You are mine part 16 || romantic valobashar golpo

You are mine part 16
Poly Anan

“ঈশু সাত সকালে তুমি কি শুরু করেছো! কাল রাতে আমাকে নাচিয়ে ছেড়েছো আবার শুরু করেছো!(আড় চোখে তাকিয়ে)
ঈশানের কথা শুনে ঈশু ঠোঁট উলটে ফেলে।
” তুমি আমাকে শপিং করাতে নেবেনা?
“তোমাদের মেয়েদের শপিং কি জানো? একটা যুদ্ধ ! আমি অনলাইনে ২০ মিনিটে শপিং করি কিন্তু তোমাদের অনলাইনে ২০ মিনিটেও হয় না তোমাদের লাগে দুই ঘন্টা। আর যদি শপিং মলে নিয়ে যাই তাহলে তো আর কথাই নেই। পাক্কা ২৪ ঘন্টার মাঝে তোমরা ১৮ ঘন্টা লাগিয়ে ছাড়ো।
রাগে ঈশার নাকের পাঠা ফুলে গেছে। গাল দুটোকে ফুলিয়ে ঈশানের দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষন। ঈশান সোফায় বসে লেপটপে কাজ করছে।ঈশা দাতে দাত চেপে বলে,

“এখন তো তোর আমাকে ভালো লাগে না তাই না! তাই আমার চাওয়া পাওয়ার মূল্য দিস না। একটু শপিং করতে চেয়েছি তাও দিচ্ছো না।কিন্তু আমার পাপা প্রত্যেকটা ইভেন্টে আমাকে আলাদা আলাদা শপিং এর টাকা দেয়।তোমাকে বলে কি লাভ তুমি তো দিবে না! থাক লাগবেনা আমার শপিং! নিজের বিয়েতে আনন্দ করতে পারিনি ভেবেছি বেস্টুর বিয়েতে করবো কিন্তু তাও দিলে না। আমি শাশুড়ী আম্মুকে বিচার দিবো দেখে নিয়ো। বলবো তোমার ছেলে আমাকে শপিং করিয়ে দিচ্ছেনা।আমি বলবো, তুমি ভালো, বাবা ভালো, শুধু তোমাদের ছেলে ভালোনা।(গাল ফুলিয়ে)
ঈশার কথা শুনে বেশ হাসি পাচ্ছে ঈশানের। ঈশা চলে যেতে নিলেই ঈশান পেছন থেকে তাকে টেনে ঈশানের কোলে বসিয়ে দেয়।ঈশা রেগে উঠে যেতে নিলেই পেটের দিকটা প্যাচিয়ে ধরে।
“রাগ করেছে আমার সুইটি বউ!
” ছাড়ুন আমাকে! ছাড়ুন বলছি(নিজেকে ছাড়ানোর বৃথা চেষ্টা করে)
“তুমি রাগলে ইচ্ছে করে তোমার গাল দুটো টেনে দি।কি মিষ্টি তোমার গাল দুটো!
” আপনাকে ছাড়তে বলেছি! ছাড়ুন(রেগে)

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

“আমার বউ পাখিটা কি বলেছে তাকে নাকি আমার ভালো লাগেনা।তাই তার চাওয়া পাওয়ার মূল্য দিচ্ছিনা।সে কি যানে, আমার ভালোলাগায় ভালোবাসায় সবটা সে নিজেই।তার চাওয়া পাওয়া গুলো সে না চাইতেই আমি পূরন করি।এই ঈশানের জীবনে সব কিছু পূরনো হলেও তার ভালোবাসা পুরনো হয় না।সে নিত্যনতুন ভাবে কাছের মানুষ গুলোকে ভালোবাসতে যানে।তোমার বাবা তোমাকে শপিংএর জন্য টাকা দেয় তোমার বাবা কি তোমাকে নিজে পছন্দ করে কিনে দেয়?
ঈশানের কথা শুনে ঈশা ঘাড় ঘুরিয়ে একবার তার দিকে তাকায় ঈশান মুচকি হেসে বলে,
” বিয়ের পর মেয়েরা সাজে তার হাজবেন্ডের জন্য, কি আমি ঠিক বলেছি ঈশু?
“হুম।
” সেই হিসেবে তুমি যখন আমার জন্য সাজবে তখন আমি যেমন চাই ঠিক তেমন করেই তুমি সাজবে।তাই শপিংএর জন্য তুমি এতো প্যান প্যান করছো কেন।যেখানে এই ঈশান শাহরিয়ার তোমার হাজবেন্ড সেখানে এইসব বিষয় নিয়ে তুমি কেন যে আমার সাথে ঝগড়া করো আমি বুঝিনা।
ঈশান তার লেপটপ টা ঈশার দিকে ঘুরিয়ে দেয়।

