আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১২ || Maishara Jahan

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১২
Maishara Jahan

মারু একটু মাতালের মতো হাসি দিয়ে বলে একটা কাপেলকে দেখিয়ে বলে,,,, ওরা যা করছে তাই করছি।
অয়ন তাকিয়ে দেখে ওরা কিস করছে। অয়ন মারুর দিকে তাকিয়ে বলে,,,,, নীর আর ইউ ড্রাংক।
মারু বড় একটা হাসি দিয়ে মাথা নাড়িয়ে না বললো। অয়ন মারুকে ধরে জিজ্ঞেস করছে,,,, কি খেয়েছো তুমি।
মারু মাতালের মতো বললো একটা নীল রঙের জুস খেয়েছি, অনেক ভালো ছিলো খেতে, কিন্তু বেশি খেতে পারিনি টেস্টটা অনেক স্ট্রংক ছিলো।

অয়ন কপালে হাত দিয়ে বলে,,, আল্লাহ এই মেয়ে বোটকা খেয়ে ফেলেছে। কিন্তু মনে হয়না পুরোপুরি নেশায় আছে, বেশি খেতে পায়নি মনে হয়। চলো আমার সাথে।
আমি অয়নের দিকে মিটমিট করে তাকিয়ে বললাম,,, কোথায়।
,,,,, বাসায়,, তোমাকে নিয়ে আর এখানে থাকা যাবে না।
আমি অয়নের বুকে মাথা রেখে বললাম,,, কেনোওও
অয়ন আমাকে ছাড়িয়ে বললো,,,, এখন যেমন করছো সেই কারনে,, চলে যাওয়াটাই ঠিক হবে এখান থেকে।
অয়ন আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে চাই, আমি শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। অয়ন পিছনে ফিরে আমাকে জিজ্ঞেস করে,,,,,, কি হলো দাঁড়িয়ে গেলে কেনো।

,,আগে আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিন তাহলে যাবো, আর না হলে নাই।
অয়ন কপাল কুঁচকিয়ে বললো,,,, কি প্রশ্ন।
আমি সামনে দেখিয়ে বললাম,,,,, ওরা কি করে।
অয়ন তাকিয়ে দেখে ওরা কিস করছে, অয়ন তাড়াতাড়ি চোখ ফিরিয়ে কি বলবে সেটাই ভাবছে,, আমি অয়নের কলার ধরে আবার বললাম,,, বলেন না কি করে ওরা সবাই। আচ্ছা আপনাকে বলতে হবে না আমিই বলে দিয়, ওরা সবাই কিস করছে।
,,,জানো তো জিজ্ঞেস করছো কেনো।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

,,,, আরে এটা তো আমি জানি,, কিন্তু কথা হচ্ছে ওরা কিসটা করছে কেনো।
অয়ন না পেরে বলে,,, ওরা দুজন দুজনকে ভালোবাসে তাই কিস করছে।
,,,ওহহ তাই,,মুখটা অয়নের দিকে এগিয়ে বলি,, আপনি ও তোহ আমাকে ভালোবাসেন তাহলে আমাকে কিস করেন উম্মম।
অয়ন মারুর দিকে তাকিয়ে একটা ডোগ গিলে বলে,,, সময় আর জায়গা কোনোটাই ঠিক না।

অয়ন আমার হাত ধরে আমাকে নিয়ে যেতে নেই আমি আবার শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। অয়ন আবার জিজ্ঞেস করে,,, কি হলো আবার।
আমি একটু কান্না কান্না ভাব নিয়ে বলি,,, আমি ওদেরে মতো সুন্দর দেখতে না বলে আমাকে কিস করবেন না আপনি।
অয়ন মুশকি হেসেহেঁসে আমাকে জোর করে গাড়িতে বসিয়ে বাসায় নিয়ে আসে। অয়ন আর আমি সেখানের রুমের সাজ দেখে অভাক হয়ে যায়। মোমবাতি জ্বালানো, ডিম লাইট, সাদা বিছানায় লাল গোলাপের পাপড়ি, আর ফ্লোরেও ফুলের পাপড়ি বিছানো।
অয়ন আমার দিকে তাকায় আমি একটা দুষ্টু হাসি দিয়, অয়ন তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে লাইট জ্বালিয়ে, রিসোর্ট এর মেনেজারকে কল দিয়ে বলে,,, এসব কি, আমাদের বেডরুম এভাবে কেনো সাজিয়েছেন।

