এক চিলতে রোদ পর্ব ৩৯ || Nondini Nila

এক চিলতে রোদ পর্ব ৩৯
Nondini Nila

ইহান কাঁদায় পরে গম্ভীর মুখ করে সবার দিকে তাকিয়ে আছে। আর সবাই ওকে নিয়ে মজা করে হাসছে। ওর এতো রাগ হচ্ছে কি বলবো?
রাগে কটমট করে সবার থেকে চোখ সরিয়ে ঊষার দিকে তাকালো। ইডিয়েট আমাকে দেখে হাসা হচ্ছে। রাগ করে তাকালেও ইহান নিজের রাগ বেশি সময় ধরে রাখতে পারলো না। পারবে কি করে। পারাটা ওর জন্য কষ্ট কর। কারন এখন ঊষা মন খুলে হাসছে ওর হাসির প্রতিটা শব্দ প্রতিধ্বনি ইহানের কানে গিয়ে বাজছে। কি মিষ্টি সেই আওয়াজ? ওর সমস্ত রাগ ঊষার হাসির মাঝে বিলীন হয়ে গেল। মনের মাঝে একটু রাগ অবশিষ্ট রইল না। হাসলে ঊষার চোখ দুটো ছোট ছোট হয়ে যায় কি মিষ্টি লাগে দেখতে?এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে সব করতে রাজি ইহান। আমি পরার জন্য যদিও ঊষা এমন প্রাণ খুলে হাসে। তাহলে এভাবে কাঁদা আমি হাজার বার পড়তে রাজি আছি।
এই মুখের হাসির জন্য আমি সব করতে রাজি।

আশেপাশের সবার মজার ছলের কথা শুনে ঊষার থেকে ধ্যান ফিরে এলো ইহানের।আর ঊষার এই সিগ্ধ মিষ্টি হাসিটা থামাতে হলো ধমক দিয়ে ইহানকে।না হলে এই মেয়ে আজ আর থামবেনা‌।আমার সমস্যা নাই কিন্তু সবাই কি ভাববে?
আমি মেন্টাল এর মতো কাঁদা বসে হা করে প্রেয়সীর হাসি দেখছি।
আচমকা ভাইয়া গম্ভীর গলায় ধমক খেয়ে আমি হাসি থামিয়ে ফেললাম ভয়ে। ভয়ার্ত চোখে তাকালাম ভাইয়ার দিকে তিনি গম্ভীর মুখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। তা দেখে ভয়ে শুকনো ঢোক গিললাম আমি।
এতোক্ষণ কি করছিলাম বুঝতে পেরে ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে এলো।
“মেন্টাল এর মতো হাসার কি আছে? একজন পরে গেছে আর কেউ সাহায্য না করে মজা নিচ্ছে।”
আমি কেঁপে উঠলাম কথা শুনে। ভাইয়ার কথা শুনে রিফাত ভাই এগিয়ে এলো আর সরি বলে হাত বাড়ালো কিন্তু ভাইয়া তার হাত ধরলো না।
বললো, “আপনি যান আমাকে ঊষা হেল্প করবে।”
ভাইয়ার কথা শুনে রিফাত ভাইয়া হেসে চলে গেলো‌। আমি জরোসরো হয়ে ভয়ার্ত মুখ করে দাঁড়িয়ে আছি। রিফাত ভাই যেতেই ভাইয়া বললো,
‘হাত বাড়া!’
আমি চমকে উঠলাম,” কেন?”

