You are mine part 17 || romantic valobashar golpo

You are mine part 17
Poly Anan

অপ্রত্যাশিত মুখটি দেখে এক মূহুর্তের জন্য থমকে যায় ঈশা।এতো তাল বাহানার পরেও লিমন ঈশানের সামনে আসবে ঈশার সামনে আসবে তা কখনো ভাবে নি ঈশা।লিমন চোখের দিকে তাকিয়ে ঘৃণ্য ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি ঈশার মাঝে।লিমন ঈশার দিকে তাকিয়ে আছে অসহায় দৃষ্টিতে। তাকে দেখে মনে হচ্ছে ঈশার অভাবে তার জীবনের প্রতিটি ধাপ অপূর্ণ রয়ে গেছে আর এই অপূর্ণ জীবনের শেষ চাওয়া চাইছে লিমন।ডান্স ফ্লোরে একে একে সবাই হাজির।মিউজিক অন করার সাথে সাথে সবাই সবার মতো দাড়িয়ে গেছে।ঈশা এখনো তাকিয়ে আছে লিমনের দিকে।মূহুর্তেই ঈশা ভুলে গেছে তার তো ঈশান কে খোঁজার কথা।
লিমন ঈশার দিকে হাত বাড়িয়ে বলে,

“Please dance with me for the last time ishu……!(করুন কন্ঠে)
ঈশা যেন জমে গেছে।লিমনের কথা রাখতে গেলে আর এখানে তুফান বয়ে যাবে সেটা ভালো করেই যানে ঈশা।কিন্তু ঈশানকে ছাড়া সে কখনোই নাচবে না।
হঠাৎ কেউ পেছন থেকে ঈশার কোমড় জড়িয়ে তার সাথে মিশিয়ে নেয়।ঈশা চকিতে তাকালেই খেয়াল করে সেই ব্যাক্তিটি ঈশান।ঈশান একপলক লিমনের দিকে তাকিয়ে ঈশাকে ডান্স ফ্লোরে নিয়ে যায়।ডান্স ইতিমোধ্যে শুরু হয়ে গেছে। মিউজিকের তালে তালে নাচ শুরু করে দিয়েছে সবাই।হালকা নিয়ন বাতির আলোতে পরিবেশটা বেশ রোমাঞ্চকর।
❤️Shayad kabhi na kehe sakoon main tumko
Kahe bina samajh lo tum shayad
Shayad mere khayal mein tum ik din
Milo mujhe kahin pe ghum shayad( ঈশান তাকিয়ে আছে ঈশার দিকে। ঈশা তাকিয়ে আছে কিছু দূরে একা দাঁড়িয়ে থাকা লিমনের দিকে।)
Jo tum na ho… rahenge hum nahin
Jo tum na ho… rahenge hum nahin(ঈশান ঈশার মুখ ঘুরিয়ে তার দিকে ফিরিয়ে দেয়।ঈশা মুচকি হেসে ঈশানের দিকে তাকায়।ঈশা ঈশার দিকে তাকিয়ে বলে,” প্লিজ ঈশু সময়টা আমাদের ইঞ্জয় করো!।
ঈশানের কথায় ঈশা মুচকি হেসে নাচতে থাকে)
Na chahiye kuch tum se zyada tum se kam nahin
Jo tum na ho… toh hum bhi hum nahi
Jo tum na ho… toh hum bhi hum nahi
Na chahiye kuch tum se zyada tum se kam nahin(লিমন তাকিয়ে আছে ক্রোধ দৃষ্টিতে তার ইচ্ছে করছে ঈশানকে টেনে ঈশার পাশ থেকে সরিয়ে দিতে)

