আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পর্ব ১৬

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পর্ব ১৬
Raiha Zubair Ripte

-“ মিস চিত্রা দাদাজান আর দাদিজান এসেছে। আপনাকে আজ তারা দেখতে যাবে। হয়তো ডেট ও ফিক্সড করে ফেলবে। আপনার কি কোনো আপত্তি আছে?
তুষারের বলা কথাটা ফোনের এপাশে থাকা রমণীর মনে অজানা এক অন্যরকম অনুভূতির বীজ বপন হলো। ডেট ফিক্সড করা মানেই তো বিয়ে। অতঃপর তাড়া পাশাপাশি এক সাথে মৃ’ত্যুর আগ অব্দি থাকবে। তুষার চিত্রার থেকে আশা স্বরূপ উত্তর না পেয়ে ফের শুধায়-

-“ আপনার কি আপত্তি থাকবে? তাহলে সবাই কে যেতে মানা করবো।
চিত্রা অনুভূতি গুলো সাইডে রেখে কম্পিত গলায় বলে-
-“ আমার আপত্তি নেই।
তুষার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে।
-“ তৈরি হয়ে থাকবেন।
-“ আপনি আসবেন?
-“ চেষ্টা করবো যাওয়ার।
-“ ইচ্ছে নেই বুঝি আসার?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

-“ আছে ভীষণ, আপনাকে শাড়ি পরিহিত অবস্থায় দেখার ভীষণ।
-“ তো প্রেমিক পুরুষ কাজকর্ম সব আজকের জন্য এক সাইডে ফেলে চলে আসুন,অপেক্ষা করাবেন না?
-“ তুষার রা অপেক্ষা করায় না মিস,অপেক্ষা করে।
-“ কিন্তু বিষয় টা তো বরাবরের ন্যায় উল্টোই হয়। আমি অপেক্ষা করি আপনার জন্য।
-“ বিয়ের পর থেকে বরাবরের ন্যায় আমিই করবো।
-“ কথা দিচ্ছেন?

-“ আস্ত আমি টাকেই তো দিয়ে দিয়েছি। সেখানে কথা দেওয়ার কথা বলছেন।
-“ শাড়ি পড়তেই হবে?
-“ পড়লে তো মন্দ হয় না।
-“ আচ্ছা বেশ পড়বো। আপনার জন্য শুধু। ভালো ভালো কমপ্লিমেন্ট করবেন।
-“ যথা আজ্ঞা বেগম সাহেবা।
-“ চিত্রা কই তুই এদিকে আয় তাড়াতাড়ি।
চয়নিকা বেগমের ডাক শুনে চিত্রা তুষার কে বলে বলে-

-“ আম্মু ডাকছে পরে কথা হবে সাথে দেখাও।
তুষার ফোন কান থেকে নামালো। তরিকুল খাঁন তুষারের রুমে ঢুকে।
-“ দাদাজান আপনারা আজ যেতে পারেন।
তরিকুল খাঁন তুষারের কাঁধে হাত দিয়ে বলে-

-“ ঠিক আছে,কথাবার্তা ফাইনাল করে আসবো?
-“ হুমম।
-“ নির্বাচনের আগেই নাতবউ ঘরে আনতে চাই। এবার বড়সড় হাঙ্গামা হতে চলছে।
-“ ভয় পাচ্ছেন?
-“ ভয় পাওয়াই কথা কিছুটা। হালিম সরকার আর আকবর এক জোট হয়েছে যে।
-“ রিলাক্স থাকুন।
-“ কি হয়েছে মা ডাকছো কেনো?
-“ ও বাড়ি থেকে ওরা আসবে আজ। কোনো রকম বাহানা না করে রেডি হবি সময় মতো।
-“ ঠিক আছে।

চয়নিকা বেগম তপ্ত শ্বাস ফেললেন। মেয়ের তার বাধ্য হয়ে গেছে। যখন যা বলছে সব শোনার চেষ্টা করছে। বিষয় টা মন্দ লাগছে না। সাহেল আহমেদ বাহির থেকে খাবার অর্ডার দিয়েছে। স্ত্রীর পক্ষে একার এতো জনের জন্য এতো আইটেমের খাবার বানানো পসিবল না। চয়নিকা বেগম আর কাজের বুয়া মিলে বসার ঘর টা পরিষ্কার করে।
চিত্রা রুমে এসে সবুজ কালারের একটা জামদানী শাড়ি বের করে। শাড়ি টা কিনেছিল বস্ত্র শিল্প মেলা থেকে। কেনার পর আর পড়া হয় নি,প্যাকেট সমেত আলমারি তে তুলে রেখেছিলো। আজ পড়বে পছন্দের শাড়ি টা পছন্দের মানুষের জন্য।

