আমার ক্রাশ পর্ব ১৪ || বাংলা রোমান্টিক গল্প

আমার ক্রাশ পর্ব ১৪
Tanisha Sultana (Writer)

তুলিকে অভির কোলে দেখে ধপ করে সায়ানের মাথায় আগুন জ্বলে ওঠে। অভি তুলিকে সায়ানের রুমে দিয়ে আসে। সায়ান ভালো মন্দ কিছুই বলে না।
তুলি বিছানায় গড়াগড়ি করছে সায়ান বসে বসে অফিসের ফাইল দেখছে। তুলির নরানরায় সায়ানের খুব রাগ হচ্ছে
“সাপের মতো এদিক সেদিন করছো কেনো??
” অতিরিক্ত খেয়ে ফেলছি এখন পেটের মধ্যে ফুসকা আর ঝালমুড়ি যুদ্ধ শুরু করছে?
“এতো খাইতে বলছিলো কে??
” ফ্রি তে পেলে কে কম খায়? পেটে যায়গা থাকলে আমি আরও খাইতাম
“ভাগ্যিস পেটে যায়গা ছিলো না নাহলে ফুসকা বানানোর হাড়ি পাতিলও খেয়ে ফেলতা

” আপনার কি?
“আরও খাও
” ইস একটা ভুল করছি
“কি?
” যদি কতোগুলো ফুসকা নিয়ে আসতাম কতো ভালো হতো।
“পেটুক
” আপনার কি?
“কিছু না। বাই দ্যা ওয়ে তুমি অভির কোলে উঠছিলা কেন? আর ওর গলা জড়িয়ে ধরছিলা কেন?
” জ্বলে আগুন বুকেতে, দে আগুন নিভাইয়া দে
“এইটা আবার কি??
” গান গাইলাম
“আমি কিছু জিজ্ঞেস করছি
” অভির কোলে উঠতে ভালো লাগে তাই উঠছি।
“যার যার কোলে উঠতে ভালো লাগবো তার তার কোলে উঠবা
” অফকোর্স ?
“ইডিয়েট

আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন

” কেনো আপনার জ্বলে না কি? বুকের বা পাশে চিনচিন ব্যাথা করছে?
“মাই ফুট
” না জ্বলাই ভালো। সুন্দরী বউ বিয়া করছেন বফ তো থাকবোই
“একটা বাঁদর বিয়ে করছি
” বিয়ে তো করছেন
“সেটাই কপাল
” এখন আফসোস করে লাভ নেই।।আমি পিছু ছাড়ছি না
“সেটাই
” ফুসকা গুলো যা ছিলো না পুরাই মাখন
“?
” বাইকে গেছিলাম তাও আবার অভিকে জড়িয়ে ধরে। উফ কি যে ফিলিংসটা হচ্ছিল না। আমার তো গান গাইতে মন চাইছিলো
“এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো তুমি বলোতো ”
“ওই পথ যদি শেষ না হতো তবে আমার ভালো হতো? বেঁচে যেতাম
” আপনার জন্যই পথ শেষ হয়ে গেছে ?
“ভালো হইছে
” উহহহহহহহহ
“কি হইছো

” পেটের মধ্যে কেমন কেমন করে?
“একদম চুপ করে থাকবা। না হলে মুখে কস্টিপ লাগিয়ে দেবো
” ভাগ্যিস অসুস্থ। নাহলে কে কার মুখে কস্টিপ লাগায় আমিও দেখতাম।
“স্টুপিট
সায়ানের ফোন বেজে ওঠে।
” কে ফোন দিছে
“কমু কেন?
” আমার সোনা জামাই কও
“হুরর
সায়ান ফোন নিয়ে বেলকনিতে চলে যায়।
” হারামি জামাই। বেবি চাইলে বেবিও দেয় না আর আমারে খালি কষ্ট দেয়???
বেলকনিতে গিয়ে সায়ান ফোন রিসিভ করে
“হেলো
” সায়ান কেমন আছো?
“মনা তুমি কেনো ফোন দিছো?
” ভালোবাসি তাই
সায়ান তাচ্ছিল্য হেসে বলে
“ভালোবাসো
” হুম বাসি। তুলির মতো নেকামি করি না বলে যে ভালোবাসি না এটা নয়। ওই মেয়েটা তোমার ব্রেনওয়াশ করেছে। তুমি ঠিক ভুল বুঝতে পারছোই না। সায়ান তুমি হয়ত ভুলে গেছো তুমি আমাকে প্রমিজ করেছিলো আমি ছাড়া অন্য কোনো মেয়েকে ছুঁবে না। আমি বলতে চাইছি বুঝতে পারছো নিশ্চয়। আর সায়ান মাহবুব কখনো কথার খেলাব করে না। এম আই রাইট
“…………
” কি হলো সায়ান চুপ কেনো? আমাদের এতো দিনের রিলেশন টা ভুলে গেলে ওই মেয়েটার পাল্লায় পরে।
“মনা আমি আজও তোমাকে ভালোবাসি কিন্তু
” কিন্তু কি সায়ান? তুমি তুলির ফাঁদে পড়ে গেছো?
“নাহহহ। তোমার বফ দেখেছি
” সায়ান এটা তো তুলির প্লানও হতে পারে তাই না। একবার ভেবে দেখেছো সানি আসছে এই বেপারটা? তোমার ফোনে ফোন করা। আর তুলি জিসানের ওখানে পৌঁছে যাওয়া। তোমার কি মনে হচ্ছে না এসব কাকতালীয় নয়।

