মেঘের আড়ালে রোদ পর্ব ৩১

মেঘের আড়ালে রোদ পর্ব ৩১
লেখিকা Sabihatul Sabha

আজ গায়ে হলুদ। সকাল থেকেই বাড়ি সাজানোর কাজ চলছে। ছেলেদের জন্য হলুদ পাঞ্জাবি আর মেয়েদের হলুদ শাড়ির ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
বাড়িতে মানুষে গিজগিজ, আত্মীয় স্বজন এসে বাড়ি ভর্তি হয়ে গেছে। এতো মানুষের ভিড়েও মহুয়ার কেমন শূন্যতা অনুভব হচ্ছে। সব থাকার পরেও কিছু একটা নেই, কি নেই??? চোখ বন্ধ করতেই আহনাফের মুখটা ভেসে উঠলো। ঝটপট চোখ খুলে নিলো মহুয়া।

না এই লোকের শূন্যতা অনুভব হতেই পারে না। মহুয়া মোবাইল হাতে নিয়ে বসে রইলো বেহায়া মন বলছে একটা ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস কর, কেমন আছে??। আবার মস্তিষ্ক বলছে, কেন সে কি একটা বার কল দিয়ে তোর খবর নিতে পারে না..? মন আর মস্তিষ্কের খেলায় মস্তিষ্ক হেরে গেল সব কিছু দূরে ঠেলে আহনাফকে কল দিল একবার বাজতে বাজতে কেটে গেল। দ্বিতীয় বার দিতেই মোবাইল বন্ধ পেল।রাগে ইচ্ছে করলো নিজের চুল ছিড়ে ফেলতে। এই লোক নিজেকে ভাবেটা কি!.? যা আর ভাবব না আমি এই লোকের কথা।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন হউন

ছোঁয়া রুমে আসলো হাতে হলুদ শাড়ি সাথে লাল টকটকে ছয়টা গোলাপ।
মহুয়া ছোঁয়াকে দেখে চুল হাত খোঁপা করে উঠে দাঁড়ালো।
ছোঁয়াঃ মহু ফ্রেশ হয়ে আয়। রিয়া আপু সাথে উনার সব কাজিনদের পার্লার থেকে মেয়েরা সাজাচ্ছে আমরা রুমেই সাজব।

মহুয়া ফ্রেশ হয়ে আসতেই ছোঁয়া মহুয়ার হাতে ব্লাউজ ধরিয়ে দিল।
মেঘলা শাড়ি হাতে নিয়ে বসে আছে। শ্রাবণের নিষেধ শাড়ি পড়া যাবে না। গ্রামের বিয়েতে অনেক বখাটে ছেলে আসে।

মেঘলা শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, ‘ আমি আপনার কথা মতো কেন চলব!.? আমি এখানে এসেছি আনন্দ করবো তাও আপনার সহ্য হয় না!.? আমাকে নিয়ে আপনার এতো বেশি ভাবতে হবে না।
শ্রাবণ হাতে ঘড়ি পড়ছিলো। ঘড়ি পড়ে চুল গুলো ঠিক করে মেঘলার সামনে এসে দাঁড়ালো মেঘলা চোখ নামিয়ে নিল। এই লোকের সামনে হাজার চেষ্টা করলেও রাগ দেখাতে পারে না মেঘলা। যেই মেয়েকে সবাই ভয় পায় সিআইডি মেঘ বলতেই ভয়ে জমে যায় সেই মেয়ে কিনা আজ সাধারণ একটা ছেলেকে ভয় পায়।

” আমার দিকে তাকিয়ে বলো কি যেন বলছিলে..?”
~ কিছু না।
~ গুড, শাড়িটা আমার হাতে দাও।
মেঘলা না চাইতেও শাড়িটা দিয়ে দিলো। শ্রাবণ শাড়ি নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেল।

