স্বামী শেষ পর্ব 

স্বামী শেষ পর্ব 
লেখকঃপারভেজ ইসলাম

ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘরে চেয়ারে হাতপা বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে আদৃত।তার মাথাটা নিচের দিকে নুয়ানো।তার এখন জ্ঞান নেই বললেই চলে।তার সামনেই পায়ের উপর পা তুলে রিভলবার হাতে নিয়ে ভিলেনি হাসি দিয়ে তার মুখে পানি মারতে বললো রায়হান। পানি মারা মাত্র আদৃত চমকে উঠে।সে।আদৃত এবার আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হলো।তার সামনে তাকিয়ে দেখে তার দিকে তাকিয়ে আছে রায়হান।চোঁখে তার নিজের জন্য রাগ,ঘৃণা আর মৃত্যুনেশা স্পষ্ট।রায়হান এবার নিরবতা ভেঙে বলে,

রায়হানঃসো মিঃ আদৃত আজাদ খান শেষমেষ আমাদের দেখা হয়েই গেলে।
আদৃতঃআমার মেয়ে কই রায়হান?(হুংকার দিয়ে বলে ওঠে)
রায়হানঃকুল ডাউন আদৃত।জাহান সেইখানেই যেখানে ওর থাকা উচিত।ওর বাবা ওকে ভালোই রেখেছে।
আদৃতঃওর বাবা তুই? এই কথা বলতে তোর মূখে আটকায় না তাহলে এতো দিন কই ছিলি তখন কি তোর সন্তানের কথা মনে পড়ে নাই।
রায়হানঃহাহা তাই নাকি।লিশেন ওহ আমার মেয়ে আর ও আমার কাছেই থাকবে।তোকে আর তোর স্ত্রীকে খুন করে আমি আমার মেয়েকে একা মানুষ করবো।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আদৃতঃআমার জান্নাতের দিকে চোঁখ তুলে তাকালেও তোর চোঁখ তুলে নেব আমি।আমার জান্নাতকে কিছু করার চিন্তা মাথায়ও আনবি না।
রায়হানঃআমার লোকেরা জান্নাতকে নিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে পৌছাবে তার পরেই সেটা দেখা যাবে।
আদৃতঃমানে?
রায়হানঃআদৃত তুমি এতো বুদ্ধিমান হয়েও এটা কিভাবে ভুলে গেলে যে নিজের শুত্রুকে কখনো ছোটো বা বোকা ভাবা ঠিক নই।ওই বাড়িতে কি হয়েছিল মনে আছে?কতোই না খুশি হয়েছিলে জাহানকে পেয়ে।ভেবেছিলে রায়হান ভয় পেয়ে পালিয়েছে।কিন্তু না আদৃত তোমায় ওইখানে আনার জন্য এমনটা করেছিলাম।কারণ তোমায় কিডন্যাপ করা সম্ভব হচ্ছিল না।সব সময় বাড়িতেই থাকতে।আর তুমি বাসায় থাকতে বলে জান্নাতকেও কিডন্যাপ করতে পারছিলাম না।

আদৃতঃমানেএএ?
রায়হানঃতুমি যেটা আন্দাজ করেছো সেটাই।তুমি এতোদিন আমার লোকেদের মাঝেই ছিলে।একবারো ভেবে দেখলে কিভাবে আমি ঠিক টাইমে সেই বাসায় পৌছালাম?কারণ আমার লোকজন সর্বদা তোমাদের উপর নজর রাখত।আর আমি জানতাম জান্নাত ওই জায়গার কথা ঠিকিই তোমায় বলবে।
আদৃতঃতোর লোক কারা?রায়হান তোর লোক যতই চালাক হোক আমার সিকিউরিটি ভেঙে কখনোই জান্নাতকে আনতে পারবে না।আর তুইও মরবি।পুলিশ খুব শীঘ্রই….

