এই শহর আমার পর্ব ৯ || Suraiya Aayat || SA Alhaj

এই শহর আমার পর্ব ৯
Suraiya Aayat

“আহা কি আনন্দ আকাশে বাতসে
তাধিন ধিন তাধিন ধিন
হাতির ঠ্যাং বকের ঠ্যাং”

তারপর ? তারপর কি হবে ? কিছু তো একটা হবে, কবিতাটা মিলছে না কেন? ”
.মুগ্ধতা উদাস হয়ে বলল ৷
মুগ্ধতা আবার নিজেই বললো
” মিলছে না তো কি হয়েছে, পিংকিশ নাগিন দিয়ে কিছু একটা মিলিয়ে দেবো ঠিক ৷ প্রাউড অফ ইউ মুগ্ধ বেইব ৷”
কথাটা বলে মুগ্ধতা আবার হাটতে শুরু করলো ৷
সকাল 11.30,,,,বাইরে প্রচন্ড রোদ, মুগ্ধতার মুখটা রোদে লাল বর্ন ধারন করেছে ৷

মুগ্ধতা ঝিলের কাছে গেল, খুব ইচ্ছা করছে ওর জলে ঝাপ দিতে , ও সুইমিং পারে না, ছোটবেলায় একবার গ্রামের বাসায় ঘুরতে গিয়ে পুকুরে পড়ে গিয়েছিলো,প্রায় জলে ডুবেই গিয়েছিল কিন্তু স্থানীয় একজন লোক মুগ্ধতাকে দেখে জল থেকে তুলে আনে, এই কথাটা স্পর্শ জানার পর মুগ্ধতাকে অনেক বকাবকি করেছিল ৷
মুগ্ধতা বড় ঝিল,সমুদ্র আর পুকুরগুলোকে খুব ভয় পায় ৷ জলে নামার ভয়ের জন্য মুগ্ধতা সমুদ্র ভালোবাসে না , জলের প্রতি একপ্রকার ফোবিয়া আছে, হাইড্রোফোবিয়া আছে বললেই চলে ৷ মুগ্ধতা সবসময় পাহাড় পছন্দ করে আর স্পর্শ সমুদ্র, দুজনেই দুইরকম ৷ কেউ কারোর সাথে কোন জিনিসে মিল রাখতে নারাজ, যদিও স্পর্শ এই সমস্ত ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মাথা না ঘামালেও মুগ্ধতা এগুলোকে নিয়ে বেশি চর্চা করে ৷

মাঝে মাঝে মুগ্ধতাকে রাগানোর জন্য স্পর্শ বলে যে তুমি নাগিন হয়ে জল পছন্দ না করে কি করে যে পাহাড় পছন্দ করো এটা ভেবেই অবাক লাগে ৷
মুগ্ধতা তখন রিপ্লাই দেই
” পাহাড়ি এলাকার নাগিন গুলোই বেশি বিষাক্ত হয় যানেন তো?”
” তোমাকে দেখলেই বোঝা যাই আফা যে তারা কেমন হতে পারে ৷?”
মুগ্ধতা তখন মুচকি মুচকি হাসে ৷
চারিপাশে অনেক লোকজন রয়েছে, অনেক সুন্দর সুন্দর ছেলেও আছে যাদের প্রতি মুগ্ধতার কোন কালেই কোন ইন্টারেস্ট ছিলো না, ও স্পর্শকে নিয়েই সবসময় ভাবে কারন ওর ভাবতে ভালো লাগে ৷
প্রায় তিরিশ মিনিট ধরে মুগ্ধতা ঝিলের ধারে বসে আছে প্রচন্ড হওয়া দিচ্ছে খুব সুন্দর লাগছে বসে থাকতে আবহাওয়াটাও বেশ ৷

