You are mine part 6 || heart love story

You are mine part 6
Poly Anan

বাড়ির সদর দরজার সামনে প্রায় পাচঁমিনিট থেকে দাঁড়িয়ে আছে ঈশান আর ঈশা।ঈশানের বাবা মা কিছুতেই তাদের বরণ করে ঘরে তুলবেনা বলে প্রতিজ্ঞা নেয়।কিন্তু ঈশানো তাদের ছাড়ার পাত্র নয়। সে নতুন বউ নিয়ে সদর দরজার সামনেই দাঁড়িয়ে আছে। তার মা বাবার আশীর্বাদ ছাড়া সে কিছুতেই ঘরে ডুকবেনা।
“ঈশান তুই এটা কি করে পারলি আমাদের না জানিয়ে বিয়েটা করে নিলি।(রেগে ঈশানের মা মাহমুদা।)
” দেখো তুমি দেখো তোমার ছেলের কান্ড কোথা থেকে একটা মেয়েকে তুলে এনে বিয়ে করে নিয়েছে তা আবার বড় গলায় বলছে।(মাহমুদাকে উদ্দেশ্য করে ঈশানের বাবা আবিদ)
“থামতো ছেলে হয়েছে তোমার মতো ঘাড়ের রগ একটা একটু বেশি ত্যাড়া।
‘এই তুমি আবার শুরু করলে আমায় নিয়ে তোমার ছেলেকে আমি বলেছিলাম, রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে গুন্ডাগিরি করতে নাকি বলেছিলাম মেয়ে তুলে বিয়ে করে নিতে।আমাদের বল্লে কি আমরা বিয়ে দিতাম না নাকি?

” আরে বাবা আমি যানি তুমি আমার কথা ফেলতে পারো না। কিন্তু তোমার ছেলের বউ একটু বেশি চালাক হয়ে গেছিলো তাই অতি চালাকের গলায় দড়ি দিয়ে নিয়ে এসেছি?(ঈশার দিকে তাকিয়ে বাকা হেসে ঈশান।
ঈশা বুঝতে পারে এরা ঈশাকে মেনে নেবে না তাই সে ঝোক বুঝে কোপ মারার জন্য তৈরি হয়।
“আংকেল আন্টি আপনারা আমাকে বাচাঁন আমি আপনার ছেলেকে বিয়ে করতে চাই নি আমাকে জোর করে বিয়ে করেছে। বিশ্বাস করুন আমার দোষ নেই(কাদো কাদো সুরে)
ঈশার কথা শুনে আহাম্মক বনে যায় ঈশান।
” এই কি বলছো তুমি তোমাকে আমি একমাসের সময় দিয়েছিলাম কিন্তু তুমি কি করলে এই ঈশান শাহরিয়ারের উপর গুটি চালতে গেলে এবার হলো তো!
“আন্টিইইইই আমাকে বাচাঁন আমি মানিনা এই বিয়ে? (কান্না করে)
মাহমুদা হেসে ঈশার সামনে দাঁড়িয়ে বলে,
” দূর পাগলি মেয়ে বিয়ে হয়ে গেছে তুমি মানো আর না মানো তাতে আমার ছেলে মানবেনা আমি ভালো করেই যানি।তাই ভালোর জন্যই বলছি তুমি সবটা মেনে নাও আমার ছেলেটা কিন্তু খারাপ না তোমায় সুখেই রাখবে।(হাসি মুখে)