এইটুকু বলার সাথে সাথেই রায়হান অট্টহাসিতে ভেঙে পরে।তারপর চেয়ার থেকে উঠে আদৃতের থুতনিতে বন্ধুক ধরে বলে,
রায়হানঃআমি গভীর জলের মাছ আদৃত।আমায় বোঝা ওতো সহজ নই।তুমি আমায় ঠিকিই পথে নামিয়েছিলে কিন্তু হৃদিতাকে তো আর নামাওনি।সে ছিলো কোটিপতি তার যা ছিলো সব কিন্তু আমার তাই টাকায় জোরে আর বুদ্ধির জোরে তোমার থেকে অনেক এগিয়ে।
আদৃতঃকিন্তু তোদের তো ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল।
রায়হান শয়তানি হাসি হেসে আদৃতের দিকে তাকিয়ে বলে,

রায়হানঃআদৃত কতবার বলব যে আমাকে তুমি এতো বোকা ভেবো না।হৃদিতা ডিভোর্স প্রেপার ভেবে প্রোপার্টির পেপারে সাইন করেছিল।যেখানে লেখা ছিল তার মৃত্যুর পর তার সব সম্পত্তি আমার।
আদৃতঃএই জন্যই তুই হৃদিতাকে মেরেছিস।
রায়হানঃওবিয়াসলি ব্রো।
আদৃতঃঅসভ্য,বেয়াদব লজ্জা করলো না কয়েকটা টাকার জন্য একটা জীবন নিয়ে নিতে।
রায়হানঃতরো লজ্জা করল না আমাকে এভাবে শেষ করে দিতে।তুই আমার থেকে সব কেড়ে নিয়েছিলি,আজ আমি তোর থেকে সব কেড়ে নেব।ভুলে যাস না সময় কখনো বেইমানি করে না।এক এক করে ঠিক সবার পাশে দাঁড়ায়।কাল তোর সাথে ছিল আর আজ আমার সাথে।

আদৃত কিছু বলতে যাবে তখনই দেখে জান্নাতের চোঁখ মুখ বেঁধে একজন নিয়ে আসছে।সে আর কেউ নন যে অফিসার জাহানকে খুঁজছিলো সে।সেই হলো রায়হানের লোক।বিশ্বাসঘাতক।আদৃত তো পারলে এই অফিসারকে।এইজন্যই পুলিশরা সফল হয়নি।আমাকে সে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলিয়ে দেয়।আদৃত চিল্লিয়ে বলে উঠে,
আদৃতঃজান্নাত তুমি ঠিক আছো তো?
সেই লোক এসে আমার চোঁখ মুখ খুলে দেই।আমি আদৃতের দিকে তাকিয়ে বলি,
আমিঃআদৃত।
আমি উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও পারলাম না পরে গেলাম।রায়হান এসে আমার পাশে দাঁড়িয়ে বললো,
রায়হানঃকেমন আছো জান?
আমি ছলছল ঘৃণামিশ্রিত নয়নে তার দিকে তাকিয়ে বললাম,
আমিঃআমার মেয়ে কোথায়?

রায়হানঃআমার না আমাদের বলো যদিও কিছুক্ষণ পর তুমি মারা গেলে মেয়েটা তখন আমার একার।
আদৃতঃতোর শত্রুতা আমার সাথে যা ইচ্ছা হয় আমার সাথে কর।প্লিজ জান্নাতকে যেতে দে।
রায়হানঃনাটক এর শুটিং চলে এখানে?নাকি সিনেমার?ভালোয় তো ডায়ালগ ঝাড়তে পারিস।মরার পর একসাথে নাটক করিস।
এরপর রায়হান এসে আবার সামনে দাঁড়িয়ে বন্দুকটা শক্ত করে আমার মাথায় চেপে ধরে।আমি মাথা নিচু করে আছি।তার কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার মানুষ আমি নই।মনে মনে আল্লাহকে ডাকছি।