,,, স্যার আপনারা তো হানিমুনে এসেছেন, আর এখানে যারাই আসে তাদের বেডরুম এভাবে সাজানো হয়,নতুন বিয়ে হয় তো তাই আরকি। কেনো স্যার কোনো প্রবলেম হয়েছে।
,,, নো ইটস ওকে।
অয়ন তাকিয়ে দেখে মারু বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে আছে, অয়ন এটা দেখে বলে,,, অফফ বাঁচা গেছে নীর ঘুমাচ্ছে, না হলে যে কি হয়ে যেতো কে জানে।
বলে অয়ন সাওয়ার নিতে চলে যায়। প্রতিদিন রাতে সাওয়ার নেওয়া একটা অভ্যাস হয়ে গেছে অয়ন এর। কিছু ক্ষন পর অয়ন বের হয়।
বের হয়ে দেখে লাইট নিভানো, ডিমলাইট জ্বলছে আর মোমবাতির আলো। লাইট কে অফ করলো এটা ভাবতে ভাবতে অয়ন তাকিয়ে দেখে বিছানায় মারু নেয়। অয়ন তাড়াতাড়ি আশেপাশে দেখে কেওকে না দেখে। অয়ন চিন্তিত হয়ে খোঁজার জন্য বাহিরে বের হতে নেয় অমনি,,

মারু দরজার সামনে এসে হাজির, অয়ন মারুকে দেখে থমকে যায়,এক পলকে তাকিয়ে আছে। কারন মারু একটা লাল নাইট ড্রেস পড়ে। যেটা অনেকটা শর্ট, আর হাতা একদম চিকন ফিতার মতো, আর নাইটির গলাটাও অনেক নিচে ছিলো।
মারু দরজায় দুহাত রেখে দাঁড়িয়ে অয়নের দিকে নেশা ভরা চোখে তাকিয়ে আছে। অয়ন কয়েকটা ডোগ গিলে অন্য দিকে তাকিয়ে বলে,,, ক কি পড়েছো এ এটা।
আমি হালকা নেশায় উওর দিলাম,,, কেনো ভালো লাগছে না,, এখন তো জায়গাও ঠিক আছে আর সময় ও।
,,,মানে।

মারু অয়নের সামনে গিয়ে, ওর দুই হাত দিয়ে অয়নের কাঁধে ধরে শরীরটা অয়নের গায়ে ছেড়ে দিয়ে বলে,,, মানে কিস করেন আমাকে, এখন সব ঠিক আছে, আপনি তো ভালোবাসেন আমায় তাহলে কিস করেন।
,,,, দুজন দুজনকে ভালোবাসলে কিস করে, একজন বাসলে আরেক জন না ভাসলে হয় না। আর তুমি পিল্জ দূরে যাও না হলে কালকে সকালে উঠে মহা পচতাবে৷
,,,,, আপনি না করেন, আমি করবো কিস আপনাকে,, আপনাকে কিস করে না, আমার অনেক ভালো লেগেছিলো, তাই আবার করবো।

যাও একটু দূরত্ব ছিলো দুজনের মাঝখানে, মারু সেটাও গুচিয়ে অয়নের একদম কাছে চলে আসে। অয়নের নিশ্বাস দ্রুত গতিতে চলছে, অয়ন নিজের হাতটাকে শক্ত করে মুঠ করে, নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করে বলে,,, নীর নিজেকে কন্ট্রোল করা অনেক কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে, জান আমার এমন করে না, চুপচাপ শুয়ে পড়ো পিল্জ।
মারু মাথা নাড়িয়ে বলে,, নাহহ।
বলে অয়নের ঠোঁটের দিকে এগোতেই অয়ন মুখ অন্য দিকে ফিরে বলে,,,, ভয়ানক কিছু ঘটে যাবে নীর, আমার অবস্থাটা বুঝার চেষ্টা করো পিল্জ।

