অনেক সাধনার পরে পর্ব ৪৭

অনেক সাধনার পরে পর্ব ৪৭
অরনিশা সাথী

তীব্র ফোনের রিংটোনে ঘুম ভেঙে যায় রুজবার। সদ্য গাঢ় হওয়া ঘুমটা এভাবে ভেঙে যাওয়াতে কিঞ্চিৎ বিরক্ত হয় সে। উল্টোপাশে ফিরে ফোন রিসিভ করতে চায় সে, কিন্তু সামান্য নড়াচড়া’ও সে করতে পারে না। আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে নুহাশ। এই লোকটা বাসায় থাকা অবস্থায় একচুলও কাছ ছাড়া করতে নারাজ। রুজবা বেশ কিছুক্ষণ যাবত নাড়াচাড়া করতেই নুহাশ ঘুম জড়ানো স্বরে বলে,

–“নড়ে না রুজবা, ঘুমাও।”
–“আচ্ছা আর নড়বো না, আমাকে একটু ছাড়ো এবার প্লিজ। ফোন আসছে বারবার।”
নুহাশ হাতের বাঁধন আলগা করতেই রুজবা হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। বিছানার পাশ থেকে ফোন হাতে নেয়। ফারিন ফোন করেছে তিন বার। ভ্রু কুঁচকে ফেলে রুজবা। ও ফোন ব্যাক করার আগেই আবার ফোন বেজে উঠে। রুজবা রিসিভ করে বিচলিত কন্ঠে প্রশ্ন করে,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

–“ফারু ওদিকে সব ঠিক-ঠাক আছে? এত বার বার ফোন দিচ্ছিস? অল ওকে না?”
–“কিচ্ছু ঠিক নেই রুজবা।”
রুজবার ভয়ে শরীর হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসে। কার কি হলো আবার? ধরা গলায় প্রশ্ন করে,
–“কার কি হয়েছে ফারু? আব্বু মা সবাই ঠিক আছে?”
–“তুই খালামণি হতে যাচ্ছিস।”
–“মা্ মানে___আমি খালামণি? কি করে? আমি কি করে খালামণি___এই এক মিনিট তার মানে তুই?”
ফারিন লাজুক হেসে বলে,

–“হুম ঠিক ধরেছিস।”
–“ইয়েএএ আমি খালামণি হবো, ছোট্ট একটা বাচ্চা আসবে, ছোট ছোট হাত পা নাড়িয়ে খেলবে আধো আধো বুলিতে কথা বলবে, আমায় মামণি বলবে, আমি___আমি ভীষণ খুশি ফারু।”
রুজবার এই খুশিটা খুব কাছ থেকে দেখতে ইচ্ছে হলো ফারিনের। কিন্তু সেটা তো সম্ভব না, তাই শুধুমাত্র অনুভব’ই করলো সে। ফারিন প্রশ্ন ছুঁড়লো,

–“তোরা বেবি প্ল্যান করছিস কবে, বিয়ের তো দুই বছর হয়ে এলো। এখুনি কি বেবি তুই চাস না নাকি নুহাশ ভাই চাইছে না?”
মূহুর্তেই রুজবার হাসিখুশি মুখটা বিষাদে ভরে উঠলো। পূর্নিমার মতো উজ্জ্বল চেহারা খানায় আমাবস্যার মতো ঘুটঘুটে অন্ধকার নেমে এলো। এই মূহুর্তে ফারিনের থেকে এমন প্রশ্ন আশা করেনি রুজবা। গত এক বছর ধরেই তো বেবি প্ল্যান করছে কিন্তু সেরকম কোনো রেজাল্ট এখনো আসেনি। প্রতি মাসেই হতাশ হচ্ছে ও।

