অবাধ্য প্রেম পর্ব ৪৩

অবাধ্য প্রেম পর্ব ৪৩
নন্দিনী নীলা

দুজনে মুখোমুখি বসে আছি। ছেলেদের সাথে কথা খুব একটা বলি না বলে অভ্যাস নাই। এজন্য কথা বলতে আমার অস্বস্তি হয়। আজকে ও আমার অস্বস্তি হচ্ছে কিন্তু ছেলেটার উপর তীব্র রাগের জন্য আমি সেসবকে পাত্তা না দিয়ে অনেক সাহস দেখিয়ে জোর করে ছেলের সামনে বসে আছি। এই ছেলেটার জন্য আমার মান সম্মান সব ধুলোয় মিশে যাচ্ছে।
আমি মাথা নিচু করে হাত মুচরাচ্ছি আর কিভাবে কি বলবো সেই সব গোছাচ্ছি তখনই ছেলেটার দিক থেকে আওয়াজ আসে।

‘কিছু বলবে?’
ছেলেটার কণ্ঠস্বর শুনে আমি ফট করে চোখ তুলে তাকায়।
আমতা আমতা গলায় বলি, ‘ আপনি আমাকে ফলো করেন কেন? আর প্রতিদিন সকাল বিকাল কলেজের সামনে ওমন করে দাঁড়িয়ে থাকেন কেন?’

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

ছেলেটা প্রশ্ন করে, ‘কেমন করে দাঁড়িয়ে থাকি?’
আমি ক্ষিপ্ত গলায় বললাম, ‘ পাল্টা প্রশ্ন করছেন কেন? আপনার জন্য কলেজে আমাকে প্রতিদিন হেনস্তা হতে হচ্ছে। একটা গার্লস কলেজের সামনে আপনি একটা ছেলে হয়ে কিভাবে দাঁড়িয়ে থাকেন? আপনার কি একটু লজ্জা করে না ? আপনার না হয় লজ্জা নাই থাকতে পারে কিন্তু আমার আছে।

আপনার জন্য সবার চোখে আমি কালারে পড়ে যাচ্ছি। সবাই আমাকে নিয়ে গুঞ্জন করে। আপনার সাথে নাকি আমার রিলেশন আছে। আমি নাকি কলেজে এসে পাত্তা দেই না। কিন্তু বাইরে আপনার সাথে অনেক গভীর সম্পর্ক ইস সেসব বলতে পারছি না। কয়েক দিনের মধ্যে স্যার রাও হয়তো জেনে যাবে। আপনাকে না চিনি আর না কখনো কথা বলছি। কিছু না করে সবার চোখে আমি কালারে চলে যাচ্ছি। এবার বলুন আপনি কেন আমাকে এভাবে সবার চোখে খারাপ করছেন?’

সামনে বসা ছেলেটা গভীর মনোযোগ দিয়ে আমার কথাগুলো শুনলো। আর আমি এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো বলেই স্বস্তি নিলাম। আমার কথা শেষ হতে সে বলল,’ হোটেলে যেহেতু বসেছি। চা বা কফি কিছু একটা তো অর্ডার দেওয়াই যায়। কোনটা খাবে?’

এদিকে আমি আছি রাগের সপ্তম আসমানে আর
উনি আছে চা কফি নিয়ে আমি রাগী চোখে তাকিয়ে আছি‌।
তিনি আমার উত্তরের অপেক্ষা করলো না দুই কাপ চা অর্ডার দিয়ে দিল। আমি তখন দাঁতে দাঁত চেপে বললাম, ‘আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে চা অর্ডার দিচ্ছেন কেন? আমি আপনার সাথে বসে চা খেতে আসিনি। আপনার জন্য আমার প্রথম ক্লাস মিস গেছে। এজন্য হয়তো আমাকে কাল শাস্তি পেতে হবে। তাও আমি যাচ্ছি না। কারণ আপনি কেন এমন করছেন তা জানাটা অতীব জরুরি।’

চা আসা না পর্যন্ত ছেলেটার মুখ দিয়ে আমি একটা কথা ও বের করতে পারলাম না। চা এলো ছেলেটা চায়ে চুমুক দিল আর আমি এদিকে রাগে গজগজ করছি। অবশেষে ছেলেটার মুখ দিয়ে কথা বের হলো।
‘একটা ছেলে ঝড় বৃষ্টি সবকিছু উপেক্ষা করে। প্রতিদিন সকাল বিকাল কেন একটা গার্লস কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে তুমি বোঝনা?’