“সায়ান কিছু বলো
” আমি সব কিছু যাচাই করে দেখছো দেন ডিসিশন নেবো
“ওকে ডান। যে কোনো মুল্যে আমার তোমাকে চায় সায়ান কজ তুমি আমার ভালোবাসা
” মি টু
“বাই জান টেক কেয়ার
” সেম বাই
ফোন কেটে সায়ান তুলির কাছে যায়। তুলি সায়ানের চোখ দেখে ভয় পেয়ে যায়। লাল হয়ে আছে চোখ দুটো
“জামাই কি হয়েছে আপনার?
সায়ান তুলির দিকে ঝুকে
” সানি আসছে এই পোষ্ট কে করেছিলো
তুলি সায়ানকে ধাক্কা দিয়ে একটু দুরে সরায়
“ওহহহ এই বেপার। এই সামান্য বেপারে কেউ এতো কাছে চলে আসে? বাচ্চা মেয়ে আমি। আমি তো ভেবেছিলাম এই বুঝি কিস কিস করবেন। কিন্তু আপনি তো আপনিই কিস করবেন না। শুধু শুধু লোভ দেখিয়ে কি লাভ বলেন?
” আমি যা জিজ্ঞেস করছি সেটার এন্সার দাও
“চিল্লান কেন? যদি ভয় পেয়ে আমার পিত্তি গলে যায়। যদি আমি মরে যায়। বাচ্চাদের সাথে কি করে কথা বলতে হয় জানেন না। একটু মিষ্টি করে কথা বলতে পারেন না। ওগো হ্যাঁ গো এসব বলতে পারেন না।
” এগুলো কোথায় শিখলে
“সাবানা আলমগীরের মুভি থুক্কু সিনেমাতে দেখছি। সাবানা বলে ” ও গো তুমি যেয়ো না গো আমার বাচ্চাটার কি হবে” এটা ডাইলোক দিলাম।
??????
“ওমন করে তাকাবেন না প্লিজ। আমার কিস কিস পায়
” কিহহহহহহ
“হুমমম। আপনার ইচ্ছে হয় না
“তোমাকে খুন করতে ইচ্ছে হয় আমার?
” আমি মরলে আপনি বিধবা হবেন
“তবুও বেঁচে যাবো ইডিয়েট একটা
সায়ান মাথায় হাত দিয়ে বসে। এই মেয়ের মুখ থেকে কথা বের করা চারটিখানি কথা না।

” ও জামাই কি হয়েছে?
“তোমার মাথা
” এমন করেন কেন? দশটা না পাঁচটা না একটা মাএ বউ। আর বউ হলো আদরের জিনিস আর আপনি খালি বকেন। ভাগ্যিস আমি খুব শান্ত শিষ্ট মেয়ে। সহজে রাগী না তাই বেঁচে গেছেন নাহলে
সায়ান তুলিকে বিছানো সাথে চেপে ধরে বলে
“নাহলে কি
” কককককি
“তুতলাও কেন? বলো?
” বাবা আপনি
বাবার কথা শুনেই সায়ান তুলিকে ছেড়ে পেছনে তাকায় দেখে কেউ নাই। তুলি হো হো করে হাসছে
“ইডিয়েট
সায়ান রুম থেকে চলে যায়।
” ওই ডাইনির বাচ্চা খালাম্মা আবার আমার জামাইয়ের পিছু নিছে। এরে এবার বুড়িগঙ্গায় চুবাুমু আমি হুমম। হাতের কাছে পায় তোরে। কতো ভাবছি সুখে সংসার করমু। কয়দিন পরে বেবি হবে। এসব ভাবনার মধ্যেই ভিলেন হাজির। ভাল্লাগে না ধুর
তুলি মনে মনে বলে।
কাল নিশির গায়ে হলুদ। অভি জিসান তুলি নিশি সায়ান ট্রুথ ডেয়ার খেলছে। সায়ানকে জোর করে বসানো হয়েছে।
“অভিদা কি নেবে? (তুলি)
” ট্রুথ (অভি)
“তোমার জীবনে স্পেশাল কেউ আছে? যার কথা তুমি কাউকে বলো নি বা বলতে পারছো না (তুলি)
” হুম আছে একটা অপরূপ সুন্দরী নারী। যাকে ভালোবাসা বারণ। যার সাথে আমার সম্পর্ক কখনো সম্ভব না। কিন্তু অবাধ্য মনটা তাকেই চায়। আমি ভীষণ ভালোবাসি আমার কথাকুমারীকে। ভীষণ। কিন্তু তুলি প্লিজ তুমি তার নাম জিজ্ঞেস করবে না আমি বলতে পারবো না।
“ওয়াও ব্রো এতো আবেগ রাখোস কই (জিসান)

আমার ক্রাশ পর্ব ১৩

” আবেগ না ভালোবাসা। আবেগ তো দুদিনের কিন্তু ভালোবাসা সারাজীবনের।
“ফাটিয়ে দিয়েছো অভি দা। সুপার?????। এবার সায়ান দা থুক্কু সায়ান জামাই।
” আমি এসবে নাই?
“নাহহহ তোমাকে থাকতে হবে (জিসান)
” হুম ভাইয়া কিছু একটা নাও(নিশি)
“ডেয়ার?
” জামাই আমার ডেয়ার নিছে। তারে তো আর ভালো কিছু দিতে পারি না তাই না। ভালো কিছু দিলে জামাইয়ের অসম্মান হইবো। আর তুলি কখনো ক্রাশকে অপমান করে না। তাই জামাইরে ঝাকানাকা একটা ডেয়ার দিমু?
“তোমার ভাষণ বন্ধ করো তো?
” ওকে আপনার ডেয়ার হলো

আমার ক্রাশ পর্ব ১৫