আমার নিঠুর মনোহর পর্ব ২৬

আমার নিঠুর মনোহর পর্ব ২৬
জেনিফা চৌধুরী

“আপনার বুকে আমার শান্তি, মাস্টার মশাই। আমি যদি কখনো ম’রে যাই তাহলে এখানে আর কাউকে ঠাঁই দিবেন না, প্লিজ।”
প্রথম কথাটা শুনে তামজিদের ঠোঁটে কোনে হাসি ফুটলেও, দ্বিতীয় কথাটায় সব হাসি হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো। তারিনকে তৎক্ষনাৎ বুক থেকে সরিয়ে দিয়ে উঠে বসলো। থম মে’রে বসে রইলো কিছুক্ষণ। কিছু বললো না। তারিন বুঝতে পারলো যে, তামজিদ কথাটায় কষ্ট পেয়েছে। বুঝতে পেরে নিজেরেই খারাপ লাগছে। এখন যে কিছু বলবে তার সাহস ও পাচ্ছে না। ছেলেটার উপর দিয়ে ৪/৫দিন ধরে অনেক ধকল গেছে। চোখ, মুখ শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে। তামজিদ কিছুক্ষণ বসে থেকে, কোনো কিছু না বলে অন্য পাশ ফিরে শুয়ে পড়লো। তারিন এই মুহূর্তে বুঝতে পারছে না, কি বলবে? কি করবে? তবুও কোনোরকমে তামজিদের গায়ে হাত রেখে বললো,

“মাস্টার মশাই?”
তামজিদ থমথমে গলায় উত্তর দিলো,
“বলো।”
“রাগ করেছেন?”
“ঘুমাও।”
তারিন পুনরায় শান্ত, শীতল স্বরে বলে উঠল,
“ভালোবাসি।”
তামজিদ চুপ রইলো। উত্তর দিলো না। তারিন এবার তামজিদের উপর মাথা রেখে বললো,
“মাস্টার মশাই, শুনুন না।”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

“শুনছি তো।”
“তাহলে ভালোবাসি বলছেন না কেন?”
তামজিদ উত্তরে গম্ভীর স্বরে বলল,
“হুম, ভালোবাসি।”
“হুম, ভালোবাসি__এটা আবার কেমন শব্দ?”

তামজিদ বুঝতে পারছে, তারিন দুষ্টুমির ছলে ওর রাগ ভাঙানোর চেষ্টায় আছে। তবুও গম্ভীর ভাব বজায় রেখে বলল,
“এতকিছু জানিনা। চুপচাপ ঘুমাও।”
তারিন তামজিদের গালে হাত রেখে নিজের দিকে ঘুরানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু পারলো না৷ তবুও হাল না ছেড়ে জোর করে তামজিদের মুখ খানা তারিনের দিকে ঘুরালো। তারপর তামজিদের গালে হাত রেখে শান্ত স্বরে বলে উঠল,

“আমি আপনাকে ছেড়ে অন্য কোথাও শান্তি পাইনা, মাস্টার মশাই।”
তামজিদ চুপ। কিছু বলছে না। তারিন পুনরায় বলে উঠল,
“এত শান্তি রেখে আমি কোথায় যাবো বলেন?”
তামজিদ আগের ন্যায় চুপ৷ তারিন বলল

“ও মাস্টার মশাই, আপনি আমার সব। আপনার মাঝে আমি আকাশসম শান্তি খুঁজে পাই। ভালোবাসা, যত্ন ও সম্মানের চাদরে যে মানুষটা আমাকে মুড়িয়ে রেখেছে তাকে রেখে আমি কোথায় যাই বলুন তো?”
তামজিদ এবার মুখ খুলল। অভিমানী স্বরে বলল,
“যেখানে খুশি যাও। আমার কি?”

