স্পর্শানুভূতি পর্ব ৩২

স্পর্শানুভূতি পর্ব ৩২
writer:Nurzahan akter (allo)

মিষ্টু এভাবে তাকিয়ে থাকা দেখা রাসেল মিষ্টুকে ছেড়ে দেয়!মিষ্টু রাসেলের পায়ের উপর পারা দিয়ে গটগট করতে করতে চলে যায়! রাসেল পা ধরে লাফাতে থাকে।মিষ্টু আশ পাশ না তাকিয়ে গটগট করে হাটতে হাটতে নিচে চলে যায় আর রাসেলের বাবার সাথে ধাক্কা খায়….রাসেলের বাবা তখন মিষ্টুকে বলে..
বাবাঃকি রে মা কি হয়েছে?এভাবে রেগে আছিস কেন?
মিষ্টুঃভ্য ভ্য আ আ আ আ! তোমার লুচু পোলা আমাকে কিস করে দিসে ?
বাবাঃ বলিস কি? ওই হতভাগার এত বড় সাহস দাড়া আজকে ওর একদিন কি আমার একদিন?আজকে ওর পিঠের ছাল তুলে দিবো।
মিষ্টুঃ আচ্ছা…
(এই য্যাহ্ বাবাকে এটা কি বলে দিলাম! ছিঃ! ছিঃ! কি লজ্জা! কি লজ্জা! আমার মুখ টাও না দিন দিন ব্রেক ছাড়া সাইকেলের মত হয়ে যাচ্ছে। ইসস্ যাই হোক চেপে যায় এই কথা আর তুলবো না ওই লুচু জানতে না জানি আবার কি শুরু করে দিবে। জিহবাতে কামড় দিয়ে মনে মনে বললো)
বাবাঃএখন চল লাঞ্চ করবি আয়!(পাগলি তো পাগলিই হা হা হা মনে মনে)!আর ওই গাধাটাকে লাঞ্চ করার জন্য ডাকতে পাঠাচ্ছি আমি।
মিষ্টুঃহুমম চলো!বাট তুমি আমাকে খাইয়ে দিবে রাজি থাকলে ১ চাপো।
বাবাঃ হা হা হা ওকে ১ চাপলাম।

একজন সার্ভেন্ট গিয়ে রাসেল সহ বাকিদের ডেকে আনলো!রাসেল, রোজ আর আম্মু সবাই ডায়নিং টেবিলে এসে হা করে তাকিয়ে আছে!কারন রাসেলের বাবা মিষ্টুকে খাইয়ে দিচ্ছে আর মিষ্টু খাচ্ছে। রোজ গিয়ে হন হন করতে করতে ওর বাবা হাত থেকে খাবারের প্লেট টা নিয়ে ফেলে দিলো!আর সাথে সাথে মিষ্টু আর ওর বাবা চেয়ার থেকে উঠে দাড়িয়ে পড়ে।মিষ্টু হতবাক হয়ে রোজের দিকে তাকিয়ে আছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

রোজঃএই সব মিডিল ক্লাস কাজ গুলো আমাদের বাসায় চলে না।আর চালচুলোহীন একটা মেয়েকে তুমি কেন খাইয়ে দিবে বাবা?
বাবাঃঠাস্!তোমার সাহস কি করে হয় এভাবে খাবারটা ফেলে দেওয়ার।এই শিক্ষা দিয়েছি আমি তোমাকে?(চিৎকার করে)
আম্মুঃরোজ কে ধমকাচ্ছো কেন?রোজ তো ঠিকই বলছে? দুইদিন হয়নি আর এসব আদিখ্যেতা শুরু করছে!এসব দেখে গা জলে যাচ্ছে..
বাবাঃতুমি একদম কথা বলবেনা!আজকে তোমার জন্য আমার বাড়িতে সুখ নামক জিনিসটা উঠে গেছে!আজকে আমার টাকা আছে তারপরেও আমি অভাবী কেন জানো?কারন আমার সংসারে সুখ নেই তার একমাএ কারণ তুমি..(আম্মুকে উদেশ্য করে)
মিষ্টুঃ রো…জ! কয়েকটা কথা বলছি তোমাকে! কিছু মনে করো না প্লিজ। সত্যি বলতে কি জানো? আমার না বাবা নেই।আমি বাবা কি এটা বুঝতাম না।আমি আমার ভাইয়ার আদরে বড় হয়েছি তবে আমার ভাইয়া আমাকে বাবা আদর কি সেটার অভাব বুঝতে দেয় নি।আমি একা একা খেতে পারি না খেলেও আমার পেট ভরে না!গত দুইদিন ভাইয়ার হাতে খায়নি আমি!আর এখানে এসে একটা বাবা পেয়েছি এজন্য বাবার হাতে খাওয়ার লোভ টা সামলাতে পারি নি।আমার জন্য প্লিজ তোমরা অশান্তির সৃষ্টি করো না!আমি আর খেতে চাইবো না বাবার থেকে তাও তুমি রাগ করো না প্লিজ।আমিই আমার লিমিট টা ভুলে গিয়েছিলাম! (কেঁদে কেদে কথা গুলো বলে উপরে চলে গেল)
বাবাঃ মিষ্টু শোন না মা!মিষ্টু খেয়ে যা…
রোজঃ প্লিজ বাবা এসব ড্রামা বন্ধ করো!আর সহ্য করতে পারছি না।তোমাদের এই ড্রামা দেখতে দেখতে আমি হাপিয়ে গেছি।

