আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পর্ব ২৭

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পর্ব ২৭
Raiha Zubair Ripte

সদ্য শাওয়ার নিয়ে ভেজা উদাম বলিষ্ঠ শরীরে টাওয়াল পড়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয় তুষার। ভেজা চুলগুলোর মাঝে হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করে। দৃষ্টি তার বেঘোরে ঘুমানো চিত্রার দিকে। চাদর জড়িয়ে এলোমেলো হয়ে শুয়ে আছে। বিছানার পাশেই পড়ে আছে কাল রাতে পড়নে থাকা বস্ত্র। ঘুমন্ত চিত্রা কে কি নিষ্পাপ শুভ্র পরী লাগছে। শেষ রাতের দিকে ঘুমিয়েছে দু’জনে। আজান কানে আসতেই তুষার বিছানা থেকে উঠে পড়েছিল। চিত্রার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলেছিল ঘুম থেকে উঠে গোসল করে নিতে আজান দিয়েছে৷ নামাজ পড়তে হবে।
চিত্রা তার ব্যাথাযুক্ত শরীর নিয়ে চোখ মুখ কুঁচকে বলেছিল-

-“ আজকের দিন টা বাদ যাক। পুরো শরীর ব্যাথা। নড়তে পারছি না। একটু ঘুমাতে দিন।
তুষার চিত্রার কথা শুনে ভ্রু কুঁচকায়। নিচ পড়ে থাকা শার্ট টা হাতে নিয়ে পড়তে পড়তে বলে-
-“ খুব কি ব্যাথা করছে শরীর?
চিত্রা ঘুমঘুম চোখে মাথা ঝাকায়। তুষার চিত্রার ঘুমন্ত মুখশ্রীর দিকে তাকিয়ে বলে-

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

-“ আমি তো সতর্ক ছিলাম খুব বেশি ওয়াইল্ড হই নি। তবুও কেনো এমন টা হলো? উঠে বসো ফ্রেশ হও পেইন কিলার খেয়ে আবার না হয় ঘুমিয়ো। স্বস্তি পাবে কিছুটা।
চিত্রা চোখ মেলে তাকালো। তুষারের মুখের দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ অসভ্য পুরুষ ওসবের জন্য আমার শরীর ব্যাথা না।
তুষার ক্যাবলরামের চেহারা নিয়ে জিজ্ঞেস করে-

-“ তাহলে কিসের জন্য ব্যাথা?
চিত্রা চাদর দিয়ে মুখ ঢেকে পাশ ফিরে শুতে শুতে বলে-
-“ একে তো সারা রাত জ্বালিয়েছেন। তার উপর যখন শেষ রাতে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলাম তখন আপনি শক্ত করে জাপ্টে জড়িয়ে ধরে ঘুমালেন। যার কারনে আমাকে এক পাশ হয়ে ঘুমাতে হয়েছে এখন শরীর ব্যাথা করছে। কত বার বললাম ছাড়তে শুনেছেন?
তুষার দীর্ঘ শ্বাস ফেলে। মোমে গড়া শরীর,এটুকুতেই এই অবস্থা, সামনে কি করে সামলাবে। অতঃপর তুষার একাই চলে যায় ওয়াশরুমে।

তুষার ওয়ারড্রব থেকে টাওজার আর শার্ট বের করে। শার্ট পড়ার সময় ঘাড়ে হাতে অসংখ্য খামচির দাগ গুলো দেখে মুচকি হাসে। চিত্রার দেওয়া প্রথম ভালোবাসার চিহ্ন।
তুষার ফজরের নামাজ টা রুমেই পড়ে নেয়। চিত্রা ঘুমাচ্ছে দেখে তুষার আর রুমের বাহিরে না গিয়ে সোফায় বসে ল্যাপটপে কিছু কাজ করতে থাকে। কাজের মধ্যে হঠাৎ করে দরজায় টোকা নাড়ে কেউ। তুষার একবার চিত্রার দিকে তাকিয়ে বলে-