তারিন চুপিসারে হাসল। অতঃপর তামজিদের গাল টেনে, খুব ভাব নিয়ে বড় গলায় বলে উঠল,
“একদম না। আমি চলে গেলেই আবার একটা ডাইনি এসে আমার জামাইয়ের ঘাড়ে বসবে৷ সেটা আমি বেঁচে থাকতে কোনোদিন হতে দিবো না। আমার জামাইয়ের দিকে কেউ নজর দিলেও তার চোখ তুলে ভুনা করে খিচুড়ি দিয়ে খেয়ে ফেলবো। সবসময় নামটা মনে রাখবেন, ‘তারিন দ্যা তামজিদের স্ত্রীর’। উখে?”

তারিনের এমন উল্টাপাল্টা কথা শুনে তামজিদ ফিক করে হেসে ফেললো। হেসে তারিনকে বুকে শক্ত করে প্যাঁচিয়ে ধরল। তারিনের গলায় জোরেসোরে একটা কামড় বসিয়ে দিয়ে, সাবধানতার বাক্যে বলে দিলো,
“আর একদিন যদি উল্টোপাল্টা কথা বলেছো তাহলে এমন জায়গায় কামড় দিবো যে, কাউকে দেখাতে পারবে না। বুঝছো, আমার চাঁদ?”
তারিন গলায় হাত বুলাতে বুলাতে ব্যাথাতুর স্বরে বলে উঠল,
“আস্তো খাটাশ লোক একটা।”
তামজিদ হেসে তারিনকে বুকে শক্ত করে ধরে রেখে বলল,
“শুধু তোমার জন্য।”
তারিনও প্রতিউত্তরে হাসলো। তারপর দুজনেই তলিয়ে গেলো অঢেল ঘুমে।

ফজরের আজানের সময় তামজিদের ফোনের টুংটাং এলার্মের শব্দে তারিনের ঘুম ভাঙলো। ঘুমঘুম চোখে তাকিয়ে দেখলো এখনো সেই তামজিদের বুকেই আছে। মাঝে মাঝে অবাক হয় ভীষণ। যেদিন থেকে তামজিদের বুকে ঘুমানো শুরু হয়েছে, সেদিন থেকে প্রতিদিন সকালে উঠে তারিন নিজেকে সেই একই জায়গায় আবিষ্কার করে৷ ছেলেটা কি এপাশ/ওপাশ করে না? এভাবে সারারাত থাকা যায়? বুক ব্যাথা হয়ে যায় না? হাত ব্যাথা হয়না? কি জানি? এত ধৈর্যশীল কেন মানুষটা? তারিন বিয়ের দিনের কথা মনে করলো। যেই মানুষটা বিয়ের দিন বিয়ে ভেঙে দেওয়ার জন্য হাত জোর করেছিলো, আজ সেই মানুষটাই ওর মানসিক শান্তির কারণ। খোদা কি এক রহমতের সম্পর্ক বানিয়ে দিয়েছেন। মাশ-আল্লাহ! মনে মনে প্রার্থনা করলো, ‘পৃথিবীর প্রতিটা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক যেনো মৃ’ত্যুরর আগে অব্দি উপরওয়ালার রহমত দ্বারা পূর্ণ থাকে’। তারিন তামজিদের থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতেই তামজিদ ঘুমন্ত স্বরে বলল,

“নড়ছো কেন? ব্যাথা পাচ্ছো?”
তারিনের ঠোঁটে হাসি ফুটল। মানুষটা ঘুমের মাঝেও তারিনের ব্যাথা, কষ্ট নিয়ে ভাবছে৷ তারিন নিচু স্বরে উত্তর দিলো,
“না।”
তামজিদ পুনরায় আগের ন্যায় জিজ্ঞাস করল,
“তাহলে নড়ছো কেন?”
“এমনি।”

