এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ২২ || তানজিল মীম

এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ২২
তানজিল মীম

“মাঝখানে কাটলো একসপ্তাহ….
“এই এক সপ্তাহে বাসা থেকেই বের হতে দেয় নি আম্মু’!!সারাদিন শুধু খাইয়েই চলেছে’!!আম্মুর একটাই কথা এই কয়েকদিনে নাকি আমি শুকিয়ে গেছি’!!এই এক সপ্তাহে একবারও দেখা হয় নি রিয়াদ স্যারের সাথে আর না কথা হয়েছে অনেক মিস করেছি ওনাকে’!!সাথে মিস করেছি ওই দ্বীপটার সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো’!!এখনও চোখ বন্ধ করলে দ্বীপটার সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো ভেসে আসে চোখের সামনে’!!
“সেদিন ট্রলার করে জাহাজে ফিরতেই দেখতে পেয়েছি টাকলা স্যারের আমার প্রতি ভালোবাসা আর তুলির অনুশোচনা’!!ভাইয়া তো বলেই উঠেছিল তুলিকে পুলিশে দিবে’!!কিন্তু অনেক বলে কয়ে শেষমেশ ভাইয়াকে কাজটা বন্ধ করতে পেরেছি’!!হারিয়ে গিয়ে যে রাতারাতি ফেমাস হয়ে যাবো এটা একদমই কল্পনার বাহিরে ছিল আমার’!!আমাদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে এত এত বার্তা তৈরি হবে এটা তো ভাবতেই পারিনি আমি’!!পরে সবকিছুই ভাইয়া আর রিয়াদ স্যার ম্যানেজ করে নিয়েছে’!!এখন মোটামুটি সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেছে’!!আবারো সবকিছু আগের মুডে হয়ে গেছে মনে হচ্ছে…..

“পরন্ত বিকেলবেলা!?
“বাহিরে মুসলধারে বৃষ্টি হচ্ছে আর বৃষ্টির মাঝে বাহিরে হাত পেতে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছি আমি’!!ইচ্ছে করছে ছাঁদে উঠে বৃষ্টিতে ভিজি কিন্তু মাই মাতাজি কি আমায় এই বিকেলবেলা ভিজতে দিবে’!!তাই চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছি আমি’!!ধীরে ধীরে বৃষ্টির বেগ আরো বাড়তে শুরু করল’!!আর তার সাথে বৃষ্টিতে ভেজার ইচ্ছেটাও আরো বেড়ে চললো’!!তাই চুপিচুপি রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম আমি’!!উদ্দেশ্য হচ্ছে আম্মু কোথায় আছে তা দেখা!!চুপিচুপি ডাইনিং রুম টপকে যেতেই দেখলাম আম্মু রান্না ঘরে কিছু একটা করছে এই সুযোগে চুপটি করে ছাঁদে গিয়ে ভিজে আসার’!!যেই ভাবা সেই কাজ আমি আস্তে আস্তে ঘর থেকে বেরিয়ে চলে আসলাম ছাঁদের উপর’!!যেহেতু বিকেল বেলা আর বৃষ্টি পরছে তাই তেমন কেউ নেই’!!যা দেখে আরো বেশি খুশি হলাম আমি’!!তারপর ছাঁদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলাম আমি…
“খোলা আকাশ থেকে আসা বৃষ্টির ফোটা এসে পরছে গায়ে’!!সাথে শিরশিরিয়ে উঠছে শরীর…..

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

– বোঝাতে পারি না তোমায় আমি কতোটা ভালোবাসি.. (২)
– তুমি আমার অবুঝ আদরের গল্প সাজানো মায়া..
আমি জানি তুমিও জানো এ মায়া আর কেউ বুঝে না…
– আমার কাছে তুমি অন্যরকম ভালোবাসি বেশি প্রকাশ করি কম..(২)
“হাতে গিটার নিয়ে বেলকনিতে বসে গানটা গাইছে রিয়াদ’!!মুখে তার প্রশান্তির হাসি’!!বাহিরে বৃষ্টি পরছে আর বৃষ্টি পরলেই রিয়াদের খুব বেশি মনে পরে তানজুর কথা’!!আর তানজুর কথা মনে পরলেই রিয়াদ আনমনেই গান গায়’!!কারন ভালো লাগে তার’!!রিয়াদ চোখ বন্ধ করে সেইসব দিনগুলোর কথা ভাবছে যে দিনগুলোতে শুধু রিয়াদ আর তানজু ছাড়া কেউ ছিল না’!!তানজুর দুষ্টুমি আর খুনশুটি গুলোর কথা ভেবে আনমনে হাসলো রিয়াদ…..
“অন্যদিকে বেলকনির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ভাইয়ের হর্ঠাৎ গান গাওয়া সাথে হর্ঠাৎ হর্ঠাৎ হাসা দেখতেই অবাক হয় আফরিন’!!আফরিনের হয়তো বুঝতে বাকি নেই রিয়াদের মনে কি চলছে এই মুহুর্তে’!!মুচকি হাসে আফরিন তারপর সে চলে যায় সেখান থেকে কিছু একটা বানিয়ে আনতে….

