শেষ থেকে শুরু পর্ব ১৫ || নন্দিনি চৌধুরী || SA Alhaj

শেষ থেকে শুরু পর্ব ১৫
লেখিকা নন্দিনি চৌধুরী

আইসিউতে নেওয়া হয়েছে মেহেরকে।গুলিটা একদম বুকে লেগেছেগিয়ে।অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে।সাদাফ,রুহি,মুগ্ধ,সাদিয়া,রায়হান সবাই হাসপাতালে।রুহি সেন্সলেস হয়ে গেছে।তাই রুহিকে একটা কেবিনে দেওয়া হয়েছে।রুহির সাথে সাদিয়া আছে।অপারেশন চলছে মেহেরের।মুগ্ধ কান্না করতে করতে একদম অস্থির হয়ে গেছে।সাদাফ খুব কষ্টে ওকে সালাচ্ছে কিন্তু সামলাতে পারছেনা।

মুগ্ধ হাসপাতালের নামাজের এরিয়াতে এসে নামাজ পড়ে ভাইয়ের জন্য দোয়া করছে।
মুগ্ধ”হ্যা আল্লাহ তুমি আমার ভাইকে ভালো করে দেও এই দুনিয়ায় আমার ভাই ছাড়া আমার কেউ নাই।আল্লাহ তুমিতো জানো আমার ভাই কত ভালো।আমার গায়ে সে কখোনো একটা আচ আসতে দেয়নি।তুমি ভাইয়াকে ভালো করে দেও।ভাইয়ার অনাগত সন্তানটার দিকে তাকিয়ে ভাইয়া ভালো করে দেও।”
মুগ্ধ জায়নামাজে দাঁড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদছে।হাসপাতালে আসার পর থেকেই সে এভাবে কাঁদছে।তার কান্না দেখে আসে পাসের সবাই হতভাগ।এই যুগে ভাই বোনের এমন সম্পর্ক দেখাইযায়না।
এদিকে,

সারাদেশের টিভি নিউজে একটাই খবর ঘুরছে।বিখ্যাত বিজনেস মেন আরিয়ান ইসলাম মেহেরকে তার সৎ মা সালমা খান গুলি করেছেন।জানাযায় সালকা খান মরহুম মিস্টার খানের প্রথম স্ত্রী মেহেজাবীন ইসলামকে খুন করেছেন।এরপর মেহেজাবীনের মেয়েকেও মারার চেষ্টা করেছেন তিনি।এতোদিন মিসেস সালমার মেয়ে সায়মা ইসলাম যাকে সবাই মেহেরাবের মেয়ে জানতো সে মিস্টার মেহেরাবের মেয়ে নয়।সালমা ওর তার প্রেমিকের অবৈধ সন্তান সে।জানাযায় মা আর মেয়ে মিলে মুগ্ধের সংসার নষ্ট করেছেন।আগামিকাল তাদের কোর্টে তোলা হলে তাদের রায় জানানো হবে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

জেলের সেলে বসে সংবাদ শুনছে আরিশ।এতো নোংড়া মানুষ তা আরিশ ভাবতেই পারেনা।সেই নোংড়া মানুষ গুলোর ফাঁদে পা দিয়ে সে আজ সব হারালো।তবে আল্লাহ তাদের বিচার করেছে।পাপের শাস্তি পাচ্ছে তারা।সায়মাকে সে কোনোদিন ক্ষমা করবেনা।ঘৃণা করে সে সায়মাকে।
২ঘন্টা পর ডাক্তার আইসিউ থেকে বের হলেন।সাদাফ ডাক্তারের সাথে কথা বলতে গেলো,
সাদাফ:ডাক্তার মেহের?
ডাক্তার:আল্লাহর রহমতে গুলি বুক ছুঁয়ে বেরিয়ে গেছে।পুরাপুরি বুকে লাগেনি।লাগলে বাঁচানো রিস্ক ছিলো।১২ ঘন্টা পর জ্ঞান ফিরবে তারপর আপনারা দেখা করতে পারবেন।আর একটু পরে কেবিনে দেওয়া হবে।
সাদাফ:জি আচ্ছা।