ডক্টর দেখিয়েছে কারোরই কোনো সমস্যা নেই। ডক্টরের কথামতোই চলছে তবুও কোনো পজিটিভ রেজাল্ট আসছে না। প্রতি মাসেই যখন পিরিয়ড শুরু হয় তখন ভেঙে চুরমার হয়ে যায় ও। শুধুমাত্র নুহাশের কারণেই এখনো অব্দি ঠিক আছে রুজবা। নুহাশ ভেঙে পড়তে দেয়নি। সবসময় বলেছে ❝আল্লাহ চাইলে কোনো একদিন নিশ্চয়ই আমাদের কোল জুড়েও সন্তান আসবে❞ সেই থেকেই আল্লাহ’র পথ চেয়ে বসে আছে।

মোনাজাতে একটা বাচ্চার জন্য হাহাকার করে উঠে রুজবার মন। তাহাজ্জুদের নামাযে আল্লাহ’র দরবারে হাত তুলে শুধুমাত্র একটা সন্তানের জন্য কান্নাকাটি করে। এখনো করে যাচ্ছে, কিন্তু আল্লাহ সাড়া দিচ্ছে না ওর ডাকে। দুই চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়লো। অতিদ্রুত সেই অশ্রু আবার মুছেও নিলো। কোনো ভাবে যদি নুহাশ দেখে ও আবার কাঁদছে তাহলে আর রক্ষা নেই।

এদিকে রুজবার কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ফারিন বলে,
–“কিরে চুপ হয়ে গেলি ক্যান? কথা বলছিস না যে?”
রুজবা কিছু বলার আগেই নুহাশ ওর হাত থেকে ছোঁ মেরে ফোন নিয়ে নেয়। রুজবা অবাক নয়নে তাকায়। তারমানে কি নুহাশ জেগে ছিলো? কাঁদতে দেখেছে ওকে? শুকনো ঢোক গিলে নুহাশের পানে তাকায় সে। ততক্ষণে নুহাশ ফারিন’কে কংগ্রেস জানিয়েছে। রুজবা তাকাতেই নুহাশ রুজবাকে টেনে নিজের বুকে নিলো৷ একহাতে রুজবাকে বুকে আগলে ওর কপালে চুমু দিয়ে ফারিনকে বলে,

–“একেবারে খুশির খবর নিয়েই দেশে ফিরবো ভাবী। এর আগে কাউকে কিচ্ছু জানাচ্ছি না বুঝলে?”
ওপাশ থেকে ফারিন কি বললো তা আর শুনতে পেলো না রুজবা। রুজবার এই বেবি না হওয়ার কথাটা ওরা দুজন ব্যাতীত আর কেউ জানে না। প্রাণ-প্রিয় বন্ধবী ফারিন’ও না কিন্তু কতদিন? একদিন না একদিন সবাই জানবে তখন কিভাবে সবাইকে মুখ দেখাবে রুজবা? ও কি তবে নুহাশের জীবনে এসে ওকে বাবা ডাক শোনা থেকে বঞ্চিত করলো? নুহাশের যে বাচ্চা ভীষণ প্রিয়। নুহাশ মিনিট দুয়েক ফারিন আর কিয়ানের সাথে কথা বলে ফোন রেখে দিলো। রুজবাকে টেনে নিজের মুখ বরাবর এনে বললো,

–“উল্টাপাল্টা চিন্তা ভাবনা মাথা থেকে বের করে ফেলো এক্ষুনি।”
রুজবা করুন চোখে তাকিয়ে ধরা গলায় বলে,
–“আমি কি তোমাকে বাবা হওয়া থেকে বঞ্চিত করলাম নুহাশ?”
নুহাশ রুজবার কপালে লেপ্টে থাকা চুলগুলো কানের পিঠে গুজে দিয়ে বলে,

–“হুশশ! এরকম কিচ্ছু না। তোমার বা আমার কারোরই তো কোনো সমস্যা নেই তাহলে এসব চিন্তা মাথায় আসছে কোথায় থেকে? আল্লাহ চাইলে অবশ্যই বাচ্চা হবে আমাদের৷ এখন আল্লাহ চাইছে না তাই হচ্ছে না, যখন আল্লাহ চাইবে ঠিক তখনই হবে। এসব আলতু ফালতু চিন্তা মাথা থেকে বের করে ফেলো একদম।”
–“একটা কথা বলবো? রাখবে?”