——-“উফ,আম্মু ব্যাথা পাচ্ছি তো….
“একপ্রকার ঘাবড়ে গিয়ে বলে উঠলাম আমি আম্মুকে’!!কিছুক্ষণ আগে আরামে বৃষ্টিতে ভিজতে ছিলাম আমি’!!কি সুন্দর চোখ বন্ধ করে রিয়াদ স্যারের সাথে হয়ে যাওয়া ঘটনাগুলো কল্পনা করছিলাম এমন সময় কোথা থেকে আম্মু এসে কান ধরে টেনে নিয়ে যেতে শুরু করলো আমায়’!!প্রথমে তো আমি ভুত দেখার মতো ঘাবড়ে গিয়েছিলাম কিন্তু পরক্ষণেই আম্মুকে দেখে ভুত দেখার চেয়েও বেশি ভয় পেয়েছি….
”এদিকে আম্মু আমার কান ধরে নিয়ে যেতে যেতে বললোঃ
——–“বেশ হয়েছে ব্যাথা পাচ্ছিস কে বলেছিল এই বিকেল বেলা বৃষ্টিতে ভিজতে…
——–“উফ,আম্মু সরি, ভুল হয়ে গেছে…
———“আজকে তোর কোনো কথাই শুনবো না…
——–“সলি আম্মু,
“কিন্তু কে শুনে কার কথা আম্মু টেনে নিয়ে যাচ্ছে তো নিয়েই যাচ্ছে’!!যার কারনে আবারো বলে উঠলাম আমিঃ

———“সলি বললাম তো আম্মু তারপরও…
“বিনিময়ে কোনো উওর দিল না আম্মু’!!হয়তো রেগে বোম হয়ে আছে…!!
“সোফায় গোল হয়ে বসে ছিল আব্বু আর ভাইয়া’!!আমাদের এভাবে দেখে অবাক হয়ে বললো আব্বুঃ
——–“কি হলো তুমি ওকে এইভাবে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো….
——–“দেখো না আব্বু একটু বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়েছিলাম তার জন্য আম্মু এই টেনেটুনে নিয়ে আসলো আমায়….
“আমার কথা শুনে হাসলো আব্বু আর ভাইয়া!ভাইয়া তো আম্মুকে আর একটু রাগিয়ে দেওয়ার জন্য বললোঃ
——–“একদম ঠিক করেছো আম্মু…
——–“ভাইয়া তুমি আম্মুর হয়ে কথা বলছো…
“ভাইয়া কিছু বলার আগেই আব্বু বলে উঠলঃ
——–“ঠিক আছে ঠিক আছে তোরা আর ঝগড়া করিস না এখন তাড়াতাড়ি রুমে গিয়ে চেঞ্জ করে নে তানজু তা না হলে ঠান্ডা লেগে যাবে…
“আমিও আর কথা না বারিয়ে চলে গেলাম নিজের রুমে!

“রাত_৮ঃ০০টা….
“বিছানায় বসে আছে রিয়াদ’!!এমন সময় কফি হাতে রুমে ঢুকলো আফরিন’!!রুমে ঢুকেই বলে উঠল আফরিনঃ
——-“ভাই…
“রিয়াদ আফরিনকে দেখে মুচকি হেঁসে বললোঃ
——-“হুম বল…
——-“তোর সাথে কিছু কথা ছিল….
——–“হুম বল না…
“আফরিন মুচকি হেঁসে কফিটা এগিয়ে দিল রিয়াদের দিকে’!!রিয়াদও মুচকি হেঁসে কফিটা হাতে নিলো’!!রিয়াদ কফিতে চুমুক দিতেই বলে উঠল আফরিনঃ
——–“ভালোবাসিস ভাই তানজুকে….
“আচমকা বোনের মুখে এমন কথা শুনে চমকে উঠলো রিয়াদ’!!অবাক হয়ে বললো সেঃ
———“তার মানে অপূর্ব সব বলে দিয়েছে তোকে…
“আফরিন হাল্কা হেঁসে বলে উঠলঃ
———“অপূর্ব কিছু বলে নি ভাই…
“এবারের কথা শুনে রিয়াদ অবাক হয়ে বললোঃ
———“তাহলে…
———“কি করে জানলাম এই তো…..

“মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললো রিয়াদ’!!আফরিন রিয়াদের কথা শুনে কফিতে চুমুক দিতে দিতে বললোঃ
——-“যে ছেলে একটা মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে চারদিন নিখোঁজ থাকতে পারে, নিজের জীবনকে বিপন্ন করে মেয়েটা বাঁচাতে পারে তাহলে একজেকলি কি কারন থাকতে পারে এগুলো করার পিছনে ভাই!আমি তো প্রথম দিনই বুঝে গিয়েছিলাম তুই তানজুকে ভালোবাসিস….
“এইবার রিয়াদ কি বলবে বুঝতে পারছে না’!!মাথা চুলকাতে শুরু করলো সে’!!রিয়াদের কান্ডে হাসলো আফরিন’!!তারপর রিয়াদের গাল টেনে বলে উঠল সেঃ
———“বিয়ে কবে করছিস তোরা….
———“আমি তো ওকে এখনো বলি নি আমি যে ওকে ভালোবাসি…
———“তাহলে অপেক্ষা করছিস কার তাড়াতাড়ি বলে দে…
——–“যদি ওর উওর না হয় তখন…
——–“কি উল্টো পাল্টা ভাবছিস বলতো এমনও তো হতে পারে তানজু নিজেও তোকে ভালোবাসে…
——–“বলছিস তুই এমনটা হতে পারে…
——–“১০০ বার হতে পারে তাহলে বল বিয়ে কবে করছিস…
“রিয়াদ হেঁসে বলে উঠলঃ
——–“এখনই বিয়ে কি করে করবো আগে বোনটাকে বিয়ে দিতে হবে তো…
“ভাইয়ের মুখে এমন কথা শুনে লজ্জা পায় আফরিন’!!তারপর বললো সেঃ
——–“অনেক পেকে গেছিস না তুই( কান টেনে)
“হাসলো রিয়াদ সাথে আফরিনও…..

“সূর্যের ফুড়ফুড়ে আলোতে ঘুম ভাঙল আমার’!!ঘড়ির দিকে তাকাতেই চোখ আমার চড়ুই গাছ’!!এক প্রকার লাফ মেরে বিছানা থেকে উঠে বসলাম আমি’!!বহুদিন পর আজকে ভার্সিটি যাবো তাও যদি লেট হয় উফ’!!আর ভাবতে পারছি না আমি চটজলদি তৈরি হয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পরলাম আমি….
.
“সিঁড়ি বেয়ে হতভম্ব হয়ে উপরে উঠছিলাম আমি’!!এমন সময় হুট করে কেউ এসে জড়িয়ে ধরলো আমায়’!!ঘটনা চক্রে আমি পুরো ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেছি’!!শকট হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম আমি’!!
“কিছুক্ষণ পর….
“জড়িয়ে ধরা ব্যক্তি আমায় ছেড়ে দিয়ে বলে উঠল সেঃ
——–“তুমি ঠিক আছো তানজু তুমি জানো আমি কতটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম…
“সামনের ব্যক্তির মুখ থেকে আরো ৪৪০ ভোল্টকা জটকা খেলাম আমি’!!কারন সামনের ব্যক্তিটি আর কেউ নয় আবির ভাইয়া’!!হা হয়ে তাকিয়ে আছি আমি আবির ভাইয়ার দিকে’!!উনি আবারো বলে উঠলেনঃ
——–“সরি তানজু আসলে দূর থেকে তোমায় দেখে নিজের এক্সাইমেন্টটাকে আর ধরে রাখতে পারি নি তাই জড়িয়ে ধরে ফেলেছি আই এম সো সরি…
“আমি চুপ!
———-“তুমি জানো এই কয়েকদিন আমার রাতে ঘুম হয় নি,সারারাত শুধু তোমার কথাই ভেবে গেছি…..
“এই রকম আরো বক বক করতে লাগলো আবির ভাইয়া’!!আর আমি শুধু স হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম!!যেন কি বলবো সব ভুলে গেছি!

“ওদিকে আরেকজন চোখ লাল করে তাকিয়ে আছে ওদের দিকে’!!কিছুক্ষণ আগেই পৌঁছে ছিল রিয়াদ ভার্সিটির ভিতর!!তানজু – আবিরের পিছনেই ছিল সে’!!আবিরের কথা শুনে মাথা গরম হয়ে গেল রিয়াদের’!!কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারলো না সে’!!হাত শক্ত করে দাঁড়িয়ে রইলো রিয়াদ…..
“এদিকে আবির কতক্ষণ বক বক করে চলে গেল তার ক্লাসে’!!আর তানজু সে তো হাবলার মতো শুধু দাঁড়িয়েই রইলো’!!যেন একটু আগে কি হলো সব মাথার উপর দিয়ে গেছে তার’!!