-“ কে?
দরজার ওপাশ থেকে ভেসে আসে-
-“ ভাই আমি তৃষ্ণা। দাদি জিজ্ঞেস করছে নতুন বউ কি উঠেছে কি না। তুমি তাড়াতাড়ি চিত্রা কে দাদির কাছে পাঠাও।
-“ তুই যা আমি আর চিত্রা আসতেছি।
ওপাশ থেকে আর কোনো শব্দ আসলো না। তৃষ্ণা চলে গেছে। তুষার কোল থেকে ল্যাপটপ টা সরিয়ে চিত্রার কাছে এগিয়ে মাথায় হাত রেখে আলতো করে বলে-
-“ চিত্রা উঠো,এবার উঠে ফ্রেশ হও দাদি জান ডাকছে তোমায় পাখি।
চিত্রা নড়েচড়ে উঠতেই ব্যাথায় মৃদু শব্দ করে উঠে। তুষার অসহায় চোখে তাকায়।

-“ একটু কষ্ট করে গোসল টা সেরে নাও।
চিত্রা মাথা নেড়ে উঠে বসতেই নিজের অবস্থা বুঝে। চাদর দিয়ে শরীর টা পেঁচিয়ে বলে-
-“ আমার কাপড় ওয়াশরুমে দিয়ে আসুন। আর তারপর চোখে সামনে থেকে যান।
তুষার আলমারির কাছে গিয়ে আলমারি খুলে শাড়ি ব্লাউজ ওয়াশরুমে রেখে এসে বলে-

-“ চোখের সামনে থেকে যাব কেনো?
-“ আমি ওয়াশরুমে যাব।
-“ তো যাও। আচ্ছা ব্যাথার জন্য কি উঠে দাঁড়াতে পারবে না? কোলে করে নিয়ে দিয়ে আসবো?
চিত্রা রাগী চোখে তাকালো তুষারের দিকে। তুষার ইনোসেন্ট ফেস নিয়ে বলে-
-“ ওভাবে তাকাচ্ছো কেনো?

-“ আপনি বেলকনিতে যান। দেখছেন তো আমার কি অবস্থা। অস্বস্তি লাগছে।
তুষার চিত্রার দিকে ঝুকলো। কানের ললিতে অধর ছুঁয়ে বলল-
-“ রাতেই না সকল অস্বস্তি কাটিয়ে দিলাম। এখনও কেনো অস্বস্তি হচ্ছে আমার সামনে?
চিত্রা বিরবির করে উচ্চারণ করলো-অসভ্য।
তুষার উচ্চস্বরে হেঁসে উঠলো। বেলকনিতে যেতে যেতে বলে-
-“ তাড়াতাড়ি গোসল সেরে বের হও।

তুষার যেতেই চিত্রা চাদর জড়িয়ে বসা থেকে উঠে ওয়াশরুমে চলে যায়। গোসল করে শাড়ি পড়ে মাথায় টাওয়াল জড়িয়ে বের হয়। সামনে তাকাতেই দেখে তুষার খাবারের প্লেট বিছানার উপর রাখছে। চিত্রা কে দেখে তুষার মুচকি হাসে।

-“ খাবার টা খেয়ে পেইন কিলার টা খেয়ে নাও আরাম পাবে। বাহিরে বের হওয়ার পর আহ উহ করলে লজ্জায় পড়বে।
চিত্রা টাওয়াল টা দিয়ে ভেজা চুল গুলে মুছে সেটা বেলকনিতে শুকাতে দিয়ে তুষারের পাশে দাঁড়ায়। প্লেটে রাখা আছে স্যান্ডউইচ। তার পাশেই মেডিসিন আর গ্লাস ভর্তি পানি।
-“ আপনি খেয়েছেন?
তুষার ঘাড় কাত করে তাকায়।
-“ না খাই নি। তুমি খেয়ে নাও চটপট।
চিত্রা বিছানা থেকে বালিশ নিয়ে সেটা খাটের সাথে ঠেকিয়ে তার উপর ভর দিয়ে বসে। একটা স্যান্ডউইচ হাতে নিয়ে বলে-

