আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১০ || Maishara Jahan

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১০
Maishara Jahan

সায়ন,,,, না চাচ্চু শুনার ইচ্ছে আছে হিহিহি।
সবাই হাসা হাসি করে প্রহর চুপচাপ মাথা নিচু করে খাবার খাচ্ছে আর কিছু একটা ভাবছে।
প্রহর মুশকি হেঁসে বলে,,,, তা কোথায় যাওয়া হচ্ছে।
অয়ন,,,, নিউজিল্যান্ডে।
আমি লাফ দিয়ে উঠে বললাম,,,,,, নিউজিল্যান্ডে ওয়াও, যানেন আমার কতো ইচ্ছে ছিলো সেখানে যাওয়ার।
অয়ন,,,,,,তাই তো নিয়ে যাচ্ছি।

সায়ন,,,,,,, ঘুরার জন্য নিউজিল্যান্ড সেই একটা জায়গা, যতো বার গেছি মন ভরে গেছে। তা সেখানে কোথায় গিয়ে উঠবা।
অয়ন,,,,,, সেটা নীরের জন্য সারপ্রাইজ।
মারু,,,,, ইশশশ আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না, কখন যাবো আমরা।
অয়ন,,,,,,, যাবো যাবো, এখন তো শান্তি মতো খাও।
আমি এক্সাইটেড হয়ে বললাম,,,,, তার মানে আমি কালকে নিউজিল্যান্ডের সমুদ্রে থাকবো। সেখানে গিয়ে কি কি করবো ভাবতেই ভালো লাগছে। আর খেতে ইচ্ছে করছে না।
অয়ন,,,,,,, চুপচাপ খাও না হলে নিয়ে যাবো না।
আমি মুখ বেঁকিয়ে বললাম,,, দিলেন তো আমার এক্সাইটমেন্টে পানি ঢেলে।
প্রহর,,,,, কতো দিনের জন্য যাচ্ছিস তোরা।
অয়ন,,,,, এক সপ্তাহ।

প্রহর,,,,,, তাহলে এই কয়েকদিনের জন্য আমিও চলে যাবো ঘুরতে কোথাও না কোথাও।
অয়ন,,,,,,, হুমম তোর সাথে স্নেহা ও যাবে।
প্রহর ব্রু কুঁচকিয়ে বললো,,,,, কোন কারনে।
অয়ন,,,,, আরে স্নেহা ও আর্টস নিয়ে পড়ছে, তুই ওকে একটু হেল্প করে দিবি।
প্রহর,,,,,,, আমি কি টিচার নাকি, ওকে বল কোনো টিচারের সাথে যেতে।
অয়ন,,,,,, তুই ওর টিচার হয়ে যা,আর রহিদ আংকেল আমাকে রিকোয়েস্ট করেছে, তার কথা আমি ফেলতে পারি।
প্রহর,,,,, আংকেল কেনো তোকে রিকোয়েস্ট করবে।
অয়ন,,,,,, কারন স্নেহা তারি মেয়ে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

প্রহর,,,, তুই এসব ইচ্ছে করে করছিস, আমি জানি, খাওয়া হয়ে গেছে আমার আমি গেলাম।
প্রহর উঠে যেতে থাকে, অয়ন হেঁসে বলে,,,,, স্নেহাকে কি বলবো, আংকেল কিন্তু কষ্ট পাবে।
প্রহর যেতে যেতে বলে,,,,,, কাল আসতে বলবি, আর কম কথা বলতে বলে দিবি, আমার কিন্তু বেশি কথা পছন্দ না।
সায়ন,,,,, প্রহর ভাইয়ার যদি স্নেহাকেও মনে না ধরে।
মারু,,,,,,, আরে ধরবে ধরবে, লেখক মানুষ তাড়াতাড়ি প্রেমে পড়ে।
অয়ন আমার দিকে তাকিয়ে বলে,, এই কথা তোমাকে কে বলেছে।
আমি একটু হেঁসে বললাম,,,, এমনি বললাম।
সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে রুমে যায়। আমি পেকিং শুরু করে দিয়। অয়ন আমাকে সাহায্য করছে পেকিং করতে। পেকিং শেষ করে আমি বেলকোনির রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছি, বাহিরে বৃষ্টি পড়ছে তাই। হাতটা বাহিরে বাড়াতেই আরেকটা হাত আমার হাত ধরে ভিতরে নিয়ে আসলো।