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

ভাইয়া বললো, ” তোকে আমার সাথে গড়াগড়ি খাওয়াবো তাই। খুব হাসি পাচ্ছিল তাই না আমার এই অবস্থা দেখে। এবার তুই ও কাঁদায় গড়াগড়ি খেয়ে হাসবি।”
আমি আঁতকে উঠলাম। হায় আল্লাহ বলে কি ভাইয়া আমাকেও এখানে কাঁদায় ফেলবে নাকি ? তাহলে তো খুব বাজে হবে কাজটা কিন্তু সেটা ভাইয়া বুঝলে তো। এসব আমার বোকামির জন্য। কেন যে হাসতে গেলাম ওমন করে আমার বুঝা উচিত ছিলো এর ফল ভালো হবে না।
কিন্তু এখন কি করবো?
আমি কাঁদো কাঁদো মুখ করে বললাম,
” আমি ভেরি সরি। আমার হাসা উচিত হয়নি। তার জন্য সরি বলছি প্লিজ আমাকে এই কাঁদায় ফেলবেন না। ”
ইহান ভাই আমার কথা কানে নিলো না আমাকে গম্ভীর গলায় বললো, ‘আমি হাত দিতে বলেছি।”
আমি আকুতি কন্ঠে বললাম,” প্লিজ এই কাজ করবেন না সাদা ড্রেস পরে এই কাঁদায় পরলে আমাকে একদম পাগল লাগবে।”
“তোকে আমি হাত দিতে বলেছি।”

আমি ভাইয়া কে মানাতে পারলাম না। ব্যথ চোখে তাকিয়ে আছি। কান্না পাচ্ছে আমার। সবাই এগিয়ে গেছে আমরা শুধু রয়েছি।ভাইয়ার কঠিন চোখ মুখ দেখে আমি নিজের কাঁপা হাত বারিয়ে দিলাম। দু’পা এগিয়ে। ভাইয়া তার ভেজা ঠান্ডা হাতে আমার হাত শক্ত করে ধরেই হালকা টান মারলো ভয়ে আমি শেষ পরতে পরতে বেঁচে গেলাম। জোরে না হালকা টান দিয়েছিলো। আমি বড় চোখ করে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললাম,
“আমাকে ফেলবেন না প্লিজ। এর জন্য আপনি আমাকে যা খুশি শাস্তি দিন আমি সব মাথা পেতে নেবো। আপনার সব কথা রাখবো। কিন্তু এটা করবেন না প্লিজ।”
শেষ চেষ্টা করলাম। আমি মনে মনে আল্লাহকে ডাকছি যেন ভাইয়া আমার কথা মেনে নেয়। আর এদিকে ইহান তো সব মজা করছে। ঊষার কথা শুনে ওর একটা দুষ্টু বুদ্ধি খেলে যায় মাথায় আর ঠোটের কোনে দুষ্টু হাসি এনে বলে,
‘যা বলছিস ভেবে বলছিস তো? আমার সব কথা শুনবি তো।”
আমি কোন কিছু না ভেবে বললাম,‌” হুম শুনবো।”
ইহান ঠোঁটের হাসি চ‌ওড়া করে বলে,
“ওকে মনে থাকে যেন কথাটা।”

আমি বিস্মিত হলাম কি করাবে আল্লাহ জানে আমাকে দিয়ে। ভয়ে তো স্বীকার করে নিলাম।
ভাইয়া ক্ষেতের পানিতে থেকে উঠলো আমার হাত ধরে। রাস্তায় এসে শরীরের দিকে তাকিয়ে নাক ছিটকালো। আর আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
“এইসব গ্ৰাম তোর পছন্দ। ছিঃ কি অবস্থা হলো আমার!”
আমি আর কিছু বললো না চুপ করে দাঁড়িয়ে আছি।ইহান ভাই এগিয়ে এসে আচমকা আমার সাদা কালো মিক্সড করা ওরনার কোনা ধরলো আমি চমকে উঠলাম।
“কি করছেন কি?”
ভাইয়া আমার কথার উত্তর না দিয়ে আমার পেছনে গিয়ে ওরনায় নিজের মুখ হাত মুছে নিলো। আমি বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে আছে সামনে। একবার ঘাড় বাঁকিয়ে তার কান্ড কারখানা দেখেছি। পাশ দিয়ে একটা মহিলা তিনটা ছাগলের দরি ধরে হেঁটে যাচ্ছে আর আমাদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। আমি কাচুমাচু মুখ করে তাকিয়ে আছি।
মহিলা চলে গেলো আমি তার সাথে পেছনে তাকিয়ে দেখি এখনো তাকিয়ে আছে।
ভাইয়া ওরনা ছেড়ে হাঁটতে লাগলো আমিও পেছনে আসছি। আমাদের থেকে অনেকটা দূরে সবাই হেঁটে যাচ্ছে।দেখা যাচ্ছে তাদের ও। সবার শেষে আমরা এলাম। বাড়ির সামনে রিফাত ভাই দাঁড়িয়ে ছিলো।