রাসেল এবার রোজ এর সামনে যায়! আর রোজের দিকে তাকিয়ে বলে।
রাসেলঃনিজে তো কাউকে সন্মান দিতে পারিসই না! আবার তোর মুখেই এত বড় বড়! তোর মুখে এই কথাগুলো ঠিক মানায় না বোন।আর তোরা যাকে বারবার চালচুলোহীন বলছিস! সেই মিষ্টুর না তোদের থেকে কোন অংশে তার টাকা -পয়সা কম নেই।আর বাবা ওকে খাইয়ে দিয়েছে বলে তোর খুব গায়ে লাগছে না তাই না রে! আর এটা তোর কাছে ড্রামাও মনে হচ্ছে! তুই কখনও আমার বা বাবার কাছে আবদার করেছিস এমন করার।জানিস বোন মিষ্টুর বাবা নেই কিন্তু মিষ্টুর ভাই মুহিত আর ওদের ভাই বোনের ভালবাসা দেখলে তুই লজ্জা পাবি।কারন তুই মিষ্টুর মত হতেই পারবি না কারন তোর মাঝে অহংকারে ভরা।না পারিস কারো সাথে ভাল ব্যবহার করতে আর না পারিস আমাকে বা বাবা একটু ভালবাসতে একটু কথা বলতে।ভাই বোনের সম্পর্ক কেমন হওয়া দরকার মিষ্টুর থেকে শিখে নিস।তবে এত অহংকার ঠিক না আর একটা কথা মনে রাখি অহংকারই হচ্ছে পতনের মূল।
(রাসেল এটা বলে বাইরে চলে যায়)
বাবাঃ ছিঃ! রোজ নিজের মন-মানসিকতা ঠিক কর।তোকে আমার মেয়ে বলতে লজ্জা লাগছে…

মিষ্টু রুমে গিয়ে মুহিতকে ভিডিও কল দিলো!তিনবারের বেলায় মুহিত ফোন ধরতেই দেখলো মিষ্টু কাঁদছে। ঠিক তখনই মিষ্টু কারো রুমে আসার শব্দ পায়!তখন তাড়াহুড়ো করে ফোন রাখতে গিয়ে! মিষ্টুর হাতে টার্চ লেগে ফোনের পেছনের ক্যামেরা অন হয়ে যায়।রাসেলের বাবা আবার খাবার নিয়ে মিষ্টুর রুমে আসে আর মিষ্টুর পাশে বসে মিষ্টুর মুখের সামনে খাবার তুলে দেয়!মিষ্টু মুখ ঘুরিয়ে নেয় রাসেলের বাবা তখন বাচ্চাদের মত করে সরি বলে আর মিষ্টু হেসে দেয়! আর খেতে থাকে। মুহিত আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানায় কারন মিষ্টুকে এত ভালবেসে তো কেউ খাইয়ে দেয় এটা জেনে শান্তি লাগছে মুহিতের!এভাবে অনেক গল্প করতে করতে খাবার শেষ করে! আর রাসেলের বাবা নিচে চলে যায়।মিষ্টু ফোন ধরতে যাবে তখন আবার কারো আসার শব্দ শুনে ফোনটা রেখে দেয়!এবার রাসেল আসে খাবারের প্লেট হাতে নিয়ে।

রাসেল এসে মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে আগেই বলে একটা কথা বললে আজকে খাবারের থেরাপি দিবে।ফোনের উপর পাশে থেকে মুহিত মুচকি মুচকি হাসছে শুধু!মিষ্টুকে কিছু বলতে দেয় না রাসেল তার আগেই আবার মুখে ভাত ঢুকিয়ে দেয়!বেচারা মিষ্টু এবার পড়ছে মাইনকার চিপায়। রাসেল তখন মিষ্টুর দিকে তাকিয়ে বলে..

