শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ২৫

শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ২৫
তানিয়া মাহি

বিয়ে বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে গিয়েছে। শুভ্রতার মা খানিকক্ষণ বাদে বাদেই মেয়ের শোকে জ্ঞান হারাচ্ছেন। অনেকক্ষণ আগেই শাহাদাত সাহেব মেয়ের খোঁজে বেরিয়ে পড়েছেন, ইরার বাবাও সাথে বেরিয়েছেন। শাকিরার বাবা মেয়ের বিয়ে জন্য বসে নেই তিনিও বাসায় নেই। নিহান যখন শাকিরাকে নিয়ে বাড়ি এসে জেনেছে শুভ্রতা এত রাত হয়ে গিয়েছে কিন্তু বাড়ি ফিরেনি সাথে সাথে সে বাড়ি থেকে ভার্সিটি এবং তার আশেপাশে আরও কয়েকটা থানায় খবর দিয়ে দিয়েছে।

এতক্ষণে পুলিশ টিম ও বেরিয়ে পড়েছে শুভ্রতাকে খুঁজতে। সবাই মন খারাপ করে বসে আছে। বিয়েতে যারা এসেছিল বেশিরভাগই খাওয়া দাওয়া করে চলে গিয়েছে। রায়হান নিজেও বের হতে চেয়েছিল কিন্তু কেউ তাকে বের হতে দেয় নি। বাড়ির মানুষগুলো নিজেদের মতো চেষ্টা করে যাচ্ছে, একে ওকে কল দিচ্ছে। স্নিগ্ধা মায়ের পাশে বসে শুভ্রতার জন্য কান্না করছে। শাকিরা চিন্তিত মুখে বসে আছে একপাশে। সে আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিল তার বিয়েতে কিছু একটা অঘটন ঘটবে। কারো কোন হিসেব মিলছে না কে করল এমন!

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

রায়হান বাড়ির অবস্থা খারাপ থেকেও খারাপ হচ্ছে দেখে নিহানকে কল করে৷ রাতও অনেক হতে চলল।
রিং হতেই কল রিসিভ হয়ে যায়, হয়তো ফোনটা নিহানের হাতেই ছিল। রায়হান বলে,
” শুভ্রতার কোন খোঁজ পাওয়া গেল? মামির অবস্থা খুব খারাপ। কিছুক্ষণ পরপরই জ্ঞান হারাচ্ছে।”
” ছোটমাকে কান্না করতে নিষেধ কর। শুভ্রাকে নিয়ে আমি বাড়ি ফিরব। আইনের লোকেরা বেরিয়ে পড়েছে অনেক্ষণ আগেই, খুব তাড়াতাড়ি হয়তো ভালো খবর আসবে।”

” তুই কোথায় আছিস এখন?”
” আমি এইতো সদরে যে থানাটা আছে, ওখানে আছি। এখানে থেকে শুভ্রার ভার্সিটিতে যাব খুঁজতে। অন্যান্য থানা থেকে আশেপাশে বেরিয়ে পড়েছে।”
” শাহাদাত মামা কোথায়, তোর সাথে?”
” হ্যাঁ এখানেই আছে। ছোটমার কাছে ফোনটা দে তো।”
” দাঁড়া দিচ্ছি।”

আয়েশা বেগম অন্যমনস্ক হয়ে তাকিয়েছিলেন। মুখে কোন কথা নেই৷ বেশি শোকে হয়তো মানুষ পাথর হয়ে যায়, আয়েশা বেগমের হয়েছে ওরকম। কিছুক্ষণ আগেও চিৎকার দিয়ে বিলাপ করে কান্না করছিলেন তিনি। মেয়েটা আর কত কষ্ট সহ্য করবে! সংসার ভাঙার পর আবার নতুন বিপদ। কে জানে কেমন আছে শুভ্রতা, কি অবস্থায় আছে!
রায়হান আয়েশা বেগমের নিকট এসে ফোনটা এগিয়ে দেয়, ” মামি…”

