উষাকালে ঊর্মিমালা অনুগল্প

উষাকালে ঊর্মিমালা অনুগল্প
জিন্নাত চৌধুরী হাবিবা

জানালার বাইরে মুখ বাড়িয়ে বাসের সিটে বসে আছে ঊর্মি। একা একা বসে থাকতে বিরক্তি ধরে যাচ্ছে তার। উষাটা এখনো আসছেনা কেন?
তার আকাশ-পাতাল ভাবনার মাঝে পাশের সিটে ধপ করে কেউ বসে পড়লো। উষা ভেবে তার উপর বিরক্তি ঝাড়তে গিয়েই থমকে গেলো ঊর্মি। সুডৌল দেহের মানব তার পাশের সিটে। একেবারে গা ঘেঁষে সেটে আছে তার সাথে। গৌরবর্ণের চেহারায় চাপদাড়িতে তাকে ভয়*ঙ্কর সুন্দর দেখাচ্ছে।

চোখেমুখে অপার ব্যক্তিত্বের ছাপ। চোখ বন্ধ করে শ্বাস নেয়াটাও কেমন চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য মনে হচ্ছে ঊর্মির কাছে। নিজেকে এই পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যস্ততম মানুষ হিসেবে প্রকাশ করছে মানুষটি। যেন চোখের সামনে ফোন ছাড়া সে কিছুই দেখতে পাচ্ছেনা। ফোন টেপাই তার একমাত্র কাজ, বিশাল বড় দায়িত্ব। লোকটিকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলো ঊর্মি। রাহাত নড়েচড়ে বসলো। তার দ্বিতীয়বার নড়েচড়ে বসায় ধ্যান ভঙ্গ হলো ঊর্মির।
ক্ষীণ সময় পর অস্বস্তি নিয়ে মিইয়ে যাওয়া গলায় বলল,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

-“এটা উষার সিট।”
ঊর্মি উষার তুলনায় অনেকটাই লাজুক আর শান্ত স্বভাবের মেয়ে। কারো সাথে হুটহাট কথার ঝুড়ি খুলে বসা, ঝগড়া বাঁধিয়ে দেওয়া তার স্বভাবে নেই। রাহাতের দৃষ্টি সম্মুখ বরাবর ফোনে আবদ্ধ। যেন পাশের সিটে বসা এই সুন্দরী রমণীকে দেখার বিন্দুমাত্র আগ্রহ তার নেই। ফোনে দৃষ্টি রেখেই রাশভারী গলায় বলল,
-“সিটে তো আপনার বোনের নাম লিখা নেই। যে যেখানে পারছে বসে যাচ্ছে।”
ঊর্মি কথা বাড়াতে চাইলোনা। উষা একটুপর এসে ঠিকই নিজের জায়গা দখল করে নেবে। ধা*ক্কা মে*রে এই লোকটাকে সরিয়ে দিতে তার সময় লাগবেনা।

উষার কলেজ থেকে ট্যুরে যাওয়া হচ্ছে। গার্ডিয়ান হিসেবে বাবা ঊর্মিকে সঙ্গে দিয়েছেন।
ঊর্মির মনে হয় সে গার্ডিয়ান নয়, উষাই তার গার্ডিয়ান। কেননা এই মেয়ে তাকে কেনা-বেচা করার ক্ষমতা রাখে।
রিয়ার সাথে কথা শেষ করে নিজের সিটে বসতে গিয়েই উষা দেখলো তার আগতপ্রায় দুলাভাই সিট দখল করে আছে। উষা অবাক হয়ে বলল,

-“আপনি এখানে কেন? রিয়া আপনার জন্য বসে আছে। তাড়াতাড়ি যান।”
সরু দৃষ্টিতে তাকালো রাহাত। পরক্ষণেই স্বাভাবিক ভাবে দৃষ্টিপাত করলো৷ ঠান্ডা গলায় বলল,
-”তোমাকে আর রিয়াকে একসাথে দেখে ভাবলাম এভাবেই যাওয়ার প্ল্যান করেছো। পাশাপাশি সিটে দুজনে ভ্রমন এনজয় করবে বলে ডিস্টার্ব করিনি।”
তীক্ষ্ণ চোখে তাকালো উষা। ভ্রু নাচিয়ে বলল,
-“আমাদের ডিস্টার্ব করতে ইচ্ছে হয়নি, না-কি কেউ একজনকে ছেড়ে দূরে বসার ইচ্ছে হয়নি, কোনটা?
অতঃপর নিজেকে স্বাভাবিক করে বলল,