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন

“ঈশান ঈশার মা-বাবা জানে তুই ওকে বিয়ে করেছিস?(ভ্রু কুচকে আবিদ)
” বাবা ঈশার মা নেই আর আমার শশুর মশাই দেশের বাইরে আছেন।
ঈশার মা নেই কথাটি শুনেই মাহমুদা ঈশাকে বুকে টেনে নেয়।
“ঈশা মামনি আজ থেকে আমি তোমার মা বুঝেছো মা বলে ডাকবে আর ঈশানের বাবা কে বাবা বলেই ডাকবে.
মাহমুদার কথা শুনে ঈশার মেজাজ আরো বিগড়ে যায়।
” কোথায় এসে পরেছি আমি এখানে তো সবাই ওই পাগলটার কথায় উঠে বসে।আল্লাহ আমায় বাচাও(মনে মনে)
পেছন থেকে ঈশানের বন্ধুরা আর রাসেল সহ শীষ বাজাতে থাকে।কেউবা জোরে সাউন্ডবক্সে গান চালিয়ে দিয়েছে।
“যা ঈশান ঈশাকে তোর ঘরে নিয়ে যা।
ঈশান ঈশাকে নিয়ে ভেতরে ডুকতে নিলেই বাধা দেয় রাসেল।
” এইভাবে তুই ভাবিকে নিয়ে ঘরে ডুকবি আমরাতো মেনে নিবো না।কোলে তুলে নে ভাবিকে তারপর ঘরে যাবি।

রাসেলের কথায় ঈশা যেন আকাশ থেকে পড়ে।তার দুইকান যেন ঝা ঝা করে উঠে।ঈশান সবার সামনে তাকে কোলে নেবে ছিহহ।লজ্জায় আমার কি হবে!আমি তো লজ্জায় খুন হয়ে যাবো।
ঈশান আর তার বুন্ধদের মজা হই হুল্লোড় দেখে আবিদ আর মাহমুদা সরে যায়।মূহুর্তেই ঈশান ঈশাকে পাজা কোলে তুলে নেয়।লজ্জায় ঈশার মুখ লাল হয়ে গেছে চোখ মুখ খিচে মনে মনে ঈশান কে একশো রকম গালি দিচ্ছে।
“ঈশু কোলে তো আমি তোমাকে এই প্রথম তুলিনি। আজকেও আমার কোলে উঠেছো তবে এখন কেন লজ্জা পাচ্ছো?(ঈশার কানে ফিসফিস করে)
“আল্লাহ তুমি আমাকে আর কত নাটক দেখাবে! এই ছেলেটা আমাকে তো লজ্জায় শেষ করে দেবে।(মনে মনে)
” উউউউ রাসেল আমি পরে গেলাম।আমার পিচ্চি বউটার ওজন হবে চল্লিশ কেজিও না অথচ এই লেহেঙ্গার ওজন মনে হয় পঞ্চাশ কেজি।উফফ কি ভারি।
ঈশান ঈশাকে নিয়ে সিড়ি দিয়ে উপরে উঠে যায়।আর পেছন থেকে তার বন্ধুরা ছুড়তে থাকে কিছু হাসি তামাশার কথা।
“অলদাবেস্ট বন্ধু,, বেড়ালটা মারিস কিন্তু?।
” এই নামান আমাকে নামান বলছি।অসভ্য লোক পারমিশন ছাড়াই হুটহাট চুমু খায়,আবার কোলেও তুলে নিচ্ছে এই বদমাইশ নামা বলছি!
ঈশান ধপ করে উপর থেকে ঈশাকে বিছানায় ফেলে দেয়।হঠাৎ করে উপর থেকে পরার সে কোমরে একটু চোট পায়।

