অবশেষে তোমাকে পাওয়া পর্ব ৯

অবশেষে তোমাকে পাওয়া পর্ব ৯
লেখিকা:- তারা ইসলাম

গরমে ঘেমে একাকার হয়ে আছি।তবুও বাসায় যেতে পারছি না মারিয়ার জন্য।ভার্সিটি আসার পর থেকে একটা ক্লাসও করতে পারি’নাই মেয়েটার জন্য।যখন থেকে আসছে তখন থেকেই কান্না করে যাচ্ছে।কতবার জিজ্ঞাস করেছি কেন কান্না করছে?কিন্তু মেয়ের কান্না বন্ধ হচ্ছে না।তাই এবার গালে একটা হালকা চ*ড় দিয়ে বললাম- কি আর কতক্ষণ ন্যাকা কান্না করবি?এবার বন্ধ কর আর বল কি হয়েছে না-হলে কিন্তু লা*থি দিয়ে জাপান পাঠিয়ে দিবো।
“মারিয়া আমার দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে আর ভাঙ্গা গলায় বললো- আমান তো এখনো ফে’রে’নি তাই আমি উনাকে বলেছিলাম যেনো উনি ফি’রে আসেন।কিন্তু আমার কথায় উনি আমাকে ধমক দিয়ে ব্লক করে দিয়েছেন বলেই আবার কাঁদতে লাগলো।

“ওর কথা শুনে মনে মনে রাগ হলো এর জা’তের ছেলে গুলা এমন কেন?ওই লোকে বলে না বেশি ভালোবাসা পে’লে কদর বুঝে না ঠিক সেম অবস্থা হয়েছে তাদের।আমি বললাম- তো কি হয়েছে তাতে তুই কেন কান্না করে ম’রে যাচ্ছিস?নি’ব্বি নাকি তুই?বেশি পাত্তা দিচ্ছিস তো তাই এমন করছে!খবরদার কান্না করবি না”আর একদম সে না আসা পর্যন্ত কথা বলবি না।সারা-জীবন তো ভালোবেসে ম’রে’ছিস এখন বিয়ের পরও শান্তি নেই।আমি ও তোর ভাইয়ের প্রতি দূর্বল হয়ে পরেছিলাম।কিন্তু এখন নিজেকে সামলে নিয়েছি।যে আমাকে বুঝে’না তাকেও আমি বুঝি না।জ্ঞান হারানো মেয়ে হতে পারি অবলা না বলেই ভেংচি কাটলাম।
“মারিয়া আমার দিকে গোল গোল চোখে তাকিয়ে বললো- তুই বলছিস আর কথা না বলার জন্য আমানের সাথে?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“আমি বললাম- হ্যা!
“মারিয়া এবার হেঁচকি তুলে বললো- আমি যে উনাকে ভীষণ ভালোবাসি।কিভাবে ইগনোর করবো?
“মারিয়ার কথা শুনে রেগে ওর গালে কয়েক’টা আস্তে করে চ’ড় লাগিয়ে আমি বললাম- যদি না পারিস আমার সামনে কান্না করবি না।আমি এসব সহ্য করবো না বলে দিলাম।
“মারিয়া আবার কান্নার সুর তুলে বললো- তুই যা বলিস তাই হবে।তোর বুদ্ধি সব সময় কাজে লাগে।
“আমি ওর কথা শুনে ওর গাল দুটো টেনে বললাম- এই তো ভালো মেয়ে আর শুন এদিকে আয় আমান ভাইতো নেই আমি না-হয় তোরে চু’মু টু’মু দি বলতেই সে কান্নার মাঝে খিলখিল করে হেসে উঠলো।ওকে হাসাতে পেরে নিজেও হাসলাম।তারপর আবার হইহই করে বাসায় ফিরলাম।

রাত ১১ টার দিকে রুদ্র বাসায় ফিরেছে।কত গুলা কেস নিয়ে বিজি থাকায় তার আসতে দেরি হয়ে গেছে।কিন্তু বাকি দিন গুলার মতো নূর তার জন্য অপেক্ষা করে’নি সে অনেক আগে ঘুমিয়ে গেছে।সেটা দেখে রুদ্রর বিরক্ত লাগলো কিছুদিন ধরে মেয়েটা অদ্ভুত আচরণ করছে তার আশে-পাশে আসে’না বললেই চলবে।রুদ্রর রাগ হলো রেগেই সে ফ্রেশ হতে চলে গে’লো।
“রুদ্র ফ্রেশ হতে যেতেই নূর চোখ খুললো আর মনে মনে বললো- যতক্ষণ না ভালোবাসবেন ততক্ষণ এই আমিকে আপনি পাবেন না মির্জা সাহেব।সে জেগেই ছিলো রুদ্র বাসায় না আসা পযর্ন্ত ঘুমাতে পারে না।কেন পারে না জানা নেই তার?হাসবেন্ড হয়তো তাই।রুদ্র ফ্রেশ হয়ে বের হতেই নূর চোখ বন্ধ করে নিলো।
“রুদ্র ফ্রেশ হয়ে বিছানায় যেতেই নূরকে ঝাপটে ধরে ঘুমানোর চেষ্টা করলো।নূরের অস্বস্তি লাগলেও সেভাবে শুয়ে রইলো।এখন তার অভ্যাস হয়ে গেছে এভাবে ঘুমানোর তারপরও অস্বস্তি লাগে।
তারপর তারা দুইজনই ঘুমে দেশে তলিয়ে গেলো।

