এই শহর আমার পর্ব ৫ || Suraiya Aayat || SA Alhaj

এই শহর আমার পর্ব ৫
Suraiya Aayat

স্পর্শর সামনে বসে আছে মুগ্ধতার বাবা তামিম খান ৷ উনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্পর্শের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন , তা কেবল মুগ্ধতার ব্যাপারে, অন্য কোন বিষয় নিয়ে স্পর্শর বিরোধিতা করা ওনার সাধ্য নই ৷ উনি যে বিরোধিতা করেন ঠিক তেমনটা নয় আবার অনেকটা সেরকমই বলতে গেলে চলে ৷ স্পর্শ সাথে মুগ্ধতার ব্যাপারে উনি একটু গম্ভীর ভাবেই কথা বলেন,অন্য বিজনেস এর ব্যাপারে বেশিরভাগ প্ল্যান উনি স্পর্শর কাছ থেকেই নেন ৷ মেডিকেলের সাথে সাথে স্পর্শ বিজনেসটা বেশ ভালোই বোঝে , বিজনেসটা স্পর্শ শিখেছে ওর নানাভাই এর কাছে, নব্বই দশকে স্পর্শর নানাভাই ঢাকার বিরাট একজন সনামধন্য ব্যাবসায়ী ছিলেন , দেশের বাইরেও অনেক নামডাক ছিলো ৷

মুগ্ধতার ব্যাপারে তামিম খান স্পর্শর উল্টো সুরে গাইলেও স্পর্শর তাতে কোনো যায় আসে না তার কারণ স্পর্শ জানে যে উনি যে কারণে স্পর্শর বিপরীতে কথা বলেন তার ফলাফল টা খুব একটা ভালো হবে না মুগ্ধতার জন্য ৷ আর মুগ্ধতার ব্যাপারে স্পর্শ খুব পজেসিভ যেমন মুগ্ধতা স্পর্শর ব্যাপারে,যদিও মুগ্ধতার পজেসিভনেস বলতে ওনলি স্পর্শকে একান্ত নিজের মানুষ মনে করার জন্য ৷

মুগ্ধতা উনার একমাত্র মেয়ে, উনি ওনার বড় ছেলে আরাফকে খুব স্বাধীনভাবেই মানুষ করেছেন, আরাফ যেমন ভাবে কাটাতে চেয়েছে তেমন ভাবেই ওকে জীবন কাটাতে দিয়েছেন,তা বলে আরাফ উচ্ছন্নে যাইনি, ও একজন ইঞ্জিনিয়ার ৷ উনি চেয়েছিলেন মুগ্ধতার ক্ষেত্রেও তেমনটাই হোক, যদিও মুগ্ধতা স্পর্শের জন্য তেমন বাড়াবাড়ি করতে পারেনা ৷কিন্ত তামিম খান চান যে ওনার বড় ছেলে আরাফের মতো মুগ্ধতাও এমন ফ্রি লাইফ এনজয় করুক কিন্তু স্পর্শ যে এ ব্যাপারে চরম বিরোধী , অবশ্য তার কারন ও আছে ৷ স্বধীনভাবে লাইফ কাটাতে গিয়ে মুগ্ধতা আজ অবধি ওর বাসার আর নিজের ক্ষতি করেছেও প্রচুর ৷ রেগে গেলে বসার জিনিসপত্র ভাঙচুর করে, যেই স্বভাব আজো যাইনি, কার ড্রাইভিং করতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করেছে 2 বার ৷ সাইকেল নিয়ে আগে রোজ পুরো বনানী ঘুরতো, একদিন রোড এক্সিডেন্ট ও করে ফেলেছে , তাছাড়া ছোটাছুটি করে প্রচুর বার হাত পা ভেঙেছে , মেডিকেল কলেজে প্রথমদিন একটা ছেলের মুখে ঘুষি মেরে দিয়েছিলো শুধু ওকে ” জানু ” বলার জন্য ৷

