লুকানো অনুরক্তি পর্ব ১৪

লুকানো অনুরক্তি পর্ব ১৪
রূপন্তি রাহমান (ছদ্মনাম)

জমজমাট আয়োজন অবনিদের বাড়িতে। লাল নীল মরিচবাতিতে আচ্ছাদিত পুরো বাড়ি। ঝলমল করছে। পনেরো দিনের মধ্যে বিয়ের সমস্ত আয়োজন করা হয়েছে। সবকিছু এত দ্রুত হচ্ছে যে কেউ দু’দণ্ড বিশ্রাম নেওয়ার ফুরসত পাচ্ছে না। এদিকে গেলে ওদিক হচ্ছে না। ওদিকে গেলে এদিকের কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যাচ্ছে। সবাই একেবারে মহাব্যস্ত।
সবাই চেয়েছিল ঝামেলা না করে মোটামুটি ঘরোয়া আয়োজনে পবিত্র কাজটা সেরে ফেলতে। তবে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান আফসানা খানম। কাঠ কাঠ গলায় বলেছিলেন,

‘আমি চুরি করতে এসেছি যে ঘরোয়া ভাবে কাজ সারবো? আমার একমাত্র ছেলের বিয়ে। বিরাট আয়োজন হবে। ছেলের বউকে সাজিয়ে সবার সামনে দিয়ে নিয়ে যাবো।’
আর কথা বাড়ায়নি কেউ। প্রথমেই যে রণমুর্তি ধারন করেছিলেন কেউ আর কিছু বলার সাহসই পায়নি।
সবাই যখন বিয়ে নিয়ে আলোচনায় মত্ত তখন গুটি গুটি পায়ে অবনির কাছে এসেছিল মাহফুজ। অবনি তখনও কাঁদছিল। অনাকাঙ্ক্ষিত প্রিয় মানুষটাকে পাওয়ার খুশিতে। মনের সুপ্ত কল্পনা বাস্তবে রূপ নেওয়ার আনন্দে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

মাহফুজ মিনিট কয়েক অবনিকে পর্যবেক্ষণ করে। তারপর আচমকাই বলে উঠে,
‘কাঁদতে থাক। একেবারে জীবনের সাথে জড়িয়ে নিচ্ছি। হাজার বাঁধা বিপত্তি এলেও ছাড়বো না। আমিও দেখবো নিজেকে ঠিক কতটা শক্ত খোলসে আবৃত করেছিস। আমার খুব কাছে রেখে শোধ তুলবো আমি। সমস্ত প্রেম লুকিয়ে রাখার জন্য। আমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য। এমনি এমনি ছেড়ে দিবো এতো ভালো মানুষ নই আমি। আমি সুদেআসলে সব ফিরিয়ে দিবো।’

আকস্মিক মাহফুজের গলার স্বর পেয়ে চমকে উঠে অবনি। চোখের মুছে বোকার মতো তাকিয়ে থাকে।
সেদিনের পর পনেরোটা দিন গত হলেও মাহফুজ একটা বার তাকে কল করেনি। তার সাথে একটু কথা বলার ইচ্ছে পোষণ করেনি। অবনি বুঝে গেছে মানুষটার অভিমানের মাত্রা প্রখর। ভালোবাসাটা যেমন গভীর তেমনি অভিমানও গভীর।
মেহেদি রাঙা হাতের দিকে তাকিয়ে বিগত দিনগুলোর কথা ভাবতে থাকে অবনি। হাতে মধ্যেখানে নকশা করে মাহফুজের নামটা লেখা। গাঢ় রং হয়েছে। সেই নামটার দিকে তাকিয়ে রইলো অপলক, অনিমেষ। শুনেছে মেহেদির রং গাঢ় হলে নাকি স্বামী বেশি ভালোবাসে। কথাটা ভাবতেই লজ্জায় আড়ষ্ট হয় সে। মেহেদি রাঙা দু’হাতে মুখ ঢেকে ফেলে।

কারো পায়ের আওয়াজ পেয়ে স্বাভাবিক হয় অবনি। কাঁচা হলদে রঙের শাড়ির আঁচলটা গায়ে জড়িয়ে নিলো ভালো করে।
ব্যস্ত পায়ে ফাতেমা আমিন এসে উপস্থিত হয় সেখানে।
‘চল মা। বেলা বাড়ছে। এক্ষুনি গোসল করাতে হবে। সবাই উঠোনে অপেক্ষা করছে।’
অবনি মায়ের দিকে তাকায়। কাতর, ব্যাকুল চোখে। এই মানুষটাই রাজি ছিলেন না। আর আজ মানুষটাই কত খুশি। সন্তানের সুখের কথা ভেবে? হয়তো। সব মায়েরা বোধ চায় তার সন্তান সুখে থাকুক। শান্তিতে থাকুক।

