এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ৫ || অনেক কষ্টের গল্প

এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ৫
তানজিল মীম

“ভরা ক্লাস রুমের সামনে এইভাবে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে মোটেও ভালো লাগছে না আমার’!!আর আমায় এইভাবে কানে ধরিয়ে রেখে কি সুন্দর দিব্বি হেঁসে হেঁসে স্টুডেন্টদের পড়িয়ে যাচ্ছে রিয়াদ স্যার’!!ইচ্ছে করছে টিউবলাইটের মাথায় একটা বারি মেরে মাথাটা ফাটিয়ে দেই’!!উফ পা টাও ব্যাথা হয়ে গেছে আমার’!!সেই কখন থেকে দাড়িয়ে আছি’!!ধুর কেন যে টাকলা স্যারের জায়গায় এই টিউবলাইট হনুমানটা আসলো’!!এসব বলে রিয়াদের গুষ্টি উদ্ধার করছি আমি’!!আর আমার সামনে কি সুন্দর দিহান হৃদয় আরিফা আর রিতু আমায় দেখে মিটি মিটি হাসছে ইচ্ছে করছে সব গুলারে ইচ্ছে মতো মারি’!!সব কয়টা শয়তান’!!আমার ভাবনার মাঝখানে হর্ঠাৎই রিয়াদ স্যার বলে উঠলেনঃ
——–“যাও এখন আর কাল থেকে যেন লেট না হয়…
“বিনিময়ে আমি আর কোনো জবাব না দিয়েই চলে গেলাম নিজের জায়গায় পুরো পা ব্যাথা করছে আমার’!!পায়ে হাত দিয়ে কিছুক্ষন চুপ করে বসে রইলাম আমি’!!আজকে অবস্থা শেষ মনে হয়….

“অন্যদিকে রিয়াদ পড়ার ফাঁকে ফাঁকে তানজুর দিকে তাকিয়ে যাচ্ছে’!!হুট করেই মন খারাপ হলো তার হয়তো একটু বেশি বারাবারি করে ফেলেছে সে’!!কিছুক্ষণ পর…
“রিয়াদ তার ক্লাস কমপ্লিট করে চলে গেলেন’!!দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে আর এক পলক তাকালো সে তানজুর দিকে’!!মেয়েটা এখনও পায়ে হাত দিয়ে বসে আছে’!!দেখে ছোট্ট একটা শ্বাস ফেললো রিয়াদ’!!
“ক্যান্টিনে বসে আছি আমরা সবাই’!!আর সবাই এটা ওটা নিয়ে আড্ডা দিচ্ছি’!!হর্ঠাৎই দিহান বলে উঠলঃ
———-“তোর কি পায়ে খুব ব্যাথা করছে দোস্ত….
———-“ওই একটু আকটু….
———-“তুই যাই বলোস স্যার একটু বেশি বেশি করে তোর সাথে(দিহান)
——–“হুম ঠিক বলিছিস তুই দিহান রিয়াদ স্যার একটু বেশি বেশি বকে তানজুকে(হৃদয়)
———“আমার মনে হয় রিয়াদ স্যারের সাথে তানজুর কোনো পূর্ব শএুতা আছে(রিতু)
“রিতুর কথা শুনে চোখ বড় বড় হয়ে গেল আমার’!!আমি অবাক হয়ে বললামঃ
———-“তোর মাথায় কি গোবর আছে স্যারের সাথে আমার ভার্সিটি ছাড়া আর কোথাও দেখা থোড়াই হয়েছে’!!
———“তাই তো,আমার মনে হয় সেদিন যে তুই ভুল করে পানি দিয়েছিলি না তার রাগটা এখনও আছে..(আরিফা)
———“ঠিক বলেছিস তুই আরিফা(রিতু)
———“হুম সেটাই হবে হয় তো বাদ দে তো,খালি খালি ওই “টিউবলাইট” স্যারের কথা বলে মুডটা নষ্ট করতে চাই না আমি…
“আমার কথা শুনে সবাই চোখ বড় ? বড় করে তাকালো আমার দিকে’!!আমি একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললামঃ
——–“কি হলো তোরা ওইভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?
———“লাইকসিরিয়াসলি দোস্ত কি নামরে বাবা টিউবলাইট…(হৃদয়)
———“সুন্দর না…?
———“একদম তোর মতো(দিহান)
———“কি বললি তুই…. ?
———“কিছু না…..
——–???

