Happily Married part 15 || Writer: Shaanj Nahar Sanjida

Happily Married part 15
Writer: Shaanj Nahar Sanjida

হিয়া,আমার রান্না হয়ে গেছে।তাড়াতাড়ি খেতে চলে আয়।
বলেই পিয়া হন্তদন্ত হয়ে রুমে ঢুকেই দেখে হিয়া আর আলিফ একে অপরের কপাল ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে।
পিয়া তাড়াতাড়ি চোখে হাত দিয়ে বললো
ওপস! সরি সরি।আমি আসলে বুঝতে পারিনি,যারা আমাকে খাবার বানানোর তাড়া দিচ্ছিলো সকালে।তারা তাদের ক্ষুদা ভুলে এখানে রোমাঞ্চ করছে। অবশ্য এমন রোমাঞ্চ পেলে ক্ষুদা আর থাকে বুঝি।
আলিফ তাড়াতাড়ি নিজেকে সামলে মাথা নিচু করে পাশ কাটিয়ে বাহিরে চলে গেল।
ভাইয়া মনে হয় অনেক লজ্জা পেয়েছে?(পিয়া হাসতে হাসতে)
একটু বেশিই মুখে বুলি আওড়ানো শুরু করেছো,মিস পিয়া?(আমি ভ্রু কুঁচকে)
এমন ভাবে বলছিস যেনো আমি কি না কি করে ফেলেছি!সরি বলছি তো।
বলেই পিয়া আমার কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
এখন কি করছিস?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

তোর রাগ ভাঙ্গানোর চেষ্টা করছি! যাই হোক ভাইয়া লজ্জা পেয়েছে।তোকে দেখে তো বুঝাই যাচ্ছে তুই একটুও লজ্জা পাসনি!(পিয়া বাকা চোখে তাকিয়ে)
আমি কেনো লজ্জা পাবো।আমার বর,আমি যা ইচ্ছে করবো।লজ্জা তো তোর পাওয়া উচিত।কাবাবের হাড্ডি।(আমি)
সরি না!(পিয়া আমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে)
আরে ছাড়।আমি পিয়াস ভাইয়া না।(আমি ছুটার চেষ্টা করে)

আমার এই কথা বলতেই পিয়া এক ঝটকায় আমাকে ছেড়ে পাশেই ঘুটিশুটি মেরে দাড়িয়ে রইলো।
হুহ!?কি হলো?পিয়াস ভাইয়ার কথা শুনতেই আমাকে ছেড়ে দিলো।(আমি মনে মনে)
এখানে পিয়াস ভাইয়া আসলো কোথা থেকে?(পিয়া লজ্জায় লাল হয়ে)
আমি ভালো করে তাকিয়ে দেখি ও লজ্জায় টমেটোর মত লাল হয়ে গেছে।কান এতো লাল হয়ে আছে,মনে হচ্ছে ধোঁয়া বের হবে।
আবারও না।তুই আবারও লজ্জা পেতে শুরু করলি।তোর এই লজ্জা পাওয়া শুরু হলে আর থামতে চায় না।এখন এইসব রাখ।চল খেতে যাবো।
বলেই আমি লজ্জাবতী পিয়াকে নিয়ে বের হলাম।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

বাহিরে বের হতেই দেখি আলিফ স্ট্যাচু হয়ে দাড়িয়ে আছে।
কি হলো আবার আপনার?এইভাবে স্ট্যাচু হয়ে আছেন কেনো?(আমি আলিফের দিকে তাকিয়ে)
সামনে দেখো?(আলিফ সামনের দিকে আঙুল দিয়ে)
আমি সামনের দিকে তাকিয়ে দেখি পিয়াস ভাইয়া একটা পাঞ্জাবি আর লুঙ্গি পরে দাড়িয়ে আছে।উনাকে পুরাই কাকাতুয়া লাগছে।

আমি আর আলিফ ফিক করে হেসে দিলাম।
দেখলেন কেনো আমি আমি আপনার জন্য পাঞ্জাবি আনি নি।কারণ বাবার পাঞ্জাবিতে আপনি পিয়াস ভাইয়ার মত কাকাতুয়া লাগবেন।(আমি হাসতে হাসতে)
ঠিক বলেছো!তোকে যে আজ কি লাগছে কি বলবো,পিয়াস?ফাটাফাটি।কে দিয়েছে তোকে এইসব?(আলিফ হাসতে হাসতে)