আমি তাকিয়ে দেখে অয়ন, আমি কপাল কুঁচকিয়ে বললাম,,,,, কি হলো।
অয়ন তার শার্টে আমার হাত মুছতে মুছতে বললো,, এই কিছু দিন আগেই জ্বর ভালো হয়েছে, আবার বাধাতে চাও নাকি৷ আর গ্রিল এর এতো কাছে দাঁড়িয়ে আছো কেনো বৃষ্টির পানি ছিটে পড়ছে না।
,,, আরে কিছু হবে না, শুধু শুধু চিন্তা করে।
,,,,, শুধু শুধু চিন্তা করি না, আপনার যে কিছু দিন পর পর কিছু হলেই ঠান্ডা লেগে যায় তাই বলি।
,,,,, আপনি জানলেন কি করে।
,,,,, হুমম জানি তো অনেক কিছুই। আচ্ছা এখন ভিতরে চলো।
আমি হাত ছাড়িয়ে দিয়ে বললাম,,,,, না যাবো না,, আমি কিছু ক্ষন এখানেই থাকবো।
,,,,,ঠিক আছি তাহলে।
,,,,থাকেন আমি কি মানা করছি নাকি।

আমি আবার গ্রিলের বাহিরে হাত বাড়ায়, অয়ন আবার আমার হাত ধরে ভিতরে এনে টান দেয়। আমি কিছুটা এগিয়ে যায় অয়নের দিকে। চোখে চোখ পড়ে। অয়নের আমার দিকে এভাবে তাকানো দেখে আমি আমার চোখ আস্তে আস্তে নিচে নামিয়ে নিচ্ছি, আমার চোখ আটকে যায় অয়নের গলার আমর্স আপেলের দিকে।
আমি সে দিকেই তাকিয়ে আছি, অয়ন বার বার ডোগ গিলায় আমর্স আপেলটা বার বার উপর নিচ করছে। আমি সে দিকে তাকিয়ে একটা ডোগ গিলে ঐ দিকে হাত বাড়ায়, ঐটা স্পর্শ করার আগেই অয়ন আমার হাত ধরে গ্রিলের সাথে লাগিয়ে ফেলে, আমি অয়নের দিকে তাকায়, সে নেশা ভরা চোখে আমার দিকেই এগিয়ে আসছে।

আমিও মনে হয় সে দিকেই যাচ্ছি। অয়ন আমার ঠোঁটের কাছে আসতেই আমি চোখ বন্ধ করে ফেলি, ঠিক তখনি দরজায় টোকা পড়ায় দুজনে লাফ দিয়ে আলাদা হয়ে যায়৷ দুজনেই আমারা ঘন ঘন নিশ্বাস নিচ্ছি। আবারো দরজায় টোকা পড়ায় আমি তাড়াতাড়ি গিয়ে দরজা খুলে দেখি প্রহর দাঁড়িয়ে আছে। আমি লজ্জায় তাকাতে পারছি না। অয়ন ও বেলকোনি থেকে বের হয়ে আসে।
প্রহর ভিতরে এসে বলে,,,,, কি হলো মারু তোমার চেহেরা এমন লাল হয়ে গেছে।
আমি তাড়াহুড়ো করে বললাম,,,,, কই না তো,, আমার নিচে একটু কাজ আছে, আমি আসছি।
বলে চলে যায়৷ প্রহর ওদের দিকে তাকিয়ে একটু হলেও বুঝে যায়। অয়ন প্রহরের কাঁধে হাত দিয়ে বলে,,,একদম ঠিক টাইমে এসেছিস না হলে,,

