কাশফুলের মেলা পর্ব ৯ || রোমান্টিক গল্প লেখক

কাশফুলের মেলা পর্ব ৯
Nusrat jahan Sara

“লজ্জা শরম কী সব পানি দিয়ে ধুয়ে খেয়ে ফেলেছো নাকি?ছিঃ ছিঃ ভর দুপুরে দরজা খুলে কী কেউ এমন করে?এতোটুকুও ম্যানার্সও কী নেই তোমাদের?
চোখে হাত দিয়ে কথাটি বলল একটি মেয়ে।ইশান মুচকি হেঁসে বিছানা থেকে উঠে মেয়েটির দিকে এগিয়ে গিয়ে বলল,,,,
“তা নক না করে কারও রুমে চলে আসা এটা কী ধরনের ম্যানার্স হুম?
“আব আমি জানি নাকি?
“আর কী যেন বলছিলি ভরদুপুরে এসব কেউ করে নাকি?তা কী এমন দেখলি যে এই কথাটি বললি? ওর শ্বাস আটকে গেছিলো তাই আমি ওর মুখে অক্সিজেন দিচ্ছিলাম তাতে খারাপ কোথায়।
ইশানের মিথ্যা কথা শুনে আরশি ওর দিকে ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে রইলো।আরশিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ইশান একটু বাঁকা হেঁসে বলল,,,,
“ঐশী ও হচ্ছে তোর ভাবি আরশি। যা মিট করে আয়।
কথাটি বলে ইশান রুম ছেড়ে চলে গেলো। ঐশী আরশির কাছে এসে বসে বলল,,,
“‘আচ্ছা ইশান ভাই অবশেষে তাহলে তোমাকেই বিয়ে করলো? তা কেমন আছো?
“অনেক ভালো। তুমি?
“আমিও।আমাকে চিনেছো?
“না
“আমি ইশান ভাইয়ের খালাতো বোন।
“ওহ আচ্ছা।

রাত একটা বাজে।সবার খাওয়া শেষ এখন শুধু ইশান,ঐশী,আর আরশিই বাকি আছে। ইশান জেদ ধরেছে আজ মধ্যরাতে খাবে তাই তাদের দুজনকেও না খাইয়ে রেখেছে। আরশি ডাইনিংয়ে খাবার সার্ভ করছে।আর ইশান ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে।কাঁধে কারও স্পর্শ পেয়ে পাশে তাকিয়ে দেখলো ঐশী দাঁড়িয়ে আছে।ইশান মুখে একটু হাসি টেনে বলল,,,
“তুই এতো রাতে?
“তুমি বিয়ে করেই নিলে?
“হুম
“তুমি পারোও বটে। যে মেয়েটা তোমাকে দিনের পর দিন অপমান করে গেছে চরিত্র নিয়ে কথা বলেছে শেষে কী না তুমি তাকেই বিয়ে করলে। আর কতো সুন্দর ওকে ভালোবেসে যাচ্ছো?আই জাস্ট কান্ট বিলিভ দিস। কোথায় গেলো তোমার ইগু?
“তুই এট লিস্ট কী চাইছিস বল তো?আমি যে আরশিকে বিয়ে করেছি সেটা কী তুই মেনে নিতে পারছিস না?
“আমি মেনে নিলেই কী আর না নিলেই কী?
“তাহলে এসব কথা উঠছে কেনো?আমি আরশিকে ভালোবেসেছি তাই বিয়ে করেছি
“তুমি শুধু নিজের ভালোবাসাটাই দেখেছ আমার ভালোবাসা দেখনি?কথায় আছে তাকেই ভালোবাসো যে তোমায় ভালোবাসে কিন্তু তুমি তো এতদিন শুধু মরিচীকার পিছনে দৌড়াচ্ছিলো।
“দেখ ঐশী এই ব্যাপারে আমি তোর সাথে কোনো কথা বলতে চাইছিনা।বেড়াতে এসেছিস ভালো কথা। সবার সাথে আনন্দ ফুর্তি কর।এভাবে আমার পিছনে কেনো আইকার মতো লেগে আছিস?আর দেখ আমি এখন বিবাহিত যখন তখন নক না করে আমার রুমে আসিস না।আর কী বলছিলি আমি ওকে ভালোবেসে যাচ্ছি।তোর ধারনা সম্পুর্ন ভুল।আমি এখনো ওকে মেনে নেইনি।ভালোবেসে কাছে টানিনি। এখন যা আমার সামন থেকে।।
ইশানের কথা শুনে ঐশীর গলা ধরে গেলো। এই প্রথম ইশান ওর সাথে এভাবে কথা বলল।সে আরও কিছু বলতে গিয়েও পারলোনা।চোখের জল মুছতে মুছতে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো।আরশিও রুমে আসছিলো ঐশীকে এভাবে বেড়িয়ে যেতে দেখে সে কিছুটা ঘাবড়ে গেলো।ইশানের কাছে এসে ওর হাত ধরে বলল,

