অর্ধাঙ্গিনী পর্ব ২৩

অর্ধাঙ্গিনী পর্ব ২৩
Mousumi Akter

গহীন অরন্য, নির্জন রাত, চারদিকে ঝিঝি পোকার ডাক, শেয়ালের ডাক ভেষে আসছে চারদিক থেকে। চারদিকে যেন অশরীর মেলা বসেছে।হাতছানি দিয়ে ডাকছে চারদিকে।জেলে পাড়ার গহীন অরন্য টর্চ জ্বালিয়ে হাঁটছে রাজন আর কৃষ্ণ ।জুতার নিচে শুকনো পাতার মড়মড়ে শব্দ মৃদু আওয়াজ তুলছে। কৃষ্ণ থেকে থেকে কেঁপে উঠছে আর রাজনের শার্ট খামছে ধরছে।রাজন কৃষ্ণের কান্ড দেখে হেসে উঠে বলল,

“তুই নিজেই ভূতের মত সারারাত এ বাগান দিয়ে ঘুরাঘুরি ঘুরিস।তোর আর পুজার সাক্ষী এই বাগানের প্রতিটা কর্ণার। আর আজ ভ’ য় পাচ্ছিস।”
“দাদা, তখন কি আর জানতাম এই বাগানে শতশত মাথার খু’লি আছে।।জানলে আমি কোনদিন আসতাম না।”
“পূজা’র সাথে প্রেম করতেও আসতি না।”
“না, দাদা।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“প্রেম করতে গেলে কি আর মনে ভয় রাখলে হয় গাধা।”
“দাদা আপনি যদি দেখেন তাহলে আপনি নিজেই ভ’য় পাবেন।”
“কয়টা খু’লি হবে?”
“দাদা অগনিত। কেউ মনে হয় ম্যাগনেট পুঁতে রেখেছে।না হলে নিশ্চিত ভূ* তের কারখানা।”
“ভূ*তের কারখানা তো আছেই। বেশ সেয়ানা ভূ*ত। ভূ* তে* র আস্তানায় তো চলে এসছি।শুধু ভূ* ত ধরা বাকি আছে।”

“সত্যি কি ভূ* ত দাদা? ”
“এই ভূ* ত সেই ভূ* ত না কৃষ্ণ। এত এত মানুষের প্রাণ যে নিয়েছে সে রাজনের বাপ হলেও রাজন ছেড়ে দিবেনা।”
কৃষ্ণ সহজ-সরল একটা হাসি দিয়ে বলল,
“আপনার বাপ যদি কারো গায়ে একটা নখের আঁচর ও কাটতে পারে নামখান পাল্টায় রাখব।”
“তুই এত হাদা ক্যান রে? উদাহরণ দিয়ে বুঝালাম সে যেই হোক না কেন; আমার হাত থেকে রেহাই পাবেনা।”
“সে আমিও বুঝতে পারছি। মনে হয় এতদিনে তারাও টের পেয়ে গিয়েছে তাদের বিপদ সামনে।”

ধীরে ধীরে ওরা সেই মাটি খোড়া জায়গা পৌছে গেল।রাজন লাইট মেরে দেখল, অসংখ্য মানুষের মাথার খুলি।কত শত খুলি হবে তা গুনে শেষ করা যাবেনা।রাজন চমকে উঠল।সে ভাবতে পারেনি এত মানুষের মাথার খুলি এখানে পাওয়া যাবে।কিছু নতুন খুলি ও আছে।কেবল ই মাথার হাড় থেকে মাংস খসে পড়েছে।রাজন অভিজ্ঞ দৃষ্টিতে চারপাশ খেয়াল করল।

রাজনের বুঝতে বাকি রইল না ; কেউ বা কারা খু* ন করে দিনের পর দিন এখানে মাথা পুঁতে রেখে দিয়েছে।রাজন খেয়াল করল চৌধুরী বাড়িতেও সেইম একটা ঘটনা ঘটেছে।আজকাল শহরে প্রায় মানুষের কা’টা মাথা পাওয়া যাচ্ছে।কিন্তু কাহিনী টা কি? খু’ন যেই করুক একই ব্যক্তির কাজ।যতগুলো কা’ টা মাথা পাওয়া গিয়েছে ততগুলোর খু’ নী একজন ব্যক্তিই হবে।মাথা রেখে দেহ নিয়ে কি করে?গভীর কোনো রহস্য আছে।খুব বড় কোনো কিলার হয়ত এই কাজ গুলো রাতের আঁধারে করছে।কৃষ্ণ ভয়ে ভয়ে বলল,

