অন্যরকম প্রেমানূভুতি শেষ পর্ব 

অন্যরকম প্রেমানূভুতি শেষ পর্ব 
অস্মিতা রোদৌসি

আমি আপনাকে ভালোবাসি অভ্র।হ্যাঁ নিজের অজান্তেই আপনার রাগ,জেদ,কেয়ারিং কে আমি ভালোবেসে ফেলেছি।ভালোবাসার প্রকাশ ব্যাক্তি ভেদে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।ঠিক তেমনই আপনার ভালোবাসার প্রকাশ অন্যরকম ছিলো। প্রথম প্রথম আপনাকে আর
আপনার ব্যাবহার গুলো বিরক্ত লাগতো।বাট কখন যে আপনাকে আর আপনার ব্যাবহারগুলোতে আমি আসক্ত হয়ে গিয়েছি।প্লিজজজ মাফ করুন আমায়।আপনার সাথে এতদিন খারাপ ব্যাবহারের জন্য।
ছলছল চেখ নিয়ে কথাগুলো বললাম আমি।

মেঘার কথাগুলো শুনে কেন আজ নিজেকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রমিক পুরুষ মনে হচ্ছে অভ্রের।হ্যাঁ সে পেরেছে মেঘার মনে তার জায়গা করে নিতে।হেরে যায়নি সে।নিজের নিখুঁত ভালোবাসার উপর তার বিশ্বাস ছিলো।
বিশ্বাস ছিলো একদিন না একদিন মেঘা তার ভালোবাসাটা বুঝবে।এবং সত্যিকারের ভালোবাসা উপলব্ধি করতে পারবে।আর মেঘা সেটা পেরেছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

অভ্র কিছুটা এগিয়ে গিয়ে মেঘার সামনে দাঁড়ালো। মেঘনার চোখের কোণে জমে থাকা মুক্তোর ন্যায় জল কণা সযত্নে মুছে ছিলো।অভ্রের স্পর্শে কিছুটা কেঁপে উঠলো মেঘা।চোখ বুঝে ফেললো মেঘা।
অভ্র নিচের ঠোঁট কামড়ে মেঘাকে পর্যবেক্ষন করতে লাগলো।যদিও এনাগাত ৩ বার সে মেঘাকে পর্যবেক্ষন করে ফেছেলে।মেঘার কপালে এসে পড়া ছোট ছোট চুলগুলো মৃদু বাতাসে দুলছে।তা দে সয্য হলোনা অভ্রের।চুলগুলো কানের পিঠে গুজে দিলো।চোখ মেলে তাকালো মেঘা।কান্নার ফলে চোখের কাজল হালকা চেপ্টে গিয়েছে চোখের চারিপাশে।

কাণি নখ দিয়ে চোখে লেপ্টানো কাজল মুছে দিলো অভ্র।মেঘলা এদিকে মুগ্ধ চোখে অভ্রকে দেখে চলেছে।মুচকি হাসির ফলে অভ্রের ডান গালে টোল পড়ছে।মুচকি হাসি দিয়েই মেঘাকে খুন করার সাহস রাখে অভ্র।সিল্ক চুলগুলোর কয়েকটা চুল এসে কপালে পড়ছে।নীল টিশার্ট আর ব্লাক টাওজারে বেশ মানিয়েছে অভ্রকে।বেশ মায়াবি লাগছে আজ অভ্রকে।অভ্র আগেও যেমন ছিলো আজও তেমন।আগে অভ্র ভালোলাগতো না মেঘার।কিন্তু এখন খুব ভালো লাগে।তার কারণ ভালোবাসা।

অভ্রকে হঠাৎ করেই জড়িয়ে ধরলো মেঘাকে।অভ্রের বুকে মাথা রেখে যেনো অসিম সুখ খুঁজে পায়।শান্তিতে দুচোখ বন্ধ আসে।এমন শান্তি সে কোথাও পায়না শুধুমাত্র নামাজ ছারা।
অভ্রও তাকে দুহাতে বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো।দুজনেই চোখ বন্ধ করে ভালোবাসাটা অনুভব করছে।দুজন দুজনকে খুব করে পেতে চাইছে।দু মন মিশে একটি হয়ে গেছে।আজ দুজন পবিত্র ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হলো।

