আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১৮ || Maishara Jahan

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১৮
Maishara Jahan

কেনো জানিনা আমি খুশি হতে পারছি না। আমার মাথায় শুধু একটাই কথা ঘুরপাক খাচ্ছে , আমি কি প্রহরকে ভালোবাসতাম, ওর সাথে কি আমার কোনো সম্পর্ক ছিলো। যদি থাকতো তাহলে অয়ন নিশ্চয়ই যানতো, আর জানলে আমাকে বিয়ে কেনো করবে।
আমাকে এভাবে নিস্তীর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অয়ন আমাকে ছেড়ে জিজ্ঞেস করলো,,,,,, কিছু হয়েছে নীর।
ঠিক এই মূহুর্তে কি বলা ঠিক হবে আমার জানা নেয়, সত্যিটা ঠিক কি সেটা কি অয়নকে জিজ্ঞেস করা ঠিক হবে। না এখনি না, আগে আমি সিউর হয়ে নিয়, তারপরে যা জিজ্ঞেস করার করতে হবে।

অয়ন আমাকে একটু ঝাঁকি দিয়ে বললো,,,, কোন দেশে হারিয়ে গেলে আমাকে রেখে।
অয়নের কথা শুনে নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করে মিথ্যা হাসি ঠোঁটে এনে বললাম,,,,, কোথায় আর যাবো, এখানেই আছি। শুধু আপনাকে এতো তাড়াতাড়ি আসতে দেখে অভাক হলাম।
অয়ন হাসতে হাসতে একটু দুষ্টু ভাব নিয়ে বললো,,,, তাই নাকি আর এতো সুন্দর বউ ঘরে থাকলে কি কাজে মন রাখা যায়।
ওনার কথায় আমি মুশকি হেঁসে বললাম,,, আচ্ছা,, তাহলে মনটা আপনার কোথায় ছিলো।
অয়ন একটু ভাবার মতো করে বললো,,, ছিলো পাগলীর কাছে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

,,,,হুমম আচ্ছা,, আপনি এখন ফ্রেশ হয়ে আসেন, আমি আপনার খাবারের ব্যবস্থা করছি।
,,,,, এই তুমি আমাকে আপনি আপনি বলা বন্ধ করবা।
,,,,, তো কি করবো।
,,,,তুমি তুমি করে বলবা, আপনি বললে কেমন দূরের দূরের মনে হয়, আর তুমি বললে আপন মনে হয়, বুঝলে।
,,,,হুমমম বুঝলাম।
,,,, তাহলে এখন থেকে কিভাবে ডাকবে।
,,,,তুমি তুমি ডাকবো হয়েছে, তুমি করে ডাকতে কেমন অদ্ভুত লাগে।
,,,,,আরে অদ্ভুত এর কি হলো, তুমি আমার স্ত্রী তাই তুমি করে ডাকাটাই এখন স্বাভাবিক। আর আমি কিছু জানি না, তুমি করেই ডাকতে হবে।
,,,,,,, ঠিক আছে, ঠিক আছে। যান, না মানে যাও গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো।
,,,হুমম,এবার মনে হচ্ছে তুমি আমাকে বলছো, ঠিক আছে আমি যাচ্ছি।

বলে অয়ন ওয়াশ রুমে চলে যায়,আমি নিচে ড্রয়িং রুমে বসে আছি, মাথায় আমার শুধু একটা কথায় বার বার ঘুরছে।
একটু পরেই সায়ন আসে, তাকে দেখে একটু অসুস্থ মনে হচ্ছে, আমি সায়নকে দেখে দাঁড়ায়, সায়ন এসে সোফাতে বসে, একটু ক্লান্ত ভাবে বলে,,, ভাবী একটু পানি এনে দাও না।
আমি তাড়াতাড়ি পানি এনে দিয়ে বলি,,,,কি হয়েছে সায়ন,তোমাকে এমন অসুস্থ লাগছে কেনো।
সায়ন পানি খেয়ে, পানির গ্লাসটা টেবিলে রাখতে রাখতে বললো,,,,এমনি একটু ক্লান্ত লাগছে, তেমন কিছু না।