উনির জন্ম মৃত্যুর মালিক।যদি রাখে আল্লাহ,মারে কে।হুম আল্লাহ আমাকে বাঁচাবেন।আর নইলে মৃত্যু আমার ভাগ্যে আজকেই লেখা।আমি আদৃতের দিকে ছলছল নয়নে তাকালাম।বাধা অবস্থাতেই সে ছটফট করছে।যদি কোনোভাবে ছাড়া পেয়ে আমাকে বাঁচাতে পারেন।ইশ সেদিন যদি বাবার কথাটা শুনতাম।বাবা মার জন্য হলেও এই মানুষটাকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যেতাম।তাহলে এমন কিছু হতো না।আমার জীবনের গল্পটা অন্যরকম হতো।রায়হান আমার মাথায় আরো জোড়ে বন্দুক ঠেসে ধরে বলে,

রায়হানঃমরেই তো যাবে,তা না হয় আমিও মায়া দেখাই।তা তোমার প্রাণের স্বামী যখন কিছু ডায়ালগ ঝাড়লো,আমিও দেই কিছু ডায়ালগ।তো মিসেস আদৃত আজাদ খান আপনার কি কোনো শেষ ইচ্ছা আছে।
আমিঃপ্লিজ আমার মেয়েকে মেরো না।পারলে ওকে কোনো অনাথ আশ্রমে ছেড়ে দিও।
আদৃতঃজান্নাত তুমি ভুলভাল বকছো কেন?এই রায়হান কিছু করতে পারবে না তোমার।
আমি আদৃতের কথা শুনেও তাকে কিছু বললাম।আমি খুব ভালো করেই জানি রায়হান এক কথার মানুষ।জেদ আর রাগ উঠে গেলে যে মনে আছে যাই করে।

আমিঃশেষ ইচ্ছা এটাই।
রায়হানঃমেয়ে শুধু তোমার না আমারো।বাবা আমি ওর।ওকে নিজেই মানুষ করবো।নিশ্চিন্তে মরো।এতোটাও পাষাণ্ড নই…
আমিঃহাহা.. হাসালে তুমি কেমন খুব ভালো করেই চিনেছি।বাদ দেও।শুধু একটাই অনুরোধ তোমার কাছে আমার।
রায়হানঃঅনুরোধ নাকি শেষ ইচ্ছা।
আমিঃসবটাই।আমরা যদি মরে যাই তাহলে আমার মেয়েকে কোনো অনাথ আশ্রমে রেখে এসো। আমার মেয়ে তোমার কাছে থাকলে আমি মরেও শান্তি পাবো না।
রায়হান আমার মাথায় ধরা বন্দুকটা হালকা করে ধরে বলে স্বরটা নরম করে বলে উঠলো,
রায়হানঃমানে?

আমিঃ মানেটা সহজ।আমি জীবনে যে ভুলের মাসুল হিসেবে নিজের জীবন দিচ্ছি তেমন কোনো ভুলই যেন আমার মেয়ে না করে।সেইদিন যদি বাবার কথাটা রাখতাম তাহলে আজ এতো কিছুই হতো না।এতো পস্তাতে হতো না আমায় রায়হান।তোমায় ভালোবাসার জন্য নিজের জীবন নিজের মেয়ে নিজের স্বামী সবাইকে হারাতে হতো না রায়হান।জানো এই ৯ মাসে শুধু এটাই মনে হয়েছে ইশ সেইদিন যদি সেই বাসটাতেই না উঠতাম,যদি তোমার সাথে দেখাই না হতো,যদি তোমায় ভালোই না বাসতাম তাহলে কি খুব খারাপ হয়ে যেত।যদি তোমার জায়গায় সেইদিন আদৃত থাকতো।প্রথম ভালোবাসার মানুষটা যদি আদৃত হতো।তাহলে আমার জন্য আদৃতকে মরতে হতো না।