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

মুগ্ধতা কানে এয়াফোন দিয়ে একটা সফট মিউজিক শুনছে আর ঝিলের জলের দিকে তাকিয়ে আছে ৷হঠাৎ কল আসায় মিউজিক বন্ধ হয়ে যেতেই মুগ্ধতা ফোনের দিকে বিরক্তি নিয়ে বলল
” কে এখন এই সময়ে ফকিন্নীর মতো কল দিয়েছে, সে কি জানে না যে আমি এখন গান শুনছি ৷”
ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখল স্পর্শ ফোন করেছে ৷ মুগ্ধতার হাত পা ঠান্ডা হয়ে এলো, ফোনটা কি এখন কেটে দেবে? কিন্তু স্পর্শ তো কখনো এমন সময় ফোন করেনা কারন সে জানে ওদের এখন ক্লাস হচ্ছে ৷ মুগ্ধতা কি ফোনটা ধরবে ? ও ভয় পাচ্ছে খুব ৷

মুগ্ধতা এত কিছু ভাবতে ভাবতেই স্পর্শ কলটা কেটে দিয়ে পুনরায় আবার কল করলো ৷মুগ্ধতা ভয় পাচ্ছে খুব , মুগ্ধতা ঝিলের দিক থেকে সরে এসে রাস্তায় এসে দাঁড়ালো ৷ বারবার কল আসছে আর কল কেটে যাচ্ছে কিছু সময় পর৷ এটা নিয়ে 7টা মিসডকল দিল স্পর্শ , না পেরে 8 বারের বার মুগ্ধতা ভয়ে ভয়ে কলটা ধরলো ৷
কলটা ধরে বললো
“কি ব্যাপার এতবার কল করছেন কেন? আপনি জানেন না যে আমার এখন ক্লাস হচ্ছে ৷”
” কোথায় দাঁড়িয়ে আছো তুমি এখন? তোমাকে দেখছি না কেন?”
মুগ্ধতা স্পর্শের এমন কথা শুনে ঘাবড়ে গেল,স্পর্শর গলার আওয়াজ শুনে বোঝা যাচ্ছে যে স্পর্শ রেগে কথা বলছে ৷ নিজেকে ঠিক রেখে বলল
” ক্লাসে আছি আমি ৷”
স্পর্শ ধমক দিয়ে বলল

“জাস্ট শাট আপ ৷ আর একটা মিথ্যা কথা বললে এক থাপ্পড়ে সব কটা দাঁত ফেলে দেবো তোমার ৷ তুমি কলেজে না এসে হাতিরঝিল ঘুরতে গেছো ? কিছু বলিনা বলে কি ডানা গজিয়ে গেছে তোমার ? নাকি বেশি আদর দিয়ে তোমাকে বাঁদর করে ফেলেছি কোনটা ?”
মুগ্ধতা রেগে গিয়ে বলল
” আমি বাঁদর?, ওটা আপনি ৷”
“নো মোর ওয়ার্ডস, বেশি আজাইরা কথা বলে আমার রাগটা না বাড়িয়ে তাড়াতাড়ি বলো তুমি কোথায় আছো? লেকের কোন সাইডে ?”
মুগ্ধতা বুঝতে পারল যে স্পর্শ জেনে গেছে যে ও আজ কলেজে যাইনি আর স্পর্শ এখন ওকে নিতে আসবে ৷ কিন্তু স্পর্শ জানলো কি করে ও হাতিরঝিল গেছে ?
মগ্ধতা ভয় পেয়ে বলল
” হাতিরঝিল ৷ হাতিরঝিল আছি আমি ৷ আর আপনাকে এখন এতদুর থেকে হাতিরঝিল আসতে হবে না, আমি এক্ষুনি বাসায় যাচ্ছি ৷”

