হীরকচূর্ণ ভালোবাসা পর্ব ২৪

হীরকচূর্ণ ভালোবাসা পর্ব ২৪
রাউফুন

কলিংবেলের শব্দ পেয়ে গা-ছাড়া ভাব দূরে ঠেলে উঠে বসে তুলিকা৷ পুনরায় কলিংবেল বেজে উঠতেই সে পীপহোলে চোখ রাখলো কে এসেছে দেখার জন্য। মুহুর্তের মধ্যে মন টা খুশিতে নেচে উঠে তার। চমৎকার একটা হাসি দিয়ে দরজা খুলে দিলো তুলিকা।

‘আশু, নীতি ভাবি আপনারা? কেমন আছেন আপনারা?’
‘কি রে জল এতো দূর গড়িয়েছে আর আমাদের জানালি না পর্যন্ত? কি কথা ছিলো প্রতি মুহুর্তের খবর আমাদের জানানোর কথা ছিলো তাই না?’
‘আরে আশু তোরা কি বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকবি ভেতরে আয়!’

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

‘নাহ আমরা ভেতরে যেতে আসি নি। ভীষণ অভিমান হয়েছে আমাদের।’ বললো নীতি।
‘কিন্তু ভাবি আমি কি করেছি?’
‘সেটা তো তুমিই ভালো জানো।’
‘আরে ভাবি, আশু আয় না ভেতরে!’
আশফি আর নীতি ভেতরে গিয়ে সরাসরি তুলিকার ড্রেস ভরে নিলো তাদের আনা ব্যাগে। তুলিকা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো।

‘আরে কি হয়েছে আশু? আমার কাপড় কেন ব্যাগে তুলছিস?’
‘কেন আবার! তুই আজকে এক্ষুনি আমাদের সঙ্গে আমাদের বাড়ি যাচ্ছিস!’
‘মানে? কি বলছিস এসব?’
‘সব তোকে জানতে হবে না।’
‘কিন্তু মাইজিনকে বলে যায়। সে চিন্তা করবে তো!’
আশফি ফোন কে’ড়ে নিয়ে বেরিয়ে এলো। ঘরের দরজা বন্ধ করে তুলিকাকে এক প্রকার জোর করেই তাদের সঙ্গে নিয়ে গেলো।

আজকে মাইজিন অফিস থেকে কাজ সেরে প্রায় দশটা নাগাদ বের হলো। এখনো অব্দি তুলিকার কোনো ফোন আসেনি ভেবেই চিন্তায় মাথা ভোঁ ভোঁ করছে। মাইজিন কাজের ব্যস্ততায় ফোন দেওয়ার সময় পাইনি। সে ফোন বের করে কল করতে যাবে তুলিকাকে সেই মুহুর্তে আশফির কল আসে। সে রিসিভ করে।
‘হ্যালো!’

‘হ্যালো মাইজিন ভাইয়া আপনি সরাসরি আমাদের বাড়িতে চলে আসুন। মিষ্টি আর তুলিকা আমাদের এখানেই আছে।’
মাইজিন ভ্রুক্ষেপহীন ভাবে ভ্রু উঁচু করলো। বললো,
‘তুলিকা তোমাদের বাড়ি ভাবি? যাওয়ার আগে একবারও বললো না যে!’
‘আহা আসুন না মশাই।’

মনে মনে ভীষণ অভিমান হলো মাইজিনের। তুলিকা তাকে না জানিয়ে এভাবে কিভাবে যেতে পারে? একটা কল করে অন্তত জানাতে পারতো। সে যেতে যেতে সারে এগারোটা বেজে গেলো। ভীষণ টায়ার্ড সে। ওখানে যেতেই সাইমুম আর নীরব তাকে কোনোদিন রকম বাক্য বিনিময় করতে না দিয়েই ঠেলে অন্য একটা রুমে নিয়ে যায়। তাকে নতুন বরের বেশে সাজিয়ে দিলে সে হতভম্ব হয়ে যায় পুরো বিষয়টাতে।

