অবেলায় ভালোবাসি পর্ব ৩১

অবেলায় ভালোবাসি পর্ব ৩১
সাবরিন জাহান

ছাদে গাছ গুলোতে পানি দিচ্ছিলো আয়ুশী!তখনই ডেইজির আগমন।
“কি করছো হায়ুশী?”
“হাল চাষ করছি!”
“মানে?”
“মানে এটাই যে যখন দেখতে পাচ্ছো গাছে পানি দিচ্ছি,তখন জিজ্ঞেস করছো কেনো?”
“ওহ,আচ্ছা দেও!আমিও একটু দেই..”
“কোন সুখে?”

“আরে,কয়দিন পর আয়ানের বউ হলে তো আমাকেই এগুলো করা লাগবে!”
আয়ুশী রাগী দৃষ্টিতে তাকালো!
“আবার শুরু করলে?”
“ভুল কি বললো?!”
“ধুর….”
বলে কল বন্ধ করে পাইপটা ফেলে চলে গেলো।ওর যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে ডেইজি মুচকি হেসে বলল,”পাগলী একটা!”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

বলেই নিজে পানি দিতে লাগলো!
রুমে এসে ধপ করে বিছানায় বসে পড়লো ও!রাগে মাথা জ্বলছে ওর।
“ডা’ইনি বুড়ি!সব সময় ওর দিকে নজর দেয়!”
নিচে ইহরার আওয়াজ পেয়ে জলদি করে নিচে গেলো!
“আপু!কেমন আছো?”
“এইতো ভালো তুমি?”

তখনই রান্নাঘর থেকে নাহার এলেন! ইহরা আর আয়ুশীর হাতে একটা ,একটা কলা দিয়ে বললেন,”খাও দুইজন!”
ইহরা কলা দেখে নাক ছিটকালো!আয়ুশীরও কলা ভালো লাগে না!
“ডেইজি আপু!”
“আরে ইহরা কেমন আছো?”
“ভালো,ছাদে গেছিলে বুঝি?”
“হুমম, গাছে পানি দিলাম!”
“বাহ,আচ্ছা একটা কথা বলো!”
“কি?”
“তুমি কি বাংলাদেশ সেটেল হওয়ার প্ল্যান করছো?”
“হঠাৎ এই প্রশ্ন?”

“না মানে যেভাবে বাংলাদেশীর মত বিহেভ করছো,তাতে মনে হলো আরকি!”
ডেইজি আয়ুশীর দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে বললো,”হতেও পারি!”
আয়ুশী ফোঁস করে শ্বাস নিলো!না আর মানা যাচ্ছে না!
“আন্টি,আপনার কোনো সাহায্য লাগবে?”
বসার ঘর থেকেই হাক ছেড়ে জিজ্ঞেস করলো ডেইজি!নাহার উত্তর দিলেন,”না!”

ডেইজি তাও শুনলো না,রান্নাঘরে চলে গেলো।আর ডেইজির এই আদিক্ষেতা সহ্য হচ্ছে না আয়ুশীর।ভিতর থেকে নাহার ঠেলে ডেইজিকে বের করে দিলেন!আয়ুশী নিজের হাতের কলার দিকে একবার তাকিয়ে মুচকি হাসলো!
“ডিয়ার কলার খোসা,আগে তো আমাকে শুধু বিপদেই ফেলেছো!প্লিজ এবার সাহায্য করো!”

বলেই কলার খোসা টুকু ডেইজির আসার রাস্তাটুকুতে বিছিয়ে দিলো। ইহরা ফোনে ব্যাস্ত ছিল বিধায় কিছু দেখেনি!রান্নাঘর থেকে বের করে দেয়ায় ডেইজি আবার ইহরাদের কাছে আসতে নিলেই কলার খোসায় পা দিতেই স্লিপ কেঁটে পড়ে গেলো!এতে পৈশাচিক আনন্দ পেল আয়ুশী।মুচকি হাসলো ও।ডেইজির আর্তনাদ শুনে এগিয়ে এলো ইহরা আর নাহার!সেই মুহূর্তে অফিস থেকে ফিরলো আয়ান।ডেইজিকে এভাবে পড়ে থাকতে দেখে ওর কাছে গেলো ও!

“কি হয়েছে?”
“জানি না আয়ান,আপু কিভাবে যেনো পড়ে গেছে!”,বলতে বলতেই ইহরার চোখ পড়লো কলার খোসায়!আয়ুশীর দিকে তাকাতেই ওর মুখে হাসি দেখে যা বোঝার বুঝে গেলো! সবার আড়ালেই খোসাটা সরিয়ে ফেললো ও!নাহলে আয়ানের রাগ প্রতিফলিত হবে ওর উপর!

