আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ৯ || Maishara Jahan

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ৯
Maishara Jahan

আরো কয়েক জন এসে পড়ে, অয়ন সায়ন আর প্রহর তাদের সাথে মারামারি করতে থাকে, একটু পরে গার্ডরা চলে আসে, একজন মারুর দিকে গুলি করে মারু নিচে পড়ে ছিলো,,,
সায়ন এসে মারুকে সরাতে নেয় আর গুলি সায়নের বাহু ছুঁয়ে যায়। সায়ন ব্যাথায় মাটিতে পড়ে যায়। হাত বেয়ে রক্ত পড়ছে। গার্ডরা ঐ লোকটিকে ধরে। অয়ন আর প্রহর দৌড়ে যায়। অয়ন সায়নের হাত ধরে বলে,,, ঠিক আছিস তো।
সায়ন,,,,,ভাই আমি ঠিক আছি, তুমি আগে ভাবীকে দেখো।
প্রহর সায়নকে ধরে বলে,,,,তুই মারুকে নিয়ে আয় আমি সায়নকে ধরছি।

অয়ন মারুকে কোলে করে গাড়িয়ে উঠায় আর প্রহর সায়নকে ধরে গাড়িতে বসে। অয়ন তাড়াতাড়ি গাড়ি চালিয়ে হসপিটালে যায়। মারুকে বেডে শুয়িয়ে ট্রিটমেন্ট করা হচ্ছে আর সায়নকে অন্য রুমে একজন মেয়ে ডক্টর ব্যান্ডেস করে দিচ্ছে।
ড.একটুর জন্য বেঁচে গিয়েছেন, আরেকটু হলেই গুলি ভিতরে ডুকে যেতো, আচ্ছা আপনি কি পুলিশ।
সায়ন,,,,, না
মেয়েটা মন খারাপ করে বলে,,,তাহলে কি গুন্ডা।
সায়ন ব্রু কুঁচকিয়ে তাকিয়ে বলে,,,মানে।

,,, না মানে গুলি লেগেছে আর গুলি কাদের লাগে হয়তো পুলিশ না হলে গুন্ডাদের।
,,,, কোথায় লেখা আছে যে গুলি শুধু পুলিশ আর গুন্ডাদের লাগে। আর আমাদের বাসায় কিছু ডাকাত ডুকে গেছিলো,বাকিটা আপনাদের যে ড.অয়ন আছে তার কাছ থেকে জেনে নিবেন আমি তার ছোট ভাই।
মেয়েটা খুশি হয়ে বলে,,, ওহহ তাহলে তো মনে হয় ভালোই হবেন আপনি, যাক ভালোই হয়েছে।
সায়ন,,,,, মানে
,,,মানেটা হলে কিছু না,, আমি আলো, কিছুদিন আগেই ডক্টর হয়েছি।
সায়ন,,,,,,হুমম কংগ্রাচুলেশনস।
,, ধন্যবাদ, আচ্ছা আরেকটা কথা।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

,,,আর কোনো কথা বলার কোনো দরকার নেয় ব্যান্ডেস করা হয়ে গেছে সো এখন আমাকে যেতে দিন, মেডিসিন সব ভাইয়া দিয়ে দিবে, সো থ্যাংস মিস্ আলো।
বলে উঠে চলে যায়, আলো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মুশকি হেঁসে বলে,,,,,রাগ ও আছে দেখা যায়,আলো জীবনের প্রথম কাওকে তোর ভালো লেগেছে এতো সহজে কিভাবে ছাড়বি। মিঃ সায়ন খান তোমার লাইফে আমি এন্ট্রি নিয়েছি, দেখবো কিভাবে পালাও আমার থেকে।
সায়ন প্রহরের কাছে যায়, গিয়ে জিজ্ঞেস করে,,,, ভাবীর কি অবস্থা।
প্রহর চিন্তিত হয়ে বলে,,,,,যানি না, অয়ন এখনো তো এসে কিছু বলেনি।