“রাজন দাদা আমার কিন্তু অনেক শখ পূজারে নিয়ে সংসার করার। এই সব কাজে আমি আর জড়াব না।কবে কে আমাকে এইভাবে জ-বা-ই দিয়ে দিবে আমার পূজা একা হয়ে যাবে।”
“তোর কল্পনায় কি সারাক্ষণ পূজা থাকে।”
“হ দাদা।আমি আর পূজা আমাদের মেয়ের নাম ও ঠিক করে ফেলেছি।”
রাজন কপাল কুচকালো।কিন্তু অন্ধকারে দেখা গেলনা।সে কপাল কুঁচকে বলল,
“তোদের মেয়ে কোথা থেকে এল।”

“মানে আমাদের বিয়ে হলেই তো বাচ্চা নিয়ে নিব।প্রথম প্রথম মেয়েই হবে।আমার আবার মেয়ের অনেক শখ।প্রথম মেয়ের নাম রাখব কলী।আমার সাথে মিল থাকবে।একসাথে ডাকাযাবে কৃষ্ণকলী।”
রাজন সারাক্ষণ কৃষ্ণের সাথে থেকে থেকে সারাদিন কৃষ্ণের মুখে পূজাকে নিয়ে বকবক শোনে।মাঝে মাঝে ভাবে তাহলে পূজাকে কি পরিমাণ ভালবাসার কথা বলে।এই মেয়েটাকে ছাড়াতো ছেলেটা বাঁচবে না।এমন সময় রাজনের ফোন বেজে উঠল।ফোনের স্ক্রিনে ভাষছে পুষ্পের নাম্বার।পুষ্পের নাম্বার দেখেই রাজনের মুখে হাসি ফুটল।রাজন কৃষ্ণকে বলল, ” এখানে দাঁড়া, আমি কথা বলে আসি।”

কৃষ্ণ দ্রুত বলে উঠল, “না দাদা, আমি এক’পা ও একা হাঁটব না।আমি বাঁচতে চাই।”
রাজন গম্ভীর কন্ঠে বলল, “তা তোকে কে ম’র’তে বলেছে?”
“এই ভূতুড়ে জায়গা আমি একা থাকব না।”
“তাহলে কি আমাদের প্রেমালাপ শুনবি? তোর সামনেই কথা বলতে হবে।”
“আমি কান বন্ধ করে রাখব দাদা।একটা কথাও শুনব না।তাও আমি আপনাকে ছাড়া থাকব না।”
“তুই সিওর কান বন্ধ রাখবি?”

“তা দাদা কি এমন কথা বলবেন যা আমার সামনে বলা যাবেনা।”
“প্রেমিকা হল সিক্রেট জিনিস।তার সাথে বলা কথাও সিক্রেট। পাব্লিক করা উচিৎ নয়। পাব্লিক করলে মানুষের বদনজর লাগে।বদ নজর খুব খারাপ জিনিস কৃষ্ণ। ”
“দাদা আপনি সব বিষয় -এ কত সচেতন।”
” এইবার চুপ কর,কান বন্ধ কর।”
রাজন পুষ্পের ফোন রিসিভ করে হাস্যজ্বল মুখে বলল,

” হাউ আর ইউ মাই ডিয়ার সুইটহার্ট। ”
পুষ্প লজ্জা পেল।লজ্জায় যেন লাল হয়ে যাচ্ছে সে।লাজুক কন্ঠে বলল,
“ভাল আছি, আপনি কেমন আছেন অফিসার।”
” ভাল নেই।”
” কেন অফিসার?”
” তুমি এখনো আমাকে আই লাভ ইউ বলোনি।”
” আই লাভ ইউ মানে কি অফিসার?”

” আই লাভ ইউ মানে ; তোমাকে আমি ভালবাসি জা’ ন।আমার তোমাকে লাগবে।”
পুষ্প আবার লজ্জা পেল।লজ্জা পেয়ে বলল,
“ওসব আমি বলতে পারব না।”
” তাহলে কি আমি তোমার ভালবাসা পাবনা? একদম এরেস্ট করে এনে জেলখানায় ভরে রাখব। যাতে সারাক্ষণ তোমাকে দেখতে পারি।”

” তাহলে তো আমার একটা খু’ন করতে হবে। অপরাধ ছাড়া জেলে দিবেন কীভাবে?”
“খু’ ন তো অলরেডি আমাকে করেই ফেলেছো।”
” কখন?”
” যখন প্রথম দেখা হল ঠিক তখন ই আমি খু* ন হয়েছি।”
“থাক থাক হয়েছে।”
রাজন এইবার মাদক ভরা কন্ঠে ডাকল,

” পুষ্পতা।”
এমন আবেদনময়ী ডাকে পুষ্পের হৃদয়ে কঠিন শিহরন বইলো।কি বলবে বুঝে উঠতে না পেরে বলল,
” হুম।”
” আই লাভ ইউ পুষ্প, ভীষণ ইচ্ছে করছে তোমার মুখে ভালবাসি কথাটা শুনতে।”
পুষ্পের হৃদয় দুলিয়ে উঠল কঠিন ভাললাগায়। নিজেকে আর আটকে রাখতে পারল না। সেই ভালবাসার সরল স্বীকারোক্তি দিয়ে বলল,