আয়েশা বেগম রায়হানের দিকে চোখ তুলে তাকায়। রায়হান বলে, ” নিহান কথা বলবে।”
আয়েশা বেগম ফোনটা কানে ধরেই বলে, ” আমার মেয়েটা কোথায় নিহান? ও আর কত কষ্ট সহ্য করবে বলো তো? মানুষ কেন কষ্ট দেওয়ার জন্য আমার মেয়েটাকেই বেছে নেয়? আমার মেয়ে ঠিক আছে তো নিহান? ওর কিছু হলে আমি পাগল হয়ে যাব বাবা।”
নিহান শুকনো ঢোক গিলে, নিজেকে শান্ত করে। তার যে চিন্তা হচ্ছে না এমন না৷ কয়েক ঘণ্টা ধরে সে নিখোঁজ। রাত এগারোটা বাজতে চলল।

নিহান বলে, ” ছোটমা, আমি কথা দিচ্ছি শুভ্রাকে নিয়েই আমি বাসায় ফিরব।”
” নিহান, ওই ইমতিয়াজ আমার মেয়ের আবার কোন ক্ষতি করল না তো?”
” ছোটমা, ইমতিয়াজ নাকি এলাকায় নেই। পুলিশ ওকে খুঁজছে। তুমি চিন্তা করো না, আমি তোমার মেয়েকে নিয়েই ফিরব।”
” আমার মেয়েকে আমি অক্ষত অবস্থায় চাই নিহান।”
” শুভ্রার কিছু হবে ছোটমা। আল্লাহ আছেন, উনি ঠিক রক্ষা করবেন।”
নিহান কিছুক্ষণ থেমে আবার বলে, ” ছোটমা, স্নিগ্ধা কোথায়? ফোনটা ওর কাছে দাও তো।”
স্নিগ্ধা মায়ের পাশেই বসে ছিল। ফোনে স্নিগ্ধাকে চাইতেই আয়েশা বেগম ফোনটা স্নিগ্ধা দেন। স্নিগ্ধা ফোনটা কানে নিয়ে বলে, ” হ্যাঁ ভাইয়া।”

” তোর কাছে শুভ্রার বান্ধবীর নম্বর আছে?”
” না, শাকিরা আপুর কাছে হয়তো আছে। লাগবে?”
” হ্যাঁ, ওর থেকে নম্বরটা নিয়ে আমাকে দে তো তাড়াতাড়ি। ”
” আচ্ছা দিচ্ছি।”

নিহান ফোনটা রেখে দেয়। দুই মিনিটের মধ্যে শাকিরা ফাউজিয়ার নম্বর পাঠিয়ে দেয় কিন্তু কোন কাজের কাজ হয় না। ফাউজিয়ার বাসায় শুভ্রতা নেই, শুভ্রতাকে পাওয়া যাচ্ছে না এমন কথা শুনে শুধু শুধু মেয়েটা এখন চিন্তা করবে।
শাহাদাত সাহেব চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আছেন। মাথা প্রচন্ড ব্যথা করছে, মেয়ের জন্য আর কত চিন্তা করা যায় একটা বাবার পক্ষে। মেয়ের জন্য চিন্তা শুরু হয়েছে তিন চার বছর আগে থেকে এখন অবধি চলছে। বাবারা অনেক কষ্ট সহ্য করতে পারে, বাবাদের কষ্ট দেখা যায় না। তারা সবসময় হাসিমুখে সব সহ্য করে নিতে জানে কিন্তু আজকে কেন সব অসহ্য হয়ে যাচ্ছে! মেয়েকে কি আদৌ পাবেন অক্ষত অবস্থায়!
নিহান শাহাদাত সাহেবের দিকে এগিয়ে এসে মাথায় হাত রাখলে শাহাদাত সাহেব চমকে ওঠে।

