সন্ধি হৃদয়ে হৃদয়ে পর্ব ৩৮

সন্ধি হৃদয়ে হৃদয়ে পর্ব ৩৮
লেখিকাঃ আসরিফা সুলতানা জেবা

রাত্রির মধ্যভাগে শহরতলী তে নিঝুম নেমে এসেছে। হাওয়াও বয়ে চলেছে শব্দহীন। দিনের সবটা সময় ক্লান্তিতে কাটিয়ে সহস্র পরিশ্রমী মানুষ প্রিয়র তালিকায় যোগ করেছে এই নিসাড়া নিশীথিনী কে। চোখের পাতায় আঁধার নেমে এলে কায়ার অবসাদের পরিসমাপ্তি হয়ত ঘটে। শ্রেয়া তূর্যর বুক থেকে সরে আসার জন্য নড়চড় শুরু করলো। বক্ষস্থল হতে কোমল দেহ আলগা হচ্ছে ধীরে ধীরে তা মস্তিষ্ক ধারণ করতেই তূর্য পিঠের উপর চাপ ঈষৎ কঠিন করে। শ্রেয়ার কেশগুচ্ছের মধ্যবর্তী স্থানে ওষ্ঠাধর ডুবিয়ে রাখে কিয়ৎপরিমাণ সময়। হয়ত সেকেন্ড পেরিয়ে মিনিটের কোঠায় আঁটকে যায় সময়টা। দুই অধর কিঞ্চিৎ ফাঁক হয় তূর্যর। শ্রেয়ার মুখশ্রী তুলে চিবুকে আঙ্গুল রাখে। নেত্রে ভাসে রক্তাভ চেহারা,নিমীলিত আঁখিপল্লব। চিবুক হতে মন্থর গতিতে বৃদ্ধাঙ্গুল ছুঁই ছুঁই করে স্পর্শ করে ফেলে চিকন,সরু গোলাপি ঠোঁট।

শ্রেয়া সামলে ওঠতে পারে না। কি ভয়ংকর অনুভূতি! কতটা গভীর স্পর্শ খানি। আস্তে আস্তে বেড়ে যায় অধর যুগলের কম্পন৷ তূর্য হাসে, আওয়াজ বিহীন প্রাণবন্ত হাসি। দুর্বল চিত্তের মেয়েটা কেমন অশান্ত হয়ে পড়ছে। তার এতটুকুন গাঢ় ছোঁয়া সইতে হিমশিম খাচ্ছে, লজ্জা পাচ্ছে। কাঁপুনির মাত্রা দীর্ঘ না করে আঙুল সরিয়ে আনে ঝটপট। তৎপরে প্রশ্ন করলো,
‘ কি হয়েছে? সরে যাচ্ছো কেন?’
শ্রেয়া চোখ উঁচিয়ে দৃষ্টি মেললো। চাহনিতে মাদকতা ও একরাশ লজ্জার সংমিশ্রণ। দ্বিধান্বিত কন্ঠে বললো,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

‘ কখন থেকে এভাবে বসে আছেন। আপনার পা ব্যাথা করছে হয়ত। চলুন রুমে যাই। ‘
‘ পা ব্যাথা করছে না তবে একটা কথা মনে পড়ে গেল। ‘
‘ কি কথা?’
‘ পরশু যে পরীক্ষা এটা মাথায় আছে?অনেকক্ষণ তো বুকে ঘাপটি মে’রে ছিলে এখন মুখ ধুয়ে একটু পড়তে বসো। ‘
‘ আমি আগেই পড়া শেষ করে রেখেছি। পরীক্ষার আগের রাতে একটু দেখলেই হবে। ‘
‘ তাহলে আরকি। তোমার জামাইয়ের বুক তোমার জন্য ফ্রি। ‘
শ্রেয়া ছাত্রী হিসেবে বেশ মেধাবী। ডিপার্টমেন্টের কোন স্টুডেন্ট টা কেমন শিক্ষক হওয়ার সুবাদে অজানা নয় তূর্যর। শ্রেয়া মিহি স্বরে বলে,