দেখেছো পিয়া,আমি বলেছিলাম আমাকে দেখে ওরা হাসবে।(পিয়াস ভাইয়া মাথায় হাত দিয়ে)
আমি কি করবো?পিয়াস ভাইয়া বলছিল উনার মাথা ব্যাথা করছে। আমি বলছি গোসল করলে ঠিক হয়ে যাবে।উনি বলছে কাপড় চোপড় কিছু আনে নি।গোসল করে আগের কাপড় পড়তে উনার ভালো লাগে না।তাই আমি বেলকনিতে গিয়ে দেখি আংকেলের লুঙ্গি আর পাঞ্জাবি টানানো।সেখান থেকে আংকেল এর লুঙ্গি আর পাঞ্জাবি এনে দিয়েছি।(পিয়া আঙ্গুল চুলকাতে চুলকাতে)

একদম ঠিক করেছো পিয়া।ধন্যবাদ তোমাকে।(আলিফ হাসতে হাসতে)
আর তুই উনাকে(পিয়াস) ভাই বলছিস কেনো?(আমি ভ্রু কুঁচকে)
জিজ্ঞেস করো হিয়ামনি।আমি কতো বলছি আমাকে ভাই বলো না।তুমি আমাকে ভাই বললে আমার হার্ট এ্যাটাক হবে।(পিয়াস মাঝখান থেকে)
তাই নাকি?(আমি আর আলিফ,পিয়াস ভাইয়ার দিকে বাঁকা চোখে তাকিয়ে)
আসলে,,।আসলে আমার অনেক ক্ষুদা লাগছে।আমাকে খেতে দাও।
বলেই পিয়াস ভাইয়া টেবিলে বসলো।
দিচ্ছি।দিচ্ছি।বসুন।

বলেই পিয়াও টেবিলে খাবার বাড়তে গেলো।
আমি আলিফের কাছে গিয়ে বললাম,
দুইজন একসাথে কতো সুন্দর লাগছে তাই না।খুব ভালো মানাবে ওদের।
হুম।(আলিফ মুচকি হেসে)
হিয়া,আঙ্কেল আর আন্টির কি হবে?উনারা খাবে না।(পিয়া টেবিলে আমাদের জন্য খাবার বাড়তে বাড়তে)
আমি আর আলিফ একে অপরের দিকে তাকালাম।তারপরই ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি দুটো বাজে।আমি উনাদের রুমে বন্ধ করেছিলাম সকাল দশটা নাগাদ।
উনাদের কথাবার্তা হয়েছে?(আমি আলিফের দিকে তাকিয়ে)
জানি না।খুলে দেখো!বন্ধ করার পর কোনো আওয়াজও তো পায়নি।(আলিফ)
হুম।
বলেই আমি দরজা খুললাম।

আমি দরজা খুলতেই দেখি
বাবা, হাত পেছনে বাজ করে জানালার কাছে দাড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।আর মা টেবিলে বসে মাথা নিচু করে কেঁদেই চলেছে।
আমার দরজা খুলার আওয়াজ শুনেই বাবা পেছনে তাকালো।
আমি বাবার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি তার চোখ জোড়া খুবই নিষ্প্রাণ।আমি ভয় পেয়ে যাই।আসলে আমি কোনো দিন বাবার চোখ এত নিষ্প্রাণ দেখিনি।
বাবার চোখ জোড়া সব সময় উনার মনের কথা বলতো।রাগ,জেদ,আমার জন্য ভয়,ভালোবাসা,সবই আমি ওই চোখ জোড়ায় পড়তে পারতাম কিন্তু এখন কেনো জানি?কিছুই বুঝতে পারছিনা না।তবে কি বাবা মা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছে?যার জন্য বাবার এমন অবস্থা।
আমি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে বাবার দিকে তাকিয়েই আছি আর বাবা আমার কাছে এসে আমার কপালে চুমু দিয়ে মুচকি হেসে পাশ কাটিয়ে নিজের রুমে চলে গেলো।
আমি কিছুই বুঝলাম না কি হলো?
আমি এখন এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি।যেখান থেকে কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।আমি কি বাবার পিছু হটে যাবো?নাকি মার কাছে গিয়ে উনাকে শান্তনা দেবো?কি করবো?আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা না।
আমার এই দিশেহারা পরিস্থিতি দেখে আলিফ বললো,,
বাবার কাছে যাও।আমি জানি তোমার উনার কাছে যাওয়ার ইচ্ছেই বেশি!
আমি আর কিছু না বলে এক দৌড় দিয়ে বাবার কাছে গেলাম।