মহুয়াকে সুন্দর করে শাড়ি পড়িয়ে দিল ছোঁয়া। বাঙালি সাজে ভীষণ সুন্দর লাগছে মহুয়াকে। ছোঁয়া মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে বললো ” আজ ভাইয়ের জায়গায় আমি থাকলেও তোমার প্রেমে পড়তাম। আহনাফ ভাই একবার দেখলেই আজ পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী বউ হিসেবে ঘোষণা দিতো। ভাইয়ার মতোই ভাইয়ার পছন্দ।
মহুয়াঃ তোমার ভাই আমার প্রেমে পড়েনি ছোঁয়া আমি জানিনা কেন বিয়ে করেছে। তবে এতোটুকু জানি ভালোবেসে বিয়ে করেনি।

ছোঁয়া হাসলো, সে জানে আহনাফ কেন বিয়ে করেছে!
মহুয়া ছোঁয়াকে রেডি করালো। ছোঁয়া কেউ দেখতে ভীষণ মিষ্টি লাগছে।
মহুয়া ছোঁয়ার কানের পেছনে কালো কাজল দিয়ে বলে উঠলো ” আমার আপুটার দিকে কারো নজর না লাগুক।”
ছোঁয়াঃ উঁহু, আপু নয় ননদী।

ছোঁয়া হেঁসে ফেললো।রিয়াকে খুব সুন্দর করে বাড়ির উঠানে বসানো হলো। হলুদ শাড়ির সাথে লাল ফুলের গহনা ভীষণ সুন্দর লাগছে রিয়াকে দেখতে। বাড়ির মহিলারা হলুদ মেহেদী হলুদ এর বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস আশেপাশে রাখলো বাড়ির মানুষরা সবাই রিয়াকে গিড়ে ধরল। রিয়ার মুখে ফুটে আছে লজ্জা মাখা হাসি। ছেলে পক্ষ থেকে বউয়ের জন্য গায়ে হলুদের শাড়ি মেহেদি নিয়ে এসেছে ছেলের ভাইয়ার তার দুই বন্ধু।

মেঘলা রুমে বসে আছে। এখন তার বাহিরে যেতে একদম ইচ্ছে করছে না কত শখ করেছিল এখানে এসে সাজবে সবার সাথে আনন্দ করবে কিন্তু শ্রাবণ হতেই দিল না। শাড়ি পরলে লোকটার সমস্যা কি..?
মন খারাপ করে মোবাইল হাতে নিয়ে ফাহিম কে কল দিল খুব জলদি কাজে ফিরতে হবে।
সাজ্জাদ আর নির্জন হলুদ পাঞ্জাবি পরে হাতা গোটাতে গোটাতে বাহিরে আসলো সব মেয়েরাও ওদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে ওদের দেখতে অনেক হ্যান্ডসাম আর সুন্দর লাগছে।

সাজ্জাদ বাইরে এসে একবার চারপাশে মেঘলা কে খুজলো মেঘলাকে না পেয়ে দরজার দিকে যাচ্ছিল তখনই কেউ শাড়িতে পেঁচ খেয়ে সাজ্জাদের উপর পরে। একটা মিষ্টি কন্ঠের মেয়ে বলে ওঠে, ও মাগো আমার কোমর শেষ। কন্ঠটা চিনতে সাজাতের একদম দেরি হয় না সে জটপট ধাক্কা দিয়ে মেয়েটাকে দূরে সরিয়ে লাফ দিয়ে দাড়িয়ে পড়ে আর বলে ওঠে ” তুমি!!.?”

সামিয়া সাজ্জাদকে দেখে বেশ অবাক হয় ইনোসেন্ট মুখ করে বলে ওঠে, আমি তো এমনিই শাড়িতে পেচ লেগে পড়ে গেছি তার উপর আবার তুমি ধাক্কা মেরে আমার কোমরটা একদম শেষ করে দিলা!.? মা গো আমার এবার বিয়ে হবে না গো। এখন আমাকে কেউ বিয়ে করবে না গো। বিয়ে বাড়িতে এসে, বিয়ে খেতে এসে নিজের বিয়ের বারোটা বাজিয়ে দিলাম।

