আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ৮ || Maishara Jahan

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ৮
Maishara Jahan

এক জন ফোনে বলছে,,,, আজকেই যেনো মারু নামের মেয়ে এই দুনিয়া থেকে সরে যায়,আজ যেনো বাঁচতে না পারে, যতো টাকা লাগে আমি দিবো, আর হ্যাঁ শুধু যার ছবি পাঠিয়েছি তাকেই শেষ করবে, অন্য কারো ক্ষতি করলে তোদের ঐখানেই শেষ করে দিবো।আর মারুকে বেশি কষ্ট দিয়ে মারলেও তোদের খবর আছে।
ফোনের ওপাশ থেকে একজন বলছে,,,, ওকে স্যার,,,(সাইকো মনে হয়)
মারু সেই কখন ধরে অয়নের অপেক্ষা করছে। বিকেলে গাড়ির আওয়াজ পেয়েই আমি এক দৌড় দিয়ে দরজার সামনে। বেলের আওয়াজ দেওয়ার সাথে সাথে দরজা খুলে ফেলি।
অয়ন আমার দিকে তাকিয়ে হাসি দিয়ে বলে,,,,, কি ব্যাপার আজকে বেল বাঝার সাথে সাথে তুমি দরজা খুললে যে, আমার অপেক্ষা করছিলে বুঝি।

আমি সাইড হয়ে বলি,,, হুম আর কার জন্য করবো।
অয়ন ভিতরে আসে, অয়নের হাত খালি দেখে মনটা খারাপ হয়ে যায়। অয়ন সোফায় বসে বলে,, নীর আমার জন্য একটু পানি এনে দিবে।
আমি একটা সার্ভেন্টকে বললাম পানি এনে দিতে, অয়ন আমার দিকে তাকিয়ে কিছু বললো না। মুখ ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছি, অয়ন আমাকে জিজ্ঞেস করে,,, কি হলো মন খারাপ নাকি, আমি কি কিছু করেছি নাকি নীর।

আমি একটু রাগ আর একটু অভিমানী হয়ে বললাম,,,, না না, আপনি কি কিছু করতে পারেন নাকি, আপনি তো কিছুই করেন না।
অয়ন পানির গ্লাসটা টেবিলে রেখে দুষ্টু হাসি দিয়ে বলে,,, তুমি চাইলে অনেক কিছু করতে পারি, শুধু তুমি অনুমতি দিয়ে তো দেখো।
আমি রাগী ভাবে বললাম,,,, কথায় বলবো না আপনার সাথে, আমি রুমে চলে গেলাম থাকেন আপনি এখানে।
অয়ন দাঁড়িয়ে বলে,,,,, আমি কি সারা দিন এখানেই থাকবো নাকি, আমিও তো রুমে যাবো, মিস ঐটা কিন্তু আমারো রুম।
,,হ্যাঁ তো আসেন, জুরুরি নাকি যে এক রুমে থাকলে কথা বলতে হবে। বলবো না কথা আপনার সাথে।
তখন প্রহর এসে বলে,,,,, কে কার সাথে কথা বলবে না।
অয়ন,,, নীর আমার সাথে কথা বলবে না বলছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

প্রহর,,,,,, কেনো নীর কি হয়েছে, একটু আগেই তো দেখলাম দৌড়ে লাফিয়ে নিচে আসলে, আমি ভাবলাম কি না কি হয়ে গেছে।
অয়ন হেঁসে বলে,,,আচ্ছা আমাকে দেখার জন্য এতো মরিয়া হয়ে ছিলে।
আমি একটু রাগে বললাম,,,, জ্বী না, আপনাকে দেখতে আমার বয়েই গেছে হুহহ।
প্রহর,,, হুমম এবার বুঝতে পেরেছি, অয়ন তুই মারুর জন্য কোনো ড্রেস আনিস নি।
অয়ন,,, না সাথে করে আনিনি,,
মারু,,, সেটা মনে থাকবে কেনো, হসপিটালে এতো সুন্দর সুন্দর চেহেরা দেখে সব ভুলে গেছে আপনার বন্ধু।
অয়ন,,,,, ওহহ তাহলে এই জন্য মেম এর রাগ হয়েছে।