-“ বসুন এখানে।
তুষার বসে। চিত্রা স্যান্ডউইচ টা তুষারের মুখের সামনে ধরে বলে-
-“ হা করুন।
তুষার স্বাভাবিক চোখে তাকায়। স্যান্ডউইচ টা কেঁড়ে নিয়ে বলে-
-“ আমি হা করলে কি তোমার পেটে চলে যাবে খাবার টা? আগে তুমি খাও।
কথাটা বলে তুষার চিত্রার মুখের সামনে ধরে। চিত্রা এক কামড় বসায় স্যান্ডউইচে। স্যান্ডউইচ টা খেতে খেতে বলে-
-“ এবার আপনি খান।

তুষার চিত্রার কামড় দেওয়া স্যান্ডউইচ টা খায়। খাওয়া শেষে তুষার পেইন কিলার টা চিত্রার হাতে দিয়ে পানির গ্লাস এগিয়ে দেয়।
চিত্রা মেডিসিন টা খেয়ে নেয়। তুষার এঁটো প্লেট টা টি-টেবিলের উপর রেখে বলে-
-“ শাড়িটা ঠিক করে মাথায় ঘোমটা দাও।
চিত্রা শাড়িরর কুঁচি গুলো ঠিক করে মাথায় ঘোমটা দিয়ে তুষারের পেছন পেছন বের হয় রুম থেকে। তাসলিমা খাঁনের রুমের সামনে এসে তুষার দরজায় কড়া নেড়ে বলে-

-“ দাদিজান আছেন?
তাসলিমা খাঁন হ্যাঁ বলে। তুষার চিত্রার হাত ধরে রুমের ভেতর ঢুকেন। তাসলিমা খাঁন ইশারায় চিত্রা কে তার পাশে বসতে বলে। চিত্রা গিয়ে তার পাশে বসে। তাসলিমা খাঁন তার পাশ থেকে একটা প্যাকেট নিয়ে চিত্রার হাতে দেয়।
চিত্রা জিজ্ঞাসুক দৃষ্টি নিয়ে বলে-

-“ কি এটা দাদিজান?
তাসলিমা খাঁন মুচকি হেঁসে বলে-
-“ খুলে দেখো নাতবউ।
চিত্রা প্যাকেট টা খুলেন। একটা জায়নামাজ, তসবিহ পাঠ করার জন্য একটা তসবিহ আর আতর।
-“ হজ্জ থেকে ফেরার সময় সবার জন্য এনেছিলাম। সবাইকে সাথে সাথেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এটা তুষারের বউয়ের জন্য এনেছিলাম। তুষারের বউ তো তুমি,তাই তোমার প্রাপ্য তোমায় দিলাম। আর একটা কোরআন শরিফ আছে। কোনো একসময় ওজু করে ওটা নিয়ে যেয়ো।

চিত্রা মাথা নাড়িয়ে আচ্ছা জানায়। টুকটাক কথা বার্তা বলে তাসলিমা খাঁনের রুম থেকে বের হয় তুষার চিত্রা। রুম থেকে বের হয়ে তুষারের সাথে কথা বলার সময় আকস্মিক মাথার ঘোমটা টা পড়ে যায়। খুলে ছেড়ে রাখা ভেজা কোমড় অব্দি চুল গুলো উন্মুক্ত হয়৷ অধরা চশমা টা ঠিক করতে করতে এগিয়ে আসছিলো। সামনে তাকাতেই তুষার আর চিত্রা কে দেখে দাঁড়িয়ে যায়। চোখ গিয়ে পড়ে চিত্রার ভেজা চুলের উপর। সাথে সাথে দৃষ্টি সরিয়ে নেয়।এই ভেজা চুলের মানে অধরা খুব ভালো করেই জানে।
চিত্রা অধরা কে দেখে হাতে থাকা প্যাকেট টা তুষারের হাতে ধরিয়ে দিয়ে অধরার কাছে এগিয়ে যায়। অধরা চিত্রার দিকে তাকিয়ে স্মিত হেঁসে বলে-