অয়ন অন্য দিক ফিরে আছে, মারুর নজর চলে গেছে অয়নের অ্যাডমাস আপেলের দিকে, অয়ন বার বার ডোগ গিলায় এটা বার বার উঠানামা করছে। মারু একটা ডোগ গিলে অয়নের অ্যাডমাস আপেলে নিজের ঠোঁট ছুঁয়ে দেয়। আর সেখানে কিস করতে থাকে।
অয়ন তার কনট্রোল হারিয়ে বলে,,, সরি নীর নিজেকে আটকে রাখা আর সম্ভব না।
বলে মারুকে আঁকড়ে ধরে তার ঠোঁটে কিস করতে থাকে, মারুও চোখ বন্ধ করে কিস করতে থাকে। অয়ন মারুকে কোলে তুলে বিছানায় শুয়িয়ে ঠোঁটে গলায় পাগলের মতো কিস করতে থাকে। অয়নের গভীর ছুঁয়ায় মারু বুঝতে পারে যে, তার সত্যি অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে।

এটা বুঝতে পেরে মারু অয়নকে আটকিয়ে উঠে বসে যায়, অয়ন বসে মারুকে টান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে মারুর জামার পিছনের চেইন খুলতে খুলতে বলে,,,, জান এখন অনেক লেইট হয়ে গেছে, এখন তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যেতে পারবে না।
মারু কিছু বলার আগের অয়ন মারুর মুখ তার ঠোঁট দিয়ে বন্ধ করে দেয়।

প্রহর নিজের ছবি আকা শেষ করে স্নেহাকে বলে,,,আমার হয়ে গেছে, তোমার হয়েছে নাকি।
,,,হুমম হয়ে গেছে।
,,,,, কোথায় দেখি।
,,,,,, না দেখাবো না, লজ্জা করছে।
,,,,, পেন্টিং দেখাতে আবার কিসের লজ্জা, আর তোমার পেন্টিং তো আমি দেখেছি এতোটাও খারাপ আঁকো না।
,,,,আচ্ছা, আমার বিষয়ে এতো ভাবেন যে, কষ্ট করে ইন্টারনেট থেকে খুঁজে আমার পেন্টিং দেখেছেন।
প্রহর সব গুছাতে গুছাতে বলে,,, তুমি যেমন ভাবছো এটা তেমন কিছু না। যাকে শিখাবো তার বিষয়ে একটু জ্ঞান থাকা দরকার তাই আরকি।

,,,, হুমম,, ওকে তো এই জন্য।
প্রহর স্নেহার সাথে দাঁড়ায়, তার পেন্ডিং দেখার জন্য, সেখানে নিজের ছবি দেখে অভাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,,,, তুমি আমার ড্রয়িং বানালে কেনো।
,,, আরে আপনিই তো বলেছে, এখনে যে জিনিস সবচেয়ে বেশি ভালো লাগবে তার পেন্টিং বানাতে, তাহলে বেশি সুন্দর হবে, তাই তো আমি আপনার পেন্টিং করলাম। কেনো ভালো হয়নি।
প্রহর কিছু ক্ষন পেন্টিং এর দিকে তাকিয়ে থেকে বলে,,,,, সব কিছুই ঠিক আছে, তবে এই দেখো এই লাইনটা আরেকটু সোজা হলে ভালো হতো, আর এই হলুদ কালেরর জায়গা কমলা দিলে আরো ভালো হতো, তোমার আরো শিখার দরকার আছে।
বলে নিজের পেন্ডিং নিয়ে গাড়ির দিকে যায়, আর মুশকি হাসতে থাকে। স্নেহা ঐদিকে মুখ ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
প্রহর গাড়িতে ছবি রাখতে রাখতে বলে,, তাড়াতাড়ি সব কিছু গুছিয়ে গাড়ির ভিতরে রাখো, এখান থেকে যেতে হবে তোহহ নাকি।
,,,, হুহহহ যাবো না আমি।