জানালা দিয়ে সূর্যের আলো চোখে পরতেই রুদ্রর ঘুম ছুটে গেলো।সে চোখ ফিটফিট করে হাত দিয়ে বিছানায় নূরকে খুঁজার চেষ্টা করলো নাহ নূর নেই।কিছুদিন ধরে এমনই হচ্ছে যখনই সকালে ঘুম ভাঙ্গে নূরকে সে পাশে পাইনা।রাগে সারা-শরীর রিরি করতে লাগলো রুদ্রর।সে বেশ বুঝতে পেরেছে নূর থাকে ইগনোর করছে।সেটা ভাবতেই তার ইগোতে লাগলো মনে মনে ঠিক করলো এর জন্য তাকে একটা উচিত শিক্ষা দিবে।ফোন হাতে নিয়ে টাইম দেখে নিলো মাএ সকাল ছয়টা।তার থানায় যেতে হবে নয়’টার মধ্যে।সে রে’গে উঠে পরলো তারপর ফ্রেশ হতে চলে গেলো।

“নূর রুমে আসতেই রুদ্রকে বিছানায় না দেখে বুঝে গেলো হয়তো ওয়াশরুমে গেছে।তাই ভালোভাবে বিছানা গুছিয়ে রুমও গুছিয়ে নিলো।আজ থেকে তাকে আর মারিয়াকে কোচিং করতে হবে।অনেক হেলা করেছে এখন করতে পারবে না আর কারণ সামনেই টেস্ট পরিক্ষা।
“রুদ্র ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে নূরকে দেখে স্বস্তি ফেলো।এখন তার ভালো লাগছে!মেয়েটা তাকে দিন দিন পা*গ*ল করে দিচ্ছে।সে কেমন ছিলো আর এখন কেমন হয়ে যাচ্ছে।মেয়েটা আশেপাশে না থাকলে তার রাগ হচ্ছে।সে নূরকে কিছু বলতে যাবে তার আগে নূর তাকে পাশ-কাটিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।এতে রুদ্র অবাকের সাথে সাথে রে’গেও গেলে।রুদ্র ওয়াশরুমের দরজায় জোরে লা*থি দিয়ে বললো- বের হো একবার খু*ন করে ফেলবো একদম।রুদ্র মির্জাকে ইগনোর করা?রাগে কাঁপছে রুদ্র।

“কিন্তু এদিকে নূর ঝর্ণা ছেড়ে দিয়ে মনে মনে বললো- হুহ ঢং দেখে আর বাঁচি না।আমি কথা না বলায় যেনো উনি মা’রা যাচ্ছেন।আমার কাছে কি শা*লা আমারে তো তুই ভালোবাসিস না।নূর রুদ্রর রাগকে বিশেষ পাত্তা দিলো না।এমন রাগ সে দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে গেছে।
“রুদ্র নূরের বের হতে দেরি হওয়ার”রাগে আগেই রেডি হয়ে বেরিয়ে পরলো।মনে মনে ঠিক করে নিলো আজকেই নূরকে একটা টাইড দিতে হবে।ওর দেরি হয়ে যাচ্ছিলো আর নূরকে কিছু না বলেই চলে গেলো।

দুপুর হয়েছে সবেমাত্র খিদে পাওয়ায় রুদ্র থানাতেই ফাইল ঘেটে ঘেটে খাবার খাচ্ছে চামস দিয়ে।ডালিয়ার কেসটা সে সমাধান করে ফেলেছে তাই সে মহাখুশি।ডালিয়া হাসবেন্ডকে রেখে যে ছেলের সাথে পরকীয়া করেছিলো সে ছেলেটাই থাকে ফাঁ*সি’তে ঝু’লিয়ে খু*ন করেছে।আর দেখিয়েছে সেটা একটা সু*ইসা*ইড।কিন্তু ভালোভাবে তদন্ত করায় সে ছেলেটার খুঁজ পাই সেখানের এক কনস্টেবল।ব্যস সব ঝট আপনা-আপনি খুলে যায়।সে ছেলেটাকে আজকে ধরে এনে কয়েকটা দিতেই সে সব ফটফট করে বলে দে।

