অবাধ্য প্রেম পর্ব ৪৪

অবাধ্য প্রেম পর্ব ৪৪
নন্দিনী নীলা

নিবিড় আমার দিকে ফিরতেই আমার হৃদপিণ্ড কেঁপে ওঠে আমি ভয়ে দুপা পিছিয়ে যায়।
নিবিড় খুব কোমল গলায় আমার দিকে তাকিয়ে বলে,, ‘এক গ্লাস পানি দাও তো।’
আমি চকিতে মাথা তুলে তাকায়। নিবিড় আমাকে নড়াচড়া করতে দেখল না উল্টা স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলল,

‘কিছু বলছি কানে যাচ্ছেনা?’
আমি নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছি। নিবিড়ের পানি আমি কিভাবে এনে দেবো? আমি তো নড়তেই পারছি না। আমার হাত পা চলছে না নিবিড় কে দেখলে আমার কেমন ভয় করছে। লোকটা মাঝে মাঝেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। চেনার উপায় থাকে না তখন।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

নিবিড় আরেকবার চাইলো কিন্তু আমি নড়লাম না। আমি জানি এবার নিবিড় আবার রেগে যাবে হয়তো আমাকে ধমক দিবে। দিক ধমক। আমি ধমক শোনার জন্য মাথা নিচু করে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে। তবু আমি নড়তে পারবো না।
নিবিড় বিরক্ত নাক মুখ কুচকে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে নিজে ই আমার ছোট কিচেন রুম টাই চলে গেল। ফিরে এলো পানির বোতল ও গ্লাস ভর্তি পানি নিয়ে। ফ্লোরে রেখে আমার কাছে এল আমি ভয়ার্ত মুখ করে নিবিড়ের দিকে তাকালাম।
নিবিড় বলল, ‘ এখানে বসো।’

নিবিড় আমাকে আমার পাতা বিছানা দেখিয়ে বলল আমি নড়লাম না শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। তার কথায় কোনো ভাবান্তর না করায় নিবিড় কিছুটা রেগে আমাকে টেনে জোর করে বসিয়ে দিল।

শুধু বসেই কি খান্তো। এতক্ষণ গলা টিপে মারছে তে চেয়েছিল। আর এখন আহ্লাদ ভালোবাসা দেখিয়ে আমার সেবা করা হচ্ছে। আমাকে জোর করে পানি খাওয়ালো। আমিতো খাবোই না সামনে থেকে বারবার গ্লাস সরিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু নিবিড় আমার গাল চেপে পানি খাইয়েছে।

আমি আগুন চোখে নিবিড়ের এদিকে দৃষ্টি ফেলেছি। নিবিড় আমার দৃষ্টিকে উপেক্ষা করে টেনে আমার গলা চেক করেছে।
আমি কপট রাগ দেখিয়ে বললাম, ‘ জুতা মেরে গরু দান করতে হবে না।’
নিবিড় আমার পানে চেয়ে বলল, ‘আমি তোমায় জুতা মারলাম কখন? আর গরুইবা কোথায় আনলাম!’

আমি দাঁত কিড়মিড় করে অন্যদিকে চেয়ে আছি। অজান্তে আমার চোখ দিয়ে এক ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। নিবিড় আমার চোখে পানি দেখে নরম হয়ে গেল।
ওর সমস্ত রাগ উবে গেল।

আমাকে নরম কন্ঠে জিজ্ঞেস করল, ‘: ব্যথা কি বেশি পেয়েছ?’
আমি ক্ষ্যাপা বাহিনীর মতো নিবিড়ের দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘আপনি মানুষ মেরে ফেলে বলবেন মরতে কি বেশি কষ্ট হয়েছে?’