,,,, না হলে।
,,, কিছু না,, কিসের জন্য এসেছিস সেটা বল।
,,,,, পেকিং করেছিস কিনা সেটাই দেখতে এলাম।
অয়ন,,,,, হুমম করে ফেলেছি
প্রহর একটু সংকোচ বোধ করে বলে,,,,,,, তোদের মধ্যে কি এখনো তেমন কোনো সম্পর্ক গড়ে উঠেনি।
অয়ন একটা লম্বা নিশ্বাস ছেড়ে বলে,,, আমি চাই না নীরের অজানতে কিছু হোক,, আমি চাই সব সত্যিটা জেনেই নীর আমাকে ভালোবাসোক।
প্রহর,,,,, কিন্তু এটা বিপদজনক হতে পারে নীরের জন্য।
,,, হুমম জানি, তবে আমি আমার বেস্ট ট্রাই করবো।

আমি রুম থেকে বেরিয়ে বাড়ির অন্য সাইডে চলে যায়। ইশশশ কি হতে যাচ্ছিলো তাই ভেবে ভেবে লজ্জা পাচ্ছি। আল্লাহ আমি এতোটা নির্লজ্জ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম কিভাবে তাই ভাবছি।
একটু আগে গিয়ে দেখি সায়ন আবার কার সাথে কথা বলছে। একটু এগিয়ে যেতেই, দিয়ার বুঝার চেষ্টা করো, বলছে সায়ন শুনতে পেলাম। আমাকে দেখেই সায়ন থেমে গিয়ে বলে,,,,, আরে ভাবী তুমি।
আমি একটা হাসি দিয়ে বললাম,,,, দিয়ার সাথে কথা বলছো বুঝি।
সায়ন মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জবাব দিলো, আমি বললাম,,,তা কি বুঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছিলো।
সায়ন,,,,, আসলে ও একটু অভিমান করে আছে।

,,, কেনো, কি করেছো।
,, আরে করিনি কিছু, হাতে ব্যাথা পেয়েছি তাই, কোথায় একটু সান্ত্বনা দিবে, তা না, ওনি কষ্ট পেয়ে অভীমান করে বসে আছে।
,,, সরি আমার জন্য,,।
,,,আরে ভাবী আপনার জন্য কিছু হয়নি। শুধু শুধু নিজেকে দোষ দিবেন না। আমি তো এটা বুঝতে পারছি না এগুলো করছেটা কে।
,,, হুমম,,, আচ্ছা তাহলে আমি যায় তুমি কথা বলো।
,,,,ঠিক আছে ভাবী।
সন্ধ্যায় আমরা রেডি হয়ে নিচে বসে আছি, একটু পরেই বের হবো। সবাই এক সাথে বসে কথা বলছি।
অয়ন,,,,, সায়ন তুই কিন্তু চিকিৎসা চালিয়ে যাবি, ড.আলো তোর খেয়াল রাখবে।
সায়ন,,,,, ভাইয়া কোনো দরকার নেয়, আমি অন্য কোনো ডক্টর দেখিয়ে দিবো।
,, বেশি বুঝিস না, কাল যাবি, গিয়ে দেখিয়ে আসবি।
সায়ন মন খারাপ করে বলে,,, ঠিক আছে।

প্রহর,,,,,, টাইম হয়ে গেছে চল, তোদের দিয়ে আসি।
অয়ন,,,, হুমম চল।
ওরা বেরিয়ে পড়ে, এক ঘন্টায় এয়ারপোর্টে পৌঁছে যায়। প্রহর আমাদের বিদায় জানাচ্ছে। আমি আর অয়ন প্রহরকে বাই বলে প্লেনে উঠে যায়। প্রহর অনেক ক্ষন এয়ারপোর্টে মাথা নিচু করে বসে ছিলো।
আমি আর অয়ন বসি,প্লেনটি আকাশে উড়তেই মনে হলো যেনো কান দুটি স্তব্ধ হয়ে গেছে, ভিতরটা কেমন খালি খালি মনে হচ্ছে। কিছু ক্ষন পরে ঠিক হয়ে যায়।
আমি কাঁচের জালানা দিয়ে বাহিরে দেখার চেষ্টা করছি, অয়ন আমাকে জিজ্ঞেস করে,,, কি করছো।
মারু,,,, আরে আমি আকাশ দেখার চেষ্টা করছি।