-“আপনি নিজের বোনকে গাইড করতে এসেছেন না? তাকে গাইড করুন। আমি আমার বোনকে গাইড করছি।”
ঊর্মির চোখ চড়কগাছ। এই মেয়ে তাকে গাইড করবে? অথচ তার লা*ফা*লা*ফি স্বাভাবের জন্যই বাবা ঊর্মিকে সাথে পাঠিয়েছেন। তার মানসম্মান আর রাখলোনা। তুলোধুনো করে সব বিদায় করে দিয়েছে এই মেয়ে।
রাহাত মুখ টিপে হাসলো।
অ*প*মা*ন নিতে না পেরে উষাকে ধমকে উঠলো ঊর্মি।
-“তুই আমাকে কী গাইড করবি? তোকে গাইড করার জন্যই বাবা আমাকে পাঠিয়েছেন।”
ভীষণ বিরক্ত হলো উষা। খোঁচা দিয়ে বলল,

-“বেশ তো গাইড করছেন আমায়। বেশ ভালোভাবেই দেখলাম।”
রাহাত ফের হাসলো, তবে ক্ষীণ। সিট ছেড়ে উঠতে উঠতেই উষার উদ্দেশ্য বলল,
-“ভালোভাবে গাইড করো তোমার বোকা বোনটাকে। আবার না হারিয়ে যায়।”
ঊর্মি অসহায় বোধ করলো। দুজন মানুষ একত্রে তাকে কিভাবে পঁচিয়ে চলেছে। আপন মায়ের পেটের বোনই তাকে পাত্তা দিচ্ছে না।
উষা পাশে বসতেই ঊর্মি জেরা করলো,

-“এতক্ষণ আমায় একা বসিয়ে কী এত কথা বলছিলি বান্ধবীর সাথে?”
-“আমি না আসলেই ভালো হতো। বেশ তো জমছিল। এখন মনে হচ্ছে আমাকেই বসে বসে তোমায় পাহারা দিতে হবে। নাজানি লুকিয়ে-চুরিয়ে কী কী কান্ড ঘটাও!”
-“বেশি কথা বলিস।”

ঊর্মি জানালায় মুখ ঘুরিয়ে নিলো। তা দেখে উষা শব্দ করে হাসলো।
রাহাত, ঊর্মির পারিবারিকভাবেই বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। সম্পর্ক নিয়ে ঊর্মির মাঝে লজ্জা, সংকোচ দেখা দিলেও রাহাতের ব্যাপারটা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। তার মাঝে আগ্রহ, অনীহা দুটো বিপরীত বিষয়ের একটিকে চিহ্নিত করতে গিয়ে ক্লান্ত হলো ঊর্মি। এখনো বুঝে উঠতে পারলোনা মানুষটিকে।

ঊর্মিকে পিছু ফেলে রিয়ার দিকে এগিয়ে গেলো উষা। পেছনেই রাহাতকে দেখা যাচ্ছে। কিছুটা আওয়াজ করেই চটপটে গলায় বলল,
-“আমার বোনকে আমানত রেখে গেলাম। খেয়াল রাখবেন।”
-“রাহাত নিজের সবকিছুর যত্ন নিতে জানে।”
রাহাতের নির্লিপ্ত জবাবে কান গরম হয়ে এলো ঊর্মির। মিছেমিছি উষাকে ডেকে বলল,
-“আমাকে একা ফেলে কোথায় যাচ্ছিস?”

ফোনে দৃষ্টি রেখে পাশ থেকে ঊর্মির একটি হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে নিলো রাহাত। তড়াক করে উঠলো হৃদয়। হাঁসফাঁস করে উঠলো ভেতরটা। হৃৎপিণ্ডের লাবডাব শব্দ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শরীর মৃদু মৃদু কেঁপে উঠলো। হুট করেই এমন অপ্রত্যাশিত স্পর্শে ভড়কে গেল ঊর্মি। হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতেই রাহাত আরেকটু শক্ত করে চেপে ধরলো। এবার সরাসরি ঊর্মির চোখে চোখ রাখলো। গম্ভীর কন্ঠে কিছু শব্দে বাক্য বুনলো।
-“হাত ছেড়ে দিলে ভীড়ের মাঝে হারিয়ে যাবেন আপনি।”

সামনে লোকসমাগম দেখে আর কথা বাড়ালোনা ঊর্মি। বরং দৃষ্টি নিচু করে নিলো।
সমুদ্রের পানিতে পা ভেজাতেই শিহরণ বয়ে গেল রন্ধ্রে রন্ধ্রে। ভীষণ রকম ভালোলাগা হৃদয় ছুঁয়ে গেল। ঊর্মি মুগ্ধ হলো প্রকৃতির রূপে। তার পাশে দাঁড়ানো মানব মুগ্ধ হয়ে দেখলো স্নিগ্ধ ভোরের মতো মানবী’কে।