Aankhon ko khaab dena
Khud hi sawaal karke
Khud hi jawaab dena teri taraf se
Bin kaam kaam karna
Jaana kahin ho chaahe
Har baar hi guzarna teri taraf se
Ye koshishein toh hongi kam nahin
Ye koshishein toh hongi kam nahin
Na chahiye kuch tum se zyada tum se kam nahin (ঈশান ঈশার দিকে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।)
Jo tum na ho… rahenge hum nahin
Jo tum na ho… toh hum bhi hum nahin
Na chahiye kuch tum se zyada tum se kam nahin
Jo tum na ho…
Jo tum na ho…(ঈশা ঈশানের চোখের দিকে তাকিয়ে এক মোহ মায়ায় হারিয়ে যায়।)
Jo tum na ho…❤️

ডান্স শেষে ঈশান ঈশার কপালে আলতো করে ভালোবাসার পরস একে দেয়।
আর লিমন তাদের দিকে একবার তাকিয়ে দৃষ্টি সরিয়ে নিয়ে চলে যায়।মনে মনে বলতে থাকে,
“আমি তো যাস্ট দেখতে এসেছিলাম তুই ঈশানের সাথে কতটা মানিয়ে নিয়েছিস। এখন তো দেখি বাহ আমার থেকেও তার সাথে বেশ ভাব জমে গেছে তোর।
বিয়ের দিন সকাল থেকেই ব্যস্ত ঈশান। কিন্তু এই ব্যস্ততার মাঝেও ঈশাকে ভুলেনি।ঠিকি টাইম টু টাইম ঈশার খবর নিয়েছে।মাঝে মাঝে আড়াল থেকে দেখে গেছে।রাসেল আর নিশির ছবি তোলা হচ্ছে।ঈশা আর ঈশান এক কোনে দাঁড়িয়ে আছে।দুজনেরি আজ একি রংএর পোষক গায়ে।ঈশার পড়নে পিংক এবং অফ হোয়াইট কালারের একটি লেহেঙ্গা পুরো লেহেঙ্গাটায় জরির কাজ।পেছনে দীর্ঘ লম্বা চুলগুলোকে ছেড়ে দিয়েছে। ঈশান কিছুক্ষন মুগ্ধ হয়ে শুধু তাকিয়ে থাকে। ঈশানের পড়নে পিংক কালারের ব্লেজার।
ঈশান ঈশাকে তার দিকে ঘুরিয়ে বলে,
” বলেছিলাম ভদ্র ভাবে থাকতে এতো লাফালাফি করো কেন ঈশু!দেখো সাজটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে (টিকলি ঠিক করতে করতে)

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

দূর থেকে লিপি তাদের দুজনের দিকে তাকিয়ে মুখ দিয়ে বিড়বিড় করতে করতে চলে যায়।
“ঈশু তুমি আমার কোন কথা কেন শুনোনা একটু বলবে প্লিজ।সব কাপলদের দেখো হাজবেন্ডের হাতে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে আর তুমি আমার থেকে দূরে দূরে থাকছো।(চুল ঠিক করতে করতে)
” তোমার কথা শুনতে আমার একটুও ভাল্লাগেনা সব আদেশ বানী?(মুখ ভেংছে)
“ভালো কথা কি তোমার ভালো লাগে নাকি তুমি তো স………..
ঈশানের কথা শেষ হওয়ার আগেই ঈশা দৌড়ে পালিয়ে যেতে নেয় তখনি ঈশান তাকে পেছন থেকে টেনে তার বুকের সাথে মিশি শক্ত করে করে জড়িয়ে ধরে একটি বিশ্ব জয়ের হাসি হাসে।
” আমাকে ছেড়ে পালিয়ে যাবি এতো সহজ না। আমার মন আত্না,সব তোর সাথে মিশে গেছে। তোকে না পেলে আমি শূন্য শুধু তোকে পেলেই আমি পূর্ণ।
ঈশা ঈশানের কথায় হাসতে থাকে।
“আমাকে ছাড়ো আমার সাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
” এতোক্ষন যে লাফালাফি করছিলে তখন নষ্ট হলো না আর আমি জড়িয়ে ধরেছি তাতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ঈশান ঈশাকে ছেড়ে দেয়।ঈশা তার চোখের কোন থেকে কাজল নিয়ে ঈশানের কানের নিচে লাগিয়ে দেয়।
“আমার বরটার যেন নজর না লাগে!