“ওহ! মা! এইভাবে কেউ কোল থেকে নামায় অসভ্য।
” তুমি বলেছিলে তোমায় নামাতে তাই নামালাম এখন আমার দোষ!
“এই চুপ কর, গত সাত মাস থেকে তোকে সহ্য করে যাচ্ছি কিন্তু আর না!
ঈশান বুঝতে পারে ঈশা ভিষন রেগে গেছে তাই সে চুপচাপ সব কথা হজম করে যায়।
ঈশান খাটে বসতে নিলেই ঈশা একটা চিৎকার দিয়ে উঠে,
” এইইইইইইই বসবেন না খবরদার!
“কেন আমার বিছানা আমার বউ আমি কেন বসবো না(ভ্রু কুচকে)
” আপনার সাথে এই রুমে একই বিছানায় আমি থাকবো না এটাই আমার ফাইনাল ডিসিশন।
“তাই না কি (গাল চুলকাতে চুলকাতে)
” হ্যা।
“আচ্ছা থাকতে হবে না, তুমি বরং এখন খাটের মাঝখানে গিয়ে বসে পরো আর হ্যা ঘোমটা টা একটু টেনে দিবে।
” পারবোনা। বলেছিনা আপনার কোন কথা আমি শুনবো না?(ধমক দিয়ে)
“পারবে!
” বললামতো না
ঈশান আগে থেকেই বুঝতে পারে ঈশা আজ উলটা পালটা পাগলের প্রলেপ গাইবে।তাই সে আগে থেকেই ব্যবস্থা করে রেখেছে।
“তুমি তাহলে আমার কথা শুনবেনা তাই না?
” বললাম তো না!
“ঠিক আছে।
ঈশান পকেট থেকে ফোন বের করে রাসেল কে ফোন লাগায়।
“রাসেল তোকে যে আমি কিছু মাকড়োসা আর তেলাপোকা জার ভরে রাখতে বলেছি রেখেছিস!
” হ্যা কিন্তু এইসব দিয়ে কি হবে?

“একটা পাগলের মাথার ভূত ঝারাতে হবে তুই আমাদের রুমে নিয়ে আয় জার দুটো।
ঈশান ফোনটা রেখে শিষ বাজাতে বাজাতে আয়নায় নিজেকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে থাকে।
এদিকে ঈশার মাথায় ডুকেছে আরেক চিন্তা ঈশান তেলাপোকা আনতে বল্লো কেন। তবে কি তেলাপোকা দেখিয়ে তাকে ব্লাকমেইল করে ফুলসয্যা করবে।নাহ নাহ এটা হতে পারেনা।একি আশে পাশে কোন ফুল দানি নেই কেনো।থাকলে তো নিজেকে বাচানো যেতো আগে যেমন বাচিয়ে ছিলাম
ঈশা আশেপাশে ফুলদানি খুজতে থাকে।ঈশান ঈশার কান্ড বুঝতে পেরে ঝারা গলায় বলে,
” এর আগেও ফুলদানি দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছো। তাই আমার রুমে আমি সিধান্ত নিয়েছি কোন ফুলদানী থাকবেনা।বুঝেছো মেরি জান।
তাদের কথার মাঝে রাসেল এসে দরজায় টোকা দিতে থাকে।ঈশান রাসেলের হাত থেকে জার দুটো নিয়ে ঈশার সামনে দাঁড়ায়।
জারে তেলাপোকা আর মাকড়োসা দেখে ভয়ে জমে যায় ঈশা।
“লিসেন ঈশা আমার সোজা হিসাব আজ যদি তুমি আমার কথা না শুনো তবে আমি এই তেলাপোকা আর মাকড়সা রুমে ছেড়ে দেবো তারপর বাইরে থেকে দরজা লক করে বেরিয়ে যাবো।