” আই সেইড তুমি ঠিক কোথায় আছো ?”
” হাতিরঝিল আছি, হাতিরঝিলে নিশ্চই বকের ঝিল আসবে না যে আমি সেখানে যাবো ৷”( ঘাবড়ে গিয়ে)
স্পর্শ কথাটা শুনেই আর কিছু না বলে ফোনটা কেটে দিলো ৷
ফোনটা কেটে দিতেই মুগ্ধতার হাত পা কাপাকাপি শুরু হয়ে গেল ৷ এখন কি করবে ও? তাড়াতাড়ি করে শুভ্রতাকে ফোন করলো ৷
দুইবার রিঙ হতেই শুভ্রতা ফোনটা ধরলো ৷ শুভ্রতা ফোন ধরতে না ধরতেই মুগ্ধতা বলল
” দোস্ত সর্বনাশ হয়ে গেছে ৷ উনি কোন ভাবে জেনে গেছে যে আমি আজ কলেজে যাইনি ৷ কি করবো আমি এখন ? আর উনি কি করে জানলো যে আমি আজ কলেজ যাইনি ৷ ”
শুভ্রতা একটা শুকনো ঢোঁক গিলে বলল

” তোর সব প্রশ্নের উত্তর না হয় স্পর্শ ভাইয়ার কাছ থেকে নিস ৷আর দোস্ত যেখানে দাঁড়িয়ে আছিস ওখানেই থাক কারন আমি আর স্পর্শ ভাইয়া তোকে দেখতে পেয়েছি ৷? স্পর্শ ভাইয়াও আমার থেকে 5 হাত দুরে আর আমি পিছে ৷”
” তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি, কিসব বলিস তুই ৷”
মুগ্ধতার কথা শুনে শুভ্রতা বলল
” দোস্ত তুই তোর আর ভাইয়ার কতো মিল রে দুজনেই সেম কালারের ড্রেস ৷ কিসি কা নজর না লাগে ৷ দোস্ত স্পর্শ ভাইয়া অনেক রেগে আছে, তোকে হয়তো ঝিলের মাঝে ফেলেও দিতে পারে , তুই যদি চাস এখনই ইন্নালিল্লাহ পড়ে ফেলি ?”
মুগ্ধতা ফোনটা কানে রেখে বলল

” দোস্ত পড়ে ফেল , উনি আমার সামনে ? ৷”
স্পর্শ মুগ্ধতার কাছে গিয়ে বলল
” চলো ৷”
“কোথায়?”
“লেকের ধারে ৷”
স্পর্শর গলার আওয়াজ শুনে মুগ্ধতার ঠিকঠাক লাগছে না কিছু ৷ ঠান্ডা ঝড় বয়ে যাচ্ছে মনে হয় এখন ৷
শুভ্রতা এসে ওদের পাশে দাঁড়াতেই স্পর্শ শুভ্রতাকে বলল
“শুভ্রতা চলো লেকের ধারে গিয়ে বসি, পা ভেজাবো
জলে ৷”

শুভ্রতা আর মুগ্ধতা একে অপরের মুখের দিকে চাওয়া চাওয়ি করতে লাগলো ৷ হঠাৎ করে স্পর্শর এমন একটা কথা যেন দুজনে ঠিক হজম হলো না ৷শুভ্রতা শুকনো ঢোঁক গিলে বলল
” ভাইয়া আপনি বাসায় যাবেন না ? ”
স্পর্শ শুভ্রতার কথার উত্তরে বলল
” আমার গুণবতী বউটা যখন মিরপুর থেকে আমাকে হাতিরঝিল অব্দি টেনে আনতে পেরেছে তখন একটু না হয় ঘোরা ঘুরি করেই বাসায় ফিরি ৷ তাছাড়া আজকে আমার নাইট ডিউটি আছে তাই সমস্যা হবে না , চলো যাই ৷”
কথাটা বলে মুগ্ধতার হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে গেল স্পর্শ ৷ শুভ্রতা আর মুগ্ধতা দুজনেই ভয় পাচ্ছে স্পর্শর এমন ব্যবহারে ৷ মুগ্ধতার মনে মনে খালি একটাই চিন্তা হতে লাগলো যে স্পর্শ যদি ওকে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেয় তখন কি করবে ও ?