‘কি হচ্ছে এসব?’ শুধাই মাইজিন।
‘কিছু না। চল আমাদের সঙ্গে!’
সাইমুম আর নীরব মাইজিনকে ধরে নিয়ে আসে।
দরজার সামনে মিষ্টি, আশফি, নীতি, এমন কি নাফিসসহ দাঁড়িয়ে আছে। তারা সমস্বরে চিৎকার করে বলে উঠে, ‘টাকা ছাড়ুন বউ দেখুন!’
মাইজিন কিছুই বুঝতে পারে না। বোকা বোকা চোখে তাকিয়ে থেকে কোনো রকম গড়িমসি না করেই পুরো মানি ব্যাগ ধরিয়ে দেই ওঁদের হাতে। তারা আবারও সমস্বরে বলে উঠে, ‘ ওহোহো! বউ দেখার এতোই তাড়া! কিয়া বাত হে কিয়া বাত হে!’

দরজা ছেড়ে দিয়ে মাইজিনকে ধা’ক্কা দিয়ে ভেতরে পাঠিয়ে দেই তারা। ঘর পুরোপুরি অন্ধকার। কিছুই দেখার জো নেই। সে অন্ধকারে হাতড়ে রুমের লাইট জ্বালিয়ে দিলো। পুরো ঘরটা দেখে সে একদম চমকে যায়। পুরোটা রুম রেড আর হোয়াইট অর্কিড দিয়ে সাজানো। রুম জুড়ে ক্যান্ডেল জ্বালানো আর গোলাপের সুগন্ধিতে মোঁ মোঁ করছে। পুরো রুমে কোথাও তুলিকাকে পেলো না মাইজিন।

সে তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে বারান্দায় গেলো। সেখানে গিয়ে সে যেনো থমকে গেলো। একজন নজরকাঁড়া বিমোহিত নারীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। তার সমস্ত শরীরের লোমকূপ দাঁড়িয়ে যায় মুহুর্তের মধ্যে। তুলিকাকে দেখে এই মুহুর্তে মনে হচ্ছে কোনো অপ্সরী নেমে এসেছে ধরনীতে। সে হরিনী পায়ে এগিয়ে গেলো নিজের স্ত্রীর কাছে।
তার পায়ের শব্দ পেয়ে তুলিকা তার দিকে ফিরে তাকাই। সেই মুহুর্তে মনে হয় তার হার্টবিট যেনো কয়েকশো গুণ বেড়ে গেছে। তুলিকা মাথা নিচু করে বলে,

‘আ’আ’সলে ওঁরা এমন জ্বালাচ্ছিলো আমাকে। আপনাকে জানাতে চেয়েছিলাম এখানে আসার আগে। কিন্তু আশফি জানাতে দিলে তো!’
‘জানালে কি এমন একটা চাঁদকে দেখতে পেতাম।’
মাইজিনের ঘোর লাগা দৃষ্টি। চাঁদের আলো এসে সোজা তুলিকার মুখে মেখেছে। কি স্নিগ্ধ লাগছে তাকে। সে বিভোর হয়ে গেছে তাকে দেখে৷ চোখ যেনো সরছেই না। বড্ড অবহেলায় তুলিকা অন্য দিকে ফিরলো। মাইজিনের এমন চাহনী না পারছে সইতে আর না পারছে উপেক্ষা করতে।

‘আপনার ঠিক কেমন অনুভুতি হচ্ছে জানি না। আমার ঠিক কেমন অনুভূতি হচ্ছে জানেন? ভেতরটা খরার মতো তুখোড় হয়ে যাচ্ছে। আপনার এই বিমোহিত করা রুপে আমার নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে তুলিকা সেটা কি আপনি বুঝতে পারছেন না? আমার ভারী নিঃশাসের শব্দ কি আপনি শুনতে পাচ্ছেন না তুলিকা?’
মাইজিনের ঘোর লাগা কথায় তাকালো তুলিকা। আবার অস্বস্তিতে বিমুঢ় হয়ে দৃষ্টি নামিয়ে নিয়ে বলল,’আজ তুমি বলুন না হয়। আ-আপনি থাক!’

