এক চিলতে রোদ পর্ব ৫৪ || Nondini Nila

এক চিলতে রোদ পর্ব ৫৪
Nondini Nila

অন্ধকার হয়ে আসছে আযান ও পরে গেছে।এতো তারাতাড়ি করেও সন্ধ্যার আগে এসে পৌঁছাতে পারলে না লতা। ওরনা গিঁট খুলে বেঁধে রাখা টাকা বের করলো। দশটাকা পাঁচ টাকা দুইটা নোট‌। ইহানদের বাসায় সামনে আসতেই অটো ড্রাইবার কে চেঁচিয়ে বললো লতা,
‘ খালুজান গাড়ি থামান।’

সাথে সাথে গাড়ির থেমে গেলো। লতা চট করে গাড়ি থেকে নেমে গেলো। হাতে টাকা গুলো হাসি মুখে বাড়িয়ে দিলো আধ বয়স্ক লোকটার দিকে।তারপর আর না দাঁড়িয়ে পেছনে ঘুরে হাঁটা দিলো ভেতরে যাওয়ার জন্য।
ভয় পাচ্ছে লতা সকালে আব্বা যখন আসলো তখন কাউকে কিছু না বলেই তার সাথে চলে গেছিলো লতা‌। কি করবে মা রাতে নাকি এক্সিডেন্ট করেছে আর হাত ভেঙে গেছে। এসব শুনে লতার বুকে ভেতরটা হু হু করে ওঠে। কোন কিছু না ভেবে মায়ের কাছে ছুটে যায়। সারাদিন মায়ের কাছে থেকে এখন এসেছে। এখানে সবাই হয়তো চিন্তা করেছে। হাতে বকাও যে খেতে হবে জানে সব প্রস্তুতি নিয়েই যাচ্ছে। চুপচাপ সব শাস্তি মেনে নেবে।ভেতরে আসতেই চোখ গেলো গেস্টরুমের বারান্দায় যে রুমটা দিহান ভাইজানের। বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে দিহান‌। আর সিগারেট খাচ্ছে আঙুলের ফাঁকে নিয়ে। ওর চোখ যেতেই লক্ষ্য করলো লালসা ভরা চোখে তাকিয়ে আছি।লতা দ্রুত চলে গেছো। সদর দরজা খোলা দেখে কপাল কুঁচকে বললো,

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

‘ এই সময় দরজা খুললো কে?’
ভাবতে ভাবতে এগিয়ে আসতেই ককর্শ আওয়াজ গেলো ওর কানে। এটা তো ম্যাডামের আওয়াজ। এমন করে বকছে কাকে?
দৌড়ে ভেতরে আসতেই দেখতে পেলো চাচি ঊষার চুলের মুঠি ধরে বসা থেকে টেনে তুলছে। আর বলছে,
‘ তুই আমার ছেলের ঘাড় থেকে নামবি না শয়তানি। এতো কষ্ট করে এতো সুন্দর একটা প্লাণ করলাম। তোর মতো আপদকে আমার ছেলের জীবন থেকে সরাতে পারবো‌। কিন্তু তুই সব বানচাল করে দিলি। রাক্ষসি আমার ছেলের জীবন টা ধ্বংস করে ছারবি তাই না। পাত্র পক্ষকে এইভাবে অপমান করে তাড়িয়ে দিলি। তোকে তো আজ আমি মেরেই ফেলবো।’

বলেই ঊষার চুল টেনে ধরলো শক্ত করে। ঊষা ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠছে। লতা হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে‌ কি হচ্ছে এসব কিছুই ও বুঝতে পারছে না। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মালতি কাকি( আরেককাছের লোককে জিজ্ঞেস করলো)
‘এসব কি হচ্ছে?’
তিনি সব বললো। সব শুনে লতার খুব কষ্ট লাগলো। সাথে রাগ ও এতো খারাপ কেন এই মহিলা অসহ্য।ইহান ভাইজান এখন এখানে থাকলে খুব ভালো হতো‌। কিছু করতে পারতো। আমরা তো কিছুই করতে পারবো না নিরবে দেখা ছাড়া।
ব্যাথায় আমার জীবন বের হয়ে যাচ্ছে যেন‌। আবার দম বন্ধ হয়ে আসছে এখন।চাচি আচমকা আমার গলা চেপে ধরেছে।