রাসেলঃতোমার গুন্ডা ভাই যদি জানে! আমি তোমাকে না খাইয়ে রাখছি তাহলে আমাকে জানে মেরে দিবে।
মিষ্টুঃ আপনি আমার ভাইয়াকে গুন্ডা বললেন?(দাঁতে দাঁত চেপে)
রাসেলঃতোমার ভাই গুন্ডা নয় তো কি?ভাই যেমন গুন্ডা বোনও হয়েছে তেমন গুন্ডী। আর হ্যা এখন একদম চুল ধরে টানবে না বলে দিলাম!সকালে যেভাবে টানছে এখনো ব্যাথা করছে..
মিষ্টুঃহুম! আর বাবা কেবল আমাকে খাইয়ে দিয়ে গেলো!আমি আর খেতে পারছি না (করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে)
রাসেলঃএকদম ঢপ মারবে না!আমি কোন কথা শুনতে চাই না তুমি সব খাবার শেষ করবে ব্যাস..
মিষ্টুঃআমি সত্যি কথা বলছি!বাবা কেবল আমাকে খাইয়ে দিয়ে গেল।আমি আর খেতে পারছি না।বমি করে দিবো তখন যেন দোষ দিবেন না। (কাঁদো কাঁদো মুখে)
রাসেলঃ চুপ!!!!!!
মিষ্টুঃআমার একটা গান মনে পড়ছে খুব!
…ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে…

রাসেল অনেক কষ্টে নিজের হাসি চাপিয়ে রাখলো মিষ্টুর গান শুনে!মিষ্টুর কোন কথা শুনলো না রাসেল !মিষ্টুকে জোর করে খাইয়ে দিলো।বেচারা মিষ্টু খেয়ে আর নড়তে পারছে না ওখানে ঠাস্ করে শুয়ে পড়লো!মুহিত কল কেটে দিলো আর মনে মনে হাসলো! মুহিত জানে রাসেল মিষ্টুর কোন অযত্ন হতে দিবে না।মুহিত যে ওদের দেখছে সেটা সবার কাছেই অজানা থেকে গেলো!কারন মিষ্টুও জানে না মুহিত তখন কল রিসিভ করেছিলো।
রাসেল নিচে গিয়ে খেয়ে নিলো তারপর রুমে এসে দেখে মিষ্টু ওভাবেই বাঁকা হয়েই শুয়ে ঘুমিয়ে গেছে!রাসেল মিষ্টুকে ঠিক ভাবে শুইয়ে দিলো তারপর নিজেও শুয়ে পড়লো….

মিষ্টুর যখন ঘুম ভাংলো তখন মিষ্টু খেয়াল করে দেখলো কারো বাহুডোরে সে আবদ্ধ!মিষ্টু চোখ তুলে তাকিয়ে দেখে রাসেল ওকে আলতো করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে!সামনের চুল গুলোতে কপাল ঢেকে গেছে।মিষ্টু রাসেলের ঠোঁটের দিকে তাকালো আর মনে মনে ভাবছে..
মিষ্টুঃএই হাঁদারামটা ঠোঁট টা এত গোলাপি কেন হুম?ছেলেদের ঠোঁট এত গোলাপি হয়! হুম হুম হয় আর যে মেয়েদের বর ভাগ্য ভালো তাদের ভাগ্যতে মনে হয় এমন ছেলে জোটে?!ইসস্ আমি কত লাকি তবে যাই হোক হাঁদারাম আমাকে যে খুব ভালবাসে এতে কোন সন্দেহ নাই!আগে নাকি বাসায় সারাদিনে উনি আসতোই না আর এখন দেখো বউ পেয়ে কেমন হেংলার মত জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে! মন চাচ্ছে নাকে কাপড় আটকানো ক্লিপ আটকে দেয়। না না থাক আমার বরটাই তো ব্যাথা পাবে।ইসস আমার বরটা এত কিউট ক্যারে!মন চাচ্ছে এখনই হাজার দশেক ইয়ে দেয় ইয়ে মানে কামড় আর কি ! না থাক এত কামড়ালে যদি সহ্য করতে না পারে।আল্লাহর রহমতে আমার দাঁত তো ইয়া বড় বড়! কামড়ালে যদি বিষ লেগে যায়। বিষ লেগে গেলে তো আবার ইনজেকশন দিতে হবে!না থাক ছোট বাচ্চাকে এত কামড়া কামড়ি করা যাবে না।আমি বরং কামড় না দেয় তবে একটা কুটুস করে আদর দিয়ে চলে যায় কেমন!