আমি ঢোক গিলে অবুঝ গলায় বললাম, ‘না তো কেন দাঁড়িয়ে থাকে?’
ছেলেটা বিস্মিত গলায় বলল, ‘ কলেজে পড়ো তুমি কি এখনো বাচ্চাটি আছো? যে তুমি কিছুই বুঝবে না!’
আমি অস্বীকার করে বললাম, ‘জানিনা জানতে চায় না। আপনি আর কখনো আমাদের কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকবেন না। আপনার জন্য আমাকে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। অনেক কথা শুনতে হয়েছে। অনেক অপমানিত হতে হয়েছে। আমি আর অপমানিত হতে চাই না।’

ছেলেটা বলল, ‘ তোমার জন্য আমি কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি কে বলেছে তোমাকে?’
আমি চমকে উঠলাম কথা শুনে। অবাক চোখে ছেলেটার দিকে তাকালাম। ছেলেটা আমার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে। তার হাসি দেখে আমি খুব লজ্জা পেলাম তবুও বললাম, ‘কি বলতে চান? আপনি আমার জন্য দাঁড়ান নি? অন্য কারো জন্য দাঁড়িয়েছেন! এটা আমাকে বিশ্বাস করতে হবে! আমি কেন কলেজের সবাই জানে আপনি ওইখানে দাঁড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতেন।’

এবার ছেলেটা মুখের হাসি আরও প্রশস্ত করে বলল, ‘রিয়েলি আমি তোমার দিকে তাকিয়ে থাকতাম?’
আমি দ্রুতই উত্তর দিলাম, ‘অবশ্যই!
‘আচ্ছা আমি যদি তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি। সেটা তুমি লক্ষ্য করলে কিভাবে? তার মানে তুমিও কি আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে?’

আমি হতবুদ্ধি চোখে ছেলেটার দিকে তাকালাম। কিভাবে ছেলেটা আমাকে উল্টা ফাসিয়ে দিচ্ছে।
এবার আমি কাঁদো কাঁদো গলায় বললাম, ‘আপনি আমাকে ফাঁসাচ্ছেন কেন? আমি শুধু দুই এক বার তাকিয়ে দেখেছি আপনি আমার দিকে তাকিয়েছেন কিনা। আর অন্যরা আমাকে বলেছে আপনি আমার দিকে তাকিয়ে থাকেন।’

‘অন্যরা তো তোমাকে মিথ্যা বলতে পারে? আর তুমি দুই-একবার তাকিয়ে আমাকে জাজ করে নিলে আমি তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি। কলেজে এত মেয়ের মাঝে অন্য কারো দিকেও তো তাকিয়ে থাকতে পারি। হয়তো দুই একবার তোমার দিকে তাকিয়ে ছিলাম তখনই তুমি আমাকে দেখেছো। আর আমাকে কখনো তোমার সাথে কথা বলতে আসতে দেখেছো?

তোমার দিকে তাকিয়ে থাকলে অবশ্যই তোমার সাথে পরে কথা বলার চেষ্টা করতাম। শুধু শুধু এখানে দাঁড়িয়ে কেন থাকব? আর কত দিনে বা দাড়িরে থাকবো দাঁড়িয়ে থেকেই কে আমি প্রেম,বিয়ে সেরে ফেলব নাকি।’

আমি এবার চিন্তিত মুখে বসে আছি। তাহলে কি সবার আর আমার ধারণা ভুল। এই ছেলে অন্য কোন মেয়ের জন্য দাঁড়িয়েছিল আর সেটা আমি ভেবেছি আমার জন্য। ছি ছি ছি ছেলেটা আমাকে কি ভাবছে ? যে সে ছেলেটাকে নিজের দিকে টেনে নিয়েছি। আমি তো সেই দিন ও ভাবছি ছেলেটা আমার জন্য দাঁড়িয়ে থাকলে আমার সাথে কেন একবার কথা বলতে আসল না।

নিশ্চয় অন্য কারো জন্য সবার ধারণা ভুল ইস ভাবনা টা আগে কেন নিলাম না কথা বলতে চলে এলাম ছেলেটার সাথে। ছেলেটা এখন আমাকে কি ভাবছে। আমি হয়তো ছেলেটাকে পছন্দ করি। মান সম্মান বাঁচাতে এসে দেখা যায় মান সম্মান আরো ডোবালাম। অসহার মুখে ছেলেটা দিকে তাকিয়ে বললাম,’ তার মানে আমার ধারণা ভুল? আমাকে ক্ষমা করে দিবেন আমি সরি।’

আমি আর কোন দিকে না তাকিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে একপ্রকার দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু ছেলেটা সেই মুহূর্তে আমাকে ডেকে ওঠে, ‘লিলি!’
আমি থমকে দাঁড়িয়ে পেছন ফিরে তাকাতেই ছেলেটা বলে উঠে, ‘ইউ আর রাইট। আই লাভ ইউ লিলি!’