‘ আজ আমি তোকে মেরে ক্ষান্ত হবো‌।’
আমার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি গড়িয়ে পরছে। আজ কি এখানে মৃত্যু হবে। খুব ভয় করছে আমার। তখন চাচা এগিয়ে এসে চাচী কে এক প্রকার টেনে আমার কাছে থেকে ছাড়িয়ে নিলো।
আমি যেন জীবন ফিরে পেলাম। গলায় হাত দিয়ে খুকখুক করে কেশে উঠলাম।
চুল টানার জন্য মাথা ব্যাথা করছে আবার কপালে আঘাত সব মিলিয়ে আমার এখন মাথা ঘুরছে পরতে যাব ছুটে এসে লতা আগলে ধরলো।
আমি ছলছল চোখে ওর দিকে তাকালাম। ও আমাকে টেনে রুমে নিয়ে এলো। আর ওদিকে চাচি আমার যা নয় তাই বলে বকছে। চাচা তাকে বলছে,

‘ ওকে মেরে কি তুমি জেলে যেতে চাও নাকি?’
‘ছারু আমাকে আমি জেলেই যাব‌। তবুও ওকে আমি আমার ছেলের সাথে সহ্য করতে পারবো না।’
চাচা ছাড়েনি জোর করে টেনে রুমে নিয়ে গেছে।ফারিয়া ফুসফুস করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
আমি বিছানায় শুয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে যাচ্ছি। লতা আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
ফোন এগিয়ে দিয়ে বললো,
‘ভাইজানকে কল করে সব বল!’
আমি হাত সরিয়ে দিয়ে বললাম,’ সর। ‘
চোখ বন্ধ করে চোখের পানি ফেলছি। ও আমাকে জোর করে পানি এনে খাওয়ালো।
ভাইয়া এলো রাত নয়টায়। লতা গিয়ে দরজা খুলে দিলো। ভাইয়া দরজার ওপাশে লতাকে দেখে ভ্রু কুঁচকে বললো,
‘ কিরে তোকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আসলি কখন আর গেছিলি কোথায়।’
লতা বললো সব। আসার পরে এসবের সম্মুখিন হতে হয়নি‌। কারণ সবাই ঊষাকে নিয়ে বিজি ছিলো ওর দিকে কেউ নজর দেয়নি।

‘ তোর মা এখন ঠিক আছে তো?’
লতা বললো,’ হুম মুটামুটি।’
‘ তুই দরজা খুললি কেন? ঊষা কোথায়?’
কপাল কুঁচকে বললো ইহান। কারণ ও আসলে ঊষাকে দরজা খুলতে বলেছিলো। কারণ ও চায় সারাদিন পরিশ্রম করে এসে সবার আগে ঊষার মুখ দেখতে। যে মুখ দেখলেই ওর সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায় নিমিষেই।
আজ ঊষাকে না দেখে অবাক হয়েছে।
লতা আমতা আমতা করতে লাগলো।
ইহান ওকে পাস করে ভেতরে গিয়ে দেখলো আশেপাশে আছে কিনা না। ড্রয়িং রুম জোরে ও তার ছায়া নাই‌। লতা ভাবছে কি ভাবে বলবে,
ভাইজান এসব শুনলে কুরুক্ষেত্র করে ছারবে। কিন্তু না বললেও তো ঊষাকে করা অন্যায় তার অজানা থাকবে। না বলাটাই উচিত।