নিবিড় বলল, ‘ আমার রাগ করাটা কি স্বাভাবিক না? তুমি যা করেছো সেটার পরে কি আমি রাগ করতে পারি না?’
‘না পারেন না। আমি যা করেছি একদম ঠিক করেছি। আর আপনি আমার উপর এইভাবে রাগ দেখাতে পারেন না। আপনি বাসায় ঢুকেছেন কিভাবে সেটা আমাকে আগে বলেন।’

‘তোমার বাসায় ঢোকা আর কি ব্যাপার। কিন্তু আজকে তো মিথ্যা কথা বলে বাসায় ঢুকতে হয়েছে। বাসাটা নিচ তলায় নিয়ে ভালো করেছো আমি যখন খুশি তখন চাইলেই চলে আসতে পারবো সবার অগোচরে প্রেম করতে। কিন্তু আজকে এসেছি আমার এক ফ্রেন্ডের সাথে ওর খালার বাড়ি চার তলায়।ও না থাকলে হয়তো আমি বাসার ভেতরে ঢুকতে পারতাম না খুব ঝামেলা করতে হতো।’

‘আমার সবাইকে বলে আসা উচিত হয়নি আমি বাসায় কোথায় নিয়েছি।’
‘কাউকে না বলে আসলেও তোমাকে খুঁজে বের করা আমার ব্যাপার ছিল না। আর একটা কথা শোনো। মাইশা তোমাকে কি কি বলেছে আমি সব জেনে গেছি।’

‘ কিভাবে জানলেন?’ বিস্মিত কন্ঠে বললাম।
নিবিড় বলল, ‘ পরে বলি। আমি একটু আসতেছি দরজা খুলিও।’
বলেই নিবিড় দরজা খোলে চলে যায়। আমি হাঁ করে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকি। একটু বাদে ব্যথার মলম নিয়ে ফিরে আসে। আমার হাতে মলম দিয়ে বলে এটা লাগিয়ে নিও। আমি রাগে ফুঁসছি।

‘আপনার মলম আপনি লাগান আমার লাগবে না। সস্তা আদিখ্যেতা আমার সহ্য হয় না।’
‘আদিখ্যেতা না এটা ভালোবাসা!’
আমি কিছু বলতে গিয়েও আমার মাইশার ব্যাপারটা জিজ্ঞেস করলাম। নিবিড় বলল না। এই লোকটা এমনই আমি জানতাম বলবে না।

শুধু বলল, ‘বাসা ছেড়েছো ভালোই হয়েছে এখন প্রেম করার জন্য তোমার বাসায় আমার যাতায়াত চলবে। আমার নাম্বার হয়তো ব্লকলিস্টে করেছো। আমি লিস্ট থেকে ছাড়িয়ে নিচ্ছি। আর ব্লক করার চেষ্টাও করবে না। আর ফোন দিলেই ফোন রিসিভ করবে। কথাটা যেন মাথায় থাকে।

আমি অবাক গলায় বলল, ‘ মগের মুল্লুক পেয়েছেন? আপনি বলবেন আর আমি আপনার ফোন রিসিভ করতে যাব! আবার ব্লক করে দিব‌।’
‘শোন, যদি আমার ভালোবাসা একসেপ্ট না কর। আমাকে যদি অসহ্য মনে করে এড়িয়ে চলো। তাহলে কিন্তু তোমাকে ফাঁসানোর অস্ত্র আমার হাতে আছে।’

‘শুনুন আমাকে আজাইরা ডায়লগ দিতে আসবেন না। আমাকে ফাঁসানোর কিছু আপনার কাছে নাই। অনেক ব্ল্যাকমেল করেছেন। আপনার কোন কথা আমি কানে নেব না। আপনি এবার বের হন আমার বাসা থেকে। একজন অবিবাহিতা মেয়ে রুমে এসে আপনি যা করছেন এসব বাইরের লোকে জানলে আর মুখ দেখানোর জো থাকবে না। আপনি তো এটাই চান আমি সবার সামনে খারাপ হই। এর জন্যই তো এসব শুরু করেছেন আলগা পিরিত দেখাচ্ছেন।’