তামজিদ এবার ঘুমের ঘোরেই তারিনকে আবার বুকে টেনে নিলো। মিষ্টি স্বরে বলে উঠল,
“নড়ো না। আমার শান্তি নষ্ট হয়ে যাবে।”
তারিন আর উত্তর দিতে পারলো না। মানুষটার থেকে সরে আসতেও পারলো না। চুপচাপ তামজিদের উদাম বুকের সাথে লেপ্টে রইল। তামজিদের হার্টবিটের প্রতিটা শব্দ তারিনের কানে বাজছে। তারিন কি বলবে বুঝতে পারলে না? এই মুহূর্তে মানুষটা কি জাগানোর প্রয়োজন? নাকি কিছুটা সময় শান্তিতে ঘুমাতে দেওয়া উচিত? তারিন একবার ঘড়ির দিকে চোখ বুলিয়ে বলে উঠলো,

“মাস্টার মশাই, ও মাস্টার মশাই? শুনছেন?”
তানজিদ ঘুমের স্বরে জবাব দিলো,
“বলো শুনছি।”
তারিন এবার আগের ন্যায় শান্ত স্বরে বলল,
“ উঠুন, নামাজ পড়বেন না?”

কিছু সেকেন্ড কাটলো। তামজিদ পিট পিট করে চোখ খুলল। চোখ খুলে প্রতিদিনের মতো আজকেও তারিনের কপালে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়ালো। ঘুমন্ত চেহারায় আলতো হেসে মিষ্টি স্বরে বলে উঠলো,
“শুভ সকাল, আমার চাঁদ। তোমার দিন ভালো কাটুক।”
তারিন হাসলো। তামজিদের দেওয়া ভালোবাসার ছোঁয়া নিজেও ফেরত দিলো। তামজিদের কপালে ঠোঁট ছোঁয়ালো। তামজিদের নাকের সাথে নাক ঘষে বললো,

“আপনি পাশে থাকলে আমি প্রতি সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা, দিন অনেক ভালো থাকি। আলহামদুলিল্লাহ।”
তামজিদ হাসলো। জিজ্ঞেস করলো,
“মাথা ব্যাথা করছে?”
তারিন হেসে বললো,
“না।”
“সত্যি?”
“পাক্কা।”
“তাহলে চলো ফ্রেশ হয়ে আসি।”

বলেই তামজিদ উঠে বসলো। বিছানা থেকে নেমে আগে তারিনের শাড়িটা ঠিক করে গুছিয়ে দিলো। তারপর তারিনের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে উঠলো,
“সাবধানে নামবে৷”
তারিনের হাত ধরে বিছানা থেকে নামালো। ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই অসাবধানতায় তারিনের পা শাড়িতে আটকে গেলো। পড়ে যেতে নিলেই তামজিদ সামলে নিলো। তারিন প্রথমে ভয় পেলেও, সেকেন্ডের মাথায় ভয়টা উবে গেলো। কোনোরকমে নিজেকে সামলে দেখলো সে তামজিদের বুকে নিরাপদে রয়েছে। তামজিদ এবার জোরে রাগী স্বরে বলল,

“কাল বার বার বলেছিলাম, শাড়ি পড়বে না৷ শুনেছো আমার কথা? এক্ষুনি পড়ে গেলে কি হতো?”
তারিন হাসলো। তামজিদের গালে হাত রেখে শান্ত কণ্ঠে বলল,
“আপনি আছেন তো। আমাকে সামলে নিবেন, আমি জানি।”
তামজিদ থতমত খেলো। মেয়েটা সবসময় এভাবেই ওকে চুপ করিয়ে দেয়৷ তবুও আগের ন্যায় ধমক দিয়ে বলে উঠলো,
“কোনো পাকামো করবে না। আজ থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া অব্দি শাড়ি পড়বে না। থ্রি-পিস পড়বে। বুঝেছো?”
“হ্যাঁ, মশাই।”