,,,, ঠিক আছে তাহলে থাকো এই জায়গায়, আমার তো অনেক ক্ষুধা লেগেছে তাই আমি যাচ্ছি রেস্টুরেন্টে এ, তোমার লাগেনি বুঝি।
স্নেহা পেটে হাত দিয়ে প্রহরের দিকে তাকিয়ে আছে। প্রহর মুশকি হেঁসে বলে,,, চলো গাড়িতে উঠো।
স্নেহা চুপচাপ গাড়িতে উঠে বসে। প্রহর একটা রেস্টুরেন্টে যায়, সেখানে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে। তারা লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়ে। দুজনে এর উপর অনেক আলোচনা ও করে।
রাতে স্নেহা গাড়িতে বসে আছে, প্রহর ড্রাইভ করছে। হঠাৎ করেই স্নেহা তাড়াতাড়ি গাড়ি থামাতে বলে, প্রহর তাড়াতাড়ি গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞেস করে,,,,, কি হয়েছে।

,,,,,, আইসক্রিম খাবো, খেতে ইচ্ছে করছে।
,,,তো এটা নরমালি বলতে পারতে, এভাবে কেও বলে, আমি মনে করেছি কি না কি হয়েছে।
,,,,,আচ্ছা এখন তো জানতে পেরেছেন নাকি, তাহলে এখন এনেদিন।
,,,অফফ,, ঠিক আছে।
প্রহর গাড়ি থেকে বের আইসক্রিম এনে দেখে স্নেহাও গাড়ি থেকে বেরিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। প্রহর স্নেহার হাতে আইসক্রিমটা দিয়ে বলে,,, তুমি বের হতে গেলে কেনো, আমি তো নিয়েই আসছিলাম।

,,,আপনার জন্য আনলেন না।
,,, না আমি এসব খাই না।
,,, পরে আমারটার দিকে নজর দিবেন না।
,,,, হুমম,,উঠেন এবার গাড়িতে।
,,, আরে চলেন না কিছু ক্ষন হাঁটি, চাঁদনী রাত, ভালোই তো লাগছে, হাঁটলে আরো ভালো লাগবে।
,,,, হুমম, তো আসল কথা হলো এটা, আইসক্রিম তো বাহানা ছিলো তাই তো।
,,, বুঝেই যখন গেছেন তখন চলেন, আর আপনার বাসায় কোনো কাজ আছে।
,,,, না।

,,,, কেও আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
প্রহর একটা লম্বা নিশ্বাস ফেলে বলে,,,, অপেক্ষা করার মতো কেও নেয়।
,,,, তাহলে বাসায় গিয়ে কি আপনি কাওকে দেখতে চান।
প্রহর গভীর চিন্তায় বলে,,,,, এখন তো সেও নেয়।
,,,, নেয় যখন চলেন।
বলে প্রহরের হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে থাকে। প্রহর তার হাত ছুটিয়ে বলে,,,,, হুমম চলো।
দুজনে হাঁটছে, স্নেহা একটার পর একটা কথা বলে যাচ্ছে প্রহর তা শুনে যাচ্ছে। একটা জায়গা দেখে তারা বসে, কিছু ক্ষন গল্প করার পর প্রহর বলে,,,, চলো এখন ফিরে যায়, রাত তো কম হলো না।
,,,হুমম চলেন,, আপনার তো আমার থেকে পিছা ছুটাতে পারলে বাঁচেন।
প্রহর স্নেহাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে নিজেও বাড়ির দিকে রওনা দেয়।