আমাদের নিয়ে ভেতরে ঢুকলো। বাসা পুরোনো না একদম নতুন দুতালা বাসা। ইমা আপুর থেকে শুনেছি নতুন করেছে। মেয়ে বিয়ে দেবে তাই। যাতে কেউ বাড়ি অসুন্দর না বলতে পারে।
ওনার দুই মেয়ে এক ছেলে।ছোট মেয়ে আমার সমান এস এস সি পরীক্ষা দিয়েছে। তার সাথে আমার সখ্যতা হলো। মেয়েটার নাম দিনা।খুব ভালো আর মিশুক। আমার পেয়ে তো সে খুবই খুশি তার সমান একজন মানুষ পেয়েছে। ইহান ভাইয়া আর রিফাত ভাইয়ের বোনের দুই বাচ্চার অবস্থা দেখে সবাই হাসাহাসি করেছে। আবার দুঃখ প্রকাশ ও করেছে।বড়রা দুঃখ প্রকাশ করেছে ছোটরা হাসাহাসি। যাইহোক ভাইয়া জন্য আলাদা রুমের ব্যবস্থা করেছে। আমাকে দিনার সাথে থাকতে দেয়া হলো। ফ্রেশ হওয়ার পরে শুতে মন চাইলে কিন্তু আমাকে টেনে দিনা খাবার টেবিলে নিয়ে আসলো সেখানে সবাই আছে। অনেকটা পথ জার্নি করা হয়েছে সবারই কমবেশি খিদা লেগেছে। তাই সবাইকে খাবার দেয়া হলো ভাইয়া সেখানে ছিল। খাবার শেষে ভাই আমাকে ইশারায় তার রুমে যাওয়ার জন্য বুঝিয়ে নিজে নিজের রুমে চলে গেল।

দিনা আমাকে টেনে রুমে নিয়ে আসলো। বিছানায় বসিয়ে বকবক করতে লাগলো।
আমি বেড়াকলে পরে থমথমে মুখ করে ওর দিকে তাকিয়ে আছি। একেতে আমার ঘুম পাচ্ছে আবার এই দিনার বকর বকর। আবার ভাইয়ার রুমে যাওয়া কি যন্ত্রনা? এই মেয়েকে রেখে আমি যাবো কি করে?
আমি গোমড়া মুখে তাকিয়ে আছি দেখে দিনা বললো, ” কোন সমস্যা ঊষা?”
আমি হাসার চেষ্টা করে বললাম,’ না কিন্তু আমার একটু ইহান ভাইয়ের কাছে যাওয়ার ছিলো। আমি যাই।”
দিনা বললো, ” ইহান ভাইয়াটা আবার কে?”
আমি বললাম, ” আমার সাথে ছিলো ইমা আপুর ভাই তিনি।”
“ও মাই আল্লাহ। ওই হান্ডসাম ছেলেটা? কি সুন্দর দেখতে। ”
আমি চুপ করে ওর কথা শুনছি। ওর প্রশংসা করাটা আমার ভালো লাগছেনা। ও নিজে থেকে বললো,
‘আচ্ছা চলো আমিও যাই তোমার সাথে।”
আমি বললাম, ” তুমি গিয়ে কি করবে?”
“দরকার আছে। চলো না।”
বলেই আমাকে টেনে বেরিয়ে এলো।দিনার রুম নিচে আর ভাইয়া, ইমা আপুরা দুতালায়। আমরা সিঁড়ির কাছে আসতেই দিনার বড় বোন তিন্নি আপুর সাথে দেখা। যার বিয়ে খেতে এসেছি আমরা। আমাদের দেখেই ভ্রু কুঁচকালো আর আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হাসলো।
শ্যামবর্ণের হলেও চেহারাটা খুব মায়াবী তার।
“কোথায় যাচ্ছিস তোরা?”
দিনার দিকে তাকিয়ে বললো।