আমার কথা শুনে নিবিড়ের মেজাজ গরম হয়ে গেল। কিন্তু তবুও শান্ত থাকার চেষ্টা করল আমার ওপর আর রাগ দেখালো না। শুধু কঠিন স্বরে বলুন, ‘আমি ঠান্ডা আছি ঠান্ডা থাকতে দাও আমার মুডটা ঘুরিয়ে দিও না।’
‘নিজের রাগ, ঠান্ডা, নিজের ভালোবাসা সবকিছু অন্য কোথাও দেখান।এখানে প্রয়োগ করতে আসবেন না।’

‘অপাত্রে দান করবো নাকি যেখানে আমার যা সেখানেই তো প্রয়োগ করতে হবে। আর তুমি যদি আমার কথা না শোনো এবার ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল নয় এবার হুমকি দিচ্ছি। তোমার মামী কার সাথে যেন তোমার বিয়ে ঠিক করছিল ছেলেটা শুনছিলাম বখাটে গুন্ডা, মনে আছে সেই সুপুরুষের কথা। ওর সাথে কিন্তু আমার কন্টাক্ট আছে। ওকে তোমার ঠিকানা দিতে আমি দুইবার ভাববো না। আমাকে মেনে না নিলে। ওই বকাটে গুন্ডা টার বউ হওয়ার স্বপ্ন তোমার সত্যি করে দেব আমি।’

আমি ভয়াত কন্ঠে বললাম, ‘ওই শয়তান টার সাথে আপনি আমার বিয়ে দিতে চান?’
‘অবশ্যই না তোমাকে তো আমি আমার বউ করতে চাই। কিন্তু যদি আমাকে মেনে না নাও তাহলে ওর বউ করে দেবো। একজনের ভালোবাসা তো সফল করতে হবে তাই না।

ও বখাটে গুন্ডা হলেও কিন্তু তোমাকে রিয়েল লাভ করে। আহারে বেচারা ছেলেটার জন্য আমার মায়া হয়। তোমাকে যদি নিজের জন্য সিলেক্ট করতাম তাহলে ওর সাথেই বিয়ে দিতাম। কিন্তু তুমি তো আমায় নিজের প্রেমে পাগল করে দিয়েছো তাই এটা করতে পারছি না।’

‘ আমি আপনাকে পাগল করলাম কীভাবে?’
‘ সে তুমি বুঝবে না বাচ্চা মেয়ে।’
‘ আমি কোন বাচ্চা না যে বুঝব না। আসলে আপনি বলতে চান না। ‘

‘ ছোঁয়া জান এখন আমি আসি। আর যা বললাম মনে রেখো কিন্তু এদিক ওদিক করলেই তোমার দেওয়ানা জসিমের কাছে খবরটা চলে যাবে। তারপর জসিমের মিসেস হয়ে যাবে।’
জসিমের ভয়ে আমি নিবিড়ের কথা শুনতে বাধ্য হলাম। নিবিড়ের সাথে কথা বলতে যে একটা খারাপ লাগছে তা কিন্তু না ওটা ভালই লাগে কিন্তু আমি চায় না নিবিড় কে প্রশ্রয় দিতে।

নিবিড় দশবার কল দিলে আমি একবার রিসিভ করি। আর কলেজে তো প্রতিদিন দেখা হয়। ওদের কলেজ অফ কিন্তু নিবিড় তার গ্যাঙ নিয়ে কলেজেই থাকে আমার জন্য সেটাও আমি বুঝি। নিবিড়ের পরিক্ষার ফরম ফিলাপ হয়ে গেছে রুটিন দিয়ে দিছে এখন শুধু পরীক্ষার দিন আসার অপেক্ষা। সবাই বাসায় বসে পরে আর ও কলেজে ঘোরাফেরা করে। এজন্য আমি একদিন কলেজে জিজ্ঞেস করি আপনি পড়াশোনা না করে কলেজে ঘুরাফেরা করেন কেন? আপনার তো পরীক্ষা দুইদিন পরিক্ষা।

