এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ৯ || অনেক কষ্টের গল্প

এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ৯
তানজিল মীম

“অবাক হয়ে নিজের জায়গায় বসে পরলাম আমি’!!কারন আজকে টাকলা স্যার বকলো না আমায়’!!আরো মুচকি হেঁসে ভিতরে ঢুকতে দিলেন উনি’!!এতে বেশ অবাক হই আমি’!!আমি সহ ক্লাস রুমের বাকি সবাইও যে বেশ অবাক হয়েছে এতে, তা আমি ভালোই বুঝতে পেরেছি’!!কিছু না ভেবেই চুপটি করে বসে রইলাম আমি’!!কারন বিষয়টা একদমই হজম হচ্ছে না আমার’!!
“ভার্সিটির মাঠের পাশে একটা গাছের নিচে গোল হয়ে বসে আছি আমরা সবাই’!!হর্ঠাৎই হৃদয় বলে উঠলঃ

———“ব্যাপারটা কি হলো দোস্ত আজকে টাকলা স্যার তোকে বকলো না কেন?
———“কি জানি…
———-“সেদিন হসপিটালে তোর কথা শুনে স্যারের ভালো লাগছে তাই হয়তো(দিহান)
———-“হবে হয়তো….
———“হুম…(দিহান)
——–“এখন ওসব বাদ দে আগে বল আমার বাসায় কবে যাবি তোরা….
———“আরে যাবো যাবো চাপ নিস না….(দিহান)
———-“ম্যানেজ না করতে পারলে আমার সুন্দরবন যাওয়া কিন্তু গেছে দোস্ত….
———-“আরে কিছু হবে না..(দিহান)
“এমন সময় ফাস্ট ইয়ারের একটা ছেলে এসে বললোঃ
———“আপু তোমায় রিয়াদ স্যার ডাকছে….
“ছেলেটির কথা শুনে চোখ আমার চড়ুই গাছ’!!আবার কেন ডাকছে আমায়’!!আজকে তো কিছু করি নি’!!এমনকি এখন পর্যন্ত তো ওনার সাথে দেখাই হয় নি’!!তাহলে…..?
“আমার ভাবনার মাঝে আবারো ছেলেটি বলে উঠলঃ
———“আপু এখনই যেতে বলেছে স্যার তোমায়….
———“ঠিক আছে তুমি যাও যাচ্ছি আমি…
———-“ঠিক আছে আপু…
“বলেই ছেলেটা চলে যায়’!!ছেলেটি যেতেই দিহান বলে উঠলঃ
———“আবার কি করেছিস তুই আজকে….
———“বিশ্বাস কর আজকে আমি কিছু করি নি এমনকি স্যারের সাথে আজকে দেখাই হয় নি এখন পর্যন্ত আমার….

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

———-“তাহলে ডাকলো কেন?(হৃদয়)
———-“আমি কি জানি…
———-“আরে স্যার ডাকছে এর মানে তো এই নয় যে তানজুকে বকতে ডাকছে হতেও তো পারে কোনো কাজে ডাকছে(রিতু)
———-“হুম সেটাই হয়তো তাড়াতাড়ি যা তানজু(আরিফা)
———-“তোরাও চল না আমার সাথে আমার খুব ভয় লাগছে….
———“আরে কিছু হবে না….(হৃদয়)
———-“সত্যি তো..
———-“হুম আর শোন তুই ফিরে এলেই আমরা সবাই তোদের বাসায় যাবো তাই ঠাস করে যা আর ঠুস করে চলে আয়(দিহান)
———-“ঠিক আছে তোরা বস আমি আসছি….
“বলেই বসা থেকে উঠে দাঁড়ালাম আমি’!!আর একবার ওদের দিকে তাকিয়ে হাল্কা হেঁসে হাঁটা শুরু করলাম আমি’!!
“আর ওরা কিছুক্ষণ তানজুর যাওয়ার পানে তাকিয়ে থেকে নিজেদের কাজে মন দিল’!!শুধু মন দিতে পারলো না দিহান’!!কারন তার কাছে বিষয়টা কেমন খটকা লাগছে’!!
——–“বার বার স্যার শুধু তানজুকেই কেন ডাকছে তার রুমে…(মনে মনে)
“দিহানের ভাবনার মাঝে রিতু ওর মাথায় একটা চাটি মেরে বললোঃ
——–“কোন রাজ্যে হারিয়ে গেলি তুই…
——–“না কিছু না…
“তারপর দিহান আর বেশি কিছু না ভেবে আড্ডায় মনোযোগ দিলো’!!