‘তাকিয়ে রইলি কেন? চল।’
অবনি ধীর পায়ে বাইরে এলো। উঠোনের মাঝে গোল করে কলস রাখা। সবাই অপেক্ষা করছে।
অবনির দু’গালে হলুদের প্রলেপ। মেয়েদের হয়তো এই রূপে একটু বেশি মায়াবী লাগে। ফাতেমা আমিন অতি সন্তর্পণে চোখের পানি আড়াল করে ফেলেন।

অবনির মাথায় পানি ঢালছে। চুলের গোড়া চুইয়ে চোখ মুখ ভিজিয়ে দিলো সেই পানি। নাকের ডগা হতে টপটপ করে পানি ঝরছে। আবেশে চোখ বন্ধ করে ফেলে সে। চোখ বন্ধ করতেই মাহফুজের মুখটা ভেসে উঠল। এই মানুষটার পাগলামির জন্য আজকের এই দিনের মুখ সে দেখতে পেল। আর কয়েক সেকেন্ড পরে সে কেবল এই পাগলাটে মানুষটার। এই মানুষটার অতি নিকটে যাওয়ার জন্য আর ভয় পেতে হবে না।

পার্লার থেকে ফিরেছে অবনি। বরযাত্রী এখনো আসেনি। অন্যান্য মেহমানরা আসছে, খাচ্ছে, কেউ চলে যাচ্ছে, কেউ কেউ অবনির পাশে এটা ওটা জিজ্ঞেস করছে।
ফাতেমা আমিন এলেন অবনির কাছে। মেয়ের পাশে বসে মুখটার দিকে তাকিয়ে রইলেন। ধীরে ধীরে উনার চোখ ভিজতে লাগল। চোখের পানি লুকানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেও পারলেন না। বাঁধ মানলো না। মনটা হুহু করে কেঁদে উঠল। সেই কান্না প্রকাশিত হলো চোখ দিয়ে।

অবনিরও দুই চোখ ঝাপসা হয়ে এলো। ফাতেমা আমিন অবনির কনিষ্ঠ আঙুলে হালকা কামড় দিলেন। কপালে সুদীর্ঘ চুমু এঁকে ক্রন্দনরত কন্ঠে বলেন,
‘ কারো নজর যেন না লাগে। স্বামী সোহাগী হও মা। পৃথিবীর সমস্ত সুখ তোমার কপালে জুটুক। পরিবারটাকে আপন করে নিও। যারা তোমায় ভালোবাসে তাদের ভালোবাসতে কখনো কার্পণ্য করো না। মা দোয়া করে সব সময়। মায়ের দোয়া সব সময় তোমার সাথে থাকবে।’

অবনি নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারল না। আঁকড়ে ধরে মাকে। ফাতেমা আমিনও মেয়ের সাথে পাল্লা দিয়ে কাঁদছেন।
‘এভাবে কাঁদে না। মেকআপ নষ্ট হয়ে যাবে।’
অবনি নাক টেনে জবাব দেয়,
‘ওঠবে না। ওয়াটার প্রুফ।’
অবনির কথায় হেসে উঠলেন তিনিও।

ছোট্ট আবিদ পাঞ্জাবি গায়ে গুটি গুটি পায়ে এসে উপস্থিত হয় সেখানে। বধূ বেশে থাকা অবনির এক পলক তাকিয়ে ফাতেমা আমিন এর আঁচল টেনে ধরে।
‘কি বাবা?’
হাত বাড়ায় কোলে নেওয়ার জন্য। কোলে তুলে নেন তিনি। আবিদ বাদে বাদে অবনি দেখছে। আবিদকে এমন করতে দেখে ফাতেমা আমিন বলেন,
‘এটা অবন তো।’

অবনির নাম নিতেই বেশ সূক্ষ্ম চোখে পরখ করতে লাগে সে। পরক্ষণে নাক সিটকে অন্য দিকে তাকায়। ছোট্ট আবিদের ভাবখানা এমন যে মা মিথ্যে বলছে। এটা অবন হতেই পারে না।
ব্যাপারটা বুঝতে পেরে অবনি হাত বাড়ায়। আবিদ এমন ভাবে উপেক্ষা করল যেন জীবনেও তাকে দেখেনি। চিনে না সে। অবনি কাঁদো কাঁদো গলায় বলল,

‘উনি কি আমায় এতোটাই বাজে সাজিয়ে দিয়েছেন যে আমার ভাইও আমায় চিনতে পারছে না?’
পরিচিত কন্ঠ শুনে চোখ বড় বড় করে তাকায় আবিদ। অবিশ্বাস্য কন্ঠে জানতে চায়,
‘অবন?’
ফাতেমা আমিন মাথা নেড়ে সায় জানান।