‘ রুমেই যাবো। ‘
সাথে সাথেই তূর্য শ্রবণগ্রন্থির নিকটস্থে বলে ওঠে,
‘ রুমে যাওয়ার এত উতলা? ব্যাপার কি?’
সমগ্র অঙ্গ শিরশির করে উঠলো ওর। ফের প্রয়াস চালালো তূর্যর বাঁধন মুক্ত হওয়ার। ও সত্যিই ভেবেছিল এতক্ষণ এভাবে বসে থেকে বোধ হয় পা ব্যথা হয়ে গিয়েছে তূর্যর। অথচ লোক টা ওকে নিমজ্জিত করছে লজ্জায়। এই ত্যাড়া বাঁকা কথাগুলোই তো ভালো লাগে ওর৷

মানুষ মানুষের সৌন্দর্যের,কথার,ব্যাক্তিত্বের,অঙ্গভঙ্গির,চালচলন কতকিছুর প্রেমে পড়ে। শ্রেয়া না দেখেই প্রেমে পড়ে যায়। আর দেখার পর তূর্যর কথাগুলোও ওর অনুভূতিদের আরও গাঢ় করেছে।
সুপুষ্ট দু হাত সরিয়ে আনলো তূর্য। ছেড়ে দিল দেহ খানা। শ্রেয়া চট করে ওঠে দাঁড়ায়। শাড়ির অবস্থা প্রচন্ড এলোমেলো, অগোছালো। ব্যস্ত হাতে ঠিক করার চেষ্টা করছে সে। তূর্য কতক্ষণ চেয়ে থেকে নিচের ঠোঁটে উপরের ঠোঁট চেপে ধরে। হাত বাড়িয়ে প্রথমে বিধস্ত কুঁচি গুলো ঠিক করে। প্রশ্ন করে গম্ভীর কন্ঠে,
‘ শাড়ি পড়েই ঘুমাবে?’
শ্রেয়া অস্পষ্ট রশ্মিতে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বুঝায়। তূর্যও আর কথা বাড়ালো না। ওর হাত টা ধরে এতক্ষণ ধরে নির্জন থাকা কক্ষে আসে।

দু’জনের দেহ এলিয়ে পড়ে বিছানার দু প্রান্তে। মাঝে অনেকখানি ব্যবধান। শ্রেয়ার পা’য়ের তলা জ্বলছে। ভিতরটা উসখুস করছে। এই তো কাছে এলো দু’জন তবে দু’টো দেহ কেন অদূরে? যখনই কোনো বিষয়ে অস্থিরতা কাজ করে এ হাল হয় ওর। ক্রমাগত জ্বলতে থাকে পায়ের তলা। আস্তেধীরে ও হাত রাখে নিজেদের মাঝের খালি জায়গাটা তে। নিমিষেই ওর হাত টা কারো করপুটে বাঁধা পড়ে যায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই সমস্ত তফাত গুচিয়ে তূর্য বকুলে সজ্জিত হাত টাও পাঁচ আঙুলে বেঁধে নেয়। হাতের এলোমেলো বিচরণে নরম বকুল ঝরে পড়ে সুতো ছিঁড়ে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে মেঝেতে। আবছা আলোতে মিলেমিশে একাকার হতে থাকে উত্তপ্ত নিঃশ্বাস।

শ্রেয়ার গলা শুষ্ক হয়ে ওঠেছে। বুক ধরফর করছে। হৃদযন্ত্রণের গতি অত্যন্ত বেসামাল। ভয়া’বহ রূপ ধারণ করেছে যেন একেকটা স্পন্দন। কিঞ্চিৎ দূরত্ব রাখে নি তূর্য। ওর কাছাকাছি এসে গলায় মুখ ছুঁইয়ে দেয়। কন্ঠস্বর অতীব নেশাক্ত, প্রগাঢ়। এক নিঃসংকোচ,মায়াময় আবেদন করে বসে,
‘ শ্রেয়সী,আমার হবে?’

