এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ১৩ || অনেক কষ্টের গল্প

এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ১৩
তানজিল মীম

“চলন্ত জাহাজের এক কিনারায় দাঁড়িয়ে আছি আমি’!!আর আমার থেকে দু-হাত দুরত্বে দাঁড়িয়ে আছে আরিফা, রিতু’!!আর দিহান, হৃদয় ওঁরা কেভিনের ভিতর এখনও পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে’!!সকাল প্রায় ১০ টা বাজে আমরা নদীর মাঝখান দিয়ে পাড়ি জমাচ্ছি সুন্দরবনের দিকে’!!হাল্কা হাল্কা রোদ্দুরের তাপ দিয়ে বয়ে চলেছে আমাদের জাহাজ’!!কিছুক্ষণ ছায়া,আবার কিছুক্ষন রোদ্দুর এসে লাগছে আমাদের গায়ে সাথে আছে খোলা আকাশের কাছ থেকে আসা ঠান্ডা ফুড়ফুড়ে বাতাস,,নদীর চারপাশ দিয়ে কিছুটা দুরত্বে বয়ে চলেছে অসংখ্য ছোট বড় গাছপালা!!জাহাজের বাতাসে উড়ছে সবার চুল সাথে আমারও’!!বিষয়টা একটু নড়বড়ে লাগলেও অসম্ভব সুন্দর একটা মুহূর্ত’!!আমার ভাবনার মাঝে আরিফা বলে উঠলঃ

———-“ওই যে মিস “লাউডস্পিকার”…..
“লাউডস্পিকার” নামটা শুনতে লাফ দিয়ে উঠলাম আমি’!!হায় রে কোনোভাবে রিয়াদ স্যার চলে আসলো নাকি’!!কিন্তু না সামনে তাকিয়ে আরিফাকে দেখে চোখ গরম করে তাকালাম আমি’!!একটু রেগে বলে উঠলাম আমিঃ
———“কি বললি তুই…..
———-“কেন তুই শুনতে পাস নি ”লাউডস্পিকার” বলেছি…..
———–“আবারো তুই আমায় লাউডস্পিকার ডেকেছিস…..(রেগে)
———–“আরো ডাকবো ”লাউডস্পিকার” “লাউডস্পিকার” তানজুর নিক নেইম লাউডস্পিকার…..
-বলেই চেঁচাতে লাগলো আরিফা’!!
“আরিফাকে এতবার এই নামে ডাকতে দেখে মেজাজ বিগড়ে গেল আমার’!!একটু রেগে বলে উঠলামঃ
———-“তবে রে দাঁড়া তুই আজকে তোর একদিন কি আমার একদিন….
“বলেই দৌড়াতে লাগলাম আমি’!!আর আমায় দৌড়াতে দেখে আরিফাও দৌড়াতে লাগলো’!!পুরো জাহাজ জুড়ে আমি আর আরিফা দৌড়াতে লাগলাম’!!আর রিতুসহ বাকিরা হেঁসে উড়িয়ে দিচ্ছে বিষয়টা’!!রিতুর হাতে আমার ক্যামেরা হয়তো কিছু ফটো মুঠো ভর্তি করবে সে….
“এদিকে….
…..
“আরিফা দৌড়াতে দৌড়াতে চলে আসলো রিয়াদের কেভিনের কাছে’!!আরিফা রিয়াদের কেভিনটা টপকে জাস্ট সামনে গেল’!!এরই ভিতর রিয়াদ তার রুমের দরজা খুলে বের হয়েছে….

