অতঃপর প্রেমের আগমন সিজন ২ পর্ব ১৯

অতঃপর প্রেমের আগমন সিজন ২ পর্ব ১৯
ইরিন নাজ

পেরিয়ে গেছে আদ্রিশ-আয়ানার একত্রে পথচলার আরও তিনটি মাস। বেশ সুন্দর ভাবেই চলছে আদ্রিশ-আয়ানার সংসার। ভালোবাসার কোনো কমতি নেই তাদের সম্পর্কে। যদিও ব্যস্ততা বেড়েছে দুজনেরই। পড়াশোনা, কোচিং ক্লাসেস নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে আয়ানা।

আদ্রিশ ও আগের তুলনায় অধিক ব্যস্ত থাকে এখন। চিকিৎসার হাত ভালো হওয়ায় বেশ দ্রুতই সুনাম অর্জন করছে সে। ফলে পেশেন্ট এর পরিমান আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে, সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যস্ততাও। এই যেমন আজ ছুটির দিন হলেও আদ্রিশের কোনো ছুটি নেই। এমন কি লাঞ্চ করতেও আসবে না সে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

যেহেতু আয়ানার ছুটি তাই সে ঠিক করেছে হসপিটালে গিয়ে আদ্রিশ কে সারপ্রাইজ দিবে। যেমন চিন্তা, তেমন কাজ। ঝটফট আদ্রিশের পছন্দের খাবার রান্না করে ফেললো আয়ানা। এরপর শাওয়ার নিয়ে আদ্রিশের উপহার দেয়া কালো রঙের শাড়ি টা সুন্দর করে পড়ে ফেললো।

এই তিন মাসে শাড়ি পড়ার সাথে সাথে শাড়ি সামলানোটাও শিখে নিয়েছে আয়ানা। আদ্রিশের জন্য প্রায়শই শাড়ি পড়ে সে। শাড়ি পরিহিতা আয়ানার দিকে আদ্রিশ যখন মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে তখন অনেক ভালো লাগে আয়ানার। লাজুক হেসে আদ্রিশের চোখে নিজের জন্য একরাশ মুগ্ধতা দেখে সে, মুহূর্ত টা খুব উপভোগ করে। তাই তো আজ ও সুযোগ বুঝে শাড়ি পড়েছে সে। হিজাব পড়ে সম্পূর্ণ রেডি হয়ে অনু বেগমের রুমে উঁকি দিলো আয়ানা। আয়ানা কে দেখে হাসলেন অনু বেগম। কাছে ডাকলেন। আয়ানার গালে হাত ছুঁয়িয়ে বললেন,

— “মাশাআল্লাহ। অনেক সুন্দর লাগছে আমার মেয়েটাকে।”
অনু বেগমের কথায় আলতো হাসলো আয়ানা। উনার হাতে হাত ছুঁয়িয়ে বললো,
— “ধন্যবাদ আম্মু। এবার আমি তাহলে আসি?”
আয়ানার কপালে চুমু খেলেন অনু বেগম। মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলেন। আয়ানা হেসে বেরিয়ে পড়লো আদ্রিশের হসপিটালের উদ্দেশ্যে। আয়ানার যাওয়ার পানে চেয়ে রইলেন অনু বেগম। আপনমনে হাসলেন উনি। আদ্রিশ, আয়ানা কে মেনে নিয়েছে আর দিনদিন তাদের সম্পর্ক টা গভীর, সুন্দরতম হচ্ছে ভেবে খুশি হলেন উনি।

হসপিটালে পৌঁছানোর পর খুব একটা সমস্যার মধ্যে পড়তে হলো না আয়ানা কে। অনু বেগম আগেই রিসেপশনিস্ট কে ফোন করে জানিয়ে দিয়েছিলেন আয়ানার হসপিটালে যাওয়ার কথা। তাই আয়ানা পরিচয় দেয়া মাত্র উনি একজন কর্মচারী কে ডেকে আদ্রিশের রুম টা দেখিয়ে দিতে বললেন। লোকটা আয়ানা কে আদ্রিশের রুম টা দেখিয়ে দিয়ে বললো,

— “ম্যাডাম আপনি ভিতরে গিয়ে বসুন। স্যার তার পেশেন্টদের চেক করতে গিয়েছেন। চলে আসবেন কিছু সময়ের মধ্যে।”
আয়ানা সম্মতি জানিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলো। আজ প্রথম আদ্রিশের হসপিটালে এসেছে সে। খাবারের বক্স টা টেবিলের উপর রেখে ঘুরে ঘুরে রুম টা দেখতে লাগলো আয়ানা। ছোট রুম হলেও বেশ পরিপাটি, সুন্দর করে গুছানো। আদ্রিশের প্রতিটা জিনিস ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখতে লাগলো সে।