আমি হতবিহ্বল চোখে তাকিয়ে আছি ছেলেটার দিকে। আমি কথা শুনে প্রচন্ড রেগে যায়। এইমাত্র আমাকে অন্য জিনিস বোঝাচ্ছিল আর এখনই ভালবাসি বলছে আমি রেগে কঠিন কথা বলতে আবার টেবিলের কাছে যাচ্ছিলাম……
লিলি প্রেম কাহিনী শোনায় বাঁধা প্রদান করল নিবিড়। অনেকক্ষণ ধরেই ফোন দিচ্ছে কিন্তু আমি ধরছি না কারণ আমার ওর কল ধরার কোনরকম ইচ্ছা নাই। তাই বারবার কেটে দিয়েছিলাম নিবিড় এবার মেসেজ করেছে,

‘ ছোঁয়া জান কলটা রিসিভ করো। না হলে কিন্তু আমি পরীক্ষা দিতে না গিয়ে তোমার বাসায় চলে আসব। তুমি নিশ্চয়ই চাইবে না তোমার জন্য আমার একটা বছর নষ্ট হোক।’

পরিক্ষা তার আর চিন্তা করতে হবে আমাকে। রাগে মন চাচ্ছে এখন ফোনটা একটা আছাড় মারি। আবার কল বেজে উঠল এক প্রকার বাধ্য হয়ে কলটা রিসিভ করতে হলো। লিলি কথা থামিয়ে বেলকনিতে চলে গেছে পুরনো প্রেমিকের কথা মনে করে বেচারির মন খারাপ। আহ কি প্রেম!

ফোন কানে নিতেই নিবিড়ের গর্জে ওঠা কন্ঠ
বলল, ‘ ছোঁয়া তুমি কিন্তু কথা দিয়েছিলে আমার ফোন তুমি রিসিভ করবে। আমি যখনই কল দেবো তখনই ফোন রিসিভ হবে। আজ তাহলে কথার খেলাপ করলে কেন? তুমি জানো না আজকে আমার এক্সাম। আমি তোমায় বলেছিলাম পরীক্ষা দেওয়ার আগে তোমার সাথে আমি পাঁচ মিনিট কথা বলে পরীক্ষা জন্য বের হব। তুমি কিন্তু কাজটা ঠিক করছো না আমাকে রাগিয়ে তুমি লিমিট ক্রস করতে বাধ্য করো না।’

আমার মন চাচ্ছে রাগে এখন নিবিড় কে সামনে পেলে ওর চুল উঠিয়ে ফেলতে। কিন্তু সেটা তো সম্ভব না কথা দিয়েছি রাখতেই হবে।
‘শুনুন আমি আপনার মত না। ছোঁয়া নিজের কথা রাখতে জানে। আপনি আমাকে ব্ল্যাকমেল করিয়ে কথা নিয়েছেন তো আচ্ছা আমি বলেছি তো আপনার সাথে আমি প্রতিদিন পরীক্ষার দিনেই শুধুমাত্র ৫ মিনিট করে কথা বলব। আর আজকে আমি কলটা ধরছিলাম না।

আমি একটু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছিলাম। আর আপনার জন্য আমার কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে এর জন্য আমি বারবার ফোন কেটে দিচ্ছিলাম। এবার আপনি যান। পরীক্ষা আপনার আর নাকানি চুবানি তো আমাকে খাওয়াচ্ছেন। আপনি পরীক্ষা দিয়ে ভাল রেজাল্ট করলে আমারে কি লাভ হবে আমি সেটাই জানিনা।

কিন্তু আপনার জন্য আমাকে সাফার ঠিকই করতে হচ্ছে। আর নিজেও ফেঁসে গেছি আপনি তো ফাঁসাতে পারেন ভালো। ফেঁসে গিয়ে এখন কপাল চাপলে আর লাভ কি?’
‘একটা সুন্দর করে কথা বল এমন ধমকে ধমকে কথা বললেই কি আর আমার পরীক্ষা ভালো হবে? আমি তোমার ধমক গুলো মনে করে তো কিছু লিখতে পারবো না। একটু মিষ্টি মিষ্টি করে কথা বলো। সোনা, জানু বলে তাহলে না পরীক্ষা আমার সেই রকম হবে।’

‘ কথা বলেছি এই বেশি। আবার আসছেন মিষ্টি কথা নিয়ে। আমার মুখ দিয়ে মিষ্টি মিষ্টি কথা বের হয় না।’
‘ আমি নিশ্চিত তোমার মা তোমার মুখে প্রথমে মিষ্টি দেয়নি তোমার মুখ তিতা জিনিস দিছিল এজন্য তিতা কথা বের হয় শুধু।’
‘এবার আপনি যাবেন ১০ মিনিট হয়ে গেল কিন্তু।’