,,,বেশি খারাপ লাগলে বলো আমি অয়নকে ডাক দেয়।
,,,,না না ভাবী তার দরকার হবে না, আমি মিস্ আলোকে দেখিয়ে এসেছি, কোনো প্রবলেম নেয়।
,,,,ওহহ আচ্ছা।
,,,,ভাইয়া এসে গেছে।
,,,হুমম মাত্র আসলো, এখন ওয়াশ রুমে ফ্রেশ হচ্ছে।
,,,,,ওহহ আচ্ছা,, তাহলে ভাইয়াকে শুধু শুধু বলার দরকার নেয় ভাইয়া টেনশন করবে।
,,,,হুমম ঠিক আছে। তোমার ভাইয়া ফ্রেশ হয়ে আসছে, তুমিও ফ্রেশ হয়ে এসে লাঞ্চ করে নাও।
,,,,,ভাবী আমার খেতে ইচ্ছে করছে না।
,,,,, খাবে নাকি তোমার ভাইয়াকে বলে দিবো।
,,,,,, ভাবী ব্লেকমেইল করা কিন্তু ভালো না, তাও আবার সায়নকে।
আমি হেঁসে বললাম,,,,,আচ্ছা তাহলে তো আরো বেশি করে করবো, খাবে কিনা বলো।
,,,,,,হুমম ঠিক আছে।

সায়ন সিরির রেল ধরে ধরে উপরে যায়, আমি টেবিলে খাবার সাজাতে থাকি কিন্তু মন তো আমার অন্য জায়গায়। একটু পর দুজনে এসে খাবার টেবিলে বসে। আমিও খেতে বসি, এ সময় প্রহর আসে, অয়ন তাকে খেতে বসতে বলে, কিন্তু সে বলে, সে নাকি খেয়ে এসেছে,পেটে নাকি একটুও জায়গা নেয়।
আমি উঠে প্রহরের দিকে তাকিয়ে বলি,,, আমি আজ নিজ হাতে বিরিয়ানি রান্না করেছি, খাবেন না আপনি।
প্রহর এক পলক আমার দিকে তাকিয়ে মুশকি হাসি দিয়ে বলে,,, পেটের এক কোনায় খালি খালি লাগছে, সেটা না হয় তোমার বিরিয়ানি খেয়েই পূরণ করবো।

প্রহর এসে বসে, আমি সবাইকে বিরয়ানী সার্ফ করলাম। সবাই খাচ্ছে, আমি বার বার প্রহরের দিকে তাকাচ্ছি, অনেক কষ্টে খাচ্ছে মনে হচ্ছে। আমি প্রহরের দিকে তাকিয়ে বললাম,,,,এতো কষ্ট হলে খাওয়ার দরকার নেয়,ইটস ওকে।
প্রহর মুশকি হেঁসে বলে,,,, তোমার হাতে বিরিয়ানি আর আমি খাবো না এটা হতে পারে। কষ্টের থেকে বেশি মজা লাগছে।
অয়ন টেবিলের নিচে থেকে আমার হাত ধরে বলে,,,, বিরিয়ানিটা অনেক টেস্টি হয়েছে। সায়নও বলে উঠে,,,ভাবী যে এতো মজার রান্না করতে পারে যা তো জানতাম না, জানলে তো মাকে ছুটি দিয়ে দিতাম।

