আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ৭ || Maishara Jahan

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ৭
Maishara Jahan

আমি কোনো কিছু না ভেবে অয়নকে শক্ত করে ধরে বসি, জরিয়ে ধরে ঘুমাতে পারলে বাইকে উনাকে ধরে বসতে পারবো না।
উনি বাইক স্টাট দিয়ে নিয়ে যায়।ইশশ অনেক ভালো লাগছে কতোদিন পরে বের হয়েছি তাও আবার রাতে।
খুব জোরে বাতাস এসে নাক মুখ ছুয়ে যাচ্ছে। অয়ন খুব জোরে বাইক চালাচ্ছে, অন্য কেও হলে হয়তো ভয়ে নেমে যেতাম কিন্তু উনার সাথে সত্যি বলতে অনেক ভালো লাগছে। এই রাস্তায় আগেও ঘুরেছি কিন্তু এতো ভালো কোনো দিন লাগেনি।
যেতে যেতে একটা ব্রিজ এর মাঝখানে বাইক থামায়। দেখতে বেশ সুন্দর, ব্রিজের চারপাশে লাইট লাগানো। নিচে দেখলে সব অন্ধকার লাগে ভালোভাবে নদীর পানি দেখা যায় না। মন ছুঁয়ে দেওয়ার মতো বাতাস বয়ছে।

আমি বাইক থেকে নেমে বললাম,,, এখানে থামালেন কেনো।
ওনিও বাইক থেকে নেমে বললো,,,,, কেনো জায়গাটা ভালো লাগেনি, অন্য জায়গা নিয়ে যাবো।
আমি হাঁটতে হাঁটতে বললাম,,,,,, না, জায়গাটা মন্দ না।
উনিও আমার সাথে হাঁটতে হাঁটতে বললো,,,,,, যাক পছন্দ হয়েছে তাহলে।
,,, আমি এই প্রথম বাইকে উঠলাম, কিন্তু মনে হচ্ছে এর আগেও অনেক বার বাইকে উঠেছি, আর ঠিক এভাবেই লুকিয়ে ঘুরতে গিয়েছি।
,,হুমম আর কি কি মনে হচ্ছে।
,,,, উমম ঠিক মনে পড়ছে না, সব কিছু ঝাপসা।

সাথে চলতে চলতে অয়ন আমার হাত ধরে, আমি একবার উনার দিকে তাকিয়ে আবার সামনের দিকে ফিরে হাঁটতে থাকি।
দুজন চুপচাপ দুজনের হাত ধরে হাঁটছি, আমাদের মাঝে কোনো কথা হচ্ছে না, কতো দূর পর্যন্ত হাঁটছি কেও খেয়াল করছি কিনা সন্দেহ। শুধু নিচের দিকে তাকিয়ে দুজনের হাত ধরে হাঁটছি। যে ফিলটা হচ্ছে সেটা অনুভব করছি। এই নিরবতার মাঝে যেনো অনেক ভালোবাসা লুকিয়ে আছে।
কিছু ক্ষন পর আমিই আস্তে বলে দিলাম,,,, কিছু বলেন না কেনো।
উনি সোজাসুজি বলে দিলেন,,, আই লাভ ইউ।
এক মূহুর্তের জন্য যেনো আমার হার্ট বিড থেমে গেছিলো। আমি উনার দিকে তাকিয়ে আবার চোখ ফিরিয়ে নিয়ে শুধু হুমম বলি।
উনি হাঁটা থামিয়ে বললেন,,,, শুধু হুমম।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