সাদাফ কথা শেষ করে মুগ্ধের কাছে গেলো।মুগ্ধ রুহির কেবিনে ছিলো।সাদাফ কেবিনে এসে খবরটা দিলো।খবরটা পেয়ে সবাই খুশি হলো।মেহেরের খবর পেয়ে অলরেডি রুহির মা বাবা ভাই এসেছে।রুহির মা এসে মুগ্ধের কাছে মাফ চেয়েছে।রাজীব ও মুগ্ধের কাছে মাফ চেয়েছে।মুগ্ধ তাদের মাফ করে দিয়েছে।রাতের দিকে রুহির জ্ঞান ফিরলে।মেহেরের কাছে যাওয়ার জন্য পাগলামি করে।মুগ্ধ রুহির মা অনেক কষ্টে রুহিকে সামলায়।তারপর বুজিয়ে বাসায় নিয়ে যায় রুহির মা রুহিকে।হাসপাতালে এখন মুগ্ধ সাদাফ আছে।সাদিয়া বাসায় গেছে ফ্রেশ হয়ে ওদের জন্য খাবার নিয়ে আসবে।
মুগ্ধ আর সাদাফ বসে আছে কেবিনের বাহিরে।কান্নার কারনে মুগ্ধের চোখ মুখ অনেকটা ফুলে গেছে আর দেখতে বেশ ক্লান্ত লাগছে।সাদাফ একটু বাহিরে এসে মুগ্ধের জন্য কিছু হাল্কা খাবার আনে।খাবার এনে মুগ্ধের পাশে বসে।মুগ্ধ তখন মাথা নিচু করে বসেছিলো।

সাদাফ:মেহুরানী!
সাদাফের ডাকে মাথা উঁচু করে তাকায় মুগ্ধ।
সাদাফ মুগ্ধের দিকে একটা কেক আগিয়ে দেয়।
সাদাফ:সারাদিন কিছু খাওনি কেঁদেছো।এখন এইটা খেয়ে নেও।
মুগ্ধঃআমার ক্ষুধা নেই।
সাদাফঃক্ষুদা আছা নাকি নেই তা আমি জানতে চাইনি আমি বলেছি খেতে মানে খাবে।
মুগ্ধঃনা আমি খাবোনা।
সাদাফঃতুমি সিওর খাবানা।
মুগ্ধঃনা
সাদাফঃওকে।

সাদাফ কেকের প্যাকেটটা খুলে কেক হাতে নিয়ে মুগ্ধের গাল দুটো আরেক হাত দিয়ে চেপে কেকটা মুখে ডুকিয়ে দিলো।মুগ্ধ চোখ দুটো বড় বড় করে তাকিয়ে রইলো।

সাদাফঃআমি জানি তুমি অনেক ঘাড়ত্যাড়া।কিন্তু আমিও কম ঘাড়ত্যাড়া না।এই নেও পানি কেকটা গিলো আর পানি খাও।
মুগ্ধ সাদাফের হাত থেকে পানির বোতলটা নিয়ে পানি খেয়ে নিলো।সাদাফের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে আবার মাথা নিচু করে নিলো।সাদাফ মুচকি হাসলো।সাদিয়া আর রায়হান খাবার নিয়ে এসেছে মুগ্ধ সাদাফের জন্য।রাতে সাদাফ আর মুগ্ধ এখানে থাকবে।সাদিয়া থাকতে চেয়েছিলো সাদাফ না করে দিয়েছে।মুগ্ধ ক্লান্ত থাকায় সিটে বসে সাদাফের কাধেই মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেছে।সাদাফ হাসপাতালের লোকেদের সাথে কথা বলে অন্য একটা কেবিনে মুগ্ধকে শুইয়ে দিয়ে আসলো।ঘমন্ত অবস্থায় মুগ্ধকে একদম পিচ্চি লাগছে।সাদাফ হালকা একটু খেয়ে নেয়।তারপর মেহেরের কেবিনের সামনে ঘুরে আসে।সাদাফ এসে মুগ্ধের কেবিনের চেয়ারে বসে পড়ে।ফোন থাতে নিয়ে গ্যালারি ওপেন করে।সেখানে মুগ্ধের অনেক ছবি।সাদিয়ার কাবিনের দিন মুগ্ধের শাড়ি পড়াছবিও আছে।