“একবুক সাহস নিয়ে রিয়াদ স্যারের রুমের দরজায় নক করে বললাম আমিঃ
———“May i come in sir….
“টেবিলে বসে কাজ করছিল রিয়াদ’!!তানজুর মুখের ভয়েস শুনেই রিয়াদ বুঝে গেছে কে এসেছে’!!মনে মনে খুশি হলেও বাহিরে তা প্রকাশ করলো না সে’!!এক গম্ভীর আওয়াজে তানজুর দিকে না তাকিয়েই বলে উঠল সেঃ
———-“Come….
!!
“স্যারের এমন গম্ভীর ভয়েস শুনে আরো কয়েকশত ভয় বেড়ে গেল’ আমার’!!কিন্তু আমি তো কিছু করি নি তাহলে…
“টিপ টিপ পায়ে ভিতরে ঢুকলাম আমি’!!তারপর স্যারের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে নরম কন্ঠে বলে উঠলাম আমিঃ
——–“স্যার আমায় ডেকেছিলেন….
“বিনিময়ে রিয়াদ কিছু বললো না’!!চুপচাপ সে তার কাজ করতে লাগলেন’!!প্রথমে ভেবেছি হয়তো উনি শুনতে পান নি আমার কথা তাই আর একটু কাছে গিয়ে উচ্চ স্বরে বলে উঠলাম আমিঃ
———-“ডেকেছিলেন স্যার…..
“আমার কথা শুনে রিয়াদ স্যার কিছু না বলেই একটা রাগী লুক নিয়ে তাকালো আমার দিকে’!!তার রাগী লুক দেখেই ভয়ে ঘাবড়ে গেলাম আমি’!!দুই কদম পিছিয়ে গিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে পরলাম আমি’!!রিয়াদ স্যার দু সেকেন্ড আমার দিকে তাকিয়ে আবারো নিজের কাজে মনোযোগ দিলো’!!
“এখন আমার বিরক্ত লাগছে’!!এ কেমন নিজেই ডেকে এনে চুপচাপ আছে’!!কিছু বলছে না…
ভয়ে কিছু বলতেও পারছি না ধুর….
“একরাশ বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম আমি’!!

এদিকে রিয়াদ চুপচাপ তার কাজ করছে সে জানে তানজু এই মুহুর্তে তার উপর চরম বিরক্ত’!!কিন্তু সেই বা কি করবে তানজুর মুখ না দেখলে তার যে ভালো লাগে না’!!রোজ রোজ তো আর ডেকে এনে কোনো কারন ছাড়াই দাঁড় করিয়ে রাখতে পারে না সে’!!সেই সকালে একপলক দেখেছিল সে তানজুকে’!!আর আজকে তার কোনো ক্লাসও নেই থার্ড ইয়ারে যে সেই বাহানায় সে দেখতে যাবে তানজুকে’!!তাই তো কোনো কারন ছাড়াই ডেকে এনেছে সে তানজুকে…..
“কিছুক্ষন পর…..
“বিরক্তির চরম সীমানায় পৌঁছে গেছি আমি’!!খালি খালি এইভাবে দাঁড় করিয়ে রাখার কোনো মানেই খুঁজে পাচ্ছি না আমি’!!
——–“উফ কবে বাসায় যাবো তার সবাইকে সুন্দরবন যাওয়ার জন্য রাজি করাবো…(মনে মনে)
||
——–“এদিকে আসো……
“আচমকা রিয়াদ স্যারের মুখে এমন কথা শুনে চমকে উঠলাম আমি’!!চটজলদি দু-কদম এগিয়ে এসে বলে উঠলাম আমিঃ
———“জ্বী স্যার বলুন….
———-“এই চেয়ারে বসো(রিয়াদের সোজাসুজি থাকা চেয়ারটাকে দেখিয়ে)
“রিয়াদ স্যারের কথা শুনে কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠলাম আমিঃ
———–“জ্বী স্যার বলুন…
“বলেই তাড়াতাড়ি চেয়ারের বসে পরলাম’!!
———-“Close your eyes….
“রিয়াদ স্যারের কথা শুনে আমি অবাক হয়ে বললামঃ
——–“জ্বী স্যার….
———“Close your eyes….
“আমি চোখ বড় বড় করে তাকালাম রিয়াদ স্যারের দিকে’!!
———-“তুমি কি আমার কথা বুঝতে পারছো না চোখ বন্ধ করো তোমার….
———“কিন্তু কেন স্যার…
———“এত কথা শুনতে চাই নি আমি যেটা করতে বলেছি সেটা কর তাড়াতাড়ি….
——–“কিন্তু স্যার….
———“আমি যতক্ষণ তোমায় চোখ খুলতে বলবো না ততক্ষণ চোখ খুলবে না….
———“But sir….
———“জাস্ট শ্যাট আপ(ধমক দিয়ে)
“ওনার ধমক শুনে কেঁপে উঠলাম আমি’!!তারপর তাড়াতাড়ি চোখ বন্ধ করে নিলাম আমি’!!ধুর ছাই এই স্যারের কাজকর্ম কিছু বুঝতে পারছি না আমি’!!চুপচাপ চোখ বন্ধ করে বসে রইলাম আমি’!!

