্রতিউত্তরে বলল, আমি নিজে খাচ্ছি।

– তাহলে আমি যে এত কষ্ট করে তোমার জন্য খাবারটা তুলে মুখের সামনে ধরলাম তার কি হবে?
মম দেখল রিয়ান নাছোড়বান্দা। এদিকে সবাই তাকিয়ে আছে। ওর ভাই বোনেরা ফিসফিস করছে আর মিটিমিটি হাসছে। ও লজ্জায় দ্রুত রিয়ানের হাত থেকে খাবারটা খেয়ে নিল। সাথে সাথে ভাই বোনগুলো খুশিতে চিৎকার করে উঠল। মিনহাজ ক্যামেরা এগিয়ে দিয়ে বলল, দেখতো ভাই ছবিটা কেমন হয়েছে। ফ্রেম বন্দি করা তোদের একসাথে প্রথম স্মৃতি। মম তাকালো ছবিটার দেখে। স্মৃতি শব্দটা ওর মনে নাড়া দিল। কেমন অদ্ভুত লাগছে ওর। ভেতরে শুকিয়ে যাওয়া জলাশয়ে যেন পদ্মের কলি ফুটছে। মরে কাঠ হয়ে যাওয়া গাছগুলো এতদিন পর কোনো এক অদ্ভুত কারণে সতেজ হয়ে উঠছে। শক্ত পাথর হয়ে যাওয়া ওর বাগানটায় নতুন প্রাণ ফিরছে। সত্যিই কি হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার নতুন সংজ্ঞা ওকে খুঁজে দিতে পারবে রিয়ান? মম রিয়ানের দিকে তাকাল। ওর টোল পড়া হাসি দেখে লজ্জায় মাথা নুইয়ে খেতে লাগল।

খাওয়া দাওয়া শেষে এখন রওনা দেওয়ার পালা। সবাই উঠে দাঁড়ালেও মম ঠোঁট কামড়ে বসে রইলো। উঠার শক্তি যেন পাচ্ছে না। মাধুরী খালা এগিয়ে এসে ওকে ওঠাতেই ও শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। যেতে চায় না আবার আগের মতো। চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় পানি পড়ছে। রাকিব হাসান তাড়া দিয়ে বললেন, আকাশের অবস্থা ভালো নয় বেয়াই সাহেব। বৃষ্টি আসতে পারে মনে হচ্ছে। আগে আগে রওনা দিলে ভালো হতো। রায়হান সাহেবও একমত হয়ে মমর দিকে এগিয়ে এলেন। তিনি কাছে আসতেই মম তাঁকে জড়িয়ে ধরে আস্তে করে বলল, নিজের মেয়েকে নিজের কাছে রাখলে না আব্বু। এত ভারী হয়ে গিয়েছিলাম!? এর প্রতিউত্তরে তাঁর মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হলো না। কেবল কয়েক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ল৷

গাড়িতে বহুবার রিয়ান মমর দিকে তাকিয়েছে কিন্তু মম উদাস মনে বাইরে তাকিয়ে আছে। ঠান্ডা হাওয়াতে ওর কানের পাশে থাকা অল্প ক’গাছি চুল উড়ছে। আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা ওর ভেতরে ঝড়ের সংকেত জানাচ্ছে যেন। একটা দীর্ঘশ্বাস আপনিই ভেতর থেকে বেরিয়ে এল। রিয়ান কিছু না বলে ওর ডান হাতটা ধরল৷ স্পর্শ পেয়ে মম হাতের দিকে তাকাল। রিয়ানের হাতটা পর্যবেক্ষণ করল কতক্ষণ। এই স্পর্শে ওকে অভ্যস্ত হতে হবে। স্পর্শটা কোনো খারাপ উদ্দেশ্যের নয় বরং যেন ওকে বলছে আমি আছি তোমার পাশে সারাজীবন। ভরসা পেয়ে আপনি থেকে মমর হাত রিয়ানের হাতের মুঠোয় আবদ্ধ হলো। তখন অনুভব হলো ওর হাত রিয়ানের হাতের তুলনায় নিতান্ত বাচ্চার হাত। ভেবে আপনমনে মুচকি হেসে ফেলল। হাসিটা রিয়ানের চোখ এড়ালো না। বলল, হাসছো যে? মম অপ্রস্তুত হয়ে বলল, কিছু না। ও হাত সরিয়ে নিতে গিয়ে দেখল রিয়ান শক্ত করে হাত ধরে আছে; না ছাড়লে ছাড়ানোর উপায় নেই। দুজন দুই জানালার দিকে তাকিয়ে আছে। নিঃশব্দে বাতাস আর মেঘের আনাগোনা দেখছে। হাতের স্পর্শে একে অপরকে অনুভব করছে। এভাবেই বাকি পথ পাড়ি দিল দুজনে কোনো এক অজানা ভালো লাগায়।