আমি মুশকি হেঁসে উঠি, ঠিক এই সময় প্রহর বলে উঠে,,, মারু তো সব সময় ভালো বিরয়ানী রান্না করতে পারে সাথে মাংসও।
আমি প্রহরের দিকে সন্দেহের নজরে তাকিয়ে বলি,,,, আমি তো আজি রান্না করে খাওয়াল আপনি সব সময়ের কথা বলছেন কেনো।
প্রহর একটু নার্ভাস হয়ে বললো,,, না মানে, আজ এতো ভালো রান্না করেছো মানে সব সময় হয়তো এমনি ভালো রান্না করো তাই বললাম।

,,,,আর আমি যে ভালো মাংস রান্না করতে পারি সেটা কিভাবে জানলেন আমি তো মাংস করি নি।
প্রহর গ্লাস উঠিয়ে একটু পানি খেয়ে বললো,,, আরে বিরিয়ানিতে যে মাংস গুলো আছে না সে গুলো অনেক মজা লাগছে, তাই বললাম।
অয়ন আমার দিকে তাকিয়ে হেঁসে বলে,,,আরে তোমার রান্নার প্রশংসা করছে, এটা কি তোমার সহ্য হচ্ছে না নাকি,, এমন ডিটেকটিভের মতো প্রশ্নের উপর প্রশ্ন করছো।
আমি একটু স্বাভাবিক হয়ে বললাম,,,, না এমনি।

আমি অনেক ক্ষন ধরে দেখছি প্রহর প্লেটের দিকে তাকিয়ে আছে, খুবি অল্প অল্প করে খাচ্ছে, আর আমার দিকে নজর মিলাচ্ছে না। খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই ড্রয়িং রুমে বসে আছি, কারো মুখে কোনো কথা নেয়, হঠাৎ করেই সায়ন টিভিতে কার্টুন ছেড়ে দেয়,সবাই সায়ন এর দিকে তাকায়।
সায়ন সবার দিকে তাকিয়ে একটা ইনোসেন্ট হাসি দিয়ে বলে,,, এখানে কি কোনো সিরিয়াস কথা হতে যাচ্ছিলো নাকি। ঠিক আছে আমি বন্ধ করে দিচ্ছি।
আমি রিমোটটা নিয়ে বললাম,, না না বন্ধ করো না, এটা আমার ফেবারিট কার্টুন।
সায়ন একটু নড়েচড়ে বসে বলে,,তাহলে তো দুজনে মিলে দেখবো। অয়ন হেঁসে বলে,,,আমরা সবাই মিলে দেখবো তোমরা একা কেনো দেখবা।

আমি কার্টুন দেখে হাসার নাটক করছি যেনো সবাই সব কিছু একটু স্বাভাবিক ভাবে নেয়, আর তাই হলো সবাই আমার সাথে সাথে কার্টুন দেখে হাসছে।কিন্তু কথা হলো এটুকু কথা নিয়ে সবাই এতো সিরিয়াস হয়ে গেছে কেনো, তাহলে কোনো রহস্য তো আছে, হয়তো আমার স্মৃতি কিছু দিনের না বেশ অনেক দিনের বা হতে পারে বছরের চলে গেছে।
সবাই মিলে বেশ অনেক ক্ষন কার্টুন দেখার পরে আমরা সবাই যার যার রুমে চলে যায় রেস্ট করার জন্য।আহান
আমাকে সাথে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। অয়ন আমার দিকে ফিরে আমার উপরে তার এক হাত রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে।
আমি শুয়ে আছি কিন্তু আমার চোখে ঘুম নেয়। আমি অয়নের দিকে তাকায়, ঘুমন্ত অবস্থায় চেহেরার মায়াটা যেনো আরো বেশি বেড়ে যায়। আমি অয়নের গালে হাত বুলিয়ে ধরে ভাবছি,,যদি আমি যেমন ভাবছি তেমন কিছু হয় তাহলে আমাদের সম্পর্কের কি হবে। অয়নের মায়া মনে হয়না আমি ছাড়তে পারবো। কিন্তু যদি এতে তোমার দোষটা একটু বেশিই হয়ে থাকে তাহলে তোমার সাথে থাকতেও আমার অনেক কষ্ট হয়ে যাবে।