প্রহর,,,,,, আমি আগেই বলেছিলাম যে, আমি নিয়ে যায়, তোর এতো কাজের মধ্যে কি মনে থাকবে নাকি। আচ্ছা এখনো বেশি লেইট হয়নি তুই গিয়ে ফ্রেশ হয়েনে আমি মারুকে নিয়ে যাচ্ছি।
আমি একটু অভিমানী কন্ঠে বললাম,,,, কোনো দরকার নেয়, আমার যা আছে তাই পড়ে নিবো।
অয়ন মুশকি হেঁসে বলে,,,সবার বলা হয়ে থাকলে আমি বলি, তুমি ভাবলে কি করে যে আমি তোমার ড্রেস আনবো না, শতো ব্যস্থতার মধ্যেও তোমার কথা আমি কোনো দিন ভুলবো না।
আমি খুশি হয়ে বলি,,,, এনেছেন, কোথাই দেখি।
অয়ন,,,,, সবার আগে গিয়েই আমি তোমার জন্য ড্রেস সিলেক্ট করি, আর সেটা সময় মতো পার্সেল করে দিতে বলে দিয়েছি,একটু পরেই হয়তো দিয়ে যাবে।

আমি খুশি হয়ে লাফ দিয়ে বললাম,,,, সত্যি,, ধন্যবাদ,, আমি জানতাম আপনি ভুলবেন না।
অয়ন,,,,তুমি যে কতোটা জানতে সেটা আমার বুঝা হয়ে গেছে। আচ্ছা এখন চলো পিল্জ ফ্রেশ হতে হবে।
আমি অয়নের এক হাতে বাহু জরিয়ে ধরে বললাম,, চলো।
অয়ন,,,,, আচ্ছা প্রহর তুই থাক আমি আসছি।
প্রহর মুশকি হেঁসে শুধু মাথা নাড়ায়, সে দাঁড়িয়ে তাদের যাওয়া দেখে।

অয়ন রুমে গিয়ে সোজা ওয়াশ রুমে যায়, গিয়ে সাওয়ার নিয়ে বের হয়ে দেখে পার্সেল এসে গেছে আর সেই শাড়ীটা আমি আমার উপরে রেখে দেখছি কেমন লাগছে। হঠাৎ করে অয়ন বলে উঠে,,, চিন্তা করো না খারাপ লাগবে না, আজ আমি ঠিক নিহতো হবো।
আমি পিছনে তাকিয়ে অয়নের দিকে তাকিয়ে বলি,,,,, আপনি তো আমার জন্য ড্রেস আনতে গিয়েছিলেন তাহলে শাড়ী নিয়ে আসলেন যে।
অয়ন মাথা মুছতে মুছতে বললো,,,,, একজন আমাকে বলেছিলো যে সে আমাদের বিয়ের পরে যে অনুষ্ঠান হবে সেখানে কালো শাড়ী পড়বে, তার খুব ইচ্ছে তাই নিয়ে আসলাম।
আমি শাড়ীটা বিছানায় ফেলে দিয়ে বললাম,,,, কে বলেছিলো।
অয়ন হেঁসে বলে,,স্বপ্নে বলেছিলো, আর স্বপ্নের মেয়েটাও তুমি, এখন বলো পছন্দ হয়েছে নাকি তোমার জন্য ড্রেস নিয়ে আসতে হবে।
আমি শাড়ীটা নিয়ে বললাম,,,থাক থাক লাগবে না, আমার খুব পছন্দ হয়েছে।
অয়ন,,,,, তাহলে তো ভালোই, আচ্ছা আরেকটা কথা।
,,কি

,,,শাড়ী পড়ে সবার আগে আমাকে দেখাবে, আমার আগে যেনো অন্য কেও তোমাকে না দেখে।
,,,,, আপনিই আগে দেখবেন কারন আপনি তো রুমে থাকবেন তাই না।
অয়ন দুষ্টু হাসি দিয়ে বলে,,,, আমাকে রুমে রেখে শাড়ী পড়বে, তাহলে আমার কোনো প্রবলেম নেয়।
আমি শাড়ীটা রেখে ওয়াশ রুমে যেতে যেতে বললাম,, আপনি বসে বসে এটার স্বপ্নই দেখতে থাকুন, এটা আর পূরণ হবে না।
,,,কিছু স্বপ্ন পূরণ ও হয় বুঝলা।
,,,,কচু।

সন্ধ্যায় অয়ন কালো কোর্ট, প্যান্ট আর সাদা শার্ট পড়ে নিচে বসে সবার সাথে কথা বলছে। আমি এখানে রেডি হয়ে নিজেকে আয়নায় দেখছি আর লজ্জা পাচ্ছি। অয়ন আমাকে দেখে কি বলবে সেটা ভেবেই আমি লজ্জা পাচ্ছি।
আমি অয়নের মোবাইল এ একটা মেসেজ পাঠায় যে,,, পিল্জ তাড়াতাড়ি আসুন, জরুরি দরকার।
পাঠিয়ে আমি অপেক্ষা করতে থাকি, কিছু ক্ষন পরে দরজা খুলার আওয়াজ পেয়ে সামনে তাকায়, সামনে তাকিয়ে দেখি প্রহর দাঁড়িয়ে আছে। আমি বেশ অনেকটা অভাক হয়।

