আসক্তি শেষ পর্ব 

আসক্তি শেষ পর্ব 
লেখায়ঃআফিয়া আজাদ নিঝুম

সুখের সময় গুলো খুব দ্রুতই কেটে যায়;চোখের পলকেই।জীবনের এই সুবিশাল পথ অতিক্রম করতে প্রত্যেকটা মানুষেরই একজোড়া বিশ্বস্ত, ভালোবাসাময়, বন্ধুত্বপূর্ণ হাত চাই।সম্পর্কে জড়িত মানুষদুটোর মনের মেলবন্ধন গাঢ় হওয়া চাই।সেখানে সৌন্দর্যের স্থান নাই’ই বা থাকলো সময়ে- অসময়ে,কারণে-অকারণে ভালোবাসার প্রগাঢ় স্তর থাকা চাই।

শান-পাখিও জীবনের হাজারটা বন্ধুর পথ অতিক্রম করে আজ তারা সুখী দম্পতির তকমা পেয়ে গেছে।
দেখতে দেখতেই মেয়ে জন্মানোর আজ পঁয়তাল্লিশ দিন হলো।সকালে উঠেই ফোন চেইক করে দেখলো শান।তারিখটা চোখে পড়তেই ঘুমে ঢুলু ঢুলু আধখোলা চোখদুটো বড়সড় হয়ে যায়।পাখি তখনো বেঘোরে ঘুমাচ্ছে।সারারাত বাবুকে বার বার খাওয়ানো, ডায়পার চেইঞ্জ করে দেয়া এসবের মাঝে একটা মায়ের রাতের ঘুম যে উবে যায় তা আর কারোরই অজানা নয়।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

ডানহাতের কনুই বালিশে ঠেকিয়ে হাতের পিঠে মাথা রেখে পাখির দিকে অপলক তাকিয়ে সেসবই ভাবছে শান।
একটু ঝুঁকে পাখির গালে গাঢ় চুমু এঁকে দেয়।ঘুমের মাঝেই মুচকি হেসে ওঠে পাখি।শান উঠে আসতেই পাখির হাসির দিকে তাকিয়ে ভ্রকুচকে ফেলে।ঠোঁট টিপে হেসে আবারও গালে চুমু দেয়।পাখি সামান্য নড়েচড়ে ওঠে। শান নিঃশব্দে হেসে ঠোঁট জোড়া পাখির গালের উপর ঠেকিয়ে অজস্র চুমু খায়।
পাখি বিরক্ত হয়ে চোখ না খুলে ন্যাকাস্বরে বলে,”ছাড়ো না। সারারাত বাচ্চা জ্বালাইছে, সকাল হতে না হতেই বাচ্চার বাপ টা জ্বালাচ্ছে।আমি থাকবোই না এ বাড়িতে।কি শুরু করলে বলতো?”

“উঠো”-
“এখন না। ঘুমাতে দাও”
শান আবারও দুষ্টুমি করে পাখিকে কাতুকুতু দেয়া শুরু করে।পাখি চট করে চোখ খুলে অনুরোধের সুরে বলে,”বিশ্বাস করো আমার মাথা ঘুরতেছে।একটু ঘুমাই প্লিজ”
ফোনের রিংটোনে শান সেদিকে তাকায়।ফোন হাতে নিয়ে অবাক হয়।
” এমডি স্যার!তাও এতো সকালে!-ভাবতেই চোখ কপালে উঠে যায় শানের।
তড়িঘড়ি করে কল রিসিভ করে।
“জ্বি স্যার, নিশ্চই।আ’ম কামিং”-বলেই কল কেটে দেয় শান।
দ্রুত উঠে ব্যাগ প্যাক করা শুরু করে।শাওয়ার নিয়েই দ্রুত পাখিকে ডাকে।দু তিনবার ডাকলেও পাখির ওঠার নামগন্ধ পায় না।পরে না বলেই চলে যেতে হয়।যাওয়ার আগে ঘমন্ত মেয়েকে সাবধানে কোলে তুলে নেয়।আদোরে ভরিয়ে দেয় মেয়েকে।এরপর পাখির কপালে আলতো চুমু দিয়ে দরজা ভিড়িয়ে চলে যায়।
যাওয়ার সময় শর্মিলা বেগম কে সবটা বলে রওনা দেয় শান।

