শেহজাদী পর্ব ১৯ || Arishan Nur || রোমান্টিক গল্প

শেহজাদী পর্ব ১৯
Arishan Nur

” না। আমি কাউকে ভালোবাসি না। ” ইমানের এই সহজ ও সাবলীল বাংলা স্বীকারোক্তি মিরা মেনে নিতে পারলো না। তার মন মূহুর্তের মধ্যে বিষিয়ে গেল। হুট করেই চোখে এক ফোটা জল এসে উঁকি মারলো। যখন-তখন গড়িয়ে পড়বে পড়বে অবস্থা । কেন যেন মিরার অবচেতন মন চাচ্ছিল সে যেন বলে, হ্যাঁ খুব করে ভালোবাসি তোমাকে মিরা।

মিরার গা বেয়ে বিদ্যুৎ শিহরণ খেলে যায়। সবকিছুই কেমন মন খারাপের রঙ ধূসর রাঙা মনে হতে লাগলো। আকাশটাও ধূসর, মাটিটাও ধূসর, চোখের অশ্রুমালা ও ধূসর!
ইমান পকেটে হাত গুটিয়ে নিয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে মিরার পানে তাকালো। সে চুপ থেকে তাকে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো। অন্ধকারে মিরার মুখমণ্ডল দেখা যাচ্ছে না। তাও কেন যেন ইমানের মনে হলো, সে কাঁদছে।
ইমান চাপা গলায় বললো, তুমি কি কাঁদছো?
মিরা নাক টেনে বলে, উহু।

— ভালো। না কাঁদাই শ্রেয়। কান্না করা বোকামি।
মিরাকে পাশ কাটিয়ে ইমান সরে পড়লো।পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় মিরার নাকে উগ্র সিগারেটের গন্ধ এসে ভীড় জমালো। সে ভ্রু কুচকে ফেলে।
ইমান থেমে গিয়ে পুনরায় ফিরে এসে মিরার ডান গালে হাত রাখলো। মিরা পিলে চমকে উঠে। ইমানের গরম হাতের ছোয়া পেতেই তার দিন-দুনিয়াত হিসাবে গরমিল হতে লাগলো। সে ইমানের হাতে হাত রাখতে গিয়েও থেমে যায়। ইমান তার হাতটা ঠিক তার অশ্রুবিন্দুতে মাখা গালে রেখেছে।
ইমান চোখের পানি মুছিয়ে দেওয়ার ভঙ্গি করে বলে, মিথ্যা বলা পাপ।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

ইরা গাড়ি থেকে বের হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তারা যে বাস করে যাবে সেটা সামনেই দাঁড়িয়ে আছে। সে চাইলেই গিয়ে বাসে বসতে পারে। কিন্তু যাচ্ছে না। বরং এই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে তার ভালো লাগছে। বাতাস হচ্ছে। মিহি বাতাসে তার এলেমেলো চুল গুলো উড়ছে। বেশ ফুরফুরে লাগছে তার। সামনে উড়ে আসা অবাধ্য চুলগুলোকে কানের একপাশে গুজে দিয়ে সে দাঁড়িয়ে আছে। এইরকম পরিবেশে এক কাপ চা খেলে মন্দ হত না।

আসলে চা খাওয়ার আইডিয়াটা তার নয়। বাসস্ট্যাডের পাশে একটা চায়ের দোকান আছে। দোকানের সামনে নেভি ব্লু জ্যাকেট পড়া একটা ছেলে ওই দিকে মুখ করে চা খাচ্ছে। ছেলেটাকে চা খেতে দেখে ইরার ও চা খেতে ইচ্ছা করছে। গরম গরম ধোঁয়া উঠা চা নিশ্চয়ই খুব লোভনীয় হত! কিন্তু হেঁটে দোকানের কাছে যেতেও মন চাচ্ছে না তার৷

পেছন থেকে কেউ ইরাকে পিছু ডাকলো। ইরা ভ্রু কুচকে ফেলে। কণ্ঠস্বরটা তার পরিচিত নয়৷ কিন্তু তার নাম ধরে কে ডাকছে? ইরা চিন্তিত মুখে ডাক অনুসরণ করে সেদিকে তাকালো। সে দেখল, এক মধ্যবয়স্ক লোক দাঁড়িয়ে আছে। মাথায় টুপি পড়া। মুখে পান। সে পান চিবুচ্ছে। তাকে দেখামাত্র লোকটা পান খাওয়া মুখে বলে, আপনি ইরা ম্যাডাম না?