ডাক পড়তেই আবিদ কে কোলে নিয়ে বাইরের দিকে পা বাড়ান ফাতেমা আমিন। এখানে ওকে রেখে গেলে অবনিকে বিরক্ত করবে ও। দরজার কাছাকাছি যেতেই মুখোমুখি হন রাফিয়া খাতুনের। যেন হন্তদন্ত হয়ে কোথা থেকে ছুটে এসেছেন। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। দরজায় এসে আঁচলের কোন দিয়ে তা মুছে নিলেন তিনি।
‘সকাল থেকে তোমার খোঁজ নেই। কোথায় থাকো রাফিয়া বু? মেয়ের যে বিয়ে সেকথা ভুলে গেলে?’
তিনি মলিন হাসলেন। ভারাক্রান্ত মুখে বলেন,

‘ভুলি নাই।’
‘তাড়াতাড়ি বাইরে এসো। এখনই ওরা চলে আসবে। কাজের চাপ বাড়বে।’
‘তুমি যাও আমি আইতাছি।’
ফাতেমা আমিন আর দাঁড়ালেন না। দরকার ভেবে দ্রুত পায়ে প্রস্থান করলেন।
রাফিয়া খাতুন অবনির কাছে এসে বসলেন।
‘তোমার হাতটা দেও মা।’

বাধ্য মেয়ের মতো হাতটা বাড়ায় অবনি। তিনি আঁচল কোণে বেঁধে রাখা ছোট্ট একটা বক্স বের করেন। অবনির হাতে দিয়ে বলেন,
‘গরীর মানুষ এর তে বেশি কিছু দেওনের সমরত নাই। কাইল দেওনের কথা আছিল। কিন্তু দেয় নাই। তাই আইজ সক্কাল সক্কাল দোকানে গিয়া হাজির হইছি।’
অবনি জানতে চায়, ‘কী এটা?’
‘খুইল্লা দেহো।’

অবনি বক্স খুলে দেখে রূপার চেইন। সাথে সুন্দর একটা লকেট। একগাল হেসে সে বলে,
‘সুন্দর তো।’
‘অন্যসময় হইলে তোমারে কইতাম এইডা গলায় দিতে। কিন্তু এহন কমু না। তোমার শ্বাশুড়ি তো সন্ন লইয়া আইবো। এইডা গলায় দিলে সুন্দর লাগতো না।’
অবনি চেইনটা উনার হাতে দিয়ে বলে,
‘পড়িয়ে দাও।’

‘না না এহন পইড়ো না। পরে। এহন এইডা সুন্দর লাগতো না।’
উনার হাতে জোর চেইন দিয়ে বলেন,
‘এখানে দামী কমদামি কিংবা সুন্দর অসুন্দরের কথা না। সুন্দর না লাগুক। তার পরও আমি পড়বো। কেননা চেইনে একজনের খাঁটি ভালোবাসা, আদর, স্নেহ মিশে। এগুলো উপেক্ষা করার সাধ্য আমার নেই। তার চেয়ে ভালো তুমি এটা পড়িয়ে দাও। কেউ অসুন্দর বললে বলবো, এখানে মূল্যের চেয়ে ভালোবাসা বেশি আছে।’
পান খাওয়া লাল ঠোঁট গুলো প্রসারিত হলো উনার। চোখ হয় ঝাপসা। ঝাপসা চোখে অবনির গলায় চেইনটা পড়িয়ে দিলেন তিনি।

পরক্ষণে আবারও একটা বক্স বের করেন। সেখানে একটা আংটি।
‘এইডা জামাই বাবার লাইগা। পছন্দ করবো?’
আংটি টা হাতে নিয়ে উল্টে পাল্টে দেখে অবনি।
‘আলবাত করবে। যদিও তোমার জামাই বাবা এসব হাতে দেয় না। তারপরও বলবো সবার গুলো ফেলে রেখে হলেও যেন এটা পড়ে। কারন এটায় ভালোবাসার পরিমানটা একটু না অনেকটা বেশি।’

বরযাত্রী চলে এসেছে। বর দেখার অনেকে গেইটের কাছে গেছে। আবার অনেকে অবনির কাছে রয়ে গেছে। মানুষজন একটু কমতেই দুজন অবনির কাছে জানতে চায়,
‘তুই তো ওদের বাসায় থেকেই পড়াশোনা করিস। তোদের কি প্রেমের বিয়ে? তোদের কি আগে থেকেই প্রেম ছিলো?’
ভড়কে গেল অবনি। প্রশ্নটার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলো না সে। কিছু বলতে যাবে তার আগেই গয়নার বাক্স হাতে উপস্থিত হন আফসানা খানম।

আফসানা খানম কে দেখে চুপ হয়ে যায় সবাই।
অবনির গলায় হাত দিয়ে রূপোর চেইন চোখে পড়ে উনার।
‘কে দিল এটা?’
‘রাফিয়া ফুফু।’
‘খুলবো?’
‘থাকুক?’