ইহান আশেপাশে ঊষাকে নি দেখে ঊষার রুম যেদিকে সেদিকে রেগে তাকিয়ে আছে। সেদিকে যাওয়ার জন্য পা বাড়াবে তখন লতা দৌড়ে এসে ওর সামনে দাঁড়ালো।
‘কি হয়েছে এমন দৌড়াদৌড়ি করেছিস কেন?’
লতা একটা নিঃশ্বাস ফেলে গড়গড় করে সব বলে দিলো। সব শুনে তো ইহানের মাথা রক্ত উঠে গেল। হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ফেললো। চোখ শক্ত হয়ে গেছে কপালের রগ ফুলে উঠেছে রাগে। লতা সব বলে পিছিয়ে গেলো। ভাইয়া কোন দিকে না তাকিয়ে আমার রুমে চলে এলো।

ইহান ঊষার রুমে এসে দেখতে পেল আঘাতে জর্জরিত মুখটা।ঊষা সবুজ রঙের কাতান শাড়ি পড়ে আছে এইটা ইহানের মায়ের দেখেই চিনে ফেলল ইহান। চুলগুলো এলোমেলো হয়ে পিঠে ছড়িয়ে আছে। কপালের এক পাশে লাল হয়ে ফুলে আছে। চোখের কোনে জল চিকচিক করছে পুরো মুখটা লাল হয়ে আছে। শব্দবিহীন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে ঊষা।
ইহান এগিয়ে এসে ওর বাম গালের দিকে তাকায়। যেখানে স্পষ্ট পাঁচ আঙুল ফুটে উঠেছে। আমি ভাইকে দেখে কান্না থামানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। আমি ফুঁপিয়ে যাচ্ছি। ভাইয়া আমার গালে আঙুল ছুঁয়ে দিলো। আমি কেঁপে উঠলাম ব্যাথা। খুব ব্যাথা করছে ভাইয়া সাথে সাথে হাত সরিয়ে নিল।
আর আমার হাত শক্ত করে ধরে বিছানায় থেকে নামালো।

আর হাত টেনে বাইরে নিয়ে এলো। আমি কিছু বুঝতে পারছি না। কিন্তু এইটুকু বুঝতে পারছি লতা সব বলে দিছে। আমার মাথা ঘুরছে। ব্যাথায় মাথা উঁচু করে রাখতে পারছি না। ভাইয়া রাগের চোটে সেদিকে খেয়াল নাই‌। আমাকে টেনে সোজা চাচা- চাচির রুমের কাছে চলে এলো।
আমার পেছনে লতাও আছে। ভাইয়া সোজা রুমে ঢুকেই চেঁচিয়ে উঠলো, ভাইয়া চেঁচামেচি শুনে চাচা চাচি দুজনেই চমকে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো।
‘ আম্মু তুমি ঊষার গায়ে হাত তুলেছো?’
রেগে থাকলেও খুব শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো ভাইয়া। চাচি আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে নিক্ষেপ করে রাগে গজগজ করতে করতে বললো,

‘ হুম মেরেছি। তো এখন এই মেয়ের জন্য আমার সাথে ঝগড়া করবি। কর কিন্তু আমি ওকে জীবন মানবো না। ওকে তোর লাইফ থেকে সরানোর জন্য যা করতে হয় সব করবো।’
‘ আম্মু তুমি কিন্তু সব কিছুর মাত্রা ছাড়িয়ে গেছো।এসব করে একদম ঠিক করো নি। কোন সাহসে ঊষাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়ার কথা ভাবলে। এ্যান্সার মি।’
ভাইয়া চিৎকার করে কথা বলছে তা শুনে ইলা আপু দিহান ফারিয়া সবাই ছুটে এসেছে চাচির রুমে।
ইলা আপু এগিয়ে এসে বললো,