নেত্রদ্বয় বুঁজে আসে ওর। চক্ষু কার্নিশ ছুঁইয়ে নেমে যায় জল। এত হৃদয় নিংড়ানো কেন বাক্যটা!কি করে জবাব দিবে ও?
তূর্য এক হাত ছেড়ে দিয়ে শ্রেয়ার উন্মুক্ত কোমরে রাখলো। গালে ঠোঁটের স্পর্শ এঁকে বললো- ‘ মুখে জবাব দিতে হবে না। সম্মতি হিসেবে অন্যভাবে বুঝিয়ে দাও। অপেক্ষা টা দীর্ঘ করো না আর। এটার যে অনেক যন্ত্রণা শ্রেয়সী। ‘
এই আকুল কন্ঠ আর শুনতে চায় না শ্রেয়া। কাঁপা কাঁপা অধর যুগল তূর্যর গালে রাখলো। তাদের স্থায়িত্ব হলো সেকেন্ড খানেক। সরিয়ে আনলো তড়িৎ বেগে। শরীরের ভাঁজে ভাঁজে খেলে গেল তরঙ্গ এবং শাড়ির ভাঁজে প্রিয় মানুষটার হাতের ঈষৎ বিচরণ। জানালার ধার ছুঁয়ে আসা চাঁদের রূপে শ্রেয়ার চক্ষে পড়ে তূর্যর ওর মুখশ্রী পানে রাখা অনিমেষ, অপলক দৃষ্টি, নেত্র।

তড়িঘড়ি করে মাথায় ওড়না চাপিয়ে নিল শ্রেয়া। প্রিয়ু এখনও হাতে ঘড়ি পড়ছে। শ্রেয়া বিরক্ত ভঙ্গিতে আওড়ায়–‘ পরীক্ষা শেষ হয়ে যাবে তুই ঘড়ির বেল্ট বাঁধতে বাঁধতে। এটা কি রিকশায় বসে বাঁধতে পারবি না?’
প্রিয়ু তবুও নাছোড়বান্দা। দাঁড়িয়ে একটা মিনিট নষ্ট করেই ঘড়িটা পড়লো। এসব পড়া,পরীক্ষা ভালো লাগে না ওর। আয়ুশ যদি মুখে একটা বার,স্রেফ একবার উচ্চারণ করে ‘ তোমার আর পড়তে হবে না’ তাহলে ও আয়ুশকে গুণে গুণে একশ একটা চুমু খাবে। কিন্তু এটা কখনও হবার নয়,সেটা সে দিব্যি জানে। মুখ কালো করে শ্রেয়ার সাথে বেরিয়ে পড়লো। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় সাথে সাথেই রিকশা মিলে। প্রিয়ু ঘুম ঘুম চোখে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল,

‘ ভাইয়া চলে গিয়েছে? ‘
‘ হ্যাঁ। ওনার ডিউটি আছে পরীক্ষার হলে,তাই একটু আগেই বেরিয়ে গিয়েছেন। ‘
‘ ওহ। ‘
‘ তুই কি ওনার উপর রাগ?’
প্রিয়ু চোখ বড়সড় করে ব্যগ্র গলায় বলে ওঠে,
‘ আরে না। আসলে ভাইয়ার কারণে রাতে বেশিক্ষণ পড়তে হলো আমাদের তাই এখন ঘুম পাচ্ছে। তোর পাচ্ছে না?’
শ্রেয়া ক্ষীণ হেসে জানায়,

‘ না। দেখিস ঘুমাতে ঘুমাতে রিকশা থেকে পড়ে যাস না। ‘
প্রিয়ুর সহজ সরল স্বগোক্তি- ‘ আমার শ্রেয়ু থাকতে কখনও পড়বো না। ‘
শ্রেয়ার কন্ঠনালি গলিয়ে কথা বেরিয়ে আসলো না। সূক্ষ্ম নিঃশ্বাস ছাড়লো ও। এত বিশ্বাসের পিঠে কিছু বলাও যায় না। বলতে গেলে উপযুক্ত শব্দ নেই।

