উষাকালে ঊর্মিমালা শেষ পর্ব 

উষাকালে ঊর্মিমালা শেষ পর্ব 
জিন্নাত চৌধুরী হাবিবা

দুটো বছরের ব্যবধানে সবটা বদলে গেলো। স্বাভাবিকভাবেই চলছে সবার জীবন।
জীবন কখনো কারো জন্য থেমে থাকেনা। রাহাতের অনুপস্থিতিও সেটা প্রমাণ করে দিলো৷ শামীম অগোচরে তার অনেক খোঁজ করেও পেলোনা। মানুষ হারিয়ে গেলে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু যে ইচ্ছে করে হারিয়ে যায়, তাকে কিভাবে খুঁজে পাওয়া যায়?

রিয়ার সংসার হলো। চার-পাঁচ মাস আগের কথা। লিলিরও একটা গতি হলো। জানালো সে ভালোই আছে নতুন জীবনে নতুন মানুষের সাথে। এ বাড়ির মানুষগুলোর সাথে সে এখনো যোগাযোগ রেখেছে। যে উষার সাথে তার বনাবনি ছিলোনা, সেই উষাই এখন তার আরেকটি বোন। সময় কত কিছু পাল্টে দেয়। উষা এখন পাক্কা সংসারী।
আশিক আর তানজিনার মেয়ে মিথিলা। বড় ফুপিই তার সব। এত ছোট বয়সেও সে ঊর্মি বলতে পাগল। হবেনাই বা কেন? জন্মের পর থেকে তো ফুফিকেই কাছে দেখেছে। তার কাছে থাকছে, খাচ্ছে, কোলে চড়ছে, আদর নিচ্ছে।
প্রথম সন্তান হারিয়ে ঊর্মিও মেয়েটাকে একেবারে ভেতর থেকে ভালোবেসে ফেলেছে। যেন মিথিলা তার ভাইয়ের মেয়ে নয়, নিজের মেয়ে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

তানজিনা মাঝেমধ্যে মিথিলা আর ঊর্মিকে দেখে মিষ্টি হেসে বলে,
-“এই যে মা-মেয়ে আপনাদের দুষ্টুমি করা হলো?”
মিথিলা তখন খিলখিল করে হাসে। যেন সে খুব মজা পায় এমন কথায়। ঊর্মি প্রশান্তির শ্বাস ছাড়ে। মেয়েটা না হলে সে কী নিয়ে থাকতো?

নাস্তা করে একেবারে শো-রুম এ যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে নিলো ঊর্মি।
বাবা যখন বিয়ে করার জন্য চাপ দিলো, তখন উষা এসে সবটা সামলে নিলো। বাবাকে বলল,
-“এই তো কিছুমাস আগেই আপুর উপর কত বড় একটা ধকল গেল। তাকে একটু সময় নিতে দাও। তার যদি কখনো মনে হয় সে বিয়ে করতে প্রস্তুত, তখন না-হয় বিয়ের কথা ভেবো।”
মোস্তফা সাহেব উষার কথায় পুরোপুরি সম্মতি দিলেন না। তিনি কিছুটা সময় দিলেন, তবে বিয়ে একদিন করতেই হবে। তিনি ধারণা করেন বিয়ে করে নতুন সংসারে পদার্পণ করলেই ঊর্মি পুরনো স্মৃতি ভুলতে পারবে। নতুন সংসারের মায়ায় আঁটকে নিজেকে একেবারে স্বাভাবিক করে নেবে।
কিন্তু ব্যাপারটা কতটা সহজ?

বাড়ি থেকে বেরিয়ে ঊর্মি দীর্ঘশ্বাস ফেলে। জানেনা কতদিন সে নিজেকে নিজ সিদ্ধান্তে টিকিয়ে রাখতে পারবে। বেঁচে থাকতে আর বিয়ে করবেনা সে। বিয়ে তো একবারই হয়। কত মানুষ বিয়ে না করেও ভালোবাসার মানুষের স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে থাকে। তাহলে সে কেন পারবেনা? প্রথম প্রথম রাহাত ফিরে আসবে এমন প্রত্যাশা রাখতো ঊর্মি। এখন আর রাখেনা। এই তো, সে দিব্যি আছে। সারাদিন তার টুকটাক ব্যস্ততায় কেটে যায়। মাঝেমাঝে রাতগুলো কাটে বিষন্নতায়, কিছু স্মৃতিচারণে।
উষার বুদ্ধিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার ছোটখাটো একটা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেমেছে।