প্রায় ৫ মিনিট পর দুজনের ঘোর ভাঙলো।দুজন দুজনেকে ছেরে দূরে সরে দাঁড়ালো।লজ্জায় মেঘার গাল দুটো কেমন গলুমলু হয়ে গেছে।তা দেখে টেডি স্মাইল দিলো অভ্র।
অভ্র মেঘার হাত ধরে ধীর পায়ে একটু এগিয়ে দোলনায় বসলো।
আজ আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই মেঘা। যা তোমাকে জানা উচিত।তুমি প্লিজ আমার সব কথা শুনবে মন দিয়ে।
অভ্রের কথায় হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ালো মেঘা।

____তোমার আগেও আমার জিবনে একজন এসেছিলো।খুব ভালোবাসতাম তাকে খুব!!!তখন সবে অর্নাস ফাইনাল ইয়ারে উঠেছি।এর কিছুদিন পর অর্নাস ফাস্ট ইয়ারের নবীনবরণ উৎসবে হাজার ছেলে মেয়ের মাঝে চোখ গেলো একটা নীল শাড়ি পরীহিতা মেয়ের উপর।তৎক্ষনাৎ আমি থমকে গেলাম।চোখ দুটো তার দিকেই স্থীর।কিছুক্ষণ পর মাইকের আওয়াজে ধ্যান ভাঙলো আমার।মেয়েটার মুখের হাসির দেখেই প্রথম দিনেই তার প্রেমে পড়ে গেলাম।যাকে বলে লাভ এট ফাস্ট সাইড।এভাবে বেশ কয়েকদিন মেয়েটাকে ফলো করলাম।বন্ধুবান্ধব আমার কান্ডে খুব অবাক।কারণ ভার্সিটির মেয়েদের বড়সর ক্রাশ ছিলাম আমি।সেই সুবাদে অনেক প্রপোস পেয়েছি বাট কাউকেই একসেপ্ট করিনি।কারণ আমার এসবে ফিলিং আসতো না।বাট সেই মেয়েটাকে দেখে অন্যরকম ফিলিং হয়েছিলো।

হঠাৎ একদিন মেয়েটাকে প্রপোজ করে বসলাম।মেয়েটাও সা_নন্দে একসেপ্ট করলো।কারণ সেও আমাকে মনেমনে পছন্দ করলো।চলতে লাগলো আমাদের প্রেম।প্রতিদিন ভার্সিটিতে দেখা করা,মাঝে মাঝে ঘুরতে যাওয়া।প্রতিদিন রাত ১২ টা ১ টা পর্যন্ত ফোনে প্রেমালাপ করা।এইভাবে একবছর চলে গেলো।
শ্রুতির উপর আমি আস্তে আস্তে আরো দূর্বল হয়ে পরলাম।হঠাৎ একদিন আমাকে এসে বললো আমার সাথে সে আর সম্পর্কো রাখতে চায়না।কারণ তার বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে।সে তার বাবা মার কথা ফেলতে পারবেনা।
আমি বলেছিলাম সমস্যা নেই আমি তোমার বাবা—মায়ের সাথে কথা বললবো।কিন্তু সে এতে কিছুতেই রাজি না।কারণ তার বাবা নাকি আমাদের এই সম্পর্কো মেনে নিবেন না। অনেক বোঝানোর পরেও সে নারাজ।

সেদিনের পর থেকে শ্রুতির সাথে অনেক কনট্রাক করার চেষ্টা করেছি।কিন্তু পারিনি।প্রায় আধ পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। কি করবো না করবো।কিভাবে শ্রুতির দেখা পাবো এনিয়ে।হঠাৎ একদিন রাতে আমার বন্ধু রাজিব ফোন দিয়ে বলতেছে শ্রুতি পালিয়েছে।তাও আমারি ঘনিষ্ঠ বন্ধু রায়হানের সাথে।আমার মাথায় বাজ পড়লো।হাত থেকে ফোনটা পড়ে গেলো।স্তব্ধ হয়ে গেলাম।শ্রুতি আমাকে ঠকালো।তার সাথে আমার বন্ধু রায়হান ও।কিভাবে পারলো তারা কিভাবে???সেদিনের পর খুব ভেঙে পরেছিলাম।বাট সেটা ভিতরে ভিতরে।
বাইরে থেকে নিজেকে খুব শক্ত প্রামাণ করেছিলাম।শ্রুতিকে ঘৃণা করতে শুরু করলাম শ্রুতিকে।