কক্সবাজারে গড়ে ওঠা দোকানগুলো ঘুরেফিরে দেখলো দুজন। কিছু শামুকের মালা পছন্দ হলো ঊর্মির। প্রফুল্লচিত্তে সে অল্পস্বল্প কেনাকাটা করলো। উষার মতো তার অত বেশি কেনাকাটার শখ নেই। দুমুঠো চুড়ি, সুন্দর কয়েক জোড়া কানের দুল, শামুকের তৈরি মালা কিনে টাকা দেওয়ার আগেই রাহাত সবটার বিল মিটিয়ে দিল। এ নিয়ে বাকবিতন্ডা করার সুযোগ দিলোনা ঊর্মিকে। হাত ধরে অন্যদিকে পা বাড়ালো।
রাতের বাস ধরেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলো সবাই।

ট্যুর থেকে ফেরার মাস খানেক পরের কথা। বাড়িতে বিয়ে বিয়ে আমেজ। চারদিকে বাচ্চাদের হৈ-হুল্লোড়ে মেতে আছে বাড়ি। লাজুক মেয়েটি চুপটি করে পড়ে আছে নিজের ঘরে। রাজ্যের লজ্জা এসে ভীড় জমেছে তার আশেপাশে।
বিপরীত পাশের মানুষটিকে কবুল করে নেওয়ার মুহূর্তটি ছিলো অত্যন্ত কঠিন কাজ। বারবার চোখজোড়া বাবা-মায়ের মুখে বিচরণ করে চলেছে। চোখজোড়া জলে টইটম্বুর। এই সময়টি মেয়েদের কাছে সবচেয়ে কষ্টের। বাবার অধীন থেকে অচেনা একজনের অধীনে নিজেকে সঁপে দেওয়া চারটে খানি কথা নয়। ফুঁপিয়ে কান্না করে উঠলো ঊর্মি। বাবা এসে পাশে বসলেন। একহাতে আলতোভাবে জড়িয়ে নিয়ে বললেন,

-“কবুল করে নাও, মা।”
আরও একবার সবার দিকে অশ্রুসজল চোখে তাকালো ঊর্মি। অতঃপর রুদ্ধশ্বাসে কবুল করে নিলো রাহাতকে।
রাহাতের ঠোঁটের কোণে প্রশান্তির হাসি। মুরব্বিরা সরে যেতেই ঊর্মির বাঁ হাত নিজ হাতের মুঠোয় নিলো। হুট করেই কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিতেই তব্দা খেয়ে বসলো ঊর্মি। গম্ভীর ধাঁচের মানুষটির হুট করে পরিবর্তন মেনে নিতে তার কষ্ট হলো। চারদিকে সবাই হৈ হৈ করে উঠলো। সবার সামনে লজ্জা পেয়ে রে*গে গেলো ঊর্মি। হাত ছাড়িয়ে নিলো ঝটকা মে*রে।
ঠোঁট প্রসারিত করে হাসলো রাহাত। সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল,

-“এই তোমরা কি কিছু দেখেছো?”
যুবক-যুবতীরা চোখে হাত দিয়ে সমস্বরে বলল,
-“কিছুই দেখিনি।”
-“শুনলে তো, কেউ কিছুই দেখেনি।”
ঊর্মি আরও স্তব্ধ হলো। আপনি থেকে তুমি সম্বোধনে নেমেছে। এই কয়েক মুহুর্তের চরিত্রের সাথে বিয়ের পূর্বের রাহাত চরিত্রটি তুলনা করে দেখলো। কোন মিল খুঁজে পেলোনা। প্রাণবন্ত রূপের আড়ালে হারিয়ে গেল সেই গম্ভীর রূপ।
গাড়িতে বসে নিজের সত্যিকার রূপে ফিরে এলো রাহাত।

চেপে বসলো ঊর্মির নিকট। এক হাত গিয়ে ঠেকলো ঊর্মির পিঠের উপর দিয়ে বাহুতে। বুকের সাথে মিশিয়ে ধরলো। ঊর্মির কান্না থেমে গেল। অস্বস্তি ভরা চোখে সামনে ড্রাইভারকে দেখলো। রাহাত সামনে তাকিয়ে থেকেই বলল,
-“উনি পেছনে তাকাবেন না। নিশ্চিন্তে বুকে মাথা রেখে কান্না করো। এই প্রশস্ত বুক তোমার জন্য সর্বদা উন্মুক্ত।”