বাড়িতে আসতেই সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। জার্নি করার পর শরীর এত ক্লান্ত লাগে! কিন্তু আজকে ক্লান্তির ক কেও আসতে দেওয়া যাবেন না। বাড়িতে নতুন সদস্য উপস্থিত। তার সাথে গল্প করতে হবে না? সন্ধ্যা হয়ে গেছে আসতে আসতে। ফুলি নাস্তা তৈরী করে ফেলেছে এর মাঝে। মমকে রিয়ানের পাশে সোফায় বসানো হলো। ভাই বোন সবগুলো ঘিরে ধরেছে ওদের মৌমাছির মতো। তার মাঝে কোনো এক ফাঁক গলে রওশন আরা ঢুকে বললেন, কই আমার নাতবৌ? সর তো। তোদের জন্য কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। রিতু বলল, আরে দিদুন এখন আমরা ভাবির সাথে গল্প করব। তুমি বুড়ি মানুষ কি করবে। তিনি রিতুর কান মলে দিয়ে বলল, আমার জন্য একটা নাত জামাই কি করে তাড়াতাড়ি আনা যায় সেই ব্যবস্থা করব।
– দেখেছো ভাবি, তুমি আসতে না আসতেই আমাকে বের করে দেওয়ার চিন্তা। ননদ হিসেবে তোমাকে একটু জ্বালানো লাগবে না? বলো? ভাইয়া শোননা, আমি ভাবছি আজকে ভাবি আমার সাথে থাকবে। সারারাত অনেক গল্প হবে। কালকে তোর কাছে দিয়ে আসবো।

ওর কথায় রিয়ান হুট করে বলে ফেলল, কেন! ওর বলার ধরণ দেখে হাসির রোল পড়ে গেল ভাই বোনদের মাঝে। নীলি বলল, ওমা! সারাজীবন তো তোমার কাছে থাকবে আজ না হয় আমাদের কাছে থাকবে। রওশন আরাও ওদের সাথে যোগ দিয়ে বললেন, দাদু ভাই, আমিও তাই ভাবছি। আজকে আমার নাতবৌ আমাকে পান বানিয়ে দিবে আর সারারাত গল্প করবে এই বুড়ির সাথে। রিয়ান খানিকটা বিরক্তি সুরে বলল, তুমিও এই ফাজিল গুলোর সাথে হাত মেলালে? অনি বলল, ভাইয়া, আজকে নতুন ভাবির কাছে গল্প শুনবো। আদ্রিতাও একমত হয়ে বলল, আমিও।

ওর সাথে কোনোবারই ঠিকমতো গল্প করতে পারলাম না। আজকে মন ভরে গল্প করব। থাকুক না আমাদের সাথে। রিয়ান কিছু না বলে মমর দিকে তাকাল। মম মুখ নিচু করে নতুন বউয়ের মতো বসে আছে। ওর চোখের পাতায় ভোরের শিশিরের মতো চোখের পানি জ্বলজ্বল করছে। রিয়ানের ভালোভাবেই তা চোখে পড়ল। তবে তার থেকে বেশি চোখে পড়ছে ওর মুখটা। রিয়ান পলকহীনভাবে তাকিয়ে রইল মমর দিকে। ভাইবোনরা ওকে দেখে মিটি মিটি হাসতে লাগল। মিনহাজ চটপট ক’টা ছবি তুলে নিল ওদের মুহুর্তের। মমর খোঁচায় রিয়ানের হুশ ফিরল। ও আস্তে করে বলল, এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? রিয়ান প্রতিউত্তরে বলল, তোমাকে সুন্দর লাগছে তাই। মম শুনে মুখ আরো নিচু করে ফেলল। মনে মনে বলল, আমাকে লজ্জা দেওয়া ছাড়া লোকটার মনে হয় আর কাজ খুঁজে পাচ্ছে না আজ।