” এএএএএএ কি বলছেন!
“হ্যা।৷ ঠিক বলছি! কি শুনবে নাকি?
” আপনি কি শুরু করেছেন হ্যা কথায় কথায় আমাকে ব্লাকমেইল করেন। আমি কিন্তু এইসব মানবো না বলেদিচ্ছি।
“ঠিক আছে,
ঈশান তেলাপোকার জারের ঢাকনা খুললে একটি তেলাপোকা বেরিয়ে আসে।আর তা দেখে ঈশা ঘর কাপিয়ে একটা চিৎকার দেয়।ঈশার কান্ডে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় ঈশান। তারাতারি জারের ঢাকনাটা বন্ধ করে।
” এই মেয়ে চুপ।চুপ বলছি। নিচে সবাই কি ভাববে হ্যা।আল্লাহ এই মেয়েরে নিয়ে আমি কই যাবো?
“আপনি যানেন আমি এইসব ভিষন ভয় পাই। তাই ইচ্ছে করে এই কাজটা করেছেন যেন আমাকে অপদস্ত করা যায়।
” ইয়েস ম্যাম আপনি ঠিক ধরেছেন।যান এবার আমার কথা মতো কাজ করুন চুপচাপ বিছানার মাঝখানে গিয়ে বসুন। তারপর আমি দরজা দিয়ে রুমে প্রবেশ করবো তুমি এসে সালাম করবে।
“উহ শখ কত!যতসব আজাইরা ফাউল?(মুখভেংচে মনে মনে)
” কি মুখে ভেংচি কেন?আমি যানি তুমি আমাকে মনে মনে একশ রকমের গালাগাল দিচ্ছো এইসব না করে যাও আমার কথা মতো কাজ কর।
ঈশা ভারি লেহেঙ্গাটা নিয়ে আবারো বিছানায় বসে পরে।ঈশান ঘরে ডুকলে তাকে পা ছুয়ে সালাম করতে নিলেই বাধা দেয়।

“পায়ে হাত দিতে হবে। আচ্ছা যাও বসো কিছু কথা আছে।
ঈশা বাধ্য মেয়ের মতো আবারো বসে যায়।ঈশান তার পাশেই বসে।
” শুন ঈশু আমি তোমাকে একটা কথা বলছি মন দিয়ে শুনো।তুমি যে আমার মাথা ফাটিয়েছো সেই কথা কিন্তু কেউ যানেনা।সবাই যানে আমি বাইক এক্সিডেন্ট করেছি!মা যানলে কিন্তু রক্ষে থাকবেনা
বলেদিলাম।
আর শুন আমার উপর রাগ দেখিয়ে কখনো আমার বাবা মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করবেনা।এতে পরিনাম কিন্তু খুব বেশি ভালো হবেনা।যদি আমার কথা মত চলো তবে মাথাত তুলে রাখবো। আর যদি এমন উলটা পালটা চাল চলন দেখি তবে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবেনা।আশা করি তুমি ভালো করেই যানো। আমি ভালোর ভালো খারাপের খারাপ।
যাও ফ্রেশ হয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে আসো। নামায পড়বো দুজনে একসাথে।
ঈশা আর ঈশান নামায শেষ করে দাঁড়িয়ে আছে।ঈশান তার পকেট থেকে একটি লকেট যুক্ত চেইন বের করে ঈশার গলায় পড়িয়ে দেয়।লকেট টাতে সাদা ডায়মন্ডের লেখা ishan লেখাটি জ্বল জ্বল করে ভাসছে।বাম হাতে পড়িয়ে দেয় আরেকটি ফিঙ্গার রিং।সেখানে I+I লেখাটি দিয়ে সুন্দর করে ডিজাইন করা।