“দেখতো পছন্দ হয় কি না!এইটা মেহেদি অনুষ্ঠানের!
ঈশা খেয়াল করে সবুজের সাথে গোল্ডেন কাজ করা একটি লেহেঙ্গা।পুরো লেহেঙ্গা জুড়ে গোল্ডের কাজ। সেই ছবিটার পাশেই ঈশানের পাঞ্জাবির একটি ছবি। ঈশার সাথে মিল করেই পাঞ্জাবিটা বানানো।
” এটা আমার! (অবাক হয়ে)
“হুম কেন পছন্দ হয় নি?
” বেশ দারুন আমার খুব পছন্দ হয়েছে।আমরা যখন দুজনে একসাথে এটা পড়বো আমাদের কেমন দেখাবে উফফফ ভাবতেই ঘা শিউরে উঠছে!
ঈশার খুশি দেখে ঈশানের মুখের তৃপ্তির হাসি।
“এই যে দেখো তোমার অরনামেন্ট!
একে একে ঈশান ঈশাকে গায়ে হলুদ আর বিয়ের ড্রেসটাও দেখায়।পুরো ইভেন্ট জুড়ে ঈশান আর ঈশার সেইম কালার।
” এবার খুশি তো!আর কিছু বাকি আছে কেনার (হতাশ ভঙ্গিতে)
“খুশি মানে আমার তো নাচতে মন চাইছে! তুমি এইসব কখন অর্ডার করলে গো।
খুশিতে গদ গদ হয়ে।
কাল যখন তুমি নিশি, নুহা(নিশির বোন) ছাদে আড্ডা দিচ্ছিলে তখন আমরা দুজনে ছাদের এক কোনায় লেপটপ নিয়ে নিজের পছন্দ মতো সব নিউ কালেকশন সিলেক্ট করি।রাসের তার বউয়ের জন্য পছন্দ মতো অর্ডার করে। আমি আমার পিচ্চি বউটার জন্য অর্ডার করি এবারো কি বলবে যে তোমার বর ভালো না।আমার জন্য যখন সাজবে আমি নাহয় আমার পছন্দ মতোই কিনেছি।তখন কি বলেছিলে, তোমার চাওয়া পাওয়ার মূল্য আমি দি না।।তুমি না চাইতেই আমি তোমার সব কিছু হাজির করি এটা তুমি কেন বুঝো না ঈশু…!

আর কি বলেছিলে, তোমার বিয়েতে তুমি মজা করতে পারলে না!।তুমি পুরো কমন স্বভাব নিয়ে চলো ঈশু।দেখো হাজার বিয়ের মাঝে তোমার বিয়ে টাই আনকমন হয়েছে। একবার ভেবে দেখো সকালে নিজের হবু বরের হাতে চড় খেলে, তারপর এক চড়ে পুরো ফিদা…..তুমি সেন্সলেস হয়ে গেলে।কয়জনে হবু বরের কাছে বিয়ের দিন চড় খায় তুমি নিজেই বলো!। অজ্ঞান অবস্থায় আমার হাতে মেহেদী পড়লে।কয়জনে পারে বিয়ের দিন বরের হাতে মেহেদী পড়তে।তারপরেরটা না হয় নাই বা বললাম।আমি তো বেশ ইঞ্জয় করেছি তুমি করনি তোমার ব্যর্থতা।
ঈশা রাগ নিয়ে ঈশানের দিকে তাকিয়ে আছে।ঈশান বুঝতে পেরেছে ঈশা এবার সিরিয়াস ভাবেই ক্ষেপেছে।সে ঈশার চুলে নাক বুলাতে বুলাতে বলে,
” আমার মিষ্টি বউ পিচ্ছি বউ। আর কি লাগবে বলো আমরা বিয়েতে ইঞ্জয় করবো তুমি চাইলে না হয় আমার নতুন ভাবেই বিয়ে করবো।
“ছাড়ুন আমাকে(রেগে)