” খারাপ লাগছে কাকা?”
” আমার মেয়েটা ঠিক আছে তো নিহান?”
” আল্লাহ আছেন তো, তাকে ডাকুন দেখবেন তিনি নিরাশ করবেন না। বিপদে পড়লে আল্লাহকে ডাকতে হয় চিন্তা করতে হয় না। আমি এখানে কাউকে বলে দিচ্ছি আপনাকে বাসায় পৌঁছে দেবে। আপনার আর বাহিরে থাকতে হবে না। বাসায় গিয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে মেয়ের জন্য দোয়া করুন। আল্লাহ সহায় হলে আমি শুভ্রাকে নিয়েই বাড়ি ফিরব।”

” আমি বাড়ি যাব না নিহান। বাড়ি গেলে চিন্তা আরও বাড়বে। তোদের সাথে থাকলে তবু ব্যস্ত থাকতে পারব।”
” না কাকা, আমি শুভ্রার ডিপার্টমেন্টের প্রধানকে কল দিয়েছিলাম উনি থানায় আসছেন। আসলেই ভার্সিটির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরব। আপনি এখন বাসায় যাবেন আর কোন কথা না।”
নিহান ওখানকার একজনকে ডেকে শাহাদাত সাহেবকে এক প্রকার জোর করেই বাসায় পাঠিয়ে দেয় পুলিশের গাড়িতেই।
নিহান সেখানেই বসে ডিআইজিকে কল দেয়। প্রথমবার ফোন রিসিভ হয় না, আবার কল করতেই রিসিভ হয়।
কল রিসিভ হতেই নিহান বলে,” আসসালামু আলাইকুম স্যার।”

” ওয়ালাইকুমুস সালাম। কে বলছেন?”
” স্যার আমি মেজর নিহান বলছিলাম। ”
” কেমন আছো মা*ই বয়?”
” স্যার একটা বিপদে পড়ে আপনাকে কল দিয়েছি।”
” কি বিপদ বাবা?”

” স্যার আমার হবু বউ পরিক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরেনি। কয়েক ঘণ্টা হয়ে গেল কিন্তু এখনো কোন খোঁজ মিলেনি। আপনি কি এই ব্যাপারে কোন সহযোগিতা করতে পারেন? ”
” ইউ মিন কিড*ন্যাপ হয়েছে?”
” হতে পারে। আমি আপনাকে ডিটেইলস দিয়ে দিচ্ছি। আপনি একটু সাহায্য করুন স্যার।”
” ঠিক আছে আমি দেখছি। ”

কাজী সাহেব আর অপেক্ষা করতে নারাজ। মাঝরাত অবধি তো বিয়ে পড়ানোর জন্য অপেক্ষা করা যায় না। তাকেও তো বাড়ি ফিরতে হবে। শাকিরার মন খারাপ, কারো কোন কথা তার কানে যাচ্ছে না। সে বলছে শুভ্রতা না ফিরলে সে বিয়ে করবে না। আয়েশা বেগম নিজে শাকিরার পাশে এসে বসেন। একরুমে সবাই জড়ো হয়েছে, বাড়ির ছোটবড় সবাই আছে। কিন্তু কেউ কোন কথা বলছে না। শুভ্রতার চিন্তায় সবাই ডুবে আছে। বিয়েটা নিয়ে আর কারো কোন ইচ্ছে নেই কিছু বলার। নিহানের মা কিছুক্ষণ পরপর জোড়ে নিঃশ্বাস ছাড়ছেন।

শাকিরা চুপচাপ বসে আছে, আয়েশা বেগম তার হাতটা নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বললেন, ” নিহান কথা দিয়েছে আমার শুভ্রতাকে নিয়েই বাড়ি ফিরবে। শুভ্রতা এসে যদি দেখে তোর বিয়ে বেধে আছে ওর জন্য তাহলে আমার মেয়েটা কষ্ট পাবে না বল তো? তুই কি চাস এত এত কষ্টের মাঝে এই বিষয়ে আবার কষ্ট পাক?”