হুট করেই মাইজিন এক অজানা কারণে নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেসামাল হয়ে গেছে। মাইজিন তুলিকার কানে হাত দিলে খানিকটা কেঁপে উঠলো সে। মাইজিন তার ভে’জা ঠোঁটের স্পর্শ এঁকে দিলো তার কানের লতিতে। কানের দুল খুলে ফিসফিসিয়ে বলল,

‘ঠিক কেমন অনুভুতি হচ্ছে জিজ্ঞাসা করো না! শুধুই মন্জুর করো আমাকে মিসেস সুলতান!’
এই দম বন্ধ করা মুহুর্তে জমে গেছে তুলিকা। মাইজিন নিজেকে তুলিকাতে ব্যস্ত রেখেই বললো,
‘তুমি এতো বড় একটু অন্যায় করলে কিভাবে আমার সঙ্গে?’
তুলিকা এক ঝলক মাইজিনের দিকে অবাক হয়ে তাকাই। মাইজিন মুচকি হেসে উঠলো। বলল,

‘তোমার এই ঝুমকো, চুড়ি, টিকলি, মাথায় দিয়ে রাখা ঘোমটা, এই যে মাথার মুকুট চুলগুলোর উপর আসন নিয়েছে, তোমার বিমোহিত করা রুপে এসবের জায়গা নেওয়াই আমার যে খুব হিংসা হচ্ছে! হিংসাত্মক তৎপরতা থেকে এইসবের উপর দৃষ্টি চলে যাচ্ছে আমার! এসব কিছু যে আমাকে বড্ড ডিস্টার্ব করছে। মন চাচ্ছে কি জানো? এই সবকিছুই আমি কেন হলাম না? তবে হইতো ওঁদের আগে আমি তোমাকে স্পর্শ করে থাকতাম। এটা কি অন্যায় হয়নি তোমার বলো? তাই এসব খুলে ফেলাই উচিত। মুকুটটা তোমার চুলের উচ্ছ্বলতায় ভর করে ছিলো। এই মুকুটের কি অধিকার আছে আমার বউয়ের চুলের উপর আধিপত্য বিস্তার করার?বলো?’

‘ভাবি আর আশু এসব***!’
মাইজিন ওর ঠোঁটে নিজের আঙুল ছুঁইয়ে দিয়ে ওঁকে বলতে বারন করলো। তার সমস্ত জুয়েলারি খুলে দিয়ে বলল,
‘ওই যে চাঁদ, এই চাঁদের আলো তোমার গায়ে মাখছো, আমি চাঁদ হলাম না কেন বলো তো? ওই চাঁদের আলোয় দৃষ্টির কঁম্পন থেকে আমাকে দৃষ্টিচ্যুত করতে বাধ্য করেছে বিশ্বাস করো! আমার চাঁদকে হিংসা হবে না বলো?’

তুলিকা কিঞ্চিত ঘাড় ঘুরিয়ে নিলো। মাইজিনের উষ্ণ নিশ্বাস চোখে মুখে লাগছে তার। পা’গ’ল পা’গ’ল লাগছে নিজেকে। মাইজিন একহাতে ওর কোমড় জড়িয়ে ধরলো। কপালে পরে থাকা চুলগুলো কানে গুজে দিয়ে বললো, ‘তপ্ত ধারাই এই পুরো তুমিটাতে শুধুই আমার অধিকার আছে। তোমার সৌন্দর্য একমাত্র এই মাইজিন সুলতানের তরে। শুধুই আমার তরে বুঝলে?’