সাদাফঃএখন তোমাকে আমার মনের কথা আমি জানিয়ে দেবো।আর তোমাকে নিজের থেকে দূরে রাখতে পারবোনা।
পরেরদিন,
১২টায় মেহেরের জ্ঞান ফিরেছে।জ্ঞান ফেরা মাত্র মুগ্ধ মেহেরের সাথে দেখা করে।
মুগ্ধ কান্না করছে দেখে মেহের আসতে করে বলে,
মেহেরঃচড়ুইপাখি কান্না করছিস কেন।আমিতো ভালো আছি।
মুগ্ধঃহ্যা ভালোআছিস।জানিস আমার কত কষ্ট হচ্ছিলো।ভাবিপু কত কষ্ট পাইছে।
মেহেরঃজানিতো আমার বউ বোনের কত কষ্ট হইছে।রুহি কই?
মুগ্ধঃভাবি কাল তোর গুলি লাগার পর সেন্সলেস হয়েগেছিলো রাতে ভাবি মা বাবা আসছিলো তাদের সাথে বাসায় পাঠাইছি।কিছুক্ষনের ভিতর আসবে তারা।
মেহেরঃওনারা কেন আসছে?

মুগ্ধঃরাগীস না ভাইয়া খালাম্মা আমার কাছে তার ভুলের জন্য মাফ চেয়েছে।রাজীব ও চাইছে।তাই আর রাগ করিস না।
এর মাঝে রুহি তার মা বাবা আসলো।রুহিকে দেখে মুগ্ধ উঠে আসলো।রুহি মেহেরের কাছে এসে কান্না করে দিলো।মেহের রুহিকে শান্ত করার চেষ্টা করছে।মুগ্ধ বেরিয়ে আসলো কেবিন থেকে।বাসায় যেতে হবে ফ্রেশ হয়ে ভাইয়ের জন্য কিছু খাবার আনতে হবে।সাদাফ সব মেডিসিন কিনে দিয়ে আসছে।সেও বাসায় যাবে।বিকালে আসবে আবার।সাদাফ গেটে এসে দেখে মুগ্ধ দাঁড়ানো।মুগ্ধকে দেখে সাদাফ ওর কাছে আসলো।
সাদাফঃবাসায় যাবানা?
মুগ্ধঃহ্যা সেই জন্যতো গাড়ি খুজতেছি।
সাদাফঃগাড়ি খুজতে হবেনা।আমার সাথে আসো।পৌছে দিচ্ছি।

মুগ্ধঃনা থাক আমি এ..।
সাদাফঃনো মোর ওয়ার্ড এভার কিন্তু কালকের মতো কোলে তুলে গাড়িতে বসাবো।পাব্লিক প্লেসে তুমি নিশ্চই তা চাওনা।
মুগ্ধ সাদাফের কথা শুনে ভয় পায়।মুগ্ধ জানে সাদাফ যা বলে তাই করে।তাই আর কথা না বাড়িয়ে উঠলো সাদাফের গাড়িতে।সাদাফ মুগ্ধকে বাসায় পৌছে দিয়ে আসলো।
এক সপ্তাহ পর,,,
মেহেরকে বাসায় আনা হয়েছে।ফুল বেড রেস্টে তাকে রাখা হয়েছে।কোর্টে শুনানিতে সালমা খানের জাবত জীবন কারাদন্ড হয়েছে।সায়মার ৭বছরের জেল।সায়মা একদম চুপ হয়ে গেছে।সব সত্যি জানার পর নিজের প্রতি নিজের ঘৃণা লাগছে।সে আর আরিশের সামনে গিয়ে দাঁড়াতে পারবেনা।মুখ দেখাতে পারবেনা আর কাউকে।আজ বুঝতে পারছে সে মিথ্যা কোনোদিন টিকে থাকেনা সত্য একদিন বেরিয়ে আসেই।

আজকে সাদাফ সাদিয়া আর ওদের বাবা মা এসেছে মেহেরকে দেখতে।পাশাপাশি আরেকটা কাজের জন্যেও তারা এসেছে।
মেহেরের রুমে বসে আছে সাদাফের মা বাবা।
মেহেরঃকেমন আছেন মিস্টার হাসান?
মিস্টার হাসানঃআলহামদুলিল্লাহ ভালো।তোমার এখন কি অবস্থা?
মেহেরঃজ্বি আলহামদুলিল্লাহ।
মিস্টার হাসানঃহ্যা খবরেও দেখলাম সাদাফের থেকেও সব শুনলাম।সত্যি খুব খারাপ লাগছে এসব শুনে দেখে।
মেহেরঃহুম।ভাগ্যে যা ছিলো তাই হয়েছে।
মিস্টার হাসানঃমেহের আমি তোমাকে কাছে একটা প্রস্তাব রাখতে চাচ্ছি।
মেহেরঃকি প্রস্তাব মিস্টার হাসান?