শাকিরা কিছু না বলে আয়েশা বেগমের দিকে তাকায়। আয়েশা বেগম খেয়াল করেন শাকিরার চোখে পানি টলমল করছে। শাকিরার চোখে পানি দেখে বুকের ভেতরটা কেমন করে ওঠে। আয়েশা বেগম শাকিরার চোখ থেকে চোখ সরিয়ে নেয়। শাকিরা কাঁদো কাঁদো গলায় বলে, ” ছোটমা, আমি শুভ্রতাকে ছাড়া বিয়ে করতে পারব না। তুমি আমাকে এটা নিয়ে কিছু বলবে না।”

” বিয়ে মানুষের জীবনে একবারই আসে। এত সুন্দর একটা দিনে এমন বিপদ ঘটবে কে জানতো বল তো? শুধু কবুলটাই তো বলতে হবে, কাজী বলতে বললে বলে দে মা।”
শাকিরা মা এসেও মেয়েকে বলে মিসেস আয়েশার কথা শুনতে। শাকিরা এবার বসা থেকে দাঁড়িয়ে যায়।
মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে, ” আমাকে কি মনে হয় তোমাদের? আমার বোনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না পাঁচ ছয় ঘণ্টা। কি অবস্থায় আছে, কেমন আছে কিচ্ছু জানি না। এই পরিস্থিতিতে ওকে ফেলে বিয়ে করে নেব আমি? এতোটা স্বার্থপর নই আমি, ও না ফিরলে আমি কিছুতেই বিয়ে করব না। ”

শাকিরা দৌঁড়ে নিজের রুমে চলে যায়। রায়হান ইশারা করতেই আবিরা, নেহা, স্নিগ্ধা, ইরা সবাই একে একে শাকিরার রুমের দিকে যায়। কাজী সাহেবের এবার খারাপ লাগতে শুরু করে। তিনি জানান এ বাড়ির মেয়ে বাড়ি ফিরলেই তিনি বিয়েটা সম্পন্ন করে বাড়ি ফিরবেন।

ভার্সিটির মেইন গেইটের কাছে থেকে যে ডিপার্টমেন্টগুলো ছিল সেখান থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়েছে। এক একদিকে চার থেকে পাঁচজন করে পুলিশ গিয়েছেন। নিহান তিনজন পুলিশকে সাথে করে শুভ্রতার ডিপার্টমেন্টের দিকে যায়। ডিপার্টমেন্টের প্রধানও সাথে আছে। সবার হাতে টর্চের আলো, চারপাশ আলোয় আলোকিত হয়ে গিয়েছে। নিহান শুভ্রতার নাম ধরে চিৎকার দিয়ে ডেকে চলেছে। খুব অসহায় লাগছে নিজেকে, কোনদিক থেকে কল আসছে না, আসলেও ভালো খবর আসছে না।
শুভ্রতার ডিপার্টমেন্টের বিল্ডিং দেখা শেষ হলে নিহান ডিপার্টমেন্টের প্রধান শওকত আলীকে বলে, ” স্যার পিছনে কি আর ডিপার্টমেন্ট আছে?”

” জি আছে।”
” দেখেছেন কি একটা অবস্থা এতরাতে আপনার এদিক ওদিক ঘুরতে হচ্ছে।”
” তুমি আমার ছেলের বয়সী, তুমি করেই বলি?”
” জি স্যার অবশ্যই।”
” শুভ্রতা আমার বিভাগের ভালো একটা ছাত্রী। আশা করছি এবারও সে খুব ভালো করবে। তুমি হয়তো তার বাড়ির লোক কিন্তু আমি তার র*ক্তের কেউ না হলেও সে আমার মেয়ের মতোই। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সে খবর পেয়েও আমি বাড়িতে কীভাবে ঘুমাই বলো তো? আমার মেয়ের সাথে এমন হলে আমি কি ঘুমাতে পারতাম?”