একপলক চোখ তুলে তাকালো তুলিকা মাইজিনের পানে। তার মুখে তৃপ্ততার হাসি। তার চোখের দিকে তাকিয়ে আস্তেধীরে মাথা উপরনিচ করলো তুলিকা। যার মানেটা হচ্ছে সে বুঝেছে। মাইজিন মুচকি হেসে তার একগালে হাত রেখে এগোচ্ছিলো তার ঠোঁটের কাছে। সেই সুযোগ টুকো না দিয়ে তার পাঞ্জাবী খামচে ধরে তার বুকে মুখ লুকালো তুলিকা। মাইজিন কিছুক্ষন থেমে থেকে ওকে কোলে তুলে নিলো। ঘটনার আকস্মিকতায় বড় বড় চোখে তাকালো তুলিকা!মাইজিন বললো,
‘আর ইউ রেডি গেটিং টুগেদার উইদ মি মিসেস সুলতান?’

তুলিকা পুরোই বোকাবনে গেলো এমতা প্রশ্নে। এই মানুষ টাকে সে ভেবেছিলো পুরো নিরামিষ প্রাণী। কিন্তু এখন দেখছে সে সব দিক দিয়ে এক্সপার্ট। আর এখন কিভাবে সবটা তার দিকে তাক করলো। ওর চাওয়া মানে কি? সে কি চাইছে না? তুলিকাকে ওভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে মাইজিন সামনে তাকিয়েই হাঁটতে হাঁটতে বললো, ‘তোমার এই চাহনিতে কি ধরে নেবো? তুমি রাজি?’

প্রশ্নটা শুনেই লজ্জায় নুইয়ে গেলো তুলিকা। আরো শক্ত করে মাইজিনের গলা জড়িয়ে ঘাড়েই মুখ গুজে মিশে যেতে লাগলো ওর বুকের মাঝে। এ রাত লজ্জার! এ রাত ভালোবাসার!
‘আমার লাজুকলতার সকল চাওয়া শিরধার্য!’

বাতাসে পুষ্পের পরাগ ভাসন্ত। কৃষ্ণচূড়ার শেষপ্রান্তে এক চড়ুই পাখির দল কিচিরমিচিরে মশগুল। আজকে মাইজিনের আগে তুলিকার ঘুম ভেঙেছে। কতটা নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে মানুষটা। সে ত্রস্ত পায়ে বিছানা থেকে নামতে নিলে মাইজিন তার হাত আঁকড়ে ধরলো। টেনে নিজের কাছে এনে তুলিকার পে’টে মুখ গুজে দিলো। কেঁপে উঠলো তুলিকা৷ শ্লথ কন্ঠে বললো,
‘কি হচ্ছে টা কি? ক’টা বাজে খেয়াল আছে? আমাকে এক্ষুনি ফ্রেশ হতে হবে।’

‘আগে আমার সকালের পাওনা টা আদায় করি!’
‘আবার সকালের পাওনা কিসের!’
‘দেখাচ্ছি!’

মাইজিন আলতো করে তার ঠান্ডা ঘ্রান্দ্রেয়ীও তুলিকার পে’টে ঘসে। টুপ করে চুমু দিয়ে তুলিকাকে ছেড়ে দেই। তুলিকা কতক্ষণ জমে থেকে দৌঁড়ে উঠে ওয়াশরুমে চলে যায়।
ফ্রেশ হয়ে কোনো রকমে শুকনো ওড়না পেঁচিয়ে তুলিকা বাইরে বের হয়৷ সে তো ভুলে কোনো পোশাক ই নিয়ে যায়নি। ওয়াশরুমে ওড়না ছিলো সেটাই পেচিয়ে বেরিয়ে এসেছে সে। ততক্ষণে মাইজিন উঠে বসে ল্যাপটপে কিছু একটা করছিলো। মাইজিন ল্যাপটপে মুখ গুজে আছে দেখে সে স্বস্তি পেয়ে শাড়ী বের করলো। হাতে নিয়ে নত মস্তকে দাঁড়িয়ে থাকে। মিন মিন করে বললো,

‘আপনি একটু বাইরে যান না? আমি শাড়ী চেঞ্জ করবো।’
‘আমার সামনেই করো! সমস্যা কই?’
‘আ-আপনার সামনে ক-কি করে হ-হবে?’
‘তুমি চেঞ্জ করতে পারো আমি তাকাবো না তোমার দিকে।’
‘আপনি যান না বাইরে। ওয়াশরুম ভেজা শাড়ি ভিজে যাবে তাই রুমে পরছি।’
মাইজিন ভ্রুকুচকে চাইলো! বলল, ‘আমি তো বললাম তাকাবো না। বিশ্বাস করো না আমায়?’
‘আর যদি তাকান তখন?’