“লিসেন ঈশু। কোন দিন যেনো আমি না দেখি তোমার হাত থেকে এই রিং আর গলা থেকে চেইন না সরে। এটা আমার ভালোবাসায় মোড়ানো তোমাকে দেওয়া আমার পক্ষথেকে প্রথম উপহার।তাই যত্নে রাখবে।যাও বিছানার একপাশে গিয়ে শুয়ে পরো।
” আপনি কোথায় শুবেন(ভ্রু কুচকে)
“কেন বিছানায়।
” নো ওয়ে আমি আপনার সাথে এক বিছানায় কিছুতে ঘুমাবো না। মরে গেলেও না(রাগ দেখিয়ে)
“তেলাপোকা কি বের করবো!
ঈশান কথাটি বলতে দেরি হলো কিন্তু ঈশার দৌড়ে বিছানায় বসতে দেরি হলো না।
ঈশান মুচকি হেসে বিছানার একপাশে গুটিয়ে শুয়ে পরে।আর অন্যপাশে ঈশা।
দুজনে দুদিক তাকিয়ে শুয়ে আছে তাদের দুজনের মনেই চলছে পরবর্তীতে কি হবে?ঈশার পরিবার কি তাকে মেনে নিবে।ঈশান ভাবছে ঈশাকি কোন দিন তাকে ভালোবাসবেনা।?
সকালে ঘুম থেকেই উঠে ঈশার ঘুমন্ত মুখটা দেখে যেনো দুনিয়া ভুলে যায় ঈশান।কি মায়া এই মুখে! কত দিনের সপ্ন তাকে কাছ থেকে দেখা। ঈশান মুচকি হেসে ঈশাকে ডাকতে শুরু করে,
” ঈশু ও ঈশু উঠোনা প্লিজ ঈশু ও ঈশু!
“ফুফি তুমি যাও আমি পরে উঠবো!
” কি!আমি ফুফি! এই মেয়ে বিয়ে যে হয়েছো সেই কথা কি ভুলে গেছো উঠো বলছি অনেক বেলা হয়ে গেছে।

ঈশা কাথাঁটা আরেকটু টেনে ঘুমিয়ে পরে। ঈশান বুঝে যায় সহযে ঈশার ঘুম ভাঙ্গবেনা তাই সে ঈশাকে কোলে তুলে নিয়ে পানি পূর্ণ বাথ টবে ফেলে দেয়।মূহুর্তেই ঘুম ভেঙ্গে যায় ঈশার।
“একি আপনি এটা কি করলেন আমাকে এই ভাবে ফেললেন কেনো?(রেগে)
” শুভ সকাল আমার কিউটি বউ। আমি শাড়ি রেখে যাচ্ছি তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আসবে সময় মাত্র বিশ মিনিট যদি দেরি করেছো তো! থাক আর বল্লাম না!
ঈশান ঈশাকে সময় দিয়েছে বিশ মিনিট কিন্তু এদিকে প্রায় পঞ্চাশ মিনিট হতে চললো ঈশার কোন খব নেই। ঈশান তিন চার বার ডেকেছে কিন্তু ভেতর থেকে কোন শব্দ আসেনি।
“এই মেয়ে ঘুমিয়ে যায় নি তো আবার।
“ঈশু এই ঈশু দরজা খোল আর কতক্ষন।
এভাবে কেটে যায় আরো দশ মিনিট কিন্তু ঈশার দরজার খোলার কোন নাম নেই।
ঈশানের মাঝে এবার চিন্তারা ভর করতে থাকে।
” ঈশা আই সোয়্যার আমি কিন্তু এখন দরজা ভাঙবো!
“…..(শব্দ নেই)
” ঈশা আমার রাগ উঠছে কিন্তু তুমি দরজা খুলছোনা কেন?
“……শব্দ নেই

You are mine part 5

ঈশা এবার দরজায় জোরে আঘাত করে।ভেতর থেকে ঈশা তাড়াতাড়ি দরজা খুলে দেয়।
ঈশাকে দেখে স্তব্দ হয়ে যায় ঈশান।ঈশার চোখ মুখ লাল হয়ে ফুলে আছে। শাড়িটাকে কোন রকম প্যাচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সে।ঈশান তাকে টেনে রুমে এনে দাড় করা।
” ঈশু তোমার এই অবস্থা কেন?
ঈশা নিশব্দে কেদে যাচ্চছে।
“ঈশু আগেই বলেছি তোমার চোখের জল আমার পছন্দ না। কান্না থামাও বলছি (গম্ভীর হয়ে)
………..(কেদেই যাচ্ছে)
” ঈশা স্টপ ইট। কান্না থামাও।কান্না করছো কেন আমায় বলো?না বল্লে কি আমি এখন উল্টা পালটা কিছু করে বসবো।
“আয়ায়ামি শাড়ি প..পড়তে পারিনা(হেচকি তুলে)
ঈশানের বেশ হাসি পাচ্ছে ঈশার কথা শুনে। শাড়ি না পড়তে পারলে কেউ কাদে আজব!
” বোকা মেয়ে এটা নিয়ে কাদছো?
“ন.ন.না। আমার কান্না পাচ্ছে কারন আমার মায়ের কথা মনে পরে গেছে।মেয়েরা ছোট থেকে তাদের মায়ের হাত থেকেই শাড়ি পরা শিখে কিন্তু আমি… আমি কখনো শাড়ি পরিনি। কারন আমার মা নেই।ছোট বেলায় কিংবা বড় হয়েছি কখনো কারো হাতে শাড়ি পরিনি পড়ার ইচ্ছেও হয় নি।কিন্তু আজ এই মূহুর্তে মাকে খুব মিস করছি(হেচঁকি তুলে).