বেশি ব্যাথা না পেলেও কোমরে অনেকটা ব্যাথা পেয়েছে !ডেইজির অবস্থা দেখে আয়ান ওকে কোলে তুলে নিলো।মুহূর্তেই হাসি মিলিয়ে গিয়ে মুখটা মলিন হলো আয়ুশীর! আয়ান এক পলক আয়ুশীর দিকে তাকিয়ে ডেইজিকে নিয়ে আয়ুশীর রুমে চলে গেলো!তার পিছু পিছু নাহার আর ইহরা!আয়ুশী ওখানেই দাড়িয়ে রইলো!উদাস মনে সিড়ি দিয়ে উপরে গেলো ও!দরজার এপারে দাড়িয়ে ভিতরে চোখ রাখলো!ডেইজি ব্যাথায় চোখ মুখ কুচকে রেখেছে!আয়ুশীর এখন ভীষণ মায়া হলো!রাগের বশে যে কি করলো এবার বুঝতে পারছে।নিজের উপর নিজেরই ক্ষোভ হলো ওর! ও তো এমন ছিল না!তাহলে এসব কেনো করছে?অন্যকে আঘাত করছে? হেচকা টানের কারণে ভাবনা থেকে বের হলো ও। ইহরা ওকে টেনে নিজের ঘরে নিয়ে গেল!

“আপু?”
“এটা কি আয়ু?কলার খোসা দিয়ে ডেইজি আপুকে ফেলে দিলে কেনো?”
আয়ুশী উত্তর না দিয়ে মাথা নিচু করে নিলো!
“উত্তর দেও!”
“ডেইজি আপু শুধু স্যারকে আমার থেকে কেড়ে নিতে চায়!তাই রাগ উঠে গিয়েছিল!”
“হোয়াট?”
“হুমম..”

আয়ুশী ইহরাকে শুরু থেকে সব বললো! ইহরা কিছু বলবে তার আগেই ওর চোখ পড়লো দরজায়! আয়ান অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আয়ুশীর দিকে!
“আয়ান তুমি?”
চমকে তাকালো আয়ুশী।এবার আয়ানের চোখে অবাকের পরিবর্তে রাগ দেখতে পেলো ও! ইহরাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে আয়ুশীকে টানতে টানতে নিজের ঘরে নিয়ে গেল!
“কালকের খাবারটাও তুমি নষ্ট করেছিলে তার মানে?”
আয়ুশী নিরুত্তর!
“কিছু জিজ্ঞেস করছি!”
“হুম!”

“আজকে ডেইজির এই অ্যা’কসিডেন্ট এর পিছেও তুমি ছিলে?”
আয়ুশী মাথা নেড়ে স্বীকার করলো!
“এক থা’প্প’ড়ে গাল লাল করে ফেলবো তোমার!”
আয়ানের ধমকে কেঁপে উঠলো আয়ুশী।চোখের কোণে জল এসে ভিড় করলো ওর।মাথা নিচু করে রইলো ও!
“এসবের মানে কি?কোন ছা’গল এসব করে?”
কথাটা আয়ুশীর ভীষণ গায়ে লাগলো।অভিমান নিয়ে বললো,”সরি, বুঝতে পারি নি আপনার এতটা কষ্ট হবে!হাজার হোক,এত দিনের সম্পর্ক!আমি ই বা কে?”

“কি আলতু ফালতু বকছো?”
“সরি,আমি ডেইজি আপুর থেকেও ক্ষমা চেয়ে নিবো!আর এমন করবো না!”
বলে বেরিয়ে যেতে নিলেই আয়ান হাত ধরে আটকালো!এক টানে ওকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে মিহি কণ্ঠে বললো,”কাম অন আয়ুশী,তুমি বাচ্চা নও!”
আয়ুশী চুপ করে রইলো!

“আমি কোনো খেলনা নই যে তুমি আমার জন্য অন্যদের সাথে এমন বিহেভ করবে!”
বলেই আয়ুশীকে নিজের সামনে দাড় করালো!
আয়ুশী মাথা নিচু করেই বললো,”আমার সহ্য হয় না,তো আমি কি করবো?”
“আচ্ছা,এটা বলো!ওরা যে যাই করুক…আমি কি ওদের সেই নজরে দেখি?”
আয়ুশী মাথা নেড়ে না বুঝালো!

“তাহলে?আর ডেইজি আমার ছোটকালের বন্ধু!ছোট থেকেই ওর বাবা মা ব্যাবসা,টাকা পয়সা এসব নিয়েও ব্যাস্ত ছিলেন!ডেইজির তেমন ফ্রেন্ডস ও ছিল না!তখন আমি আর ফাহিন ওকে সঙ্গ দিতাম!আমরা দুইজন এক ডিপার্টমেন্ট এর ছিলাম বিধায় ওর সাথে বেশিরভাগ সময় থাকতাম!এই সময়টুকুতে ওর মনে ফিলিংস আসাটা স্বাভাবিক,তাই না?”
আয়ুশী কিছু বললো না!
“তোমার নিজেরও তো এসেছিল!”
এবার আয়ুশী চোখ তুলে তাকালো!