এক পর্যায়ে আয়ানার নজর আটকালো আদ্রিশের এপ্রোনের উপর। আলতো করে এপ্রোন টা উঠিয়ে নিলো সে, হাত বুলিয়ে ঘ্রাণ নিলো। কিছু একটা ভেবে দুষ্টু হাসলো আয়ানা। আদ্রিশের এপ্রোন টা গায়ে জড়ালো সে। আদ্রিশ সুঠাম দেহী এবং লম্বা হওয়ায় এপ্রোন টা বেশ বড় আর ঢোলা হলো আয়ানার।

নিজের দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেসে ফেললো সে। এপ্রোন পড়েই আদ্রিশের চেয়ারে বসলো আয়ানা, আদ্রিশের মতো ভাব নেয়ার চেষ্টা চালালো। আরও কিছু সময় এসব উল্টোপাল্টা এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে শান্ত হলো সে। এপ্রোন টা খুলে আবার জায়গা মতো রেখে দিলো। ভাবতে লাগলো আদ্রিশ যদি তার এসব উল্টোপাল্টা কারসাজি দেখতো তাহলে কেমন রিএক্ট করতো! নিশ্চিত তাকে ভীষণ লজ্জা দিতো!

দরজা খোলার শব্দে ভাবনা ত্যাগ করে নড়েচড়ে দাঁড়ালো আয়ানা। আদ্রিশ কে ভেতরে প্রবেশ করতে দেখে ধীর কণ্ঠে সালাম দিলো। হঠাৎ পরিচিত মেয়েলি কণ্ঠে সালাম শুনে থমকালো এবং চমকালো আদ্রিশ। ফট করে মাথা উঁচু করে সামনে তাকালো সে। মুখ দিয়ে আপনাআপনি বেরিয়ে আসলো,
— “ওয়ালাইকুমুস সালাম।”

অতঃপর নীরবতা। নিঃশব্দে অপলক আয়ানার দিকে তাকিয়ে আছে আদ্রিশ। চোখে মুখে তার একরাশ মুগ্ধতা। আদ্রিশ কে ওভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে মাথা নিচু করে লাজুক হাসলো আয়ানা, হালকা করে গলা খা’কা’রি দিলো। ধ্যান ভ’ঙ্গ হলো আদ্রিশের। কাল বিলম্ব না করে আয়ানার নিকট এগিয়ে আসলো সে। আলতো হাতে আয়ানার কোমর জড়িয়ে ধরলো। চোখে চোখ রেখে শুধালো,

— “আজ হঠাৎ কি মনে করে হসপিটালে আসলেন, কারণ টা কি জানতে পারি ম্যাম?”
— “আপনি তো লাঞ্চ করতে আসলেন না। তাই আপনার জন্য খাবার নিয়ে এসেছি স্যার।”
আদ্রিশের কথায় তাল মিলিয়ে মজার ছলে বলে উঠলো আয়ানা। ঠোঁট কা’ম’ড়ে হাসলো আদ্রিশ। বললো,
— “উম, তা শুধু খাবার নিয়ে আসাটাই বুঝি একমাত্র উদ্দেশ্য ছিলো? নাকি আমাকে মিস করছিলে, ছুটির দিনে আমাকে ছাড়া ঘরে মন বসছিলো না?”

আদ্রিশের কথায় লজ্জা পেলো আয়ানা। আসলেই তো তার ভালো লাগছিলো না আদ্রিশ কে ছাড়া। তাই রান্না করে খাবার নিয়ে চলে এসেছে হসপিটালে, যাতে আদ্রিশের সাথে একটুখানি হলেও সময় কা’টা’তে পারে, আদ্রিশের কাছাকাছি থাকতে পারে।
আয়ানা কে লজ্জায় লাল হতে দেখে মজা পেলো আদ্রিশ। আরেকটু লজ্জা দিতে বললো,

— “কি হলো বউ, জবাব দিলে না যে? তার মানে আমি যা বলেছি তাই সঠিক! তোমার আমাকে ছাড়া ভালো লাগছিলো না, আমাকে মিস করছিলে তাই না?”
লজ্জা লুকাতে কপাট রা’গ দেখালো আয়ানা। আদ্রিশের বুকে হালকা কি’ল বসিয়ে বলে উঠলো,
— “ধ্যাৎ…”

সশব্দে হেসে উঠলো আদ্রিশ। আদ্রিশ কে হাসতে দেখে নাক ফুলালো আয়ানা। নিজেকে আদ্রিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে বলে উঠলো,
— “যান, যান, ফ্রেশ হয়ে আসুন। আমি খাবার বের করছি।”
আদ্রিশ, আয়ানা কে ছেড়ে বুকের বাম পাশে ইশারা করে বললো,