ঈশার কথা শুনে ঈশানের খুব খারাপ লাগে। সত্যি তো মেয়েটার মা নেই মায়ের ভালোবাসা কখনো সে পায় নি।
” বোকা মেয়ে কাদে না। দেখো আমি তোমায় শাড়ি পরিয়ে দিচ্ছি।
ঈশানের কথায় ঈশার চোখ যেনো ছানাবড়া হয়ে যায়।
“কিহ?আপনি(অবাক হয়ে)
” অবশ্যই আমি আমি যানতাম আমার পিচ্ছি বউটা কোন কাজ পারে না। তাই আগে থেকেই শিখে নিয়েছি।তুমি যখন আমার মাথা ফাটিয়েছো তখন ঘরে বসে আর কি করবো ইউটিউব থেকে কিভাবে শাড়ি, হিজাব পরতে হয় তা শিখে নিয়েছি।
ঈশান ঈশাকে ভাজে ভাজে বেশ সুন্দর করে শাড়ি পরিয়ে দেয়।এদিকে লজ্জায় ঈশা যেন খুন হয়ে যাবে। তবুও নিজেকে স্থির রাখতে চেষ্টা করে।ঈশার কাপাকাপি অবস্থা দেখে ঈশানের বেশ হাসি পাচ্ছে সে বুঝতে পারে ঈশা লজ্জা পাচ্ছে তাই কথা ঘুরিয়ে বলে,
“যানো ঈশা তোমাকে আমি শাড়ি পরতে কেন বলেছি?
” ঈশা ভ্রু কুচকে ঈশানের দিকে প্রশ্ন মাখা চোখে তাকিয়ে থাকে.
“কারন এখন সবাই যেনে গেছে ঈশান শাহরিয়ার বিয়ে করে তার বউকে ঘরে তুলেছে।নতুন বউকে দেখতে অনেকেই এখন আসবে তুমি যদি এখন শাড়ি না পরো বিষয়টা বাজে দেখায়।আর শুনো কিছু মেয়ে তোমার দিকে হিংসার দৃষ্টিতে তাকাবে এর কারন কি যানো?কারন এরা তোমার বরের পেছনে লাইন দিয়ে ছিল এতোদিন কিন্তু আমি তোমাকে বিয়ে করে নিয়েছি তাই তোমার প্রতি তাদের একটু হিংসা থাকবেই।

” ইসসসসরে কি সুন্দর রাজকুমার মেয়েরা লাইন দিয়ে থাকে দেখতে তো লাগে প্যাচার মতো?(মুখ ভেংচে মনে মনে)
কথার মাঝেই ঈশার শাড়ি পরা শেষ।
এমন সময় রুম কাপিয়ে বেজে উঠে ঈশার ফোন।ঈশান ফোন হাতে নিয়ে ঈশার উদ্দেশ্য বলে,
“হাসিন ফোন করেছে(বাকা হেসে)
হাসিন নামটা শুনেই ঈশা ভয়ে একটা ঢোক গিলে।

You are mine part 7