শাড়ি টা পড়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে হালকা সেজে নেয়। চুল গুলো হাত খোপা করে তাদে বেলি ফুলের মালা গুঁজে দেয়। হাতে সবুজ আর কালো রঙের কাঁচের চুড়ি পড়ে। গলায় সবুজ কালারের একটা সীতা হার। চোখে কাজল, ঠোঁটে লিপস্টিক, কপালে টিপ। শেষ তার তৈরি হওয়া।

-“ অধরা আপু তুমি এখনও রেডি হওনি কেনো?
তৃষ্ণা অধরা কে ডাকতে এসে দেখে অধরা বিছানায় পূর্বের ন্যায় শুয়ে আছে।
-“ শরীর টা ভালো লাগছে না। তোরা চলে যা।
তৃষ্ণা তড়িঘড়ি করে অধরার সামনে দাঁড়ায় কপালে হাত বুলিয়ে বলে-

-“ জ্বর এসেছে নাকি?
-“ না আসে নি। মাথা ব্যাথা করছে।
-“ যেতে পারবে না?
-“ না বোন, তোরা চলে যা।
-“ মা তো তোমায় নিয়ে যেতে বলছে।
-“ মামি কে বলিস আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আর তাছাড়া সেখানে বড়রা কথা বলবে আমি গিয়ে কি করবো।
-“ তবুও..
-“ তোরা যা বোন।

তৃষ্ণা আর কথা বাড়ালো না,অধরা কে দেখেই বুঝা যাচ্ছে ওর শরীর তেমন একটা ভালো না। নিচে নেমে তানিয়া বেগম কে জানালো বিষয় টা। তানিয়া বেগম আর জোর করে নি। তামিম খাঁন, রাফি,চয়নিকা বেগম,তৃষ্ণা, তরিকুল খাঁন,তাসলিমা খাঁন,সামির খাঁন, বেরিয়ে যায় চিত্রা দের বাড়ির উদ্দেশ্যে।
সাহেল আর চয়নিকা বেগম তুষারের বাড়ির লোকদের আপ্যায়ন করায় ব্যাস্ত। তৃষ্ণা সেই সুযোগে চিত্রার রুমে চলে যায়। চিত্রা খাটে বসে ফোন স্ক্রোল করছে। তৃষ্ণা কে রুমে ঢুকতে দেখে বলে-

-“ দেখতো আমায় কেমন লাগছে?
-“ বাহ মাশা-আল্লাহ ভাবিজান জোশ লাগছে।
চিত্রা হেসে বলে-
-“ তোর ভাই হার্ট অ্যাটাক করবে না?
তৃষ্ণা চিত্রার পাশে বসে বলে-
-“ ভাইয়া থাকলে তো হার্ট অ্যাটাক করবে।
হাসি গায়েব হয়ে গেলো চিত্রার।

-“ উনি আসেন নি?
-“ না।
-“ কেনো?
-“ আসার জন্য রেডি হয়েছিল কিন্তু পাকিজা এতিমখানার কাজ ধরেছে না? সেখানে কি একটা সমস্যা হয়েছে সেজন্য গেছে।
চিত্রার মুহূর্তে রাগ উঠলো। রাগ টা কমানোর চেষ্টা করে বলে-

-“ তোর ভাই কি বিয়ের পর ও এমন করবে?
-“ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারছি না৷ কতবড় দায়িত্ব আমার ভাইয়ের কাঁধে, ভাইয়ের কত জায়গায় ছুটাছুটি করতে হয়। আমার ভাইটার উপর রাগ দেখাবি না,সাপোর্ট দিবি।
-“ ঘর থেকে বের হতে দিব না তোর ভাই কে। ঠ্যাং ভে’ঙে রেখে দিব।
-“ চপ বজ্জাত মেয়ে।

-“ যতোই যাই বলিস না কেনো। তোর ভাইকে ফোন দিয়ে বল সে সামনে না থাকলে আমি তোর ফ্যামিলির কারোর সামনেই যাব না।
-“ মজা করিস না চল।
-“ আমি মজা করছি না সিরিয়াসলি বলছি তোর ভাই ওখানে না থাকলে আমি যাবো না।
-“ আরে ভাই কাজ শেষ হলেই চলে আসবে।
-“ তখনই যাব।