মিস্টার হাসানঃআসলে আমি মুগ্ধকে আমার ঘরের বৌমা করতে চাই।আমাদের ওর অতীত নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।সাদাফ ওকে খুব ভালোবাসে।তুমি অমত করোনা দোয়া করে।
মেহেরঃআমি জানি সাদাফ মুগ্ধকে পছন্দ করে ভালোবাসে।কিন্তু আমি সাদাফকে আগেই বলেছি আমার বোনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওর মতের বিরুদ্ধে কিছু করবোনা।আপনি সাদাফকে বলেন মুগ্ধকে আগে জানায় যেনো।আর আমি চাই আমার বোন আগে নিজের পায়ে দাড়াক।ওর নিজের জীবনের ইচ্ছা পূরন করুক।তারপর এসব নিয়ে ভাবুক।
মিস্টার হাসান মেহেরের সাথে আরো কিছু কথা বলে চলে আসেন।রাতে সাদাফকে মেহেরের কথা গুলো জানায়।সাদাদ তাতে সম্মতি দেয়।সাদাফ ও চায় যাতে মুগ্ধ আগে নিজের পায়ে দাড়াক তারপর তাকে বিয়ে করুক।কিন্তু তার মনের কথা সে মুগ্ধকে জানাবে।

সাদাফ সোফায় বসে কল দিলো মুগ্ধের নাম্বারে।মুগ্ধ বেলকোনিতে দাঁড়িয়েছিল ফোন আসতে ফোন হাতে নিয়ে দেখে সাদাফ।ঠোঁটের কোণে এমনি হাঁসি ফুটে উঠে তার।মুগ্ধ কলটা রিসিভ করলো।
সাদাফঃআসসালামু আলাইকুম।
মুগ্ধঃওয়ালাইকুমুস সালাম।কেমন আছেন?
সাদাফঃহুম ভালো তুমি?
মুগ্ধঃজি আমিও আলহামদুলিল্লাহ।
সাদাফঃকি করছো?
মুগ্ধঃজি বেলকোনতে দাঁড়িয়ে আছি। আপনি?
সাদাফঃবসে আছি।একটা কথা বলার ছিলো।
মুগ্ধঃহ্যা বলেন।

সাদাফঃফোনে না।সামনাসামনি বলবো।আগামিকাল লেকের পারে আসবে।
মুগ্ধঃউম আচ্ছা ঠিক আছে।
সাদাফঃশুভ রাত্রী।
মুগ্ধঃশুভ রাত্রী।
সারারাত সাদাফ মুগ্ধের কথা ভাবতে থাকে।কাল সে কিভাবে তার মনের কথা বলবে।
পরেরদিন বিকালে,

মুগ্ধ একটা নীল শাড়ি পরেছে।কেন জানি আজ তার এটা পরতে ইচ্ছা করছে।শাড়ির সাথে খোপা করেছে।একদম নরমাল কোনো সাজ নেই।তারপর মুগ্ধ চলে আসে লেকের পারে।সাদাফ সেখানে আগে থেকেই এসে দাঁড়ানো।মুগ্ধ সাদাফের পাশে কিছুটা জায়গা রেখে দাঁড়ায়।সাদাফ মুগ্ধকে আড়চোখে দেখে হাসলো।
লেকের পারে হালকা বাতাস।নদীর পানির স্রোত।পাখির ডাক।বেশ ভালোই লাগছে।
সাদাফঃজায়গাটা সুন্দর না?
মুগ্ধঃহ্যা অনেক সুন্দর।
সাদাফঃআমি তোমাকে কিছু বলতে চাই।
মুগ্ধঃহ্যা বলুন।
সাদাফ এভার মুগ্ধের দিকে তাকিয়ে বলা শুরু করে,