নিবিড় বলে তাহলে তুমি আমার কল ধরবা আমি যতবার দেবো বলো। তাহলে আমি আর কলেজে আসব না। ঠিকমতো পড়ালেখা করবো একেবারে পরীক্ষার পরে তোমার সাথে দেখা করতে আসব।
আমি ইতস্ত বোধ করে রাজি হয়ে যায়। এদিকে লেখাপড়া হবে আর আমাকে জালানোটা বন্ধ হবে। কল দিলে না হয় দুই তিন মিনিট কথা বলে নেব এই হলো। পরীক্ষার শুরু হওয়ার আগে একটু বেশি ফোন দিত পরীক্ষার দিন থেকে আমি আবার নতুন শর্ত জারি করেছি।

আমি বলেছি, ‘আজকে থেকে যেহেতু আপনার পরীক্ষা এখন থেকে শুধুমাত্র পরীক্ষার দিন আমাকে দিনে একবার করে ফোন দিতে পারবেন।’
নিবিড় বলে, ‘আচ্ছা দিনে একবার রাতে যতবার খুশি।’
‘না দিনরাত মিলে একবার ফোন দিবেন।’

‘আচ্ছা তোমার কথা শুনলাম পরীক্ষা যে কয়দিন থাকবো এই কয়দিন শুধু এক বার করে দিব আর মাঝখানে যে বন্ধ থাকে তখন ইচ্ছা মতো দেব।’
আমি রেগে আর কিছু না বলে ফোন কেটে দেয়।
এদিকে আমি কল্পনা জল্পনা করছিলাম আপনাদের সাথে আর এদিকে আমার মনোযোগ না পেয়ে লিলি নিজের বাসায় চলে গেছে মন খারাপ করে।

তখন আর আমি লিলি সাথে কথা বলতে বা দেখা করার জন্য নিচে আসলাম না কারণ এখন আমার কিছু রান্না করে খেতে হবে। আমি উপরে আস্তে আস্তে ১১ টা বাজল।
উপরে এসে আয়োজন দেখে মনে হল যেন আজকেই বিয়ে আজকে মেয়ে নিয়ে চলে যাবে। আমাকে দেখেই আন্টি এক গাল হেসে বলল, ‘ ছোয়া যাও তোমার বান্ধবীর কাছে যাও কেমন পাগলামি করছে বলতো।

আমি কি ওর ভালো চাই না বলো তো মা। ওর ভালোর জন্য তো বিয়ে ঠিক করেছি। আমি নিজে গিয়ে দেখেছি খুব ভালো ফ্যামিলি, আর ছেলের কথা কি বলবো এত ভালো এমন ছেলে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। এখানে বিয়ে হলে তোমার বান্ধবীর রাজ কপাল হবে। কিন্তু সে তো রাগ করে বসে আছে তাকে আগে জানায়নি বলে।

কিভাবে জানাতাম বল ছেলে তো পই পই করে না করে দিয়েছিল। সে নাকি এখনই কিছু জানাতে চায় না। এতে নাকি লিলি লেখাপড়ার ক্ষতি হবে। এখন ছেলে যেখানে না করছে সেখানে কি জানানো যায়। আর তোমার বান্ধবী তো আর নিজে পছন্দ করে বয়ফ্রেন্ড করে নি কাউকে। যে আমার পছন্দের উপর কথা বলতে আসবে। সোনা মুখ করে রাজি হয়ে যাবে তা না। এখন রাগারাগি করছে আমার উপর।’

আমি কি বলবো আমি শুধু মাথা নাড়িয়ে স্বীকার করে যাচ্ছি। আন্টি নিজের মত বকরবকর করে চলে গেল। আমি লিলি রুমের দিকে যাচ্ছি ছিলাম তখনই দেখা হয়ে গেল লিলির ভাইয়ের সাথে আমি তাকে দেখেছি চমকে উঠলাম। এই মানুষটাকে আমার একটু পছন্দ না।