” পৃথিবীর কারো নজরি আমার দরকার নেই শুধু তোমার চোখের ওই তীর্যক চাহনীতে আমি খুন হতেও রাজি আছি।
ঈশা আবারো মুচকি হেসে ঈশানকে জড়িয়ে ধরে।
কিছুক্ষণ পর হাসিনের সাথে দেখা হয় ঈশার। সেইদিনের জন্য ঈশানের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়।ঈশান হাসি মুখে আবার হাসিনের হাসে আগের মতো ব্যবহার করে।
পরের দিন বিয়ে, রিসিপশন সবটাই বেশ আনন্দে সুষ্ঠ ভাবে সম্পূর্ণ হয়।বিয়েতে আর দেখা যায়নি লিমনকে।ঈশাও ভুলে গেছে তার কথা সে এখন বর্তমানটা নিয়েই সুখী।
কেটে গেছে দুটো দিন।হুট করেই প্রজেক্টের কাজের জন্য ঈশানকে কক্সবাজার যেতে হবে। কথাটি শোনার পর থেকেই ঈশানের মন ভালো নেই। ঈশাকে ছাড়া এক ঘন্টা তার কাছে জাহান্নাম লাগে আর এদিকে ঈশাকে ছেড়ে তার প্রায় এক সাপ্তাহ থাকতে হবে।সারাদিন অফিসের কাজ শেষে ঈশান যখন রাত আটটায় বাড়ি ফিরে তখন দেখে ঈশা বেশ মনোযোক সহকারে বই পড়ছে।
সামনে তার পরিক্ষা তাই তাকে বিরক্ত না করে সে তার মতো করে ফ্রেশ হতে চলে যায়।কিছুক্ষন পর ঈশান ধুপ করে বিছানায় সুয়ে পরে। ঈশানের অবস্থা দেখে ঈশার ভ্রু কুচকে যায়।
“কি হলো তোমার কি শরীর খারাপ?

” না মন!
“মন খারাপ!কিন্তু কেন?
“তোমাকে ছেড়ে আমাকে এক সাপ্তাহ কক্সবাজার থাকতে হবে অফিসের কাজে তাই(ঈশাকে টেনে কোলে বসিয়ে)
“কি এক সাপ্তাহ…(মন খারাপ করে)
” হুম….
ঈশা খেয়াল করে ঈশানের মন খারাপ তাই তাই সে নিজের হাসি মুখ রাখাত চেষ্টা করে বলে,
“ধূর এক সাপ্তাহ মাত্র এইজন্য তোমার মন খারাপ। এই এক সাপ্তাহ দেখতে দেখতেই কেটে যাবে তুমি চিন্তা করো না।
” আমি তোমাকে ছেড়ে থাকবো কিভাবে ঈশু?
“অফিসের কাজে বিজি থাকবে তুমি রাতে না হয় ভিডিও কলে কথা বলবো।তুমি রেস্ট নাও কাল তোমাকে বের হতে হবে আমি তোমার ব্যাগ রেডি করে দিচ্ছি।
রাতে ডাইনিং টেবিলে ডিনার করছে ইমন আর তার বউ এমন সময় ঘরে ডুকে লিমন। ঘরে ডুকেই সে ইমনকে জড়িয়ে ধরে পেছন থেকে।ইমন কে এইসময় দেখে ভ্রু কুচকে যায় ইমন আর তার বউয়ের। এতো তাড়াতাড়ি লিমন কখনোই বাড়ি ফিরে না। সে বেশির ভাগ সময় রাত তিনটায় বাড়ি ফিরে।মাঝে মাঝে তাকে বাড়িতে আসতেও দেখা যায় না।
” কিরে তুই এতো তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরেছিস?
“ব্রেকিং নিউজ আছে ভাইয়া। ঈশান কক্সবাজার যাবে আর এই সুযোগে আমাদের আসল টোপ টা ফেলতে হবে!