” কি হয়েছে রেগে গেলে কেনো ড্রেস পছন্দ হয় নি?(না বুঝার ভাব করে)
” আমি ছাড়তে বলেছি(চিৎকার দিয়ে)
“না ছাড়বো না।
ঈশা রেগে পেছনে ঘুরে দুই হাত দিয়ে ঈশানের চুল টেনে ধরে।
” এবার ছাড় বলছি!(রেগে)
অতিরিক্ত ব্যথায় ঈশান কুকিয়ে উঠে।ঈশানের হাতের বাধন আলগা হয়ে গেলে ঈশা দৌড়ে পালিয়ে যায় এদিকে ঈশান চুলে হাত দিয়ে বলে,
“ও মাই গড, ডেঞ্জারাস মেয়ে অল্পের জন্য বেচে গেছি! শাক চুন্নি আমার ঘাড় মটকে দিয়েছে।(চোখ বড় বড় করে)
” এইসব কি হচ্ছে ভাইয়া। তোমার প্লানিং মোতাবেক কাজ করেও ঈশা আর ঈশান কিভাবে এক হয়! (রেগে লিমন)
“কি বলছিস!
” যা শুনছো তাই ঈশা ঈশানকে মেনে নিয়েছে।এদিকে দুজনে মিলে রাসেল আর নিশির বিয়ে ঠিক করেছে। আমাকে কিছুক্ষন আগে নিশি বিয়ের কার্ড দিয়ে গেছে ভার্সিটির সামনে।
“ওদের বিয়ে তাতে তোর কি! (আড় চোখে তাকিয়ে ইমন)

” দেখো ভাইয়া আমি এতো কিছু যানতে চাইনা তুমি যে কোরেই হোক আমাদের উদ্দেশ্য সফল করো।তোমার হাতের গুটিকি তোমার মতো করে কাজ করছে না কেন। সে কি করছে এতোদিন? এতো সময় লাগছে কেন তার?
“আহ শান্ত হ।আমি যা করার ১ মাসের মধ্যেই করবো।আমার হাতেও বেশি সময় নেই।ওদের বিয়েটা সুস্থ ভাবে সম্পূর্ণ হতে দে তারপর না হয় আসল দাবার চাল টা দেবো।
” মনে থাকে যেনো.. যাস্ট এক সাপ্তাহ।
“হুম!
লিমন কাকে যেন ফোন করতে করতে বেরিয়ে যায় ইমনের অফিস থেকে।
অবশেষে এসেই গেলো সেই অপেক্ষার দিন। আজ নিশির মেহেদি সন্ধ্যা। পুরো অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ঈশানের উপর। ঈশান তার দলের লোক দের দিয়ে সমস্ত কাজের দায়িত্ব পালন করছে।বিয়ের সম্পূর্ন অনুষ্ঠান হবে রিসোর্টে। বিকেল থেকে সাজ সজ্জা শুরু মেয়েদের।এদিকে ঈশান ঈশার পেছন পেছন ঘুরছে কিন্তু কিছুতেই ঈশা আজ তাকে পাত্তা দিচ্ছেনা অনেক বার ঈশারা ইংগিতে আলাদা করে ডেকেছে তাও সে না দেখার ভাব করে আছে। শেষে উপায় না পেয়ে ঈশান সবার সামনে থেকে ঈশাকে হাত টেনে আড়ালে নিয়ে যায়।
” সমস্যা কি তোমার। আমাকে পাত্তাই দিচ্ছো না। ডাকছিলাম তোমায় আমি(ধমক দিয়ে)
“আ..আমি কি যানি না কেন ডেকেছো তুমি আমাকে এখন একশটা আদেশ ছুড়ে দেবে!(ভয়ে ঢোক গিলে)
” উফফ আল্লাহ এই মেয়েকে একটু জ্ঞান বুদ্ধি দাও!শুনো আমি পার্লারের মেয়েদের বলে দিয়েছি একদম গর্জিয়াস মেকাপ করবেনা।আর খবরদার ওইসব আটার আস্তরণ লাগাবেনা।
“কিহহহহ আমি সাজবো তাতেও আপনার বাধাঁ(রেগে)