ভেবেছিলাম জিবনে আর কারো মায়ায় জড়াবোনা।শ্রুতির মতো মেয়েদের ঘৃণা করতাম আমি।কিন্তু নাহ তার কয়েক বছর তুমি এলে আমার আধার দুনিয়ায় আলো হয়ে।ভালোবাসার রাঙানো প্রদিব হয়ে।
প্রথম প্রথম তোমার বাচ্চামো গুলো দেখে খুব রাগ হতো।বাট ঠিক মনের অজান্তেই তোমায় ভালোবেসে ফেলেছি তা আমি সেদিন বুঝছি যেদিন তুমি রশিদের হাত ধরে ফুটপাতের রাস্তায় হাটছিলে।খুব রাগ হয়েছিলো আমার।সেদিনের পর থেকে অলওয়েজ আনার শুধু তোমার কথাই মনে পড়তো সনেয়ে স্বপনে জাগরণে তুমি ছিলে।আস্তে আস্তে অনুভব করলাম আমহ তোমায় ঠিক কতটা ভালোবাসাসি।যদিও জানতাম তুমি রিদ নামের বেঈমানকে ভালোবাসো।

এটাও জানতাম রিদ তোমায় ভালোবাসে না।ফাস্ট নাটক করছিলো তোমার সাথে।কথাগুলো বলেই বড় শ্বাস নিয়ে বিরতি নিলো অভ্র।
আমি অবাক হয়ে অভ্রের কথাগুলো শুনছিলাম।অভ্রের কষ্টটা আমি অনুভব করতে পারছি কারণ আমি ওই একি কষ্টের সাথে পরিচিত।খুব করে পরিচিত।আমিও যে ঠকেছি। হ্যাঁ ঠকিয়েছে আমায় রিদ ভাইয়া।
____তুমি জানো হুট করে তোমাকে কেন বিয়ে করেছি??
____না তো!!!অবাক হয়ে বললাম আমি।

____তার কারণ রিদ।রিদ আমাকে হুমকি দিয়েছিলো তোমাকে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার।যেদিন তোমরা তোমাদের নানু বাসা গিয়েছিলে সেদিন আমাকে হুমকি দিয়েছিলো রিদ।তাই তার পরের দিনই সুযোগ বুঝে তোমায় বিয়ে করি।কারণ সেদিন রিদ বাসায় ছিলোনা।আমি চাইনি তোমাকে হারাতে।তোমাকে হারানোর ভয় আমার মনে জেঁকে বসেছিলো।তাই ওই সময় হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে ওই কাজটা করতে বাধ্য হই।সরি বউ!!কান ধরে দুষ্ট হেঁসে বললো অভ্র।

অভ্রের মুখে বউ ডাক শুনে আমার মনে এক অসাধারণ ভালোলাগার শিহরণ বয়ে গেলো।এ কেমন এক মিষ্টি অনুভূতি!!! রিদ ভাইয়া এতটা খারাপ।খুব রাগ লাগছে তার উপর।এখন আবার আমার বোনের ঘারে চেপে বসেছে।আল্লাহ তুমি মিঠির মাথা থেকে এই রিদ নামে ভুত নামাও।
____হুম হয়েছে আর সরি বলতে হবে নাহ।আগে এসব বলতে এমন কিছুই হতো না।না আমি আপনাকে আমার জিবনের ভিলেইন মনে করতাম।মুখ ফুলিয়ে বললাম আমি।
আমার কথায় খিলখিল করে হেঁসে চলেছে অভ্র।আমি অভ্রর হাসি মুগ্ধ হয়ে দেখছি।হঠাৎ তার গাল স্পর্শ করলাম।হাসি থেমে গেলো অভ্রের।

আমার কোমড়ের হাত রেখে তার কাছে টেনে নিলো।তার চোখ দুটো আমার চোখ দুটোয় আবদ্ধ। দুজনের মাঝে এক ইঞ্চিও দূরত্ব নেই।সব দুরত্বের অবসান ঘটেছে আজ।
আচমকা আমার ঠোঁটে তার ঠোঁট দুটি চেপে ধরলো।
কেঁপে উঠলাম।কিছুক্ষণ থম মেরে থাকলাম।বাট অভ্রের ভালোবাসাময় স্পর্শে দমে থাকতে পারলাম না।
খুব যত্নে তার ভালোবাসাময় স্পর্শ গুলো অনুভব করতে লাগলাম।