দু বান্ধবী মিলে দৌড়ে পরীক্ষার হলরুম পর্যন্ত আসে। ইতোমধ্যে স্যার ঢুকে গিয়েছে। শ্রেয়া ভালো করে তাকাতেই দেখে আজ ওদের হলে তূর্য পড়েছে। ওকে দেখেই ঢোকার আদেশ দেয় তূর্য। তাড়াতাড়ি করে প্রবেশ করে দু’জনে।
তূর্য শ্রেয়ার সামনে খাতা রেখে চলে গেল। আঁড়চোখে একটু চেয়ে খাতায় নাম লিখতে মনোনিবেশ করে শ্রেয়া। কি মনে করে অজান্তেই পুনর্বার তূর্যর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। অন্তস্থল,মন দ্রিমদ্রিম করে উঠলো। নয়ন জোড়া আটকা পড়ে তূর্যর ঘাড়ের লম্বা দাগ টার দিক। আঁচড় টা অত্যধিক তাজা দেখাচ্ছে। ফাঁকা ঢোক গিলল ও। একদিন আগের আচঁড় টা এখনও আছে। এত গভীর ভাবে দিয়েছিল?কই তূর্য তো কোনো প্রতিক্রিয়া করে নি। শরমে চোখ মুখ কুঁচকে আসছে বারংবার।
তূর্য শ্রেয়ার মুখোভঙ্গি দেখে ঝাঁঝালো দৃষ্টিতে তাকালো। খাতায় নাম টাম না লিখে মেয়েটা এমন করছে কেন,বুঝতে পারছে না সে। ঘন্টা পড়লে প্রশ্ন দেওয়ার বাহানায় কাছে এসে দাঁতে দাঁত, ঢিমে স্বরে জিজ্ঞেস করলো,’ কি হয়েছে?’

তড়াক করে লাফিয়ে ওঠে শ্রেয়া। অপ্রস্তুত ভাব। প্রশ্ন টা হাতে নিয়ে অপরদিকে চেয়ে দেখে অন্য একজন স্যার প্রশ্ন দিচ্ছেন। পাশের মেয়েটাও ড্যাবড্যাব দৃষ্টে চেয়ে আছে,তাই চেয়েও কথা টা বলতে পারলো না। চুপচাপ লিখায় মনস্থির করে। কিন্তু তাও ঠিকঠাক হচ্ছে না। বার বার তূর্যর ঘাড়ে চোখ চলে যাচ্ছে। পুরো টা পরীক্ষাই দিল ও এমন করে। বার কতক তূর্য চোখ রাঙিয়েছে সকলের অগোচরে। তবুও লাভ হলো না বিশেষ। যেন ও পাহাড়া দিচ্ছিল কেউ তূর্যর ক্ষতটা দেখে নিল কিনা। পরীক্ষা শেষ হতেই প্রাণ ফিরে পেল। খাতা জমা দিয়ে বের হয়ে প্রকৃতির তরফ হতে উপহার স্বরূপ পাওয়ার স্নিগ্ধ প্রশ্বাস টেনে নিল অভ্যন্তরে।

প্রিয়ুর চিন্তা হচ্ছে অনেক। পরীক্ষা তত একটা ভালো হয় নি। আয়ুশ বলেছে রেজাল্ট ভালো না হলে ওকে কম কম আদর করবে। একদিকে পড়তে দম বন্ধ হয়ে আসে,অন্যদিকে আয়ুশের অমন শর্ত। মোবাইল বের করে আয়ুশকে ফোন দিল। রিসিভ হতেই কিছুদূরে চলে যায় কথা বলতে বলতে। যে কেউ দেখলে অনায়সে বলবে,মেয়েটা নতুন নতুন প্রেমে পড়েছে। হাঁটতে হাঁটতে কথা বলা,গাছের পাতা টেনে ধরা কথা বলার সময়,গাছের গায়ে নখের আঁচড় কাটা এগুলো নাকি নব্য প্রেমে পড়ার লক্ষণ এতিম খানার আপার কাছ থেকে শুনেছিল শ্রেয়া। আলতো হাসলো ও এটা ভেবে। কিন্তু সেই হাসি মিলিয়ে গেল হুট করে একটা কন্ঠস্বর কর্ণে ভারী খে’তেই। সরব করে পাশে তাকালো। তূর্য ধারা’লো দৃষ্টি তাক করে রেখেছে। পুনশ্চঃ প্রশ্ন করে,