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

প্রথম প্রথম মুগ্ধতাকে কিছু না বললেও পরে যখন দেখল যে স্বাধীনতা পেয়ে মুগ্ধতা ধরাকে সরা জ্ঞান করে বসেছে, সাথে নিজের সাথে সকলকে বিপদে ফেলছে তখন থেকে স্পর্শ হাল ধরলো ৷ কলেজে কোন বিষয় নিয়ে সমস্যা করে কি তা জানার জন্য স্পর্শ সপ্তাহে দুদিন ওর কলেজে গিয়ে খোঁজ নেই যা মুগ্ধতা জানে না ৷ মুগ্ধতার জন্যে কোন রুলসই রুলস নয় ৷ সারাদিন দৌড়াদৌড়ি, ছুটাছুটি , লাফালাফি, হঠাৎ করে বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়া , মাঝ রাতে সাইকেল চালানো , এই সমস্ত জিনিসগুলোতে ভীষণভাবে মুগ্ধতা আকর্ষিত , আর এভাবে যে মুগ্ধতার ফিউচারে ম্যাচিউরিটি লেভেলটা আসতে অনেক লেট হবে এবং ওর ক্যারিয়ারের জন্য খুব একটা ভালো হবে না সেই বুঝে স্পর্শ ওকে সব সময় কড়া রুটিনের মধ্যে রাখে, যে জিনিসটা একদম পছন্দ না মুগ্ধতার আর ওর বাবা তামিম খানের ৷ তবুও আগের মতো মুগ্ধতা এতো বাদরামি করতে পারে না ৷

উনি মুগ্ধতাকে নিতে এসেছেন , যদিও জানেন যে স্পর্শ কিছুতেই মুগ্ধতাকে নিয়ে যেতে দেবে না তবুও উনি একবার চেষ্টা করে দেখতে এসেছেন যে এইবার যদি কোন মিরাক্কেল হয়ে গিয়ে স্পর্শ নিজের জেদটাকে সাইডে রেখে মুগ্ধতাকে নিয়ে যেতে দেই ৷ মনে মনে বারবার বলছে যে ” আল্লাহ প্লিজ এবার যেন কোন মিরাক্কেল হয়ে যাই ৷” কিন্ত স্পর্শ তো স্পর্শই ৷
উনি গলা পরিষ্কার করে বললেন
” স্পর্শ ৷ , স্পর্শ আসলে ৷ আসলে বলছিলাম কি , আসলে স্পর্শ ৷”

ওনার মুখ দিয়ে যেন আর ভয়ে কথা বার হচ্ছে না ৷সবকিছু আঊলাঝাউলা হয়ে গেছে স্পর্শকে দেখে ৷ছেলেটাকে দেখলে মনে হবে পৃথিবীর সবথেকে নিশ্পাপ আর শান্ত ছেলে , আর সবচেয়ে কিউট,কিন্তু নাহ !
ছেলের সামনে ওনার ভাইয়ের এমন অবস্থা দেখে তনিমা খানের পেট ফেটে হাসি আসছে কিন্তু সবার সামনে হাসলে ওনার ভাইয়ার অপমান হবে, পরে ওনাকে আরো 10 টা বাড়তি কথা শুনতে হবে , তাই দরকার কি হাসার, পরে কথাগুলো মনের মাঝে রিপিট করে গড়াগড়ি দিয়ে হাসবে ৷???
স্পর্শ ঠান্ডা দৃষ্টিতে ওনার দিকে একবার তাকিয়ে ব্রেড মুখে দিলো ৷
তামিম খান আবার পুনরায় অনেক সাহস জুগিয়ে বললেন

” বলছিলাম কি আমি চাই যে মুগ্ধ আমার সাথে ফিরে যাক, তাছাড়া স্পর্শ তুমিই তো বলেছিলে যে তোমাদের দুজনের বিয়ের আগে মুগ্ধতা যেন এই বাসায় না আসে , সেজন্য মুগ্ধতা জেদ করলেও আমি কখনো মুগ্ধতাকে এই বাসায় আসতে দিইনি , আর এখন তুমি নিজেই মুগ্ধকে নিয়ে এসেছ ! তোমার কথা থেকে দেখছি তুমি নিজেই সরে এলে ৷ ইজ ইট রাইট ?”
স্পর্শ জুসটা খেয়ে ওনার ওপর শান্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললেন

” এটা নিয়ে নিশ্চয় আপনার মনে কোন সন্দেহ নেই যে আমি আমার মুগ্ধর কখনো কোনো ক্ষতি চাইবো না, সুতরাং যা করবো ওর ভালোর জন্যই করবো এটা নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকো মামু ৷ আর তোমার মুগ্ধতা ততদিন এই বাসায় থাকবে যতদিন না ওর পাগলামিগুলো বন্ধ হয় ৷ আর তোমার যদি একান্তই মনে হয় যে মুগ্ধ আমার কাছে খারাপ থাকবে তাহলে আমি বলবো সি ইউ ইন কাজীঅফিস ৷ মুগ্ধকে বিয়ে করবো ৷ she is an adult now….she is already 19 ৷ যদিও এত অল্প বয়সে মুগ্ধ বিয়ে করুক আমি চাইনা তবুও আপনি বাধ্য করলে কেন করবো না, যতই হোক সি ইজ মাই বেটারহাফ ৷? ৷”
( মনে মনে : আমার পিংকিশ নগিন??)

কথাটা বলে ও তামিম খানের মুখ বন্ধ করে চলে গেল ৷ মুগ্ধ ওনাকে ওর কথার জালে ফসালো ভীষনভাবে ৷ না উনি এখন মুগ্ধকে নিয়ে যেতে পারবেন আর না উনি এখন মুগ্ধর বিয়ে দেবেন ৷ চরম গ্যাড়াকল? ৷
উনি আজ মুগ্ধকে নিয়ে যাবে প্লাস স্পর্শকে অনেক কিছু শোনাবেন ঠিক করেছিলেন ৷ কিন্তু স্পর্শ আসতেই ওনার সব সাহস টাইটাইফুস ৷ আসলে স্পর্শকে কথা শোনানোর মতো ভাবনা কেবল ওনার কেন সবারই কল্পনাতে আসে?৷
কয়েক মিনিটের মধ্যে স্পর্শ ওর ব্রেকফাস্ট শেষ করে বলল

” আম্মু আমি মুগ্ধকে একটু শপিং-এ বেরোবো, মামুকে যেতে দিওনা ৷ উনি লাঞ্চ না করে কোথাও যাবে না ৷”
তামিম খান শুকনো গলায় বললেন
” না না , আমাকে আজ লাঞ্চ করতে গেলে হবে না ৷ আমাকে অফিসে যেতে হবে আজকে, অফিসে একটা মিটিং আছে ৷ ”
“এস ইউর ইউশ ৷”
স্পর্শ মুচকি হেসে চলে গেল ৷
তামিম খান সহ সবার রিয়েকশান:?( মুগ্ধর উদ্দেশ্য )
স্পর্শ চলে যেতেই সবার মুখে হতাশা ৷ মিজান আহমেদ শুকনো পাউরুটি মুখে দিয়ে বললেন

” মাঝে মাঝে এটা ভেবে কনফিউজড হয়ে যায় যে আমি ওর বাপ নাকি ও আমার বাপ ৷ এই তনিমা ও আমাদেরই ছেলে তো মানে হসপিটালে বেবি পাল্টাপাল্টি হয়ে যাই নি তো ?”
তনিমা আহমেদ রাগী রোখে তাকিয় বললেন
” মাথা গেছে তোমার ? ছেলেকে ভয় পাও এটা মানতে তোমার লজ্জা হয়না ৷”
উনিও জোর গলায় বললেন
” শুধু আমি একা ভয় পাই তুমি বুঝি পাওনা ?”
“?”

তনিমা খান মুখ ঘুরিয়ে চলে গেলেন ৷ আসলে স্পর্শ সবার থেকে ছোট , তার ভয়ে বড়োরা কিছু বলতে পারেনা এটা কেউ কারোর সামনে স্বীকার করতে চাই না ৷?
ওদের দুজনের কান্ড দেখে তামিম খান বললেন
” স্পর্শ তো ঠিকই বলেছে, ও তো মুগ্ধর ভালোই চাই ৷ আমিই বেকার জেদ করছি ৷ থাক মেয়েটা এখানেই থাক,যতদিন স্পর্শ চাই ৷?
আমরাও সপ্তাহে 2 দিন আসবো তোমাদের সাথেও দেখা হবে, এর থেকে ভালো আর কি হতে পারে ৷?”