নাস্তা আসতেই খাওয়া দাওয়া শুরু। সবাই খোশগল্প করছে। খুব অল্প সময়ে মম ওদের সাথে স্বাভাবিক হয়ে গেল। খুব তাড়াতাড়ি তারা যে কাউকে আপন করে নিতে পারে। এভাবে গল্প প্রায় এগারটা পর্যন্ত চলল। তারপর খাওয়া দাওয়া শেষে রুমে যাওয়ার পালা। ওকে রিয়ানের রুম পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে ভাই বোন গুলো ফাজলামি শুরু করল। নিক্বণ মমর কানের কাছে ফিসফিস করে বলল, যদি ভাই কোনো দুষ্টুমি করে আমাকে ডাকবে। এসে কান মলে দেবো। কথাটার গভীরতা বুঝতে পেরে মম লাল হয়ে গেল। আদ্রিতা বলল, হয়েছে হয়েছে এবার একটু ক্ষান্ত দে।

ওকে দেখ। ভারি শাড়ি গয়নায় নুইয়ে পড়ছে লতার মতো। ওদের ফ্রেশ হতে দে। সবাই ওর কথায় একমত হলো। গল্প করতে করতে ব্যাপারটা খেয়ালই হয়নি। ওদের থেকে বিদায় নিয়ে সবাই আবার নিচে গিয়ে আবার গল্প জুড়ে দিল।
মম ঢুকতে রিয়ান দরজা মেরে দিল। দরজা মারার শব্দে কেমন এক অদ্ভুত ভয় ওকে জেঁকে ধরল। ও যেখানে ছিল সেখানে পাথরের মুর্তির মতো দাঁড়িয়ে রইল। রিয়ান ওর দিকে এগিয়ে আসছে। তার পায়ের শব্দ স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। রিয়ান ওর সামনে এসে দাঁড়ালো। মম মুখ নিচু করে ওর পায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। রিয়ান ওর আঁচলের কোণা নিয়ে একগোছা চাবি বেঁধে দিয়ে বলল, আজকে থেকে এটা তোমারও রুম। তোমার যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে থাকবে।

মম চিত্তে পর্ব ১৫

মম ফ্যালফ্যাল করে রিয়ানের দিকে তাকালো। রিয়ান হেসে বলল, কি দেখছো? তোমার বরকে সুন্দর লাগছে কি না? তোমার বর শব্দটা শুনে ভেতরটা অদ্ভুতভাবে মোচড় দিল। রিয়ান একটা চাবি দেখিয়ে দিয়ে বলল, এটা হচ্ছে আলমারির চাবি। ওখানে তোমার জন্য শাড়ি কিনে রেখেছি আমি। ফ্রেশ হয়ে এসো। তুমি বের হলেই আমি যাবো। মম মাথা নেড়ে আলমারির দরজা খুলে দেখল শাড়িতে ভর্তি আলমারি। এত শাড়ি দিয়ে ও কি করবে? একটা কলাপাতা রঙের সুতির শাড়ি বেছে নিয়ে আলমারি বন্ধ করতে রিয়ান বলল, জানো এই সুতির শাড়িটা আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। ভাবছিলাম তোমাকে কেমন দেখাবে। আজকেই সেই সৌভাগ্য হয়ে যাবে আমার ভাবিনি। মম এক পলক ওর দিকে তাকিয়ে ওয়াশরুম পালালো। রিয়ানের হাসিটা ওর ভেতরটাকে ওলোট পালোট করে দেয় সব সময়।

মম চিত্তে পর্ব ১৭