প্রহর আমার দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে, কোনো এক গভীর ভাবনায় লিপ্ত সে। সে মনে মনে ভাবছে,,,তোমাকে দেখে মনে থাকা সমস্ত অনুভব যেনো ছুটোছুটি করছে, যে কোনো সময় বেরিয়ে আসতে পারে। এক প্রেমঘোর আমাকে আবদ্ধ করছে বার বার, ছুটানোর চেষ্টাও ব্যর্থ হচ্ছে। তুমি আমার মনের সেই লুকান্ত ভালোবাসা যেটাকে আমি কোনো দিন ও বের করতে পারিনি।
হঠাৎ করেই অয়ন এসে প্রহরের কাঁধে হাত রেখে বলে,,,কিরে তুই এখানে।
প্রহর তাড়াতাড়ি নিজেকে সামলে নিয়ে কিছু বলতে যাবে তখনি অয়ন মারুর দিকে তাকায়, মারু তাড়াতাড়ি বলে,,,আমি আপনাকে মেসেজ দিয়ে ছিলাম আসার জন্য, আপনি আগে আসেননি এতে আমার কি দোষ।

প্রহর,,,,, সরি,, আসলে অয়নের ফোন আমার কাছে ছিলো, তুমি মেসেজ দিয়ে যে জরুরি দরকার তাই ভাবলাম কিছু হলো নাকি, আবার অয়নকেও পাচ্ছিলাম না, তাই নিজেই চেক করতে চলে এলাম।
অয়ন,,,,, আমি সায়ন এর রুমে ছিলাম, ওর দরকার ছিলো,, আর এতো বুঝিয়ে বলতে হবে না আমাকে, আমি বুঝেছি।
আমি মন খারাপ করে বলি,,,কিন্তু আপনি তো বলেছেন
আমাকে আগে দেখবেন।
অয়ন,,,,,, হুমম বলেছিলাম, এটা হয়নি তো কি হয়েছে তুমি তো আমারি, যতো খুশি দেখে নিবো কি বলো।
প্রহর মন খারাপ করে বলে,,,,, আমি আসি তোরা কথা বল।
বলে প্রহর চলে যায়, অয়ন আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলে,,, চলো না আমরা আরেক বার বিয়ে করি৷
,,মানে

অয়ন আমার আরেকটু কাছে এসে তার দু হাত আমার কাঁধে রেখে বলে,,, মানে হলো যে, তোমাকে এভাবে দেখে আমার আবার বিয়ে করতে ইচ্ছে করছে। চলো না পালিয়ে যায়।
,,পাগল আপনি, পালিয়ে গিয়ে কি করবো, এখানে সবাই আমাদের বিয়েতে রাজি।
,,, ওহহ আচ্ছা, তার মানে আমাকে বিয়ে করার মত আছে আপনার।
,,,বিয়ে তো হয়েই গেলো।
,,,, হুমম শুধু বাসর রাতটা বাদে সব হয়ে গেলো।
আমি অয়নের হাত ছাড়িয়ে দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলি,,,, সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে, আমাদের এখন যাওয়া উচিত।
,,হুমম এখন তো কথা ঘুড়াবেই, সবি কপাল, ঠিক আছে চলো।

দুজনে এক সাথে যায়৷ সায়ন সেখানে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলে,,, এক্সকিউজ মি গাইজ,,এরা হলো নতুন দম্পতি, আমার ভাই আর ভাবি। কিছু দিন আগেই তাদের বিয়ে হয়েছে, একটা বিষেশ কারনে আপনাদের বিয়েতে আমন্ত্রণ করতে পারি নি, তাই এই ব্যবস্থা, আশা করি সবাই এই নতুন দম্পতিকে দোয়া দিবেন, যাতে সারা জীবন সুখি থাকতে পারে আর কারো নজর না লাগে ধন্যবাদ।
সবাই হাত তালি দেয়। অয়ন মারু সবার সাথে কথা বলছে, হঠাৎ করেই সায়ন আমাদের দুজনের হাত ধরে ডান্স ফ্লোরে নিয়ে যায়,একটা রোমান্টিক গান বাজানো হয়, আমি আর অয়ন ডান্স করছি সাথে অন্যরাও কাপাল ডান্স করছে।
প্রহর দাঁড়িয়ে বিয়ারের গ্লাস শেষ করছে। অয়ন আর মারুর দিকে তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নেয়। একটু পর অয়ন একটা মেয়েকে আসতে দেখে অয়ন ইশারা করে প্রহরকে দেখায়। মেয়েটা দেখতে অসম্ভব সুন্দর।