— “এভাবে জান বলে না বউজান, এখানে লাগে তো!”
হতবাক হয়ে আদ্রিশের দিকে তাকিয়ে রইলো আয়ানা। থতমত খেয়ে বলে উঠলো,
— “আমি আপনাকে জান বললাম কখন?”
— “এই যে এইমাত্র আবার বললে…”

স্লো ভয়েসে বললো আদ্রিশ। আদ্রিশের জবাবে মুখ টা হা হয়ে গেলো আয়ানার। আয়ানার মুখের অবস্থা দেখে ভীষণ হাসি পেলো আদ্রিশের। মুখ টা অন্যদিকে কা’ত করে হাসলো সে। আয়ানা কে হতভম্ব অবস্থায় রেখেই চলে গেলো ফ্রেশ হতে। থম মে’রে দাঁড়িয়ে রইলো আয়ানা। কয়েক সেকেন্ড অতিবাহিত হতেই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলো সে। আদ্রিশের পা’গ’লা’মির কথা ভেবে মাথা ঝাকিয়ে নিভৃতে হাসলো। বিড়বিড়িয়ে বললো,

— “আমার অ’স’ভ্য ডাক্তার সাহেব।”
অতঃপর একে একে সব খাবার বের করে প্লেটে সাজাতে লাগলো।

খাবারের প্লেটে নিজের পছন্দের সব খাবার দেখে খুব খুশি হলো আদ্রিশ। স্মেল নিয়ে বুঝতে পারলো সবগুলো খাবার ই আয়ানা রান্না করেছে। আদ্রিশ খাবার মাখতে মাখতে ছোট করে বললো,
— “ধন্যবাদ বউ।”

আয়ানা বুঝে নিলো আদ্রিশের ধন্যবাদ বলার কারণ। আলতো হাসলো সে। আদ্রিশ খাবার মেখে প্রথম লোকমা আয়ানার মুখের সামনে ধরলো। না করলো না আয়ানা। মিষ্টি হেসে খাবার গ্রহণ করলো। আদ্রিশের হাতে খাওয়ার সুযোগ প্রায় প্রায়ই পায় সে। আর এই সুযোগ সে মোটেও হাতছাড়া করে না। স্বামীর হাতে খাওয়ার সৌভাগ্য ক’জন মেয়েরই বা হয়!

খাওয়া শেষ হতেই একে একে সবকিছু গুছিয়ে ফেললো আয়ানা। আদ্রিশ হাত ধুয়ে এসে আয়ানার মুখোমুখি দাঁড়ালো। একটু দুঃ’খী দুঃ’খী ফেস বানিয়ে বললো,
— “খাবার তো খেলাম বাট সুইট কিছু খাওয়া হলো না…”
আদ্রিশের এমন কথায় কিছুটা মন খা’রা’প হলো আয়ানার। সে দুঃ’খী কণ্ঠে বলে উঠলো,
— “বানাতে চেয়েছিলাম মিষ্টি কিছু কিন্তু সময় ছিলো না।”

আয়ানা কে দুঃ’খী হতে দেখে মিটিমিটি হাসলো আদ্রিশ। কোমর আঁকড়ে ধরে এক টা’নে নিজের কাছে নিয়ে আসলো আয়ানা কে। আদ্রিশের হঠাৎ আ’ক্র’ম’ণে ভড়কালো আয়ানা। চোখ বড় বড় করে চাইলো আদ্রিশের দিকে। আদ্রিশ দুষ্টু হেসে আয়ানার অধরের দিকে দৃষ্টি তা’ক করে বললো,
— “সুইট তো তোমার সাথে, তোমার কাছেই আছে। আমি কি অন্য কোনো সুইটের কথা বলেছি!”
কয়েক সেকেন্ড লাগলো আয়ানার আদ্রিশের কথার মানে বুঝতে। আদ্রিশের কথার মানে বুঝামাত্র মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে ফেললো সে। গাল ফুলিয়ে বিড়বিড় করে বললো,

— “অ’স’ভ্য লোক, সারাক্ষন মাথার মধ্যে অ’স’ভ্য, অ’স’ভ্য চিন্তা ভাবনা ঘুরে।”
আয়ানার ফুলে ওঠা গালে অধর চেপে শব্দ করে চুমু খেলো আদ্রিশ। কেঁ’পে উঠলো আয়ানা। পুনরায় বড় বড় চোখ করে চাইলো আদ্রিশের দিকে। আদ্রিশ পাত্তা না দিয়ে আয়ানার অপর গালেও চুমু খেলো। বললো,
— “বউ যদি কাছাকাছি থাকে তবে মাথার মধ্যে অ’স’ভ্য, অ’স’ভ্য চিন্তা ভাবনা ঘোরাটাই স্বাভাবিক নয় কি! তার উপর আমার বউ যেই কিউট, সুইট, গুলুমুলু! এতক্ষন যে নিজেকে সামলে রেখেছি এই তো ঢের।”