প্রায় ৫ মিনিট পর মেঘার ঠোঁট ছেরে বড়বড় শ্বাস ছাড়ছে অভ্র।সাথে মেঘাও।অনেকদিন পর অভ্রের তৃষ্ণাত্ব হৃদয় তার তৃষ্ণা মেটাতে পেরেছে।নতুন করে তার শুভ্রপরিকে অনুভব করছে অভ্র।
এই চাঁদনি রাতে প্রিয় মানুষের পাশে বসে আছি।একটা রোমান্টিক জানতো গাইতেই পারি তাইনা??বললো অভ্র।

__অভ্রের কথায় মুচকি হাসলাম।
___আমার সাথে তোমাকেও গাইতে হবে।বললো অভ্র।
____হুম।
মেঘা___ বাঁচতে শিখেছে মন তোমাকে পেয়ে
তোমারি ভাবনায় পাই সুখ কুড়িয়ে!
বাঁচতে শিখেছে মন তোমাকে পেয়ে
তোমারি ভাবনায় পাই সুখ কুড়িয়ে!
অভ্র__জানিনা কিভাবে হয়ে গেছি তোমার।
তোমারি ছোঁয়া মন চায় বারে বার।
চলেনা চলি পথ দুজন মিলেএএ।
মেঘা__চেয়েছি পেয়েছি থেকো মন গহীনে
তারে না, বাঁচেনা মন তুমি বিহনে।
অভ্র__ চেয়েছি পেয়েছি থেকো মন গহীনে
পারে না বাঁচেনা মন তুমি বিহনে।
___________বাকিটুকু নিজের দায়িত্ব শুনে নেবেন।

গানটা গাইছে আর দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে।আকাশে আজ হাজারো তারার মেলা বসেছে চাঁদকে উদ্দেশ্য করে।গোল মালার ন্যায় রুপোলি চাঁদটা অনবরত মিটি হেসে চলেছে।চাঁদের রুপলি আলো ক্ষানিকটা এসে পড়েছে দুজনের মুখে।মৃদু বাতাসে উড়ে চলেছে মেঘার লম্বা চুলগুলো।এ যেন এক অমায়িক সুন্দর সুখময় মহূর্ত!!!
মেঘাকে কোলে নিয়ে ছাদ থেকে রুমে এলো অভ্র।
রুমে ঢুকেই একদফা সারপ্রাইজ পেলো অভ্র।দুষ্ট হেসে চোখ মেরে। মেঘাকে বিছানায় বসিয়ে চোখে চোখ রেখে বললো___বাহ আমার বউ তো দেখি এক ধাপ এগিয়ে আছে।এর আগে বাসর তো তোমার জন্যই হয়নি তাই আজ নিজ হাতে বাসরঘর সাজিয়েছে।আমি কিন্তু সারপ্রাইজড।

____লজ্জায় মাথা নিচু করে আছি।লোকটা পারেও বটে।বেলাজ কোথাকার।
___মেঘার পাশে বসে মেঘার কানের দুল খুলতে লাগলো অভ্র।মেঘলা যেন লজ্জায় মিইয়ে গেলো।
তারপর মেঘাকে আস্তে করে শুইয়ে সেও মেঘার উপর সমস্ত ভার দিয়ে শুয়ে মেঘনার ঘারে মুখ গুজে দিলো।ছোট ছোট চুমুতে ভরিয়ে দিতে লাগলো মেঘার ঘাড়,মুখ,গলা,
মেঘা অভ্রের টিশার্ট খামছে ধরে চোখ বুঝে অভ্রের স্পর্শ অনুভব করছে।
কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে ফিসফিসে বললো___মে আই???
অভ্রের কথায় কোনো রেসপন্স করলো না মেঘা।
অভ্র বুঝে নিলো নিরবত সম্মতির লক্ষণ।
ডুবে গেলো দুজন দুজনাতে।পূর্ণতা পেলো আজ দুজনের ভালোবাসা।
__________________এদিকে….