” দেখো আমি বাধা দিনি উলটা পালটা মেকাপ করবে না তা সর্তক করলাম।আজ মেহেদী অনুষ্ঠান আর পার্লারের মেয়েদের হাতে কিন্তু মেহেদী দিবেনা। দিলেও এক হাত আমার জন্য বরাদ্ধ থাকবে। ওই হাতে আমি ডিজাইন করবো।
ঈশার হাত টেনে চুমু শব্দ করে চুমু দেয় ঈশান।
“এই করো না সেই করো না একটু পর বলবে বাসায় চলো আর অনুষ্ঠান দেখতে হবেনা,না হলে বলবেন খবরদার ঈশু আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবেনা যেখানে যাবে আমার সাথে।!(গাল ফুলিয়ে)
” তা তো বলবোই বিয়ে বাড়ির কিছু শকুন তোমার উপর নজর দিয়েছে তাদের চোখ উপড়ে ফেলা না পর্যন্ত তোমাকে একা ছাড়া যাবেনা (বিড়বিড় করে)
“কি বিড়বিড় করছেন?
” কিছু না। সোজা এখন রুমে যাবে গিয়ে তৈরি হবে।পার্লারের মেয়েরা তেমনটাই সাজাবে যেমনটা আমি বলেছি খবরদার যদি তোমার নামে কিছু শুনি তাহলে খবর আছে।যাও(ধমক দিয়ে)
ঈশা চলে যেতে নিলেই ঈশান আবার পেছন থেকে ডাকে।
“ঈশু(শান্ত কন্ঠে)
” আবার কি(ঈশা)
ঈশান ঈশার সামনে এগিয়ে এসে ঈশার কপালে আলতো করে চুমু দেয়।
“এবার যাও!
ঈশা এক পলক ঈশানকে দেখে দ্রুত চলে যায়।
ঈশা রুমে ডুকতেই নুহা তার দিকে গলা ঝেরে বলে,
” ওমা আমাদের জিজুটা কি রোমান্টিক গো আপু!
“তুই আড়ি পেতে আমাদের কথা শুনেছিস(ভ্রু কুচলে)

” ইয়ে না মানে হ্যা আসলে কি জন্য ভাইয়া এতো জরুরি তলব করেছে তোমার তা একটু জানতে মন আকুল হয়ে ছিল।এখন তো দেখি তোমার বরটা অতিমাত্রার রোমান্টিক তোমাকে মেহেদী লাগিয়ে দিবে,মেকাপের টিপস দিচ্ছে বাহ!বাহ!
“এই পিচ্ছি দেখি এতো তাড়াতাড়ি পেকে গেছে!
” খবরদার আমায় পিচ্ছি বলবেনা আমি এবার hsc দেবো আমাকে কি তোমার পিচ্ছি লাগে!
“অবশ্যই লাগে! কি কাউকে দেখবো নাকি(ভ্রু কুচকে)
” ধূর একদম ভাল্লাগেনা এদের জ্বালাতে গিয়েও আমি শান্তি পাইনা এরা উলটা আমাকে জ্বালাতন করে।
নুহা বিরক্ত হয়ে মুখ ভেংচে চলে যায়।
ঈশা রুমে গিয়ে দেখে তাহা ও চলে এসেছে।এবার তিন বন্ধবীর হই হোল্লোরে সবাই অবাক হয়ে তাদের শুধু দেখছে।
মেহেদী অনুষ্ঠানে স্টেজে বসে আছে আছে নিশি তাকে পার্লারের মেয়েরা হাতে মেহেদী পরিয়ে দিচ্ছে। তার পাশে ঈশা বেশ মনোযক সহকারে মেহেদী দেওয়া দেখছে ঈশা।
স্টেজ থেকে কিছু দূরে রাসেল আর ঈশান দাঁড়িয়ে আছে।

রাসেল মুগ্ধ হয়ে নিশিকে দেখছে আর ঈশান ঈশাকে।আজ বিকেল থেকে রাসেল খেয়াল করেছে রুপ তার আসে পাশে ঘুরছে তাকে যেনো কিছু বলতে চায়।কিন্তু প্রতিবারি রাসেল রুপকে ইগনোর করে গেছে।স্টেজের সামনে রুপ দাঁড়িয়ে আছে একা।নিশির দিকে সে কেমন হিংসাত্মক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। বিষয়টা রাসেল এবং ঈশান দুজনেই বেশ ভালো করে বুঝতে পারে….!
ঈশান রাসেলের পিঠ চাপড়ে বলে,
“চল এবার আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করি!
“চল!
দুজনে স্টেজের সামনে এসে রাসেল নিশির পাশে বসে আর ঈশান ঈশার পাশে। দুজনে হাতে দুটো মেহেদী তুলে নেয় ।রাসেল নিশিকে হাত দিতে ঈশারা করলে নিশি একপলক তাকিয়ে হাত বাড়িয়ে দেয়।
ঈশান মেহেদী লাগানো শুরু করে দিয়েছে কিন্তু ঈশার বক বক তার পুরো ডিজাইনটা উলটা পালটা করে দিচ্ছে।এদিকে ডিজাইন করলে চিল্লিয়ে বলে ওই দিকে।ওই দিকে ডিজাইন করলে আরেক ধমক দিয়ে বলে সেই দিকে।ঈশার এইসব পাগলামোতে বিরক্ত হয়ে গেছে ঈশান।