“অন্যদিকে রিয়াদ অনেকক্ষণের ইচ্ছে পূরণ করছে সে’!!পলকবিহীন তাকিয়ে আছে সে তানজুর দিকে’!!খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে সে তানজুকে’!!লাল চুড়িদার, সাথে ওয়ান সাইডেট বেনুনী করা,,চোখে দিয়েছে সে হাল্কা কাজল,কানে রয়েছে এক জোড়া সুন্দর ঝুমকো,,চোখের ঠিক পাশ দিয়ে রয়েছে একটা ছোট্ট দাগ যেটা রিয়াদের কাছে আরো বেশি সুন্দর লাগছে’!!মুচকি হাসে সে’!!বুকের বাম পাশে আবারো চিন চিনে ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে তার, বুকে হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করে নিলো রিয়াদ’!!বর্তমানে দুজনেই চোখ বন্ধ করে আছে’!!
“২ মিনিট পর….
——-“বলছিলাম কি স্যার এখন কি আমি চোখ খুলতে পারি….
“হর্ঠাৎই তানজুর মুখে এমন কথা শুনে রিয়াদ তার চোখ খুলে ফেললো’!!তারপর নরম কন্ঠে বললো সেঃ
———-“হুম খোলো….
“রিয়াদ স্যারের কথা শুনে তাড়াতাড়ি চোখ খুললাম আমি’!!সব অন্ধকার দেখছি এখন’!!ধীরে ধীরে চারপাশ পরিষ্কার হতে লাগলো আমার’!!সামনেই রিয়াদ স্যারের ফেস টা চলে আসলো’!!আজকে রিয়াদ স্যার ব্লাক শার্ট আর ব্লাক জিন্স পড়েছে, বরাবরের মতোই চুলগুলো খুব সুন্দর করে সাজানো,ফর্সা ফেসএ অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাকে’!!চটজলদি চোখ নামিয়ে নিলাম আমি’!!আমি কিছু বলার আগেই রিয়াদ স্যার বলে উঠলঃ
———“তাড়াতাড়ি বাসায় যাও….
অবাক হলাম আমি’!!মিনমিনে বললাম আমিঃ
———“কিন্তু স্যার…..
———-“আর কোনো কিন্তু নয় তাড়াতাড়ি যাও আমার কাজ আছে….
“আমায় কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই জোরজবরদস্তি করে রুম থেকে বের করলেন উনি’!!তারপর দরজা বন্ধ করে দিলো’!!রুম থেকে বের হতেই মুখ থেকে অটোমেটিক বেরিয়ে আসলো আমারঃ
——–“এটা কি হলো….?‍♀️
..
” অন্যদিকে রিয়াদ দরজা বন্ধ করে দিয়ে তার জায়গায় বসে মুচকি হাসছে!যেন তানজুকে হতাশ করে তার খুব আনন্দ লাগছে’!!আনমনেই বলে উঠল সেঃ
———“আমি সত্যি পাগল হয়ে গেছি ”প্রিয়সী”… ?
…..

“ভার্সিটির দু-তালার করিডোর দিয়ে আনমনে হাঁটছি আমি’!!যেন কয়েক মুহূর্ত আগে কি হলো সব মাথার উপর দিয়ে গেল’!!নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করছি….
———-“এটা কি হলো তানজু স্যার তোকে ডাকলো কতোক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখলো তারপর কতোক্ষন চেয়ারে বসিয়ে চোখ বন্ধ করতে বললো তারপর রুম থেকে বের করে দিল…এটা কেমন পাগল কি আমি নাকি উনি, বকলো না আবার কিছু বললো না, আমার মাথায় তো কিছুই ঢুকলো না….?
“এই মুহুর্তে একটা গান খুব মনে পরছে আমারঃ
———“আমি পাগল হয়ে যাবো, আমি পাগল হয়ে যাবো….
“এমন সময় আমার সোজাসুজি সামনের দিক থেকে দৌড়ে আসছিল চারটে চিরচেনা মুখ দিহান, হৃদয়, আরিফা আর রিতু….!!ওঁরা আমার সামনে দৌড়ে আসতে আসতে বললোঃ
———“অবশেষে তোর দেখা পেলাম এতক্ষণ কি করছিলি তুই (দিহান)
———“কি জানি কি করছিলাম চল বাসায় যাই…
“বলেই ওদের আগেই হেঁটে চলে গেলাম আমি’!!
,,
“এদিকে তানজুর কান্ড দেখে ওঁরা অবাক হয়ে বললোঃ
———-“ব্যাপারটা কি হলো..
———-“কি জানি….