মুগ্ধতা :তুমি টম আমি জেরি
তুমি কি কিউট অদ্ভুদ প্রানী৷?
কিনে দেবে তুমি পিংকিশ ব্যান্ড
নয়তো আমি ভাঙবো তোমার ঠ্যাং
নাচবো আমি তাধিন ধিন
গাইবে তুমি নাগিন গিন গিন গিন গিন গিন গিন গিন গিন?
স্পর্শ রুমে ঢুকছে আর শুনতে পেল মুগ্ধতা বিড়বিড় করে ওর সেই ঐতিহাসিক কবিতা বলছে ৷
স্পর্শ রুমে ঢুকতেই মুগ্ধতা মুচকি হেসে স্পর্শর সামনে দাঁড়িয়ে বলল

” এই যে পিংকিশ বান্দর আমি একটা কবিতা লিখেছি শুনবেন?”
স্পর্শ অলরেডি শুনে ফেলেছে মুগ্ধতার কবিতা তাই দ্বিতীয়বার মুগ্ধতার সেই ঐতিহাসিক কবিতা শোনার ইচ্ছা আর স্পর্শর নেই, তাই জন্য স্পর্শ মুগ্ধতার পাশ কাটিয়ে রুমে এসে বলল
” হমম, বলো, বাট ওতো সুর করে বলার দরকার নেই,ডু ইট ফাস্ট ৷”
মুগ্ধতা কবিতা বলতেই যাবে তখনই মুগ্ধতার ফোন বেজে উঠলো ৷
স্পর্শ মনে মনে ভাবলো

” যাক ইন্নালিল্লাহ পড়তে হলো না ? স্পর্শ ভাগ, জলদি ভাগ ৷”
কথাটা বলে মুগ্ধতাকে বলল
” এই মুগ্ধ তোমার ফোন বাজছে দেখ ! ফোনটা একটু জোরেই বাজছে হয়তো তোমার খুব ইম্পরটেন্ট কল, পিক আপ ফাস্ট ৷”
মুগ্ধতা ছুটে গিয়ে ফোনটা ধরল , ওর ভাবি রোজা ফোন করেছে ৷
মুগ্ধতা স্পর্শর দিকে ফোনটা ঘুরিয়ে বলল
” ভাবী ফোন করেছে, আমি যাই কথা বলে আসি ?”
স্পর্শ মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো ৷ যাক আজকের মতো রোজা ভাবি বাচিয়ে নিলো কবিতা শোনার হাত থেকে ৷
স্পর্শ সাওয়ার নিতে গেল ৷ মুগ্ধতাকে নিয়ে শপিং এ বেরোবে ৷

” আচ্ছা আপনাদের এখানে নাগিন হেয়ার ব্যান্ড পাওয়া যাই না ?”
মুগ্ধতার এমন উদ্ভট কথা শুনে বিউটি প্রডাক্টের পার্টের দুটো লেডি স্টাফ অবাক হয়ে গেল ৷ একটা মেয়ে থতমত খেয়ে বলল
” সরি আপু বুঝলাম না ৷”
মুগ্ধতা এবার অনেক ভালো ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে বলল
” মানে বলছিলাম যে আপনারা তো এমন হেয়ার ব্যান্ড সেল করেন যেখানে ব্যান্ডে টেডি থাকে , ফ্লাওয়ারস থাকে, ব্লা ব্লা এক্সেট্রা ৷ আমি ওই টেডির বদলে ওখানে নাগিন মানে একটা পিংক কালারের স্নেক চাইছি পাওয়া যাবে ?”
মেয়েদুটো নিজেদের মুখের দিকে চাওয়া চায়ি করলো, আরেকটা মেয়ে শুকনো ঢোক গিলে বলল
” সরি ম্যাম আমরা তো এমন ব্যান্ড বিক্রি করি না, আসলে আপনার মতো করে তো কেউ ভাবে না,আপনাকে দেখে তো মনে হয় যথেষ্ট ম্যাচিওর তবুও এমন ভাবনা আর পছন্দ সত্তিই অবাক হচ্ছি ৷ আর তাছাড়া বাচ্চারা এমন ব্যান্ড দেখলে ভয় পাবে তাই আর কি , আমরা এই ধরনের প্রডাক্ট রাখিনি ৷”