কেমন যেন একটা টাইপের এই যে এখন আমার সামনে এসে দাঁত কেলিয়ে বলল, ‘ ভালো হয়েছে চলে আসছো আজকে আর নিচে যাওয়ার দরকার নাই। আমাদের এখানে থেকে যেও খাওয়া দাওয়া এখানেই করো। তোমার বান্ধবী তো আজকে বিয়ে।’

আমি চোখ কপালে তুলে বললাম, ‘কি আজকে না এনগেজমেন্ট ছিল শুধু। এখন আবার বিয়ে বলছেন কেন?’
‘কাবিনটা মনে হয় আজকেই হবে।’

আমি এবার কপরটা রাগ দেখিয়ে বললাম, ‘এটা কোন কাজ করলেন ভাই আপনারা? লিলি কে কিছুই না জানিয়ে একদম বিয়ে পর্যন্ত চলে গেছেন। ছেলেটাকে লিলি চেনে না। এখন পর্যন্ত দেখেনি। বিয়ের আগে কি একটু দরকার না, ওদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ হবে। নিজের একটা পছন্দ অপছন্দ আছে। এভাবে একদম বিয়ের আয়োজন করে ফেলছেন। লিলির দিকটা একটু ভাববেন না?’

‘আরে তুমিও দেখি তোমার বান্ধবীর মত রাগ করছো। আমরা কি আমার বোনের ক্ষতি চাইবো? আমরা ভালো বুঝি তো ঠিক করেছি এখানে আবার ওর কি কথা? আর ওর পছন্দ করতে হবে কেন? আমরা খারাপ পাত্র ঠিক করেছি নাকি। ও দেখলেই পছন্দ হয়ে যাবে। আর আজকে শুধু বিয়েটা হবে আজকে তারা ওকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যাচ্ছে না। বিয়ের পর না হয় জানাশোনা ভালো করে হবে।’

প্রচুর বিরক্ত লাগছে আমি এমনিতেই মানুষটাকে পছন্দ করি না। আবার তার এমন অযৌক্তিক কথাবার্তা আমার আরো পছন্দ হলো না। আমি তার সাথে আর কথা না বাড়িয়ে লিলির রুমে চলে এলাম।

লিলিকে আর আমি কি বোঝাবো শান্তনা দেওয়া ছাড়া আর কিছু করার নাই। ওকে আমি বলছি তোর যদি খুব খারাপ লেগে থাকে তুই পালিয়ে যা। আমার মতো। মতে বিরোধী বিয়ে করিস না। আমি শুনে নিয়েছি তোর ভাইয়ের থেকে। আজকে তোর বিয়ে।

‘আমি এটা পারবো না রে। মা বাবা যার সাথে বিয়ে দেবে আমি তাকেই বিয়ে করবো। কিন্তু এরকম হুট করে বলে আমার খারাপ লাগছে।’
‘বাবা মায়ের আদরের বাধ্য মেয়ে। আচ্ছা লিলি আমার যদি বাবা মা থাকত তাহলে কি আমি তাদের বাধ্য হয়ে থাকতাম তোর মত?’

অবাধ্য প্রেম পর্ব ৪৩

‘থাকতি তুই আমার থেকেও আদরের মেয়ে। বাধ্য মেয়ে, ভালো মেয়ে থাকতি।’
বাবা মায়ের কথা মনে পরতেই চোখে জল চিকচিক করে উঠল‌ আমার।
বিকেলে বরপক্ষ আসতেই আমি দরজা দিয়ে উঁকি মেরে দেখলাম। বরের দিকে তাকাতেই আমি চমকে উঠলাম।

অবাধ্য প্রেম বোনাস পর্ব