” আমি কৃতজ্ঞ থাকব স্যার। চলুন তাহলে পিছনের দিকে যাওয়া যাক।”
” হ্যাঁ সেটাই ভালো হবে।”
নিহান সবাইকে সাথে নিয়ে বেরিয়ে আসে। পিছনেই বাংলা ডিপার্টমেন্ট তারপাশে অর্থনীতি আর পিছনের দিকে ইংরেজি। বাংলা ডিপার্টমেন্টে খোঁজ চলছে তাই তারা পিছনের দিকে এগিয়ে যায়। কয়েকজনকে আলো হাতে দেখে ছেলেদের হোস্টেলের গেইটে থাকা লোক এগিয়ে আসে। হাতে লাঠি এখনো রয়েছে। শওকত আলীকে দেখে এগিয়ে এসে সালাম দেয়।

” আসসালামু আলাইকুম স্যার। এখানে এতরাতে? কিছু হয়েছে স্যার?”
” ওয়ালাইকুমুস সালাম। আমার ডিপার্টমেন্টের একটা মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তুমি কি আশেপাশে অস্বাভাবিক কিছু দেখেছো?”

সে একটু ভেবে বলে, ” তেমন কিছু তো দেখি নি। তবে এশার নামাজের আগে হোস্টেলের তিন চারটা ছেলে এসে বলল কোণার দিকে পুরোনো দুই রুমের যে ঘরখানা পড়ে আছে ওখানে নাকি ভূত আছে, ভূতের গলা শুনেছে তারা। ভূত থাকতেও পারে স্যার বলা যায় না অনেক পুরোনো ঘর, ওই রাস্তায় তো কেউ যাওয়া আসা করে না।”
” থামো তুমি, এখানে এসেছো ভূতের খবর নিয়ে? যাও কাজে যাও।”
” স্যার সত্যিই ভূত আছে। নইলে ওরা মিথ্যা কথা কেন বলবে বলেন?”
” শাহাবুদ্দিন কাজে যাও।”
” জি স্যার, আসসালামু আলাইকুম। ”

শাহাবুদ্দিন চলে যেতেই নিহান প্রশ্ন করে, ” কোন পুরোনো ঘর স্যার?”
” ওই যে ওই রাস্তায় পুরো দুই রুমের ঘর পড়ে আছে, ওটার কথা বলল।”
নিহানের মনে খটকা লাগে। কীসের গলা শুনেছে এ বিষয়ে আগ্রহ জাগে তার। নিহান টর্চ হাতে নিয়ে শওকত আলীর দেখানো পথে দৌঁড় দেয়। ঘরের সামনে গিয়ে এদিকে ওদিকে টর্চ দিয়ে খুঁজে। গলা ছেড়ে শুভ্রতাকে ডাকতে থাকে। কয়েকবার ডাকার পরই ঘরের ভেতর থেকে গলার আওয়াজ আসে, ” ক কে? কে বাহিরে? আমাকে বাঁচাও প্লিজ। আমি আর এখানে থাকতে পারছি না।”

নিহান আওয়াজটা স্পষ্ট শুনতে পায়, কয়েক সেকেন্ডের জন্য যেন সবকিছু থেমে যায়। সে কি ঠিক শুনলো! ভেতরে কে সাহায্য চাইল? শুভ্রা! তার শুভ্রা!

শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ২৪

আজ অনেক বড় দিয়েছি, কালকে হয়তো দিতে পারব না তবুও চেষ্টা করব। দিলেও ছোট হবে তাই আজ বড় করে দিলাম। সবাই গঠনমূলক মন্তব্য করবেন। আপনাদের মন্তব্য লেখার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। সবার সুস্থতা কামনা করছি।

শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ২৬