পাখির ঘুম ভাঙ্গে মেয়ের কান্নাজড়িত গলার তীব্র আওয়াজে।দ্রুত উঠে আসে মেয়ের কাছে।মেয়েকে খাওয়াতে গিয়ে কাবার্ডে খেয়াল হয়। দরজা টা খোলা।ভ্রুকুচকে যায় পাখির।এগিয়ে গিয়ে বুঝতে পারে কাবার্ডের কাপড় চোপড় সব এলোমেলো।শানের কয়েকটা ড্রেস নেই সাথে ট্রাভেল ব্যাগটাও নেই।পাখির বুঝতে অসুবিধা হয় না যে শান নেই।
আনমনে ভাবতে থাকে, “হঠাৎ কোথায় গেলো মানুষটা!একটু ডাকলোও না”

পরোক্ষনে কেন যেন মনটা ভীষণই খারাপ হয়ে গেলো।
সারাদিন মেয়ের সাথে কাটানো সময় গুলোর মাঝেও বার বার শানের কথা মনে আসছে পাখির।কেমন যেন শূন্যতায় বুকটা ডুকরে উঠছে।বিকেলে মেয়েকে খাইয়ে ঘুম পারিয়ে নিচে চলে যায় পাখি।
“মা, আপনার ছেলে কোথায়?”
“সে কি! তোমার ঘরেই থাকে আমার ছেলে”-বলেই ঠোঁট টিপে মুচকি হাসে শর্মিলা।
পাখি কাচুমাচু করে দাঁড়িয়ে থাকে।
“না মানে, সকালে একবার ডাকলো আমি উঠতে পারি নি ঘুমের ঘোরে।পরে….. ”

“বউ মা, স্বামীর প্রতি একটু নজর দাও বুঝলে!বিনা যত্নে অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে যায় আর সেখানে তো সম্পর্কের মতো নাজুক জিনিস! ”
শ্বাশুরির কথায় পাখির মুখে ঘোর আঁধার নেমে আসে।
“মা কি বোঝাতে চাইলো?আর উনিই বা কোথায় চলে গেলো।ফোনটাও সুইচ অফ বলছে!”
“বউ মা,বউ মা”-শ্বাশুরির ডাকে সম্বিৎ ফেরে পাখির।
“ময়না কাঁদছে তো”
পাখি সিঁড়ি বেয়ে আবার উপরে চলে যায়।
আবার ফোন করে শান কে।পূনারায় ফোনটা বন্ধ আসে।

দিন গড়িয়ে রাত হয়ে যায়। বুকের ভেতরের ধড়ফড়ানি যেন বেড়ে যায় পাখির।হাপড়ের মতো উঠানামা করছে বুকের ছাতি।কিছু বুঝতে পারছে না শান কোথায়!
কারোর মাঝে কোন প্রতিক্রিয়া নেই শানের অবর্তমানে।যে যার যার মতো নিজেদের কাজে ব্যস্ত।
রাতে মেয়েকে ঘুমিয়ে ফোনের স্ক্রীনে শানের ছবি দেখে চোখ ভরে আসে পাখির।
“কোথায় গেলে আমাদের রেখে?একবারও কি মনে পড়ছে না?”

অভিমানী সুরে বলে,”আমার কথা না হয় ভুলে গেলে মেয়েকে!মেয়ের কথাও ভুলে গেলে!হুহহ।মেয়েকে নাকি চোখে হারায়।চেম্বারে বসে চৌদ্দবার ভিডিও কল দেয় আর আজ!আজ সারাদিন পার হলো একটা খবরও নাই!”
পাখি চোখের পানি মুছে নিজেকে শ্বান্তনা দেয়,”হয়ত রাতে আসবে।”
ফোনের টোন ফুল সাউন্ডে মাথার পাশে রেখে ঘুমিয়ে পরে।