” আচ্ছা এখানে না পাওয়া গেলেও এই এতো বড়ো সুপার মলে কোথাও তো পাওয়া যাবে, কোথায় পাওয়া যাবে সেটা বলুন ৷”
” সরি ম্যাম এমন ব্যান্ড এই সুপার মল কেন পুরো ঢাকাতেও আপনি পাবেন না ৷”
মুগ্ধতা রেগে গিয়ে বলল
” হাহ ! এমন সুপারমল রেখে কি লাভ যেখানে একটা পিংকিশ নাগিন ব্যান্ড পাওয়া যাই না ৷ আপনাদের শপিংমল নিয়ে আমার পুরো ধারনাই ভুল ছিলো ৷ এখন মনে হচ্ছে পুরো ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ শপিংমলে আপনাদের ৷”
কথাগুলো বেশ জোরে জোরেই বলছে মুগ্ধতা ৷
ওর কথাটা শুনে মেয়ে দুটোর ও রাগ হচ্ছে, আশেপাশের মানুষজন ওদের দিকে তাকাচ্ছে ,আর মুগ্ধতা বারবার বলছে যে এটা ঢাকার মাঝে সবচেয়ে খারাপ শপিং প্লেস সেক্ষেত্রে মুগ্ধতার কথাতে পাবলিকের মাঝে একটা নেগেটিভিটি আসতেই পারে শপিংমল নিয়ে , তাই মেয়ে দুটো আর চুপ করে না থেকে বলল

” আপু এটা একটা পাবলিক প্লেস, এভাবে না চেঁচালেই ভালো হবে ৷ আর তাছাড়া আপনি যেমনটা চাইছেন তেমনটা নেই বলে আমাদের শপিংমল খারাপ এটা কীভাবে বলতে পারেন !”
মুগ্ধতার থামার নাম নেই, ওর ঝগড়া করতে ভালো লাগে, ওউ ঝগড়া করে যাচ্ছে ৷
হঠাৎ এমন চেঁচামেচি শুনে নীতু এসে দেখলো পুরো কান্ড, সাথে সাথে সবটা ফোনে রেকর্ড করে নিলো, আব আয়েগা মাজা ৷ নীতুও ওর আম্মুর সাথে শপিং এ এসেছিলো ৷
স্পর্শকে দেখতে পেয়ে নীতু ছুটে গিয়ে বলল

এই শহর আমার পর্ব ৪

” ওই মুগ্ধতা বলে কে আছে না, দেখুন ও কি ঝাগড়াটাই না বাধিয়েছে ৷”
স্পর্শ নীতুর কথায় কান না দিয়ে ছুটে গেল মুগ্ধতার কাছে, ও মুগ্ধতার কাছেই আসছিলো চিৎকার শুনে, ও আন্দাজ করেছিলো যে নিশ্চই মুগ্ধতা কিছু গন্ডগোল করবে , আসলে ও এতক্ষন ধরে মুগ্ধতাকে কল করছিলো কিন্তু কলে পাচ্ছিলো না তাই ছুটে এল চেঁচমেচি শুনে ৷ স্পর্শ গিয়ে দেখে মুগ্ধতা ঝগড়া করছে তাই তাড়াতাড়ি করে ওনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে মুগ্ধতাকে সেখান থেকে নিয়ে চলে এলো ৷ সামনেই মুগ্ধতার বার্থডে তাই স্পর্শ আলাদা ভাবে ওর জন্য গিফট কিনছিলো আর তার মাঝে এতকিছু করেছে মুগ্ধতা ৷

ড্রাইভ করছে স্পর্শ আর মুগ্ধতা পাশে বসে আইসক্রিম খাচ্ছে, মাঝেমাঝে রেগে গিয়ে মেয়ে দুটোর নামে উল্টোপাল্টাও গাইছে, স্পর্শ শান্ত হয়ে আছে, একেই মুগ্ধতা হট মেজাজে রয়েছে তার ওপর ও যদি রেগে যাই তো সিচুয়েশন বিগড়ে যাবে , অর্থাৎ চুপ থাকায় শ্রেয় , কারন পাশে বসে আছে পিংকিশ নাগিন ? ৷

এই শহর আমার পর্ব ৬