মিষ্টু খুব আলতো করে রাসেলের গলাতে ওর ঠোঁট বসায়!রাসেল মিষ্টুর ঠোঁটের ছোয়া পেয়ে মিষ্টুকে আরো শক্ত করে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে।রাসেলকে নড়তে দেখে মিষ্টু সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে নেয়! রাসেল ঘুমের ঘোরেই মিষ্টুর কপালে আদর দিয়ে আবার ঘুমের দেশে তলিয়ে যায়।মিষ্টু আস্তে আস্তে আগে ওর একচোখ খুলে দেখে রাসেল ঘুমিয়েছে কি না?যখন দেখলো রাসেল ঘুমিয়েছে তখন মিষ্টু ওর দুই চোখ খুলে আর মনে মনে ভাবতে থাকে…

মিষ্টুঃ পৃথিবীতে প্রেমে ভালবাসার মধ্যে যদি কোন পবিএ ভালবাসা থাকে! তাহলে আমি বলবো হাজবেন্ড -ওয়াইফ এর ভালবাসা। জিএফ/বিএফ দু’জন দু’জনকে যতই ভালবাসো না কেন?তারা একে অপরকে ভালবেসে জড়িয়ে ধরে যে প্রশান্তি তারা খুজে! সেই প্রশান্তি কি তারা পাই?তবে আমি মনে করি তার থেকে হাজারগুন প্রশান্তি পাওয়া যায় একজন হাজবেন্ড -ওয়াইফ একে অপরকে জড়িয়ে ধরলে!কারন আল্লাহ রহমত থাকে হাজবেন্ড -ওয়াইফ ভালবাসার মধ্যে! তাদের আলিঙ্গনের মধ্যে।আজকে আমি বুঝলাম যে! রাসেল আমার এই অশান্ত মনটা কে শান্ত করতে পারবো তোমার এই বুকে মুখ লুকিয়ে!আমি বুঝে গেছি আর খুজেও পেয়েছি এটা যে,তোমার মাঝে আমার ভাল থাকা।

যদিও এখন রিলেশনের মাঝে জড়িয়ে ধরা, কিস করা,আরো হাজিবাজি এখন একটা কমন ব্যাপার। তবে হাজবেন্ড -ওয়াইফ মানে দুইটা শরীরের একটা আত্মা! হাজবেন্ড মানে যাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায়! এক কথায় যাকে বলে হাজবেন্ড-ওয়াইফ মানেই দুজন দুজনের ভালো থাকার পাসওয়ার্ড।

৫ঃ৩০ দিকে রাসেলের ঘুম ভাংলো!আজকে অনেকদিন পর দুপুরে এত সময় ঘুমালো!রাসেল উঠে আশপাশে তাকিয়ে মিষ্টুকে না পেয়ে ফ্রেস হতে চলে গেল!ওয়াশরুম থেকে এসে টাওয়াল দিয়ে মুখ মুছে নিলো আর চুল গুলো ঠিক করে নিচে গেল!ছাদে,বাগানে কোথাও মিষ্টুকে খুজে পেলো না।রাসেলের এবার খুব টেনশন হচ্ছে কারন মিষ্টু এখানকার তো কিছু চেনা না জানে না।রাসেল একজন সার্ভেন্টকে জিজ্ঞাসা করলো মিষ্টুকে দেখছে কি না?মিষ্টুকে নাকি রাসেলের বাবার সাথে বের হতে দেখছে…সার্ভেন্ট এটা বলে চলে গেল।

