অবেলায় ভালোবাসি পর্ব ১৯

অবেলায় ভালোবাসি পর্ব ১৯
সাবরিন জাহান

সোফায় হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে আছে আয়ান,পাশেই বেলাল সাহেবের কাঁধে মাথা রেখে নাহার কান্না করছে। ইহরা বার বার তাও আয়ুশীর ফোন ট্রাই করে যাচ্ছে।যদি লেগে যায় এই ভেবে! ফাহিন পুলিশের থেকে আপডেট নিচ্ছে…হুট করেই দরজার বেল বাজলো। ইহরা দৌড়ে গিয়ে গেট খুললো!খুশিতে উত্তেজিত হয়ে মৃদু চিৎকারে বলে উঠলো,”আয়ু!”

সবাই চমকে উঠলো।নাহার এক মুহুর্ত অপেক্ষা না করে দৌড়ে গেলেন!বেলাল , আয়ান আর ফাহিনও এলো!নাহার আয়ুশীকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলেন!
“ছোট আম্মু,কাঁদছো কেন?”
“তুই জানিস আমি কতটা চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম!কোথায় ছিলি?”
“এটা কি আয়ু?এত লেট?সেই সাড়ে ছয়টায় আসার কথা ছিল,এসেছো রাত এগারোটায়!কোথায় ছিলে?”(ফাহিন)
আয়ুশী উত্তর না দিয়ে নাহারকে ধরে নিয়ে সোফায় বসলো!উনার দিকে এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিল।আয়ুশীর চুপ থাকা সহ্য হলো না আয়ানের!টেনে তুললো ওকে,বেশ চিৎকার করেই বললো,”কোথায় গিয়েছিলে তুমি?”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

আয়ুশী চুপ করে আছে!
“কি হলো বলছো না কেনো?”
“আহ, আয়ান আস্তে!”
“হোয়াট আস্তে, ইহরা?ওর কি কমন সেন্স বলতে কিছু নাই?একে তো আমাদের সবাইকে এমন টেনশনে ফেলেছে,আবার এখন কোনো উত্তর দিচ্ছে না!”
“আমি…”
“কি আমি?বলো ?”
“ওই একটু….একটু…”
“কি একটু?বলছো না কেনো?”

“আব…ওই আরকি বই লাগতো কিছু!তাই ধানমন্ডি গিয়েছিলাম!মানে টিউশনি থেকে বের হয়ে গিয়েছি! জ্যাম থাকায় আসতে দেরী হলো!”
“আর ইউ ক্রেজি?গেছো ঠিক আছে তাই বলে ফোন করে জানানোর প্রয়োজন বোধ করলে না?”
আয়ুশী নিশ্চুপ!
“নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে চাও,বুঝলাম!তাই বলে বাড়িতে যে এত গুলো মানুষ হয়রান হলো তাদের প্রতি কি বিন্দু মাত্র মায়া নেই!”
“স্যার,কি বলছেন?”

“ভুল কি বললাম?তোমার কি আমাদের সব কিছুতে দয়া নজরেই আসে?এই যে মা যে কেঁদে কে’টে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে! ইহরা ক্রমাগত অস্থির হয়ে তোমার নাম্বারে ট্রাই করেছে,যদি ফোন লেগে যায়…আমি আর ফাহিন পাগলের মত তোমায় এত জায়গায় খুঁজলাম!এগুলো কি এখনও তোমার দয়া লাগে মিস আয়ুশী?আরে আর কারো কথা না ভাবো মায়ের কথা তো ভাবতে?বাবার কথা ভাবতে!”
“আয়ান,থামো প্লিজ!”(নাহার)

“কেনো থামবো মা?ফোন করে জানালে কি ওকে মানা করতাম?বরং ইহরাকে নিয়ে যেতে বলতাম!এত রাতে কোনো অঘটন ঘটলে কি হতো ভাবতে পারছো?”
আয়ুশী কিছু না বলে ব্যাগ থেকে ফোন বের করে আয়ানের দিকে এগিয়ে দিল!গ্লাস ফেটে অবস্থা খারাপ।যেনো কেও এটাকে কিছুর উপর ফেলে দিয়েছে!
“ফোন করতে চেয়েছিলাম!কিন্তু বাসে উঠার পর ধাক্কা খেয়ে ফোন বাসের বাইরে পড়ে যায়!আর এই অবস্থা হয়!অনেক চেষ্টা করেছি!ওপেন হয়নি!”