তামজিদ এবার খুব সাবধানে তারিনকে ওয়াশরুমে ঢুকিয়ে দিয়ে শান্ত স্বরে বলল,
“দরজা ভেতর থেকে লক করবে না। আমি এখানে আছি। আর দেখে শুনে পা ফেলবে, বলে দিলাম। ফ্রেশ হয়ে গেলে আমাকে বলবে।”
তারিন প্রতিউত্তরে কি বলবে ভেবে না পেয়ে হাসলো। তামজিদের কথামতো দরজা লক করলো না। ফ্রেশ হয়ে, একেবারে ওযু করে বের হলো। তারিন বের হয়ে আসতেই তামজিদ বলল,

“চেয়ারে পড়বে নাকি জায়নামাজেই পড়তে পারবে? নিজের অবস্থা বুঝে বলো?”
তারিন বলল,
“আমি এতটাও অসুস্থ নই যে, চেয়ারে বসে পড়ব। আলহামদুলিল্লাহ, ঠিক আছি। আপনি ওযু করে আসুন।”

তামজিদ ওযু করতে ঢুকলে তারিন এই সময়ে দুটো জায়নামাজ বিছিয়ে নিলো। তারিন আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ। মাথায়ও ব্যাথাটা কম। তবুও তামজিদ একদম বাচ্চাদের মতো করে তারিনকে আগলে রাখে। তামজিদ বের হতেই দুজনে মিলে নামাজ আদায় করে নিলো। নামাজ শেষ করে তামজিদ তারিনকে পাশে বসিয়ে কোর-আন পড়ে শুনাচ্ছে। আবার মাঝে মাঝে তারিনের মাথায় ফুঁ দিয়ে দিচ্ছে৷ তারিন খুব মনোযোগ দিয়ে তামজিদের পড়া শুনছে। মনটা নিমিশেই শান্ত হয়ে গেলো। শরীরের সব অসুস্থতা, ব্যাথা, যন্ত্রণা এক মুহূর্তেই ভুলে গেলো তারিন। পড়া শেষ হতেই তারিন বলে উঠল,

“চলুন, একটু হেঁটে আসি।”
তামজিদও বারন করতে পারলো না। দুজনে মিলে হাঁটতে বেরিয়ে গেলো।

যাওয়ার আগে তারিন একবার আমজাদ সাহেবের রুমে উঁকি দিয়ে যেতে ভুললো না। এটা ওর নিত্যদিনের কাজ। দরজা খোলার সময় মাইশার কান্নার আওয়াজ কানে ভেসে আসলো তারিনের। তাই তামজিদকে বললো মাইশাকে নিয়ে আসতে। তামজিদও তারিনের কথামতো মাইশাকে গিয়ে নিয়ে আসলো। আর তানহা রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ালো। আজ থেকে আবার তামজিদের কলেজ আছে। তারিন, মাইশা আর তামজিদ মিলে ওদের ফুলের বাগানের সামনে এসে দাঁড়ালো। মাইশা বাইরে বেরিয়ে খিলখিল করে হাসছে। তামজিদ একটা গোলাপ ফুল ছিড়ে তারিনের খোঁপায় গুঁজে দিতেই, মাইশা ছুঁ মে’রে সেটা কেটে নিলো। তা দেখে তামজিদ কপাল কুঁচকে মাইশার উদ্দেশ্যে বলল,

“এটা কি করলে, মা? আমার বউয়ের জিনিসে ভাগ বসালে? একদম ঠিক করো নি তুমি? এক্ষুনি আমার বউয়ের ফুল আমার বউকে ফেরত দাও।”
কথাটা শেষ হতেই মাইশা ভ্যাঁ করে কান্না করে উঠল। তা দেখে তামজিদের মুখটা চুপসে গেলো। তামজিদের চুপসে যাওয়া মুখ দেখে তারিন ফিক করে হেসে দিলো। বলল,