দিনা বললো, ‘ ঊষার নাকি ইহানের রুমে কি দরকার তাই যাচ্ছে। আর আমি ওকে নিয়ে যাচ্ছি।”
তিন্নি আপু বলল,” ইহান কি হ্যা ওনি না তোর ছোট আর না সমান। তাই ভাই বলবি। অভদ্রতা আমার একদম পছন্দ না।”
দিনা অপমানিত হয়ে আমার দিকে একবার তাকিয়ে মুখ ছোট করে বললো, আচ্ছা।
তিন্নি আপু আমাকে বললো,” ঊষা ওইযে ওইটা তোমার ইহান ভাইয়ের রুম। তুমি একা যেতে পারবা। আসলে দিনার সাথে আমার দরকার ছিলো।”
আমি সঙ্গে সঙ্গে বললাম, “সমস্যা নাই‌। আমি পারবো। আমি তো একাই আসতে চাইছিলাম। দিনা জোর করে এলো।”
আপু হাসি মুখে বললো,,” আচ্ছা যাও তাহলে।”
বলেই দিনার হাত ধরে নিয়ে গেলো দিনা বলছে কি দরকার? আমি ওর সাথে যাব তো ছারো।
আপু শুনলো না। আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। দিনা কে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা একদম ছিলো না‌।
আমি ইহান ভাইয়ের রুমে যেতেই ভাইয়া দরজা আটকে দিলো আর বললো,
‘এতো লেট হলো কেন? কখন থেকে ওয়েট করছি?”

দরজা আটকানার শব্দ শুনেই আমার বুক কেঁপে উঠেছে। আমাকে কি এখন শাস্তি দিবে‌। কি শাস্তি দিবে আল্লাহ জানে। রক্ষা করো আল্লাহ।
ভাইয়ার কথা শুনে বললাম, ” ওই দিনা আসতে চাইছিলো তাই লেট হলো।”
“দিনা কেন আসতে চেয়েছে?”
“আমি কি জানি? আমাকে ডেকেছেন কেন?”
ভাইয়া আর প্রশ্ন করলো না। আমার সামনে এসে দাড়ালো আর তীক্ষ্ণ চোখে আমার দিকে তাকালো।
আমি মাথা নিচু করে আছি।
ভাইয়া আমার সামনে দাড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বললো,,
” আমার দিকে তাকা।”
আমি বিস্মিত হয়ে মাথা তুলে তাকালাম। ভাইয়া তাকিয়ে ছিলো তাই চোখাচোখি হয়ে গেল।
“তো তখন কি বলেছিলি? আমি যা বলবো তাই করবি?”
আমি কাঁপা হাত আরেক হাতে ধরে আছি। ভাইয়ার কথা শুনে হৃৎপিণ্ড কেঁপে উঠলো। আল্লাহ কি করাবে আমাকে দিয়ে।
“তো কর।”