,,,,তো আর কি বলবো।
,,, যেটা বলা দরকার সেটা তোমাকে বলে দিলেও তুমি বলবে না, তাই শুধু শুধু বলে লাভ নেয়। আজকের জন্য শুধু হুমম টাই চলবে।
,,,আচ্ছা আজকে একটা কথা বলবেন আমাকে।
,,,হুমম জিজ্ঞেস করো।
,,আপনি আমাকে কেনো ভালোবাসে, কবে থেকে ভালোবাসেন, মানে আমি তো আপনাকে চিনিও না।
,,, ভালো তো তোমাকে অনেক আগে থেকেই বাসি, কিন্তু কোনো এক কারনে আমার ভালোবাসা নিয়ে তোমার সামনে আসতে পারিনি। কারনটা অন্য একদিন বললো। আর বাকি রইলো কেনো ভালোবাসি, ভালো না বাসার কারন থাকে কিন্তু ভালোবাসার কি কারন থাকতে পারে তুমিই বলো। তোমাকে ভালোবাসার কোনো কারন লাগবে না আমার।

অকারনেই ভালোবাসি তোমাকে, কারন কাওকে ভালোবাসতে হলে যদি কারন থাকে তাহলে সেটাকে ঠিক ভালোবাসা বলে না। কিছু একটা বলা যায় তবে ভালোবাসা বলা যায় না। ভালোবাসা তো কোনো কারন ছাড়াই হয়ে যায়।
,,, হুমম সব কিছুই বুঝেছি, তবে তাও আমার প্রশ্নের উত্তরটা কিন্তু অপষ্ট রয়ে গেলো।
,,কিছু কিছু কথা গোপন রাখাই সবার জন্য ভালো বুঝতে পেরেছো নীর।
,,,আচ্ছা এই কথাটা তো বলেন নীর মানে কি, আর আপনি আমাকে নীর বলে কেনো ডাকেন।

অয়ন আমার হাত ছেড়ে দিয়ে ব্রীজের কিনারে দাঁড়িয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে বললো,,, নীর মানে হলো পানি, নদী। আর অয়ন মানে হলো আগুন। আর এই অগুন নিভানোর ক্ষমতা শুধু পানির মধ্যে আছে। তুমি আমার সেই পানি নীর। যার কাছে আমাকে শান্ত করার ক্ষমতা আছে আর কারো নেয়। তাই তুমি আমার নীর।
আমি মুখ বেঁকিয়ে বললাম,,,,, আমার কাছে আপনাকে শান্ত করার ক্ষমতা আছে, কই আমি তো দেখি না, সবচেয়ে বেশি রাগ তো আপনি আমার সাথেই করেন। আর আপনার যে রাগরে বাবাহহ এটাকে শান্ত করবো কিভাবে।

,,,ভালোবেসে,, আমাকে একটু ভালোবেসে তো দেখো, আমার রাগ কেনো আমার হাসিটাও তোমার কন্ট্রোলে দিয়ে দিবো।
আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি, কিছু বলতে না শুধু শুনতে ইচ্ছে করছে। অয়ন আবারো বললো,,,, যা বললাম বুঝতে পারলে তো নীর।
,,,হুমম বুঝলাম।
,,,কি বুঝলে।
,,,(এটাই যে, আপনি আমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসেন) যাই বুঝে থাকি সেটা আমি আপনাকে কেনো বলবো।
বলে আমি উল্টো দিকে হাঁটা শুরু করে দিয়। অয়ন আমার পিছনে পিছনে আসতে আসতে বলছে,,,, কোথায় যাচ্ছো।
,,, কেনো, বাইকের দিকে, আজ বাড়ি ফিরার ইচ্ছে নেই নাকি।

,,,, সত্যি কথা বলতে গেলে, একটুও ইচ্ছে করছে না। তুমি চাইলে আমরা এখানেই থেকে যেতে পারি, কি বলো।
আমি হেঁটে মুশকি হেঁসে বলি,,,, চলেন চলেন, চুপচাপ বাসায় চলেন, বাসা থাকতে রাস্তায় কেনো থাকবো অদ্ভুত।
অয়ন দৌড়ে এসে আমার হাত ধরে বলে,,, এতো রাতে রাস্তায় একা চলা নিরাপদ না বুঝলে, আমার হাত ধরে চলো তাহলে কিছু হবে না।
,,,,তাই বুঝি হুমম।
,,,,,হুমম।