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

“ঐশী এভাবে কেঁদে বেড়িয়ে গেলো কেনো?আপনি কী ওকে বকেছেন?
“তোমাকে কৈফিয়ত দিতে হবে নাকি যাও এখান থেকে।
আরশি রেগে সব খাবার ঢেকে এসে শুয়ে পরলো। ইশান একবার আরশির দিকে তাকিয়ে খাওয়ার জন্য চলে গেলো ওকে একবারো বলল না।আরশি ভ্যাত করে কেঁদে দিলো।দুপুরে এক চামচ নুডলস খেয়েছিলো এখন বাজে একটা বিশ।এত সময়ের মধ্যে একটা খাবারের দানাও ওর পেটে পরেনি।খিদেয় পেট ছু ছু করছে।আরশি দুই গ্লাস পানি খেয়ে শুয়ে পরলো।ক্লান্ত থাকার কারনে খুব তারতাড়িই ঘুমিয়ে গেলো।
সকালে মাথায় কারও হাতের স্পর্শ পেয়ে ঘুম ভেঙে গেলো আরশির। পিটপিট করে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখলো ঐশী ওর দিকে মুচকি হেসে তাকিয়ে আছে আর হাতে একটা প্লেট।
“তুমি? এতো সকালে?
“হুম।কাল ওতো কিছু খাওনি তাই আমিই নিয়ে আসলাম।
“খাবারে আবার বিষ টিষ মেশানো নেই তো?
ইশানের কথা শুনে আরশি ছলছল চোখে ওর দিকে তাকালো।
“আমি এতোটাও খারাপ নই যে কাউকে খুন করে ফেলব।

ঐশী খাবারটা সেন্ট্রার টেবিলে রেখে হনহনিয়ে চলে গেলো।আরশি ফ্রেশ হয়ে এসে দেখলো প্লেটে দুইটা ব্রেড একটা কলা আর কয়েক চামচের মতো জেলি রাখা। আরশি একবার ইশানের দিকে তাকালো তার মুখ তাজা লাগছে তাহলে তো সে খেয়ে নিয়েছে।আরশি ব্রেড দিয়ে জেলি টুকু খেয়ে টন করে প্লেটটা ইশানের সামনে রাখলো।ইশান একবার চোখ তুলে তাকিয়ে আবারো নিজের কাজে মন দিলো।আরশি কাপড় গোছাচ্ছে আর ইশানকে বকছে।
“আমি নাহয় তাকে আগে বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলেছিলামই এখন যে সে আমাকে কষ্ট দিচ্ছে সেটা কিচ্ছু না।এর চাইতে তো তুর্বই অনেক ভালো ছিলো।
তুর্বর নাম শুনে ইশানের মাথায় দপ করে আগুন ধরে গেলো।প্রতিটা শিরায় শিরায়,রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাগ বয়ে চলছে।সে এক হাত দিয়ে চুল মুঠি করে নিচের ঠোঁট কামড়ে বলল,
“কী যেন বলছিলে তুর্বই ভালো ছিলো তাই তো?।
ইশানের এমন ঠান্ডা কন্ঠস্বর আরশির মনে কাটার মতো বিধলো। ঝর আসার পূর্বাভাস পাচ্ছে সে। ঝরের আগে যে প্রকৃতি একদম নিরব, ঠান্ডা আর নিস্তব্ধ থাকে তেমন ইশানের কন্ঠস্বর জানান দিচ্ছে বিশাল এক ঝর আসবে।কথার তালে কী বলে ফেলেছে সেটা ভেবেই এখন নিজের চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে।ইশান আবারও ঠান্ডা গলায় বলল,,,