” আগে যদি যানতাম তুমি আমাকে এতোটা জ্বালাবে তবে আই সোয়্যার ঈশু তোমাকে ঘুমের মেডিসিন দিয়ে তারপর মেহেদী দিতাম।এতোটা হ জ ব র ল কেউ করে আমাকে আমার মতো করতে দাওনা আগে কতো সুন্দর করে দিয়েছিলাম তুমি কি ভুলে গেছো?(ধমক দিয়ে)
ঈশানের কথা শুনে পাশ থেকে সবাই ঠোঁট টিপে হাসতে শুরু করে।রাসেল পাশ থেকে বলে,
“ভাবি একদম চুপচাপ রোবট হয়ে যান আপনার বেস্টুর মতো।সে অবশ্য আমি হাত ধরার পর থেকে অনবরত কেপেঁ যাচ্ছে। আমি কি কারেন্ট নাকি!(ভ্রু কুচকে রাসেল)
ঈশা পাশ থেকে বলে,
” নিশির অবস্থা হলো এখন তেমন ওই যে গান আছে -তুমি ছুয়ে দিলে হায়,, আমার কি যে হয়ে যায়?।
ঈশার কথা শুনে সবা হো হো করে হেসে উঠে।ঈশান টেনে ঈশাকে আরো নিজের পাশে বসায়।
“পাকনা বুড়ি মেহেদীটা লাগাতে দাও আমায় (ঈশান)
ঈশান নিজের মনের মতো করে ঈশার মেহিদীতে হাত রাঙিয়ে দেয়।
সবাই সবার মতো আনন্দে মশগুল।কিন্তু রুপের এই আনন্দ একদম সহ্য হয় নি সে সবার মাঝ থেকে আড়াল হয়ে যায়।

You are mine part 15

পরের দিন… গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে সবার সজসজ্জা রেডি। ঈশাকে আজকেও বেশি মেকাপ করতে দেয় নি ঈশান।অতিরিক্ত মেকাপে তাকে নাকি ভূত ভূত লাগে।তবে একদম যেটুকু করেছে তাকে অপ্সরীর থেকেও কম লাগছেনা।আর্টিফিশিয়াল ফুলে ঈশাকে এবং নিশিকে সাজানো হয়েছে।গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান প্রায় শুরু।ঈশা নিজের মেকাপ ঠিক করতে আলাদা একটি রুমে ডুকলে তার পেছনে ডুকে পড়ে ঈশান তাকে দেখেই ঈশার ভ্রু কুচকে যায়।
” এখানে কি তোমার?
“অনেক কিছু (ঈশার দিকে এগোতে এগোতে)
” ম…মানে (পেছাতে পেছাতে)
ঈশান ঈশাকে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে নেয়।তারপর পকেট থেকে ছোট্ট একটি কৌটা বের করে যার মধ্যে হলুদ বাটায় পরিপূর্ণ।
“আজব!এখানে হলুদ আনলেন কেন?
” আমার আগে আমার বউকে কেউ হলুদ দিতে পারবেনা।তার হলুদের ছোয়াঁ আগে আমি দেবো!
ঈশান ঈশার গালে আলতো করে হলুদ ছুইতে দেয়।ঈশা মিষ্টি করে লাজুক ভঙ্গিতে হেসে বলে,
“আপনি দিবেন না?

ঈশান এবার ঈশার গালের সাথে নিজের গাল ঘোষতে শুরু করে…
” আউচ আপনার খোচা খোচা দাড়ি আমার মেকাপ নষ্ট করে দিচ্ছে!
“দেখো তোমার ছোয়ার হলুদ এখন আমার শরীরে।
ঈশা ঈশানের গলা জড়িয়ে ধরে নাক টেনে দেয়।
” ওল্লে আমার দুষ্ট বর!
“ওল্লে আমার মিষ্টি বউ(ঈশার নাক টেনে)
দরজার বাইরে থেকে ঈশাকে নুহা ডাকতে থাকে।ঈশান একপলক ঈশার দিকে তাকিয়ে কপালে চুমু দিয়ে বলে,
” হলুদ পরি যাও তোমাকে ডাকছে….!
ঈশা মাথা নেড়ে সম্মোতি দিয়ে চলে যায়।
হাসি আনন্দে বেশ ভালোই কাটছে তাদের হলুদ সন্ধ্যা।নিশিকে সবাই হলুদ দেওয়ার পর কাপল ডান্সের জন্য তৈরি হচ্ছে সবাই, যে যার পাটনার বাছাই করছে এমন সময় ঈশা ঈশানকে খুজতে কাপল ডান্সের স্থানটি থেকে সরে এসে আশে পাশে খুজতে থাকে।
ঠিক তখনি ঈশার সামনে এমন একজন দাড়াঁয় যাকে দেখে ঈশার অনুভূতিরা আবারো নাড়া দিয়ে উঠে……!

You are mine part 17