___রিহান আমি আপনাকে নয় মুহিত কে ভালোবাসি।একেকদিন মুহিতকে জেলাসহ ও ওর মুখ থেকে ভালোবাসি শোনার জন্য আপনার সাথে নাটক করেছি।আই এম রিয়েলি সরি।প্লিজ আমায় ক্ষমা করে দিন।মিনতি কন্ঠে বললো নীলা।
____আমি সব জানি নীলা।তোমার আগে আমাকে সব বলেছে মেঘা।তিনদিন আগে আমাকে সব বলেছে মেঘা।রিহানের এমন কথায় চমকে উঠলো নীলা।
____কিহ!!!মেঘলা আপনাকে এসব বলেছে??
____জি ম্যাডাম।তবে মুহিত কিন্তু তোমাকে অনেক ভালোবাসে।
____হুম জানি বাট লোকটা মুখে শিকার করতে চায়না।
আপনার পরিবারকে কি বলে বুঝাবেন??তার এই বিয়ের জন্য কত আশা করে আছে!
____আমি বলেছি এখন আমার তোমাকে ভালে লাগেনা তাই বিয়ে ক্যানসেল।তারা অবশ্য অনেক রাগারাগি করেছে।তবে আমার কথাই তাদের কাছে শেষ কথা।

___সরি।আমার জন্য আপনাকে কতকিছুই না ফেস করতে হচ্ছে।
____আরে সরি বলার কিছু নেই।তোমাদের দুজনকে একসাথে দেখলে আমি অনেক খুশিই হবো।তোমরা সুখি হও।মলিন হেঁসে বললো রিহান।
____হুম।আপনি সুখি হন দোয়া করি।আপনার উপকার কখনো ভুলবোনা।অনেক ভালো আপনি।যে মেয়ে আপনাকে পাবে সে তো ২৪ ক্যারেট সোনার পাওয়ার মতো লাকি হবে।হেঁসে বললো নীলা।
___হুম।মলিন হেঁসে বললো রিহান।
____আচ্ছা বাই
___ওকে।গুড নাইট।

ওপাশ থেকে ফোন কল কাটার আওয়াজের হাফ ছাড়লো রিহান।বুকটা মোচর দিয়ে উঠছে।ভালোবাসার মানুষা তার ভাগ্যে নেই।নীলাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছে রিহান।খুব করে চেয়েছিলো নীলাকে সে।নীলার নীল দুটো চোখের প্রেমে পড়েছিলো রিহান।মেঘার কাছে নীলার আর মুহিতের কথা শুনে তার অক্ষর রিদয় কাছের ন্যায় ভেঙে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিলো।তবুও সে নিজেকে সামলে নিয়েছে।
সে চায় তার ভালোবাসার মানুষটা ভালো থাকুক।
কিছু কিছু মানুষের ভালোবাসা পূর্ণতা পায়না।তাদের মধ্যে আমি হয়তো একজন। মলিন হেঁসে আকাশের দিকে চেয়ে বললো রিহান।

কেটে গেছে ১ মাস। নীলা আর মুহিত সাথে মিঠি আর রিদের বিয়ে।সবাই খুব খুশি।
রিদ নিজেকে অনেকটা গুছিয়ে নিয়েছে।কিন্তু মিঠিকে এখনো ভালোবাসতে পারেনি সে।মিঠি খুব চেষ্টা করছে রিদের ভালোবাসা পাওয়ার।

নীলা আর মুহিতের মধ্যে সব ঠিক হয়ে গিয়েছে।ওরাও খুব খুশি।আর এদিকে রিহান কানাডায় চলে গেছে।ওখানে থেকেই জব করবে সে।হয়তো ভালোবাসার মানুষটার থেকে পালানোর ধান্দা।পারবেনা চোখে সামনে ভালোবাসার মানুষকে অন্যকারো হতে দেখতে।
মেঘা আর অভ্রের দিন গুলো কাটছে ভালোবাসাময়।
দুজন দুজনকে ছারা অচল প্রায়।

(লেখাঃ অস্মিতা রোদৌসি ) এই লেখিকার আরও লেখা গল্প পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন এবং এই গল্পের সিজন ২ পড়তে চাইলেও এখানে ক্লিক করুন