আমার ক্রাশ পর্ব ১৫ || bangla romantic golpo

আমার ক্রাশ পর্ব ১৫
Tanisha Sultana (Writer)

আপনার ডেয়ার হলো আপনি আমাকে কোলে নিয়ে পুরো বাড়ি ঘুরবেন
সায়ান বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়
“ইমপসিবল
তাহলে সবার সামনে আমাকে কিস করেন
কখনোই না
জিসান অভি নিশি ওরা তুলির দিকে তাকিয়ে আছে হা করে। এই মেয়েটা সত্যি অন্য রকম
তাহলে কি করতে চান?
কিছু না
ডেয়ার কমপ্লিট না করে এখান থেকে যেতে পারবেন না
কে আটকাবে আমায়
আপনি নিজেই
” কি করে?
“আপনি ডেয়ার কমপ্লিট না করলে ধরে নেবো আপনি আমাকে ভালোবাসেন। তাও আবার মারাক্তক
” ভালো একটা ডেয়ার দাও
“ভালোই তো দিলাম কিস ওর কোল। এখন আপনার সিদ্ধান্ত কোনটা করবেন
” তোমার ওজনের দিকে খেয়াল আছে
“হুম আছে তো মাএ 42 kg
” ধুর এখানে এসেও ফেসে গেলাম?
সায়ান তুলিকে কোলে নিতে যায় তুলি থামিয়ে দেয়
“এক মিনিট
তুলি ক্যামেরা অন করে ফোনটা জিসানের কাছে দেয়

” দোস্ত সুন্দর করে ভিডিও কর
“এবার কোলে নেন
সায়ান তুলিকে কোলে নেয়। তুলি গলা জড়িয়ে ধরে।
” উফফফফ জামাইয়ের কোলে উঠছি ভাবা যায়। ফিলিং উরুউরু আর গান
“চুপ না করলে ঠাস করে ফেলে দেবো
” ওকে জানটুস চুপ করলাম???
“ইডিয়েট
সায়ান তুলিকে নিয়ে পুরো বাড়িটা ঘুরে ক্লান্ত হয়ে যায়। তুলিকে ঠাস করে নামিয়ে সায়ান বসে পরে।
” ওই মাইয়া আমার নাতির কোলে চড়ে আমার নাতিরে অধমরা বানায় দিলি কেন? (সায়ানের দাদিমা বলে। বিয়ে উপলক্ষে এসেছে)
তুলি দাদিমার পাশে বসে বলে
“আর দাদিমা বইলেন না আপনার নাতিরে কতো কইলাম কোলে নিয়ে ঘুরতে হবে না। কিন্তু ওনার না কি প্রেম প্রেম পাইছে তাই কোলে করে প্রেমটা উপভোগ করলো?
সায়ান ঃ??????
তুলিঃ?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন

দাদিমাঃ খালি কোলে উঠে ঘুরলে হইবো না। খুশির খবর দিতে হবে
” দুঃখের কথা কি কমু। বিয়ের পরের দিন থেকে বলতেছি আমারে একটা বেবি দেন কিন্তু উনি দিচ্ছেন না। বেবি তো দুরের কথা একটা কিসও করে নাই ?
ওই আমিই জোর করে মাঝেমধ্যে করি
তুলির কথা শুনে দাদিমা হা। সায়ানের দাঁতে দাঁত চেপে বলে
“তুলি রুমে চলো
” আমি যাবো না। দাদিমার সাথে গল্প করবো
“আমি রুমে যেতে বলছি?
সায়ান তুলির হাত ধরে রুমে নিয়ে যায়। তারপর ধাপ করে দরজা বন্ধ করে দেয়।
” পাগল তুমি?
“হুম
” কেনো পরে আছো আমার পিছু? কি চাও তুমি? সুখ তো নিয়েই গেছো। এবার কি পরিবারের সামনে যাতে মুখ দেখাতে না পারি সেটা করবে? একটা বাচ্চাও তো বোঝে। আর তুমি। সব সীমা পার করে গেছো
“আপনি এভাবে কথা বলছেন আমার সাথে?

” ভালো ভাবে কথা বলছি। তোমার মতো একটা থার্ড ক্লাস মেয়ের সাথে আমি এর থেকে ভালো করে কথা বলতে পারবো না। বেয়াদব একটা। তুমি যদি সত্যি আমাকে ভালোবেসে থাকো তাহলে আমার জীবন থেকে চলে যাবে। আই জাস্ট হেট ইউ। বুঝতে পারো না তুমি? তোমার বাচ্চামি দেখে সবাই খুশি হলেও আমার বিরক্ত লাগে। বুঝছো।
সায়ানের কথায় তুলির চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পরে। খুব কি ভুল কিছু করেছে তুলি? এর আগে তো এর থেকেও অনেক কথা বলেছে কই তখন তো সায়ান এমন রিয়াকশন করে নাই। তাহলে আজ?
“আপনি বকছেন আমাকে?
” নাহহহ বকছি না। কিছু সত্যি কথা বলছি তোমায়। যা তোমার জানা দরকার। বুঝা দরকার। যদিও আমি শিওর না তোমাকে বোঝাতে পারবো কি না? তুমি আসলে যতটা ইনোসেন্ট সেজে থাকো তুমি কিন্তু অতোটা ইনোসেন্ট না। তোমার ভেতরটা সয়তানিতে ভরা। কেনো নাকে দরি দিয়ে ঘুমাচ্ছো আমায়? কি চাও তুমি? টাকা না কি অন্য কিছু
“সায়ান