নুহাশ প্রশ্ন চোখে তাকালো। রুজবা শুকনো ঢোক গিলে বহু কষ্টে বললো,
–“তুমি আর একটা বিয়ে করো, বাবা ডাক শোনার অধিকার তো তোমারও আছে। নিশ্চয়ই অন্যসবার মতো তোমারও বাবা ডাক শুনতে ইচ্ছে করে?”

রাগে চোয়াল শক্ত করে ফেলে নুহাশ। ভীষণ রাগ হচ্ছে ওর। এই মেয়ের সাহস হয় কি করে দ্বিতীয় বিয়ের কথা উচ্চারণ করার? নুহাশ রেগে রুজবার একবাহু শক্ত করে চেপে ধরে। সাথে সাথেই চোখ বন্ধ করে ফেলে রুজবা। নুহাশের রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক। যে ছেলে একতরফা ভাবে পাঁচ বছর ওকে ভালোবেসে গেছে, ও অন্যকাউকে ভালোবাসে জেনেও শুধুমাত্র ওকেই ভালোবেসেছে সে ছেলে নিশ্চয়ই একটা বাচ্চার জন্য ওকে ছেড়ে দ্বিতীয় বিয়ে করবে না।

রুজবা তো নুহাশকে ভীষণ ভালোবাসে৷ দ্বিতীয় বিয়ের কথাটা বলতে রুজবার ঠিক কতটা কষ্ট হয়েছে, কতটা পুড়েছে অন্তর তা শুধুমাত্র রুজবা জানে। নুহাশ বাহু আরো শক্ত ভাবে ধরে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
–“সাহস হয় কি করে তোমার এই কথা বলার? একবারও বলেছি তোমাকে আমার বাচ্চা লাগবে? বলেছি তোমার বাচ্চা না হলে তোমায় ছেড়ে দেবো আমি? বলেছি কখনো?”

নুহাশের ধমকে কেঁপে উঠে রুজবা। বিবাহিত জীবনের দুই বছরে এই প্রথম নুহাশ উঁচু স্বরে কথা বলছে রুজবার সাথে। রুজবাকে ধমকাচ্ছে, রেগে আছে রুজবার উপর। সবটাই এই প্রথম। নুহাশ আবার বলে,
–“কি হলো কথা বলছো না কেন? বলো বলেছি কখনো আমার বাচ্চা লাগবেই?”
–“ন্ নাহ___”
–“তাহলে এই কথা তুমি বলো কিভাবে?”
–“তোমার বাচ্চা ভীষণ প্রিয়___”

–“হ্যাঁ তো? বাবা ডাক শোনার জন্য আমি তোমায় ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে করে নেবো?”
রুজবা এবার মাথা নিচু করে ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করে। নুহাশ অতি যত্নসহকারে রুজবার দুই গাল স্পর্শ করে। রুজবার মুখ উঁচু করে ধরে অত্যান্ত নরম স্বরে বলে,

–“আমি বাবা হতে চাই রুজবা। তবে সেটা তুমি ব্যাতীত অন্য কোনো নারীর গর্ভে ধারণ করা সন্তানের না। আমি বাবা ডাক শুনতে চাই রুজবা, তবে সেটা শুধুমাত্র তোমার আর আমার ভালোবাসায় জন্ম নেওয়া সন্তানের মুখ থেকে। তুমি ব্যাতীত অন্য কোনো নারীর গর্ভে ধারণ করা বাচ্চা আমার চাই না। আমি বাচ্চা চাই, বাবা হতে চাই আমি তবে যে বাচ্চার মা শুধুমাত্র তুমি হবে সেই বাচ্চার বাবা হতে চাই আমি।”