“শুরুতে তুমিও তো অজান্তেই অনুভূতি এনেছিলে,তাই না? ভালোবাসাটা বলে কয়ে আসে না!ডেইজির হয়তো তাই…কিন্তু তাই বলে তুমি এমনটা করবে?কই ইহরার বেলায় তো এমন করো নি!এখন করছো কারণ আমি তোমার পক্ষে বলে?”
আয়ুশী এবারও নিরুত্তর!
“ডেইজিকে বুঝিয়ে বলো, ও ঠিক বুঝবে!আমি ওকে চিনি!বিদেশে বড় হলেও,ভীষণ শালীনতা বজায় রেখে চলতো!আশেপাশের সবার সাথেই ওর সম্পর্ক নিবিড় হয়ে যায়!একবার ওকে আপনিয়ে দেখো!দেখবে সব ঠিক!”

“হুঁ!”
“সরি!”
“কেনো?”
“শুরুতে রিয়েক্ট করার জন্য!জানোই তো রাগ উঠলে..”
“কন্ট্রোল থাকে না!”
আয়ান হাসলো!আয়ুশীর গাল টেনে বললো,”তোমার সাথে একটা জিনিস ভালোভাবেই মিললো!রাগ উঠলে দুইজনেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না!”
আয়ুশীও হাসলো!
রাতে নিজের হাতে ডেইজিকে খাইয়ে দিলো ও!সারাটা রাত ডেইজির সেবা করলো!ডেইজি মানা করলেও আয়ুশী শুনেনি!

কেঁটে গেছে দুইদিন।এর মাঝে ডেইজি আর আয়ুশীর সম্পর্ক কিছুটা উন্নতি হলেও ঝগড়া লেগেই থাকে আয়ানকে নিয়ে!বিকেলে সবাই বসার ঘরে আড্ডা দিচ্ছিলো। ফাহিনে আর ইহরা এসেছে।
“মিস রোগী কোথায়?”
ডেইজি বলে উঠলো,”মেবি উপরে দাড়াও আমি ডেকে আনি!”

বলেই উপরে উঠে গেলো।আর এক সিড়ি পা রাখলেই ফ্লোর পেতো।তখনই আয়ুশী এলো!দুইজন হুট করেই মুখোমুখি হলো।আয়ুশীকে দেখে ডেইজি পা পিছিয়ে নিচে রাখতে নিলেই অসাবধানতাবশত সিড়ির বাইরে পা রাখে।ফলস্বরূপ নিজেকে সামলাতে না পেরে পড়ে যায় ও!এদিকে আয়ুশী কিছু বুঝে উঠতেই পারলো না!কিছু পড়ার আওয়াজে সবাই সিড়ির দিকে তাকাতেই ডেইজির রক্তাক্ত মুখ খানা দেখতে পায়!
দৌড়ে আসে সবাই!বেশ কয়েকবার ডেইজি কে ডাকার পরেও সাড়া পায় না ওরা!

“আয়ান ওকে হসপিটালে নিতে হবে!সিড়ির কোণায় লেগে মাথায় বাজেভাবে জখম হয়েছে!আমি গাড়ি বের করছি!”
সিড়ির উপরে দাড়িয়ে থাকা আয়ুশীর দিকে চোখ গেলো ওর!আয়ুশী এখনও বিস্ময় কাটাতে পারেনি! আয়ান কিছু না বলেই ডেইজিকে কোলে নিয়ে বাইরে চললো! ইহরা নাহারকে নিজের রুমে দিয়ে আসলো!ঘুমের মেডিসিন খাইয়ে দিল!নাহলে অহেতুক চিন্তা করে শরীর খারাপ করবে!নাহারকে ঘুম পাড়িয়ে , হসপিটালের উদ্দেশ্যে বের হতে নিবে তখনই চোখ পড়ে আয়ুশীর দিকে!আয়ুশীর কাছে গিয়ে ওকে ডাকতেই যেনো ঘোর থেকে বেড়িয়ে এলো!

“ডেইজি আপু…”
“হসপিটালে নিয়েছে, চলো!”
“বিশ্বাস করো আপু,আমি আপুকে পড়া থেকে বাঁচিয়ে ফেলতাম,কিন্তু সব কিছু এত দ্রুত হলো যে বুঝেই উঠতে পারিনি কিছু!”
বলেই কেঁদে ফেললো ও!
“আহহ,আয়ু!এটা জাস্ট একটা দুর্ঘটনা!চলো!”
আয়ুশী আর ইহরা হসপিটালে গেলো।বাইরে বসে আছে আয়ান! ফাহিন ভিতরে ডেইজির ট্রিটমেন্ট করছে!
ইহরারা পৌঁছাতে পৌঁছাতে ফাহিনও বেরিয়ে এলো!