তিনি আর কিছু বললেন না। গয়নার বাক্স খুলে একেক করে গয়না গুলো অবনিকে পড়িয়ে দিতে দিতে তিনি ওই দুজনের প্রশ্নটার জবাব দিলেন।
‘ওদের বিয়ে ঠিক করে হয়েছে আরো আগে। মেয়ে বড় হতেই ভাবলাম নিজের কাছে নিয়ে একটু কাজটাজ শিখাই। এখানকার মেয়েরা তো আবার কাজ টাজ জানে না। সংসারের কাজ শিখতেই পায়ে শিকল পড়িয়ে দিলাম। কি দরকার আর উড়াউড়ির। এখন সংসার করার বয়স।’

কথাটায় যেন বেশ মজা পেলেন দুজন। যা উনাদের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে। আরো একটু সাহস করে বলেন,
‘তা যা বলেছেন। মেয়েদের এতো পড়াশোনা আমার পছন্দ না। এতে পড়ে কি হবে? শুধু টাকা পয়সা নষ্ট।’
আফসানা খানম অবনির তাকিয়ে বলেন,
‘আমারও পছন্দ না। আমি তো বলেছি আর পড়াবো না। এতো পড়ে কি হবে?’
অবনি ভ্রু উঁচিয়ে আফসানা খানমের অভিনয় দেখতে লাগল।

‘আপনি অবনির শ্বাশুড়ি?’
‘হুম।’
‘গয়না গুলো কি সব সোনার?’
উনি স্বাভাবিক গলায় জবাব দেন,
‘না তো। এতো গয়না কিনার টাকা কি আমার আছে? সব এমিটেশন।’
তখনই নাক ডলতে ডলতে এসে উপস্থিত হয় নাদিয়া। চোখ দুইটা লাল।

‘ভালোবাসা উপেক্ষা করা কি তোদের বংশগত রোগ নাকি? তোর ভাইকে কোলে নেওয়ার জন্য হাত বাড়ালাম। ওমনি নাকেমুখে খামচি দিল। সাজ তো নষ্ট হলোই জ্বলছে খুব। এই ছেলেরে যে বিয়ে করবে তার জীবন তেজপাতা হয়ে যাবে।’
অবনি জবাব দেয়,
‘আগুনে হাত দিলে এমনই হবে।’

বিয়ে পড়ানো শেষ দুইজনের। আজ থেকে আইনত ও শরীয়ত মোতাবেক মাহফুজের স্ত্রী অবনি। যাকে পাওয়ার জন্য এতো পাগলামি। অবশেষে সেই মানুষটাকে নিজের করে পেল সে। কি অদ্ভুত সুখ আর শান্তি মনের মাঝে বিরাজ করছে তা কেবল মাহফুজই জানে।
দুজনের মধ্যকার পর্দা সরানো হলো। দু’জনকে পাশাপাশি বসানো হয়েছে। এবার আয়নায় মুখ দেখার পালা। দুজনকে আয়নায় তাকাতে বলে সবাই। তারপর মাহফুজকে প্রশ্ন করা হলো,

‘আয়নায় কি দেখো?’
সদ্য কবুল বলে গ্রহণ করা মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রইল মাহফুজ। অনিমেষ চোখে। মেয়েটার দিকে আজীবন তাকিয়ে থাকলেও ক্লান্তি আসবে না। ক্ষণকাল বাদে থমথমে মুখে মাহফুজ জবাব দেয়,
‘এক কঠিন মানবীকে। যার হৃদয়ে পাথরের প্রলেপ দেওয়া। যার মন শক্ত খোলসে আবৃত। যার ভেতর এবং বাহির পুরোটাই কঠিন।

মাহফুজের কাঁধে চাপড় মা’রে সাইফুল।
‘আরে বেটা বল যে, আকাশের চাঁদ দেখি। এসব পরেও বলতে পারবি।’
এক পলক সাইফুলের দিকে তাকায় মাহফুজ। পুনরায় দৃষ্টি নিবদ্ধ করে আয়নায়।

লুকানো অনুরক্তি পর্ব ১৩

‘অবশ্যই সে চাঁদ। আমার আকাশের ব্যক্তিগত চাঁদ। তবে চাঁদ থাকে স্নিগ্ধ, কোমল। আর আমার চাঁদ কঠিন। সহজে তার মন গলে না। কারো আহাজারিতে হৃদয় নরম হয় না। স্নিগ্ধ আলো ছড়ানোর বদলে সে কেবল পোড়ায়। অদৃশ্য ভাবে দগ্ধ করে হৃদয়।’

লুকানো অনুরক্তি পর্ব ১৫