-“ চলো মামি ডাকছে।
চিত্রা ঘুরে তুষারের দিকে তাকায়। তুষার ইশারায় যেতে বলে। চিত্রা অধরার পেছন পেছন নিচে যায়।
ড্রয়িং রুমের সোফায় তানিয়া বেগম সহ পাড়ার চার পাঁচ জন মহিলা বসে আছেন। তারা এসেছে নতুন বউ দেখতে। অধরা ফিসফিস করে চিত্রা কে বলে মাথায় কাপড় দিতে। চিত্রার খেয়ালই ছিলো না মাথার কাপড় যে পড়ে গেছে।
আঁচল উঠিয়ে মাথায় ঘোমটা দিলে অধরা চিত্রা কে নিয়ে তানিয়া বেগমের পাশে বসায়। চিত্রা সবাই কে সালাম দেয়। তানিয়া বেগম চিত্রা কে দেখে মুচকি হাসেন। পড়ার মহিলা গুলোর দিকে তাকিয়ে বলে-

-“ এই যে আমার তুষারের বউ।
মহিলা গুলো চিত্রার মুখশ্রীর দিকে তাকায়৷ তাদের মধ্যে একজন বলে উঠে –
-“ মাশা-আল্লাহ দেখতে শুনতে ভালোই। শুনছি আপা মাইয়ার বাপ চেয়ারম্যান?
তানিয়া বেগম হ্যাঁ বলে। টুকটাক অনেক কথাই চলতে লাগলো,চিত্রা কে এটা ওটা জিজ্ঞেস করতে লগো। এতে চিত্রার ভীষণ আনইজি লাগা শুরু করলো। অধরা চিত্রার দিকে তাকিয়ে চিত্রার মনের ভাষা হয়তো বুঝলো। তাই তানিয়া বেগম কে বললো-

-“ মামি চিত্রা কে নিয়ে যাই? একটু পর তো পার্লারের লোক আসবে সাজাতে।
তানিয়া বেগম অনুমতি দেয়। অধরা চিত্রার দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ চলো চিত্রা উপরে।
চিত্রা যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচলো। বসা থেকে উঠে অধরার পায়ের সাথে পা মিলিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বলে-
-“ উফ অধরা আপু তুমি আমাকে ওখান থেকে নিয়ে এসে কি যে উপকার করলে। ভীষণ আনইজি লাগছিলো।
-“ প্রথম প্রথম তো তাই এমন লাগছে। কয়েকদিন গেলে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।
দুপুরের দিকে,,,

ডার্ক ব্লু কালারের শাড়িতে স্টেজে বসে আছে চিত্রা। পাশেই ব্লু কালারে স্যুট পড়ে বসে আছে তুষার। চিত্রা দের বাসা থেকে সাহেল আহমেদ, রিয়াদ,সিমি,নুপুর আর চিত্রার মামা এসেছে।
সাহেল আহমেদ কে দেখে চিত্রা আপ্লূত হয়ে জড়িয়ে ধরেছিল। প্রায় কত গুলো দিন কতগুলো মাস কতগুলো বছর পর মেয়ে তার কাল আসার সময় আর আজ জড়িয়ে ধরেছে। সাহেল আহমেদ মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে আদর করে। রিয়াদ জলন্ত উনুনের চোখে তুষার আর চিত্রা কে দেখে চলছে। কেমন যেনো খারাপ লাগছে। সিমি রিয়াদের জলন্ত চোখে আরো একটু ঘি ঢালার জন্য তার ফোন টা রিয়াদের হাতে দিয়ে বলে-