“কি অবস্থা ওর?”
“বেশি কিছু হয়নি!যদি আঘাত গভীর হতো কোমায় চলে যেতো!ব্লাড লসের কারণে আর ভয়ে জ্ঞান হারিয়েছে!”
আয়ুশী হন্তদন্ত হয়ে বললো,”দেখা করা যাবে এখন?”
তখনই আয়ান গম্ভি গলায় বললো,”কেনো?বেঁচে আছে বলে আফসোস হচ্ছে?”
তিনজনই চমকে উঠলো ওর কথায়! ফাহিন অবাক হয়ে বললো,”কি পা’গলের বিলাপ করছিস?আয়ুশী কেনো আফসোস করবে?”

“সেটা ওকেই জিজ্ঞেস কর!”
বলে আয়ুশীর দিকে তাকিয়ে বললো,”সিড়ি থেকে ফেলে দেয়ার ইচ্ছেটাও পূরণ করে ফেললে?”
চট করে আয়ুশীর মনে পড়লো সেদিন অনুষ্ঠানে বলা কথা গুলো!কিন্তু এসব কিছু তো ওর মনেতেও ছিল না!
“আয়ান,তুমি ভুল বুঝছো!”(ইহরা)
“কোনো ভুল না, ইহরা!”
“স্যার,বিলিভ মি আমার এমন কোনো ইনটেনসন ছিলোই না!”
“বাহ,মিথ্যে বলতেও শিখে গেছো?”
“স্যার!একটাবার বুঝুন!”

“কি বুঝবো! ছি আয়ুশী!তুমি এতটা নিচু মন মানসিকতার ভাবতেই ঘৃনা হচ্ছে আমার!”
“আজব,প্লিজ আমার কথাটা শুনুন!”
“কি শুনবো আমি?সিরিয়াসলি এখন মনে হচ্ছে তোমাকে ভালো না বেসে ডেইজিকে ভালোবাসলে ভালো হতো!অন্তত ও মানুষের মূল্য তো জানে!”
নিষ্প্রাণ চোখে তাকিয়ে রইলো আয়ুশী!
“আয়ান একবার ওর কথাটা তো শুন!”(ফাহিন)
“ফাহিন ওকে এখান থেকে যেতে বল,আমার এখন কিছু শোনার মুডে নেই!আমি রাগ কন্ট্রোল করতে পারবো না!যেতে বল…”

এক হাতে চোখ মুছে চোয়াল শক্ত করে বেরিয়ে এলো আয়ুশী। ফাহিন আর ইহরা কিছুই বুঝতে পারছে না!
বেশ ঘন্টা খানেক পর ডেইজির জ্ঞান ফিরলো!সবার সাথে একটু কথা বললো।আয়ুশীর কথা খেয়াল হতেই বললো,”হায়ুশী আসেনি?”
কেউ উত্তর দিলো না!
“ও আমাকে দেখতে আসেনি?”
ফাহিন কেবিনে ঢুকতে ঢুকতে বললো,”তোর বেস্ট ফ্রেন্ড তোকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার অপরাধে তাড়িয়ে দিয়েছে!”
“মানে?”
ডেইজি আয়ানের দিকে তাকালো!আয়ানের গম্ভীর মুখ দেখেই যা বুঝার বুঝে নিল!

“আরে হায়ুশী তো কিছুই করেনি!”
আয়ান চমকে উঠে বললো,”তুই ওকে বাঁচাতে অস্বীকার করছিস?”
ডেইজি বিরক্তির সহিত বললো,”না!”
পরে সবটা খুলে বললো! আয়ান কি বলবে ভেবে পেলো না!
“ডেইজির কথা শোনার পরও বিশ্বাস না হলে এটা দেখ!”

অবেলায় ভালোবাসি পর্ব ৩০

বলেই ফাহিন একটা ভিডিও প্লে করলো,যাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে পুরাটাই একটা দুর্ঘটনা!আয়ান কপালে হাত রেখে বলল,”আবার!আবারও রাগ কন্ট্রোল না করেই যা তা বলে ফেলেছি ওকে!”
ইহরা আয়ানকে স্বান্তনা,”বাড়ি ফিরে আয়ুর অভিমান ভাঙ্গিও।এবার নির্ঘাত শাস্তি দিবে তোমায়!”
ফাহিন তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো,”অলরেডি দিয়ে ফেলেছে!বাড়িতে যায়নি আয়ুশী!”
উপস্থিত সবাই চমকে উঠলো!

অবেলায় ভালোবাসি পর্ব ৩২