বাবার অনুমতি নিয়ে ছোটখাটো একটা ব্যবসা শুরু করেছে জামাকাপড়ের। আর্থিকভাবে তার সমস্যা হলোনা। বাবা তাতে সাহায্য করেছেন। এক বছর যাবত ব্যবসা ভালোই যাচ্ছে। ব্যবসা নামে মাত্র ঊর্মির। সমস্ত উদ্বেগ, পরিকল্পনা উষার। কোন সমস্যা হলেই দু’বোন মিলে ডিসকাস করে সমাধান করে ফেলে।

মাঝেমাঝে ঊর্মির মনে হয় সে নয়, বরং উষা তার বড়বোন। বদমেজাজি মেয়েটা কিভাবে যেন বুঝদার হয়ে গেলো। সবাইকে সামলানো শিখে গেলো। প্রতিরাতে ঊর্মির সাথে কথা বলে তবেই ঘুমাতে যায়। কখনো তার মন খারাপ বুঝতে পারলেই মন ভালো করার জন্য উঠেপড়ে লাগে। উষার বড়বোনের মত যত্ন গুলো ভীষণ ভালোলাগে ঊর্মির। মানুষ যত ভালোবাসা পায়, তত তার আহ্লাদ বাড়ে। আর যত বাস্তবতা দেখে, তত বুঝদার, পরিপক্ব হয়।
ভাবতে ভাবতেই শো-রুমে পৌঁছে গেলো ঊর্মি।

বিয়ের পর থেকে এক এর পর এক ঝা*মে*লা লেগেই ছিল। একটু ফুরসত মেলেনি। দু’বছরে আলাদা করে নিজ শহরের বাইরে কোথাও গিয়ে ঘোরা হয়নি শামীম, উষার।
শামীম রুমের ভেতর থেকে লক্ষ করলো বারান্দায় উষা কেমন উদাস ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। আগের চেয়ে অনেকটাই গুলুমুলু দেখাচ্ছে মেয়েটাকে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে সৌন্দর্য ও যেন একধাপ বেড়ে গেলো। দুবছরের সংসার জীবনে উষাকে প্রথম প্রথম যেমনটা দেখা যেতো, সময়ের সাথে সাথে সেই চোখের দেখা পাল্টে গেলো।

আগে হুটহাট শামীমের অবচেতন মন বলে উঠতো উষা বোধহয় তাকে ভালোবাসেনা। বোনের ভালো চাইতে গিয়ে স্বা*র্থ*প*র হচ্ছে। অথচ এখন মনে হচ্ছে মেয়েটাকে সে ভুল চিনেছে। উষা নরম প্রকৃতির, ভেতর থেকে একেবারেই নরম। শুধু হুটহাট মেজাজ গরম করে ফেলার অভ্যেস আছে তার। প্রথম কথপোকথনে যে কেউ বলবে মেয়েটা ঝ*গ*ড়ু*টে ধরনের।
একবার মিশতে পারলে মনে হয় এতদিন ভুল চিনেছে। মেয়েটা প্রচুর ভালোবাসতে জানে। যারা উপরে যতটা কঠিন, ভেতরে ততটাই নরম।
নিঃশব্দে পেছনে এসে দাঁড়ালো শামীম। আলতো হাতে কাঁধ জড়িয়ে বুকের সাথে মিশিয়ে ধরলো উষাকে। আদুরে স্বরে জিজ্ঞেস করলো,

-“মন খা*রা*প কেন?”
উষা ওভাবে থেকেই মাথা নাড়ালো। মৃদু গলায় বলল,
-“মন খা*রা*প না।”
-“আমি দেখতে পাচ্ছি তোমার মন খা*রা*প। কী হয়েছে বলোতো? আমি কিছু করেছি?”
-“এমনিতেই কিছুদিন যাবত ভালোলাগছেনা। আপনি ব্যস্ত থাকেন কাজ নিয়ে। রিয়া আপু শশুর বাড়ি থাকে, আম্মা অসুস্থ। বাড়িতে একা একা ভালোলাগে না আমার।”
শামীম আলতো স্বরে বলল,

-“আমি চেষ্টা করছি তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরার।”
উষা ঝট করেই বলে ফেললো,
-“এখন তো সব ঝামেলা চুকে গিয়েছে। আমার পরীক্ষার ঝামেলাও নেই। এবার আমাদের একটা বাবু দরকার নয় কি?”
শামীম বলল,
-“ আরেকটু সময় নিই? তুমি অনার্সটা কমপ্লিট করো।”
শামীমের কাছ থেকে দূরে সরে দাঁড়ালো উষা। অনেকটাই রাগ হলো তার। সরল চোখে তাকিয়ে বলল,