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

“আচমকা রিয়াদ স্যারকে কেভিন থেকে বেরিয়ে যেতে দেখে ঘাবড়ে গেলাম আমি’!!কিন্তু এই মুহুর্তে নিজের দৌড়ানোকে থামানোর ক্ষমতা আমার নেই’!!তাই যা হওয়ার তাই হলো ধাপ করে আমি পড়ে গেলাম রিয়াদ স্যারের গায়ের উপর’!!
“অন্যদিকে রিয়াদ এমন কিছু হওয়ার জন্য মটেও প্রস্তুত ছিল না’!!তাই আচমকা তানজু তার গায়ের উপর এসে পড়াতে সেও তাল-সামলাতে না পেরে পড়ে যায় নিচে আর তানজু তার উপরে’!!
ঘটনাটা হুট করে হওয়াতে উপস্থিত সবাই জাস্ট হা হয়ে তাকিয়ে আছে ওঁদের দিকে’!!আর রিতু ছিল তানজুর ঠিক পিছনে যার ফলে তার হাতে থাকা ক্যামেরায় ক্লিক পড়তেই উপস্থিত হওয়া দৃশ্যটি ক্যাপচার হয়ে গেল তার ক্যামেরায়….

“ভয়ে কাচুমাচু হয়ে তাকিয়ে আছি রিয়াদ স্যারের দিকে’!!আর উনি চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে’!!যা দেখে আরো ভয় পেয়ে গেছি আমি’!!ধুর কেন যে বার বার ওনার সাথেই এইসব উল্টাপাল্টা ঘটনা ঘটে বুঝি না’!!এখন কি করি আমি’!!লজ্জায় মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে আমার’!!এই সব হয়েছে ওই আরিফার জন্য একবার পাই শুধু হাতের কাছে তারপর মজা দেখাবো’!!আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বললামঃ
———-“বিশ্বাস করুন স্যার আমি ইচ্ছে করে কিছু করে নি সরি স্যার….
“বলেই উঠে পরলাম আমি’!!আমি উঠতেই রিয়াদ স্যারও উঠে দাঁড়ালেন তারপর বললোঃ
———–“তোমার চোখ কোথায় থাকে সবসম এত গরুর মতো লাফালাফি করো কেন তুমি…
“এইরকম হাজারো কথা বলে বকা দিতে লাগলেন রিয়াদ স্যার’!!আর আমি শুধু মাথা নিচু করে ওনার কথাগুলো শুনতে ছিলাম’!!
“আর রিয়াদদের কাছ থেকে কিছুটা দূরে আরিফা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বেশ মজা নিচ্ছে বিষয়টাতে’!!কিন্তু তানজু ছাড়া পেতেই যে তার কপালে শনি আছে এটা বুঝতে বাকি নেই আরিফার’!!কিন্তু এই মুহুর্তে মজা লাগছে তার….
!!
“আর এদিকে সবাই তানজুকে হেনস্তা হতে দেখে মজা নিলেও মজা নিতে পারলো না তুলি’!!তার মটেও ভালো লাগে না বার বার তানজুই কেন রিয়াদ স্যারের কাছাকাছি চলে যায়’!!রাগে চোখ গরম হয়ে যায় তুলির’!!তাই সে সেখান থেকে সরে আসে….

“পাক্কা আধ ঘন্টা বক বক করে থামলেন রিয়াদ স্যার’!!আর রিয়াদ স্যার চুপ হয়ে যাওয়াতে আমি জোরে জোরে শ্বাস ফেলে বললামঃ
———-“থ্যাংকু স্যার এখন তাহলে আমি যাই…
“এদিকে রিয়াদ ভাবছে’ এ কেমন মেয়েরে বাবা এতক্ষণ বকা দিলাম তারপরও কোনো ক্ষোভ নেই!উল্টো এমন ভাব নিচ্ছে যেন কিছুই হয় নি’!!রিয়াদ একটু ক্ষিপ্ত মেজাজ নিয়ে বললোঃ
———-”সরো তো সামনে থেকে….
———“জ্বী স্যার…..
“বলেই ছাইড দিলাম রিয়াদ স্যারকে’!!আর আমার কাজে রিয়াদ স্যার বলে উঠলেনঃ
———”তুমি আর কোনোদিন ঠিক হবে না ”লাউডস্পিকার”…..
“বলেই হন হন করে চলে গেলেন উনি’!!আর আমি হা হয়ে তাকিয়ে রইলাম’!!
———–‘আজও বুঝলাম না সবাই খালি ঠিক হবো না বলে কেন আমি কি ঠিক নাই…?‍♀️
“বলেই সামনে তাকাতে দেখলাম আরিফা হাসছে’!!যা দেখে ওর তাকিয়ে বললামঃ
———“তুই এখনও হাসছিস দাঁড়া কইতাছি….
“বলেই আবারো দৌড় দিলাম আমি আরিফার পিছনে….