‘ পরীক্ষা দেওয়ার সময় এমন করছিলে কেন?’
শ্রেয়া অবিন্যস্তভাবে এদিক সেদিক তাকায়। ঘাবড়ে যাওয়া কন্ঠে প্রতি উত্তর করে,’ আপনার জন্য। ‘
তূর্যর মেজাজ তুঙ্গে ওঠে আছে। খাতা নেওয়ার সময় আগ্রহের ফলে কয়েক পৃষ্ঠায় চক্ষু বুলায়। ফলস্বরূপ দু একটা ভুল বিক্রিয়া চোখে লেগে যায় তার। এসব যে শ্রেয়ার গাফিলতির ফলাফল তা বুঝতে বাকি নেই। রাগান্বিত গলায় বলে উঠলো,
‘ আমার জন্য মানে?আর এত নার্ভাস ফিল করছো কেন?ভার্সিটিতে সবাই জানে তুমি আমার ওয়াইফ। ‘
‘ কি?কীভাবে?’– শ্রেয়ার কন্ঠ বেড়ে যায় মৃদু।
‘ মোবাইল বের করে নিজের ফেসবুক আইডি চেক করো। ‘

তূর্যর কথা শুনে দ্রুত হাতে মোবাইল বের করে নিজের আইডিতে ঢুকল। মেসেঞ্জার ব্যবহার করে না ও। বিয়ের ক্যাচাল প্যাঁচালের জন্য বহুদিন অনলাইন জগতে আসা হয় না। এখন ঢুকেই ও হতভম্ব। মোবাইলে কখনই লক দেই না সে। এমনকি ফেইসবুক পাসওয়ার্ড পর্যন্ত সেভ করে রাখা। তাই কাজটা কোনো রকম ভে’জাল বিহীন সেড়েছে তূর্য। ম্যারিড স্ট্যাটাসের কমেন্ট বক্সে মানুষের শুভেচ্ছার ঢল নেমেছে।

‘ এটা কখন করেছেন আপনি?’
‘ করেছি কোনো এক সময়। এখন পরীক্ষার হলে ওইসব করার কারণ বলো। ‘
তূর্যর চাউনি প্রশ্নসূচক। শ্রেয়া আমতা আমতা করে প্রতুত্তর করে,
‘ আপনার ঘাড়ে,,’
‘ আমার ঘাড়ে?’
নরমাল একটা কথা বলতে প্রচন্ড বেগ পোহাতে হচ্ছে শ্রেয়ার। এটার কারণ সম্মুখে উপস্থিত মানুষ টাই। আনতস্বরে, এক নিঃশ্বাসে বললো,
‘ নখের আঁচড় দেখা যাচ্ছে। ‘

সন্ধি হৃদয়ে হৃদয়ে পর্ব ৩৭

সঙ্গে সঙ্গে কানের ছিদ্র দিয়ে হুড়মুড় করে ঝংকার তুলে কয়েকটা বর্ণ,শব্দ, বাক্য প্রবেশ করে,
‘ তাতে তোমার কি?আমার বউয়ের আদরমাখা চিহ্ন নিয়ে আমি দেশ বিদেশ সব ঘুরে আসবো। কোনো সমস্যা? ‘
শ্রেয়ার মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠলো। বেক্কল বনে গেল। আপনাআপনি দু ওষ্ঠ আলগা হয়ে আসে। বিমূঢ় দৃষ্টিতে তাকিয়ে জবাবে বললো,
‘ না। ‘

সন্ধি হৃদয়ে হৃদয়ে পর্ব ৩৯