“অন্য কারোর ফোন থেকে ফোন করতে!”(ইহরা)
“আমি তো আম্মু আব্বু ছাড়া আর কারোর নাম্বার মুখস্ত করিনি!”
“ওয়াও!কি লজিক!”,তাচ্ছিল্যের স্বরে বললো আয়ান!
“আয়ান অনেক হয়েছে!অনেক দখল গেছে…যে যার রুমে যাও!আয়ুশী মা,পরের বার এমন করো না! বুঝইতো,চিন্তা হয়!”(বেলাল)
“সরি ছোট আব্বু!”
“রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেও!”

আয়ুশী কিছু না বলে উপরে গেলো।সোফায় বসে পড়লো আয়ান। ফাহিন যেতে চাইলে নাহার বললেন আজ এখানেই থাকতে!ওকে গেস্ট রুমে নিয়ে গেলো ইহরা!বেলাল আর নাহার নিজের রুমে চলে গেল।বেশ ভয় ঢুকে গিয়েছিল সবার মাঝে।

রুমে গিয়ে ব্যাগ রেখে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ালো আয়ুশী।বাইরে মৃদু বাতাস বইছে!বেসিনের আয়নায় নিজের দিকে তাকাতেই আতকে উঠলো। শালের মত পেঁচিয়ে রাখা ওড়না সরিয়ে দিতেই বেরিয়ে এলো গলার মাঝে নখের আঁচড়!শুধু গলায় না, হাতেও আছে।যা থেকে রক্ত বের হয়ে শুকিয়ে গেছে!

হাঁটুর উপর থেকে জামাটা হালকা সরিয়ে দেখলো হোয়াইট লেগিংসে রক্ত লেগে আছে!বালতির সামনে বসে পড়লো ও।মগ থেকে পানি নিয়ে ইচ্ছা মত ঢালতে লাগলো ও!হাত দিয়ে ওই সব ক্ষততে জোড়ে জোড়ে ডলতে লাগলো। ক্ষত গুলো জ্বলছে।কিন্তু ও থামলো না।আরো জোড়ে ডলতে লাগলো।ক্ষত গুলো যেনো আবার জীবন্ত হলো!রক্ত বের হতে লাগলো।আয়ুশী পানি ঢালছে আর ডলছে!হুট করেই মেয়েলি হাত ওকে বাঁধা দিল এসব করতে। ছল ছল চোখে হাতের মালিকের দিকে তাকাতেই দেখলো ইহরা!ওয়াশরুমের দরজা আটকাতে ভুলেই গিয়েছিল!

“আমি জানতাম,নিচে যা যা বললে সব মিথ্যে!কি হয়েছে আয়ু?”
আয়ুশী মাথা নিচু করে নিলো। ইহরা ওকে শুকনো কাপড় দিয়ে পড়তে বললো।আয়ুশী চুপচাপ চেঞ্জ করে বেরিয়ে এলো। ইহরা ওকে নিয়ে বিছানায় বসালো!
“সব সময় তো বলো,আমাকে বোন ভাবো!সত্যিটা কি বলা যায় না? ইহরাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠলো আয়ুশী!
“আয়ু!আমি বুঝতে পারছি সিরিয়াস কিছু হয়েছে!প্লিজ চুপ করে থেকো না!”