সায়ন বারান্দায় দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে, আকাশের দিকে তাকিয়ে গিটার বাজাচ্ছে আর গান গাচ্ছে। এি সময় একটা ফোন আসে, সায়ন গান থামিয়ে বিরক্তর সাথে কলটা রিসিভ করে বলে,,, হ্যালো কে।
,,,,আরে আমি।
,,,, কে মিস্ আলো।
,,,, আরে বাহহহ আমার আওয়াজ শুনেই দেখা যায় চিনে ফেলেছেন একে বলে মনের টান।
,,,, আপনি কি এতো রাতে এসব ফালতু কথা বলার জন্য কল করেছেন।
,,,,এটা ফালতু কথা হলো, আচ্ছা আমি যেটার জন্য ফোন করেছিলাম, আপনি কি ওষুধ খেয়েছেন।
,,,, মানে।
,,,,জানতাম আপনি খাননি, খাননি কেনো, সুস্থ হওয়ার ইচ্ছে নেয় নাকি।
,,,,আরে আজকে কেও মনে করিয়ে দেয়নি, প্রতিদিন তো দি,,,বলে চুপ হয়ে যায়।
,,, কি বলেন।

,,,আপনি আগে এটা বলেন, আপনি আমার নাম্বার পেলেন কোথা থেকে।
,,,,,আরে নাম্বার বের করা আমার বা হাতের কাজ। আচ্ছা আপনি তাড়াতাড়ি ঔষধ খেয়ে আসুন।
,,,,,, মিস্ আলো আপনাকে এতো চিন্তা করতে হবে না, আমি ঠিক খেয়ে নিবো।
,,,,,সত্যি।
,,,,, হুমম,,এখন ফোন রাখি।
,,,,আরে দাঁড়ান, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা।
,,,,, কি।
,,,,আপনি ভালো আছেন।
,,,, হেহহ,,,হুমম আমি ভালো আছি। এবার রাখেন।
,,,আরে জিজ্ঞেস করবেন না আমি কেমন আছি।
,,,, আচ্ছা আপনি কেমন আছেন।
,,,,জ্বী আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি,,
,,, এবার রাখি।
,,,,,, আরে আরেকটা জরুরি কথা।
,,,,,, আবার কি।
,,,,গুড নাইট।
,,,, গুড নাইট

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১১

বলে ফোন রেখে দেয়, সায়ন ফোন রেখে বলে,,, পাগল মেয়ে একটা। নাকি আমাকে পাগল ভেবেছে কোনটা।
সায়ন আবার গানে মনোযোগ দেয়। কিছু ক্ষন পর সায়নের কাঁধে হাত রাখে প্রহর। সায়ন তার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে দাঁড়ায়।
প্রহর,,,, এতো গভীর মনোযোগ দিয়ে কি দেখছিস আকাশে।
,,,, কিছু না ভাই, চাঁদ দেখছি।
প্রহর মুশকি হেঁসে বলে,,, কিন্তু চাঁদ তো নেয়। যানিস যখন কেও কাওকে অনেক মিস করে তখন সে এভাবে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। দিয়ার কথা মনে পড়ছে নাকি।
সায়ন প্রহরের দিকে তাকিয়ে বলে,,,,, না, হয়তো হ্যাঁ।
প্রহর,,,,জানিস তোর আর আমার কাহিনি অনেকটা এক।
সায়ন,,,,না ভাইয়া, তোমার চর আমার কাহিনি কখনোই এক হতে পারে না। আচ্ছা যাক এসব কথা বলে লাভ নেয়।
প্রহর,,,, হুমম অয়ন ফোন করেছিলো।

সায়ন,,,,, করেছিলো একবার,,ভাইয়া তো এখন মজায় আছে, এখন আর আমাদের কল করার টািম আছে নাকি।
প্রহর,,,, হুমম ভালেবাসার মানুষ কাছে থাকলে কারো দরকার হয় না। আচ্ছা যা রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়।
দুজনেই দুজনের রুমের দিকে চলে যায়।
,,,,,, হ্যালো,, যা বলছি মন দিয়ে শুনবে, যার ছবি দিয়েছি, সে যেনো কাল কোনো ভাবেই বাঁচতে না পারে, ওরা সেখানেই আছে, যতো টাকা লাগবে পেয়ে যাবে, শুধু কাজটা সুন্দর ভাবে হওয়া চাই। আর হ্যাঁ বেশি কষ্ট দিয়ে মারার কথা ভাববে না।
,,,, ওকে স্যার, আই আন্ডারস্ট্যান্ড।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১৩