“বাড়ির সোফায় গোল হয়ে বসে আছে রিতু,আরিফা, দিহান আর হৃদয়’!!আর ওদের সামনে বসে আছে আম্মু আর অপূর্ব ভাইয়া কিছুক্ষন আগেই এসেছে সে’ আর ভাইয়ার পাশ দিয়ে বসে আছি আমি’!!সবাই চুপচাপ আমাদের নীরবতার মাঝখানে বলে উঠল ভাইয়াঃ
———“কি হলো তোরা চুপ করে আছিস কেন কি বলবি তাড়াতাড়ি বলল….
“ভাইয়ার কথা শুনে হৃদয় দিহানকে একটা খোঁচা মেরে বললোঃ
———“বলোস না কেন?
———-“তুই তো বলতে পারোস….(দিহান)
———–“এই তোরা ফিস ফিস করছিস কেন…?(আরিফা)
———–“তোর বিয়ের প্যান্ডেল কিভাবে হবে তার গবেষণা করছি তো তাই(হৃদয়)
“হৃদয়ের কথা শুনে আরিফা রেগে গিয়ে হৃদয়ে পিঠে জোরে চিমটি কাটে’!!সাথে সাথে হৃদয় চেঁচিয়ে উঠে…
“আচমকা হৃদয়কে চেঁচিয়ে উঠতে দেখে চমকে যাই আমরা সবাই’!!ভাইয়া হৃদয়ের দিকে তাকিয়ে বললোঃ
———-“কি হলো চেচাচ্ছিস কেন?
“হৃদয় কিছু বলার আগেই আরিফা বলে উঠলঃ
———–“ওটা কিছু না ভাইয়া হৃদয়ের আবার হুটহাট পেঁচার মতো চেঁচিয়ে উঠার অভ্যাস আছে….
“হাসলো সবাই….
“সবার হাসি দেখে বিরক্ত লাগছে আমার তাই হুট করেই বলে উঠলাম আমিঃ
———“আম্মু ভাইয়া আমি সুন্দরবন যেতে চাই….
– আচমকা আমার মুখ এমন কথা শুনে সবাই তাদের হাসি বন্ধ করে ফেললো’!!আম্মু অবাক হয়ে বললোঃ
———-“মানে….
“আমি কিছু বলবো তার আগেই দিহান বলে উঠলঃ

এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ৮

———-“আমি বলছি আসলে আন্টি আমাদের ভার্সিটি থেকে শিক্ষাসফর উপলক্ষে এ বছর সুন্দরবন নিয়ে যাবে দু-দিনের জন্য তাই আমরা সবাই যেতে চাইছি আর তানজুকেও নিয়ে যেতে চাইছি এখন আপনারা যদি তানজুকে যাওয়ার জন্য পারমিশন দিতেন….
“আর কিছু বলার আগেই আম্মু বলে উঠলঃ
———-“না এই বৃষ্টির সিজনে জঙ্গলে যাওয়াটা আমার কাছে সুবিধার মনে হচ্ছে না…..
“আম্মুর কথা শুনে ছলছল চোখে তাকালাম আমি আম্মুর দিকে’!!কিছু বলার আগেই আম্মু বলে উঠলঃ
———“তোমার মুখ থেকে এই ব্যাপারে কিছু শুনতে চাইছি না আমি এমনিতেই তোমার আব্বু বাসায় নেই কোনো সমস্যা হয়ে গেলে তখন….
“এমনিতেও জঙ্গলে ঘুরতে যাওয়াটা অনেক রিস্কের ব্যাপার তাই তোমার সুন্দরবন যাওয়া হবে না…..
———-“কিন্তু আম্মু…..
———-তোমার কথা শুনতে চাই না আমি
“বলেই উঠে গেলেন উনি’….
“আর আমরা হতাশ হয়ে বসে রইলাম’!!আমি জানতাম আমায় যেতে দিবে না’!!আমি ভাইয়ার হাত ধরে বললামঃ
———-“ভাইয়া তুমি অন্তত আম্মুকে একটু বোঝাও সবাই যাচ্ছে আমিও যেতে চাই প্লিজ ভাইয়া…..

[অপূর্ব কি তানজুর পক্ষ নিয়ে কথা বলবে নাকি আম্মুর মতো সেও মুখ ঘুরিয়ে নিবে তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আপনাদের আগামী পর্ব আসা পর্যন্ত ধন্যবাদ..??]

এক মুঠো কাঠগোলাপ পর্ব ১০