” গ্রেট নিউজ।আমাদের কাজটা ঠিক ঠাক ভাবে হলেই আমরা একটা পার্টি দেবো!
“ইয়াহ(হাত মিলিয়ে)
সকালে ঈশার মন খারাপ তবুও ঈশানের সামনে নিজেকে সর্বদা হাসিখুশি রাখছে।যাওয়ার সময় ঈশার মুখে হাসি লেগেই আছে।ঈশান ঈশার হাত টেনে সামনে এনে জড়িয়ে নেয়।
” আমার কথা গুলো মন দিয়ে শুন ঈশু।আমি এখন নেই প্লিজ তুমি বাড়ি থেকে বের হবেনা।এখানেই থাকবে মা আর লিজার সাথে সময় কাটাবে। নিজেকে দেখে শুনে রেখো!
“হুম তুমিও।আমাদের কথা হবে ফোনে তুমি এতো চিন্তা করছো কেন?
“তোমায় নিয়ে আমার কম চিন্তা নেই ঈশু।পড়া লেখা টা ঠিক মতো করবে কিন্তু।
” হুম করবো।তুমি ঠিক ঠাক মতো বাড়ি ফিরলেই আমার শান্তি।দেরি হয়ে যাচ্ছে এবার নিচে চলো।
“চলো….!
ঈশান সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়।মূহুর্তেই ঈশার মুড অফ হয়ে যায়।চারিদিকে এতো কাছের মানুষ থাকতেও কাউকে আপন লাগছেনা তার।কিছুক্ষণ ছাদে দাড়িতে নিজের মন করে শান্তনা দিয়ে নিচে নেমে আসে।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ঈশা ঈশানের দেওয়া সেই লকেট চেইনটির দিকে তাকিয়ে আছে। হাতের আঙুলে ঈশানের দেওয়া রিং চকচক করছে।
এমন সময় লিপি ঈশার ঘরে ডুকে।আজ লিপির চোখে মুখে কোন রাগ জিদ নেই যা আছে কোমলতা সরলতা। তাকে দেখে কেউ বলবেনা ঈশার সাথে কিছুদিন আগেও তিনি দূরব্যবহার করেছে।
” কিছু বলবে জেঠিমা (ভয়ে ঢোক গিলে)
“মারে মা, কত কথাই বলার ছিল কিন্তু বলতে পারিনা তোকে ঈশারা ইংগিতে কত বুঝাতে চাই তুই বুঝিস না!

” ম..মানে কি বলছেন জেঠিমা।
“তোর সাথে আমি অনেক খারাপ ব্যবহার করি তাই না,কিন্তু এর পেছনে কারন আছে।তোর জীবন বাচাঁতে আমি এইসব করি! (ছল ছল চোখে)
” কি বলছেন আপনি আমার মাথায় কিচ্ছু ডুকছেনা!
“তুই ঈশান কে কি খুব বিশ্বাস করিস?
” হ্যা… কেন?(দৃঢ় গলায়)
“ঈশান কে বিশ্বাস করা আর দুধ দিয়ে কালসাপ পোষা সাপ কে বিশ্বাস করা একই রে মা!
লিপির কোন কথাই ঈশার বোধগম্য হচ্ছে না।
” আপনি কি বলছেন একটু সোজা সুজি ক্লিয়ার করে বলবেন প্লিজ।
“আসলে কথাটা কিভাবে বলবো ঈশান যদি যানে আমাকে খুন করে ছাড়বে তুই তো ঈশানের খবর ভালো করেই যানিস।
” আপনি যা বলার সরাসরি বলুন ঈশান কিচ্ছু যানবেনা কথা দিলাম আপনাকে।
“তুই কি ঈশান কে খুব বিশ্বাস করিস?কিন্তু ঈশান কি তোর বিশ্বাসের মর্যাদা রাখছে..? এই বাড়িতে তুই আসার আগেও ঠিক আরেক জন বউ হয়ে এসেছে!
কথাটি শুনেই ঈশার মাথা ঘুরতে থাকে। ঈশানের বিয়ে হয়েছে তাকে তো কখনো বলেনি।
” আমি আপনার কথা বিশ্বাস করতে পারলাম।না জেঠিমা..!

