উষাকালে ঊর্মিমালা গল্পের লিঙ্ক || জিন্নাত চৌধুরী হাবিবা

উষাকালে ঊর্মিমালা পর্ব ১
জিন্নাত চৌধুরী হাবিবা

বিয়ের সাত মাসের মাথায় এসে তালাকনামায় সাইন করতে গিয়ে একবার রাহাতের নির্লিপ্ত চোয়াল দেখে নিলো ঊর্মি। রাহাত একটিবারও তার দিকে চোখ ফিরিয়ে তাকালোনা। বেশিক্ষণ সময় নিলোনা ঊর্মি। পরপরই কলম চালিয়ে নিজের নামটি গুটিগুটি অক্ষরে লিখে ফেললো। অতঃপর রাহাতও সাইন করে দিলো। ভেতরটা ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। চোখের পাতা বন্ধ করে কান্না নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে গেলো ঊর্মি। এটা যে হওয়ারই ছিলো।

দু’মাস আগে ছাদ থেকে পড়ে হাত-পায়ের হাড় ভেঙে গিয়েছে। চোখের উপরদিকের হাড় ভেঙে, সামনের পাটির দাঁত ভেঙে চেহারা বিকৃত হয়ে গিয়েছে তার। আগের সেই রূপ লাবণ্য আর নেই। হাসপাতালে থাকাকালীনই ঊর্মি শুনতে পেলো তাকে আর শশুর বাড়ি নেওয়া হবেনা।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

রাহাতকে আবারও বিয়ে করানো হবে। এমন অচল মেয়ে সংসারে নিয়ে কি লাভ? না সংসারের কাজ সামলাতে পারবে, আর না স্বামীকে সুখী করতে পারবে। শাশুড়ী মুখের উপর বলে দিলেন তারা ডিভোর্সের ব্যবস্থা করবেন। হাসপাতাল থেকে রিলিজ করার পরই বাপের বাড়িতে ঠাঁই হলো তার। শশুর বাড়ি থেকে হাসপাতালের খরচ বহন করতে চাইলেও ঊর্মির বাবা দিলেন না। মেয়ের যেহেতু শশুর বাড়ি আর ঠাঁই হবেনা, তবে তাদের টাকা নেওয়ারও প্রয়োজন মনে করলেন না।

ঊর্মির বাবা তার সুস্থ হওয়ার পর শশুর বাড়ি যাওয়ার কথা বললেও তার শাশুড়ী বললেন,
-“আপনি এত নিশ্চিত কিভাবে? যে ঊর্মি সুস্থ হবে, আগের মতো চলতে পারবে। ডাক্তার কী বলেছে শোনেননি? সুস্থ হলেও রিস্ক থেকেই যাবে। সংসারের কাজকর্ম করতে পারবেনা, পাছে যদি আবারও হাঁড়ের জোড়া ছুটে যায়?”
ঊর্মি বোঝে এসব কিছু বাহানা মাত্র। সকলের মাথাব্যথা তার চেহারা বিকৃত হওয়া নিয়ে। চেহারার যে সৌন্দর্য ছিল, সেটা আর কখনোই ফিরে পাওয়া যাবেনা।

অপরূপ সৌন্দর্যে মোহিত হয়েই শশুর বাড়ির লোকজন তাকে এ বাড়ির বউ করে এনেছে। বিয়ের প্রথম রাতেই স্বামী গভীরতম স্বরে প্রকাশ করেছিল,
-“পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী নারী আমার ঘরে। আকাশের চাঁদে কলঙ্ক থাকলেও আমার চাঁদে কলঙ্ক নেই।”
সেদিন রাহাতের কথাগুলো সত্যিই ধরে নিয়েছিল ঊর্মি। আজ নিজেকে ভুল প্রমাণিত করলো। একমাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল সে।

নিজের সব হারানোর সাথে সাথে বাচ্চাটিকেও হারালো।
অসহায় বাবা – মা আর ভাইয়ের ঘাড়ে তখন উর্মি। মা-বাবার আহাজারি, চারদিকের মানুষ দেখতে এসে কিছু নাম মাত্র সমবেদনা, আফসোস, সব মিলিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়া কিছুই ছিলোনা তার। রাতের আঁধারে যখন সবাই মিলিয়ে যেত, চোখের জল তখন ধরা দিতো।

দু’মাস না গড়াতেই ডিভোর্সের বন্দোবস্ত হয়ে গেলো। আর আজ সেই মি*থ্যে সম্পর্কের ইতি টানা হলো।
শাশুড়ী মা ঊর্মির হাতে একটি খাম ধরিয়ে দিয়ে বললেন,
-“তোমার মোহরানার টাকা।”