“এবার ঠ্যালা সামলান, জনাব।”
তামজিদ মাইশাকে কোলে নিলে দোলাতে দোলাতে বলল,
“কে মে’রেছে আমার মা কে? মামনি মে’রেছে? ঠিক আছে আমরা মামনিকে মে’রে দিবো। কান্না করে না, মা।”
কে শুনে কার কথা? একাধারে মাইশা কেঁদেই যাচ্ছে। আর মাইশাকে সামলানোর জন্য তামজিদ এটা, ওটা বলছে। কতক্ষণ ফুল দিচ্ছে তো কতক্ষণ পাতা দিচ্ছে। কিছুক্ষণ নাচাচ্ছে, তো কিছুক্ষণ দোলাচ্ছে। কিন্তু কোনোমতেই থামছে না। এদিকে তামজিদ নিজেই হাঁপিয়ে গেছে৷ তাই এবার তারিন মাইশাকে কোলে নিতে নিতে বলল,

“আমার কাছে দিন। আপনার দ্বারা কিছু হবে না।”
মাইশাকে কোলে নিয়ে তারিন আদুরে স্বরে বলতে লাগলো,
“ওরে, আমার সোনাটাকে মামা বকেছে? এখন মামাকে নেচে নেচে আমার সোনামনিকে স্যরি বলতে হবে? তুমি কি মামার নাচ দেখবে বলো, মামনি?”

তারিন এ কথা বলার সাথে সাথে মাইশার কান্না থেমে গেলো। মাইশা কান্না থামতে দেখে তামজিদের মুখটা চুপসে গেলো। তারিন তা দেখে ঠোঁট চেপে হেসে বলল,
“নাচুন। দাঁড়িয়ে আছেন কেন? দেখছেন না আমার সোনাটা আপনার নাচ দেখার জন্য বসে আছে? নাচুন।”
তামজিদ মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলল,
“কিন্তু, আমি তো নাঁচতে পারিনা।”

তামজিদ কথাটা বলতে বলতেই মাইশার কান্না শুরু হয়ে গেলো। ব্যস আর কি? তামজিদ বুঝে গেছে আজকে ও’কে বাঁচানোর আর কেউ নেই? উপায় না পেয়ে কোনোরকমে ব্যাঙের মতো হাত পা লাফিয়ে নাচা শুরু করে দিলো। তামজিদের নাচ দেখে তারিন হাসতে হাসতে শেষ। এতক্ষণ পরে মাইশার মুখেও হাসি ফুটেছে। তামজিদের মুখ আর নাচের ভঙ্গিমা দেখে তারিন হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে৷ এর মধ্যেই তানহা পেছন থেকে বলে উঠল,

“কি রে ভাই? তুই এমন কোলা ব্যাঙ্গের মতো লাফাচ্ছিস কেনো? পাগল-টাগল হয়ে গেলি নাকি?”
বলেই তানহা হাসতে লাগলো। মাইশা কান্না শুনে তানহা বেরিয়ে এসে দেখে তামজিদ এমন অদ্ভূত ভাবে লাফাচ্ছে। তানহাকে দেখে তামজিদ বেশ লজ্জা পেলো। হাঁপাতে হাঁপাতে বলল,

আমার নিঠুর মনোহর পর্ব ২৫ শেষ অংশ 

“তোর মেয়ে এক বজ্জাত, সাথে জুটেছিস তোরা ননদ, ভাবি দুই বজ্জাত। আমার জীবনটাকে শেষ করে দিলো।”
বলেই তামজিদ আর এখানে এক মুহূর্ত থাকলো না। হনহন করে বড় পা ফেলে রুমে চলে গেলো। তারিন ঠিক বুঝলো তামজিদ লজ্জা পেয়ে দৌঁড় লাগিয়েছে। তানহার কাছে তারিন সবটা বলতেই দুজনে মিলে একসাথে উচ্চস্বরে হেসে উঠলো।

আমার নিঠুর মনোহর পর্ব ২৭