একটু পর অয়ন আসে, অয়ন আসতেই সায়ন আর প্রহর অয়নের কাছে দৌড়ে যায়, গিয়ে বলে,,, মারুর কি অবস্থারে।
অয়ন,,,,,, এখন ঠিক আছে,, ঘুমাচ্ছে। কাল সকালে একদম ঠিক হয়ে যাবে। সায়ন তুই ঠিক আছিস তো।
সায়ন,,,, আরে ভাই আমার কিছুই হয়নি। আমি একদম ঠিক আছি।
সামনে থেকে আলো আসে। সায়ন আলোকে দেখে জিজ্ঞেস করে,,, আপনি এখানে কেনো এসেছেন।
আলো মুশকি হেঁসে বলে,,,, আপনার ব্যাথা কমানোর জন্য।

অয়ন আর প্রহর আলো আর সায়নের দিকে সন্দেহর নজরে তাকায়। সায়ন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,,,,,,, মানেহহ।
আলো তাড়াহুড়ো করে বলে,,,,,, আরে মানে আপনি তো পেইন কিলার না নিয়েই চলে এসেছেন, তাহলে ব্যাথা কমবে কিভাবে, এই দেখেন আমি আপনার জন্য ইনজেকশন সাথে করে নিয়ে এসেছি।
সায়ন,,,, না আমি কোনো ইনজেকশন টিনজেকশন দিতে পারবো না।
অয়ন,,,,,, পারবি না, মানে কি দিতে হবে।
আলো চাপা হাসি দিয়ে বলে,,,,আপনি ইনজেকশন এ ভয় পান।
সায়ন বিরক্তি নিয়ে বলে,,,আমাকে দেখে মনে হয় যে, আমি ভয় পায়।
আলো,,,,, হুমম মনে হয়।

প্রহর আর অয়ন হেঁসে দিয়ে আবার থেমে যায়। সায়ন রাগে বলে,,,আমি ভয় পায় না,, ঠিক দিন আপনি।
হাতটা এগিয়ে দিয়ে অন্য দিকে ঘুরে যায়। আলো এখনি দিবো, এখনি দিবো করতে করতে ইনজেকশন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে আর সায়ন শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। আলে হেঁসে দিয়ে বলে,,, হয়েছে আর ভয় পেতে হবে না ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছি।
সায়ন তাকিয়ে বলে,,,, হয়ে গেছে।
আলো,,,,,হুমম,কাল আবার আসবেন কিন্তু চেকাপ করাতে।
সায়ন,,,,,, কোনো দরকার নেয়, আমার বাড়িতে অলরেডি একটা ডক্টর আছে আর দরকার হবে না।
আলো,,,,, আরে পরিবারে দুইজন ডক্টর থাকলে বেশি ভালো হয়।

সবাই আলোর দিকে এক ব্রু উঠিয়ে তাকিয়ে আছে। আলো হালকা হেঁসে বলে,,, আমার কাজ আছে আমি এখন যায়, পরে কথা হবে।
বলে তাড়াতাড়ি করে চলে যায়। সায়ন অয়নের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,তোমাদের এখানে সব পাগল ডক্টর নাকি।
অয়ন,,,,ঐটা পাগল না ঐটা পাগলী। আগে ছিলো না তবে এখনেরটা জানি না। তবে মেয়েটা কিন্তু ভালো আছে। আচ্ছা প্রহর তুই গাড়ি বের কর আমি মারুকে নিয়ে বাসায় যাবো। ও হসপিটালের গন্ধ সহ্য করতে পারে না।
সায়ন,,,কিন্তু ভাবী তো ঘুমাচ্ছে।
অয়ন,,,কিন্তু আমি তো জেগে আছি। প্রহর গাড়ি বের কর।
প্রহর,,,,,হুমম ঠিক আছে।