সাজ্জাদের কাছে সামিয়াকে ভীষণ ন্যাকা আর ছেছড়া মনে হল। সাজ্জাদ খুব ভালো করেই বুঝতে পারছিল সাইমা ইচ্ছে করে ওর উপরে পড়েছে আর এখন যা করছে সবই ন্যাকা নাটক।
সাজ্জাদের কথা বাড়াতে ইচ্ছে হলো না।সাজ্জাদ বিরক্তিকর দৃষ্টিতে সামিয়ার দিকে তাকালো। মেয়েটা এখনো ওর দিকে তাকিয়ে আছে। মুখে মনে হয় দেশের সব আটা ময়দা মেখে চলে এসেছে দেখতে জঘন্য লাগছে।
সাজ্জাদ মোবাইল পকেট থেকে বের করে এমন একটা ভাব করলো যেন ওর খুব ইম্পরট্যান্ট কল এসেছে। মোবাইল কানে দিয়ে এখনই আসছি বলে চলে গেল।

সামিয়া রেগে হাতের ফুলটার দিকে তাকিয়ে রইলো। সব প্লেন শেষ হয়ে গেল থুর।
মহুয়া ছোঁয়া বাহিরে আসতে সবার নজর গেল বউ ছেড়ে মহুয়ার দিকে মনে হচ্ছে যেন এক হলুদ পরী নেমে এসেছে। মহুয়া বেশ লজ্জা পাচ্ছিল লজ্জায় মুখ নিচের দিকে করে রেখেছে। সবাই বেশ প্রশংসা করল মহুয়ার ছোঁয়ার। কি উদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বর পক্ষের ছেলের ভাই মহুয়ার দিকে।
মহুয়ার অনেক ছবি তুলল ছোঁয়া। ছবি তুলে আহনাফের কাছে পাঠিয়ে দিল ছোঁয়া । নিজের ভালোবাসা তো পূর্ণতা পায়নি সে চায় আহনাফের ভালোবাসা পূর্ণতা পাক।।

গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান খুব সুন্দর ভাবে শেষ হলো কিন্তু মেঘলা রুম থেকে একবারও বের হলো না।
বিকেলে খুব সুন্দর ভাবে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হলো তারপর সন্ধ্যার দিকে মেহেদী অনুষ্ঠান শুরু হল। মেহেদী অনুষ্ঠান হচ্ছে ছাঁদে।

মহুয়া গিয়ে বুঝিয়ে শুনিয়ে মেঘলা কে নিয়ে আসলো ছাদে। খুব সুন্দর করে মেঘলার হাতে দিয়ে দিল।
রিয়াকে ছোঁয়া মেয়েদি দিয়ে দিল অনেক সুন্দর করে মেহেদী দিতে পারে ছোঁয়া। তারপর রিয়ার হবু জামাই কাছে ভিডিও কল দিয়ে তা দেখালো। রিয়া লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে। ছোঁয়া রিয়ার হাতে ফোন ধরিয়ে দিয়ে এখান থেকে কেটে পড়লো প্রেমের বিয়ে তাও এত লজ্জা!। অবশ্য বাড়ি কেউ জানে না রিয়া শান্ত ভাইয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

ছোঁয়া মেঘলার হাতের অনেক পপ্রসংশা করলো।
মেঘলা বিনিময় মুচকি হাসলো।
ছোঁয়া বলে উঠলো,’ মহু সুন্দরী আমার হাতে আপনার জাদুর মেহেদী দিয়ে রাঙিয়ে দিবেন পিলিজ.?
ছোঁয়ার বলার স্টাইল দেখে মেঘলা মহুয়া হেঁসে উঠলো।
মহুয়াঃ তুমি আমার থেকে ভালো মেহেদী ডিজাইন পারো।

ছোঁয়া হাত বাড়িয়ে দিলো মহুয়া মেহেদী হাতে নিয়ে ছোঁয়ার হাতে দিয়ে ছিলো। হাত ব্যাথা করছে আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো সামিয়া সাজ্জাদ কে জোর করছে হাতে মেহেদী দিয়ে দিবে হাত দেওয়ার জন্য জোর করছে। বেচারা রাগে মুখ লাল করে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে আছে আবার কখনো আঁড়চোখে মেঘলার দিকে তাকাচ্ছে।
দরজা দিয়ে শ্রাবণ, নির্জন প্রবেশ করতেই সবাই ওর দিকে তাকালো। শ্রাবনের পেছনে আহনাফ কে দেখে সবাই অবাক হলো।