“রুদ্র খুশি মনে খাচ্ছে আর রাসেলের কেসটা ভালোভাবে স্টাডি করছে।সে বুঝে গেছে এতটুক এইগুলা একা রাসেলের কাজ’না তার পিছনে অনেক বড় কারো হাত আছে।আমান রাসেলকে খুঁজতেছে আজ সাত দিন হয়ে গেলো কিন্তু এখনো তাকে খুঁজে পাই’নি।রুদ্র বুঝে গেলো এবার তাকে মাঠে নামতে হবে।

“রুদ্র এসব ভাবতেই হুট করে তার চোখে নূরের চেহেরা ভেসে উঠলো।সে বার বার নূরকে ভুলতে চেয়েও পারলো না।নূরের করা ইগনোর যেনো তাকে বেপরোয়া করে তুলছে।তাকে একটা আচ্ছা মতো শিক্ষা দিতে ইচ্ছা হচ্ছে।রুদ্র হটাৎ খাওয়া থামিয়ে বুকে হাত দিয়ে নূরের কথা চিন্তা করতেই তার হার্ট দ্রুত চলা শুরু করলো।আর ধুব-ধুব শব্দও হলো।এর মানে কি রুদ্র বুঝতে পারছে না।কেন সে না চাইতেই নূর তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।সে কোনো ভাবে কাজে মন দিতে পারছে না।মন বার বার নূরের দিকে চলে যাচ্ছে।রুদ্র চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে কয়-একবার শ্বাস নিলো তারপর নূরের কথা মাথা থেকে বাদ-দিয়ে খাওয়ায় আর ফাইল দেখায় মনোযোগ দিলো।

আমি আর মারিয়া ভার্সিটি থেকে বের হতেই সেদিনের সে আজাইরা ছেলেটার মুখোমুখি হয়ে গেলাম।কিন্তু আমরা তার পাশ-কাটিয়ে চলে আসতে নিলে উনি বললেন- নূরময়ী আমার তোমার সাথে কিছু কথা ছিলো?পাঁচ-মিনিট কি তোমার সময় হবে?
“উনার কথায় আমি ভ্রু কুচকে ফেললাম তারপর কোমড়ে দুই হাত দিয়ে বললাম- প্রথমত আমাকে নূরময়ী ডাকা বন্ধ করুন।আর দ্বিতীয়ত আপনি না আমাকে চিনেন না আমি আপনাকে তাই তুমি করে বলা বন্ধ করুন।আর তৃতীয়ত আমি বিবাহিত সেখানে একটা পর-পুরুষের সাথে কথা বলতে গেলে আমার হাসবেন্ডের পারমিশন লাগবে।যেটা উনি কখনোই দিবেন না।বলেই মারিয়ার হাত ধরে গাড়ির দিকে হাটা দিলাম।
“রেয়ানের হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হলো নূরের কথায়।তার গলা ধরে এলো সে কিভাবে কি করবে বুঝতে পারছে না।একদিকে তার বোন আরেক দিকে তার ভালোবাসা।সে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চলে গেলো।

ভার্সিটি থেকে আসার পর খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম তারপর ঘুম থেকে উঠে টুকটাক কাজে লেগে পরলাম।এখন অনেকটা ভালোই রান্না করতে পারি।তানিয়া ভাবি একদম পারফেক্ট ভাবে সব শিখিয়ে দিয়েছে।তারপর সন্ধ্যার পর আমি দাদি,শাশুড়ি মা,তানিয়া ভাবি আর মারিয়া মিলে অনেক আড্ডা দিয়েছি।কিন্তু ডিনারের কাজে হেল্প করেই এখন আপাতত পড়তে বসেছি।আমি আর মারিয়া আলাদা বসেছি আজ এক সাথে বসলে আর পড়া হবে না।এক সময় পড়তে পড়তে দশটা বেজে গেছে।শশুড় বাবা আর বড় ভাইয়া বাসায় ফিরেছেন তবে উনাদের সাথে মির্জা সাহেব দেখে আমি অবাক হলাম উনি তো এত তাড়াতাড়ি আসেন’না তবুও আমি সেদিকে পাত্তা না দিয়ে ডিনার পরিবেশন করায় মন দিলাম।