অয়ন মারুকে ঘরে এনে শুয়িয়ে দেয়। কিছু ক্ষন তাকিয়ে থেকে তারপর কপালে একটা আদরের পরশ দিয়ে রুম থেকে রাগে বেরিয়ে যায়। সোজা প্রহরের রুমে যায়, গিয়ে বলে,,,,,যাদের আটকানো হয়েছে তাড়া কোথায়, ওদের আমি ছাড়বো না।
প্রহর,,,,,, পুলিশ এসে নিয়ে গেছে। তারা জিজ্ঞাসা করছে।
,,,ওদের পুলিশের হাতে কেনো দিলি, ওদের এমন অত্যাচার করতাম যে ওর বসের নাম ঠিকি বলে দিতো।
প্রহর,,,,, ওদের কম অত্যাচার করা হচ্ছে না, কিন্তু ওরা শুধু একটা কথায় বলছে যে ওরা জানে না কে মারতে চাই মারুকে, ওরা শুধু ফোনে কথা বলেছে৷ কোনো প্রমান পাওয়া যাচ্ছে না।

,,,ওদের আমি ছাড়বো না, চল এখন।
,,, অয়ন রাগ করে লাভ নেয়, ওরা কিছু জানে না, আর রাত অনেক হয়েছে গিয়ে শুয়ে পড়।
,,,,নিজেকে ঠান্ডা করতে পারছি না, রাগ হচ্ছে অনেক।
,,,ঠান্ডা কর,, যে এসব করেছে তাকে খুঁজে বের করে এমন অবস্থা করবো যে কল্পনাও করতে পারবে না। এখন যা গিয়ে শুয়ে পড়।
,,হুমম।

অয়ন বাহিরে চলে যায়, রুমে যেতে নিয়ে সায়নের রুম থেকে কথা বলার শব্দ আসে। অয়ন দেখতে যায়, দরজা একটু ফাঁক করে দেখে সায়ন দাঁড়িয়ে কথা বলছে। সায়ন বলছে,,,আরে আমার তেমন কিছু হয়নি, জান রাগ করো না, আরে বুজার চেষ্টা করো।
এগুলো বলতে নিয়ে পিছনে তাকায়, তাকিয়ে দেখে কাওকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সায়ন একটু সামনে এসে বলে,,,,কে।
অয়ন দরজা খুলে ভিতরে আসে, এসে বলে,,,আমি,, তুই একটা একটা বকবক করছিলি।

সায়ন তার কানের দিকে ইশারা করে ইয়ার ফোন দেখিয়ে বলে,,, আমাকে কি পাগল মনে হয়, যে আমি একা একা বকবক করবো।
অয়ন,,,,কার সাথে এতো রাতে কথা বলছিলি, আর জান টান কিছু শুনলাম মনে হলো, কে রাগ করে আছে।
,,আরে ভাই তুমিও না কি থেকে কি শুনো,, আমি বলছিলাম যে, আমি কিছু দিন অফিসে ঠিক করে মন দিতে পারবো না, আর তোরা ঘুরতে যাওয়ার কথা বলিস, আমি যেতে পারবো না তাই রাগ করে লাভ নেয়, আর আপনারা যান আমি অন্য কোনো দিন যাবো।

,,,কোথায় যাওয়ার কথা হচ্ছে।
,,,,ঐ আরকি বন্ধুরা মিলে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা বলছিলো।
,,,ওহহ আচ্ছা,, এই অবস্থায় কোথাও যাওয়ার দরকার নেয়, আর তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়।
,,,,জ্বী ভাই। আর ভাই ঐ গুন্ডাদের কি হলো,ওরা কিছু বলেছে।
,,, কিছু বলেনি।
,,আরে দূর ওদের আমার হাতে তুলে দাও, আমি ওদের এমন ডিম থেরাপি দিবো যে না বলে থাকতে পারবে না।
,,,আমি দেখে নিবো, তুই ঘুমিয়ে পড়।
,,,হুমম ওকে।