নতুন আরেকটা সকাল।চোখ বন্ধ রেখেই পাশে হাতরিয়ে দেখে শান আসে নি।বন্ধ চোখের কোণ বেয়ে নোনা জল গড়িয়ে গাল ভিজে যায়।
“না বলে, এভাবে আমায় রেখে কোথায় গেলে?আমি যে তোমায় ছেড়ে থাকতেই পারছি না ”
ভাবনার সুতো ছেড়ে মেয়ের কান্নার আওয়াজে।দ্রুত উঠে গিয়ে মেয়েকে কোলে নেয়।মূহূর্তেই মেয়ের কান্না গায়েব হয়ে যায়।মেয়েকে দেখছে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে।চোখ, নাক, মুখ, ভ্রু জোড়া সবই হয়েছে বাবার মতো।মেয়ের হাত দুটোয় চুমু এঁকে পাখি ভাবতে থাকে,”হাত জোড়াও বাবার মতো পেয়েছিস”
সেদিনও সারাটা দিন শানের কোন খবর পায় নি পাখি।কেউই জানে না শান কোথায়।শেষে বিরক্ত হয়ে মেয়েকে শ্বাশুরির কোলে দিয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলে,”মা আজ দুদিন হলো আপনার ছেলের কোন খবর নাই,আপনি এতো চিন্তামুক্ত কেমনে মা!”

“আরে বউ মা, হয়ত কোন কাজে আটকে গেছে”
“ফোন বন্ধ কেন তবে?”
“ব্যস্ত হয়ত। তাই ফোন বন্ধ রেখেছে।তাই না বুবু”-নাতনিকে আদর করতে করতে বলে শর্মিলা বেগম।
মনযুৎ কোন উত্তর না পেয়ে পাখি নিজের রুমে চলে যায়।বালিশে মুখ ঠেকিয়ে শব্দ করে কেঁদে ফেলে। শানের অনুপস্থিতি তার মোটেই সহ্য হচ্ছে না।চোখ জোড়া যেন কতোকাল ধরে শানকে দেখতে পায় না।
শানের দূঃচিন্তায় গলা দিয়ে খাবার নামে না পাখির।অভিমানগুলো এবার সত্যিই দূঃচিন্তায় রূপ নিলো।
“মানুষটা ঠিক আছে তো!”-ভাবতেই বুকের ভেতর টা কেঁপে ওঠে পাখির।
“তাকে ছাড়া আমি বাঁচব কি করে?”

শানকে ছাড়া চারপাশ যেন অন্ধকার হয়ে আসছে পাখির।ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া না করায় মেয়েটাও খেতে পারছে না। সারাক্ষন কান্না করছে শুধু।দুদিনের দূঃচিন্তায় চোখ মুখ শুকিয়ে গেছে পাখির।
সন্ধ্যায় মেয়ের দিকে তাকিয়ে বুক ফেটে আসে পাখির । দ্রুতই খাবার নিয়ে বসে পরে।অনিচ্ছাতেও পেটে পুরে দেয় সব খাবার। এদিকে চোখ দিয়ে জল গড়াচ্ছে অনবরত।

রাতে কাঁদতে কাঁদতেই একটু চোখ লেগে আসে পাখির।ঘাড়ের উপর কারো উষ্ণ নিঃশ্বাসের আছড় পরতেই নড়েচড়ে ওঠে পাখি।দুটো হাত পেটের উপর শক্ত করে চিপে ধরে তাকে।সামান্য একটু নড়তেই হাত দুটো আরো শক্ত হয়ে যায়।মাথাটা পিছনে সামান্য ঘুরাতেই শানের ঠোঁটের সাথে গালের স্পর্শ হতেই পাখি থমকে যায়।কারণ এ স্পর্শ নতুন নয়,অচেনাও নয়।গত দেড় বছরে বেশ ভালোভাবেই চিনে ফেলেছে সে স্পর্শকে।
চট করে উঠে বসে পাখি।ড্রিম লাইটের আলোয় শানকে চোখে পরতেই বুকের উপর ঝাঁপিয়ে পরে। কলার দুহাতে চেপে ধরে সামনে ঝুঁকে বলে,”কই গেছিলা তুমি? একবারও বলে যাও নি কেন?আমাদের মা মেয়েকে একা রেখে যেতে বাঁধলো না তোমার?তুমি একটা,তুমি একটা বাজে লোক, বজ্জাতের হাড্ডি”