-“পড়ালেখা করলে বাচ্চা নেওয়া যাবে না এটা কোথায় লিখা আছে? আমার জানা প্রয়োজন।
এতদিন না-হয় একের পর এক ঝড় ঝাপটার কারণে আমারা কোন সিদ্ধান্ত নেই নি। কিন্তু এখন কী সমস্যা? আমারও বাড়িতে একা একা সময় কাটাতে হবে না।”
-“রাগ হচ্ছো কেন? তোমার ভালোর জন্যই তো বললাম আমি। ভাবলাম পড়াশোনা, সাথে এতটা চাপ নেওয়া উচিত হবেনা।”
উষা ঝাঁঝালো গলায় বলল,

-“ভাবতে হবেনা আপনাকে।”
মৃদু হেসে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো শামীম। আদুরে গলায় বলল,
-“এত রাগ কেন তোমার, সুরসুন্দরী?”
উষা নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলোনা। তবে কথাও বললোনা। শামীম মৃদুস্বরে বলল,
-“আচ্ছা, বাবুর কথা ভাবাই যায়।
আমি কিন্তু আরেকটি কথা ভেবেছি। বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি আমাদের। তোমার তো সমুদ্র পছন্দ। তাই ঠিক করলাম কক্সবাজার যাবো।”
মুহুর্তেই উষা উৎকন্ঠা নিয়ে জিজ্ঞেস করলো.

-“সত্যি?”
-“তিন সত্যি।” বলল শামীম।
আবারও মন খারাপ করে নিলো উষা। বলল,
-“আম্মাকে রেখে যাবো কিভাবে?”
-“আমাদের সাথে রিয়া আর তানভীরও যাচ্ছে। বাসায় শান্তি আপা এসে থাকবেন।”
-“তাহলে আমার আপুকেও বলি? ঘুরে এলে তার মনও অনেকটা ভালো হয়ে যাবে।”
শামীম আলতো হেসে বলল,
-“ঠিক আছে। ভাবিকে জানিয়ে দাও।”

কক্সবাজার ঘোরার আজ শেষ দিন। উষাকে নিয়ে ভোরের সূর্যদয় দেখতে বের হলো শামীম। সামনে এগিয়ে ঊর্মিকে দেখতে পেলো তারা। উষা ছুটে গিয়ে পেছন থেকে ঊর্মিকে ঝাপটে ধরলো। খানিকটা ভয় পেয়ে গেলো ঊর্মি। উষার কান টে*নে বলল,
-“ভ*য় পেয়েছি না আমি? আর দুষ্টুমি করবি?”
উষা খিলখিল করে হেসে উঠলো। অতঃপর জানতে চাইলো,
-“একা দাঁড়িয়ে কী দেখছো?”

সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ। পূব আকাশে একটা কমলা আভা ছড়িয়ে অপরূপ সৌন্দর্য্য সৃষ্টি করলো। লজ্জা রাঙা হলো আকাশ। ক্রমাগত তরঙ্গের সাথে শোনা যাচ্ছে সমুদ্রের গর্জন। ঊর্মি আনমনে বলে উঠলো,
-“উষাকালে ঊর্মিমালা।”
উষা মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলো। প্রকৃতির এই মোহাবিষ্ট রূপের সাথে চমৎকার উপমা মিলিয়ে দেখলো। দুবোনের নাম আর প্রকৃতির রূপ মিলিয়ে কি সুন্দর উপমা দিলো ঊর্মি। ভীষণ ভালোলাগায় ঊর্মিকে জড়িয়ে ধরলো। আলতো হেসে যোগ দিলো ঊর্মিও। একটু দূর থেকে এই সুন্দর মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দী করে নিলো শামীম।

দু’বছর পর আরও একটি চিঠি এসে পৌঁছালো ঊর্মির নামে। কক্সবাজার থেকে ফিরে মনটা অনেকটাই হালকা হয়ে উঠলো। নতুন করে চিঠি পেয়ে শান্ত মন মুহূর্তেই অশান্ত হয়ে উঠলো। অন্তঃকরণে ধুকপুক শব্দ আন্দোলন শুরু করলে৷ চিঠি তাকে একজন মানুষই দেয়। কিছুটা ভয়, কিছুটা ভালোলাগা নিয়ে মেলে ধরলো ছোট্ট কাগজটি।
❝প্রিয় ঊর্মিমালা

কেমন আছো? ভালো আছো কি? অনেকগুলো মাস পেরিয়ে আজ কাগজ-কলমে তোমার নামে চিঠি লিখতে ইচ্ছে হলো। আমি প্রতিনিয়ত তোমার নামে মনের ডাকবাক্সে চিঠি জমাই। এই ডাকবাক্সে চিঠি জমা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও পৌঁছে দেওয়ার নিয়ম নেই। এখানে যে ডাকপিয়ন নেই।
তোমায় দেখার বড্ড তৃষ্ণা আমার। কিন্তু দেখা দেওয়ার যে পথ নেই। আমি মানিয়ে নিয়েছি। হৃদয় কোণে পুষে চলেছি তুমি নামক ভালেবাসা। বুকের ভেতর কল্পনার রংতুলির ওই আঁকিবুঁকিতে তোমায় দেখি।