অয়ন গিয়ে মারুর পাশে মারুকে জরিয়ে ধরে, বেশি শক্ত করে ধরে না, শুধু মারুর গলার কাছে মুখ রেখে এক হাত মারুর উপরে রাখে। কারন মারুর হাতে সেলাইন দেওয়া তাই বেশি নড়াচড়া করা যাবে না।
অয়ন মারুর দিকে তাকিয়ে বলে,,,, সবাই শুধু অগুন থেকে তার তৃষ্ণাকে নিতে চাই কিন্তু কেনো। ওরা কেনো বুঝে না অয়ন নীরকে ছাড়া অসম্পূর্ণ। যারা আমাদের আলাদা করতে চাই তাদের আমি রাখবো না। বড্ড বেশি ভালোবাসি তোমায়। কালকেই তোমাকে নিয়ে আমি আমাদের স্বপ্নের দেশে যাবো, সেখানে গিয়ে আমি আমাদের কাহিনি শুনাবো তোমাকে,যদি সম্ভব হয়। কারন তোমার ভালোবাসা ছাড়া আমি আর থাকতে পারছি না নীর। কারন আমি তোমাকে ভালোবাসি অনেক বেশি ভালোবাসি।

সকালে আমি একটু চোখ খুলে আবার বন্ধ করে ফেলি, মনে হচ্ছে ঘুম এখনো ছাড়েনি, কিন্তু জালানার পর্দার ফাঁক দিয়ে আসা আলো আমাকে ঘুমাতে দিচ্ছে না, চোখে লাগছে। অন্য দিক হয়ে ফিরতে নেয়, আর হাতে ব্যাথা অনুভব করে উঠে বসে পড়ি। চোখ খুলে হাতের দিকে তাকিয়ে দিয় জোরে চিৎকার।
আমার চিৎকারের আওয়াজে অয়ন লাফ দিয়ে উঠে বলে,,,, কি হয়েছে, কি হয়েছে।
আমি জোরে চিৎকার দিয়ে কান্না করে বলি,,,, আমার হাতের ভিতরে এতো বড়ো সুচ ঢুকানো কেনো, বের করো, বের করো বলছি, আআআআ।

অয়ন,,,,আরে এতে এতো চিৎকার করার কি আছে, আমি এখনি বের করে দিচ্ছি।আর এতো ছটফট করো না তো।
অয়ন বের করার জন্য হাত বাড়ায় তখন আমি ভয়ে দেয় আরেকটা চিৎকার, নাআআআ বলে। অয়ন ভয়ে বলে,,, কি হলো, এখনো বের করি নাই।
,, না আপনি হাত লাগাবেন না এখানে, আমি ব্যাথা পাবো।
,, আরে হাত না লাগালে বের করবো কিভাবে।
আনি কান্না করে দিয়ে বললাম,,,,,, নাআআ আমি জানি না, আপনি এটাকে বের করুন তাড়াতাড়ি কিন্তু হাত লাগাবেন না।
অয়ন,,, আরে অদ্ভুত জ্বালা,, বের করতে হবে আর হাত ও লাগানো যাবে না৷ এটা কি তুমি কাচঁ পেয়েছো যে, ঢুকে গেছো মুখ লাগিয়ে বের করে দিবো, এটা সুচ হাত দিয়েই বের করতে হবে, আর আমি কোনো জাদুকর না, বের করতে দাও আমাকে।
,,, নাআআআ নাআআআ।

দরজায় সবাই ডাকাডাকি করছে। অয়ন দরজা খুলতেই প্রহর সায়ন বাবা মা সবাই হাজির। সবাই চিন্তিত হয়ে বলে,,,, কি হয়েছে এতো চিৎকার চেচামেচি কেনো।
অয়ন সবাইকে সবটা বলে, সবাই আমাকে বুঝাতে থাকে, কিন্তু আমি বুঝতে রাজি না। এবার অয়ন ধমক দিয়ে বলে,, চুপচাপ বসে থাকো, আর নড়াচড়া করলে খবর আছি, আমি এটা বের করছি।
আমি কিছু বলতে নিলেই আমাকে ধমক দিয়ে বসিয়ে দেয়। আমি চুপচাপ বসে আছি আমার পাশে প্রহর বসে আর সামনে সায়ন দাঁড়িয়ে আছে।