“ডিনারের করার পর সব কিছু গুছিয়ে এগারোটার দিকে রুমে আসলাম।তখন দেখলাম উনি ফোনে মনোযোগী।আমি সেদিকে পাত্তা না দিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।
“ফ্রেশ হয়ে বের হতে না হতেই উনি হাত ধরে টেনে উনার সামনে নিয়ে গেলেন।আচমকা এমন হওয়াতে আমি ভয় পেয়ে গেলাম।তবে নিজেকে সামলে তেজি গলায় বললাম- এভাবে টেনে আনার মানে কি?
“উনি আমার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললেন- এখন খুব সাহস বেড়ে গেছে তাইনা?আমাকে তেজ দেখাচ্ছো?বেশি উড়া ভালো না ঝড়ে পরে যাবে।তারপর আমার মুখ চেপে ধরে বললেন- আমাকে ইগনোর করার মানে কি?

“আমি ব্যথায় চিল্লিয়ে উঠলাম তবে পা*ষা*ণ হৃদয়ের উনি আমার মুখ থেকে হাত সরালেন না।অনেক কষ্ট করে আমার মুখ থেকে উনার হাত ছাড়ালাম।তারপর উনার বুকে জোরে ধা*ক্কা দিয়ে রেগে বললাম- আমি ইগনোর করি বা না করি এতে আপনার কি যায় আসে?কখনো বলেছেন কোথায় জান?কোথায় থাকেন?কি করেন?হ্যা সেটা জানার অধিকারটুকু আমার আছে?না নেই শুধুমাত্র আপনি আমার ওপর অধিকার পলাতে পারবেন।আর আমি অধিকার পলাতে গেলেই ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দেন।শুনুন মিস্টার মির্জা আমি আপনাকে এখন আর ভয় পায়না তাই অহেতুক ভয় দেখা আসবেন না।যখন সব বলবেন যখন ভালোবাসবেন তখন আমার কাছে আসবেন এর আগে আসবেন না বলে দিলাম।

“উনি আমার কথা গুলা শুনে অগ্নি চোখে তাকিয়ে আছেন আমি বিরক্তি নিয়ে বিছানায় বসে চোখ বন্ধ করে রাখলাম ভালো লাগছে না কিছু নিজেকে হাস্যকর আর মূল্যহীন মনে হচ্ছে।
“আমি চোখ বন্ধ করতে অনুভব করলাম আমার কপালে কিছু ঠে*কা*নো আমি তাড়াতাড়ি করে চোখ খুলতেই চমকে উঠলাম।আর ভয়ে থরথর করে কাঁপতে লাগলাম।
“উনি রাগি চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।আর উনার সে বিখ্যাত পি*স্ত*ল আমার কপালে ঠে*কা*নো।

“উনি পি*স্ত*লের ট্রি’গা’রে আঙ্গুল দিয়ে রাগি গলায় বললেন- ঠু*কে দি?বেশি সাহস বেড়েগেছে তাইনা তোমার?এখন মুখে মুখে তর্কও করছো রুদ্র মির্জার সাথে?ইউ ইস্টুপিট গার্ল ভালোবাসা বললেই হয়ে যায়’না এর জন্য সময় লাগে।আমি তোমাকে কি হুট করে ভালোবাসতে পারবো?সময়ের প্রয়োজন সব বুঝলে নাকি আমি তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিচ্ছি যে এমন বিহেভ করছো?উনি আরও রেগে চিল্লিয়ে ধমকাতেই আমি জ্ঞান হারিয়ে বিছানায় ঢলে পরলাম।আমার জ্ঞান হারানো দেখে রুদ্র কপালে চা*প*ড় দিলো আর মনে মনে বললো- কপাল করে একটা বউ পেয়েছি।

আমি কান্না করছি বসে বসে আর উনি আমার দিকে একমনে তাকিয়ে আছেন।কিছুক্ষণ আগেই এক-গ্লাস পানি আমার ওপর ঢেলে দিয়ে আমার জ্ঞান ফিরিয়েছেন।আর তার ফলে আমার কাপড় ভিজে গেছে খানিকটা।আর এখনো আমার সে ভয়ংকর মুহুর্তটা মনে পরতেই আমি ভয়ে কেঁপে কেঁপে উঠছি।আমি ভীষণ ভয় পায় পি*স্ত*লকে সেটা একটা আমার দূর্বলতা।উনি সব সময় আমার দূর্বলতায় আঘাত করেন আর আমি ভয়ে চুপসে যায়।
“রুদ্র মুখে হাত দিয়ে নূরকে পুরোপুরি স্কেন করে মনে মনে ভাবলো- পুলিশের ভয় হয়ে সে পি*স্ত*ল কে ভয় পায়।আল্লাহ যদি আমার সত্যটা জানতে পারে তখন তার কি অবস্থা হবে কে জানে?
“রুদ্র ওর কান্না আর সহ্য করতে না পেরে বললো- কান্না বন্ধ করবা নাকি আমি অন্য ব্যবস্থা নিবো?