,,,এখন কিভাবে দেখবে এখন তো রাত।,এখন দেখা যাবে না।
আমি মুখ ফুলিয়ে বললাম,,,,,,, তাহলে আমাকে রাতে কেনো আনলে, দিনের সময় আনলে কি সমস্যা হতো হুমম৷
,,,আচ্ছা বাবা আসার সময় আমরা দিনে আসবো ঠিক আছে।
,,,হুমম ওকে। আচ্ছা শুনেছি নিউজিল্যান্ড নাকি স্বর্গের মতো সুন্দর।
,,,,স্বর্গ কেমন সেটা তো কেও দেখেনি, কিন্তু এটা ঠিক সেখানটা অনেক সুন্দর। যেমন সুন্দর সমুদ্র তেমন সুন্দর তার পাহাড়। সবকিছু মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটা জায়গা৷ আর একজন আমাকে বলেছিলো সে অনেক গুলো ডলফিনকে এক সাথে দেখার অনেক ইচ্ছে। আর বিকেলে সূর্য ডোবার আগে সমুদ্রের মাঝখানে তাদের দেখা যায়।

,,,, কে বলেছিলো।
,,,, জানি না, আমার স্বপ্নে বলেছিলো কেও একজন।
,,,, আপনি স্বপ্ন একটু বেশিই দেখেন।
,,,কি করবো স্বপ্ন ছাড়া বাঁচা যায় নাকি।
অয়নের সাথে গল্প করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি বলতেও পারি না। অয়নের বুকে কখন মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেছি। যখন চোখ খুলে নিজেকে একটা রুমে পায়, অসাধারণ কাঠের কারিগরি মনে হচ্ছে। রুমে আশেপাশে কেও নেয়।
বারান্দা দিয়ে সমুদ্র দেখা যাচ্ছে। আমি দৌড়ে যায়, গিয়ে দেখে আশেপাশে মাটি নেয়, সমুদ্রের পানি। প্রথমে একটু ভয় পেয়ে যায়, বাড়িটাকি সমুদ্রে ভেসে আছে নাকি, আমি তো সাঁতার ও জানি না।
অয়ন বলে চিৎকার করতেই অয়ন এসে হাজির, আমার হাত ধরে বলে কি হয়েছে। আমি একটু ভয়ে উত্তর দিয়,, আমরা কি সমুদ্রে ভেসে আছি নাকি, কোথায় আমরা ডুবে যাবো নাতো আবার।

অয়ন হেঁসে উওর দিয়ে বলে,, পাগল মেয়ে চলে আমার সাথে। বলে আমার হাত ধরে রুমের বাহিরে নিয়ে যায়। ড্রয়েং রুম পেরিয়ে বাহিরে তাকিয়ে দেখি। আমরা একটা ছোট্ট রিসোর্ট এ৷ আছি, যেটা সমুদ্রের উপরে তৈরি করা হয়েছে। দেখে আমার মন জুরিয়ে গেলো এতো সুন্দর।
অয়ন হেঁসে বলে,,,, তুমি ডুববেনা, নিচে কমড় পর্যন্ত পানি। আমি বললাম,,,, তাহলে আমার তো বুক পর্যন্ত হবে, আপনি যা লম্বা।
,,, কেনো তোমার কি খাটো ছেলে পছন্দ নাকি। আর হলেও কিছু করার নাই, এখন তো পা কেটে ফেলতে পারবো না।
আমি হেঁসে দিয়ে বললাম,,,,, আমি কি তা বলেছি নাকি। আচ্ছা এখানে আর কেও নেয়।
,,না পুরো রিসোর্ট বুক করে ফেলেছি, শুধু যা যা দরকার পড়বে ফোন করলেই দিয়ে যাবে।
,,,,, ওহহহ ওকে,, কোনে বিপদ হবে না তো আবার।