কথাগুলো বলে খুব গাঢ় ভাবে চুমু খায় রুজবার কপালে। রুজবা নুহাশকে জাপ্টে ধরে কাঁদতে শুরু করে। এই মানুষটা ওকে এত্ত ভালোবাসে কেন? ওর কোনো কিছুতেই যেন লোকটার অনীহা নেই, নেই কোনো বিরক্তি অভিযোগ, রাগ। আছে শুধুমাত্র ভালোবাসা, কেবলই এক আকাশ সমান ভালোবাসা।

–“আসবো বাবা?”
মায়ের কন্ঠস্বর পেয়ে ল্যাপটপ অফ করে দরজার দিকে তাকায় জারাফ। জুহি আর মা দুজনেই দরজার সামনে দাঁড়ানো। জারাফ উঠে বলে,
–“হ্যাঁ হ্যাঁ আসো, অনুমতি নিচ্ছো কেন আমার ঘরে আসতে?”
মা আর বোন দুজনেই ঘরে প্রবেশ করে বিছানায় বসলো। জারাফের মা নিজেই নিজের হাত কচলাচ্ছে। জারাফ চট করেই ধরে ফেললো সে কিছু বলতে চায়। তাই আর ভণিতা না করে সরাসরি জিজ্ঞেস করলো,

–“কিছু বলতে চাও মা?”
জারাফের মা উঠে জারাফের সামনে দাঁড়ায়। জারাফের দুই বাহু ধরে বলে,
–“তুই যে একটা মেয়েকে ভালোবাসতি আমায় কেন জানাস নি বাবা? সেদিন আমাকে এই কথাগুলো জানালে হয়তো আমাদের এই দিনটা দেখতে হতো না।”

–“সেসব পুরোনো কথা তুলে কি লাভ মা? ভালোই তো আছি।”
–“ভালো নেই তুই, আমি লক্ষ্য করেছি তুই একদমই ভালো নেই। এখনো হয়তো সেই মেয়েটাকে ভালোবাসিস তুই, যাকে আমার জন্য, এই পরিবারের জন্য তোকে হারাতে হয়েছিলো।”
–“একটু ভুল বললে মা। তোমার বা এ পরিবারের জন্য ওকে হারাইনি আমি। নিজের দোষে হারিয়েছি। টাকার পেছনে ছুঁটতে গিয়ে ওর কদর করতে পারিনি আমি মা।”
জারাফের মা কেঁদে উঠলো। বলল,

–“সে তো আমাদের জন্যই টাকার পেছনে ছুঁটেছিস তুই।”
–“জানো মা, আমাদের সম্পর্কের কথা ওর পরিবারের সকলে জানতো। যখন ওর বিয়ে ঠিক হয় ঘরোয়া ভাবে তখন ও রুজবা এসেছিলো আমার কাছে। আমি কি করে বিয়ে করি বলো তো? সদ্য বাবা হারালাম। এই মূহুর্তে আমি নিজের কথা ভাবলে তোমরা, সমাজ কি ভাববে আমাকে নিয়ে? কেমন চোখে দেখতো সমাজ আমায়? তাই ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। ও তবুও হাল ছাড়েনি।

আমাকে রিকুয়েষ্ট করেছিলো একবার ওর বাবার সামনে দাঁড়াতে, সবটা ও ম্যানেজ করে নিতো। কিন্তু আমি পারিনি উনার সামনে দাঁড়াতে। ও না আমার জন্য ওর বিয়ের দিন ওর বরের পায়ে ধরেছিলো বিয়ে ভাঙার জন্য। মানুষটা ভীষণ ভালো বিধায় নিজের ভালোবাসার মানুষটার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সেদিন বিয়ে ভেঙেছিলো। ও ফোন করে জানিয়েছে আমায়, খুশিও হয়েছি আমি।