খোঁজার চেষ্টা করোনা আমায়। চিঠি যাওয়া ঠিকানায় নেই আমি৷ তোমার মুখোমুখি হবো বলে কত লুকোচুরি। জায়গা বদলে ফেলেছি। সম্ভব হলে পাড়ি জমাবো দূরদেশে। আমি অনুভব করতে চাই। ব্যথা কেমন, অনুশোচনা কেমন?
মানুষ ভুল থেকে শিক্ষা নেয়। জীবন আমাকে অনেকগুলো শিক্ষা দিয়েছে।
একটি মানুষের ভুল সিদ্ধান্ত অনেকগুলো জীবন বিপর্যয়ে ফেলতে পারে।
আত্মনির্ভরশীল হয়ে নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। যা আমি করতে পারিনি।

হুট করেই ডি*ভোর্স দেওয়া-নেওয়া কোনকিছুর সমাধান হতে পারেনা। পরে পস্তাতে হয়। ফিরে পেতে চাইলেও সবাই ফিরে আসেনা। কখনো কখনো ফিরে আসতে চাইলেও পথ খোলা থাকেনা। সেজন্যই উচিত রা*গে*র মাথায় হলেও একটা সঠিক সমাধানে আসা। মিউচুয়াল আলোচনায় প্রয়োজনে কিছুদিনের জন্য আলাদা হয়ে যাওয়া। একে অপরের গুরুত্ব উপলব্ধি করা। যেন পরবর্তীতে ফিরে পাওয়ার সুযোগ থাকে।

আচ্ছা! তুমি কি বিয়ে করেছ? সে মানুষটি কেমন? তোমায় কি খুব বেশিই ভালোবাসে? আমার চেয়েও বেশি? তুমিও কি তাকে ভালোবাসো? না-কি এখনো আমার মায়া কাটাতে পারোনি।
তোমার জবাব পেয়ে যদি আমি ভীষণ কষ্ট পাই? সেজন্যই ঠিকানা জানালাম না।❞
চিঠি ভাঁজ করে স্থির হয়ে বসে রইলো ঊর্মি। আজ আবার মানুষটার চিঠি পড়ে কাঁদলো।

নির্ঘুম ডায়েরির পাতায় যোগ হলো আরও একটি রাত।
সময় গড়াবে, জীবন পার হবে, একসময় বৃদ্ধ হবে। তবু সেই পুরুষে আসক্ত হয়ে কাটিয়ে দিবে প্রতিটি মুহুর্ত। সঙ্গে থাকবে কিছু রং-বেরঙের এর স্মৃতি।

#সমাপ্ত।

(অবশেষ শেষ হলো পাঠকদের অপেক্ষা। এতদিন আমার পাশে থাকার জন্য একবুক ভালোবাসা সবাইকে। যারা আমার ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিয়েছেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ আমি। গল্পটি দিয়ে সবাইকে হয়তো খুশি করতে পারিনি আমি। আমার উপস্থাপনায় এখনো অনেক ঘাটতি আছে। লিখালিখি শেখার প্রাথমিক স্তরে আছি। সামনে ভালো কিছু করার প্রত্যাশা করি।
গল্পের নামকরণ মূলত ঊর্মি, উষা দু’বোনকে নিয়ে। যেহেতু তাদেরকে কেন্দ্র করেই লিখেছি তাই নামকরণও সেভাবে করেছি।

উষাকালে ঊর্মিমালা পর্ব ২৪

এবার আসি আরও কিছু কথায়। যারা বিভিন্ন পেইজ থেকে পড়েছেন গল্পটি, ১৮ নম্বর পর্ব নিয়ে তাদের অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে। ১৮ নম্বর পর্ব দুবার লিখা হয়েছে। প্রথমটা ডিলিট দিয়ে নতুন করে লিখেছি।
যারা গল্পটি কপি করে বিভিন্ন জায়গায় পোষ্ট করেছেন, তারা ১৮ নম্বরের প্রথম পর্বটি ডিলিট করেননি আর না নতুন পর্বটি পোস্ট করেছেন। যারা সেসকল জায়গা থেকে পড়েছেন তারা অনেকটা বিভ্রান্ত হতে পারেন। সেজন্যই ক্লিয়ার করে দিলাম।
দীর্ঘ এক মাসের যাত্রায় পাশে থাকার জন্য আবারও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আজ সকল পাঠকের মন্তব্য আশা করছি৷ হ্যাপি রিডিং।)

উষাকালে ঊর্মিমালা অনুগল্প