,,,, না ,, আশেপাশে অনেক লোক আমাদের খেয়াল রাখছে, তুমি বুঝতে পারবে না।
,,, হুমম,,ওকে,, জায়গাটা ঠিক আমার মনের মতো, আপনার এমন জায়গায় আসার ইচ্ছে ছিলো নাকি।
,,,, ঠিক আমার না, কোনো একদিন একজন এমন জায়গার কথা বণনা করেছিলো।
,,,,, তাও আবার স্বপ্নে তাই তো।
অয়ন শুধু হাসলো। দুজন রুমের ভিতরে যায়। আমি একটা টানা দিয়ে বলি,,, রুমটা খুব সুন্দর আর অনেক বড়ো তাই না।
,,, হুমম। এক কাজ করো তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো, আমি একটু ঘুমায়।
,,,এখানে আমরা ঘুমানোর জন্য আসছি।
,,,,, তুমি তোহ সারা রাত ঘুমালে আমি তো পারিনি, এখন মাত্র ৯ টা বাঝে, আমরা ১১ টার দিকে বের হবো ওকে।
,,,, হুমম ঠিক আছে।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ৯

একজন সার্ভেন্ট প্রহরের দরজা ধাক্কাচ্ছে, প্রহর দরজা খুলতেই বলে কেও একজন তার জন্য অপেক্ষা করছে। প্রহর নিচে যায়, গিয়ে দেখে স্নেহা বসে আছে, প্রহরকে দেখে দাঁড়ায়।
প্রহর,,,,,, আপনি এখানে।
,,, হুমম, আপনি তো আমাকে আসতে বলে ছিলেন, কয়েকদিন আপনি সেখানে যাবেন আমি আপনার সাথে সাথে যাবো।
,,,, তাই বলে এতো সকাল সকাল এসে পড়বেন।
,,,, হুমম, আমি আমার ভাগের সময় নষ্ট করতে চাই না। আচ্ছা আপনার বয়স কতো।
প্রহর ব্রু কুঁচকিয়ে জিজ্ঞেস করে,, কেনো।
,,,, আচ্ছা আপনার বয়স কতো এটা বলবেন না ঠিক আছে, তাহলে কি আমাকে আপনার বড় মনে হয় নাকি।
,,,,, না কেনো।
,,,,, এই যে আপনি আমাকে আপনি আপনি করে ডাকছেন। নিজেকে কেমন বয়স্ক বয়স্ক মনে হয়। তুমি করে ডাকতে পারেন না।
,,,,,, অফফ,,, ঠিক আছে তুমি করেই বলবো।
,,,,ঠিক আছে এখন রেডি হয়ে আসেন,তাড়াতাড়ি আমাদের লেইট হয়ে যাবো।
,,,,,, ঠিক আছে,,, (আজ সারা দিন এর সাথে কাটাতে হবে অফফ)

আমি গোসল করে এসে দেখি অয়ন ঘুমিয়ে আছে, দেখে মনে হচ্ছে একদম কোনো বাচ্চা। আমি অয়নের কাছে গেলাম, আরেকটু কাছে যাতে ইচ্ছে করছে। তো আমি আরেটু কাছে গেলাম। মনের মধ্যে জানি কেমন লাগছে। জানি না কেনো মনে হচ্ছে আজ কিছু তো একটা হবে, যাই হবে ভালোই হবে।
হঠাৎ আমার চুলের এক ফোঁটা পানি অয়নের গালে গিয়ে পড়ে, অয়ন চোখ খুলে, আমি সরে যেতে নিয় অয়ন আমার মাথায় একহাত দিয়ে ধরে কাছে নিয়ে আসে।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১১