‘ ইহান আম্মুর সাথে এভাবে কথা বলছিস। এই ঊষার জন্য। মা তোর ভালো চাই তাই ওকে বিদায় করে তোর যোগ্য লাইফ পার্টনার খুঁজে দিতো। ঊষা তোর জন্য পারফেক্ট না কেন বুঝিস না। আর ঝামেলা করিস।’
‘ প্লিজ আপু তোমার জীবন নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। তাই আমার জীবন নিয়ে ও তুমি কথা বলতে এসো না। আর ঊষা আমার জন্য পারফেক্ট কিনা সেটা বুঝবো আমি। তোমরা না। কারণ সংসার আমি করবো। তাই আমার ভালো টা আমার দেখতে দাও‌। ঊষার সাথে আমার এনগেজমেন্ট হয়েছে। ও আমার হবু বউ ধরতে গেলে। তাও কোন সাহসে তোমরা ওকে অন্য জায়গায় বিয়ের কথা ভাবলে। আমাকে লুকিয়ে।’

‘সামান্য আংটি পড়ালেই বিয়ে হয়ে যায় না। হবু বউ, ব‌উ তো হয় নাই এখনও। তাই আমি এই আপদ টাকে তোর জীবন থেকে সরাতে চাইছিলাম। তোর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য।এই রাক্ষুসী তোর জীবনে থাকলে তুই জীবনে সুখী হতে পারবি না। ওর রূপ চাকচিক্য দেখে তুই ওকে মেনে নিয়েছিস। কিন্তু একসময় তো নিজেরই মনে হবে তুই ভুল করেছিস।’
সম্পূর্ণ কথা শেষ করে চাচি থামল। এবার ভাইয়া আর নিজেকে শান্ত রাখতে পারল না বলেই ফেলল,
‘হবু বউ বলে তোমরা ওকে অন্য জায়গায় বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছো। তাই তো। ও আমার হবু বউ না হয়ে। শুধু বউ হলে এই কাজটা করতে না।’

চাচি বললো,, ‘কি বলতে চাইছি?’
‘এটাই বলতে চাইছি যে ঊষা শুধু আমার হবু বউ না। ঊষা আমারে বিয়ে করা বউ।’
এই কথাটা শুনে চাচি চোখ বড় করে ফেলল। আর এদিকে ফারিয়া চেঁচিয়ে উঠলো,,
‘বিয়ে করা বউ মানে? কি সব বলছো তুমি ইহান?’
ফারিয়ার সাথে সাথে চাচা ও এগিয়ে এসে বলল,,
‘হোয়াট তোদের বিয়ে হলো কবে আবার?’
চাচি ও এগিয়ে এসে বলল,,

‘ মিথ্যা বলছিস তুই! আমাদের মিথ্যা বলে এসব করাতে চাইছিস। যাতে তোদের আলাদা করা চেষ্টা না করি।’
‘ আম্মু আমি মিথ্যে বলি না। সেটা তুমি ভালো করেই জানো।’
‘ জানি কিন্তু এখন বলছিস। ।বলবি আর আমি তোর বানোয়াট কথা বিশ্বাস করবো অসম্ভব।’
‘এজ ইউর উইশ আম্মু। বাট আমি মিথ্যে বলছি না। আমাদের বিয়ে হয়েছে। আমি আগেই এসব বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু ঊষা বারণ করায় আমার বলা হয়নি‌।’
‘আমি বিশ্বাস করি না।’

‘ তোমার বিশ্বাস না করায় তো সত্যি টা মিথ্যা হয়ে যাবে না তাইনা। যেটা সত্যি সেটাই সত্যি থাকবে।’
বলেই সেদিন রাতের কথা সব বললো।
চাচি হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠলো,’ এটা হতে পারেনা।’
বলেই চাচি ঠলে পরলো ইলা আপু কাছে না থাকলে ফ্রোরে পরে যেতো। আমি কপালে হাত দিয়ে সব দেখছি। চাচি জ্ঞান হারিয়েছে ইলা আপু ও ভাইয়া আম্মু বলে চিৎকার করে উঠেছে। আমি চেঁচাতে পারছি না কিন্তু ভয় পেয়ে গেছি। ভাইয়া আমার হাত ছেড়ে চাচির দিকে এগিয়ে যাবে তখন ফারিয়া ছুটে আসে চোখে পানি নিয়ে। আর সবার সামনে আচমকা ভাইয়ার কলার চেপে ধরে।