“মুখ ভাঁড় করে দাঁড়িয়ে আছে আরিফা এখনও’!!কারন কয়েক ঘন্টা আগেই ওকে প্রচুর মেরেছি’!!
“আমাদের জাহাজ থেমেছে অনেকক্ষণ হয়েছে’!!কিন্তু স্যারেরা বললো এখন আমরা ভ্রমণে বের হবো না সারাদিনটা জাহাজে কাটিয়ে বিকেলে নৌকা ভ্রমণের মাধ্যমে আমরা পৌছাবো সুন্দরবনের বিখ্যাত “জামতলা সমুদ্র সৈকত”!!আর কালকে সকালে বনের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাবো’!!অনেকেই বলেছিল আগে বনে যেতে তারপর সমুদ্র’!!বাট স্যারেরা মানতে নারাজ’!!শেষমেশ কিছু মানুষকে নিরাশ করে আমরা পাড়ি জমাবো সমুদ্রের উদ্দেশ্যে’!!বিকেলে সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ খুব সুন্দর আর বাঞ্ছনীয় হয়ে থাকে তাই এই ব্যবস্থা’!!

“ফোনের রিংটোনে ঘোর কাটলো আমার’!!ফোনটা তুলে উপরে ভাইয়ার নাম দেখে মুচকি হেঁসে রিসিভ করে বলে উঠলাম আমিঃ
———“হ্যালো….
———-“কেমন আছিস বোন….
———-“খুব ভালো তোমরা…
———-“আমরাও আছি! তোরা পৌঁছেছিস তো বোনু….
———-“অনেকক্ষণ হয়েছে….
———-“নিশ্চয়ই খুব মজা করছিস…
“হাসলাম আমি’!!তারপর বললামঃ
———“একটু আকটু…
———“খুব বেশি লাফালাফি করবি না কিন্তু আর শোন ভালোভাবে থাকবি, বেশি দুষ্টমি করবি না,আর তোর কিছু দরকার পড়লে রিয়াদকে বলিস…..
———“ঠিক আছে ভাইয়া বেশি চিন্তা করো না তুমি….
———-“তোকে ছাড়া ভালো লাগছে না তো কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে রে….
“হাল্কা হেঁসে বললাম আমিঃ
———“আমি তো বাসা থেকে বের হয়েছি জাস্ট কয়েক ঘন্টা হলো ভাইয়া এখনই এমন বলছো আমি মরে গেলে তখন কি করবে….
“আচমকা তানজুর এমন কথা শুনে অপূর্ব রেগে গিয়ে বললোঃ
———“এটা কি বললি তুই, এসব কথা যেন আর না শুনি….
———-“আরে ভাইয়া মজা করছিলাম রেগে যাচ্ছো কেন….
———–“তুই জানিস তোর জন্য কতো টেনশনে আছি আমি তার ওপর আবার তোর এই কথাবার্তা….
———–“সরি ভাইয়া আর বলবো না….
————“এসব কথা আর যেন না শুনি বোনু…
———-“ঠিক আছে ভাইয়া এখন বল আম্মু কেমন আছে আর আব্বু কিছু জানে না তো….
———-“সব ঠিক আছে…..(রেগে)
———–“সরি বললাম তো তারপরও রেগে আছো…
————“তুই এমন কেন বল তো….
———–“সলি ভাইয়া আমার নাদুস নুদুস ভাইয়াটা নাগ করে না আই এম সলি…
“তানজুর কথা শুনে হাসলো অপূর্ব তারপর বললো সেঃ
———–“হইছে হইছে আর বলতে হবে না,আমি আর রাগ করে নেই…..
———–“এই তো আমার মিষ্টি ভাইয়া…. এখন তাহলে রাখি ভাইয়া ডাকছে আমায়’!!
———–“ঠিক আছে রাখি ভালো থাকিস….
———-“ঠিক আছে ভাইয়া তোমরাও….
———–“ঠিক আছে….
“বলেই কেটে দিল অপূর্ব’!!ভাইয়া ফোনটা কেটে দিতেই মুচকি হেঁসে বললাম আমিঃ
———-“আসলেই ভাইয়াটা আমায় বড্ড ভালোবাসে…..