স্টুডেন্টের পরীক্ষা বিধায় লেট করে বের হলো আয়ুশী!হাত ঘড়িতে সময় দেখে নিল সাড়ে ছয়টা!এমনেই দেরি হয়ে গেছে,হেঁটে গেলে আরো দেরি হবে!রিকশা নিবে ভাবলো!কিন্তু এই এলাকায় সাধারণত খুব একটা রিকশা আসে না! দশ মিনিট হাঁটলেই মেইন রোড আসে!আর তার মোড়েই রিকশা পাওয়া যায়!তাই ভাবলো রাস্তার মোড়ে গিয়ে রিকশা নিবে।যেই ভাবা সেই কাজ!যেতে যেতেই ফোন বের করলো ও!

ইহরাকে জানাতে যে ওর আরেকটু লেট হবে আসতে!ফোনের দিকে তাকিয়ে হাঁটতে হাঁটতেই কারো সাথে ধাক্কা খেলো ও!লোকটি ঘুরে তাকাতেই আত্মা শুকিয়ে গেলো ওর! ও ভুলতেই বসেছিল এই রাস্তায় বখাটের উৎপাত বেশি! সন্ধ্যার পরই এরা এখানে বসে মেয়েদের টিজ করে!এটা যদিও ওর সাথে হয়নি!কারণ ও সন্ধ্যার আগেই বেরিয়ে আসতো!স্টুডেন্টের মা ই ওকে আগে আগে যেতে বলতো!কারণ এই বখাটে!তাই ওকে সাবধান করে দিয়েছিল।আজকেও বলেছিল অন্য রাস্তা দিয়ে যেতে,যেহেতু দেরি হবে বের হতে!কিন্তু পড়াতে পড়াতে সেই কথা বেমালুম ভুলে গেছে!নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মা’রা হয়তো একেই বলে!সামনে সিগারেট হাতে কিছু বখাটে দাড়িয়ে!ওকে দেখে আকাশের চাঁদ পাওয়ার মত করে তাকালো ওরা!

“মামা!আজ পার্টি হইবো!পাখি আসছে এক!”
ওদের মধ্যে একজনের এমন কথা শুনতেই কাঁপতে লাগলো আয়ুশী।উল্টো ঘুরে দৌড়াতে যাবে তার আগেই একজন হাত ধরে ফেলে ওর!আয়ুশী হাত ছাড়াতে ধস্তাধস্তি করতে থাকে!এক পর্যায়ে ওর হাতের ফোন ছিটকে এক পাথরের উপর আছার খায়!আর সবাই মজা নিচ্ছে!আয়ুশী নিজের মনকে শক্ত করলো!নিজেকে ছাড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করলো।কিন্তু পারলো না!লোকটার হাতের নখ বড় থাকায় ধস্তাধস্তির মাঝে নখের আঁচড় পড়ে গেলো।

আরেকজন ওর গলায় হাত দিতে গেলেই ছিটকে সরে গেলো।ফলস্বরূপ গলাতেও আঁচড় লেগে গেলো!কুল কিনারা না পেয়ে আয়ুশী পা দিয়ে জোড়ে লোকটার মেইন জায়গায় আঘাত করলো!লোকটির হাতের বাঁধন হালকা হতেই কোনমতে ফোনটা তুলে সাইড ব্যাগ শক্ত করে ধরে দৌড় দিল।লোক গুলোও পিছু পিছু আসতে লাগলো।আয়ুশী আশে পাশে কোনো লুকানোর জায়গা না পেয়ে একটা ট্রাক দেখতে পেলো!কিছু না ভেবেই ট্রাকের পিছনে জলদি উঠে গেলো।

ট্রাকের পিছনে ধারালো কিছু ছিল।ফলস্বরূপ ওর হাঁটুতে তা লেগে হাঁটু কেঁ’টে গেলো…..ছেলে গুলো ওকে আশে পাশে খুঁজছে!আয়ুশী মুখ চেপে বসে আছে!হুট করেই ট্রাক ছেড়ে দিল।আয়ুশী চিল্লাবে ভেবেও চিল্লালো না!আপাতত এখান থেকে বের হতে হবে!ওদের হাতের বাইরে যেতেই আয়ুশী ট্রাক থামাতে বললো,কিন্তু গাড়ির ড্রাইভার তা শুনতে পেলো না।উপায় না পেয়ে আয়ুশী বসে ফোন অন করতে চেষ্টা করলো।