-“ চিত্রা আর ভাইয়ার সাথে আমার পিক তুলে দাও তো।
রিয়াদ অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে তাকায়। সিমি বেক্কলের মতো হেসে রিয়াদ কে টেনে নিয়ে যায়। চিত্রার পাশে দাঁড়িয়ে পোস নেয় সাথে চিত্রা কেও নিতে বলে। চিত্রা তুষারের বা হাত জড়িয়ে ধরে। তুষার বিষয় টাকে আরো একটু রোমাঞ্চকর করার জন্য চিত্রার কোমরে হাত রাখে পেছন থেকে। রিয়াদ থমকে গেলো। চিত্রার দিকে তাকালো। চিত্রার মুখে লেপ্টে আছে বিশ্বজয়ী হাসি। পরপর তিনটে ছবি তুলে সিমির ফোন নিয়েই চলে যায়। সিমি হেঁসে ফেলে। চিত্রার দিকে তাকিয়ে বলে-

-“ জামাই আমার রেগে গেলো গো আপু।
চিত্রা হাসতে হাসতে গিয়ে বলে-
-“ যা খোকার রাগ ভাঙা গিয়ে।
সিমি চলে যায়।

তৃষ্ণা পিংক কালারের গ্রাউন পড়েছে। পিঠ অব্দি থাকা ছোট চুল গুলো বা পাশে সিঁথি করে খুলে রেখেছে। রাফি ব্লাক স্যুট পড়েছে। তৃষ্ণা ভাই ভাবির সাথে ছবি তুলতে ব্যাস্ত। রাফি আড়চোখে বারবার তৃষ্ণা কে দেখলো। একদম বার্বি ডলের মতো লাগছে। ইচ্ছে করছে টুক করে ধরে নিয়ে সামনে বসিয়ে রাখতে। তৃষ্ণা আড়চোখে রাফির দিকে তাকালো।

আজ সারাটাদিন লোকটার দেখা পায় নি আর এখন যখন পেলো তখন বাপ চাচার সাথে সাথে ঘুরছে।
তপ্ত শ্বাস ফেললো তৃষ্ণা। ওয়েটার কে ডেকে একটা অরেঞ্জ জুশ নেয়। জুশ টা নিয়ে স্টেজ থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে একাকী দাঁড়ায়। হুট করে কোমরে কারে হাতের স্পর্শ পেলো। ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো। কাঙ্ক্ষিত চেনা মুখ দেখে চাহনি আগের তুলনায় নিষ্প্রভ হলো। মানুষটাকে জ্বালানোর জন্য বলল-

-“ আশেপাশে মেয়েগুলো কে দেখা শেষ?
রাফি ভ্রু কুঁচকালো।
-“ তোমাকে দেখেই কূল পাই না ওদের আর দেখবো কখন?
-“ ঐ যে দেখুন বেগুনি রঙের শাড়ি পড়া মেয়ে টা কি জোশ দেখতে।
রাফি তাকালো না। দৃষ্টি তৃষ্ণার দিকে রেখেই বলে-

-“ হ্যাঁ অনেক জুশ্শি দেখতে। ইচ্ছে করে টুপ করে খেয়ে ফেলি।
চকিতে তৃষ্ণা ঘাড় ঘুরায়। শান্ত চোখে তাকিয়ে চলে যায়।
রাফি হাই তুলতে তুলতে তুষার দের কাছে যায় পিক তুলতে।

অধরা গোল্ডেন কালারের সেলোয়ার-কামিজ পড়েছে। চুল গুলো মেলে দিয়েছে। চোখে চশমা,চোখে হালকা কাজল আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক। ব্যাস এতেই অধরা কে অসাধারণ লাগছে। রাতুল অধরার পাশেই দাঁড়ানো। অধরা একবার রাতুলের দিকে তাকায়। হুট করে বলে বসে-

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পর্ব ২৬

-“ আজ কি যাবেন জাবির ময়দানে থাকা ছোট্ট সেই টঙের দোকান টায়? ধোঁয়া উঠানো গরম চায়ে নতুন আমিটাকে খুঁজে পেতে। যত্নসহকারে আঁকড়ে ধরবো নতুন আমি টার খোঁজ পেলে।

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ সিজন ২ পর্ব ২৮