“কী বলছিলো আবার বলো?
আরশি কিছু বলল না মাথা নিচু করে নিলো।ওর মাথা নিচু দেখে ইশানের ইচ্ছে করছে টাটিয়ে কতগুলো চড় বসিয়ে দিতে।আপাতত এই ইচ্ছেটা দমিয়ে রাখলো। ইশান আর কিছু বলল না রুম ছেড়ে বেড়িয়ে গেলো।আরশি দুইবার ডাক দিয়েছিলো শুধু কিন্তু ইশান শুনেনি। ও চলে যাওয়ার সাথেসাথেই আরশি খাটে বসে কেঁদে দিলো।
“আমি বারবার ওকে কষ্ট দিয়ে ফেলি।যতো চাই ওকে কষ্ট দিবনা ততই কষ্ট দিয়ে ফেলি।অতীতেও তাকে কম কষ্ট দেইনি দিনের পর দিন।এখন যখন চাইলাম আবার সবকিছু নতুন করে শুরু করবো,আর তার জন্য যা করার করবো ঠিক তখুনি সমস্যাটা পাকিয়ে গেলো।আমারি দোষ কেনো যে ওই লম্পটটার নাম মুখে আনছিলাম?এখন কোথায় গেছে সে কে জানে?
ইশানকে এভাবে রুম ছেড়ে চলে যেতে দেখে ঐশী ব্যাপারটা বুঝার জন্য আরশির কাছে এলো।আরশিকেও কাঁদতে দেখে সে একটু ঘাবড়ে গেলো। একটা গলা খাঁকারি দিয়ে বলল,
“আরশি ভাবি তুমি কাঁদছো?আর এদিকে দেখলাম ইশান ভাই কেমন বিধ্বস্ত মুখে বেড়িয়ে গেলো।তোমাদের মধ্যে কী কোনো মনমালিন্য হয়েছে?
আরশি কিছু বলছেনা একাধারে চোখের জল ফেলে যাচ্ছে।আরশিকে চুপ থাকতে দেখে ঐশী ওর হাত ধরে বলল,

“চিন্তা করোনা ভাবি।ইশান ভাই চলে আসবে।হয়তো কোনো কারনে রেগে গেছে কিন্তু দেখবে রাগ কমলে আপনাআপনি চলে আসবে।এতো সুন্দর একটা বউ বাসায় রেখে কী করে বেশিক্ষন বাইরে থাকবে বলোতো।
ঐশীর কথায় আরশি একটু মুচকি হাসলেও পরক্ষনে আবারো মুখ কালো করে নিলো।
ঐশী পেছনে দুইহাত দিয়ে মুখটা একটু উপরে তুলে চোখ বন্ধ করে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,
“প্রেমিক কাকে বলে সেটা হয়তো ইশান ভাইকে না দেখলে বুঝতেই পারতাম না।কতোটা ভালবাসলে একজন আরেকজনের পাওয়ার আশায় ছয়বছর তার জন্য কাটিয়ে দিতে পারে।জানো তো ভাবি একতরফা ভালোবাসার মতো কষ্ট আর কিছু নেই।একতরফা ভালোবেসে খুব কম মানুষই সাকসেস হতে পেরেছে।কিন্তু ইশান ভাইকে দেখো সে হাত ধুয়ে তোমার পিছনে পরে ছিলো মানে তার তোমাকে চাই মানে চাই।তুমি কেনো কাঁদছো সেটা আমি জানিনা তবে এটুকু জানি ইশান ভাই কখনো তোমায় ছাড়বে না।আগে যেভাবে ভালোবসাত এখনও ঠিক তেমনি ভালোবাসে।শুধু সময়ের বিবর্তনে সে প্রকাশ করতে পারছেনা হয়তো কোনো পরিস্থিতিতে স্বীকার।তবে চিন্তা করোনা খুব সহজেই সে তোমায় আবারো আগের মতো ভালবাসবে।ইশান আরশির ছিলো আরশিরই থাকবে।

ঐশীর কথা শুনে আরশি ওর দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকালো।কাল ওর আর ইশানের কথা শুনে আরশি এতটুকু বুঝে গিয়েছিল যে ঐশী ইশানকে খুব ভালোবাসে।কিন্তু এই ঐশীই ওকে নির্লিপ্ত ভাবে সান্তনা দিয়ে যাচ্ছে।লোকে বলে ভালোবাসার জন্য মানুষ সব করতে পারে কিন্তু ঐশী তো এর বিপরীত। সে পারলেই আরশিকে নানান কটু কথা শুনাতে পারত কিন্তু ও সেটা করেনি।হয়তো সত্যিকারের ভালোবাসে বলেই ভালোবাসার মানুষটাকে ভালো থাকতে দেখতে চাইছে।যাকে মন দিয়ে ভালোবাসা যায় তার খারাপ কেউ কোনোদিনই চাইবেনা।
সকাল পেরিয়ে দুপুর চলে এলো ইশানের কোনো খুঁজ নেই।আরশি কেনো কাজেই মন বসাতে পারছেনা। ইশানের মা অনেকবার এসে আরশিকে জিজ্ঞেস করে গেছেন ইশান কোথায়।আরশির উত্তর দেওয়ার মতো কোনো অবস্থায় নেই তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে ঐশী উনাকে কিছু একটা বলে বুঝিয়ে দিলো।