এগুলে ভাবতে ভাবতে কখন যে অয়নের ঘুম ভেঙে যায় সেদিকে আমার কোনো খেয়ালি নেয়। অয়ন আলতো চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বলে,,,, কি দেখছো নীর।
অয়নের কথায় আমার হুশশ আসে, আমি মৃদু হেঁসে বলি,,,,,কিছু না, ঘুম ভেঙে গেছে।
অয়ন আবার চোখ বন্ধ করে আমাকে তার দিকে ফিরিয়ে আমার বুকে মাথা রেখে আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে শুয়ে থাকে। আর ঘুম ঘুম কন্ঠে বলে,,,,,,, আমাকে একটু ঘুমাতে দাও নীর। আর তুমিও ঘুমাও আমার সাথে।
কিছু ক্ষন পরে অয়নের সাথে আমিও ঘুমিয়ে পড়ি। বিকেলে আমার ঘুম ভাঙে কিন্তু আশেপাশে অয়নকে দেখতে পারছি না, টেবিলে একটা কাগজে লিখা “আমি কাজে যাচ্ছি, খুব তাড়াতাড়ি এসে পড়বো”

আমিও উঠে ফ্রেশ হয়ে ছাদে যায়, রোদের তেজ নেয় তেমন, ঠান্ডা হওয়া ভালোই লাগছে। একটু সাইডে তাকাতেই দেখি প্রহর আমার দিকে এক পলকে তাকিয়ে আছে। আমি একটু কাছে গিয়ে তাকিয়ে বলি,,,,,আপনি এখানে, কি করেন।
প্রহর কোনো জবাব দিচ্ছে না, আমি আবারো জিজ্ঞেস করলাম তবে এখন একটু জোরে। প্রহর তার নজর সংযত করে বললো,,, না মানে, শাড়ী পড়ে চুল গুলো খোঁপা করেছো তো তাই।
এটা বলে প্রহর নিজেই চুপ হয়ে গেছে, হয়তো মুখ থেকে কথাটা বেরিয়ে গেলো। আমি একটু দূরত্ব বজায় রেখে বসে বললাম,,,,, হুমম তাতে কি হয়েছে।

প্রহর অন্য দিকে তাকিয়ে বললো,,,, কিছু হয়নি, তবে তুমি তো বেশি চুল খোঁপা করো না তাই আরকি।
,,,কেনো ভালো লাগছে না বুঝি।
প্রহর আমার দিকে তাকিয়ে শুধু মুচকি হাসলো। কিছু বললো না। আমি প্রহরের ডাইরির দিকে তাকিয়ে বললাম,,,,,,, কি করছেন এখানে, এই সময়।
প্রহর তার ডাইরিটা বন্ধ করে বললো,,, আমি তো প্রতিদিনি আসি, আর গল্প সাজায়।
,,,,ওহহ আমি এসে ডিস্টার্ব করে ফেললাম বুঝি। তাহলে আমি আসি।
প্রহর হাল্কা হেঁসে বললো,,,তাহলে আমি ডিস্টার্ব হতে ইচ্ছুক।
ওনার কথা শুনে আমারো মুখে হাসি চলে এলো। কিছু ক্ষন দুজনেই চুপচাপ বসে আছি, আমিই নিড়াবতা ভেঙে বললাম,,,,,, আচ্ছা আপনি কখনো কাওকে ভালোবেসেছেন,, বললে সত্যিটা বলবেন পিল্জ, মিথ্যা বললে আপনার ভালোবাসার অপমান হবে।
প্রহর আমার দিকে বলে,,, আমি তো এখনো ভালোবাসি প্রচুর।