মহুয়া আহনাফের দিকে তাকিয়ে রইলো আহনাফ তাকাতেই মহুয়া চোখ নামিয়ে নিলো।
আহনাফ গিয়ে রিয়ার সাথে কথা বললো। রিয়া আহনাফকে দেখে ভীষণ খুশি হলো।
সবার সাথে কথা বলে মহুয়ার সামনে গিয়ে বলে উঠলো, ‘ রুমে আসো।’
ছোঁয়া বাদে সবাই কেমন দৃষ্টিতে তাকালো। মেঘলা আহনাফ আর মহুয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
মহুয়াকে উঠতে না দেখে আহনাফ রেগে বলে উঠলো, ‘ তুমি কি চাও সবার সামনে কোলে তুলে নেই। ‘
ভয়ে মহুয়া সাথে সাথে দাঁড়িয়ে গেলো। এই লোকের বিশ্বাস নেই।
মহুয়া চুপচাপ ছাঁদ থেকে নেমে গেল।

নির্জন ছোঁয়ার দিকে তাকিয়ে দেখলো হাতে অর্ধেক মেহেদী দিয়ে বসে আছে। ছোঁয়ার পাশে গিয়ে বসে হাতটা নিজের হাতে নিয়ে বললো,’ মেহেদী দে..’
ছোঁয়াঃ মেহেদী দিয়ে কি করবি.? আর আমার হাত কেন দরছিস.?
নির্জন বিরক্তি মুখে ছোঁয়ার দিকে তাকিয়ে বললো, ‘ তোর হাতটা চুরি করে নিয়ে যাব এবার দে।’
ছোঁয়া কথা না বাড়িয়ে মেহেদী নির্জনের হাতে দিল।
নির্জন খুব মন দিয়ে ছোঁয়ার হাতে মেহেদী পড়াতে শুরু করলো।

মেঘলা ছোঁয়া আর নির্জনের দিকে তাকিয়ে রইলো। সে অবাক হচ্ছে ছোয়ার হাতে নির্জন মেহেদী দিয়ে দিচ্ছে এখন ওর ও উদ্ভুত একটা ইচ্ছে হলো ” শ্রাবণ যদি ওর পায়ে আলতা পড়িয়ে দিত।! ” এটা কখনো সত্যি হবে না তবে কল্পনা করতে তো দোষ নেই। বাস্তবে না হোক কল্পনায় সে শ্রাবণের হাতে পায়ে আলতা পড়ে নিল।
মহুয়া রাগে কটমট করছে তবে ভেতরে ভেতরে বাহিরে একদম শীতল। সেই কখন রুমে এনে বসিয়ে রেখেছে কিন্তু কিছুই বলছে না। লোকটার সমস্যা কি.??

আহনাফ মোবাইলে কথা শেষ করে মহুয়ার দিকে তাকিয়ে বললো, ‘ পাঁচ মিনিটে শাড়ি চেঞ্জ করে সেলোয়ার-কামিজ পড়ে আসেন।’
মহুয়াঃ আপনি এই রুম থেকে বের হোন। এখানে আপনাকে আমাকে এক রুমে দেখলে মানুষ খারাপ ভাববে। আপনার ছোট আম্মু, ফুপিমণি লজ্জিত হবে।
আহনাফ ঘা ছাড়া একটা ভাব নিয়ে বললো,’ আমি নিজের বউয়ের রুমে আছি। কে কি ভাবলো তাতে আমার যায় আশে না। যা বলেছি জলদি করেন।’