ঊর্মি অশ্রুসিক্ত চোখে তাকিয়ে রইলো খামটির দিকে। শেষবারেও রাহাত কথা বললোনা। বাবা মায়ের সাহায্যে বাড়ি পৌঁছেই আয়নার সামনে বসলো সে। ঘুরে ফিরে নিজের ঝুলে পড়া কু*ৎ*সি*ৎ চেহারা দেখে হাসলো। শব্দ করেই হাসলো। হাসতে গিয়ে একসময় চিৎকার করে কেঁদে উঠলো। তার কান্নার শব্দে বাবা মা দৌঁড়ে এলেন। ঊর্মি আগেই দরজা বন্ধ করে দিলো। যার ফলে কেউ তার কাছাকাছি আসার সুযোগ পেলোনা।

বিকেলের দিকেই বাসায় ফিরলো উষা। ক্লাসের পর কিছু নোট কালেক্ট করতে গিয়েই দেরি হলো। পুরো বাড়ি শুনশান, নিরব। চারদিকে শুধু শূন্যতা। আজ যে বড় আপুর ডিভোর্স হয়েছে সে জানতো। সেই হিসেবে বাড়ির পরিবেশ এমন থাকারই কথা। ব্যাগ রেখে গোসল সেরে নিলো সে। অতঃপর ঊর্মির ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। কয়েকবার টোকা দেওয়ার পরই হুট করে দরজা খুলে গেলো।

দরজা খুলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খাটে গিয়ে বসে পড়লো ঊর্মি। উষা নিমেষহীন তাকিয়ে রইলো বোনের দিকে। তার যতটা না কষ্ট হচ্ছে, তারচেয়ে তিনগুণ রাগ হচ্ছে। আরও একবার পুরুষজাতির উপর ঘৃ*ণা হলো তার। ছোট থেকেই সে পুরুষ সঙ্গ এড়িয়ে চলে। সে বুঝতে পারেনা পুরুষ জাতটাই খা*রা*প? নাকি খা*রা*প পুরুষগুলোই তার সামনে এসে বারবার ধরা দেয়।

নিজের ভাই পর্যন্ত তার চোখে একজন নি*কৃ*ষ্ট লোক। স্ত্রীকে সম্মান দিতে জানেনা। তার ভালোলাগা, খা*রা*প লাগার দিকে লক্ষ রাখেনা। অথচ নিজের চাহিদা ঠিকই মেটাতে জানে। অসুস্থ হলেও বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়না স্ত্রীকে। আজ রাহাতও তার চোখে নি*কৃ*ষ্টদের কাতারে নাম লিখিয়েছে। বাহ্যিক সৌন্দর্যই কি সব? উষা ভেবে পায়না ভালোবাসাটা কোথায়?
উষাকে কিছু না বলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ঊর্মি নিজ থেকেই জিজ্ঞেস করল,

-“কিছু বলবি?”
কিছু বলার পূর্বেই উষার দৃষ্টি পড়লো ঊর্মির ফোনের স্ক্রিনে। বারবার ফোন আসায় সাইলেন্ট ফোনের আলো দৃশ্যমান হচ্ছে। স্ক্রিনে একটা নাম স্পষ্ট দেখাচ্ছে। “শামীম”। রাহাতের ভাই।
উর্ষা ফোনটা হাতে নিয়ে রিসিভ করলো। ওপাশ থেকে সালাম দিতেই উষা প্রশ্ন ছুঁ*ড়*লো,
-” কী চাই?”

শামীম একটু বিব্রত হলো। ভেবেছিল ভাবী ফোন ধরেছে। উষা আবারও প্রশ্ন করলো,
-“কী চাই আপনার? কেন ফোন করেছেন?”
শামীম ধীরেসুস্থে শান্ত স্বরে বলল,
-“ভাবী কেমন আছে?”
তাচ্ছিল্য হাসলো উষা। তীব্র ক্ষো*ভ প্রকাশ করেই বলল,

-“জু*তা মে*রে গরু দান করা হচ্ছে? আমার বোনের জীবনটা নষ্ট করে দিয়ে এখন তার ভালো চাওয়া হচ্ছে, তাইনা? সব-কটা অমা*নুষের দল।”
শামীমের রা*গ হলেও প্রকাশ করলোনা। উষা ঠিকই বলেছে। কোনো মানুষের দ্বারা এতটা অ*মা*ন*বি*ক কাজ সম্ভব নয়।
ঊর্মি ফোন কেঁ*ড়ে নিয়ে শামীমকে বলল,

-“সরি ভাইয়া। আপনি কিছু মনে করবেন না। ওর মাথা ঠিক নেই।”
-“ঠিক আছে ভাবী, এত হাইপার হওয়ার কিছু হয়নি। উষা ভুল কিছুই বলেনি।”
-“না, ও ঠিক বলেনি। ছোট মানুষ সঠিক – ভুলের কী বোঝে?”
তখনই উষার উঁচুস্বর শোনা গেলো,