কিন্তু লাভ হলো না!বেশ অনেকক্ষণ পর ট্রাক থামলে আয়ুশী নামে!জন বহুল এলাকা!এই জায়গা ও চিনে! এখান থেকে বাড়ি ফিরতে ঘণ্টা খানেক লাগবে!ভাবলো কাউকে বলে ফোন দিবে বাড়িতে!পরেই মনে হলো ওই বাড়ির কারোর নাম্বার মুখস্ত নেই ওর!জলদি বাড়ি যেতে রওনা হলো। ওড়না ভালো মত পেঁচিয়ে নিলো।যদিও ওরা তেমন ভাবে কিছুই করেনি!কিন্তু তাও ওর গা ঘিন ঘিন করছে!তাই এসেই পানি ছেড়ে স্পর্শ মুছতে চাইলো!বাড়ি ফিরে সবাইকে এমন চিন্তিত দেখে আর বললো না কিছু!উল্টো আরো ঘাবড়ে যাবে!তাই বানিয়ে মিথ্যে বললো!

সব শুনে স্তব্ধ হয়ে বসে রইলো ইহরা!আয়ুশী ইহরাকে এখনও জড়িয়ে আছে। ইহরা ওকে ছাড়িয়ে মলম আনতে গেলো।বাইরে বের হতেই দেখলো আয়ান হাত মুঠো করে দাড়িয়ে আছে!বুঝতে বাকি রইলো না, ও সব শুনেছে। ইহরা কিছু বলবে তার আগেই আয়ান শান্ত কণ্ঠে বললো,”ওষুধ লাগিয়ে কিছু খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিও!আর আজকে ওর সাথেই ঘুমিয়ে পড়!ভয় একটু কমবে!”

বলেই নিজের রুমে গেলো! ইহরা কিছু না বলে ওর কথামতো সব করলো!
পরেরদিন!
দুপুর বেলা সেই রাস্তাতেই বসে সিগারেট খাচ্ছিলো ওই বখাটে!দিনের বেলা ওরা তেমন কিছু না করে না।তখনই সেখানে একটা বাইক থামলেই ওরা তাকায়!কালো জিন্স আর টিশার্ট পরিহিত মানুষটি হেলমেট খুলে ওদের দিকে এগিয়ে এলো।মোবাইল থেকে একটা ছবি বের করে এগিয়ে দিয়ে বললো,”এই মেয়েকে চিনো?”

ছেলেগুলো ছবির তাকাতেই চোখ বড় বড় করে ফেললো।ওদের মধ্যেই এক ছেলে মুখ ফস্কে বলে ফেললো,”এতো কালকের পাখিটা,বাইচা গেছিলো গা!”
ছেলেটা মুচকি হাসলো!না ঠিক জায়গাতেই এসেছে।
বেশ ভয়ে ভয়ে টিউশনিতে এসেছে আয়ুশী,সাথে সীমা আর ইভাও আছে।হুট করেই ওরা ওদের সামনে আসলো।আয়ুশী শক্ত করে সীমার হাত ধরলো।
“আমাদের মাফ কইরেন আফা!”

চমকে উঠলো ওরা!ওদের হাতে পায়ে ব্যান্ডেজ!কেউ যে উত্তম মধ্যম দিয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।ওরা চলে যেতে নিলেই সীমা ডাক লাগায়!
“আরে ওদের ডাকছিস কেনো?”(ইভা)
“চুপ কর! হঠাৎ সরি কেন বললি রে তোরা?”
“উচিত শিক্ষা হইছে আমাগো!আর জীবনেও মাইয়া তো দূরে থাক মুরব্বিদের কাছেও ঘেসমু না!”
সীমা মুখ টিপে হাসলো!