ক্ষমা করে দিও আদৃত।(শেষের কথাগুলো বলতে গিয়ে আমি জোড়ে কেঁদে দিই।আর চোঁখ খুলে তাকায়না। নেই সেই শক্তি আমার।আদৃতের আর্তনাদ শুনতে পাচ্ছি আমি।সবটার জন্য আমিই দায়ী।রায়হান আবার আমার মাথায় আবার বন্দুক ধরে।আমি একটা হালকা হাসি দিয়ে বলি ভালোবাসি আদৃত)
আদৃত আসতে আসতে চোঁখ জোড়াদ্বয় খুললো। তার চোঁখবেয়ে দুইফোটা পানি গড়িয়ে পরে।অতীতের স্মৃতিচারণ করছিল সে।আজকে তার বাড়িটা খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে।আজ যে জাহানের পঞ্চম তম জন্মদিন, আদৃত্ব আকাশের পানের দিকে চেয়ে আছে

আদৃতঃআজ আমাদের মেয়েটা অনেক বড় হয়ে গিয়েছে জান্নাত।তোমায় বড় মিস করছি।তুমি থাকলে সব অন্যরকম হতো এখন।তুমি ব্যস্ত থাকতে মেয়েকে সাজাতে।এখন তুমি নেই তোমার উপস্থিতি আমাকেই তো পূরণ করতে হবে।
আদৃত এসে জাহানের রুমে ঢুকেই দেখে সেসুন্দর মতো সাজানো হয়েছে আর সে চুপ করে বসে আছে।তার মনটা যে খারাপ দেখেই বুঝে যাচ্ছে।তাকে মাশাল্লাহ লাগছে।একদম তার মায়ের মতো।আদৃত হালকা কাশি দিয়ে রুমে ঢুকে।জাহান তার বাবাকে দেখেতার দুহাত বারিয়ে দেয় কোলে উঠার জন্য।

আদৃতঃআমার মা টার মন খারাপ কেনো?
জাহানঃকই বাবা মন খারাপ নাতো।
আদৃতঃমায়ের কথা খুব মনে পড়ছে না আজকে?
জাহান আর কিছু না বলেই কান্না শুরু করে দেই।আদৃত জাহানকে থামাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।আমি গেঁটে দাঁড়িয়ে সব দেখছি।(হো জান্নাত মরেনি?।সত্যি করে বলেন কে কে মনে মনে জান্নাতকে মেরে ফেলছিলেন)
আমিঃএতোই যখন মনে পড়ে জোর করে পাঠানোর কি দরকার ছিল?
আমার কণ্ঠ শুনে আদৃত আর জাহান পিছনে ঘুরে তাকায়।দুইজনেই যেনো ভূত দেখে ফেলেছে।এমন অবস্থা।আদৃত তো স্ট্যাচু। জাহান দৌড়ে এসে আমাউ জড়িয়ে ধরে বলে,

জাহানঃআম্মু তোমার না ফ্লাইট ক্যান্সেল হয়েগিয়েছিল।তাহলে?
আমি মুচকি হেসে বললামঃবাপ বেটি মিলে আমাকে নিজের মেয়ের জন্মদিনের আয়োজন না করতে দিয়ে জোর করে থাইল্যান্ড পাঠালে বেস্ট ডিজাইনার এর পুরস্কার নিতে।তাই আমিও একটু মজা করলাম।
জাহানঃতুমিও না জানো কত্তো মিস করেছি তোমায়।( জাহান এখন মোটা মুটি ভালোই কথা বলতে জানে যেন পাক্না বুড়ি)
আমি আর কিছু না বলে আয়নার সামনে থেকে কাজলটা নিয়ে মেয়ের কানের নিচে দিয়ে দিই যেনো মেয়ের নজর না লাগে।নিজের রুমের দিকে যাই রেডি হতে।মেয়ের জন্মদিন বলে কথা।
সেইদিন রায়হান কিভেবে রিভলবারটা মাথা থেকে নামিয়ে নেই।বেশ অবাক হয় তার কাজে আমি।তখনই শুনি মেয়ে কাঁদছে।আমি হাত মোড়াতে থাকি।তখনই কেউ এসে আমার হাত খুলে দেই।উঠে দাঁড়িয়ে দেখি প্রান্ত ভাইয়া।আমি চমকে বলে উঠি,
আমিঃভাইয়া আপনি?