আমি ভাইয়া মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবছি কি করবো? কিন্তু মুখে কিছু বলছি না।
ভাইয়া তখন একটা কথা বলে উঠলো আর তা শুনে আমার সারা শরীর কেঁপে উঠলো। বুকের ভেতর ধুকপুক বেড়ে গেলো। আমি হতভম্ব হয়ে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।
ভাইয়া বলেছে, ” আই ওয়ান্ট এ কিস ফম ইউ।”
আমি মার্বেলের মতো গোল চোখে তাকিয়ে আছি। ভাইয়া শান্ত দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি লজ্জায় মাথা নুইয়ে নিলাম। ছিঃ কি সব বলছে ভাইয়া আমি তাকে কিস করবো অসম্ভব। ভাবতেই কেমন লাগছে গা কাঁপছে।
আমার শরীর কাঁপছে থরথর করে। ভাইয়া আমার কোমর জড়িয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়েছে। এবার বললো,
” হ্যারি আপ, ঊষা।”
আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম, ” ছারুন প্লিজ। আর কি সব উল্টা পাল্টা বলছেন? এসব আমি অসম্ভব পারবো না।”
“তুই কিন্তু আমাকে কথা দিয়েছিলি। যা বলবো তাই করবি।”
“হুম কিন্তু এটা করতে পারবো না প্লিজ বুঝার চেষ্টা করেন।”
“কেন পারবি না? তোর কি আমাকে পছন্দ না? দেখ তুই কিন্তু আমার বউই হবি।”
আমি বিষ্ময় নিয়ে তাকালাম, “ছারুন, হবো হয়নি তো।’
“তার মানে, বলতে চাইছিস আমাদের বিয়ে হলে আমাকে নিজে থেকে কিস করবি?”
আমি বিস্মিত হয়ে তাকালাম।

এক চিলতে রোদ পর্ব ৩৮

“ওকে যা তাই হবে। এখন তাহলে আমার মাথা টিপে দে আমি ঘুমাই।”
বলেই ছেড়ে দিলো। আমি হতবুদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। নিজে ঘুমাবে আর আমার কি ঘুম পায়না নাকি?
কিন্তু মনের রাগ প্রকাশ করা পসিবল না আমার পক্ষে তাই তো ভাইয়ার পাশে গিয়ে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলাম। ভাইয়া চোখ বন্ধ করে নি হা করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি অস্বস্তি নিয়ে হাত বুলিয়ে দিচ্ছি এমন হা করে তাকিয়ে থাকলে কি কিছু করা যায়।
“আপনি না বলে ঘুম আসবেন তাহলে এমন তাকিয়ে আছেন কেন?”
“তোকে দেখছি।”
সরাসরি উত্তর পেয়ে থমকে গেলাম। মন চাইছে এখান থেকে ছুটে বেরিয়ে যায়। কিন্তু তা পারবো না। ইহান আচমকা মাথা উচু করে আমার গালে চুমু বসিয়ে দিলো। আমি বিষ্ময়ে হতভম্ব হয়ে গেলাম। হাত ভাইয়ের কপাল থেকে পড়ে গেছে আমি চাদর খামছে ধরে শক্ত হয়ে বসে আছি। মুহুর্তের মাঝে কি হয়ে গেল সেটা বোঝার চেষ্টা করছি। এমন হুট করে যে আমাকে চুমু দিয়ে বসবে আমি কল্পনাও করিনি।
ভাইয়া আবার তার মাথা বিছানায় রেখে বলল, “এমন পাথর হয়ে বসে না থেকে মাথা টিপে দে। তুই তো কাজটা করলি না তাই আমি করে দিলাম।”

আমার হাত নড়ছে না। আমি নরতে পারছিনা। আমি যেন পাথর হয়ে গেছি। ভাইয়া টেনে তার মাথায় আমার হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করলো। আমি আস্তে আস্তে নিজের হাত নাড়াতে লাগলাম হতভম্ব হয়ে বসে থেকেই। অনেকক্ষণ ধরে এখানে বসে আছি ঘুমের জন্য বারবার হামি দিচ্ছি। ভাইয়া তো বেগুরে ঘুমাচ্ছে কিন্তু আমি উঠে চলে যেতে পারছি না যদি আবার বকা খাই।
খাটে হেলান দিয়ে আমিও ঘুমিয়ে পড়লাম।যখন চোখ মেললাম আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল।

এক চিলতে রোদ পর্ব ৪০