তিনজন গিয়ে লেকের ধারে বসেছে,জলের অনেকটাই কাছে,মুগ্ধতা জলের দিকে বসেছে ৷ তিনজনই চুপচাপ কারোর মঘখে কথা নেই, কিছু যে একটা ঘটাবে স্পর্শ তা ওরা দুজনেই বুঝতে পারছে ৷ হঠাৎ স্পর্শ বলে উঠলো
” শুভ্রতা আইসক্রিম খাবে ?”
শুভ্রতা ঝুকনো ঢোক গিলে মাথা নাড়ালো ৷ শুভ্রতার কথা শুনে স্পর্শ উঠতে গেলেই মুগ্ধতা বলল
” আমাকে একবারো জিঞ্জাসা করলেন না তো ?”
স্পর্শ শান্ত ভাবেই বলল
” হমম বলো ৷”
” আই এম সরি?”
” আই এম সরি “এই ফ্লেভারের কোন আইসক্রিম যদি পাওয়া যাই তাহলে আনবো ৷”
কথাটা বলে স্পর্শ চলে গেল ৷
মুগ্ধতা রেগে গিয়ে স্পর্শকে বলল
” ভাব দেখেছিস? কেমন ৷ ভালো ভাবে কথা বলা যাই না!”
” বইন তুই থাম একেতো নিজে ভুল করেছিস তার ওপর স্পর্শ ভাইকে এমন বলছিস ‌৷”
মুগ্ধতা রেগে গিয়ে বলল

” তুই আবার ওনার হয়ে কথা বলছিস ? তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড নাকি ওনার কোনটা ?”
” আরে রাগ করছিস কেন ? ভুলটা তো তোরই ৷ তোকে কে বলেছিলো কলেজ না করে আজকে হাতির ঝিল ঘুরতে আসতে তাছাড়া আজকে ক্লাস ও হয়নি একটাও ৷”
” আরে ওই টাকলা সিফাতের ক্লাস ছিলো তাই তো যাইনি ৷ আর ক্লাস হয়নি মানে কি ?”
” আরে কলেজের আলামিন sir ছিলেন না উনি আজকে হঠাৎই হার্ট অ্যাটাক করেন , দুঃখের বিষয় উনি ইন্তেকাল করেছেন, তাই ক্লাস হয়নি কলেজ বন্ধ ৷ তুই তো জানিস ভাইয়া ওই কলেজের কতো ভালো স্টুডেন্ট ছিলো তাই খবরটা শুনে ভাইয়া কলেজে এসেছিলেন , আর তোকে নিতেও এসেছিলেন ৷ এসে দেখে তার মুগ্ধ আজ কলেজেই আসেনি ৷ ভাইয় া এত শান্ত আছে কি করে আমি সত্তিই বুঝতে পারছি না ৷ আমার না ভয় লাগছে ভাইয়ার এমন ব্যবহারে ৷ বইন তুই ওতো ধারে বসেছিস কিল্লাই , একটা ধাক্কা মারলেই তো তুই শেষ, সাঁতার ও জানিস না ৷ ?”

শুভ্রতার এমন কথা শুনে মুগ্ধতার কাঁপাকিপি স্টার্ট হয়ে গেছে ৷ আজকে অনেক বড়ো একটা ভুল করে ফেলেছে ও ৷ সত্তিই তো স্পর্শকে বলতো তবে স্পর্শ ওকে শুধু পুরান ঢাকা কেন পুরো ঢাকা ঘোরাতো , তবুও ওর তো নিজের এক্সটা বাদরামো করাই চাই, নাহলে কি আর খাবার হজম হয় ?
কথাগুলো নিজের মনে মনে ভাবছে মুগ্ধতা ৷
হঠাৎ পিছন থেকে একজন বলে উঠলো
” হেই, দিস ইজ ফর ইউ ৷”
মুগ্ধতা আর শুভ্রতা পিছন ঘুরে তাকালো ৷ দেখলো একটা ছেলে একটা গোলাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ৷ ছেলেটাকে দেখেই দুজনে উঠে দাঁড়ালো ৷
মুগ্ধতা রেগে গিয়ে বলল