কিন্তু দেখো, যেদিন ও ওর বিয়ে ভাঙে আমার জন্য সেদিনই নিদ্রার সাথে বিয়ের কথা পাকা হয় আমার। তোমরা সবাই রাজি। কি করে না বলি আমি? সেই মূহুর্তে নিজের কিছু একটা করার ভীষণ প্রয়োজন ছিলো। কি করবো ভেবে পাই না। তোমাদের কথাতেও মত দিতে পারিনি পুরোপুরি আর না রুজবাকে কাছে টেনে নিতে পেরেছি পুরোপুরি ভাবে। এভাবেই টেনে হিঁচড়ে দেড়টা বছর যায় আমাদের সম্পর্কের।

দিনের পর দিন রুজবাকে ঠকিয়ে নিদ্রার সাথে সময় কাটিয়েছি। টাকার পেছনে ছুঁটতে গিয়ে এতটাই অন্ধ হয়েছিলাম, যে মানুষটা আমায় নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবেসেছে তাকে পায়ে ঠেলে দূরে সরিয়েছি। পরবর্তীতে মেয়েটা পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করে সেই ছেলেকে যে আমার সাথে ওর মিল হওয়ার জন্য বিয়েটা ভেঙেছিলো। ছেলেটা সত্যিই লাকি তাই না মা? এক তরফা ভালোবেসে কি করে নিজের ভালোবাসার মানুষটাকে পেয়ে গেলো। আর আমাকে দেখো____”

এক নাগাড়ে এতগুলা কথা বলে থামে জারাফ। ওর চোখেও পানি টলমল করছে। জুহি কাঁদছে। জারাফ আবার বলে,
–“ঠকিয়েছিলাম, নিজে ঠকবো না তা কি হয় নাকি?”
সবার আড়ালে জারাফ নিজের ভেজা চোখ মুছে হাসিমুখে বলে,
–“সেসব পুরোনো কথা থাক। কি বলতে এসেছো তা বলো।”
জারাফের মা জুহিকে ইশারা করতেই জুহি ফোন থেকে একটা ছবি বের করে জারাফের হাতে দেয়। জারাফ এক পলক দেখে ছবিটা। জুহি ভাইকে প্রশ্ন করে,

–“কেমন দেখতে?”
জারাফ ফোনটা জুহির হাতে দিয়ে বলে,
–“ভালোই।”
জারাফের মা এবার বলে,
–“আমার ফুপাতো বোনের মেয়ে রাত্রি। তুই যদি রাজি থাকিস তাহলে___”
–“বিয়ে করাটা ভীষণ জরুরী মা?”
–“এভাবে আর কতকাল থাকবি? বয়স তো কমছে না বরং দিন দিন বাড়ছে।”
–“আমার ইচ্ছে করছে না আর এসব বন্ধনে আবদ্ধ হতে।”

–“রুজবাকে মনে রাখিস না বাবা, মনে রাখলে শুধু কষ্টই পাবি। ও তো নতুন ভাবে শুরু করেছে সবটা। তুই’ও একবার নতুন করে শুরু কর না। খুব ভালো থাকবি, সুখি হবি দেখিস।”
–“তাকে চাইলেও ভুলতে পারবো না মা। সে যাই হোক, তোমার যা ভালো মনে হয় করো।”
–“আপত্তি নেই তো? আমার কথা রাখতে বিয়ে করে তারপর মেয়েটাকে আবার তার মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করবি না তো?”

অনেক সাধনার পরে পর্ব ৪৬

–“তোমার যেটা ভালো মনে হয় নিশ্চিন্ত মনে করো। করবো না অসম্মান, যে-ই আসুক সে তার প্রাপ্যটুকু ঠিক পাবে।”
ছেলের কথায় খুশি হয়ে গেলেন তিনি। জারাফের কপালে চুমু খেয়ে মা মেয়ে আবার বেরিয়ে গেলো ঘর থেকে। জারাফ সেদিকে তাকিয়ে শুধু তপ্ত শ্বাস ফেলে।

অনেক সাধনার পরে পর্ব ৪৮