আমি চমকে তাকিয়ে আছি। ফারিয়া চেঁচিয়ে উঠে বললো,
‘ তুই ওকে বিয়ে করে ফেলেছিস। এটা হতে পারেনা‌ এটা কি করে করতে পারলি। আমি তোকে কতো ভালোবাসি জানিস। শুধু মাত্র তোর জন্য সবাইকে না জানিয়ে এই খানে এসে পরে আছি।তোকে পাবার আশায় আর তুই আমাকে ঠকিয়ে ওই মেয়েটাকে বিয়ে করে নিয়েছিস।’
‘ ফারিয়া আমাকে ছারো। কি অসভ্যতামি হচ্ছে? আর আমি তোমাকে ভালোবাসি না বলেছিলাম। তাও কেন এসেছো।এখন এসব করা মানে কি?এখানে ঠকানোর টা আছে।’
‘কেন বলবে? আর বললেই আমি মেনে নেবো তুমি ভাবলে কি করে।আমি তোমার জন্য কতোটা পাগল তুমি জানো না। তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না। প্লিজ আমার হয়ে যাও। ওই মেয়ে তোমার জন্য ঠিক না।’
‘ আমার লাইফের সিদ্ধান্ত আমি নেওয়ার দায়িত্ব তোমাকে দেয় নি। কলার ছার আমার মেজাজ খারাপ করবে না।’
‘ নো।’

এক চিলতে রোদ পর্ব ৫৩

ইহান রেগে জোর করে ছারিয়ে চাচির কাছে গেলো। চাচি চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। অতি উত্তেজনায় জ্ঞান হারিয়েছে। আমি টলতে টলতে দাঁড়িয়ে আছি সেখানেই লতা দৌড়ে পানি আনতে গেছে। ফারিয়া রাগে আমার দিকে তাকিয়ে আছে যেন চোখ দিয়েই গিলে খাবে। আমি চাচির দিকে তাকিয়ে আছি।
ফারিয়া আচমকা রেগে আমার কাছে এলো আর বললো,
‘ তোর জন্য আমার ইহান আমাকে ছেড়ে দিয়েছে।’
বলেই আমার চুল চেপে ধরলো আমি হাত বাড়িয়ে ছুটাতে চাইছি পারছিনা।ইহান কেবল মায়ের কাছে এসেছে সাথে সাথে ফারিয়ার কথা কানে এলো ও ঘুরে তাকানোর আগেই ফারিয়া একটা অঘটন ঘটিয়ে ফেললো।
ইহান ঊষা বলে চেঁচিয়ে উঠলো।

ফারিয়া ঊষাকে ধরে দেয়ালে আঘাত করেছে জোরে মাথায়। ইহান ছুটে আসে চিৎকার করে। আর ফারিয়াকে ছিটকে দূরে সরিয়ে দেয়। ফারিয়া ফ্রোরে বসে পরে।
ইহান ঊষার মুখ নিজের দুহাতে তুলে ধরে জ্ঞান হারানোর আগে আমি ভাইয়ার মুখটা দেখি‌।
ভাইয়া আমাকে ডাকছে বলছে,
‘ ঊষা, ডোন্ট ক্লোজ ইউর আইস এ্যাট অল। প্লীজ কিপ ইট ওপেন।’
ভাইয়ার কথা আমি রাখতে পারিনি। আমাকে চোখ বন্ধ করতেই হয়েছে।
ভাইয়া চোখের কোনে পানি নিয়ে ফারিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,,
‘ ঊষার যদি কিছু হয়। আই উইল কিল ইউ ফারিয়া। দিস ইস মাই প্রমিস।’

এক চিলতে রোদ পর্ব ৫৫