-“তোমার সাথে যখন ঠিকটাই হয়েছে, তখন কেঁদেকেটে চোখেমুখের এই অবস্থা করছো কেন? আমাদের শান্তিতে থাকতে দিচ্ছোনা কেন?”
ঊর্মি করুণ চোখে তাকালো। শামীম কিছুক্ষণ চুপ থেকেই লাইন কে*টে দিলো।
সবার কথা যেমন-তেমন। ভাইয়ার ব্যাপারটা সে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারেনা। ভাবীর প্রতি তার তীব্র ভালোবাসা কথা কাজে বোঝা যেত। সে কিভাবে ভাবীর সাথে এতবড় অন্যায় করতে পারলো?

শামীম অসুস্থতার পর থেকেই ঊর্মির খোঁজ-খবর রাখতো। এখন ও তার ব্যতীক্রম নয়। ঊর্মির খোঁজ-খবর নিতেই ফোন করা। কিন্তু মাঝখান থেকে তেজী মেয়েটার হাতেই ফোন পড়তে হলো?
শামীম উষাকে পছন্দ করলেও উষাকে এক প্রকার পুরুষ বিদ্বেষী বলে চলে। রাহাতের বিয়ের পর তাদের দুজনের বিয়ের কথা উঠলেও উষা সবার মুখের উপরই না করে দেয়। শামীম অবশ্য জোরাজোরি করেনি এ ব্যাপারে।

সপ্তাহখানেক পরই ঘরোয়া ভাবে রাহাতের দ্বিতীয় বিয়ের কার্যক্রম শেষ হয়।
রাহাতের বিয়ের কথা শুনে পুরোরাত চোখের জলে কাটিয়েছে ঊর্মি। পাশেই ঘুমের ভান ধরে পড়ে থাকা উষা সবই টের পেলো। সকাল হতেই সে নিজের কাজে নেমে পড়লো। বোনের কষ্ট সে আর নিতে পারছেনা। শামীমের নম্বর তুলে তাকে কল দিলো। কয়েকমাস আগে যে বিয়ে হওয়ার কথা হয়েও হয়নি। এবার সেটা হবে।
উষার নম্বর থেকে কল আসায় অনেকটা অবাক হলো শামীম। নিজের বিষ্ময়ভাব বজায় রেখেই রিসিভ করলো সে। উষা সরাসরি প্রশ্ন করলো,

-“আপনি কি আমায় বিয়ে করতে চান?”
শামীম যেন আরেকটু আশ্চর্য হলো। বলল,
-“বুঝলাম না।”
-“ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে তো কিছু বলিনি। আপনি আমায় পছন্দ করেন, বিয়েও করতে চেয়েছিলেন পারিবারিক ভাবে। তখন আমার কারণেই বিয়েটা হয়নি। আমি এখন আপনাকে বিয়ে করতে ইচ্ছুক। আপনি ভেবে জানান আমায়। পরবর্তীতে আর এই সুযোগ পাবেন না।”

শামীম চুপ থেকে বলল,
-“তুমি সময় নাও। মাথা ঠান্ডা রেখো। জে*দের বশবর্তী হয়ে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিওনা। যার জন্য তোমাকে পস্তাতে হয়।”
-“আমি ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
-“দেখো, আমরা এখন এমন সিচুয়েশনে আছি। যেখানে কারও পরিবারই সম্মতি দেবেনা।”
রা*গে মাথা ফেঁ*টে যাচ্ছে উষার। তেজী গলায় বলল,

-“আপনি আমায় চান কি চান না? সেটা বলুন। বাকি রইলো পরিবার। আপনার পরিবারকে মানানোর দায়িত্ব আপনার। আমার পরিবার আমি দেখে নেবো।”
শামীম উষাকে চায় কথা সত্যি। কিন্তু সে এটা খুব করে বুঝতে পারছে উষা কেন তাদের বাড়িতে বউ হয়ে যেতে চায়। যে মেয়েকে কয়েকমাস আগে এতগুলো মানুষ বুঝিয়েও রাজি করাতে পারলোনা, সে এখন নিজ ইচ্ছেতেই বিয়ে করতে চাইছে। যেখানে দু’বাড়ির মধ্যেই এখন রে*ষা*রে*ষির সম্পর্ক। শামীম বলল,