মহুয়াঃ শাড়িতে সমস্যা কি.??
আহনাফ রেগে মহুয়ার বাহু চেপে ধরে বলে উঠলো, ‘ গ্রামে আসতে নিষেধ করে ছিলাম। দুই দিন হলো না এখানে এসেছেন এখনি এতো বিয়ের প্রস্তাব আসছে!! কি ভাগ্য আমার বউয়ের নামে বিয়ের প্রস্তাব আসে আমার কাছে।
মহুয়া অবাক হলো ভয় পেয়েও গেল।আহনাফের চোখ লাল মুখ ভয়ংকর হয়ে আছে।
আহনাফ আবার বলে উঠলো, ‘ শাড়ি পড়ে কাকে দেখাচ্ছেন..? শাড়ি কার জন্য পড়েছেন.??’
মহুয়া ভয়ে চুপসে গেল,’ স..সবাই পপড়েছে তাই…’

আহনাফঃ সেই জন্য আপনিও পড়তে হবে!.? নাকি আরও মহিলাদের মাথা নষ্ট করার জন্য এমন সাজ দেখাচ্ছেন.?
মহুয়া ভয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। যেখানে বউ, গার্লফ্রেন্ড সাজগুজ করলে জামাই,বয়ফ্রেন্ড জেলাস হয় ছেলেরা তাকাবে, বলে ছেলেদের মাথা নষ্ট করার জন্য সাজছো!.? সেখানে ওকে শুনতে হচ্ছে মহিলাদের মাথা নষ্ট করার জন্য সাজছে.? এই লোকের মাথা সত্যি সমস্যা আছে।

আহনাফঃ যাও কাপড় চেঞ্জ কর। আর কাল বিকেলেই আমরা বাড়ি যাচ্ছি।
মহুয়া কিছু বলতে গিয়েও চুপ করে গেল। বাড়ি গিয়েই ও নিজের মামা মামির কাছে চলে যাবে তারপর মামা মামি যা ইচ্ছে করুক তাও সে চলে যাবে।

রাত গভীর সবাই ঘুমে মগ্ন। গ্রামের দিকে দশটার পর আর কেউ জেগে থাকে না। রাত এখন দুইটা বাজে।
নির্জন, সাজ্জাদ,আহনাফ এক রুমে। এখনো কেউ ঘুমায়নি।
আহনাফ বিরবির করে বলে উঠলো, ‘ থুর বিয়ের পরও ব্যাচেলার ঘুৃম।’
নির্জন আহনাফের পাশেই ছিল,’ কি ভাই বিয়ে করলা কবে.?’
আহনাফ মোবাইল হাত থেকে রেখে বলে উঠলো, ‘ তোদের ভাবির সাথে দেখা করে আসি। ‘
নির্জন আর সাজ্জাদ এক সাথে বলে উঠলো, ‘ ভাবি!!”

আহনাফ দরজার সামনে এসে কড়া নারলো কয়েক বার। ছোঁয়া চোখ ডলতে ডলতে এসে দরজা খুলে দিলো। এতো রাতে আহনাফ কে দেখে ঘুম উড়ে গেল।
আহনাফ ছোঁয়াকে মহুয়ার কথা জিজ্ঞেস করলো।
~ মহুয়া ঘুমায়।

ছোঁয়া আর কিছু বলার আগেই ঘুম জড়ানো কন্ঠে মহুয়া বলে উঠলো, ‘ ছোঁয়া কে এসেছে.? ‘
আহনাফ রুমে ঢুকে মহুয়াকে রুম থেকে বের হতে বললো।
মহুয়া আহনাফ কে দেখে লাফ দিয়ে উঠে বসলো।
আহনাফঃ জলদি বের হও।
মহুয়াঃ কেন..? কোথায় যাব..?
আহনাফঃ কফি বানাতে….

মেঘের আড়ালে রোদ পর্ব ৩০

মহুয়াঃ কিহ্..!!? এতো রাতে কফির জন্য এভাবে ঘুম থেকে তুলেছেন আমাদের.?
আহনাফঃ হুম…
মহুয়াঃ আপনার মাথায় সমস্যা আছে।
আহনাফঃ হুম জানি,তুমি কি বের হবে নাকি কোলে তুলে নিব?

মেঘের আড়ালে রোদ পর্ব ৩২