রাসেল ওর বাবাকে ফোন করলো!রাসেলের বাবা ফোনটা ধরেই হো হো হো হাসতে শুরু করলো।রাসেলের এবার রাগ হচ্ছে ওর বাবার উপর! কারন কোন কথা না শুনেই ওর বাবা হাসতেই আছে! না নিজে কিছু বলছে আর না রাসেলকে কিছু বলতে দিচ্ছে! রাসেল এবার ওর বাবাকে বললো…
রাসেলঃ বাবা তুমি কোথায়?আর মিষ্টু কই?
বাবাঃহা হা হা! আহারে আমার ছেলেটা দুইদিনেই বউ পাগলা হয়ে গেছে !ঘুম থেকে উঠে বউকে না দেখতে পেয়ে বুঝি বাবুর মেজাজ বিগড়ে গেছে। হা হা হা
রাসেলঃবাবা! মজা নিও না তো। আগে বলো তোমরা কোথায় আছে?
বাবাঃআমরা কোথায় নাকি তোমার বউ কোথায় সেটা জানতে চাচ্ছো?হা হা হা
রাসেলঃ বাবা প্লিজ লজ্জা দিও না তো।
বাবাঃ হা হা হা! ওকে মাই বয়।আর শোন আমরা লেকের পাড়ে আছি!আর মিষ্টু কয়েকটা বাচ্চাদের সাথে খেলছে!তুইও এখানে চলে আয়..
রাসেলঃআমি কেন যাবো?তোমার পুএবধূ তোমার সাথে বেড়াতে যেতে চেয়েছে! আমাকে তো বলে নি বেড়াতে যাওয়ার কথা।তার বরং তুমিই তোমার পুএবধূকে নিয়ে বেড়াও..
বাবাঃ থাক আর জেলাস হতে হবে না! হা হা হা হা !তুই চলে আয় কারন আমাকে একটু অফিসে যেতে হবে।
রাসেলঃ আচ্ছা আমি আসছি…
রাসেল কল কেটে মনে মনে হাসছে কারন রাসেলের বাবা রাসেলের সাথে এর আগে এত ফান করতো না।কারন উনি খুব গিলটি ফিল করতো! তার একমাএ কারন রাসেলের বাবা রাসেলকে মায়ের আদর এনে দিতে পারে নি!উনি পারো নি রাসেলের মায়ের অভাবটা পূরণ করতে।এজন্য উনি নিজে নিজের কাছে গিলটি ফিল করতো।বাট মিষ্টু এসে আস্তে আস্তে সব বদলে যাচ্ছে।রাসেল মনে মনে আরেকটা কথা ভাবছে সেটা হলো…

স্পর্শানুভূতি পর্ব ৩১

রাসেলঃকোন বাড়ির বউ যে তার শশুড়ের সাথে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বায়না ধরতে পারে! সেটা মিষ্টুকে না দেখলে আমার তো সেটা জানাই হতো না।যাই হোক মিষ্টু তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার বাবাকে আগের মত করে দেওয়ার জন্য! তুমি একটা জিনিস খুব ভালো করে বুঝিয়ে দিলে সেটা..

কিছু কিছু মেয়েরা যেমন রাবেয়া খালা আর আম্মুর মত মেয়েরা যেমন ভাংতে পারে!তেমনি তোমার মত মিষ্টুরা তখন আরেক ধারে গড়তে শুরু করে। তুমি এটাও বুঝিয়ে দিলে সব মেয়েরা এত সহজে ভেঙে পড়ে না!তারা সহজেই নিজের হার নিজে মেনে নেয় না!তোমাকে দেখলে কেউ বুঝবে না তোমার উপর দিয়ে কেমন ঝড় বয়ে গেছে!মিষ্টু তোমাদের মত কিছু মেয়েদের জন্য আমরা ছেলেরাও প্রাউড ফিল করি।তবে একটা আমি বিলিভ করি যে……
একটা মেয়ে চাইলে যেমন সব কিছু গুছিয়ে নিতে পারে!তেমনি একটা মেয়ে চাইলে সবকিছু ভেঙে চুড়ে চূর্ণ -বিচূর্ণ করে দিতেও তাদের সময় লাগে না। সেটা হোক…….
…..যে কোন রিলেশন -সংসার- অথবা পরিবার……

স্পর্শানুভূতি পর্ব ৩৩