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

“তোরা বস আমি এক্ষুনি গরম গরম সিংগাড়া নিয়ে আসি’!!বলেই একপ্রকার দৌড়ে পালালো দিহান’!!
.
“গরম গরম সিংগাড়া আর তার সাথে টমেটো সস সত্যি খুব মজার’!!এটা আমাদের রেগুলার রুটিনের মধ্যে একটি’!!প্রায় ক্যান্টিনে বসে এসব খাওয়া আর তার সাথে আড্ডা ছাড়া ভার্সিটি আসার মজাটা ঠিক জমে না’!!সিংগাড়া মুখে দিতে দিতে বলে উঠলাম আমিঃ
———“আচ্ছা আজকে টাকলা স্যারের জায়গায় টিউবলাইট স্যার কেনো আসলো বলতো….
———-“কালকে হর্ঠাৎ রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ে শরিফ স্যারে(টাকলা স্যারের নাম)
———“কি….
———“হুম স্যার নাকি হসপিটালে ভর্তি…(রিতু)
———“খুব গুরুতর নাকি….
———“এমনটাই হয় তো আর এর জন্য কিছুদিন মানে যতদিন স্যার সুস্থ না হচ্ছে ততদিন রিয়াদ স্যারই আমাদের ক্লাস নিবে….(হৃদয়)
———“কি? হায় রে তাহলে তো কপাল গেছে আমায় রোজ কান ধরিয়ে রাখবে আমায় এখন কি করি…
———“একটু তাড়াতাড়ি আসিস বোইন(আরিফা)
———-“চল সবাই….
“আচমকা আমার মুখে এমন কথা শুনে ওঁরা অবাক হয়ে বললোঃ
———“কোথায় যাবি….
———-“টাকলা স্যারকে দেখতে….
———-“কি তুই আর টাকলা স্যার ওনার সাথে তো শুধু ঝগড়াই হয় তাইলে….
———-“তাইলে আবার কি ঝগড়া হয় দেখে দেখতে যাবো না ওনাকে….
———“আসলে সেটা বলতে চাই নি আমি….
——–“ওতো কিছু শুনতে চাই না আমি আগে চল তোরা….
“শেষমেশ আমার জোরাজোরিতে রাজি হলো ওঁরা’!!তারপর ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে পরলাম আমরা’!!

“ভার্সিটির গেটের সামনে আসতেই রিয়াদ স্যারের সাথে দেখা’!!আমাদের একসাথে যেতে দেখে বলে উঠলেন উনিঃ
———“কোথাও যাচ্ছো তোমরা…
———“আসলে স্যার আমরা সবাই মিলে টাক থুক্কু শফিক স্যারের সাথে দেখা করতে যাচ্ছি…(দিহান)
———“ওহ আমিও যাচ্ছি যাবে তোমরা আমার সাথে….
“দিহান কিছু বলতে যাবে তার আগেই আমি বলে উঠলাম আমিঃ
———–“তার কোনো দরকার নেই স্যার আমরা একাই যেতে পারবো…
———-“কিন্তু দোস্ত…..(দিহান)
———“তোরা চুপ কর আর তোরা গেলে যা আমি যাবো না….
“এমন সময় রিতু এসে কানে কানে বললো আমারঃ
——–“দেখ দোস্ত এই সুযোগ বার বার আসবে না কিন্তু ফ্রি তে হসপিটাল যেতে পারবো তার সাথে আমার ক্রাশ স্যারের সাথেও প্লিজ মেনে নে না….
——–“না মানে না….
——–”প্লিজ….
——-“না….
——-“প্লিজ প্লিজ চল তোকে পড়ে এর জন্য ফুচকা খাওয়ামু নে…..
——–“সত্যি….
——–হুম…
——-”যা তাইলে ঠিক আছে…
“সবার ফিসফিস করে কথা বার্তা বলা দেখে রিয়াদ বলে উঠলঃ
———“তাহলে তোমরা যাবে না মনে হয় আমার সাথে….
———-“না স্যার যাবো,আপনি বলেছেন আর আমরা যাবো না(রিতু)
———“আর তোমাদের ফ্রেন্ড ও মনে হয়….
———“না স্যার ও যাবে…
“তারপর আমরা একে একে সবাই মিলে বসে পরলাম রিয়াদ স্যারের গাড়িতে’!!