শান মাথাটা বালিশে রেখে পাখির হাত দুটো ধরে বলে,”আমার সামান্য এবসেন্সে এতো পাগল হয়ে গেছিলে। তাহলে ভাবো তোমার এবসেন্সে, তোমার অপমানে আমি কতোটা হার্ট হয়েছিলাম!আর আমি তো ইচ্ছে করেও দূরে থাকি নি।থাকতে বাধ্য হয়েছি।আর তুমি তো ইচ্ছে করেই….”

শক্ত করে ধরে রাখা কলারটা হালকা হয়ে আসে তৎক্ষণাৎ। মুখে আর টু শব্দটি করতে পারে না পাখি।না চাইতেও আবারও কেঁদে ফেলে শানের কথায়।শান বুঝতে পারে পাখির অনুতপ্তের নীরব ভাষা।পাখির গলায় হাত ডুবিয়ে দেয়।পাখি সেদিকে আড়চোখে দেখে শানের হাতের তালুতে চুমু দিয়ে বলে,”আমি আর কক্ষনো, কোনদিন তোমায় ভুল বুঝব না;আর না যাবো তোমায় ছেড়ে”

শান মুচকি হেসে পাখির মাথাটা নামিয়ে আনতে আনতে বলে,”তিনদিনের মান্থলি ট্রেইনিং ছিলো; ইন্ডিয়ায়।বিডি সিম সেখানে এলাউ না জানোই তো।তাই ফোন বন্ধ ছিলো।আর আমিও একটু ইচ্ছে করেই ফোন দেই নি,সরি।তোমাদের ছেড়ে থাকা পসিবল না বলে দুইদিনেই চলে এলাম।
“অনেক কষ্ট পেয়েছি। সাথে তোমার মেয়েও কষ্ট পাইছে”-শানের বুকে মাথা রাখতে রাখতে বলে পাখি।
শান রাগি মুখে চট করে বলে,”মানে?তুমি আমার রাগ ওর উপর ঝাড়ছো?”

“সেরকম টা না”
এরপর শানকে ছাড়া কাটানো প্রত্যেকটা মূহূর্তের পূ্ঙ্খানুপূঙ্খ কষ্টের কথা বর্ণনা দেয় পাখি।শান দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে,”আমায় অকারন কষ্ট দিও না কখনো।একেবারেই চলে যাবো সব ছেড়ে।”
পাখি সাথে সাথেই শানের গালে হালকা কামড়ে দেয়।গলায় জোড়ে কামড়ে দিয়ে বলে,”মেরে ফেলব একদম”

“এরকম ভাবে মারতে চাইলে আমি প্রতি মূহুর্তে মরতে রাজি”-বলেই ঠোঁট এগিয়ে দেয় পাখির দিকে।
“আস্তে কথা বলো না…তোমার মেয়ে এবার জাগলে কিন্তু তোমারেই খাওয়াইতে দিবো মাথায় রাখিও। বলব তোর বাবার খা”
চাপা রাগ দেখিয়ে বলে পাখি।
পাখির কথায় শান হেসে ফেলে জোড়ে।ওদের দুজনের কথার শব্দে জেগে যায় রাজকন্যা।নড়েচড়ে আবার ঘুমিয়ে পরে।শান উঠে গিয়ে মেয়ের দুপায়ের তলায় চুমু এঁকে দিয়ে কপালে ঠোঁট ছুঁয়ে বলে,”মায়ের মতো ঝগড়াটে হইও না। বাবার মতো শান্ত হবা, কেমন!”
“কিইই,আমি ঝগড়াটে”-তেড়ে আসতেই পাখির কোমড় জড়িয়ে ঠোঁটে ভালোবাসার গাঢ় পরশ এঁকে দেয়।

“মেয়ের সাথে সারাদিন খেললেই হবে!মেডিকেল নাই আজ?”-ওয়াশরুম থেকে শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে কথাটা বলে পাখি।কথা শেষ হতে না হতেই কেঁদে ফেলে ইনায়াহ(সফল/বিজয়ী)
শান নিঃশব্দ হেসে মেয়েকে আদোর করতে করতে পাখিকে বলে,”তোমার পিছনে কম সময়, কম ধৈর্য,কম পরিশ্রম করি নি। তারই ফল আমার ইনায়াহ।ওকে তো সময় দিতেই হবে তাই না!”