আমি গিয়ে দেখি বাবা বেডে বসে আছে মাথা নিচু করে।
আমি বাবার কাছে গিয়ে হাঁটু মুড়ে বসলাম।আমার মনে অনেক প্রশ্ন কিন্তু কেনো জানি সেই প্রশ্ন গুলো মুখ দিয়ে বের হতেই চাচ্ছে না।আমার ঠোট জোড়া যেনো খুব ভারী হয়ে আছে।তাই বাবার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।
বাবা আমার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো,,
আমি সব সময় চাইতাম,তুই সম্পর্ক গুলোকে সম্মান দে,সম্পর্ক গুলোকে ভালোবাস,ওইগুলো বুঝ।কিন্তু দেখ আমিই আমার আর তোর মার সম্পর্ক গুলোকে সম্মান দেয়নি,ভালোবাসি নি,বুঝার চেষ্টা করেনি।সেদিন যদি তোর মার কথা বিশ্বাস করে একটু শুনতাম তাহলে তোর,আমার,তোর মার জীবন অন্য রকম হতো।আমরা মানুষ কেনো চাই,যে অপর মানুষটা একদম আমাদের মন মতো হবে?আমরা যা চাই উনি তাই করবে?আমি যদি তোর মাকে একটু বুঝতাম?তবে এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে।তোর মাকে আমি বুঝতে পারিনি।এইটা আমার অসফলতা।কিন্তু ও আমাদের ছেড়ে চলে গেছে এই জন্য আমি ওকে ক্ষমা করবো না।তবে তোকে ধন্যবাদ।এখন আমি নিশ্চিত যে তোর আর আলিফের সম্পর্ক আমাদের মতো হবে না।
আমি বাবাকে আর কিছুই বললাম না।শুধু উনার হাঁটুর উপর মাথা রেখে শুয়ে রইলাম।

অন্যদিকে
ফুপি তুমি ঠিক আছো তো?(পিয়াস রিয়া বেগমের কাছে এসে)
পিয়াস আমি খুব বড়ো ভুল করে ফেলেছি।ও আমাকে ডিভোর্স দেয়নি।সেদিন যদি আমি জেদ ছেড়ে ওকে সব কিছু বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করতাম।সেদিন যদি ওই ডিভোর্স পেপারটা ছিঁড়ে ওকে বলতাম যে আমি তোমাদের ছেড়ে কোথাও যাবো না।তাহলে আজ আমায় এই পরিস্থিতে পড়তে হয় না।ও আমাকে কোনোদিন ক্ষমা করবে না।আমি এখন কি করবো?জেদ,রাগে আমি আমার সুখী পরিবার নিজের হাতে ধ্বংস করে দিয়েছি।এখন আমি কি করবো?কি করবো যে হিমেল আমাকে মাফ করে দেয়? ও কি আমায় মাফ করবে,পিয়াস?(রিয়া বেগম পিয়াসের হাত ধরে)
ওইটা তো আপনার উপর নির্ভরশীল।সেদিন আপনার কাছে পথ ছিলো নিজের পরিবারকে বেছে নেয়ার কিন্তু আপনি নেননি।নিজের জেদকে বেছে নিয়েছেন।তাই এখন নিজের পথ নিজে খুঁজে নিন,আন্টি।যে পথ দিয়ে আপনি আঙ্কেলের কাছ থেকে মাফ পাবেন আর হিয়ার মা হয়ে উঠার আরেকটা সুযোগ।(আলিফ)

রিয়া বেগম আলিফের দিকে তাকিয়ে আছে।
তুমি ঠিক বলেছো আলিফ।নিজের জেদের জন্য সব কিছু ছেড়েছি।এখন সব কিছু পাওয়ার জেদ ধরবো।আমি যে করেই হোক হিয়া আর হিমেলের মনে আবার নতুন করে নিজের জায়গা করবো।ওদের প্রতি করা অন্যায়ের প্রায়শ্চিত্ত করবো।(রিয়া বেগম)
এখন যেহেতু সব ঠিক হয়ে গেছে।তাহলে সবাই খেতে চলো খাবার ঠান্ডা হয়ে যাবে।(পিয়া মুচকি হেসে)
হুম।
বলেই পিয়াস রিয়া বেগমের হাত ধরে খাবার টেবিলে নিয়ে গেলো।
আলিফ হিমেল সাহেবের রুমে গিয়ে দেখলো হিয়া হিমেল সাহেবের হাঁটুর উপর মাথা রেখে শুয়ে আছে।
আলিফ হিয়াকে ইশারা করলো আঙ্কেলকে খাবার টেবিলের নিয়ে আসতে,,
আমি আলিফের ইশারা পেয়েই বাবাকে বললাম,,
চলো খেতে চলো।
না আমার ভালো লাগছে।তুই গিয়ে খেয়ে নে।(হিমেল সাহেব)
আমি বাবার গালে হাত দিয়ে বললাম,,