“ভার্সিটির লাইব্রেরির ভিতর দাঁড়িয়ে আছি আমি’!!উদ্দেশ্য হচ্ছে একটা মজাদার বই পড়ে নিজের মুডটাকে ঠিক করা’!!কতক্ষণ আগে আবির ভাইয়ার কাজে কিছু বলতে না পারলেও এখন খুব রাগ লাগছে আমার’!!কেন যে কিছু বলতে পারলাম তখন, এখন ইচ্ছে করছে গিয়ে কিছু বলি,ধুর কেন যে তখন পাথরের মতো দাঁড়িয়ে ছিলাম…
“এই নিয়ে নিজেকে প্রচুর ঝেরেছি আমি’!!আবিরের বাচ্চার জন্য আজকে ক্লাসেও যেতে পারলাম না’!!তাই ভাবলাম যতক্ষণ দিহান ওরা ক্লাস করবে ততক্ষণ একটা বই পড়ে সময় কাটাবো’!!এখন প্রায় সবাই যে যার ক্লাসে তাই লাইব্রেরি প্রায় ফাঁকা বললেই চলে’!!
“ব্যাকটা টেবিলের উপর রেখে এগিয়ে চললাম আমি লাইব্রেরির বুকশেলফের দিকে’!!বড় বড় কয়েকটাই বুকশেলফ আছে এখানে সারি সরি পর’!!একটার পর একটা টপকে চলেছি আমি’!!কি বই পরবো এটা ভাবতে ভাবতে ঠিক করলাম হুমায়ুন আহমেদের লেখা একটা বই পড়বো’!!যেই ভাবা সেই কাজ’!!হর্ঠাৎই চোখ গেল বুকশেলফের একদম উঁচুতে থাকা একটা বইয়ের দিকে’!!কিন্তু বইটা এতটাই উঁচুতে যে আমার হাত পৌছাচ্ছে না’!!উফ,এত উঁচুতে কেউ বই রাখে নাকি….
“এই ভেবে কিছুটা বিরক্ত নিয়ে একটা চেয়ারের উপর উঠে দাঁড়ালাম আমি’!!কিন্তু তার পরও বইটা ধরতে পারছি না আমি’!!এই মুহুর্তে মনে হচ্ছে “আমি তাল গাছের মতো লম্বা হলে ভালো হতো মনে হয়”….
“কিছুক্ষণ চেষ্টা করার পরও কাজ হলো না কোনো’!!হর্ঠাৎই মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো’!!

এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ২১

——–“আরে তানজু তুই তাল গাছ নয় তো কি হইছে কিন্তু তালগাছে উঠতে তো পারিস জিও তানজু ইউ আর সো ইনটেলিজেন্ট… ?
“এই ভেবে বুকশেলফের উপর পা রাখলাম আমি’!!উদ্দেশ্য হচ্ছে গাছে চড়ার মতো করে ওঠা’!!!কারন আর পাঁচ আঙুল লম্বা হলেই চলবে….
“ভাবতে ভাবতে উপরে উঠলাম আমি’!!

“এমন সময় সেখানে উপস্থিত হয় রিয়াদ’!!তানজুকে এইভাবে বই নামাতে দেখে হাসবে না কি করবে বুঝতে পারছে না সে’!!এমনিতেই তার একটু রাগ আছে তানজুর উপর’!!রিয়াদ কিছুক্ষন তানজুর দিকে তাকিয়ে রইল’!!হর্ঠাৎই রিয়াদের মাথায় একটা শয়তানি মার্কা বুদ্ধি আসলো’!!রিয়াদ আস্তে গিয়ে তানজুর নিচে থাকা চেয়ারটা নিয়ে গেলো….

বইটা হাতে নিয়ে নামতেই দেখলাম রিয়াদ স্যার আমার নিচে থাকা চেয়াররা নিয়ে গেলেন’!!আর ওনার এমন কাজ দেখে হাবলার তাকিয়ে রইলাম’!!আরে ওটা না থাকলে আমি নামবো কিভাবে? হর্ঠাৎই কিছু একটা ভেবে তাড়াতাড়ি বুকশেলফটাকে শক্ত করে ধরে রাখলাম আমি’!!তারপর রিয়াদ স্যারকে বলে উঠলামঃ
———“এটা কি স্যার আপনি চেয়ার নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন,ওটা ছাড়া আমি নিচে নামবো কিভাবে..

এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ২৩