আমরা হাঁটতে হাঁটতে বাইকের কাছে এসে পড়ি। অয়ন নিজের জেকেটটা খুলে আমাকে পড়িয়ে দিয়ে বাইকে উঠে। আমিও বাইকে উঠি। অয়ন আবার বাইক স্টাট দেয়। এখন তো আগের থেকে ভালো লাগাটা একটু বেশিই হচ্ছে। হালকা হালকা ঠান্ডা লাগছে। আমি আর কিছু না ভেবে অয়নকে জরিয়ে ধরে ওর পিঠে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে রাখি।
অয়ন মুশকি হেঁসে বাইকের গ্লাসে মারুকে দেখছে। আমার আরেকটু শক্ত করে ধরতে ইচ্ছে করছে অয়নকে, অন্য কিছু ভাবতে আমার ইচ্ছে করছে না, আমি আরেকটু শক্ত করে ধরি অয়নকে।
তখন হঠাৎ করেই অয়ন বাইক থামিয়ে বলে,, এমন করলে যে কোনো মুহূর্তে এক্সিডেন্ট হয়ে যেতে পারে।
আমি অয়নের কথা কানে না নিয়ে আমার মতো করেই জরিয়ে ধরে থাকি অয়নকে। অয়ন পিছনে একটু মাতাটা গুড়িয়ে মারুকে দেখে হেঁসে আবার বাইক স্টাট করে দেয়।

অনেক ক্ষন পরে অয়ন বাসার সামনে এসে বাইক থামায়, তখন প্রায় ৩ টা বাঝবে বাঝবে। অয়ন কয়েকবার বলার পরেও আমি উঠি না। ঘুম ঘুম ভাবের মধ্যে উঠে যাওয়ার শক্তি পাচ্ছি না। তবে শুনতে পারছি একটু একটু অয়ন উঠার জন্য বলছে।
পরে অয়ন তার এক হাত দিয়ে মারুর মাথায় ধরে কোনো রকমে বাইক থেকে নামে। নেমে মারুরু হেলমেটটা খুলে রেখে ওকে কোলে করে নিয়ে যায় রুমে।

এদিকে ওদের এভাবে দেখে একজন রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে জোরে জালানার কাচ বন্ধ করে দেয়।
অয়ন মারুকে বিছানায় শুয়িয়ে দেওয়ার আগে জেকেটটা খুলে রেখে শুয়িয়ে দেয়। পরে নিজেও শুয়ে পড়ে। অয়ন আমাকে জরিয়ে ধরে আমিও অয়নকে জরিয়ে ধরে ওর উপর পা উঠিয়ে আস্টে পিস্টে জড়িয়ে শুয়ে থাকি।
অয়ন কয়েকটা ডোগ গিলে বলে,,,, এমন করলে কবে জেনো নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলি কে জানে। না না এমন কিছু ভাবা যাবে না, কন্ট্রোল অয়ন।

সকালে,,,
আস্তে আস্তে নিজের চোখ খুলে দেখি অয়ন আমার একদম সামনে। তাড়াতাড়ি করে উঠতে নিয়েও উঠতে পারি না। দুজন দুজনকে এমন ভাবে জরিয়ে ধরে আছি, দেখে কিছুটা লজ্জায় অয়নকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে উঠে বসি।
অয়ন ও আস্তে আস্তে করে উঠে বসে, ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে বলে,,,, কি হয়েছে, এভাবে কেও উঠায়।
,,,, এভাবে জরিয়ে ধরে আছি দেখে কি করবো।
,,,, তোমারি ভালো,রাতে ইচ্ছে করলে জরিয়ে ধরবে আর সকালে ধাক্কা মেরে ফেলে দিবে।
,,,,,কিহহ আমি জরিয়ে ধরেছি, হতেই পারে না।
,,,কেনো হতে পারে না, তোমার কি হাত নেয়, নাকি পা নেয়। হাত দিয়ে ধরেছে তো ধরেছো পা ও উঠিয়ে দিয়েছো আবার।
আমি তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে উঠে বললাম,,,, ঘুমের ঘোরে এমন হতেই পারে।
বলেই ওয়াশ রুমে চলে গেলাম। অয়ন ও উল্টো হয়ে আবার শুয়ে পড়লো। কিছু ক্ষন পরে দুজনে ফ্রেশ হয়ে নিচে যায়। নিচে অলরেডি অনেক মানুষ ঘর সাজাঁনোর কাজ করছে। অয়ন টেবিলে বসতে বসতে বলে,,,,, কি হলো বাড়ি কেনো সাজানো হচ্ছে,কোনো অনুষ্ঠান আছে নাকি।