” ভালবাসি অফিসার।” বলেই ফোন কেটে দিল।
রাজন হেসে দিয়ে ফোনে একটা চুমু খেল।তারপর কৃষ্ণ কে বলল, ” কিছু শুনেছিস।”
” শুধু একটা চুমুর শব্দ শুনেছি।”
রাজন কৃষ্ণের মাথায় একটা গাট্টি দিয়ে বলল,
” অশ্লিল জিনিস ই তোর কানে যাবে।”

জাহানের শরীর ভাল নয় মোটেও।জ্বরের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে।দশ-দিন কেটে গিয়েছে পূর্ণতা জাহানের হাত ধরে হসপিটালে বসে আছে সাথে প্রভাত ও হসপিটালে।পূর্ণতা আর জাহানকে একা ছেড়ে প্রভাত এক সেকেন্ডের জন্য ও সরেনি।পূর্ণতা মানসিকভাবে একদম ভেঙে পড়েছে।দশদিন ঠিকভাবে খাবার খায়নি, গোসল করেনি। চোখ -মুখ শুকিয়ে একদম অবস্থা নাজেহাল।জাহান ঘুমোচ্ছে।ঘুমন্ত মায়ের মুখের দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে পূর্ণতা।চোখ দিয়ে বেয়ে পড়ছে অনবরত পানি।প্রভাত পূর্ণতার চোখের নিচে হাত মেলে ধরল।পূর্ণতার চোখের এক ফোঁটা পানি এসে প্রভাতের হাতে পড়ল।প্রভাতের কাছে মনে হল পৃথিবীর সব চেয়ে অমূল্য জিনিস টা ঝরে পড়ছে।প্রভাত হাত মুষ্টিবদ্ধ করে পূর্ণতাকে ডাকল,

“পূর্ণ। ”
পূর্ণতা অশ্রুসজল চোখে তাকিয়ে বলল,
” আম্মুর কিছু হলে আমার কি হবে প্রভাত ভাই।আমার তো কেউ নেই আম্মু ছাড়া। কে আমাকে ভালবাসবে? ”
” চাচির কিছু হবেনা,কেন নেগেটিভ ভাবছো?”
“আমি জানিনা, আমার মন শুধু উল্টা পাল্টা বলছে প্রভাত ভাই।”
“একদিন সবাইকে ছেড়ে চলে যেতে হবে। তোমাকে -আমাকে সবাইকে।এসব ভেবে নিজেকে কষ্ট দিওনা। ”

“তাই বলে এভাবে? কারো হাতে নির্যাতিত হয়ে।
শুধুমাত্র আপনার জন্য আমার আম্মুর জীবনে এই কষ্ট।
আপনার জন্য আম্মুকে শান্তি দিতে পারলাম না।আপনি আমাকে বিয়ে না করলে তো আম্মুকে নিয়ে পালিয়ে যেতে পারতাম।”
প্রভাত পূর্ণতার কাধে হাত রেখে বলল,
“পূর্ণতা চলো।”
পূর্ণতা প্রভাতের কথার মানে না বুঝে বলল,
“কোথায়?”
“বাড়িতে চলো। ”

“আম্মুকে কার কাছে রেখে যাব।”
“আম্মু এসেছে। আম্মু আজ রাতে থাকবে তুমি চলো বাড়ি গিয়ে ফ্রেশ হবে।”
” আম্মুকে রেখে যেতে ইচ্ছা হচ্ছেনা।”
” সকালে আবার আসব, চলো।”
মেরি আজরাতে জাহানের কাছে থেকে গেল। প্রভাত পূর্ণতাকে নিয়ে চলে গেল।প্রভাত পূর্ণতার হাত চেপে ধরে বাড়িতে প্রবেশ করল।ওয়াজেদ আর ওয়াসেল দুই ভাই গল্প করছে। আজ তাদের গেস্ট হাউজে গেস্ট আসবে।সে নিয়ে আলাপ করছে।দেখে মনে হচ্ছে খুব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা।প্রভাত বাড়িতে প্রবেশ করতেই ওয়াসেল বলল,

“তোমাকে দু’দিন ধরে ফোন দিচ্ছি, বাড়িতে আসছো না কেন?”
প্রভাত দুই ভাইয়ের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে জবাব দিল,
“আমাকে কেন ফোন দিচ্ছিলে।”
“গেস্ট হাউজে গেস্ট আসবে, তোমার সাথে আলোচনার দরকার আছে।”
প্রভাত ওয়াসেলের দিকে খানিকটা বিরক্ত কন্ঠে বলল,
“আমার বউ হসপিটালে আর আমি বাড়িতে কি করব।”
ওয়াসেল এদিক -ওদিক তাকিয়ে বলল,