মেয়েটা প্রহরের কাছে গিয়ে বলে,,,, হায় প্রহর।
প্রহর তাকিয়ে বলে,,,, কে আপনি।
মেয়েটা মুশকি হেঁসে বলে,,,,আমি আপনার অনেক বড় পাখা।
,,পাখা মানে।
,,,মানে ফেন, আপনার সব বই, কবিতা আমি পড়ি, আর আপনার ছবি আঁকার প্রশংসা না করে তো থাকাই যাবে না।
,,হুমম সো আমার এই পাখার নামটা কি।
হাত বাড়িয়ে বলে,,,আমার নাম স্নেহা।
প্রহর ও হাত মিলায়।
স্নেহা এখনে হাত বাড়িয়ে রেখেছে, প্রহর এটা দেখে স্নেহার দিকে তাকায়৷ আমি বলি,,পিল্জ ডান্স উইথ মি
,,,আমি ডান্স করতে পারি না সরি।
,,আরে এটা পাড়া লাগে না, আমার সাথে সাথে তাল মিলাবেন তাহলেই হবে।
,,,সরি।

স্নেহা এখনো হাত বাড়িয়ে রেখেছে, প্রহর কিছু ক্ষন এদিক সেদিক তাকিয়ে না পেরে হাত ধরে বলে,,,,আপনি অনেক জেদি দেখা যায়।
,,,হুমম একটু বলতে পারেন।
দুজন ডান্স করতে যায়, মারু আর অয়নকে দেখে মন খারাপ করে ডান্স করছে, স্নেহা বলে,,,,, আপনি এতো কম হাসেন কেনো, হাসলে শরীর সাস্থ ভালো থাকে।
,,,হুমম
,,,আমি আপনার সাথে দেখা করার জন্য কতো চেষ্টা করেছি কিন্তু আপনার তো টাইময়ি হচ্ছিল না। তাই এখানে চলে এলাম।
,,,, কিভাবে।
,,,, আরে আপনার প্রতি বই বা কবিতা প্রমোট হওয়ার পরেই আমি আপনাকে একটা চিঠি আর গিফট পাঠায়, আপনি হয়তো দেখতেনি না, এবার অয়ন স্যার আমাকে ফোন করে আসতে বলে। তাই চলে আসলাম।
প্রহর রাগী চোখে অয়নের দিকে তাকায়, অয়ন প্রহরকে দেখে একটা হাসি দেয়।
কিছু ক্ষন পর ডান্স শেষ হয়। সবাই আবার নিজের মতো কথা বলতে থাকে। প্রহর স্নেহাকে ইগনোর করার চেষ্টা করতে থাকে যা সম্ভব হচ্ছে না।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ৭

একটু পর আমার মাথা ঘুরতে থাকে, হাতে থাকা গ্লাসটা পড়ে যায়, আমি ওয়াশ রুমের দিকে যেতে নিয় দুটো ওয়েটার আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে, কোনো একটা ইনজেকশন সবার আড়ালে নিয়ে আসছে। আমি দেখে উল্টো দিকে হাঁটতে থাকি, মাথা ঘুড়াচ্ছে তাই ঠিক ভাবে হাঁটতে পারছি না।
কাওকে ডাক দেওয়ার মতো শক্তিও পাচ্ছি না। দুটো ওয়েটার আমাকে ধরে ফেলে, আর ইনজেকশনটা পুশ করে দেয়। আমি নিচে বসে পড়ি। দুজন যেতে নেয় আর কেও একজন মনে হয় দেখে ফেলে, আর কিছু বুঝার আগেই আমি অজ্ঞান হয়ে যায়।
সায়ন ওদের দেখে বলে,,,কে তোমরা, কি করেছো ভাবীর সাথে, ভাবী নিচে পড়ে আছে কেনো, আর তোমাদের হাতে এটা কি।
বলে জোরে জোরে সবাইকে ডাকা শুরু করে দেয়।দুজন পালাতে যায়, সায়ন কোনো রকমে আটকাচ্ছে।
প্রহর আর অয়ন ও চলে আসে। তাদের ধরে ফেলে, অয়ন তাড়াতাড়ি মারুকে চেক করে, মারুর শরীরে কোনো ঘুমের ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে।

অয়ন,,,, নীরকে তাড়াতাড়ি হসপিটালে নিতে হবে, এদের ব্যবস্থা তো পড়ে করছি।
বলে মারুকে কোলে করে নিয়ে যেতে নেয়, আরেকজন এসে অয়নের উপর গুলি চালাতে নেয় প্রহর অয়নকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়, আরেকটুর জন্য প্রহরের গায়ে লাগেনি।
আরো কয়েক জন এসে পড়ে, অয়ন সায়ন আর প্রহর তাদের সাথে মারামারি করতে থাকে, একটু পরে গার্ডরা চলে আসে, একজন মারুর দিকে গুলি করে মারু নিচে পড়ে ছিলো,,,

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ৯