তুমিই তো বলতে না,,যে বিয়েকে একটা সুযোগ দে।আমি দিয়েছি।তুমি না হয় মাকে আরেকটা সুযোগ দাও।
তুই দিতে পারবি আরেকটা সুযোগ?(হিমেল সাহেব)
বিয়েকে একটা সুযোগ দিয়েছি।পরিস্থিতে পরে উনাকেও আরেকটা সুযোগ দিয়েছি।তুমিও দাও।জীবন তো একটাই বাবা।রাগ,জেদ চেপে কেনো কষ্ট পাবে?আমি জানি তুমি মাকে ভালোবাসো।আর উনিও তোমাকে ভালোবাসে।তাই তো এতো বছরেও তোমাদের মনে অন্য কেউ জায়গা করতে পারে নি।(আমি)
তুই কবে থেকে এতো জ্ঞানী হয়ে গেলি।এই কয়দিন আগে নিজের ফালতু কাজ কর্ম দিয়ে আমার মান সম্মান ধূলায় মিশিয়ে দিতে নিয়েছিলি?আর এখন এতো পাকা পাকা কথা বলছিস?
বলেই বাবা আমার কানে ধরে টান দিতে লাগলো।
আহ্।বাবা।লাগছে।এখন চলো তো।(আমি নেকামি করে)
চল।
বলেই বাবা আর আমি চলতে শুরু করলাম।
আলিফ আমাদের কান্ড দেখে হাসতে শুরু করলো।
পরেই আমরা সবাই মিলে খাবার খেলাম।সারা বিকেল গল্প,লুডু,বালিশ পাস,চোর পুলিশ আর অনেক খেলা খেললাম।সবাই মিলে ভালোই মজা করলাম।

রাতে আমি আর আলিফ বাড়ি ফিরছি।পিয়াস ভাইয়া মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।বাবার সাথে উনার একটু আকটু কথা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো সময় লাগবে।আমরা বিদায় নিয়ে সবাই এক সাথেই বেরিয়ে গেছি।আমাদের আর পিয়াস ভাইয়ার বাড়ি দুটোই দুইদিকে।
আমাদের গাড়ি আপন চলছে।রাস্তা ঘাট পুরোই ফাঁকা।মাঝে মাঝে রাস্তার পাশে লাইট গুলো কয়েকটা অন হয়ে আছে।তো কয়েকটা অফ।এর মধ্যে নামলো বৃষ্টি।
আলিফ?এইটা বর্ষাকালের প্রথম বৃষ্টি না?(আমি এক্সসাইটেড হয়ে)
মনে তো হয়।(আলিফ গাড়ি চালাতে চালাতে)
গাড়িটা থামান।(আমি আলিফকে তারা দিয়ে)
কেনো?(আলিফ গাড়ি থামিয়ে)
চলুন বৃষ্টিতে ভিজবো।(আমি)
ঠান্ডা লাগবে।(আলিফ)
আপনিও না।প্লিজ চলুন।(আমি কিউট ফেস করে)
আচ্ছা বাবা চলো।

বলেই আলিফ গাড়ি থেকে নামলো।
আমিও গাড়ির সাউন্ড বক্সে গান ছেড়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম।
আলিফ আসুন।আমি আর আপনি নাচবো।(আমি আলিফের কাছে গিয়ে)
না।ভুলেও না।আমি নাচতে পারিনা।(আলিফ)
আরে আমরা কোথায় কম্পিশনে যাচ্ছি!চলুন।
বলেই আমি আলিফের কাছে গিয়ে ওর হাত ধরে টেনে নাচতে শুরু করলাম।
প্রেমেরই সুর বাজে গুন গুন
আমার নয়ন তুমিই তো তুমি তো মন
আমার নয়ন তুমিই তো তুমিই তো মন
বুকেতে প্রাণ ধক ধক ধুম ধুম
বুকেতে প্রাণ ধক ধক ধুম ধুম
আমার নয়ন তুমিই তো তুমিই তো মন
মিউজিক,,,

Happily Married part 14

অসীম আকাশে মন উড়ে যায়,,,,
অনেক মানে থাকে নীরব কথায়,,,,
চোখেরও আয়না তো আমারই এই মন
নতুন সাজে আমি সাজি এখন
কাজল না কাকন না কুমকুম
আমার নয়ন তুমিই তো তুমিই তো মন
বুকেতে প্রাণ ধক ধক ধুম ধুম
আমার নয়ন তুমিই তো তুমিই তো মন,,
(আমি আলিফকে জড়িয়ে ধরে)
অচেনা অতিথি হলো আপন
তোমায় ঘিরেই তো জীবন মরণ।
প্রেমেরই সুর করে গুন গুন
আমার নয়ন তুমিই তো তুমিই তো মন
আমার নয়ন তুমিই তো তুমিই তো মন

এই বৃষ্টিতে আমি আর আলিফ একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আছি। এ যেনো এক অন্যরকম প্রশান্তি।এই সম্পর্ক আমরা কোনোদিন ভাঙতে দেবো না।

Happily Married last part