মুগ্ধ তুমি এখন জানোই আমি তোমাকে আগে ভালোবাসতাম।সায়মা আমার সাথে তুমি সেজে প্রতারণা করেছে।তখন জানতাম না সেটা তুমিনা।অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম রাগ করেছিলাম তোমার উপরে।এরপর হাসপাতালে সেদিন জানতে পারি তুমি আমার মুগ্ধ।যাকে আমি দেখেছিলাম দুইবছর আগে।কিন্তু আমার সাথে কথা বলতো অন্য কেউ।এরপর সত্য খোঁজার চেষ্টা করি।সত্য উদ্ধার করি।এখন সবাই তাদের পাপের শাস্তি পেয়েগেছে।তাই আমি আজ দ্বিতীয়বার আমার আসল মুগ্ধকে বলছি,,
“ভালোবাসি মেহুরানী।অনেক ভালোবাসি।আমার জীবনের #শেষ_থেকে_শুরু আমি তোমাকে চাই দেবে কি আমাকে সেই সুযোগ।”

সাদাফের কথা শুনে মুগ্ধ চমকে যায়।সে আশা করেনি এমন কিছু।মুগ্ধ নিজেকে সামলে বলে উঠে,
মুগ্ধঃযখন কৈশরে পা দেই প্রেম ভালোবাসা কি তা বোঝার আগে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হলো।স্বামী নামক মানুষটাকে যখন নিজের মনে একটু ঠাই দিলাম সে আমাকে ছেড়েদিলো।জানি সে ষড়যন্ত্রের স্বিকার।কিন্তু তবুও সে আমায় ঠকিয়েছে।এখন এই ভালোবাসা বিয়ে সম্পর্কের প্রতি বিশ্বাস করতে পারিনা।আর তাছাড়া আমি নিজেকে প্রতিষ্ঠিট করতে চাই স্যার।তারপর এসব নিয়ে ভাবতে চাই।আর সায়মার হয়ে সত্যি আমি ক্ষমা চাচ্ছি।ও যা করেছে অন্যায় করেছে।আমার তো আপনার কথা মনেই ছিলোনা।ওই একবার আপনার সাথে দেখা হয়েছিলো।তারপর আর দেখা হয়নি।মনে তাহলে থাকবে কিভাবে।

শেষ থেকে শুরু পর্ব ১৪

সাদাফঃআমি তোমার কথা বুজতে পেরেছি।আমি তোমাকে বলিনি এখোনি আমার কাছে আসতে।তোমার জীবনে তুমি প্রতিষ্ঠিত হউ সেটা আমিও চাই।তুমি আমাকে সব সময় নিজের পাশে পাবা।তুমি যখন চাবে সেদিন আমি তোমাকে আমার ঘরের রানী করে আনবো।আমি চাই তুমি সময় নেও যতটা সময় নেও ততোটা।নিজেকে নিজের মতো করে তৈরি করো তুমি।ততোদিন আমি ভালোবাসার দাবি নিয়ে আসবোনা।একজন বন্ধ হয়ে তোমার পাশে আছি।
মুগ্ধঃধন্যবাদ আমাকে বোঝার জন্য।
সাদাদ মুগ্ধ আরো কিছুটা সময় ঘুরে যার যার বাসায় চলে যায়।

মুগ্ধ এখন আগের মতো কলেজে যায়।এক্সামে অনেক ভালো রেজাল্ট করছে।সাদাফ সত্যি তাকে অনেক হেল্প করেছে পড়াশুনায় বিষয়।একজন বন্ধুর মতো ওর পাশেছিলো।
মেহের আরিশের অফিসের ম্যানেজারকে খুজে ধরিয়ে দেয় পুলিশের কাছে।সেই অফিসের সব গন্ডগোল করেছে।আরিশের এক বছরের জেল হয়েছে আর মেনেজারের ১২ বছরের জেল।
দেখতে দেখতে ছয় মাস চলে গেলো,,,,,

মেহেরের ঘর আলো করে একটা ছেলে এসেছে।দেখতে একদম মেহেরের মতো হয়েছে।মুগ্ধ নাম রেখেছে ছেলের মাহির।
মুগ্ধ এখন সাদাফের সাথে অনেক ফ্রি হয়ে গেছে।প্রায় প্রায় তারা ঘুরতে যায়।কথা বলে।মুগ্ধের মনে হয়তো এখন সাদাফের জন্য ভালোলাগা বা ভালোবাসা হয়তো শুরু হয়েছে।

শেষ থেকে শুরু পর্ব ১৬