“যানতাম এমনটাই বলবি তোকে প্রমান দিচ্ছি। এক মাস আগে ঈশান কক্সবাজার গেছিলো মনে আছে?
ঈশার মনে পড়ে যায় সেই দিনের কথা ঈশান বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার যাবে বলে তার কাছে বিদায় নেয়।কিন্তু ঈশার কান্ডে ঈশান আবারো ফিরে আসে আর বিয়ের জন্য ফোর্স করতে থাকে।তারপর থেকে বাকি ঘটনার আজ এতো দূর।
” হ..হুম।কিন্তু এতে কি প্রমান হয়?
“ঈশান এবারো কক্সাবাজার গেছে কাজের জন্য আসলে এইসব তাল বাহানা ঈশান তার প্রথম পক্ষের বউকে কক্সবাজার রেখে এসেছে!
ঈশার মাথার ভেতরে সব কিছু ফাকা ফাকা লাগছে তার মন মানছে না ঈশানকে অবিশ্বাস করতে কিন্তু এইসব কথা যদি সত্যি হয় তবে এই বাড়িয়ে শুধু শুধু সতিন নামক টেগ নিয়ে থাকতে হবে।
” আ.আপনার কাছে প্রমাণ আছে?
“আমি তো যানতাম তুই বিশ্বাস করবিনা তাই প্রমান সঙ্গে করেই নিয়ে এসেছি।
লিপি কিছু ছবি ঈশার সামনে ধরে। ঈশা ছবি গুলো কাপা কাপা হাতে তুলেনেয়।
ঈশা চোখ বন্ধ করে একবার ঢোক গিলে ছবি গুলো দেখতে থাকে…!
” বেশ কিছু ছবিতে ঈশানের পাশে একটি মেয়ে।আর কিছু ছবিতে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ছবি। ঈশার আর সহ্য হয় না সে ছবি গুলো ছুড়ে ফেলে দেয়।

লিপি তার ঘাড়ে হাত রেখে বলে,
“আমি যানি তোর এখন কেমন লাগছে তোকে আগেই অপমান করে বের করতে চেয়েছি কিন্তু তুই বের হসনি যাই হোক সত্যটা যখন তুলে ধরলাম তখন তোর যা ইচ্ছে কর।আমার কিছু বলার নেই।
লিপি রুম থেকে চলে গেলে ঈশা সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে কিছুক্ষন।তারপর দরজা বন্ধ করে মেঝেতে বসে হাটু মুড়ে কাদতে থাকে।ঈশান তবে তাকে ঠকালো। ধুনিয়ার মানুষ গুলো এতো নিষ্ঠুর কেন।নিজের সুখের জন্য অন্যর জীবনকে এইভাবে ধ্বংস করে দেয়।
এভাবে কিছুক্ষণ যাওয়ার পর ঈশা উঠে দাঁড়ায়।আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজেকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করে।অতিরিক্ত কান্নার ফলে চোখ নাক মুখ ফুলে গেছে। চুল গুলো এলোমেলো হয়ে গেছে।আবারো চোখে পড়ে ঈশানের দেওয়া সেই লকেট..। হাতের আংটি গলার লকেট কানের দুল সব কিছু রেখে ঈশা সিধান্ত নেয় এই বাড়ি ছেড়ে এক কাপড়ে চলে যাবে।রুমটাকে আরেকবার পরখ করে নেয় সে।এই রুমের প্রতিটি কোনা সাক্ষি ঈশা আর ঈশানের ভালোবাসার।বারান্দায় দাড়িয়ে কিছুক্ষন পর দোলনায় বসে পরে ঈশা।এই দোলনায় দুজন মিলে কত খুনশুটি আর আনন্দে মশগুল ছিল।