মাইজিন বিছানায় বসে পায়ের উপর পা তুলে নাটুকে ভঙ্গিমায় আরেকবার শুধালো, ‘কেন আমায় বিশ্বাস করো না?’
তুলিকার চোখের পাতা কেঁপে উঠলো। উক্ত প্রশ্নের উত্তরে ঠোঁট নাড়িয়ে কিছু বলতে চেয়েও পারলো না। দৃষ্টি নামালো। হাতের শাড়িটা মুঠোয় আঁকড়ে অবনত মস্তকে দিকভ্রান্ত হয়ে নজর ঘুরাতে লাগলো মেঝেতে। বুঝা যাচ্ছে সে মারাত্মক মুশকিলে পরলো যেনো এই প্রশ্নে।

‘কি হলো বলো তুলিকা বিশ্বাস করো না আমায়?’
তুলিকার মুখটা শুকিয়ে গেলো। ঢোঁক গিলে জমে যাওয়া দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো ওঁ। অসার হয়ে উঠলো হাত পা। কোনো রকম জবাব দিলো, ‘হ্যাঁ ক-করি!’

মাইজিন নীরব হাসলো। ফিচেল গলায় বলল, ‘এতো লজ্জা পাচ্ছো কেন? কাল তো তোমার শাড়ি থেকে শুরু করে সব আমিই খুললাম। মানে তোমার ওই শাড়ির পিন। অবশ্য তুমি চাইলে তুমিই সব খুলে টুলে আমার জন্য অপেক্ষা করতে পারতে । কিন্তু তা করো নি! কেন? নাকি তুমি চাইছিলে আমি এসে–!
‘আশ্চর্য! আমি কেন চাইবো!’ বলেই বিস্ফোরিত চোখে চেয়ে রইলো তুলিকা!
‘তা হলে খু’লে অন্য পোশাক পরো নি কেন?’

ভারি অপ্রস্তুত হলো তুলিকা। সজাগ হলো মন, মস্তিষ্কে গতরাতের অতিব ঘনিষ্ঠ মুহূর্তগুলো। মুহুর্তের মধ্যে সে মিইয়ে গেলো। অনুরণিত হলো তার চোখের তারা। কঠোরভাবে অনুভূতি প্রকাশে অনিচ্ছুক মেয়েলি মনটাও গুটিয়ে গেল লজ্জায়৷ রক্তিম বর্ণ ধারণ করলো গাল দুটো। অতঃপর উপায়ন্তর না পেয়ে সে দৌঁড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো। বুকের কাছের প্রণয়ের চিহ্নে নজর পরতেই শরীর বিবশ, বিমুঢ় হয়ে এলো তার। আর তাকিয়ে থাকতে পারলো না সে। সলজ্জে চোখদু’টি সরিয়ে ফেললো ওঁ। ঠোঁটের কোণে লাজুক হাসি ঠাঁই পেতেই বিরবিরিয়ে আওড়ালো,
‘কালকে রাতের পর থেকে বেহায়া হয়েছে লোকটা একেবারেই!’

হীরকচূর্ণ ভালোবাসা পর্ব ২৩

আজকে সবার সুন্দর সুন্দর মন্তব্যের আশায় রইলাম। আজকে অনেক বড় করে দিয়েছি আর সময়ের আগেই দিয়েছি। যদি আপনার সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করেন বোনাস দিবো আজকে।🥱

হীরকচূর্ণ ভালোবাসা পর্ব ২৫