” মিনিমাম একটুও যদি লজ্জা বা মানবিকতা থেকে থাকে তাহলে তোমার এই মুখটা আমাকে আর দেখাবে না।
তুলির আর সয্য হচ্ছে না। না দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না যেতে পারছে। শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে
“এখন তো আবার ইমোশনাল ব্লাকমেইল করবে। এটা তুমি খুব ভালো পারো। তোমার তো নবেল পাওয়া দরকার। কতো ভালো মেলোড্রামা করতে পারো।
তুলির আর দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হলো না। দৌড়ে বেরিয়ে যায়। অভি তুলিকে বেরিয়ে যেতে দেখে।
” তুলির কি হলো? এভাবে কাঁদছে কেনো? আর গেলোই বা কোথায়?
অভিও তুলির পেছনে যায়।
সায়ান ধপ করে খাটে বসে পরে। মনা একটু আগেই সায়ানকে ওই ছেলেটার সাথে কথা বলিয়েছে। ছেলেটা স্পষ্ট বলেছে তুলি ছেলেটাকে নাটক করতে বলেছে আর এর জন্য টাকাও দিয়েছে। এর জন্যই সায়ানের মাথা গরম হয়ে গেছে।

“ওকে এতো গুলো কথা শুনালাম। ধুর। কি যে হয়েছে আমার ওই মেয়েটা কষ্ট পেলে তার দ্বীগুন কষ্ট আমি পায়। কই মনা কষ্ট পেলে তো আমার কষ্ট হয় না। তাহলে তুলির বেলায় এমন হয় কেন?
সায়ান এসব ভাবছে।
তুলি দৌড়ে বাড়ি চলে আসে। কলিং বেল বাজানোর সাথে সাথে আদর দরজা খুলে দেয়।
” বোন কি হয়েছে তোর? কাঁদছিস কেনো?
তুলি এক দৌড়ে রুমে চলে যায়। দরজা বন্ধ করে দেয়। আদর তুলির পেছন পেছন যায় দরজা ধাক্কায় তুলিকে ডাকে
“দাভাই আমি একটু একা থাকতে চায়।
তুলি দরজা না খুলেই বলে। আদর জানে এখন তুলি কিচ্ছু বলবে না তাই ও চলে যায়।
সায়ান মনার সাথে কফিশপে বসে আছে।
” মনা আমি কিছু বলতে চায় তোমায়।
মনা সায়ানের হাত ধরে
“হুম বলো
সায়ান হাত ছাড়িয়ে নেয়

আমার ক্রাশ পর্ব ১৪

” মনা আমি তুলিকে ভালোবেসে ফেলেছি। তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারি কিন্তু তুলিকে ছাড়া আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। তোমার সাথে আমার এতোদিন যোগাযোগ ছিলো না আমার কিন্তু তোমার কথা মনেই পরে নাই। কিন্তু তুলির সাথে দুইঘন্টা ধরে কথা হয় না এর মধ্যেই আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। ভীষণ ভালোবেসে ফেলেছি পাগলীটাকে। পারবো না ওকে ছাড়া থাকতে। ভুল করলে হ্মমা করে দিও।
সায়ান মনাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে চলে যায়। রুমে গিয়ে খাটের ওপর একটা চিরকুট দেখে
” আমাকে এমন করে বলতে পারলেন সায়ান? আমি এতো খারাপ না সায়ান। হয়ত আমার একটাই ভুল ছিলো সেটা আপনার ওপর ক্রাশ খাওয়া। ছোট বেলা থেকে আমি খুব জেদি। একবার যা চাই তাই আমার বাপি আমাকে এনে দেয়। আপনাকে পাওয়ার নেশাটা আমাকে ভীষণ ভাবে আসক্ত করে ফেলেছিলো তাই হয়ত এতোটা পাগলামি করে ফেলেছি। ভেবেছিলাম আপনার মন জয় করে ফেলবো। আমার ক্রাশ আমার হবে। কিন্তু আমি বুঝিনি আপনি আমাকে কখনোই ভালোবাসবেন না। সত্যি আর আমি আপনাকে আমার এই মুখটা দেখাবো না। আৃি জানি আপনি আমাকে ছাড়া থাকতে পারবেন না। পাগলের মতো খুঁজবেন আমায়। কিন্তু আপনার এটিটিউট দেখানোর দিন শেষ। ভালো থাকবেন। বোনের বিয়েতে ইনজয় করবেন।

চিরকুট টা পরে সায়ান ধপ করে বসে পড়ে।
“তুলি এটা লিখেছে। কিন্তু কেনো? কোথায় গেছে ও? তুলি ঠিক আছে তো? কিছু হয় নি তে ওর? আমাকে এখুনি যেতে হবে
সায়ান পাগলের মতো দৌড়ে বেরিয়ে যায়।

আমার ক্রাশ পর্ব ১৬

1 COMMENT

Comments are closed.