আরশি নুইয়ে নুইয়ে রুম ঝাড়ু দিচ্ছিলো হঠাৎ ইশানকে ওর দিকে হতদন্ত হয়ে আসতে দেখে আরশির মুখে হাসি ফুটে উঠলেও বেশিক্ষণ থাকলো না যখন দেখলো ইশান ওর দিকে একটা সাদা পেপার এগিয়ে দিলো।আরশি নিজের কৌতুহল মেটানোর জন্য তারাতাড়ি পেপারটা খুলে দেখলো এটা ডিভোর্স পেপার। আরশির চোখ দিয়ে না চাইতেও এক ফুটা জল গরিয়ে পরলো।তুর্বর নাম মুখে নিয়ে ছিলো বলে ইশান তাকে ডিভোর্স দিতে চাইছে।কিন্তু ডিভোর্স পেপার বানাতে তো চার পাঁচদিন লেগে যায় ইশান কয়েক ঘন্টায় কী করে বানিয়ে নিয়ে এলো।
ইশান বেশ শান্ত গলাই বলল,,
“কী করে এত তারতাড়ি ডিভোর্স পেপার বানিয়ে নিলাম সেটাই তো ভাবছো? তাহলে বলছি।আমি জানতাম এমন এক দিন আসবে যে তুমি হয়তো আমাকে ডিভোর্স দিতে চাইবে নয়তো আমি তোমাকে দিতে চাইব তাই আমি আগেভাগেই ডিভোর্স পেপার বানিয়ে রেখে দিয়েছি।যদিও জানি বিয়ের ছয়মাসের আগে ডিভোর্স বৈধ না।কিন্তু আমাদের বিয়ের তো একমাসও হয়নি।তাতে সমস্যা কী তুমি এই পেপারে সাইন করে দাও।সাইন করার পর তুমি একদম ফ্রি জীবনযাপন করতে পারবে।শুধু তুর্ব কেনো তু্র্বর মতো আরও হাজার ছেলে পাবে।আমি আর তোমাকে বন্দীদশায় রাখতে চাইছিনা
আরশি এবার ইশানের হাত ধরে ফুপিয়ে কেঁদে দিলো। সে ভাবতেও পারেনি ইশান ওকে সামান্য কথার উপরে ভিত্তি করে এতোবড় শাস্তি দিবে।আরশি হাত ধরাতে ইশান রেগে ওর হাত ঝাড়া দিয়ে ফেলে ছাঁদে চলে গেলো।

কাশফুলের মেলা পর্ব ৮

ঝিরঝিরে বৃষ্টি পরছে।ইশানের চুলে বৃষ্টির বিন্দু আটকে আছে।প্রতিটা বিন্দুকে এই মুহুর্তে মুক্তোর ন্যায় লাগছে।আস্তে আস্তে বৃষ্টির বেগ বেড়ে যেতে লাগল। তাতে ইশানের বিন্দু মাত্রও হেরফের নেই। সে একদৃষ্টিতে আাকাশে তাকিয়ে আছে আর গভীর ভাবে কী যেন ভাবছে,
“আমার সাথে কী এমনটা নাহলেই নয়।আরশি তোমাকে আমি যতবার কাছে টানতে চাই ঠিক ততবারই তুমি আমায় কষ্ট দিয়ে ফেলো। হোক জেনে হোক অজান্তে।ভেবেছিলাম সব কিছু মন থেকে দূর করে আবারো তোমায় আগের মতো ভালবাসব কিন্তু তুমি তো তুর্বকে নিয়েই পরে আছো। তুমি বুঝতে পারবেনা আরশি এই তুর্ব নামটা তোমার মুখে শুনলে আমার কতটা কষ্ট লাগে।যদিও জানি তুমি আমায় কষ্ট দেওয়ার জন্যই এমন করো।আজ তোমাকে একটা শিক্ষা দেওয়ার দরকার তাই নকল ডিভোর্স পেপার বানিয়ে এনেছি। শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি তোমার পরিক্ষাও নেওয়া যাবে যে তুমি এক্সাক্টলি কাকে চাও আমাকে নাকি তুর্বকে।

হঠাৎ হাতে কারও স্পর্শ পেয়ে ইশান চকিতে পাশে তাকিয়ে দেখলো আরশি ওর দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে।ইশান একবার তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিলো।
“সাধারন একটা বিষয় নিয়ে আপনি আমাকে ডিভোর্স দিতে চাইছেন।
আরশির কন্ঠ জরিয়ে আসছে। কান্না করার ফলে ভালো করে কথা বলতে পারছেনা। ইশান ওর হাত থেকে নিজের হাত সরিয়ে আরেকদিকে ফিরে গেলো।আরশিও ইশানে পিছন পিছন তার কাছে গেলো।
“আমার কাছে কেনো আসছো যাও দূরে সরো।
ইশান কথাটা বলে আরেকটু পিছিয়ে গেলো।ছাদের ওই জায়গাটিতে রেলিঙ নেই।সে আরেকটু সাইডে যেতেই ছাদ থেকে পরে গেলো।আরশি ইশান বলে চিৎকার করে উঠলো।চোখের সামনে ওর স্বামী পরে গেলো চেয়েও আটকাতে পারলোনা।

কাশফুলের মেলা পর্ব ১০