— আমি ইরা৷ কিন্তু কারো ম্যাডাম না ৷
— মিরা ম্যাডামের বোন আপনি তাই না?
— জি৷
— দেখলেন! আপনাকে চিনে ফেলেছি। আপনার সঙ্গে আপনার বোনের কিছু মিল আছে।
— পৃথিবীর সব বোনদের চেহারায় একটা না একটা অদৃশ্য মিল থাকে৷
— ভালো বলেছেন। বাসে উঠে পড়ুন। আপনাকে টিকিট দিয়ে দিচ্ছি।
— আমাকে কি জানালার পাশের সীটটা দেওয়া যাবে?
মিস্টার চৌধুরী পানের রস থুক করে রাস্তার একপাশে ফেলে বলে উঠে, আমরা মোট ছয়জন যাচ্ছি। পাঁচটা সীটই বাসের জানালার বিপরীতে আর একটা সীটই পেলাম যেটা জানালার সঙ্গে।

— তাহলে সেই সীটটাই আমাকে দিন।
— ওই সীটটা দখল হয়ে গেছে।
— যে দখল করেছে, তাকে বলুন অন্য সীটে বসতে।
মিস্টার চৌধুরী মুখে নকল চিন্তা এনে বলে, ছেলেটা ভ্রমণ পিপাসু। কিসব করবে। এইজন্য জানালার পাশের সীটটা নিয়েছে। আপনি ওনার সঙ্গে কথা বলে দেখুন। যদি আপনার মতো সুন্দরীর কথায় রাজী হয় যায়।
ইরা বিরক্তি নিয়ে বলে, সে কে?
মিস্টার চৌধুরী হাত উঠিয়ে বাস দেখিয়ে বলে, ওইদিকের ই-২ নংয়ে ব্লু কালারের জ্যাকেট পড়া ছেলেটাকে আমার কথা বলেন। যদি জায়গা ছেড়ে দেয় তাহলে সেখানে বসবেন।

— আপনার নাম কি?
— বলবেন চৌধুরী।
— ওহ আচ্ছা।
ইরা দ্রুত বেগে বাসে উঠে সত্যি সত্যি ই-২ নাম্বার সীটে গিয়ে দেখে আসলেই ব্লু জ্যাকেট পড়া একটা ছেলে ক্যামেরা হাতে নিয়ে মাথা নিচু করে কি যেন করছে।
ইরা একটা কাঁশি দিলো। কিন্তু ছেলেটা যেন সেই শব্দ কানেই নিলোনা।
ইরা এবারে কিছুটা জোরে বলে, এই যে নীল রঙের জ্যাকেট পড়া আপনি? শুনুন একটু?
ছেলেটা ক্যামেরায় যা করছিল সেই কাজ থামিয়ে দিয়ে মাথা নিচু রেখেই বলে, বলুন! লাল কামিজ পড়া আপু।

— আপনার সীটটা আমাকে দিন। আপনি গিয়ে অন্য সীটে বসেন।
— নো ওয়ে। আমি চৌধুরী ভাইয়ার সঙ্গে কথা বলেই জানালার পাশের সীটটা নিয়েছি। এখন অন্য কোথায় যাব না।
ছেলেটার অকপট জবাবে ইরার গা জ্বলে যায়। তার জেদ চেপে যায়। মনে মনে ভীষণ রাগ লাগছে তার। ইরা জোরে বলে, না। আমি বসব এখানে। আপনি অন্য কোথাও যান।
— অসম্ভব!
— একটা মেয়ের সঙ্গে কেউ এমন করে? বেয়াদব!

ছেলেটা ক্যামেরাটা ব্যাগে ঢুকাতে ঢুকাতে বলে, কি এমন করলাম শুনি? গায়ে হাত দিয়েছি?
ছেলেটার মুখে শেষের কথাটা শুনে ইরার ভেতরটা ঘৃণায় ভরে উঠে। নাক, মুখ দিয়ে তার গরম ধোঁয়া বেরুতে লাগে।
এবারে ছেলেটা ইরার মুখোমুখি তাকালো। এবং বেশ খানিকটা ভড়কে যে গেছে তা ইরা টের পেয়েছে। কিন্তু কেন তাকে দেখে ভড়কে গেল?

সাদ ক্যামেরা সযত্নে ব্যাগে রেখে যেই না তর্ক করার জন্য উঠে দাঁড়ালো এবং তর্কবতীকে নিজ চোখে দেখলো। সঙ্গে সঙ্গে সে বিমূঢ় হয়ে যায়। তার স্বপ্নের ডানাকাটা পরী দাঁড়িয়ে আছে কোমড়ে হাত দিয়ে। সাদ নিজের চোখ কচলালো। নাহ! সত্যিই ডানাকাটা পরী তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
সে কিছুটা সামনে এগিয়ে আসতেই ডানাকাটা পরী ভ্রু কুচকে পিছনে সরে যায়৷
সাদ বলে উঠে, আপনি!