পাখি টাওয়াল টা পাশে রেখে মুচকি হেসে শানের কাঁধে হাত রাখে।শান পিছন ফিরে পাখির মুখোমুখি দাঁড়ায়।
পা উঁচিয়ে পাখি শানের দুচোখের উপর গভীর চুমু এঁকে দেয়।শান গলা ছেড়ে গায়,

Chhoo liya tune labh se aankhon ko
Mannatein poori tumse hi
Tu mile jahaan mera jahaan hai wahan
Raunakein saari tumse hi
Piya o re piya.. piya re piya re piya

একহাতে মেয়েকে আরেক হাতে পাখিকে জড়িয়ে নেয় শান।
“শত জন্মের স্বপ্ন তুমি আমার জীবনে এলে
কতো সাধনায় এমন ভাগ্য মেলে,কতো সাধনায় এমন ভাগ্য মেলে!”
ভ্রুকুচকে যায় শানের।জানতো না পাখির গলা এতো সুন্দর।অবাক হয়ে বলে,”তুমি গান জানো!”
পাখি মুচকি হেসে শানের চোখে চোখ রেখে বলে,

Dil kho gaya, Ho gaya kisi ka,
Ab raasta mil gaya, Khushi ka..
Aankhon mein hai khwab sa, Kisi ka..
Ab raasta mil gaya, Khushi ka..
Rishta naya rabba, Dil chu raha hai,
Kheeche mujhe koi dore, teri ore..
Teri ore, teri ore, teri ore, hai rabba
Teri ore, teri ore, teri ore……..

আসক্তি পর্ব ৪৬

শান অবাকের চরম সীমায় পৌঁছে জিজ্ঞেসা করে, “হিন্দি গানও জানো!”
হাস্যোজ্বল মুখে পাখি জবাব দেয়,”একটু আকটু”
“এতোদিন গাও নি কেন?”
শানের বুকে চুমু এঁকে বলে, “এতোদিন পূর্ণতায় ভরা এই সুখটা ধরা দেয় নি তাই”

“রুটি দুটা এই মাত্র শেষ করবি নাকি ডান্ডার বাড়ি দিয়ে শেষ করাবো?আচ্ছা দে তোর খাওয়া লাগবে না”-বলতে বলতেই সেলের মহিলা পুলিশ সামিহার সামনে থেকে প্লেট টা টেনে নিতেই সামিহা সেটা আটকে দেয়।তাড়াতাড়ি করে বালি খসখসে মোটা রুটি টা ছিড়ে গপাগপ মুখে গুঁজে দেয় সামিহা।কারণ এটা না খেলে সারাদিনে পেটে আর কিছু যাবে না।

“স্যার ডাক্তার নীরা আবার পাগলামি শুরু করেছে।আজ তান্ডব করছে বেশি বেশি।কিছুতেই থামাতে পারছি না।এসাইলেমের পরিস্থিতি গরম করে ফেলছে।তার দেখাদেখি বাকিরাও উত্তেজিত হয়ে একে অপরকে কামড়ি কামড়ি করছে”
“আর ধুর ….ফোন রাখোতো।ওরে হাইডোজের ইনজেকশন পুশ কইরে অন্ধকার ঘরে ফেলাইয়া রাখো”
“বুঝলে মনির,এই ডাক্তার আফা জীবনডা ত্যানা ত্যানা কইরে দিলো।মনে কয় চাকরিই ছাড়ুম হের লাইগ্গা।কার্ড ছাড়ো তো মিঞা……..”

(লেখাঃ আফিয়া আজাদ নিঝুম ) এই লেখিকার আরও লেখা গল্প পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন এবং এই গল্পের সিজন ২ পড়তে চাইলেও এখানে ক্লিক করুন

3 COMMENTS

Comments are closed.