-“আমি দেখছি কী করা যায়?”
-“আমি এতসব বুঝিনা। বিয়ে করবেন কি-না? স্পষ্ট করে বলুন। নয়তো আমি অন্য ব্যবস্থা নেবো।”
-“দেখো উষা, মাথা গরম করোনা।”
-“আমার মাথা একদম ঠান্ডা আছে। বিয়ে করবেন না, ভালো কথা। আমি রাখছি।”
-“কী করবে তুমি এখন। কোনো উল্টোপাল্টা কাজ করবেনা বলে দিলাম।”
-“বিয়েটা করে ফেললে তো আর আমি কিছুই করছিনা।”
শামীম দীর্ঘশ্বাস ফে*লে বলল,

-“ঠিক আছে। আমি বাবা মাকে রাজি করাচ্ছি।”
উষাকে নিজের করে পাওয়ার লো*ভে শামীম একটু স্বার্থপর হলো।
ফোন রেখে হাসলো উষা। চোখে তীব্র ক্ষো*ভ। তার বোনকে কষ্ট দেওয়ার ফল ও বাড়ির প্রতিটা মানুষ পাবে। রাহাত কিভাবে নতুন বউ নিয়ে সুখে সংসার করে, সেটাও দেখে নেবে।
অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। সেটা হোক ভালোবাসা, রা*গ, অভিমান, জে*দ। উষা অতিরিক্ত রা*গ আর জে*দের বসে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলো, যা দুটো পরিবারের কেউই মানবেনা।

বাড়িতে উষার কথা বলতেই সবাই বিস্ফোরিত নয়নে তাকালো। যেন শামীম খুব বড় অন্যায় করে ফেলেছে। সত্যি বলতে শামীম নিজেও এখন চাইছে এই মানুষগুলো শি*ক্ষা নিক। প্রয়োজনে উষাকে সে সাপোর্ট দেবে। কেউ রাজি না হলেও বাবাকে ঠিকই রাজি করিয়ে নিলো সে। যদি তিনি বর্তমান পরিস্থিতি ভেবে প্রথমে নাকচ করেছিলেন।
এদিকে উষার সিদ্ধান্ত শুনে ঊর্মির মনে ভ*য়ের আশংকা হলো। বাবা তার উপর চেঁচামেচি করলেও মা সোজা থা*প্প*ড় মে*রে বসলেন। উষা বেহা*য়ার মতো জে*দ ধরেই বলল,

-“বিয়ে করতে হলে আমি শামীমকেই করবো। নয়তো এ জীবনে আমার বিয়ের নাম মুখে নেওয়া ভুলে যেও।”
মেয়ে এতটা নির্ল*জ্জ ব্যবহার কখনো করেনি। আজ যেন মোস্তফা সাহেবের লজ্জায় নাক – কান কা*টা যাচ্ছে। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশেপাশের মানুষ জড়ো হলো। বাধ্য হয়েই তিনি মেয়েকে ঘরে আটকে রাখলেন। বাইরে থেকে মা বলে দিলেন,

-“ওই বাড়িতে বিয়ে করে গেলে আর কোনদিন এই বাড়ির কথা মুখেও নিবিনা।”
উষা কিভাবে শক্ত গলায় বলে দিলো,
-“নেবো না।”
আর কিছু বলার ভাষা পেলেন না তিনি।

সন্ধ্যার পরই শামীম তার বাবাকে নিয়ে এ বাড়িতে আসে। সকলেই আনোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে অবাক হন। শামীমের বাবা ঊর্মির মাথায় হাত বুলিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফে*লে বললেন,
-“আমরা তোমার সর্ব*নাশ করে এই মুখে আজ ভালো থাকার কথা বলতে পারছিনা মা।”
ঊর্মি বলল,

-“বাবা, আপনার কোনো দো*ষ নেই। যার রাখার কথা সে’ই রাখলোনা। আপনাদের এখানে কি-বা করার আছে।”
-“তাহলে আমার কথাটা শোন। উষা মা যা করছে করতে দাও। ওই বাড়ির মানুষগুলোর শিক্ষা হওয়া উচিত। বোঝা উচিত বাহ্যিক সৌন্দর্যই সবকিছু নয়।”
আনোয়ার সাহেব উষার বাবা – মাকে বোঝালেন। উনাদের সামনেও মেয়ের নির্লজ্জতায় মোস্তফা সাহেব রুষ্টচিত্তে মত দিলেন।

উষা চাইলেই একা গিয়ে বিয়ে করে নিতে পারতো। সে চায় বাবা-মা থাকুক তার বিয়েতে।
বিয়ে পড়িয়ে এশার নামাযের পর বউ নিয়ে বাড়ি ফিরতেই শামীমের মা উষাকে দেখে জ্ঞান হারালেন।
উষা মৃদু হেসে বিড়বিড় করে বলল,
-“এ তো মাত্র শুরু শাশুড়ী আম্মা।”

উষাকালে ঊর্মিমালা পর্ব ২