ইরা মুখে বিরক্তি ভাব এনে বলে, আপনার স্বভাব তো ভালো না। মেয়েদের সঙ্গে যেঁচে পড়ে ঝগড়া করেন৷ আবার অসভ্য-অসভ্য কথাও বলছেন।
সাদ যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না।ডানাকাটা পরীর কথা তার কানে ঢুকছে না। সে কল্পনাতেও ভাবতে পারেনি আবারো এই মেয়ের সঙ্গে তার দেখা হবে, কথা হবে!
সে বলে উঠে, আপনি জানালার পাশের সীটটা নিবেন? নেন। আমার কোন সমস্যা নেই?
ইরা ভ্রু কুচকে ফেলে এবং কড়া গলায় বলে, কিছুক্ষণ আগেই না আপনি সীটটা ছাড়বেন না জন্য কাউ কাউ করলেন। এখন আবার কি হল?

— আমার মনে হলো, আপনার ইচ্ছাটা পূর্ণ করা দরকার তাই এই সিদ্ধান্ত নিলাম।বসুন।
সাদ সীটটা ছেড়ে দিলো। ইরা একবার তাকে অবলোকন করে নিয়ে সীটে বসে পড়লো। ইরা বসার প্রায় সাথে সাথেই সাদ ও তার পাশের সীটে বসে পড়লে, ইরা গগন কাপানো চিৎকার দিয়ে বললো, আপনি কেন আমার পাশে বসলেন?
তার চেচামেচির আওয়াজে দুইজন লোক এগিয়ে এসে সাদকে ধমকিয়ে বলে, এই ছেলে এই! পাবলিক বাসে মেয়েদের ডিস্টার্ব করিস কোন সাহসে?
সাদ বোকা বনে গেল। সে কাকে ডিস্টার্ব করলো?

ইরা বড় একটা ঢোক গিলে বলে, আপনি অন্য কোথাও গিয়ে বসুন। আমি অপরিচিত কারো সঙ্গে ট্রাভেল করব না।
সাদ উঠে দাঁড়িয়ে গেল, তার ইগো হার্ট হয়েছে বড্ড। অন্য একটা সীটে গিয়ে বসে মনে মনে বলে, বাহ! অপরিচিত মানুষদের সঙ্গে ঝগড়া করা যায় কিন্তু পাশে বসে ভ্রমণ করা যাবে না? যত্তোসব!

মিরা বাসে উঠে ইরার পাশে বসে বলে, তোকে বাইরে খুঁজে খুঁজে হয়রান আমি আর তুই এখানে বসে আছিস?
ইরা উত্তর দিলোনা বা দিতে পারলো না। কারণ সে বড়সড় একটা ধাক্কার মতো খেয়েছে। সে বাসে ইমানকে উঠতে দেখলো। সত্য দেখছে নাকি ভ্রম দেখছ?
ইরাকে চোখ বড় করে ইমানের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে মিরা আস্তে করে বলে, ও আমাদের সঙ্গে যাচ্ছে। প্রজেক্টে একসাথে কাজ করছি আমরা।

— ও টা কে?
— ইমান।
আপুর মুখে ইমান নামটা শুনে ইরার বড্ড রাগ হতে লাগে। আর আপু তাকে “ও” বলে কেন ডাকলো? সাধারণত বাঙালী নারীরা তাদের স্বামীকে ও বলে সম্মোধন করে। আপু কেন ও বলে ডাকবে তাকে? ইরার চোখ আটকে আছে ইমানের দিকে। পেটের ভেতর দিয়ে ভালো লাগা পাক খাচ্ছে তার।
ইমান এবং তার ইতিমধ্যে চোখাচোখি হয়ে গেছে। ইমান তাকে দেখে সৌজন্যমূলক হাসি দিলো। সেই হাসির গভীরতায় ইরা তলিয়ে যেতে লাগলো।
ইমান গিয়ে সেই ব্লু জ্যাকেট পড়ার ছেলের পেছনের সীটটায় বসলো। যার দরুন ঘাড় ঘুরিয়েও তাকে দেখা যাচ্ছে না। তার বদলে ওই অসভ্য ছেলেটার মুখ দেখা যাচ্ছে। যাকে দেখলেই ইরার বিরক্তির সীমা থাকছে না।

বাস চলতে আরম্ভ করলো। ইরা হেলান দিয়ে বসে থাকলো। একটা সময় ঘুমিয়েও গেল। প্রায় দুই ঘন্টা পর বাস একটা ফুড ভিলেজে থামলো। মিরার একবার ওয়াশরুম যাওয়া প্রয়োজন। তখন রাত। চারিদিকে অন্ধকার। বাস থেকে মাত্র চারজন নামলো।
মিরা ইরাকে ডাকলো কিন্তু ঘুম ছেড়ে ইরা উঠলোনা। উপায় না পেয়ে মিরা যখন একা একাই নেমে যেতে ধরলো, ইমান ও তার পিছু পিছু নিচে নামলো৷ মিস্টার চৌধুরী ঘুমে। সাদ ঘুমে আছে আর সে যাবে না ওয়াশরুমে। এইজন্য ইমান কাউকেই ডেকে বিরক্ত না করে বাস থেকে নেমে গেল৷
মিরা বাস থেকে নেমে ইমানকে উদ্দেশ্য করে বলে, আপনি কি আমাকে পাহারা দিতে এলেন?