‘আধা ঘন্টা ধরে তুমি আমাকে ওয়েট করিয়েছো। কল রিসিভ করেনি। এখন তো আধা ঘন্টায় কথা হবে। আর আজকে অন্তত বল নিবিড় লাভ ইউ। সত্যি বলছি তুমি কথাট বললেই আমার পরীক্ষা সেই রকম হবে ফাস্ট ক্লাস পেতে কেউ আটকাতে পারবেনা। এই ছোঁয়া বলো না।’

‘ আচ্ছা বলছি।’
নিবিড় খুশিতে বাকবাকুম করছে। আমি রাজি হয়েছি শুনে‌। আমি এত তাড়াতাড়ি কি করে রাজি হয়ে গেলাম ও বিশ্বাস করতে পারছে না।
নিবিড় বিস্মিত সুরে বলল, ‘ ছোঁয়া আর ইউ সিরিয়াস তুমি রাজি হয়ে গেছো? এক কথায় রাজি হয়ে গেলে আমি তো বিলিভ করতে পারছি না!’

নিবিড় নিজের মনের সুখে কথা বলে যাচ্ছে। খুশি মনে ও তো বিশ্বাস করতে পারছে না এসব বলে যাচ্ছে। আমি দাঁতে দাঁত চেপে বললাম, নিবিড় আই হেট ইউ।’
নিবিড়ের আনন্দিত মনটা ঠাস করে কালো হয়ে গেল। পাংশুটে করে কিছু বলতে যাবে আমি কল কেটে দিয়েছি বলার আর সুযোগ পেল না বেচারা।

নিবিড়ের বাসা থেকে চলে আসার দুদিন পর নিবিড় লিলিদের বাসায় এসে হাজির হয়। নিবিড় কে দেখে তো আমি চমকে উঠি কিছু বলতে যাব নিবিড় আমাকে ধাক্কা দিয়ে রুমের ভেতরে ঢুকিয়ে নিজেও রুমের ভেতরে ঢুকে পড়ে আর দরজার ছিটকারি লাগিয়ে দেয়।

আমি নিবিড়ের পেছনে দাঁড়িয়ে বলি, ‘ আপনি এখানে কি করছেন? দরজা লাগাচ্ছেন কেন?বের হোন বাসা থেকে!’
নিবিড় আমার প্রশ্নের উত্তর দেয় না। কিন্তু হাচমকা আমাকে টেনে দেয়ালে ঠেসে ধরে। আর এক হাতে আমার গলা চেপে ধরে শক্ত করে। ব্যথায় আমি চোখ বন্ধ করে ফেলি। নিবিড় দাঁতে দাঁত চেপে কঠোর সরে বলে, ‘আজ এখানেই গলা টিপে মেরে ফেলবো। আমার থেকে দূরে যাওয়ার জন্য তুমি বাসা ছেড়েছো তাই না? কি ভেবেছো বাসা ছারলেই তুমি নিবিড়ের থেকে দূরে চলে যেতে পারবে এতই সোজা?’

এত জোরে গলা চেপে ধরেছে যে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। আমি কথা বলতে পারছি না তবুও আমি টেনে টেনে বললাম, ছাএএড়ুন
‘আগে বল আমার অনুপস্থিতিতে তুই বাসা ছাড়লি কেন?’ নিবিড়ের রাগ দেখে আমি মিইয়ে যাচ্ছি। দম বন্ধ হয়ে মনে হচ্ছে মরে যাব। আর 2 মিনিটে এইভাবে থাকলে আমি নিশ্চিত মরে যাব।

কিন্তু লাস্ট মুহূর্তে নিবিড় আমার গলা ছেড়ে দেয়। আমি গলা ধরে খক খক করে কেশে উঠি। জীবন মরণের মাঝখানে ছিলাম খুব ভয় পেয়ে গেছি। নিবিড়কে অনেক সময় রাগ করতে দেখেছি কিন্তু এতটা রাগ আর ভয়ঙ্কর রূপ মনে হয় নি কখনো।

অবাধ্য প্রেম পর্ব ৪২

আজকে প্রথম দেখলাম এমন রুপ। আমি ভীতু চোখে নিবিড়ের দিকে তাকিয়ে দেখলাম নিবিড় দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে নিজের রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে। আমি দূরে সরে দাঁড়িয়ে আছি ভয়ার্ত মুখ করে‌।

অবাধ্য প্রেম পর্ব ৪৪