“উনার কথা শুনে চমকে উঠে উনার দিকে তাকিয়ে বললাম- আপনার পায়ে ধরি ওমন আর করবেন না।আমি প্রমিস করছি আর জীবনেও আপনাকে ইগনোর করবো না।দরকার হলে সব-সময় আপনার পিছন পিছন ঘুরঘুর করবো।বলেই মুখ চেপে কেঁদে উঠলাম।
“রুদ্র এবার বাঁকা হেসে নূরকে আলতো জড়িয়ে ধরে বললো- অনেক হয়েছে তোমার কান্না।এবার আসো একটু আদর করি।
“উনার কথা শুনে লজ্জায় আর উনার দিকে তাকালাম না

শেষ-রাতের দিকে রুদ্র বিরক্ত নিয়ে তাকিয়ে আছে কান্না করতে থাকা নূরের দিকে।রুদ্র এবার রেগে বললো- কান্না বন্ধ করো না হলে একটা মা*ই*রও নিচে পরবে না বলে দিলাম।
“নূর রেগে ঝাঁপিয়ে পরলো রুদ্রের ওপর তারপর এ’লো*পা’থা*ড়ি মা’র’তে মা’র’তে বললো- বলেছিলাম না যতদিন না আপনি আমাকে ভালোবাসেন!ততদিন পর্যন্ত আমার কাছে আসবেন না।
“আমার কথা শুনে উনি হটাৎ উচ্চসরে হেসে উঠলেন তারপর আমার হাতদুটো ধরে আমাকে বিছানার সাথে চেপে ধরে বললেন- চু*র পালিয়ে গেলে নাকি বুদ্ধি বাড়ে সে অবস্থা হয়েছে তোমার।এখন কান্নার মানে কি বলে আবার হেসে উঠলেন।
“উনার কথার মানে বুঝতে পেরে বোকা বনে গেলাম।তার সাথে লজ্জায় আমি অন্যদিকে চোখ ফেরালাম।

“কিন্তু উনি আমার নাকের সাথে উনার নাক ঘষে হটাৎ গেয়ে উঠলেন~~~~~~ তুমি আকাশের বুকে বিশালতার উপমা~~~~তুমি আমার চোখেতে সরলতার প্রতিমা~~~আমি তোমাকে গড়ি ভেঙ্গেচুরে শতবার রেয়েছো তুমি বহুদূরে…(বাকিটা আপনারা নিজ দায়িত্বে শুনে নিবেন)
“এমন একটা পরিস্থিতিতে উনার এমন ধারা গান শুনে চমকে গেলাম।তার চাইতেও বেশি চমকালাম উনার কন্ঠে গান শুনে।
“আমি অবাক হয়ে উনার দিকে তাকিয়ে আছি আর উনি আমার তাকানো দেখে হেসে যাচ্ছেন……

অবশেষে তোমাকে পাওয়া পর্ব ৮

(ভুল ক্রুটি ক্ষমা করবেন।ভুল গুলা ধরিয়ে দিবেন)
(আজ বিশাল বড় একটা পর্ব দিয়েছি।গত-পর্বটা আমার একদম মন মতো না হাওয়ার ফলে আজকের পর্বটা একদম মন দিয়ে লিখেছি।আজকের পর্বটা কেন জানি আমার বেশ ভালো লেগেছে।আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।আরেকটা কথা আমি বলতে চাই আমি আরও কয়েকটা পর্ব রুদ্রনূরময় করে লিখতে চাই।কারণ তাদের চরিএ,কেমিস্ট্রি,সম্পর্ক ভালোবাসা সব আমি ক্লিয়ার ভাবে ফুটিয়ে তুলতে চাই।কিন্তু কথা দিচ্ছি বোর করাবো না আপনাদের।আমি সব কাহিনী গুছানোর কিংবা সামনে যে ঝাটকা আসছে তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাদের কেমিস্ট্রি।আর হ্যা গল্পটা যদি আপনাদের ভালো না লাগে কিংবা বাড়াবাড়ি মনে হয় তাহলে অগ্রিম দুঃখিত।আজ বেশ কষ্ট করে লিখেছি পর্বটা তাই ভালো কিংবা মন্দ যেটাই লাগে সেটাই মন্তব্য করবেন)

অবশেষে তোমাকে পাওয়া পর্ব ১০