ইমান পকেটে হাত গুটিয়ে নিয়ে বলে, আজ্ঞে না। আমিও ওয়াশরুমে যাব।ডোন্ট সে, যে সারা জগতে একমাত্র তোমারই ওয়াশরুম যাওয়া লাগে! নিজেকে এতো ইম্পর্টেন্স দাও কেন?
কথা শেষ করে ইমান সামনে পা আগালো। মিরাও ওয়াশরুমের উদ্দেশ্য ভেতরে ঢুকে। কিছুক্ষণের মধ্যে ইমান বের হয়ে এসে দাঁড়ালো এবং মিরার অপেক্ষায় থাকলো। বাস খানিকটা দূরে থামানো হয়েছে।এখান থেকে বাস দেখা যাচ্ছে না। প্রত্যক মিনিটে মিনিটে দূরপাল্লার বাস এসে থামছে, রওনা দিচ্ছে। জমজমাট অবস্থা। পাশেই চার-পাঁচ জন লোক একসাথে বসে সম্ভবত তাশ খেলছে।
দশ মিনিট অতিবাহিত হলেও মিরার ফেরার নাম নেই। তার দুশ্চিন্তা হতে লাগলো।

ইমান আবার হোটেলে ঢুকলো। হোটেলে ঢুকে খাবার এরিয়ার দিকে চোখ পড়তেই তার চোখ কপালে। মিরা একটা টেবিলে আয়েশ করে বসে পরোটা আর ডাল খাচ্ছে।
ইমান তার কাছে গিয়ে চড়া গলায় বলে, বাস যে ছেড়ে দিবে সেই হুশ আছে?
মিরা খাওয়া থামিয়ে দিল এবং ইমানের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বলে, আপনি আমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন?
ইমান তার প্রশ্নে ভড়কে এবং নিজেকে ধাতস্থ করে বলে, না। মোটেও না।

— তাহলে বাসে গিয়ে বসেন নি কেন?
— চা খেতে এসেছিলাম।
মিরা তার দিকে তাকিয়ে রহস্যময় হাসি হাসলো। কি যে আছে সেই হাসিতে ইমান আছে না। শুধু বুঝলো, বুকে ধুক করে একটা আঘাত লাগলো।
ইমান অন্য দিকে তাকিয়ে বলে, বাস এখনই ছাড়বে। আমি গেলাম৷
মিরা জলদি জলদি পরোটা মুখে পুড়ে খাওয়া শেষ করে ইমানের পেছনে পেছনে হাঁটা ধরলো।
বাস যে জায়গায় এসেছিল সে জায়গায় এসে দাঁড়াতেই ইমানের মাথায় বাঁজ পড়লো। তাদের বাস নেই। নিশ্চয়ই তাদের রেখেই চলে গেছে!
মিরা অন্য একটা ভুল বাসে উঠতে ধরলে, ইমান তাকে টেনে এনে ঝাড়ি মেরে বলে, তুমি কি চোখে দেখো না?

শেহজাদী পর্ব ১৮

— না। চশমা আনি নি।
মিরার কথা শুনে ইমানের নিজের চুল টানতে মন চাচ্ছে। সে চিল্লাতে চিল্লাতে, আরো পরোটা- ডাল খাও।কানির কানি! মহাকানি! বাস আমাদের রেখেই চলে গেছে।
— হুয়াট!
— চুপ একদম চুপ। সব দোষ তোমার।
— আমি আবার কি করলাম? [ হতভম্ব হয়ে প্রশ্ন ছুঁড়লো সে। ]
— পরোটা খাইতে কে বলেছে তোমাকে?

মিরাও দ্বিগুণ তেজি গলায় বলে, আপনাকে আমার জন্য অপেক্ষা করতে কে বলেছিল?
— তো একা একা এই মাঝ রাতে রেখে চলে যাব?
ইমানের কথাটার মধ্যে কি যেন লুকায়িত ছিল যা মিরার মনে ভালোবাসার উষ্ণ অনুভূতি এঁকে দিলো। খুবই যত্ন করে এঁকে দিয়েছে সেই অনুভূতিটি!
সাত রাঙা রং দিয়ে আঁকা সেই ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি! শিল্পি নিশ্চয়ই খুবই পটু!

শেহজাদী পর্ব ২০