“বেশকিছুক্ষন পর……
“আমাদের গাড়ি এসে থামলো একটা বড় হসপিটালের সামনে’!!
“একে একে আমরা সবাই গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম’!!তারপর হসপিটালের ভিতর ঢুকে সবাই একসাথে চললাম টাকলা থুক্কু শফিক স্যারের কেভিনের দিকে….
..
“হসপিটালের বেডে মাথায় হাত দিয়ে সোজা হয়ে শুয়ে আছে শফিক স্যার’!!আমরা সবাই স্যারের রুমে প্রবেশ করলাম’!!ওনার বউ আমাদের দেখে বলে উঠলেন স্যারকেঃ
———-“দেখো কারা এসেছে তোমায় সাথে দেখা করতে…
“স্যার তার বউয়ের কথা শুনে চোখ তুলে তাকালো আমাদের দিকে’!!হয়তো উনি বেশ অবাক হয়েছে আমাদের দেখে’!!স্যারকে এইভাবে দেখে কেন জানি না খুব খারাপ লাগছে আমার’!!আমি কোনোকিছু না ভেবেই স্যারের পাশে গিয়ে বসে বলে উঠলামঃ
———-“কেমন আছেন স্যার….
———-“তুই আজও লেট করে গেছিলি ক্লাসে তাই না….
“ওনার কথা শুনে কি উওর দিবো বুঝতে পারছি না আমি’!!আমি কিছু বলার আগেই দিহান বলে উঠলঃ
———-“স্যার কি করে হলো এমন….
“দিহানের কথা শুনে স্যারের বউ বলে উঠলেনঃ
———“কি বলবো বাবা কাল রাতে হুট করেই প্রচন্ড বেগে বুকে ব্যাথা শুরু হয় ওনার তাই আর এমনিতেই হার্টে একটু সমস্যা আছে ওনার তাই কোনো রিস্ক না নিয়েই হসপিটাল ভর্তি করে দিয়েছে তবে চিন্তা করো না ডাক্তার বলেছে দুদিন বেড রেস্ট থাকলেই ঠিক হয়ে যাবে…..
“ওনার কথাগুলো শুনে আমি স্যারের দিকে তাকিয়ে বললামঃ
———-“তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ভার্সিটিতে চলে আসুন স্যার…..
———–“কেনো তোর তো সুবিধা হয়েছে বল দুদিন আমার বকা শুনতে হবে না…
“কেনো জানি না প্রচন্ড বেগে খারাপ লাগলো আমার স্যারের কথা শুনে’!!আমি হুট করেই বলে উঠলামঃ

———–“ভালো লাগছে না স্যার…
“আমার কথা শুনে স্যারসহ উপস্থিত সবাই বেশ অবাক হয়’!!স্যার তো অবাক হয়ে বললোঃ
———-“কি বলছিস তুই …..
———–“সত্যি বলছি স্যার আপনার বকা ছাড়া আমার দিন ভালো যাচ্ছে না,তাড়াতাড়ি ভার্সিটি চলে আসুন স্যার আপনার বকা শুনতেই ভালো লাগে আমার…..
“আমার কথা শুনে হাসলো সবাই!!আমি একটু ক্ষিপ্ত মেজাজে বললামঃ
———“এতো হাসার কি আছে হুহ…
“বিনিময়ে কেউ কিছু বললো না’!!
__________________________________________
_______________________
“হসপিটালের করিডোরে দাঁড়িয়ে আছি আমি’!!আর বাকি সবাই শফিক স্যারের সাথে কথা বলছে’!!আসলে আজকে বুঝলাম মানুষের বকা খাওয়ার মাঝেও ভালো লাগা আছে’!!আছে কিছু আনন্দের ছোঁয়া’!!
———-”কিন্তু দুদিন কিভাবে ঘুম থেকে উঠবি তুই তানজু উঠতে না পারলে তো আবার কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখবে রিয়াদ স্যার’!!উফ টাকলা স্যার তাড়াতাড়ি সুস্থ চলে আসো….(মনে মনে)
“এমন সময় পিছন থেকে বলে উঠল কেউঃ
————-“মিস লাউডস্পিকার….
“আবারো এই অদ্ভুত নাম শুনে পিছনে ঘুরে তাকিয়ে রিয়াদ স্যারকে দেখে মেজাজ বিগড়ে গেল আমার’!!এ আবার এখন কি বলবে আমায়’!!বেশি কিছু না ভেবেই আমি চুপচাপ হেঁটে সামনে গেলাম তার’!!তারপর বলে উঠলামঃ
———-“জ্বী বলুন স্যার…
———-“চলো আমার সাথে….
“আমি অবাক হয়ে বললামঃ
———-“কোথায় স্যার…
———-“চলো গেলেই দেখতে পাবে….
“আমিও কিছু না বলে চললাম ওনার পিছনে’!!একটা রুমে এসে বসিয়ে দিলেন রিয়াদ স্যার আমায় তারপর বলে উঠলেন উনিঃ
———“তুমি এই বেডে বসো আমি একটু আসছি….
“বলেই চলে গেলেন উনি’!!আমি জাস্ট হা হয়ে তাকিয়ে আছি ওনার দিকে’!!কি করতে চাইছেন উনি….