তৃষ্ণার ইচ্ছে করলে চিত্রা কে ঠাটিয়ে চড় দিতে। তার ভাইয়ের জীবনটা তচনচ করে ফেলবে এ মেয়ে। তৃষ্ণা সাইডে গিয়ে তুষারের নম্বরে কল করে। তুষার হসপিটালে বসে আছে। এতিমখানায় কাজ করা কালিন এক মিস্ত্রির হাতের উপর ইট পড়ে হাত থেঁতলে গেছে। খবর টা পেয়েই তুষার ছুটে আসে। লোকটাকে নিয়ে এনাম মেডিকেলে ভর্তি করায়। তুষার ফোনটা রিসিভ করে।

-“ ভাই তুমি না আসলে চিত্রা বাবা দাদাদের সামনে যাবে না বলে দিছে।
-“ আসছি আমি।
কথাটা বলেই তুষার ফোন কেটে দেয়। তৃষ্ণা চিত্রার সামনে দাঁড়িয়ে বলে-
-“ আসতেছে ভাই,এবার হ্যাপি?
চিত্রা গাল ভর্তি হাসি নিয়ে বলে-
-“ অননননেক হ্যাপি।

তুষার হসপিটালের বিল পে করে লিমন কে সব দায়িত্ব দিয়ে বেরিয়ে আসে হসপিটাল থেকে। গাড়িতে উঠে সোজা ড্রাইভ করে চিত্রা দের বাসায় আসে। মেয়েটাকে অলওয়েজ সে অপেক্ষা করায়। ভেতর বাহির দুটোকেই তার সমান ভাবে ম্যানেজ করা শিখতে হবে।

চিত্রা রুমের জানালা দিয়ে তুষার কে দেখলো। মূলত গাড়ির শব্দ পেয়েই জানালার সামনে দাঁড়িয়েছে। লোকটার শরীরে সাদা কালার পাঞ্জাবি। ফাস্ট টাইম লোকটাকে ব্লাকের বাহিরে অন্য রঙ পড়তে দেখলো। অসম্ভব হ্যান্ডসাম লাগছে। হাতে ব্লাক ঘড়ি ঘন চুল গুলো সুন্দর ভাবে পরিপাটি, চোখে সানগ্লাস। আহ একদম নজর কাড়া লুক। চিত্রার ইচ্ছে করলো চেয়ে থাকতে কিন্তু তৃষ্ণার জন্য পারলো না। তৃষ্ণা চিত্রা কে টেনে মাথায় ঘোমটা দিয়ে বাহিরে নিয়ে গেলো।

তুষার সবেই সোফায় বসেছে চোখ ঘুরাতেই সামনে তাকাতে থমকে যায়। সবুজ কালারের জামদানী শাড়িতে পরিহিত রমণী কে দেখে। রাফি তুষারের হাত চেপে ধরে বলে-
-“ আরে ব্রো এমন ভাবে তাকিয়ে আছো কেনো৷ একটু তো লজ্জা আনো।
তুষার রাগান্বিত হয়ে তাকালো রাফির পানে। রাফি চুপ হয়ে গেলো। চিত্রা কে সোফায় এনে বসায় তৃষ্ণা। চিত্রা সবাইকে সালাম দেয়। তাসলিমা খাঁন চিত্রার মুখের ঘোমটা সরিয়ে থুতনিতে হাত দিয়ে উঁচু করে বলে-
-“ বাহ মাশা-আল্লাহ আমার নাতবউ টা।

চিত্রা লজ্জা পেলো। তরিকুল খাঁন চিত্রার নাম ও কিসে পড়ে তা জিজ্ঞেস করলো। চিত্রা বিনয়ের সাথে সব বললো। তামিম খাঁন স্ত্রীর দিকে তাকালেন। তানিয়া বেগম হ্যান্ড ব্যাগ থেকে দুটো বক্স বের করেন। একটা বক্স তাসলিমা খাঁন নেয়। বক্স টা খুলে, বক্সে থাকা বালা দুটো নিয়ে চিত্রার সামনে ধরে বলে-
-“ দিদি ভাই হাত টা দাও তো।
চিত্রা হাত বাড়িয়ে দিলো। তাসলিমা খাঁন বালা দুটো চিত্রার হাতে পড়িয়ে দিলো।
-“ বাহ সুন্দর খাপেখাপে লেগেছে বালা দুটো।
তামিম খাঁন আংটির বক্স টা তুষারের হাতে দিয়ে বলে-

-“ পড়িয়ে দাও চিত্রার হাতে।
তুষার আংটি টা নিয়ে চিত্রার হাতে পড়িয়ে দেয়। চিত্রা ভেবেছিল তুষার হয়তো সবার অগোচরে তার প্রশংসা করবে, কিন্তু না চুপচাপ আংটি টা চিত্রার বা হাতের অনামিকা আঙুলে পড়িয়ে দিয়েই হাত ছেড়ে দিছে।
সাহেল আহমেদ চিত্রার হাতে একটা আংটি দিয়ে বলে তুষারের হাতে পড়িয়ে দিতে। চিত্রা আংটি টা হাতে নিয়ে তুষারের দিকে হাত বাড়ায়। তুষার তার হাত টা বাড়িয়ে দেয়। চিত্রা আংটি টা তুষারের হাতে পড়িয়ে দিয়ে ফিসফিস করে বলে-