“দুপুরের লাঞ্চ সেরে আমরা সবাই এঁকে এঁকে পাড়ি জমালাম সমুদ্র সৈকতের উদ্দেশ্যে’!!পর পর কয়েকটা নৌকা ঠিক করা হলো আমাদের জন্য’!!একে একে সবাই নৌকায় উঠে বসলো’!!এখন আমাদের পালা’!!আমাদের নৌকায় রিয়াদ স্যার আর টাকলা স্যার,সাথে তুলি আর ওর দুজন বন্ধু আর আবির ভাইয়া আর আবির ভাইয়ার বন্ধুরা আর আমরা পাঁচজন’!!এঁকে এঁকে সবাই উঠে বসলো নৌকায়’!!শেষে বাদ পরলাম শুধু আমি আর তুলি’!!আমিই আগে পা বাড়ালাম নৌকার উদ্দেশ্যে’!!আমার সামনে হাত বারিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রিয়াদ স্যার’!কারন উনি সবাইকে নৌকায় উঠতে সাহায্য করেছে’!!আমিও হাল্কা হেঁসে হাত বারিয়ে দিলাম ওনার দিকে’!!হর্ঠাৎ কি হলো কারো সাথে পায়ে বেজে পড়ে যেতে নিলাম আমি’!!সাথে সাথে আমার হাত ধরে টেনে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো রিয়াদ স্যার’!!ঘটনাটা আচমকা হওয়াতে আমি ভয়ে ঘাবড়ে গেলাম কারন আর একটু হলেই নদীর মাঝখানে পড়ে যেতাম আমি’!!আর নদীর ঢেউয়ের যে স্রোত কোথায় নিয়ে যেত আমায় কে জানে?কিছুটা ভয়ে আমিও রিয়াদ স্যারের শার্টের হাতা খামচে ধরে ফেললাম’!!কেন জানি না এক মিনিটের জন্য হলেও বুকের ভিতর কেমন মোচর দিয়ে উঠলো আমার’!!কিছুক্ষণ থ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম আমি রিয়াদ স্যারকে ধরে…

“হর্ঠাৎই ঝাঁজালো কন্ঠে বলে উঠল কেউঃ
———-“কি করছিলে কি তুমি, এইমাএ কি হয়ে যেত বুঝতে পারছো তুমি….
“কন্ঠ শুনে বুঝতে পেরেছি রিয়াদ স্যার বকছে আমায়! বাট এই মুহুর্তে তেমন কোনো অনূভুতি পাচ্ছি না আমি’!!কিছুক্ষণ চুপ থাকতেই রিয়াদ স্যার বলে উঠলঃ
———-“কি হলো কথা বলছো না কেন?
“আমি আস্তে চোখ তুলে তাকিয়ে বলে উঠলামঃ
———-“বিশ্বাস করুন আমি কিছুই জানি না হর্ঠাৎ মনে হলো কারো পায়ে…
“আর কিছু বলার আগেই তুলি বলে উঠলঃ
———“চুপ থাক তো তুই এই সব কিছু তোর বেখায়ালীর জন্য হয়েছে, সারাদিন শুধু লাফালাফি আর ফরফর করোস,এই মাএ কি হতো জানিস তুই….
“তুলির কথা শুনে রিয়াদ স্যাররাও বকতে শুধু করলো আমায়’!!রিয়াদ স্যারেরা বকুনি শুনে টাকলা স্যার বলে উঠলঃ
———“হইছে রিয়াদ আর বকো না ভুল করে হয়ে গেছে….
“টাকলা স্যারের কথা শুনে রিয়াদ স্যার থামলো’!!তারপর জোরে জোরে শ্বাস ফেলে নিজের রাগ কমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সে…..

এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ১২

“নীরবতায় মাধ্যমেই নৌকা জার্নি শেষ করলাম আমি’!!যেন কিছুক্ষণ আগের হয়ে যাওয়া ঘটনাটা এখনও মাথার ভিতর ঘুরে চলছে……
“বিকেল প্রায় ৪ঃ০০টা……
“সমুদ্রের চারপাশে ঘুরে চলেছি আমরা সবাই’!!আর আমাদের সাথে আছে টিচাররাসহ এখানকার কিছু লোকজন’!!অসম্ভব সুন্দর একটা সমুদ্র সৈকত’!!বালির উপর দিয়ে খালি পায়ে হেঁটে চলেছি আমরা’!! সাথে হাজার হাজার ফটো তোলা তো আছেই’!!সমুদ্রের ডানদিকে রয়েছে অসংখ্য ছোট ছোট গাছপালা সহ সুন্দর একটা রাস্তা’!!আমরা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মানুষজন হেঁটে চলেছে এখানে’!!সবাই খুব আনন্দ করছে’!!ছোট ছোট বাচ্চারা বালি নিয়ে লাফালাফি করছে যেটা বেশ লাগছে আমার কাছে’!!হাতে ক্যামেরায় পুরো জিনিসটা ক্যাপচার করে নিলাম আমি’!!
“হাজারো হাসি আর আড্ডার মাঝে কাটলো আমাদের সমুদ্রের বিকালটা….

ধীরে ধীরে আশেপাশের পরিবেশটায় অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে’!!হয়তো সন্ধ্যা হওয়ার আগের মুহুর্ত’!!সন্ধ্যার দিকটাতেই সমুদ্রের আসল সৌন্দর্য প্রকাশ পায়’!!সূয্যি মামার বাড়ির ফেরার মুহূর্তটাই যে দেখা যায় তখন’!!আমরা সবাই সমুদ্রের দিক মুখ করে তাকিয়ে আছি’!!কারন সূয্যিমামার চলে যাওয়ার দৃশ্যটা দেখা মিস করতে চাইছি না কেউ’!!ধীরে ধীরে সমুদ্রের দূর সীমানাটা লালচে বর্ন ধারণ করেছে’!!বেশ কয়েকটা ফটো ক্যাপচার করে নিয়েছি নিমিষেই….
“ধীরে ধীরে সূয্যিমামা চলে গেল তার বাড়িতে’!!আর আমরা মুগ্ধ নয়নে এতক্ষণ তাকিয়ে দেখছি সবটা’!!অসম্ভব সুন্দর মুহূর্ত ছিল তখন….

“এরই মাঝে স্যারেরা বলে উঠলেন এখন ফেরার সময় শিপের কাছে’!!আমরাও আর কথা না বারিয়ে পাড়ি জমালাম আবারো জাহাজের দিকে….
“এতটুকু সময়ে একটা জিনিস মাথায় এসে বারি মারছে খুব “আজ সারা বিকালটা রিয়াদ স্যার কথা বলেনি আমার সাথে’!!উনি কি এখনও রেগে আছে আমার উপর”……

এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ১৪