“লজ্জা-শরম কি ধুয়ে গিয়েছে তোমার।”
“তোমার পাশে বসে থাকা তোমার ভাই-কে জিজ্ঞেস করো তার কি বিন্দুমাত্র লজ্জা আছে।নিজের বউ কে মে’ রে হসপিটালে পাঠিয়েছে।একটাবার দেখতে যায়নি।”
ওয়াসেল গটমট হয়ে বলল,
” মহিলা মানুষের আঁচল ধরে বেড়াবে নাকি তোমার মত।”
প্রভাত তাচ্ছিল্যের সুরে বলল,

” আমি আমার বউ এর আঁচল ধরে ঘুরি। তোমাদের মত অন্য মহিলাদের আঁচল ধরে ঘুরিনা।”
ওয়াসেল আবার বলল,
” তুমি যাও ফ্রেশ হয়ে নিচে এসো।”
প্রভাত ওয়াজেদের দিকে তাকিয়ে বলল,
” ওয়াজেদ চাচা আপনার সাথে এইবার আমার কঠিন বোঝাপড়া আছে। আপনার জন্য পূর্ণতার চোখে পানি। পূর্ণতার চোখের পানির কারণ যে হবে, তাকেই জাস্ট ফিনিশ করে দিবো।”
ওয়াজেদ প্রভাতের দিকে তাকিয়ে বলল,

“আমি আমার বউ এর গায়ে হাত তুলেছি তাতে তোমার কি?পারলে তুমিও তোমার বউ এর গায়ে হাত তোলো। আটকাচ্ছে নাতো কেউ।”
“আমার বউ এবং আপনার বউ কারো গায়ে হাত তুলতে পারবেন না আপনি।তাহলে হাত দু’ টো এইবার আস্ত থাকবে না প্রমিজ চাচা।আপনার মেয়ে আমার ক *লি* জা* র টুকরো। নইলে বুঝাতাম চাচা আমি কি জিনিস। আপনি অন্যোর মেয়ের গায়ে হাত তোলেন আপনার মেয়ের গায়ে হাত তুললে কেমন লাগে ঠিকই বুঝাতাম।”
ওয়াজেদ পূর্ণতার দিকে তাকিয়ে বলল,

“তা তোলো।নিষেধ করেছে কে?”
প্রভাত পূর্ণতার গলার উপর দিয়ে হাত দিয়ে পূর্ণতাকে বুকের সাথে মিশিয়ে ধরে বলল,
“যদি কোনদিন গায়ে হাত তুলি সেদিন আপনার গায়েই হাত তুলব রেডি থাকেন।তাতে যে পাপ হয় হবে।”
বলেই পূর্ণতাকে কোলে তুলে নিল।পূর্ণতাকে কোলে তুলে ওয়াজেদ আর ওয়াসেলের দিকে তাকিয়ে বলল,
“কীভাবে বউকে ভালবাসতে হয় তা আমার থেকে শিখে রাখুন কাজে লাগবে।”
ওয়াসেল বলল,

“কি আশ্চর্য নির্লজ্জ কি করছো এসব।”
“আমার বউ এর হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে, তাই কোলে নিলাম।”
“বাবা-চাচার সামনে।”
“তোমরা ছেলের সামনে অন্য মহিলা কোলে তুলে নেও তখন লজ্জা লাগেনি।আমিতো নিজের বউ কোলে নিয়েছি।” বলেই প্রভাত সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেল।
পূর্ণতা প্রভাতের গলা জড়িয়ে ধরে বলল,

“এসব কি করছেন আপনি।”
প্রভাত পূর্ণতার দুই গালে চুমু দিয়ে বলল,
“ওদের ধুলাই দিলাম, বিনিময়ে কিছু দাও।”
পূর্ণতা গোল গোল চোখে তাকিয়ে বলল,
“কি দিবো।”

অর্ধাঙ্গিনী পর্ব ২২

প্রভাত দুষ্টু হেসে বলল,
“বেশী কিছু না।যা দিলাম তাই ফেরত দাও।”
পূর্ণতা রাগি চোখে তাকিয়ে বলল,
“জীবনেও না,সিগারেট খাওয়া ঠোঁটে আমি কিস দিতে পারব না।”
“ওহ শীট! আমি গালে চুমু চেয়েছিলাম, ঠোঁটে তো আশাই করিনি।”
“সিগারেট খাওয়া গালে আমি চুমু দিবনা কোনদিন।”

অর্ধাঙ্গিনী পর্ব ২৪

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here