-“ অর্ধেক নিজের নাম বসিয়ে দিলাম আপনার জীবনে। কয়েক দিন পর পাকাপোক্ত ভাবে বসিয়ে দিব।
তুষার নৈঃশব্দ্যে হাসলো। তরিকুল খাঁন তুষার আর চিত্রা কে একান্তে কথা বলার জন্য বলল। চিত্রা এটারই অপেক্ষায় ছিলো। তরিকুল খাঁন বলা মাত্রই চিত্রা তুষারের দিকে তাকায়। তুষার বসা থেকে উঠতেই নিজেও বসা থেকে উঠে। সাহেল আহমেদ মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলে-

-“ ছাঁদে চলে যা।
চিত্রা আর তুষার ছাঁদে চলে আসে। ছাঁদে আসতেই চিত্রা কোমরে হাত গুঁজে বলে-
-“ এই তাকান আমার দিকে।
তুষার চিত্রার দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ হুমম তাকালাম।
-“ কমপ্লিমেন্ট কই?

-“ উমমম আপনাকে নিয়ে কমপ্লিমেন্ট করার জন্য আমার ডিকশনারি তে কোনো ওয়ার্ড খুঁজে পাচ্ছি না, এটা কি আমার দোষ বলুন?
-“ মোটেও আপনার দোষ না আমারই দোষ,আপনার কাছে কমপ্লিমেন্ট আশা করা।
-“ আপনাকে এক বাক্যে বলি ❝ পূর্ণতা ❞
চিত্রা ভ্রু কুঁচকালো।

-“ এতো নাম থাকতে পূর্ণতা কেনো?
-“ কারণ আমার অপূর্ণতা গুলো আপনি পূর্ণতা করে নিয়ে আসছেন আমার জীবনে।
-“ মানে?
-“ বুঝবেন না। সময় হোক বুঝে যাবেন।
-“ ব্রো হলো কথা বলা?
রাফি ছাঁদে উঠতে উঠতে কথাটা বলে। চিত্রা রাফির দিকে তাকিয়ে তুষার কে ফিসফিস করে বলে-

-“ এই ছেলেটা আপনার কি হয়?
-“ আমার কাজিন। সামির চাচার ছেলে।
-“ আপনার বাবা রা কয় ভাই বোন?
-“ দুই ভাই এক বোন। ফুপি মা-রা গেছে অনেক আগেই। অধরা কে দেখেছেন না? ও ফুপির মেয়ে।
-“ তৃষ্ণা কাকে ভালোবাসে?
-“ রাফিকে।

রাফি এগিয়ে আসছিলো চিত্রা দের দিকে। চিত্রা তুষারের কথাটা শুনে রাফির দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ এই আপনি এতো পঁচা কেনো?
রাফি চিত্রার কথা শুনে হতবিহ্বল হয়।

-“ কি করছি আমি ভাবি?
-“ কি করেন নি মানে কি? আপনাকে দেখে তো ভালোই মনে হয়,কিন্তু আপনি এতো বডের হাড্ডি কেনো?
-“ আমি বদের হাড্ডি? আমি কি আপনাদের রোমান্টিক মোমেন্টে এসে পড়েছি বিধায় এসব ট্যাগ দিচ্ছেন?
-“ না। আমাকে কি পাগল মনে হয়।
-“ কিছুটা তেমনই মনে হচ্ছে (বিরবির করে বলে) ভাবি করছি টা কি সেটা বলেন।
-“ আমার ফ্রেন্ড কে কাঁদান কেনো?

-“ আপনার কোন ফ্রেন্ড কে আমি কাঁদিয়েছি?
-“ যে আপনাকে ভালোবাসে। আর আপনি কি না তার ভালোবাসা না বুঝে অন্য মেয়ে নিয়ে ঘুরে বেড়ান।
-“ কে আমাকে ভালোবাসে। আর আমি কার ভালোবাসা না বুঝে অন্য মেয়ে নিয়ে ঘুরি।
-“ আমার ননদের।

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পর্ব ১৫

-“ আবার ননদ বলছেন কেনো? আপনার ননদ তো তৃষ্ণা।
কথাটা বলেই রাফি নিশ্চুপ হয়ে যায়।
-“ হ্যাঁ তৃষ্ণাই,তৃষ্ণার কথাই বলছি।

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পর্ব ১৭