“তো কে দিলো এই শিক্ষা?”
“এক ভাই এ!”
“কে সে?”
“মোরা তো চিনি না,হেয় আইসা এই আফার (আয়ুশীর) ছবি দেখাইলো…আর আমরা মুখ ফসকে কয়ে দিছি কালকের কথা!এরপর বাঁশ দিয়ে যেই মা’ইর দিলো,জন্মেও ভুলুম না!”
সীমা চট করে ফোন বের করে একটা ছবি দেখালো!

“ইনি কি সে?”
“এই বেটা কেডা!?”
আয়ুশী উকি মে’রে দেখলো ফাহিনের ছবি!লোকগুলো আর কিছু না বলেই চলে গেলো!
“তাহলে ছেলেটা কে ?”
“ইহরাপু কে সবটা বলেছিলাম!উনি হয়তো কাউকে পাঠিয়েছে!”
“ওহ!”

“তুমি কি লোক পাঠিয়ে ওই বখাটেদের মে’রেছো আপু?”
আয়ুশীর কথায় ইহরা খানিক বোঝার চেষ্টা করলো।
“কিসের লোক?আমি কেনো মা’রতে যাবো?”
আয়ুশী চিন্তিত হলো!
“কি হয়েছে?”
আয়ুশী সবটা বললো। ইহরা হেসে বললো,”আমি না পাঠালেও আমি জানি সে কে!”
আয়ুশী জিজ্ঞাশাসূচক দৃষ্টিতে তাকালো!

“তোমার মিস্টার খারুষ!”
চোখ বড় বড় করে তাকালো!
“উনি কিভাবে…”
“কালকে শুনে ফেলেছিল!আজকেই ব্যাবস্থা করে দিয়ে আসলো!বেশ হয়েছে!”
আয়ুশী আর কিছু বলল না।মনে মনে আবারও ভাবলো,”দায়িত্ব!”

পুরো ঘর লন্ড ভন্ড করে মানি রিসিট খুঁজছে আয়ুশী।মাসের শেষ তারিখ,আজকেই বেতন পেয়েছে আয়ুশী।খুশি মনে ভেবেছিলো দুল আর আংটি ফিরিয়ে আনবে!কিন্তু ঘরের কোথাও মানি রিসিটটা পেলো না!ওইটা ছাড়া যে ও ওগুলো ছাড়াতে পারবে না!তখনই বাসার কাজের মেয়ে আসলো।
“আপু,আপনার পার্সেল আইছে!”
“কিসের?”
“এইযে!”

বলেই বক্স আয়ুশীর হাতে দিয়ে বেরিয়ে গেলো। উদাস মনে পার্সেল খুলতেই চমকে উঠলো।ওর মায়ের দুল আর আংটি!সেই সাথে সাদা পাথরে ডিজাইন করা চিকন চেইনের ব্রেসলেট!ভিতরেই সেই মানি রিসিট যাতে লিখা পেমেন্ট কমপ্লিট!একটা চিরকুট দেখতে পেয়ে খুললো সেটা!গোটা অক্ষরে লিখা,

অবেলায় ভালোবাসি পর্ব ১৮

“আত্মসম্মান ভালো!তাই বলে প্রিয় জিনিসগুলো হারিয়ে ফেলো না বা দূরে সরিয়ে দিও না!জানি তোমার আত্মসম্মান তোমার কাছে বড়,সেই সাথে তোমার মা বাবাও!কিন্তু নিজের ইমোশন গুলোকে এতটাও কঠোর করে ফেলো না।আমি কে খুঁজতে যেও না!জিনিসগুলো ফিরিয়ে দিলাম!কখনো হারাবে না!আর সাথে তোমার জন্য একটা ছোট্ট উপহার!সবসময় সাথে রেখো!”

অবেলায় ভালোবাসি পর্ব ২০