বাড়ির সামনে গাড়ি পৌঁছাতেই আরেকটি অবাক করা কান্ড ঘটালো রাহাত। ঊর্মিকে পাঁজা কোল করে তুলে নিলো। চারদিকে আবারও হৈচৈ পড়ে গেলো।
রাহাতের বন্ধু বলে উঠলো,
-“বন্ধু দেখি বেসামাল হয়ে গেলি। বিয়ে হওয়ার পর থেকেই একের পর এক কান্ড ঘটাচ্ছিস।”
ঊর্মি মুখ খুললো এবার। রাহাতকে শক্ত চোখে দেখলো। কঠিন গলায় বলতে গিয়েও গভীর চোখজোড়ার মায়ায় থমকে গেলো। কাঁপাকাঁপা স্বর ভেসে এলো,

-“নামিয়ে দিন আমাকে।”
রাহাত সেদিকে ধ্যান দিলোনা। তার সমস্ত ধ্যান-জ্ঞান আপাতত ঊর্মিকে কোলে তোলার কাজে নিযুক্ত করেছে।
আঁধার ডিঙিয়ে আলো ফোটে উঠলো ধরণীর বুকে। মিষ্টি ভোরে ঘুমঘুম চোখে আদুরে মেয়েটিকে দেখলো। তার মনের ঘরে উঁকি দেওয়া এই মেয়েটির জন্য বেসামাল হতে হতেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করলো রাহাত। ভীষণ পছন্দের এই নরম স্বভাবের মেয়েটির সামনে নিজের কঠোর ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করেছে।

একটুখানি লাগামছাড়া হয়ে ব্যক্তিত্ব ঝরে পড়লে যদি তাকে নিয়ে মেয়েটির মনে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হতো? সেই ভয়টুকু সামলাতে নিজেকে কঠিন করেছে। এখন আর বাঁধা নেই। দূরত্ব ঘুচে গিয়েছে। পবিত্রতায় রূপ নিয়েছে সম্পর্ক। সে ভালোবাসায় ডুবে থাকতে চায়। তুলতুলে নরম মেয়েটির কপালে গাঢ় চুম্বন পড়লো। অনেকক্ষণ হলো তার ঘুম হালকা হয়েছে। কপালে উষ্ণতা অনুভব করতেই চোখের পাতা একটুখানি মেলে ধরলো ঊর্মি। মুখের কাছে ঝুঁকে আসা মানুষটিকে দেখে একমুহূর্তের জন্য লজ্জায় বুঁদ হয়ে গেলো। মুখ লুকালো ওম হয়ে আসা কম্বলের নিচে।
নিটোল ঠোঁটে মৃদু মৃদু হাসলো রাহাত।

বিয়ের পর এটাই তাদের প্রথম ট্যুর। ঠিক ট্যুর নয়, হানিমুন বলা চলে। তবে এটা রাহাতের অফিস থেকে আয়োজিত। প্রতিবছর তাদের অফিস থেকে বেশ আয়োজন করেই ট্যুর দেওয়া হয়। মিঙ্গেলরা পরিবার নিয়েই যায়। গতবছর এইদিনে রাহাত ছিলো একা। এবার তার পাশে স্ত্রী। ভয়ানক ভালোলাগা আজ শরীর, মন দুটোই ছুঁয়ে দিচ্ছে। ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হয়েছে বিধায় অনেকেই এখন ঘুমাচ্ছেন। ঊর্মির ও চোখ লেগে আসছে। চোখের পাতা মেলে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করেও সে ব্যর্থ হচ্ছে। রাহাত আলগোছে ঊর্মির মাথাটা নিজের কাঁধে ঠেকিয়ে বলল,

-“ঘুমাও।”
দ্বিরুক্তি করলোনা ঊর্মি। প্রশান্তির এক লম্বা ঘুম দিলো। পরের দিনটি ছিলো ঊর্মির জন্য আস্ত এক ভালোলাগা। সদ্য আলো ফোটা ভোরে রাহাতের হাত ধরে সূর্যদ্বয় দেখা। কানে পৌঁছাচ্ছে সমুদ্রের গর্জন। একইসাথে দুটো প্রকৃতির রূপ বিমোহিত করলো ঊর্মিকে। পাশ ফিরলেই দেখতে পেতো ভোরের ঊর্মিমালা নয়, সদ্য জেগে ওঠা ব্যক্তিগত ঊর্মিমালায় বুঁদ হয়ে আছে তার একান্ত ব্যক্তিগত মানব।

সমাপ্ত।

(এই অতিরিক্ত অংশটুকু তাদের জন্য, যারা রাহাত আর ঊর্মির পরিণয় চেয়েছিলেন। অনুগল্প আকারে এই পর্বটি ধারাবাহিক গল্পের সমাপ্তি নয়। এই পার্ট পড়লেই অনেকটা তফাৎ বুঝতে পারবেন।
সমাপ্তি আগেই হয়েছে। এটা শুধু অতৃপ্ত পাঠকদের জন্য। আমি আবারও বলছি, এটা অনুগল্প মাত্র।)