সায়ন,,,,, হুমম ভাইয়া, তোমাদের বিয়ের খুশিতে আজকে আমরা সবাই মিলে পার্টি করবো। ভুলে গেলে নাকি।
,,,,ওহহ আচ্ছা,, ভালোই তো তাহলে।
,,,,, আজ কাল দেখি তোমার কোনো দিকেই খেয়াল নেয়। তোমাদের নিয়ে এখন আমার চিন্তে হয় অনেক।
অয়ন,,, আমাদের নিয়ে আপনাকে কোনো চিন্তা করতে হবে না। আর আমাকে নিয়ে তো একদমি না, তাছাড়া আপনি আমাদের নিয়ে চিন্তা না করলেই আমরা সুখে থাকতে পারবো।
বাবা,,,,,, আমি তো তোমাদের ভালোর জন্য বলছি।
,,, আপনাকে আমাদের ভালো ভাবতে হবে না, আপনি যে ঠিক কতোটা ভালো ভাবেন আমাদের জন্য সেটা আমার জানা আছে। দয়া করে করো ভালো ভাবতে যাবেন না।

মা,,,,, অয়ন,, এভাবে কথা কেনো বলছিস, তোর বাবা হয় ওনি।
সায়ন,,,,,,তোমরা চুপ করো তো, তোমাদের সমস্যাটাই আমি বুঝি না। তাছাড়া এমন করছো ভাবী কি মনে করবে বলোতো।
মারু,,, ইটস ওকে,,,(বাবা ছেলের মধ্যে কিছু তো একটা হয়েছে, কিন্তু কি)
প্রহর,,,আচ্ছা এতো কিছু না ভেবে আজকের পার্টির বিষয়ে ভাবা যাক।
অয়ন,,,,আমি একটু পরেই বেরিয়ে যাবো, আমার হসপিটালে কাজ আছে।
মা,,,,,, সারা ক্ষণ শুধু কাজ আর কাজ,, মারুকে একটু শপিং এ নিয়ে যা।
অয়ন,,,,,,, মা আমি এখন পারবো না, আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ সার্জারী আছে। সরি নীর।
,,, কোনো সমস্যা নেয়, আমি বুঝতে পেরেছি।
প্রহর একটু নার্ভাস হয়ে বললো,,, আআ তাহলে আমি নিয়ে যায় নীরকে শপিং এ।

অয়ন কিছু বলার আগেই সায়ন বলে,,,, প্রহর ভাইয়া মনে হয় না তোমার এতো কষ্ট করা লাগবে, অয়ন ভাইয়া টাইম বের করে ঠিক কিছু একটা কিনে আনতে পারবে। তাছাড়া তুমি একটা নতুন বই ও লিখছো।
অয়ন,,,,, সায়ন ঠিক কথা বলেছে, আমি নীরের জন্য একটা ড্রেস কিনে নিয়ে আসবো, ওকে নীর।
,,হুমম ঠিক আছে।