ভালোবাসারা পুরোনো হয়না।শত চেষ্টা করেও ঈশা হয়ত ঈশানকে ভুলতে পারবেনা। গুটি গুটি পা ফেলে নিচে নেমে আসে ঈশা।মাহমুদা তখন ডাইনিং টেবিলে বসে বাজারের লিস্ট সাজাচ্ছেন।
ঈশা তার সামনে গিয়ে দাড়ালে আতৎকে উঠেন তিনি। ঈশার ফোলা চোখ লাল হয়ে যাওয়া নাক এত করুন অবস্থা আগে কখনো দেখেননি তিনি।
“ঈশা মা তোর কি হয়েছে?
” আমি চলে যাচ্ছি মা। তোমার ছেলেকে বলো আমায় যেনো ভুলে যায়।তার অতীত নিয়ে সে সুখে থাকুক।
“কি বলছিস তুই আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা(অবাক হয়ে)
ঈশা মাহমুদাকে জড়িয়ে ধরে ডুকরে কেদেঁ দেয়।
” তোমার ভালোবাসা আমি কখনো ভুলবো না মা।মায়ের অভাব তুমি এই কয়েকদিনে পুরন করেছো।আমি তোমাকে অনেক মিস করবো মা(কেদেঁ)
“এই কি বলছিস তুই কোথায় যাবি!
” বাবার সাথে শেষ দেখাটা হলো না আমার।আমাকে তোমরা ক্ষমা করে দিও মা।তোমার ছেলে আমাকে না ঠকালেও পারতো। এতোটা জঘণ্য কাজ করতে তার একবারো মনে হয় নি এখানে দুটো মেয়ের জীবন জড়িয়ে আছে।

You are mine part 16

আরেকটা কথা তোমার ছেলেকে এই বিষয়ে কিচ্ছু যানাবেনা। আমি তার সাথে আর থাকতে চাইনা।যদি আমাকে আবারো জোর করে এই বাড়িতে আনে তবে আমার লাশ বের হবে এই বাড়ি থেকে।
ঈশা কথাটি বলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।এতো দিন নিজেকে তার ভাগ্যবতী মনে হতো ঈশানকে সে বড় ভাগ্য করেই পেয়েছে কিন্তু দুনিয়ার মাঝে আজ তার নিজেকে অসহায় লাগছে কোথায় যাবে এখন কি করবে।
এদিকে মাহমুদা দিশা হারিয়ে ফেলেছে কি করবে এখন কোথায় যাবে কাকে বলবে।হাতের কাছে ফোন পেয়ে দ্রুত ঈশানকে ফোন করে….
“” হ্যা মা বলো
“ঈশা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে সে বলেছে আর ফিরবেনা।(কেঁদে)
মূহুর্তেই ঈশানের মনে হচ্ছে পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে।
” ক..কি বলছো মা তুমি হঠাৎ কি হয়েছে?(অস্থির হয়ে)
“আমি কিছু যানি যাওয়ার আগে শুধু বলে গেছে তুই নাকি তাকে ঠকিয়েছিস।
” আমি ঠকিয়েছি..! মা আমি আসছি তুমি কেদোনা.
ঈশান ফোন রেখে ড্রাইভারকে উদ্দেশ্য করে বলে,
“ড্রাইভার গাড়ি ঘুরাও।
ঈশান রাসেলকে ফোন করে…
” হ্যালো রাসেল আমি তোকে যেভাবে বলবো তুই ঠিক সেই ভাবেই কাজ টা কর!তুই………………….।

ঈশা পিচ ঢালা রাস্তায় হেটে যাচ্ছে। উদ্দেশ্যহীন গন্তব্য তার।কোথায় যাবে কি করবে কিছুই মাথায় আসছেনা।হাসিন ভাইয়ের বাসায় গেলে ঠিকি ঈশান পেয়ে যাবে।এইভাবে আরো কিছুক্ষণ হাটার পর ঈশার সামনে একটি গাড়ি ব্রেক করে দাঁড়ায়।
তখনি গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে…………

You are mine part 18