,,,,,,কাকে?
প্রহর শুধু আমার দিকে তাকালো তারপর বললো,,,, হঠাৎ ভালোবাসার পিছনে পড়লে যে, তাও আবার আমার।
,,,,এটা আমার প্রশ্নের উত্তর না।
প্রহর অন্য দিকে তাকিয়ে বলে,,,, কিছু প্রশ্নের উত্তর না জানাই ভালো।
,,,,, ভালো মন্দ তো শুনার পরে বলা যায়, এর আগে বিবেচনা করা বুদ্ধিমানের কাজ বলে আমার মনে হয় না।
,,,,সবসময় বুদ্ধিমানের মতো কাজ করা বিপদজনক হতে পারে।
,,,,তাহলে আপনি বলবেন।
,,,,,,, সব কিছু যানা কি খুব প্রয়োজন, কিছু অজানা থাকাটাও ভালো।
,,,জানতে যে খুব ইচ্ছে করে,কি করবো।
,,,,সব ইচ্ছে তো আর পূরণ হয় না।
,,,আচ্ছা তাহলে আপনি বলবেন না, ঠিক আছে তাহলে এটা বলুন আপনি কি কখনো ময়মনসিংহ গিয়েছেন।
প্রহর উঠে দাঁড়িয়ে বললো,,,,,, না কখনো না।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১৭

বলে চলে যায়, আমি বসে আছি, প্রহর মিথ্যা বলছে বুঝা যাচ্ছে। আমিও কিছু ক্ষন চুপচাপ বসে থেকে ছাদ থেকে চলে যায়। আমি আমার রুমের দিকে যেতে থাকি, কিন্তু কি একটা ভাঙার আওয়াজ শুনে দাঁড়িয়ে যায়,আওয়াজটা সায়ন এর রুম থেকে আসছে। আমি দেখতে যায়, গিয়ে দেখি সায়ন রাগে রুমের জিনিস পত্র ভাঙছে।
আমি গিয়ে সায়নকে আটকায়,আটকিয়ে বলি,,,,কি হয়েছে সায়ন।
সায়ন তার নিজের মাথার চুল খামচে ধরেছে। আমি সায়নকে বিছানায় বসিয়ে বলি,,, কি হয়েছে সায়ন।
সায়ন মাথায় ধরে বলছে,,,যানি না ভাবী, হঠাৎ করেই কেনো যানি অনেক রাগ উঠছে, মাথাটা ব্যাথা করছে। রাগে আমার মাথা ফেটে যাচ্ছে। বুঝতে পারছি না, কেনো এমন হচ্ছে।

,,,আমি তোমার ভাইয়াকে কল করছি।
,,,,না ভাবি, এক কাজ করো তুমি আলোকে ডাকো, ও দেখে যাক, পরে বেশি প্রবলেম হলে ভাইয়াকে বলবো।
,,,,ঠিক আছে, তুমি শুয়ে থাকো।
আমি কল আলোকে ডাকি, আর রুম পরিষ্কার করার জন্য একজন মেইডকে বলে দিয়। আমি আমার রুমে আসি। এখন আমার নিজের মাথাটাই ঝিম ঝিম করছে। ভাবলাম সাওয়ার নিলে ভালো লাগবে, আলমারি থেকে কাপড় বের করার সময় একটা ফাইল আমার চোখে পড়লো, অয়নের জরুরি ফাইল মনে করে রাখতে গেছিলাম,,

বাট ফাইলটা রাখতে গিয়ে যা চোখে পড়লো তা বিশ্বাস করার মতো না, পুরো ফাইলটা পড়ে আমার মাথা ঝিম ঝিম করছে। ফাইলটা দেখে মনে হচ্ছে অয়ন আমার সাথে কোনো গেইম খেলছে, “কে বাঁচে কে মরে” এমন টাইপের গেইম। ফাইলটা নিয়ে আমি বিছানায় বসে পড়ি, চোখের পানি কোনো ভাবেই বাঁধা মানছে না।

আগুনের তৃষ্ণা পর্ব ১৯