প্রহর মন খারাপ করে বলে,,,, হুমম তাহলে তো ভালোই
নাস্তা শেষ করে, সবাই সবার রুমে চলে যায়,অয়ন সায়নকে আটকিয়ে বলে,,, কি ব্যাপার তুই প্রহরের সাথে এমন ভাবে কেনো বলেছিস, ও আমার বন্ধু হয়, আর কোনো দিন যাতে না দেখি ওর সাথে এভাবে কথা বলতে।
সায়ন,,,, ভাইয়া আমি ভালো ভাবেই বলেছি, তাছাড়া আমি প্রহর ভাইয়াকে তোমার মতোই ভালোবাসি, কিন্তু আমার মনে হয় প্রহর ভাইয়া হয়তো এখনো ভাবীকে ভালোবাসে। ভুলতে পারে নি

অয়ন,,,,,, এটা তোর ভুল ধারণা, আর কাওকে ভালোবাসা কি অপরাধ নাকি। আমি প্রহরকে ভালো করে জানি, আর এটাও জানি যে প্রহর হয়তো নীরকে ভুলতে পারেনি কিন্তু ও আমার সাথে প্রতারণ কোনো দিন ও করবে না। ও বন্ধু না আমার ভাই হয়, আর ও এটা ভালো করেই জানে যে, আমি নীরকে ছাড়া বেঁচে থাকতে পারবে না।
সায়ন,,,, আমার যেটা মনে হলো বললাম। আচ্ছা আমি এখন যায় আমার অনেক কাজ আছে।
সায়ন চলে যায়, অয়ন ও তার রুমে যায়। অয়ন রেডি হয়ে বলে,,,, নীর আমি যাচ্ছি তাড়াতাড়ি ফিরে আসবো, নিজের খেয়াল রেখো কিন্তু।
,,,হুমম ঠিক আছে, আপনিও সাবধানে যাবেন কিন্তু।
অয়ন,,,,, হুমম,, বাই।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ৬

অয়ন যাওয়ার সময় প্রহরের রুমে যায় ওর সাথে দেখা করার জন্য, প্রহর অয়নকে দেখে ওর হাতে কিছু একটা ছিলো সেটা লুকিয়ে ফেলে তাড়াতাড়ি, অয়ন সেটা খেয়াল করে বলে,,,,, অসময় এসে পড়লাম নাকি।
প্রহর হেসে বলে,,,, তোর জন্য আমার সময় সব সময় ঠিক থাকবে,, বল কি বলতে এসেছিস।
অয়ন,,,, এটাই বলতে এসেছি যে, আমি না থাকলে তুই একটু নীরের খেয়াল রাখিস, এই বাড়িতেও আমি নীরের নিরাপত্তা দেখছি না, আমি কিছু গার্ড বাড়িয়ে দিয়েছি, তুই ও একটু খেয়াল রাখিস।
,,,তুই নিশ্চিতে যা, আমি পুরো খেয়াল রাখবো।

,,,হুমম,, আর আজকে পার্টিতে অনেক সুন্দর সুন্দর মেয়ে আসবে তোর সাথে এক জনকে মিলিয়ে দেওয়ার প্লেন ও আছে আমার।
প্রহর শুধু মুশকি হেঁসে বলে,,,, আমাকে কেনো এসব ঝামেলায় ফেলতে চাইছিস।
,,,আমি পড়েছি তাই তোকেও ফালাবো।
প্রহর মুশকি হেঁসে বলে,,, চেষ্টা করে দেখতে পারিস
অয়ন হুমম বলে চলে যায়।

এক জন ফোনে বলছে,,,, আজকেই যেনো মারু নামের মেয়ে এই দুনিয়া থেকে সরে যায়,আজ যেনো বাঁচতে না পারে, যতো টাকা লাগে আমি দিবো, আর হ্যাঁ শুধু যার ছবি পাঠিয়েছি তাকেই শেষ করবে, অন্য কারো ক্ষতি করলে তোদের ঐখানেই শেষ করে দিবো।আর মারুকে বেশি কষ্ট দিয়ে মারলেও তোদের খবর আছে।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ৮