আদ্রিশের লাগামছাড়া স্পর্শ এবং কথা-বার্তায় লাজে রাঙা হলো আয়ানা। আয়ানার লাজে রক্তিমবর্ণ ধারণ করা মুখশ্রীর দিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে রইলো আদ্রিশ। গালে আলতো করে আঙুল ছুঁয়িয়ে নেশাক্ত কণ্ঠে বলে উঠলো,
— “আমার সুইট…”
আদ্রিশের মা’তা’ল করা কণ্ঠস্বর কাঁ’পি’য়ে তুললো আয়ানা কে। ঢোক গিললো সে। কাঁ’পা কাঁ’পা কণ্ঠে বললো,

— “এটা হসপিটাল, বাসা নয়।”
— “এটা আমার রুম, পারমিশন ছাড়া অন্য কারোর প্রবেশ নিষেধ।”
আয়ানার নাকে নাক ঘষে বললো আদ্রিশ। আর কোনো কথা খুঁজে পেলো না আয়ানা। চোখ বন্ধ করে ফেললো সে। আদ্রিশ, আয়ানার অধরে অধর স্পর্শ করতেই যাবে এমন সময় ডোর নক করলো কেউ। বিরক্তিতে কপাল কুঁচকে আসলো আদ্রিশের। আয়ানা তড়িঘড়ি করে আদ্রিশের কাছ থেকে খানিকটা দূরে সরে গেলো। আদ্রিশ কপাল কুঁচকে একবার আয়ানার দিকে আর একবার ডোরের দিকে তাকালো। বিরক্তির সাথেই নক করতে থাকা ব্যক্তি কে ভেতরে আসার অনুমতি দিলো সে। সঙ্গে সঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করলো একজন ওয়ার্ড বয়। বললো,

— “স্যার আপনাকে শাহাদাত স্যার ডেকেছেন। অল্প কিছু সময় আগেই একজন লোক কে গু’রু’তর আ’হ’ত অবস্থায় এখানে আনা হয়েছে। শীঘ্রই অপারেশন করতে হবে, অবস্থা খুব খা’রা’প লোকটার। শাহাদাত স্যার আপনাকে বি’র’ক্ত করতে চান নি, আলম স্যার কে ডাকতে বলেছিলেন। কিন্তু আলম স্যার কি এক জরুরী কাজে বেড়িয়েছেন। তাই না চাইতেও আপনাকে বি’র’ক্ত করতে হলো।”
ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেললো আদ্রিশ। বললো,

— “আচ্ছা ঠিক আছে। আপনি যান। আমি পাঁচ মিনিটে আসছি।”
লোকটা যাওয়ার পর আয়ানার নিকট এগিয়ে আসলো আদ্রিশ। মিনিট দুয়েক নিরবে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো আয়ানার দিকে। ফের বলে উঠলো,

— “তোমাকে আজ মারাত্মক সুন্দর লাগছে বউ। ঠিক কতোটা সুন্দর লাগছে আমি বলে বুঝাতে পারবো না। কিন্তু এতো অল্প দেখায় যে আমার মন ভরলো না! এখন যে আমায় যেতে হবে!”
আদ্রিশের মলিন মুখশ্রী দেখে খা’রা’প লাগলো আয়ানার। আদ্রিশের গালে আলতো করে হাত ছোঁয়ালো সে। অপর গালে অধর ছোঁয়ালো। আবেশে চোখ বন্ধ হয়ে আসলো আদ্রিশের। সরে আসলো আয়ানা। লাজুক কণ্ঠে বললো,

— “বাসায় ফিরে নাহয় মন ভরে দেখিয়েন আমাকে। আমি অপেক্ষায় থাকবো।”
নিঃশব্দে হাসলো আদ্রিশ। আয়ানার কপালে চুমু খেয়ে বললো,
— “সাবধানে যেও। বাড়ি ফিরে মেসেজ দিও।”
— “আচ্ছা, আপনিও সাবধানে থাকবেন। আসি তবে। আল্লাহ হাফেজ।”
— “আল্লাহ হাফেজ।”

আদ্রিশের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো আয়ানা। আদ্রিশ ও দেরি না করে চললো সিনিয়র ডক্টরের কাছে।

অতঃপর প্রেমের আগমন সিজন ২ পর্ব ১৮

(আস্সালামুআলাইকুম। বহুউউউ দিন পর গল্প দিলাম। ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে। ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।)

অতঃপর প্রেমের আগমন সিজন ২ পর্ব ২০