প্রান্তঃকি ভেবেছিলে বোন বিপদে আর ভাই আসবে না।যখন তোমার রুমের দিকে এই লোক যাই তখনই সব জেনে যাই আমি।বাট একে ফলো করি।এইখানেই ছিলাম সঠিক সময়ের অপেক্ষায়।এই অসভ্য তোমায় গুলি করার আগেই আমার হাতে মরত।তুমি যাও জাহানের কাছে।
আমি গিয়ে জাহানকে কোলে নিয়ে সামলাতে থাকি।আদৃতের হাতও খুলে দেই প্রান্ত ভাইয়া।আমি রায়হানের দিকে তাকিয়ে দেখি সে গান হাতে নিচে তাকিয়ে।সে সেই অবস্থাতেই বলে,

রায়হানঃপাগল হয়ে গিয়েছিলাম আমি জান।ওই হৃদিতার অন্ধ প্রেমে আমাদের গল্পটাকেই ভুলে গিয়েছিলাম।সব ভুলে গিয়েছিলাম।অর্থ,সম্পত্তির লোভে আমার জীবন নামক তোমাকেই ছেড়ে দিয়েছিলাম।কষ্ট দিয়েছিলাম।বাসা থেকে বের করে দিয়েছিলাম।আজ খুন করতে যাচ্ছিলাম তোমায়।সত্যিই বললে কেন যেন সেইদিন বাসে তোমায় দেখলাম।তোমাকে শেষ করে দিলাম আমি।(কানছে আর বলছে।আর আমি চুপ করে অবাক হয়ে শুনছি)তুমি চিন্তা করো না জান্নাত এই শাস্তি পাবোই।দেবোই নিজেকে শাস্তি।(আদৃতের দিকে তাকিয়ে বলে)খেয়াল রেখো আমার কলিজাটার আর আমার জানটার।
রায়হান আর এক মূহুর্ত নষ্ট না করে রিভলবার দিয়ে নিজেই নিজেকে স্যুট করে দেই।আমি নির্বাকের মতো পিছিয়ে যাই।আদৃত এসে আমায় ধরেন।তারপর নিজেকে সেইদিন বিছানায় পেয়েছিলাম।

স্বামী পর্ব ১৩

হঠাৎ করে ঘাড়ে কারো স্পর্শ অনুভব করি।আদৃত এসেছে।
আদৃতঃগোলাপি শাড়িতে আজও তোমায় আগের মতোই লাগে।
আমিঃআচ্ছা আদৃত আমার মেয়ের ভাগ্যটাও কি আমার মতো এতো ভালো হবে।
আমার এমন প্রশ্নে আদৃত ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে পড়ে।আমার দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে বলে,
আদৃতঃতুমি ঠিক আছো তো জান্নাত?

আমিঃজানিনা আদৃত খুব ভয় হচ্ছে।আমার মেয়েও কি আমার মতো সুখী হবে?
আদৃতঃহবে না কেনো জান্নাত?সবই তো ভাগ্যের খেলা।ভাগ্যে যতটুকু সুখ থাকে সব টুকুই আদায় হয়ে যায়।
আমিঃআমার ভাগ্যে সুখটা তুলনামূলক বেশি তাই তো তোমায় পেয়েছি।
আদৃতঃপেয়েছি তো আমিও তোমাকে।জানো জান্নাত ভাগ্য জিনিসটা বড়ই অদ্ভুত।কার ভাগ্য যে কখন কি মোড় নেই কেউ জানে না।কখনো ভালো তো কখনো খারাপ।
আমিঃকে জানতো যে তুমি ছিলে এই ভাগ্যে লেখা।আজও তোমায় অনেক ভালোবাসি।
আদৃতঃআমি যে সবসময় শুধু তোমায় ভালোবাসি।যেদিন তোমায় আমার করে পাই সেইদিনিই বুঝি যে সবারটা ভাগ্য হলেও আমারটা সৌভাগ্য।

( লেখাঃপারভেজ ইসলাম ) এই লেখিকার আরও লেখা গল্প পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন এই গল্পের সিজন ২ পড়তে চাইলেও এখানে ক্লিক করুন

1 COMMENT

Comments are closed.