“কিছুক্ষণ পর……
“রিয়াদ স্যার রুমে ঢুকলেন হাতে একটা মলম নিয়ে’!!এসে বেশ অবাক হই আমি’!!স্যার আমার সামনে এসে বললোঃ
——–“সকালের জন্য আমি সরি আসলে একটু বেশিক্ষনই তোমায় দাঁড় করিয়ে রেখেছিলাম’!!পায়ে অনেক ব্যাথা করছে তাই না…
———“সত্যি বলতে স্যার আপনি যতটা ভাবছেন ততটা ব্যাথা করছে না অল্প….
———-“এই মলমটা লাগিয়ে নিও ব্যাথা কমে যাবে…
“বলেই মলমটা এগিয়ে দিল রিয়াদ তানজুর দিকে’!!
“আমিও হাল্কা হেঁসে মলমটা নিয়ে নিলাম হাতে’!!আসলে যতটা শয়তান ভেবেছিলাম ততটাও শয়তান না এই টিউবলাইট..
।।
“এদিকে রিয়াদ চাইছিল অন্যকিছু নিজ হাতে মলম লাগিয়ে দিবে সে তানজুর পায়ে’!!কিন্তু এই মুহুর্তে সেটা করতে কেমন একটা লাগছে রিয়াদের কাছে’!!
———“এই জন্যই কি এখানে নিয়ে আসলেন স্যার….
“তানজুর মুখে এমন কথা শুনে রিয়াদ ভাবছে চেয়েছিলাম অন্যকিছু করতে কিন্তু তাতে হয়তো তুমি মাইড করতে’!!(মনে মনে)
——–“কি হলো স্যার কথা বলছেন না কেন?
——–“হুম…

এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ৪

“একে একে আমরা সবাই শফিক স্যারের কাছ থেকে বিদায় জানিয়ে রওয়ানা হলাম নিজেদের গন্তব্যে’!! আজ আর ভার্সিটি যাবো না এখান থেকেই বাসায়’!!একে একে সবাই আলাদা আলাদা গাড়ি করে চলে যাচ্ছে’!!আমার বাসা উল্টো দিকে হওয়ায় আমি দাঁড়িয়ে রইলাম’!!একটা গাড়ি পেলেই চলে যাবো’!!চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি আমি কারন উল্টো দিক দিয়ে এই মুহুর্তে কোনো গাড়ি আসছে না’!!আকাশটাও ঘন কালো মেঘে ঢেকে গেছে হয়তো আর কিছুক্ষনের মধ্যেই বৃষ্টি হবে’!!ধুর আজকে সব গাড়ি চালকরা মদ খেয়ে ঘুমাচ্ছে নাকি’!!ধুরছাই মনে হয় সামনে হাঁটতে হবে এইভেবে সামনে এগোতে লাগলাম আমি’!!কিছুটা দূর যেতেই হর্ঠাৎই একটা গাড়ি থামলো আমার সামনে’!!তবে গাড়িটা দেখে আমার বুঝতে বাকি নেই গাড়িটা কার….
“গাড়ির জানালা খুলে রিয়াদ স্যার বলে উঠলেনঃ
———“তুমি কিছু মনে না করলে আমি তোমায় গাড়ি করে পৌঁছে দেই তোমাদের বাসায়…
———“কিন্তু….
———-“কিন্তু কিসের তুমি দেখছো না কিছুক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টি শুরু হবে আর আমার মনে হয় না এই মুহুর্তে তুমি কোনো গাড়ি বা রিকশা পাবে তাই বলছি কথা না বারিয়ে চলে আসো আমার সাথে..!
“রিয়াদ স্যার কথাটা মন্দ বলে নি’!!অনেক ভেবেচিন্তে রাজি হলাম আমি’!!আর পায়ে একটু ব্যাথা আছে বেশি হাঁটলেও প্রবলেম হবে’!!তাই উঠে পরলাম রিয়াদ স্যারের গাড়িতে’!!আমি বসতেই রিয়াদ স্যার গাড়ি চালাতে শুরু করল…

“মাঝরাস্তায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল’!!কাঁচের জানালা ভেদ করে বৃষ্টির পানি আসছে গাড়ির ভিতর’!!যা দেখে রিয়াদ স্যার বলে উঠলেনঃ
———“জানালা বন্ধ করে দেই…
———“না….
“বিনিময়ে রিয়াদ স্যারও কিছু বললেন না’!!হর্ঠাৎই কিছু একটা দেখে চোখ আঁটকে যায় আমার’!!আমি স্যারের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলামঃ
——–“গাড়ি থামান স্যার…….
“আমার কথা শুনে রিয়াদ স্যারও ব্রেক কষলো’!!হয়তো অবাক হচ্ছে বৃষ্টির ভিতর কেন থামাতে বললো “তানজু”…..

এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ৬