” কি চাই ?”
” যদি বলি তোমাকে ৷”
মুগ্ধতা আর শুভ্রতা অবাক হঠাৎ এই ছেলেটা কি বলে ৷
শুভ্রতা বলে উঠলো
” আর ইউ ক্রেজি ? সি ইজ,,,”
married কথাটা বলতে যাবে তখনই ছেলেটা বলে উঠলো
” সি ইজ মাইন ৷”
শুভ্রতা আর মুগ্ধতা
“?৷”
মুগ্ধতা বলল
” আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন? ভাইয়া আমার জামাই আছে ৷”

” আমি জানি তুমি বিবাহিত নও, তোমাকে আমি প্রায় 40 মিনিট ধরে নোটিস করছি, তোমার থেকে চোখ ই সরছিলো না ৷ লাভ এট ফাস্ট সাইড বলতে পারো ৷”
শুভ্রতা রেগে বলল
” ভাইয়া বাংলা বোঝেন না ? ও বিবাহিত ওর জামাই আছে ৷ ওই দেখুন ওটা ওর জামাই ৷”
পিছনে ঈশারা করলো তাকানোর জন্য ৷ ছেলেটা পিছনে তাকিয়ে দেখলো স্পর্শ হাতে আইসক্রিম নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ৷ ছেলেটা স্পর্শকে দেখে বলল
” নিজের ভাইয়াকে কেউ হাজবেন্ড বলে ৷ ওনাকে দেখেই তো মনে হচ্ছে তোমার ভাইয়া ৷”
মুগ্ধতাকে উদ্দেশ্য করে ৷
মুগ্ধতা রেগে গিয়ে বলল
“আপনি বোঝেন না যে ওটা আমার জামাই ৷ কালকে বিয়ে করছি আমরা, বাসর ও হয়েছে? ৷ আর কোন প্রমান চাই আপনার ?”

এই শহর আমার পর্ব ৮

” সত্তি ? দেখো আমার মনে হচ্ছে তুমি মিথ্যা বলছো ৷ আমি তোমাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি কিন্তু ৷”
স্পর্শ দাড়িয়ে সবটা দেখছে কিছু বলছে না দেখে মুগ্ধতার রাগ লাগছে, মানুষটা কি একেবারে বোবা আর কালা হয়ে গেল নাকি ?
মুগ্ধতা রেগে গিয়ে বলল
” ভাই আপনি সহজ কথার মানুষ না দেখছি ৷ আপনি যাবেন নাকি আমি লোক জড়ো করে আপনাকে ধোলাই দেবো কোনটা!”
লোকটা মুখটা ছোট করে বলল
” সরি , আপনাকে দেখে মনে হয়না আপনি বিবাহিতা তাই আরকি ৷ ”
কথাটা বলে ছেলেটা চলে গেল ৷

স্পর্শ ওদের কাছে গিয়ে শুভ্রতার হাতে সব আইসক্রিম গুলো ধরিয়ে মুগ্ধর গালে আলতো করে হাত রেখে বলল
” সত্তিই তো ,তুমি কি বিবাহিতা ? তোমার কি আদেও কোন জামাই আছে ?জামাই থাকলে তো সবা ইজামাইয়ের সাথেই ঘুরতে আসে তাই নয় কি !”
মুগ্ধতা মাথা নীচু করে বলল
” সরি ৷”
” লুকিং পিংকিশ নাগিন, আর নাগিনকে জলেই ভালো লাগে ৷”
মুগতা কিছু বলবে তখনই স্পর্শ ধাক্কা দিয়ে মুগ্ধতাকে জলে ফেলে দিলো ৷
” স্পর্শ ? ৷”

এই শহর আমার পর্ব ১০