অয়ন আমার হাত ধরে সুচ বার করার জন্য, আমি প্রহরের কাঁধ চেপে ধরি, সুচ বার করে আর আমি জোরে চিৎকার দিয়, সাথে সায়ন ও চিৎকার করে উঠে আর আমাদের চিৎকার শুনে প্রহর ও চিৎকার করে উঠে।
অয়ন ধমক দিয়ে বলে,,,, চুপ সবাই,, সুচ বের করে দিয়েছি।
সবাই আমরা চুপ হয়ে যায়, অয়ন সায়নের দিকে তাকিয়ে বলে,,, তুই কেনে চিৎকার করেছিস।
,,, আরে ভাই এতো বড়ো সুচ ঢুকিয়েছিস। দেখেই কেমন লাগে।
অয়ন এক ব্রু উঠিয়ে প্রহরের দিকে তাকায়,, প্রহর হেঁসে বলে,, ওদের চিৎকার শুনে বেরিয়ে গেছিলো।
অয়ন,,,,,আল্লাহ আমার বাসায় নমুনার অভাব নেয়।
বলে ওয়াশ রুমে যায়। সায়ন বলে,, ও কি আমাদের নমুনা বললো।
প্রহর,,,, আমাদের না তোকে বলেছে।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ৮

আমি সায়নের ব্যান্ডেস দেখে বলি,,, তোমার হাতে কি হয়েছে, আর হ্যাঁ কাল রাতে কি হয়েছিলো, আমার তো মনেই নেয়, বলো পিল্জ।
প্রহর আমাকে সব কিছু বলে, আমি সায়নের দিকে তাকিয়ে বলি,,, আমাকে বাঁচাতে গিয়ে তোমার এই অবস্থা, তোমার এই ঋণ আমি কি,,,
সায়ন,,,ভাবী আর কিছু বলেন না, ভাবী মানে মায়ের মতো, তাহলে আমি আপনাকে কিছু কিভাবে হতে দিতে পারি। আচ্ছা আমি এখন আসি আর প্রহর ভাইয়া তুমিও গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো।
প্রহর,,,হুমম।
সবাই চলে যায়, সবাই ফ্রেশ হয়ে নিচে নাস্তা করার জন্য আসে। অয়ন সবাইকে বলে,,, আজ রাতে আমাদের ফ্লাইট আছে, আমরা কিছু দিনের জন্য ঘুরতে যাবো।

মারু,,,, আজ, আমি তো কিছু প্যাকিং করিনি।
অয়ন,,,,, টাইম আছে করে নিয়ো।
মারু,,, কিছু শপিং ও করা লাগতো সমুদ্রে যাবো।
অয়ন,,,, বেশি কিছু নেওয়ার দরকার নেয়, আমরা ওখানে গিয়ে শপিং করে নিবো।
প্রহর,,,,,, কিন্তু এই সময় তোরা ঘুরতে যাবি, যদি কোনো প্রবলেম হয় তাহলে, যাওয়ার দরকার নেয়।
অয়ন,,,, এবার আমি পুরো প্রটেক্ট নিয়ে যাবো সো চিন্তা করিস না।
সায়ন একটু দুঃখী চেহেরা করে বলে,, ভাবী আমাদের একা ফেলে চলে যাবে।
মারু,,,, তোমরাও চলো, সবাই গেলে মজা হবে অনেক।

সায়ন হেঁসে দিয়ে বলে,,,, হানিমুনে দেবরকে নিয়ে গেছে আমাদের জুনিয়র অয়ন আসবে কিভাবে।
লজ্জায় আমি মাথা নিচু করে ফেলি, অয়ন সায়নকে ধমক দিয়ে বলে,,, সবার সামনে কি বলছিস, মার খাওয়ার ইচ্ছে আছে।
সায়ন,,,, না চাচ্চু শুনার ইচ্ছে আছে হিহিহি।
সবাই হাসা হাসি করে প্রহর চুপচাপ মাথা নিচু করে খাবার খাচ্ছে আর কিছু একটা ভাবছে।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১০